Tag: bharat

bharat

  • PM Modi: “ভারত অপ্রতিরোধ্য”, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র ১০ বছর পূর্তিতে সাফল্যের খতিয়ান পেশ মোদির

    PM Modi: “ভারত অপ্রতিরোধ্য”, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র ১০ বছর পূর্তিতে সাফল্যের খতিয়ান পেশ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন ২০১৪ সালের ২৬ মে। ওই বছরেরই ২৫ সেপ্টেম্বর সূচনা করলেন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ (Make In India) উদ্যোগের। বৃহস্পতিবার ১০ বছর পূর্ণ করল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) এই উদ্যোগ। সেই উপলক্ষে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী।

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নিয়ে কী বললেন মোদি (PM Modi)

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মস্তিষ্কপ্রসূত। এই উদ্যোগে সরকার কোম্পানিগুলিকে ভারতে পণ্যের বিকাশ, উৎপাদন ও উৎপাদনে উৎসর্গীকৃত বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে। এই উদ্যোগ সফল হওয়ায় দেশবাসীকে অভিবাদন জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “মেক ইন ইন্ডিয়ার প্রভাব এটা স্পষ্ট করল যে ভারত অপ্রতিরোধ্য।” তিনি বলেন, “একটা লক্ষ্য নিয়ে দশ বছর আগে এর পথচলা শুরু হয়েছিল। পণ্য উৎপাদনে ভারতের অগ্রসরের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রতিভাশালী এই দেশ শুধুমাত্র আমদানিকারক দেশ হিসেবে না থেকে যাতে রফতানিকারক দেশ হয়, তা নিশ্চিত করতে এই পথ চলা শুরু।”

    সাফল্যের খতিয়ান

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সাফল্যের খতিয়ান দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০১৪ সালে সারা দেশে মাত্র দুটি মোবাইল তৈরির কারখানা ছিল। এখন তা বেড়ে হয়েছে ২০০। মোবাইল রফতানি ৭৫০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।” তিনি বলেন, “এখন ভারতে ব্যবহৃত মোবাইলের ৯৯ শতাংশই দেশে তৈরি হয়। বিশ্বে মোবাইল উৎপাদনে ভারত উঠে এসেছে দুনম্বরে।” খেলনা উৎপাদনেও ভারতের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, গত দশ বছরে খেলনা রফতানি বেড়েছে ২৩৯ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: নির্বিঘ্নেই শেষ দ্বিতীয় দফাও, হাত উপুড় করে ভোট দিলেন ভূস্বর্গবাসী

    ইস্পাত শিল্পেও ব্যাপক উন্নতি করেছে ভারত। ২০১৪ সালের চেয়ে দেশে ইস্পাতের উৎপাদন বেড়েছে ৫০ শতাংশেরও বেশি। প্রধানমন্ত্রী জানান, সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রে দেশে দেড় লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে। পাঁচটি প্ল্যান্টের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলি থেকে প্রতিদিন ৭ কোটি চিপ তৈরি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জানান, গত দশ বছরে ভারতে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদন বেড়েছে ৪০০ শতাংশ। সামরিক সরঞ্জাম রফতানি হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা। ভারত এখন বিশ্বের ৮৫টিরও বেশি দেশে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এক সঙ্গে আমরা এমন ভারত গড়ে তুলতে পারি, যা শুধু নিজের প্রয়োজন মেটাবে (Make In India) না। একই সঙ্গে বিশ্বের কাছে উৎপাদনের পাওয়ার হাউস হয়ে উঠবে (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jagdeep Dhankhar: ‘‘রাম রাজ্যের পথে এগোচ্ছে দেশ, নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোদি’’, বললেন ধনখড়

    Jagdeep Dhankhar: ‘‘রাম রাজ্যের পথে এগোচ্ছে দেশ, নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোদি’’, বললেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (Bharat) ক্রমশই রাম রাজ্যের দিকে এগিয়ে চলেছে, নেতৃত্বে রয়েছেন মোদি, গতকাল ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার এ কথা বলেন দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারতবর্ষের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে জাতীয় নেতৃত্বে তত্ত্বাবধানে গত ১০ বছরে। নিজের বক্তব্যে জগদীপ ধনখড় আরও বলেন, ‘‘অনেক নেতার নাম রয়েছে কিন্তু নর যুক্ত ইন্দ্র, নরেন্দ্র সমস্ত কিছুকেই সম্ভব করেছেন এদেশে।’’ মোদি সরকারের এমন ভূয়সী প্রশংসা করতে শোনা যায় উপরাষ্ট্রপতিকে নয়াদিল্লিতে।

    জাতীয় নেতৃত্বের উল্লেখযোগ্য ভূমিকার কারণেই দেশ এগিয়ে চলেছে (Jagdeep Dhankhar) 

    তিনি (Jagdeep Dhankhar) আরও বলেন, ‘‘বিগত ১০ বছরে দেশজুড়ে অসংখ্য পাকা বাড়ির দেশের দরিদ্র মানুষদের মধ্যে বিতরণ করা সম্ভব হয়েছে, গ্য়াস কানেকশন পেয়েছেন দরিদ্র মানুষরা, ঘরে ঘরে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে বিদ্যুৎ। ১০ বছরে এমনই অগ্রগতির সাক্ষী রয়েছে দেশের মানুষ। তাঁরা বলছেন যে এবার সঠিক মানুষকেই পুরস্কৃত করা হয়েছে।’’ নিজের বক্তব্যে জগদীপ ধনখড় জানিয়েছেন, একমাত্র জাতীয় নেতৃত্বের উল্লেখযোগ্য ভূমিকার কারণেই দেশ এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, ‘‘এটা পরিষ্কার যে, দেশ রাম রাজ্যের পথে এগিয়ে চলেছে। সরকার যা কিছু ভাবে করে সেটাই সম্ভব হয়। দেশের মানুষের পক্ষে কল্যাণকর এত কাজ কীভাবে সম্ভব হচ্ছে? এটা সম্ভব হচ্ছে এই দেশের সেই ব্যক্তিটার জন্যই যিনি দেশকে (Bharat) নেতৃত্ব দিচ্ছেন।’’

    শিক্ষাকে কেন্দ্র করেই বড় বড় পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে

    প্রসঙ্গত বিগত বছরগুলিতে মোদি সরকারের অন্যতম প্রয়াস দেখা গিয়েছে যে সমাজের সমস্ত স্তর থেকে প্রতিভাবানরা যাতে সম্মান পায়। দেশের সর্বোচ্চ সম্মান পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ, ভারতরত্ন প্রদানের ক্ষেত্রে বিগত ১০ বছরে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেশে দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন জগদীপ ধনখড়। শিক্ষা নিয়েও এদিন উল্লেখযোগ্য বিবৃতি দেন জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) এবং তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা খুব বেশি। শিক্ষাকে কেন্দ্র করেই বড় বড় পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে। আমি সকলকে অনুরোধ করব যে আপনারা নিজেদের সন্তানদের শিক্ষাদান করুন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: জানেন কীভাবে বাইডেন ঘনিষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক সেরেছিলেন রাহুল?

    Rahul Gandhi: জানেন কীভাবে বাইডেন ঘনিষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক সেরেছিলেন রাহুল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার কয়েকজন কুটনীতিক ও কয়েকটি গোষ্ঠীর দ্বারা চালিত হন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। রাহুল সম্প্রতি পার্টির বিদেশী ইউনিট, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেস (IOC) থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ইউরোপ সফরের আমন্ত্রণ পেয়েছেন। আইওসি আহ্বায়ক রাজবিন্দর সিংয়ের নেতৃত্বে একদল এনআরআই এই বিষয়ে তাঁর সঙ্গে একটি বৈঠক করেছে বলেন খবর। যদিও কংগ্রেসের (Rahul in US) তরফে এই বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। সম্প্রতি ওপিইন্ডিয়া একটি অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনে জানায়,২০২৩ সালে রাহুল তাঁর শেষ মার্কিন সফরের সময় হোয়াইট হাউজে ‘গোপন’ বৈঠক করেছিলেন। বহু গণ্য মান্য মার্কিনদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলেন তিনি। যদিও কংগ্রেসের তরফে এই খবর অস্বীকার করা হয়।

    রাহুল গান্ধীর  সফর (Rahul Gandhi)

    রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সঙ্গে ঘনিষ্ঠ আলোচনার কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন সীমা সিরোহি। তাঁর কথায়, “হোয়াইট হাউসের বৈঠকটি গোপন রাখার ক্ষেত্রে মত দিয়েছিল দুই পক্ষই। রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা সামনে আনতে চায়নি মার্কিন প্রশাসন। আর রাহুলও বিষয়টি প্রকাশ্যে এনে অস্বস্তিত্ পড়তে চাননি।” সীমা আরও জানান, তাঁকে এই বৈঠকের কথা বলেছিল, কংগ্রেস নেতা প্রবীণ চক্রবর্তী। যদিও প্রবীণ পরে এই বৈঠকের কথা অস্বীকার করেন। প্রবীণ বলেন, “হোয়াইট হাউসে কোনও গোপন বৈঠক হয়নি।” তবে, রাহুল গান্ধী তাঁর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় সেনেটর এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, এর আরও অনেক প্রমাণ রয়েছে। 

    ডিপ স্টেটের ভূমিকা (Rahul in US) 

    সম্প্রতি ওপিইন্ডিয়া ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান স্যাম পিত্রোদা এবং তার সন্দেহজনক এনজিও, গ্লোবাল নলেজ ইনিশিয়েটিভ সম্পর্কে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই সংস্থা মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং রকফেলার ফাউন্ডেশন থেকে অর্থ পায়। এনজিওটি স্যাম পিত্রোদা, রকফেলার ফাউন্ডেশনের বর্তমান ভিপি এবং মার্কিন সরকারের (Rahul in US) প্রাক্তন উপদেষ্টা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। এতেই বোঝা যায় যে, কংগ্রেস মার্কিন ডিপ স্টেটের সাথে সমঝোতায় রয়েছে। রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বরাবর ভারতে কোনও কাজের জন্য বিদেশী হস্তক্ষেপের দাবি করেন। যা আত্মনির্ভর ভারতের বিপরীত। এই প্রতিবেদন প্রকাশের একদিন পর, কংগ্রেস নেতা প্রবীণ চক্রবর্তী ওপিইন্ডিয়াকে হুমকি দেন। প্রবীণ চক্রবর্তী দাবি করেন যে হোয়াইট হাউসের “গোপন” বৈঠকের খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা। আসলে কংগ্রেস বুঝতে পারে এই খবর প্রকাশ্যে এলে তাদের সমস্যায় পড়তে হবে। এই ধরনের বৈঠক ভারতের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী। প্রবীণ প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিরোধিতা করলেও কোনও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেননি। তিনি রিপোর্টে উল্লেখিত অন্য কোনও লিঙ্ককে অস্বীকার করেননি। তিনি মার্কিন ডিপ স্টেটের সাথে স্যাম পিত্রোদা এবং রাহুল গান্ধীর সম্পর্ক নিয়েও কোনও প্রশ্ন তোলেননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bharat 2047: স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তিতে চাই আত্মনির্ভর ভারত, বৈঠকে স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ

    Bharat 2047: স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তিতে চাই আত্মনির্ভর ভারত, বৈঠকে স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৪৭ সালের মধ্যে আত্মনির্ভর ভারত (Bharat 2047) গড়ার পরিকল্পনা ছকা হল স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের (Swadeshi Jagran Manch) বৃহত্তম কাউন্সিল বৈঠকে। রাষ্ট্রীয় পরিষদ বৈঠকে কেবল যে স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের সদস্যরা ছিলেন তাই নয়, কর্মীরাও ছিলেন যাঁরা আত্মনির্ভর ভারতের প্রচার কার্যের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ৩৪০জন কার্যকর্তা।

    মেগা বৈঠকে স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ (Bharat 2047)

    দেশের ভালো কীভাবে করা যায়, তা ছকে ফেলতে যে বৈঠক হয়েছিল, তাতে যোগ দেন ৪৭ জন মহিলাও। বৃহত্তম এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ভূতপূর্ব জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি তথা বর্তমান জাতীয় এক্সিকিউটিভ সদস্য ভি ভাগ্য। বৈঠকে উপস্থিত ছিল বিভিন্ন সংগঠনও। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, উদ্যোগ ভারতী, অখিল ভারতীয় গ্রাহক পঞ্চায়েত, সহকার ভারতী, বনবাসী কল্যাণ আশ্রম, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, এনভায়রনমেন্টাল অ্যাক্টিভিটি এবং অক্ষয় কৃষি পরিবার। গায়ত্রী পরিবারের মতো আরও কয়েকটি সংগঠনও যোগ দিয়েছিল এই বৈঠকে।

    আলোচনার বিষয়

    ন্যাশনাল কাউন্সিলের এই বৈঠকে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়েও আলোচনা হয়। তাতে মূলত তিনটি ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এগুলি হয়, স্বদেশি, আত্মনির্ভরতা এবং গবেষণা। দুটো তাৎপর্যপূর্ণ প্রস্তাবও গৃহীত হয়। এগুলি হল, ইমপ্যাক্ট অফ পপুলেশন অন দ্য ইকনোমি এবং প্রসপারাস অ্যান্ড গ্রেট ইন্ডিয়া বাই ২০৪৭। স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ এবং আত্মনির্ভর ভারত ক্যাম্পেনের বিভিন্ন কোর বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। যেসব ভারতীয় জাতীয় (Bharat 2047) স্তরে বিকাশের সঙ্গে যুক্ত, অর্গানিক পাথ অফ এন্টারপ্রেনিউরশিপ এবং পঞ্চ ট্রানসফর্মেশনের ওপর জোর দিচ্ছেন, তাঁদের নিয়েও আলোচনা হয়। আদর্শায়ন এবং প্রশিক্ষণ, অল ইন্ডিয়া অফিসার ভিজিট, এন্টারপ্রেনিউরশিপ প্রমোশন কনফারেন্স, অর্গানিক এন্টারপ্রেনিউরশিপ নিয়ে গণসচেতনতার প্রসার এবং স্বদেশি মেলা আয়োজন নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘অলিম্পিক্সে দেশের ক্রীড়াবিদদের উৎসাহিত করুন’’, ‘মন কী বাত’-এ বললেন মোদি

    বৈঠকের আগে অযোধ্যায় ভগবান রামলালার দর্শন সেরেছেন কার্যকর্তারা। এটা তাঁদের বাড়তি উৎসাহ জুগিয়েছে। ন্যাশনাল কাউন্সিলের এই বৈঠকের পরে তিনদিনের একটি প্রশিক্ষণ শিবিরও হয়। অংশ নিয়েছিলেন ৩৯ জন পূর্ণ সময়ের কর্মী। সংগঠনে তাঁদের (Swadeshi Jagran Manch) ভূমিকা কী, কীভাবে তাঁরা কর্মীদের উৎসাহিত করবেন, সেসব নিয়েও আলোচনা হয় (Bharat 2047)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • T20 World Cup 2024: অক্ষর-কুলদীপ ঘূর্ণিতে বেসামাল ইংল্যান্ড, ফের বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত

    T20 World Cup 2024: অক্ষর-কুলদীপ ঘূর্ণিতে বেসামাল ইংল্যান্ড, ফের বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র সাত মাসের ব্যবধান, আবারও বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2024) ফাইনালে ভারত।  গত নভেম্বরে দেশের মাটিতে অপরাজিত থেকে একদিনের বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলেছিল রোহিতরা। এবার সুদূর ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে টিম ইন্ডিয়া। ভারতের বরাবরের শক্তি স্পিন আক্রমণেই হারিয়ে গেল ইংরেজরা। অক্ষর-কুলদীপ ঘূর্ণির সামনে দাঁড়াতেই পারলেন না জস বাটলার, ফিল সল্ট, লিভিং স্টোনরা। সঙ্গে তো রয়েইছেন বুম বুম বুমরা। মনের জোরকে সম্বল করে অ্যাডিলেডের বদলা নিয়ে নিলেন রোহিতরা। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অ্যাডিলেডে রোহিতের ভারতকে ১০ উইকেটে গুঁড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে উঠেছিল ইংরেজরা। সেই দলের আট জন ক্রিকেটার এই ম্যাচেও প্রথম একাদশে ছিলেন। কিন্তু এ বার ফলাফল বদলাতে পারলেন না তাঁরা। সেই ম্যাচের নায়ক জস বাটলার এদিন খলনায়ক হলেন। টসে জিতেও আগে বল করার সিদ্ধান্ত ব্যুমেরাং হয়ে গেল। আগে ব্যাট করে ১৭১/৭ তুলেছিল ভারত। জবাবে ইংল্যান্ড থেমে গেল ১০৩ রানে। ভারত জিতল ৬৮ রানে। 

    বৃষ্টি-বিঘ্নিত ম্যাচে টস-ফ্যাক্টর

    টসের আগেই ধারাভাষ্যকারেরা বলছিলেন, কোনও অধিনায়কই জিততে চাইবেন না। বৃষ্টির কারণে দীর্ঘ সময় উইকেট ঢাকা থাকায় পিচ কেমন আচরণ করবে তা কেউই বুঝতে পারছিলেন না। তবে নিশ্চিত ভাবেই প্রথমে ব্যাট করা দলের সমস্যা বেশি হত। টসে হেরে রোহিত শর্মাদের সেই আগে ব্যাটই করতে হল। যদিও রোহিত স্বীকার করলেন, তাঁরা আগে ব্যাট করতেই চেয়েছিলেন। এদিনও রাজকীয় ভঙ্গিতেই শুরু করেন রোহিত।  টপলিকে ছয় মেরে আশা জাগিয়েছিলেন কিং কোহলিও। কিন্তু না এবারও ব্যর্থ বিরাট। টপলির বলের লাইন বুঝতেই পারলেন না বিরাট। যা কোনওভাবেই তাঁকে মানায় না। পন্থ, সূর্যকুমারও ফিরলেন দ্রুত। কিন্তু একদিন আগলে রেখে অধিনায়কোচিত ইনিংস উপহার দেন রোহিত। কিন্তু চালিয়ে খেলার তাড়নায় আদিল রশিদের গুগলির সামনে ঠকে যান রোহিত। হার্দিকও চালিয়ে খেলেন। তখন স্কোরবোর্ডে রানের দরকার ছিল। শেষ দিকে রবীন্দ্র জাডেজা এবং অক্ষর  প্যাটেলের সৌজন্যে ১৭১/৭ তোলে ভারত।

    ঘূর্ণিতে বেসামাল

    ভারতের রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিলেন সল্ট ও বাটলার। ইংরেজ অধিনায়কের (T20 World Cup 2024) আগ্রাসী মনোভাব দিকে ফিরে আসছিল অ্যডলিডের স্মৃতি। কিন্তু না তা হয়নি। পিচ বুঝে চতুর্থ ওভারেই অক্ষরকে নিয়ে আসেন রোহিত। ওভারের প্রথম বলেই বাটলার-কাঁটা উপড়ে নিলেন অক্ষর। প্রথম বলেই কাট করতে গিয়ে পন্থের হাতে ক্যাচ দিলেন বাটলার। পরের ওভারে বুমরা তুলে নিলেন সল্টকে। ষষ্ঠ ওভারে সেই অক্ষরই তুলে নেন জনি বেয়ারস্টো। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে বেকায়দায় পড়ে যায় ইংল্যান্ড। সেখান থেকে আর ফিরতে পারেনি গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। কুলদীপ ও অক্ষর ৩টি করে উইকেট পান। বুমরা নেন ২টি উইকেট। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “শুধু তাজমহলই ভারত নয়, এদেশে আরও অনেক পর্যটনস্থল রয়েছে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “শুধু তাজমহলই ভারত নয়, এদেশে আরও অনেক পর্যটনস্থল রয়েছে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের একটি তাজমহল। তবে এটাই দেশের একমাত্র পর্যটন গন্তব্য নয়। বিদেশিরা আকছার তাজমহল দেখতে আসেন। তবে ভারতে এছাড়াও আরও ছবির মতো সাজানো অনেক জায়গা রয়েছে, যেগুলি আবিষ্কারের প্রতীক্ষায় রয়েছে।” সোমবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে পর্যটকদের তিনি অনুরোধ করেন, “এই সব জায়গাগুলো ঘুরে দেখুন, পূর্ণ করুন অদ্ভুত অভিজ্ঞতার ঝুলি। দেশের ৩৬০ ডিগ্রিই ঘুরে দেখুন।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    ভারতের যে একটা নয়া ব্র্যান্ড তৈরি হয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। জি২০ সামিটের সময় ভারত ও তার বৈচিত্রের প্রতি বিশ্বশক্তিকে কৌতুহলীও করে তোলা হয়েছিল বলেও জানান তিনি। বলেন, “আমরা জি২০ সামিটের আয়োজন করেছিলাম। এই সম্মেলন কেবল দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হয়েছে। এর একটাই উদ্দেশ্য, বিশ্ববাসীকে এই বার্তা দেওয়া যে কেবল দিল্লিই ভারত নয়, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গেলেই আবিষ্কার করা যাবে এই ভূমের বৈচিত্র।” তিনি বলেন, “শুধু তাজমহল দেখেই তামাম ভারতকে চেনা যায় না। এই দেশের অনেক শক্তি রয়েছে। আবিষ্কারের জন্য রয়েছে বিভিন্ন গন্তব্য।”

    জি২০ সম্মেলন

    জি২০ সম্মেলনের পরে যে ভারতে পর্যটকদের আনাগোনা আগের চেয়ে বেড়েছে, এদিন সাক্ষাৎকারে তারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এই সম্মেলন কীভাবে ভারতের পর্যটনের সম্ভাবনাকে উৎসাহিত করেছিল, তাও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জি২০ সম্মেলনে ২০০-র বেশি বৈঠক হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এক লাখের বেশি নীতিনির্ধারক এই সব বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। দেশের বিভিন্ন অংশে হয়েছিল এই সব বৈঠক। অভ্যাগতরা কেবল ভারতের ওই সব লোকেশন আবিষ্কার করেনি, তাঁরা তাঁদের পরিবার এবং স্বদেশবাসীকেও ভারতের অতুলনীয় সৌন্দর্যের গল্প শুনিয়েছেন।”

    আর পড়ুন: “বাংলায় সব চেয়ে বেশি লাভবান হবে বিজেপি”, সপ্তম দফার আগেই জানিয়ে দিলেন মোদি

    প্রসঙ্গত, ইউরোপিয় ইউনিয়ন ও উনিশটি দেশ মিলে গঠিত হয়েছে জি২০। ফি বছর এই জি২০-র সম্মেলন হয় এর সদস্য রাষ্ট্রগুলিতে। গত বছর এই সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল ভারত। সরকার বা রাষ্ট্রের প্রধান, বিদেশমন্ত্রী, সচিব এবং অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকরা যোগ দেন এই সম্মেলনে। একেবারে শেষে হয় শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলনে যোগ দেন বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রধান কিংবা তাঁদের প্রতিনিধিরা (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • POJK: ভারতভুক্তির দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে, নেপথ্যে কোন কারণ?

    POJK: ভারতভুক্তির দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে, নেপথ্যে কোন কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর। পাক সেনার অত্যাচারে জেরবার এই এলাকার বাসিন্দারা চান মুক্তি। তবে স্বতন্ত্র কোনও দেশ কিংবা স্বায়ত্ত্ব শাসন তাঁরা চান না। তাঁরা চান এই অঞ্চলকে জুড়ে দেওয়া হোক ভারতের সঙ্গে। ভারতভুক্তিই এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের প্রধান দাবি। যে দাবিতে পাক অধিকৃত এই অঞ্চলে জ্বলছে অশান্তির আগুন। যে আগুন নেভানোর ছলে আন্দোলনকারীদের দমন করতে কোমর কষে নেমে পড়েছে পাক সেনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখ খুলে দিয়েছে মোদি সরকারের জমানায় জম্মু-কাশ্মীরের চোখ ধাঁধানো উন্নয়ন। ভারতের অংশে যেখানে বয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের জোয়ার, সেখানে পাক অধিকৃত অংশের সর্বাঙ্গে স্পষ্ট অনুন্নয়নের ছাপ।

    ভারতভুক্তির দাবি (POJK)

    প্রত্যাশিতভাবেই তাঁরা দাবি তুলেছেন আজাদির, আরও স্পষ্ট করে বললে ভারতভুক্তির। ২০১৯ সালের ১৪ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীরে রদ হয় ৩৭০ ধারা। তার পর থেকে ভূস্বর্গে আক্ষরিক অর্থেই নেমে এসেছে কাঙ্খিত শান্তি। বুক ভরে তাজা শ্বাস নিচ্ছেন কাশ্মীরের মানুষ। এর ঠিক উল্টো ছবি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। তাই ২০২৩ সাল থেকে ভারতভুক্তির দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন চলছে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন পকেটে। এহেন পরিস্থিতিতে হাত গুটিয়ে বসে নেই পাক সেনা। আন্দোলনকারীদের ডাণ্ডা মেরে ঠান্ডা করতে মাঠে নেমে পড়েছে তারা। তাদের মারে জখম হয়েছেন গিলগিট-বাল্টিস্তানের পর্যটনমন্ত্রীও। তার পরেও ভারতভুক্তির দাবি থেকে একচুলও সরেননি এই এলাকার মানুষ। ভারতের জাতীয় পতাকা ওড়ানোর পাশাপাশি ‘পাকিস্তানি সেনা মুর্দাবাদ’ স্লোগানও দিয়েছেন তাঁরা। আন্দোলন দমন করতে গুলিও ছুড়েছে পাক সেনা। বেশ কয়েকজন জখম হওয়ার পাশাপাশি নিহত হয়েছেন জাকির হুসেন, গাজি আনওয়ার এবং আশিক মির।

    আর পড়ুন: নদিয়ায় হরিনাম বন্ধে ফতোয়া বাংলাদেশের! বিএসএফের উদ্যোগে হচ্ছে নাম সংকীর্তন

    ধ্বংস করছে পাকিস্তান

    সেই ১৯৯০ সাল থেকে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দারা মনে করেন তাঁরা জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিক, পাকিস্তান তাঁদের শোষণ করছে। তাই জীবন বাজি রেখেই তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন চিনা-পাকিস্তানিদের শোষণ থেকে নিজেদের মুক্ত করতে (POJK)। এর খেসারতও দিয়ে হয়েছে তাঁদের কাউকে কাউকে। নওয়াজ নাজি, বাবা জান, আবদুল হামিদ খান এবং আরও অনেককে জেলে পচিয়ে মারছে পাক সরকার। এঁদের দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তার পরেও পুরোপুরি নেভানো যায়নি স্থানীয়দের বুকে জমে থাকা ক্ষোভের আগুন। পাক রাজনীতির টালমাটাল দশা আর তার সঙ্গে দেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হালের কারণেই তাঁরা আরও বেশি করে ঝুঁকছেন ভারতের দিকে। তাই জোরালো হচ্ছে ভারতভুক্তি দাবি।

    দখলদারির রাজত্ব

    ১৯৪৭ সালে রাজন্য-শাসিত রাজ্যগুলিকে হয় পাকিস্তান নয় ভারতের সঙ্গে যোগ দিতে বলা হয়। তখন কাশ্মীরের মহারাজা হরি সিং জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে জুড়ে দেন। এরই একটা অংশ আগেই দখল করে নিয়েছিল পাকিস্তান, উপজাতির ছদ্মবেশে। সেই অংশই পাক অধিকৃত কাশ্মীর।

    আরএসএসের ভূমিকা

    হরি সিং যখন ভারত না পাকিস্তান কোন দিকে যাবেন তা নিয়ে দোটানায়, তখনই আরএসএসের তৎকালীন সরসঙ্ঘচালক গুরুজি সাক্ষাৎ করেন কাশ্মীরের মহারাজের সঙ্গে। এর পরেই ভারতের সঙ্গে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন হরি সিং। সে খবর (POJK) পেয়েই কাশ্মীরে উড়ে যান ভিপি মেনন। ১৯৪৭ সালের ২৬ অক্টোবর জম্মু-কাশ্মীরের ভারতভুক্তিতে স্বাক্ষর করেন মহারাজা। এর ঠিক দু’মাসের মাথায়ই মঙ্গলা, আলিবেগ, মিরপুর, ভীমবের, দেবা এবং বাটালা অঞ্চল, রাজৌরি ও নৌসেরা, ঝাঁগার এবং কোটলির পুরো অঞ্চলটা দখল করে নেয় পাকিস্তান। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় ভারতের এই অংশগুলোও। গিলগিট-বাল্টিস্তানের রাশও হরি সিং ভারতের হাতে তুলে দেন। যদিও সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্বে তখনও ছিলেন গিলগিট স্কাউটরা। এঁদের নেতৃত্বে ছিলেন মেজর ডব্লিউ ব্রাউন। তিনি মুসলমান কিছু অফিসার ও জম্মু-কাশ্মীরের সৈন্যদের নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত করেন। এর পরেই তাঁরা পৌঁছে যান গিলগিটে, আশ্রয় নেন রাজ্যপাল ঘনসারা সিংয়ের বাসভবনে। পরে তাঁকে বাধ্য করেন সারেন্ডার করতে। সৈন্যদের মধ্যে যাঁরা শিখ এবং হিন্দু ছিলেন, তাঁদের হত্যা করা হয়। রাষ্ট্রসংঘের নির্দেশে যুদ্ধ বিরতি হয় ১৯৪৮ সালে। ততক্ষণে গিলগিট-বাল্টিস্তানের রাশ জোর করে দখল করে নিয়েছে পাকিস্তান (POJK)।

    জনসংখ্যার বদল

    বস্তুত তার পর থেকেই ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে দমন পীড়ন। পাক প্রশাসনের মূল লক্ষ্যই হল, এই অঞ্চলের জনসংখ্যা ধ্বংস করা, লুটে নেওয়া মাটির নীচে সঞ্চিত প্রাকৃতিক সম্পদ। এলাকার জনসংখ্যার হার বদল করতে পাঞ্জাব এবং নর্থ-ওয়েস্ট ফ্রন্টিয়ার প্রভিন্স থেকে সুন্নি মুসলমানদের এনে এখানে বসতি স্থাপন করতে দেওয়া হয়। পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের বাসিন্দারা কলোনি জীবন যাপন করেন। পণ্ডিতরা যাকে ‘বিশ্বের শেষ কলোনি’ আখ্যা দিয়েছেন। মিরপুর মুজফ্ফরাবাদ কিংবা গিলগিট-বাল্টিস্তানের লোকজনের প্রতিবাদের অধিকারেও লাগাম পরানো হয়েছে। তাই এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের মুখ বুঝে সহ্য করতে হয় অপহরণ, খুন-জখম-রাহাজানি। পাক সেনা জোর করে জমি দখল করে নিলেও টুঁ শব্দটি করার জো নেই এই এলাকার বাসিন্দাদের। পাক শাসকরা কৌশলে ধ্বংস করছে এই এলাকার ভাষা, লিপি, জঙ্গল, উৎসব। বাসিন্দাদের তাঁদের মূল থেকেও উপড়ে ফেলার নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছে পাক সেনা। অথচ এই এলাকাটি যেন পাকিস্তানের সোনার ডিম দেওয়া সেই হাঁস। বিদেশ থেকে যাঁরা পাকিস্তানে বেড়াতে আসেন, তাঁদের প্রায় ৭০ শতাংশই আসেন গিলগিট-বাল্টিস্তানে। তাই রোজগার হয় কাঁড়ি কাঁড়ি বিদেশি মুদ্রা। মিরপুর-মুজফফরাবাদ অঞ্চলে মাটির নীচে রয়েছে দামী ধাতু-পাথর। আর গিলগিট-বাল্টিস্তানের পেটে লুকানো রয়েছে ১ হাজার ৪৮০টি সোনার খনি। এসব থেকে রোজগার হলেও, এলাকায় উন্নয়ন থেকে যায় অধরা।

    অবহেলায় শারদা পীঠ

    প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ১৭ মাইল দূরে রয়েছে শারদা পীঠ। জ্ঞানের দেবী শারদার মন্দির রয়েছে এখানেই। সনাতনীদের কাছে এক সময় যে জায়গা ছিল তীর্থক্ষেত্র, যে মন্দিরে নিত্য বাজত ঘণ্টা, নৈসর্গিক পরিবেশে অবস্থিত মন্দিরের ধূপ-দীপের গন্ধে যেখানে তৈরি হত স্বর্গীয় পরিবেশ, সেখানে আজ শুধুই শ্মশানের স্তব্ধতা। দাঁড়িয়ে রয়েছে ভগ্নপ্রায় এক মন্দিরের কাঠামো। বিগ্রহ? কে জানে কোথায়!

    ভারত বরাবর দাবি করে আসছে অখণ্ড জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অংশ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও বহুবার বলেছেন এই অঞ্চলের দখল পেতে আমরা জীবন বলি দিতেও প্রস্তুত (POJK)।

    ফিরিয়ে দাও, ফিরিয়ে দাও আমাদের ভূস্বর্গ…পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাতাসে ভাসছে এমনই আর্তি।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • POJK Violence: গণবিদ্রোহে উত্তাল পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর, ভারতভুক্তির দাবি, উড়ল তেরঙ্গাও

    POJK Violence: গণবিদ্রোহে উত্তাল পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর, ভারতভুক্তির দাবি, উড়ল তেরঙ্গাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণবিদ্রোহের জেরে উত্তাল পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর (POJK Violence)। অন্তত একজন পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন ৯০ জন। রবিবারও প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে। পালিত হয়েছে হরতালও। সামাহিনি, সেহানসা, মিরপুর, রাওয়ালকোট, খুরিট্টা, তত্তপানি হাট্টিয়ান বালা – পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের এই সব অঞ্চলেই হয়েছে প্রবল প্রতিবাদ।

    পাকিস্তানে উড়ল তেরঙ্গা (POJK Violence)

    রাওয়ালকোটে ভারতের তেরঙ্গা ঝান্ডা উড়িয়েছেন প্রতিবাদকারীরা। পাকিস্তানের ইতিহাসে এই ঘটনা এই প্রথম। মিরপুরের পুলিশ সুপার কামরন আলি আডনান কুরেশি ডিউটি করছিলেন ইসলামগড়ে। সেখানে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। প্রতিবাদকারীদের বাধা দেওয়ায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এদিন কোটলি এবং পুঞ্চ জেলায় প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে জয়েন্ট আওয়ামি অ্যাকশন কমিটির ব্যানারে। পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের (POJK Violence) মুজফফরবাদে উত্তেজিত জনতা বেধড়ক পেটায় পাক রেঞ্জার্সের জওয়ান ও পুলিশ কর্মীদের। তাঁদের ইউনিফর্ম ছিঁড়ে দেয়। আজাদির স্লোগানও দেন আন্দোলনকারীরা। ভারতভুক্তির দাবির পাশাপাশি তাঁরা ওড়ান ভারতের তিরঙ্গা পতাকাও।

    অশান্তির সূত্রপাত

    মে মাসের ৮-৯ তারিখে জয়েন্ট আওয়ামি অ্যাকশন কমিটির প্রায় ৭০ জন কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার আগে তল্লাশি চালানো হয় তাঁদের বাড়িতে। তার পরেই করা হয় গ্রেফতার। এর পরেই ১০ মে চাক্কা জ্যাম ও হরতালের ডাক দেয় কমিটি। রবিবার মুজফফরবাদের দিকে মিছিলও করেন প্রতিবাদীরা। ১০ তারিখের এই হরতালের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। মুজফফরবাদের বিভিন্ন পকেটে ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষের আগুন। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে উত্তেজিত জনতা। প্রতিবাদীদের দমন করতে এবং নিরাপত্তার খাতিরে কর্তৃপক্ষ ইন্টিরিয়র ডিভিশনের সেক্রেটারিকে কয়েক প্লেটুন সিভিল আর্মড ফোর্স পাঠানোর অনুরোধ জানায়।

    আরও পড়ুুন: শুভেন্দুর পোস্টারে আপত্তি! বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা তৃণমূলের, প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ

    পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতা আমজাদ আয়ুব মির্জা বলেন, “পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের এই পরিস্থিতিতে হাত গুটিয়ে থাকতে পারে না ভারত। অবিলম্বে পদক্ষেপ করুক।” জারি করা বিবৃতিতে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের লোকজন লড়াই করছে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীরা তামাম পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে হরতাল পালন করছেন। পাকিস্তানি পুলিশ, পাঞ্জাব পুলিশ, এফসি এবং আজাদ কাশ্মীর পুলিশ তাদের পেটাচ্ছে, গুলি চালাচ্ছে।” তিনি বলেন, “ভারত সরকার যদি এখনই পদক্ষেপ না করে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর ও গিলগিট বাল্টিস্তানকে পাকিস্তানের খপ্পর থেকে মুক্ত করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাবে (POJK Violence)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Mohan Bhagwat: “ভারত পাঁচ হাজার বছর ধরে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র” বার্তা দিলেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “ভারত পাঁচ হাজার বছর ধরে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র” বার্তা দিলেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবর্ষ পাঁচ হাজার বছর ধরে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। এই কথা বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সরসংঘচালক ডাঃ মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। ভারত সম্পর্কে এই মন্তব্য সময়োপযোগী বার্তা। তিনি বললেন, “ভারত হল নানান বৈচিত্র্যময়তার দেশ। এখানে পরস্পর কোনও সমাজের সঙ্গে অন্য কোনও সমাজের বিরোধিতা নেই। নেই কোনও দ্বন্দ্বের অবকাশ। সকলেই নিজের নিজের যোগদান, অংশগ্রহণ এবং অর্পণ ভাবের মাধ্যেম বিশ্বকে বিশেষ বার্তা দিয়ে থাকেন। এটাই হল ভারত আত্মার মূলবস্তু।”

    কী বললেন সর সংঘ চালক (Mohan Bhagwat)?

    বৃহস্পতিবার আরএসএসের সরসংঘচালক ডাঃ মোহন রাও ভাগবত (Mohan Bhagwat) কেরলে একটি বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে, বিশেষ বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারত সম্পর্কে এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “ভারত আজ থেকে শুধু নয়, প্রায় পাঁচ হাজার বছর ধরে একটি ধর্ম নিরপেক্ষ, পন্থ নিরপেক্ষ রাষ্ট্র।” রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রবীণ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রাঙা হরি লিখিত “পৃথ্বী সূক্ত-এন ওড টু মাদার আর্থ” নামক এক বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে, ভারত ভূমি এবং পৃথিবী বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সরসংঘচালক এই এই মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, “এই প্রসঙ্গে দেশের নাগরিকদের মাতৃভূমির প্রতি ভালবাসা এবং উৎসর্গ করার ভাবকে নিবেদন করতে হবে। জাতীয় ঐক্যের জন্য মাতৃভূমির ভূমিকা অপরিহার্য। আমাদের দেশে তত্ত্বজ্ঞানের পরম্পরা, সংস্কৃতি এবং বিশ্লেষণ ধর্মের মধ্যে ধর্ম নিরপেক্ষতা (পন্থ নিরপেক্ষতার) বিষয় প্রথম থেকেই ছিল। সমগ্র বিশ্ব হল একটি বৃহৎ পরিবারের মতো। এই ভাবনা একটি বৃহৎ অনুভূতির সমষ্টি। ধর্মনিরপেক্ষতাকে কোনও তত্ত্ব দিয়ে বলার প্রয়োজন নেই। অনুভবে আচরণে তা স্পষ্ট হয়।”

    ভারত সম্পর্কে কী বলেন?

    সরসংঘচালক (Mohan Bhagwat) এই দিন বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে ভারত সম্পর্কে আরও বলেন, “ভারত এক কল্যাণ ময়তার প্রতীক। দেশ, সমাজ, রাষ্ট্র, বিশ্বের প্রত্যেক মানুষের জন্য কল্যাণ কামনাই একমাত্র আমাদের কর্ম। সামাজকে এমন ভাবে তৈরি করতে হবে, যেন জ্ঞানের আলো দিয়ে দেশের শেষতম ব্যক্তির কাছে পৌঁছানো যায়। আমরাই বিশ্বের ম্যাক্সিকো থেকে সাইবেরিয়া পর্যন্ত জ্ঞানের মন্ত্র নিয়ে গিয়েছি। বসুধৈব কুটুম্বকম’- একটি এমন মন্ত্র, যা আমাদের বিশ্বকে গ্রহণ করতে শিখিয়েছে।”

    এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। তিনি বলেন, “একতাই ভারতের একটি বড় ভাবনা” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Canada: কানাডায় মৃত্যু আরেক খালিস্তানি জঙ্গির, ভারত-বিরোধী শক্তির নয়া ঘাঁটি ট্রুডোর দেশ?

    Canada: কানাডায় মৃত্যু আরেক খালিস্তানি জঙ্গির, ভারত-বিরোধী শক্তির নয়া ঘাঁটি ট্রুডোর দেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবিরোধী সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের আতুঁড়ঘর হয়ে উঠেছে কানাডা (Canada)। আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই শুধুমাত্র এমন অভিযোগ আনা হতো। সম্প্রতি নানা ঘটনায় ভারত বিরোধী ষড়যন্ত্রে কানাডার মাটি ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। এনিয়ে জাস্টিন ট্রুডোদের দেশকে চরম হুঁশিয়ারিও দিয়েছে নয়া দিল্লি। কানাডা সরকারের কাছে বারবার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনওরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, এমনই অভিযোগ দিল্লির। সন্ত্রাসবাদীরা ভারত ছেড়ে পালানোর পর তাদের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বেছে নিচ্ছে কানাডাকে। ভারত বিরোধী জঙ্গি এবং গ্যাংস্টারদের আস্তানা এখন তাই কানাডা (Canada)। ইতিমধ্যে এনআইএ তরফে বুধবারই ৩৩ জন মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদীর তালিকা কানাডা সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ওই সন্ত্রাসবাদীরা প্রত্যেকেই কানাডায় আশ্রয় নিয়েছে বলে খবর। তারই মধ্যে বুধবার কানাডায় মৃত্যু হয়েছে এক খালিস্তানি জঙ্গির। 

    কানাডাতে আশ্রয় নেওয়া সন্ত্রাসবাদীদের ছবি সহ নাম প্রকাশ এনআইএ-এর 

    কানাডাতে (Canada) আশ্রয় নেওয়ার জঙ্গিদের লিস্ট নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশ করেছে এনআইএ, ছবি সহ ওই লিস্টে নাম দেখা যাচ্ছে  লরেন্স বিষ্ণোই, জসদীপ সিংহ, কালা জাথেরি ওরফে সন্দীপ, বীরেন্দ্র প্রতাপ ওরফে কালা রানা এবং জোগিন্দর সিংহের মতো কুখ্যাত গ্যাংস্টার ও অপরাধীদের। অন্যদিকে গতকালই খালিস্তানি জঙ্গি সুখদল সিং-এর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। গ্যাংস্টারদের এই আভ্যন্তরীণ লড়াইয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    ২০১৭ সালে পাঞ্জাব থেকে কানাডায় পালায় সুখা

    জানা গিয়েছে, কানাডা (Canada) নিবাসী অন্যতম মাফিয়া অর্শদীপ সিংয়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল সুখা। জাল নথিপত্র বানিয়ে ভারত থেকে পালিয়ে যায় সে। ২০১৭ সালেই পাঞ্জাব থেকে কানাডায় আশ্রয় নেয় সুখা। অন্যদিকে এর আগেই কানাডার মাটিতেই গোষ্ঠী সংঘর্ষে খুন হয় খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং। এই ঘটনায় কানাডা সরকার ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র’য়ের ভূমিকা রয়েছে বলে সোমবারই অভিযোগ করে। যার পরে ভারত এবং কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্কে চাপানউতোর শুরু হয়। শুধু তাই নয় এক ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করে কানাডা। তারপরেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে কানাডার (Canada) এক শীর্ষ কূটনীতিককে পাঁচদিনের মধ্যে ভারত ছাড়তে নির্দেশ দেয় দিল্লি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share