মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা দেশে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে ১.৪ কোটিরও বেশি আধার নম্বর (AADHAAR Deactivation)। এগুলি নিষ্ক্রিয় করেছে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (UIDAI)। এই আধার নম্বরগুলি মৃত ব্যক্তিদের। মোদি সরকারের গত বছর শুরু হওয়া পরিস্কার অভিযানের অংশ হিসেবে ইউআইডিএআই এই পদক্ষেপ করেছে, যাতে করে কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির সুবিধা সঠিক ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছায় এবং মৃত ব্যক্তিদের নামে কোনও ভুয়ো দাবি না করা যায়।
ভুবনেশ কুমারের বক্তব্য (AADHAAR Deactivation)
ইউআইডিএআইয়ের সিইও ভুবনেশ কুমার বলেন, “মৃত ব্যক্তিদের আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করা প্রয়োজন, যাতে সরকারি কল্যাণ প্রকল্পগুলির বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় থাকে এবং কোনও ধরনের অপব্যবহারের সুযোগ না থাকে। এর ফলে সরকারি অর্থ প্রতারণামূলক দাবি বা পরিচয় জালিয়াতির পেছনে নষ্ট হবে না।” মনে রাখতে হবে, ৩৩০০–এরও বেশি সরকারি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আধার। ইউআইডিএআইয়ের লক্ষ্য হল চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে মৃত ব্যক্তিদের প্রায় ২ কোটি আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করা (AADHAAR Deactivation)। ইউআইডিএআইয়ের আধিকারিকদের মতে, এই অভিযানের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল মৃত্যুর তথ্য নিবন্ধনে আধার নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। অনেক ক্ষেত্রে মৃত্যুর নথিতে আধার নম্বর একেবারেই লেখা হয় না, অথবা ভুল বা অসম্পূর্ণ লেখা হয়। তথ্য বিভিন্ন আর্থিক এবং অ–আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে রয়েছে। তাই তথ্য যাচাই ও মিলিয়ে দেখা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ছে।
মৃত ব্যক্তিদের নামেও সরকারি সুবিধা দেওয়া হয়েছে!
প্রসঙ্গত, সরকার লক্ষ্য করেছে যে, অতীতে একাধিকবার এমন ঘটনাও ঘটেছে যেখানে মৃত ব্যক্তিদের নামেও সরকারি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য ইউআইডিএআই (UIDAI) ধারাবাহিকভাবে প্রচার করে চলেছে। ইউআইডিএআই নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যাতে তাঁরা মৃত্যুর ঘটনা এমআধার (mAadhaar) পোর্টালে রিপোর্ট করেন। সিইও কুমার বলেন, “সঠিক ও আপডেটেড ডেটাবেস বজায় রাখা লক্ষ লক্ষ সুবিধাভোগীর সুরক্ষার জন্য অপরিহার্য এবং এটি ভারতের ডিজিটাল পরিচয় ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে (AADHAAR Deactivation)।”