Tag: bihar

bihar

  • Supreme Court On SIR: ‘নাগরিকত্ব প্রমাণে যথেষ্ট নয় আধার কার্ড’, এসআইআর মামলায় নির্বাচন কমিশনকে মান্যতা সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court On SIR: ‘নাগরিকত্ব প্রমাণে যথেষ্ট নয় আধার কার্ড’, এসআইআর মামলায় নির্বাচন কমিশনকে মান্যতা সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধার কিংবা ভোটার কার্ড নাগরিকত্ব প্রমাণের চূড়ান্ত নথি হতে পারে না। অন্যান্য নথির সাপেক্ষে তা খতিয়ে দেখতে হবে। এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের অবস্থানকে মান্যতা দিয়ে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিহারে ভোটার তালিকার স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (Supreme Court On SIR) ইস্যুতে গোটা দেশ যখন তোলপাড়, সেই সময় কার্যত বিরোধীদের দাবি উড়িয়ে দিল শীর্ষ আদালত। ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনী নিয়ে স্থগিতাদেশ দিল না শীর্ষ আদালত। জানিয়ে দিল, তালিকা ত্রুটিমুক্ত করাই ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনের উদ্দেশ্য, এতে কমিশনের কোনও ভুল নেই।

    কমিশনকে মান্যতা শীর্ষ আদালতের

    বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন নিয়ে মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের (Supreme Court On SIR) বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, ভারতের নাগরিক হিসেবে আধার কার্ডকে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যায় না। আধার আইনের ৯ ধারা দেখলেই তা স্পষ্ট বোঝা যাবে। বিহারে বিধানসভা ভোটের আগে নির্বাচন কমিশন বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন করে লাখ লাখ নাম বাতিল করেছে। এই মর্মে বেশ কিছুদিন আগেই অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রাইটস, তৃণমূল, কংগ্রেস-সহ একাধিক রাজনৈতিক দল ও সংগঠন সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন এর আগেই আদালতে জানিয়েছিল, আধার কখনও স্থায়ী বাসিন্দার উপযুক্ত প্রমাণ হতে পারে না। তাই আধার কার্ড থাকলেই ভোটদানের অধিকার থাকতে পারে না। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত ও জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ কমিশনের সেই যুক্তিকেই সমর্থন করেছে। তারা পরিষ্কার জানিয়েছে, মূলত বিশ্বাসের অভাবে এসআইআর নিয়ে বিবাদের এই ইস্যুটি তৈরি হয়েছে। আর অন্য কিছু নয়। ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি কিংবা বাতিলের অধিকার রয়েছে কমিশনের।

    কমিশনকে মান্যতা শীর্ষ আদালতের

    বিহারে কমিশনের এসআইআর (Supreme Court On SIR) প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একঝাঁক আবেদন পেশ হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এদিন তার শুনানিতে কমিশন জানায়, বিহারের ভোটার সংখ্যা ৭.৯ কোটি। এর মধ্যে সাড়ে ছ’কোটি ভোটারকেই নিজেদের বা বাবা-মায়ের কোনও নথি পেশ করতে হয়নি।’ এর প্রেক্ষিতেই আবেদনকারী আরজেডি নেতা মনোজ ঝায়ের আইনজীবী কপিল সিব্বলকে শীর্ষ আদালত জানায়, ৭.৯ কোটির মধ্যে যদি ৭.২৪ কোটি ভোটার এসআইআর প্রক্রিয়ায় সাড়া দিয়ে থাকেন, তাহলে এক কোটি ভোটারের নাম বাদ পড়ার তত্ত্ব খাটে না।’ সিব্বলের যুক্তি, বাবা-মায়ের বার্থ সার্টিফিকেট সহ অন্যান্য নথি সংগ্রহে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে মানুষকে। বিচারপতি সূর্য কান্ত তখন বলেন, ‘বিহারে কারও নথি নেই, এটা সম্পূর্ণভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন বিবৃতি। বিহারে এই অবস্থা হলে দেশের অন্যান্য অংশে কী ঘটবে?’ শুধুমাত্র আধার কার্ডের উপর ভিত্তি করে কমিশন ভোটার তালিকায় নাম তুলবে না, তার সঙ্গে আরও কিছু ডকুমেন্টস দিতে হবে। তার কারণ কমিশন জানিয়েছে, অনেক জায়গায় ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি হয়েছে।

    আধার পরিচয় যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সহায়ক

    আবেদনকারীদের পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল যুক্তি দেন যে, আধার, রেশন এবং সচিত্র পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও ভোট আধিকারিকরা সেগুলি কোনও প্রমাণ বলেই গ্রহণ করতে চাইছেন না। এর জবাবে বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, ‘এই নথিগুলি প্রমাণ করে যে আপনি ওই এলাকায় বাস করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে উপভোক্তার শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে আধার বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে। পরিচয় যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সহায়ক হিসাবে কাজ করতে পারে। কিন্তু বৈধ নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। কোনও আবেদনকারী বা ভোটার আধার দেখিয়ে নিজেকে নাগরিক হিসাবে দাবি করতে পারেন না। নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে যা বলেছে তা সঠিক।’

    বুধবার ফের শুনানি

    এসআইআর (Supreme Court On SIR) প্রক্রিয়া নিয়ে এদিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে আপত্তি জানান প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক সিংভি ও প্রশান্ত ভূষণ। সেই সঙ্গে মৃত, স্থানান্তর বা অন্য কেন্দ্রে নাম রেজিস্টার করা ৬৫ লক্ষ ভোটারের তথ্য সংক্রান্ত প্রশ্নও তোলেন। কমিশনের তালিকায় মৃত হিসেবে নাম থাকা ভোটারদের এদিন আদালতে হাজির করেন রাজনৈতিক অধিকারকর্মী যোগেন্দ্র যাদব। সিবাল যুক্তি দেন, একটি কেন্দ্রে দেখা গিয়েছে, ১২ জনকে কমিশন মৃত হিসেবে ঘোষণা করলেও তাঁরা জীবিত। কমিশনের পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী বলেন, খসড়া তালিকায় এধরনের কিছু ভুলত্রুটি থাকবেই। তবে ৩০ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগে তা শুধরে নেওয়া যাবে। আজ, বুধবার ফের এই মামলার শুনানি।

  • Bihar: জেলার মোট ভোটারের ১১ শতাংশ নামই বাদ গেল মুসলিম অধ্যুষিত কিষাণগঞ্জে, সংখ্যায় ১ লাখ ৪৫ হাজার

    Bihar: জেলার মোট ভোটারের ১১ শতাংশ নামই বাদ গেল মুসলিম অধ্যুষিত কিষাণগঞ্জে, সংখ্যায় ১ লাখ ৪৫ হাজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের (Bihar) নির্বাচন কমিশনের বিশেষ নিবিড় সমীক্ষায় বাদ পড়েছে ৬৫ লাখ অবৈধ নাম। বিহারের কিষাণগঞ্জ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নাম বাদ পড়েছে। কিষাণগঞ্জ সম্পূর্ণভাবেই মুসলিম অধ্যুষিত একটি জেলা এবং এখান থেকেই বিপুল পরিমাণে নাম বাদ গেছে। কিষাণগঞ্জ জেলার (Kishanganj) মোট ভোটারের ১১.৮% নাম বাদ পড়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। দেখা যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই ১১.৮% ভোটারকে কিষাণগঞ্জে খুঁজে পাওয়া যায় না, অথচ তাদের নাম ছিল ভোটার তালিকায়।

    বাদ পড়েছে ১,৪৫,৬৬৮টি নাম (Bihar)

    কিষাণগঞ্জ এমন একটি জেলা, যা পশ্চিমবঙ্গের সীমানা সংলগ্ন এবং প্রায় সম্পূর্ণটাই মুসলিম অধ্যুষিত। জনবিন্যাসের ভারসাম্যহীনতা ও অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয়স্থল হিসেবে কিষাণগঞ্জ দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছে। প্রসঙ্গত, বিহারে SIR (Special Intensive Revision) প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২৪ জুন। তখন এই জেলায় মোট ভোটার ছিলেন ১২,৩১,৯১০ জন। সংশোধনের পর এখান থেকেই বাদ পড়েছে ১,৪৫,৬৬৮টি নাম, যা মোট ভোটারের (Bihar) ১১%–এরও বেশি। SIR প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই কিষাণগঞ্জ থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ‘স্থায়ী বাসিন্দা সার্টিফিকেট’-এর আবেদন জমা পড়তে থাকে। এই হঠাৎ আবেদনের কারণে সন্দেহ জাগে প্রশাসনের (Kishanganj)। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী সম্প্রতি কিষাণগঞ্জের এই বিষয়টি উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে ‘স্থায়ী বাসিন্দা সার্টিফিকেট’-এর আবেদন গড়ে প্রতিমাসে ২৬ হাজার থেকে ২৮ হাজার জমা পড়েছে। আবার জুলাই মাসের প্রথম ছয় দিনের মধ্যেই এই সার্টিফিকেটের জন্য ১.২৮ লক্ষের বেশি আবেদন জমা পড়েছে।

    স্বাধীনতার সময় কিষাণগঞ্জ ছিল হিন্দু অধ্যুষিত

    বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, প্যান কার্ড, আধার কার্ড এবং পাসপোর্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এখন ব্যাপকভাবে যাচাই করা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, স্বাধীনতার সময় কিষাণগঞ্জ একটি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা ছিল। কিন্তু পরবর্তী দশকগুলিতে এর জনবিন্যাসে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এর কারণ হিসেবে তাঁরা বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকে দায়ী করছেন। সম্প্রতি কিষাণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় চারজন বাংলাদেশিকে ধরা হয়েছে, যারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের আশায় এখানে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে (Bihar)।

  • ECI: বিহারে ৭.২৪ কোটিরও বেশি ভোটার স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন, জানাল নির্বাচন কমিশন

    ECI: বিহারে ৭.২৪ কোটিরও বেশি ভোটার স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন, জানাল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারে (Bihar) মোট ৭.৮৯ কোটি নথিভুক্ত ভোটারের মধ্যে ৭.২৪ কোটিরও বেশি মানুষ স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (SIR) প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে তাঁদের গণনার ফর্ম জমা দিয়েছেন। ২৪ জুন থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলেছে। এতে ৯১.৬৯ শতাংশ ভোটার অংশগ্রহণ করেছেন। রবিবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (ECI) তরফে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

    এসআইআর প্রক্রিয়া (ECI)

    কমিশন এই এসআইআর প্রক্রিয়াকে একটি ব্যাপক ও সফল নাগরিক অংশগ্রহণের প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করেছে। এর লক্ষ্য হল, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকাগুলির যথার্থতা বাড়ানো। জাতীয় নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই গণনা প্রক্রিয়া বিহারের ৩৮টি জেলায়ই ভোটার রেকর্ড যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে চালু করা হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, এসআইআরের প্রধান লক্ষ্য ছিল সমস্ত ভোটার ও রাজনৈতিক দলগুলির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। তারা আরও জানিয়েছে, বুথ লেভেল অফিসার, বুথ লেভেল এজেন্ট, স্বেচ্ছাসেবক ও রাজনৈতিক কর্মীদের ভূমিকাও এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বুথ লেভেল এজেন্টদের সংখ্যা ১৬ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। িসিপএেমর ১০৮৩ শতাংশ, কংগ্রেসের ১০৫ শতাংশ এবং সিপিআইয়ের ৫৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিজেপির সংখ্যা বেড়েছে ৩ শতাংশ। আর আরজেডি এবং জেডিইউয়ের বুথ লেভেল এজেন্টের সংখ্যা সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

    তিন দফায় ফর্ম বিলি

    বুথস্তরের (Bihar) অফিসাররা প্রতিটি নথিভুক্ত ভোটারের বাড়িতে গিয়ে অন্তত তিন দফায় ফর্ম বিলি ও সংগ্রহ করেন (ECI)। শহরাঞ্চলের ভোটার, প্রথমবারের তরুণ ভোটার এবং বিহার থেকে অস্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত ভোটারদের কথা মাথায় রেখে অতিরিক্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রবাসী ভোটারদের কাছে পৌঁছতে ২৪৬টি পত্রিকায় একটি পুরো পাতাজুড়ে হিন্দিতে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। বিহারের প্রধান নির্বাচনী অফিসার সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে চিঠি লেখেন, যাতে তারা বিহার থেকে আগত অভিবাসীদের গণনায় অংশগ্রহণের জন্য সাহায্য করে (Bihar)। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রায় ২৯ লক্ষ ফর্ম অনলাইনে পূরণ বা ডাউনলোড করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৬ লক্ষেরও বেশি ফর্ম জমা দেওয়া হয়েছে (ECI) ডিজিটাল মাধ্যমে।

  • Nitish Kumar: বিধানসভায় নীতীশ-তেজস্বী তুমুল তর্কযুদ্ধ, কী বললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী?

    Nitish Kumar: বিধানসভায় নীতীশ-তেজস্বী তুমুল তর্কযুদ্ধ, কী বললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার (Bihar) বিধানসভার বাদল অধিবেশনে তুমুল হট্টগোল। বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) সঙ্গে তর্কযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন বিরোধী দলনেতা তথা লালু প্রসাদের পুত্র তেজস্বী যাদব। এদিন নির্বাচন কমিশনের বিশেষ নিবিড় সংশোধন অভিযান নিয়ে ভাষণ দিচ্ছিলেন তেজস্বী। সেই সময় তাঁকে বাধা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরেই শুরু হয়ে যায় নীতীশ-তেজস্বী তর্কযুদ্ধ।

    আপনি কী বলছেন (Nitish Kumar)

    বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনি কী বলছেন, কেনই বা এসব বলছেন? যখন আপনি ছোট ছিলেন, তখন আপনার বাবা সাত বছর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, আপনার মা-ও সাত বছর মন্ত্রী ছিলেন। তখন কী অবস্থা ছিল? আমি আপনার সঙ্গেও কিছুদিন ছিলাম। কিন্তু আপনি সঠিক কাজ করেননি। তাই আমি আপনার সঙ্গ ছেড়ে দিয়েছি। আমরা (জেডিইউ এবং বিজেপি) শুরু থেকেই একসঙ্গে ছিলাম এবং এভাবেই থাকব।” তিনি (Nitish Kumar) বলেন, “নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এসেছে। তাই প্রচারে কেউ যা খুশি, তা-ই বলতেই পারেন।”

    নীতীশ সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি

    এর পরেই নীতীশ তাঁর সরকার নারী এবং সংখ্যালঘুদের জন্য যেসব কাজ করেছে, তার ফিরিস্তি দেন। মহিলাদের উন্নয়নে বিরোধীরা কোনও কাজই করেনি বলেও এদিন তোপ দাগেন নীতীশ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার বিহারের উন্নয়নের জন্য রাজ্যকে এখনও সাহায্য করছে। আপনি মহিলাদের জন্য কী করেছেন? মুসলমানদের জন্য কী করেছেন? আমরা সব সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করেছি। আপনি জানেন তো?  আপনি তখন শিশু ছিলেন। পাটনায় কি কেউ অন্ধকার নামার পর বাইরে বের হতে পারতেন (Bihar)?”

    ভোটার তালিকা সংশোধনের যে কাজ বিহারে চলছে, তা নিয়েই শাসক জোট এবং বিরোধী দলের মধ্যে বিতণ্ডা হয় এদিন। তার পরেই স্পিকার নন্দ কিশোর যাদব দুপুর ২টো পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করেন। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই নির্বাচন কমিশন দাবি করেছিল যে, তারা জানতে পেরেছে ভোটার লিস্টে নাম থাকা ভোটারদের মধ্যে ১৮ লাখ মারা গিয়েছেন, ২৬ লাখ ভোটার অন্য কোনও নির্বাচনী এলাকায় স্থানান্তরিত হয়েছেন। প্রায় ৭ লাখ ভোটারের নাম রয়েছে (Bihar) পৃথক পৃথক জায়গার ভোটার তালিকায় (Nitish Kumar)।

  • Bihar Electoral Revision: বিহারে ১৮ লাখ মৃত ভোটার রয়েছে তালিকায়, দু’জায়গায় নাম ৭ লাখের, জানাল কমিশন

    Bihar Electoral Revision: বিহারে ১৮ লাখ মৃত ভোটার রয়েছে তালিকায়, দু’জায়গায় নাম ৭ লাখের, জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিজ ডেস্ক: বিহারে নির্বাচন কমিশনের সমীক্ষা (Bihar Electoral Revision) বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনে, সংক্ষেপে ‘SIR’, উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ভোটার তালিকায় নাম থাকা ১৮ লক্ষ মৃত ব্যক্তি এখনো তালিকায় রয়েছেন। এর পাশাপাশি, ২৬ লক্ষ ভোটারের নাম তালিকায় রয়েছে, যাঁরা ইতিমধ্যেই অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়েছেন। এছাড়াও নির্বাচন কমিশনের (ECI) তথ্যে জানা গেছে, ৭ লক্ষ ভোটারের নাম দুটি স্থানে একসঙ্গে রয়েছে।

    মোট ভোটারের সংখ্যা ৭ কোটি ৮৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ৮৪৪ জন

    ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন (ECI) যে পরিসংখ্যান দিয়েছে, তাতে জানানো হয়েছে, বিহারে মোট ভোটারের সংখ্যা ৭ কোটি ৮৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ৮৪৪ জন। এর মধ্যে ৯৭.৩০ শতাংশ, অর্থাৎ ৭ কোটি ৬৮ লক্ষ ৩৪ হাজার ৪২৮ জন ভোটারের নাম তালিকায় যাচাই করা হয়েছে। বাকি ২.৭০ শতাংশ এখনো যাচাই বাকি রয়েছে। নির্বাচন কমিশন আরও জানিয়েছে, তারা সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে একযোগে কাজ করছে। এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের (Bihar Electoral Revision) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৫২.৩০ লক্ষ ভোটার তালিকায় রয়ে গেছেন, যাঁরা আসলে বাতিল হওয়ার কথা — হয় তাঁরা মারা গেছেন, নয়তো স্থায়ীভাবে অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়েছেন, অথবা তাঁদের নাম দুটি জায়গায় রয়েছে।

    ১ অগাস্ট থেকে চলবে তালিকা সংশোধনের কাজ

    প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন (Bihar Electoral Revision) জানিয়েছে, এক মাস সময় ধরে — ১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত — ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ চলবে। এই সময়ের মধ্যে সংযোজন, সংশোধন ও অপসারণ হবে। এই পরিস্থিতিতে, একদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা শোনা যাচ্ছে, আবার বিরোধীরা ভোটার তালিকার সংশোধন বা সংযোজন প্রক্রিয়ায় সম্মত হচ্ছেন না। তাঁদের মতে, এভাবে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চাইছে ইন্ডিয়া সরকার। চলতি বছরের শেষের দিকে, অক্টোবর অথবা নভেম্বর মাসে বিহারে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই ভোটার কার্ড ও তালিকা বাছাইয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছে। বিহারের (Bihar Electoral Revision) প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো হলো বিজেপি, জেডি(ইউ) এবং এলজেপি।

  • Bihar Electoral Rolls: “আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, রেশন কার্ড বোগাস,” সুপ্রিম কোর্টে জানাল নির্বাচন কমিশন

    Bihar Electoral Rolls: “আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, রেশন কার্ড বোগাস,” সুপ্রিম কোর্টে জানাল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, রেশন কার্ড বোগাস, সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রও ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়।” বিহার বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Electoral Rolls) আগে তালিকা সংশোধনের কাজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) সাফ জানিয়ে দিল ভারতের নির্বাচন কমিশন। কমিশনের মতে, সেই কারণে এই সব নথি ভোটার তালিকায় নাম থাকার জন্য বাধ্যতামূলক প্রমাণ হতে পারে না।

    নাগরিকত্বের প্রমাণ চাওয়ার অধিকার আছে কমিশনের (Bihar Electoral Rolls)

    শীর্ষ আদালতকে নির্বাচন কমিশন এও জানিয়েছে, বিহারের বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে নাগরিকত্বের প্রমাণ চাওয়ার অধিকার ও কর্তৃত্ব তাদের আছে। একগুচ্ছ আবেদনের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের তলব করা প্রতি-হলফনামায় একথা জানিয়েছে কমিশন। আবেদনকারীদের দাবি ছিল, ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে কমিশন নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করছে। তার জবাবে কমিশন বলেছে, একমাত্র ভারতীয় নাগরিকরাই ভোটার তালিকায় নাম তুলতে পারবেন এবং তা দেখা, পর্যালোচনার একমাত্র বিধিবদ্ধ দায়বদ্ধতা রয়েছে কমিশনেরই।

    ভোটার তালিকায় নাম থাকার ন্যূনতম যোগ্যতা

    কমিশন দেশের শীর্ষ আদালতকে এও জানিয়েছে, দেশের ভোটার তালিকায় নাম থাকার (Bihar Electoral Rolls) ন্যূনতম যোগ্যতা হচ্ছে তাঁকে ভারতের নাগরিক হতে হবে। যে কারণে কমিশনের কর্তব্য ও দায়িত্ব হল, সেই শর্ত পূরণ হচ্ছে কিনা, তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার করা। ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে বহু নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগের জবাবে কমিশন আদালতকে জানিয়েছে, ভোটার রেজিস্ট্রেশন অফিসার যখন দেখছেন কোনও ব্যক্তির নাম তালিকায় থাকার কোনও যোগ্যতা নেই, তখনই তাঁদের নাম বাদ যাচ্ছে। তাই এক্ষেত্রে বৈষম্যের যে অভিযোগ উঠছে, তার কোনও ভিত্তিই নেই।

    দেশের শীর্ষ আদালতে কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তাদের একমাত্র লক্ষ্য হল ভারতের নাগরিক নন, এমন ব্যক্তির নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া। এই কাজের জন্য নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫৫ মোতাবেক তাদের সেই ক্ষমতা রয়েছে। ভোটার কার্ড সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, “সচিত্র পরিচয়পত্র তার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী, কেবলমাত্র ভোটার তালিকার বর্তমান অবস্থা প্রতিফলিত করে এবং এটি নিজে থেকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির আগের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারে না।”

    কমিশনের সওয়াল শোনার পর সুপ্রিম কোর্ট এই (Supreme Court) মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে ২৮ জুলাই (Bihar Electoral Rolls)।

  • Untraceable Voters: ১১ হাজার ভোটারের অস্তিত্বই নেই! বিহারে মিলল চমকপ্রদ তথ্য

    Untraceable Voters: ১১ হাজার ভোটারের অস্তিত্বই নেই! বিহারে মিলল চমকপ্রদ তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকা সংশোধনের লক্ষ্যে বিহারে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) অভিযান চালাচ্ছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। সেখানেই মিলল অভিনব তথ্য (Untraceable Voters)। জানা গিয়েছে, প্রায় ১১ হাজার ভোটারকে চিহ্নিতই করা যাচ্ছে না। তাঁদের দেওয়া ঠিকানায় কোনও বাড়ি নেই, তাঁদের (Infiltration) সম্পর্কে কিছু জানেন না প্রতিবেশীরাও। ঘটনার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের এক কর্তা জানান, এই ১১ হাজার ভোটার সম্ভবত বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী, যারা বিহারে ভুয়ো ভোটার কার্ড তৈরি করেছে। যদিও বিহার নয়, তারা বসবাস করছিল আশপাশের রাজ্যগুলিতে। বিশেষ নিবিড় সংশোধন অভিযানের এই বিস্ফোরক তথ্য রাজ্যের রাজনীতিতে বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ রিপোর্ট অনুযায়ী, তারা জাল ভোট দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

    ভোটার তালিকা ‘শুদ্ধিকরণ’ (Untraceable Voters)

    নির্বাচন কমিশনের মতে, এই অনিয়মগুলির পেছনে আগের পর্যালোচনার সময় অবহেলা বা দুর্নীতি দায়ী, যার ফলে অননুমোদিত ব্যক্তিরা ভোটার তালিকায় ঢুকে পড়েছে। কিছু ক্ষেত্রে দেওয়া ঠিকানায় কোনও ঘরই ছিল না, এমনকি প্রতিবেশীরাও এই ব্যক্তিদের চেনেন না। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল বিহারের ভোটার তালিকা সম্পূর্ণরূপে ত্রুটিমুক্ত করা এবং নিশ্চিত করা যে শুধুমাত্র যোগ্য ভারতীয় নাগরিকরাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। বুথ স্তরের আধিকারিকরা তিনবার করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই করেছেন। ৭.৯০ কোটির মধ্যে ৯৫.৯২% ভোটারের যাচাই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। তবে রাজ্যের ৪১.৬৪ লক্ষ ভোটারকে তাদের দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

    ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে মৃতদেরও!

    এসবের মধ্যে ১৪.২৯ লাখ ভোটারকে সম্ভবত মৃত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৯.৭৪ লাখ ব্যক্তি স্থায়ীভাবে অন্যত্র চলে গিয়েছেন এবং ৭.৫০ লক্ষ ব্যক্তির নাম একাধিক জায়গায় পাওয়া গিয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, প্রায় ১১ হাজার ভোটারকে ‘আনট্রেসেবল’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে (Untraceable Voters)। এদিকে, এখনও পর্যন্ত প্রচারের ফলে সব মিলিয়ে মোট ৭.১৫ কোটি ফর্ম জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৬.৯৬ কোটি ফর্ম ডিজিটালাইজ করা হয়েছে। ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৫ জুলাই। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ১ অগাস্ট। এই ১ অগাস্ট থেকে ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত আপত্তি এবং দাবি গ্রহণ করা হবে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে, ভুলক্রমে অন্তর্ভুক্ত বা বাদ পড়া নামগুলি ৩০ অগাস্টের মধ্যে সংশোধন করা যাবে (Infiltration)।

    রাজনৈতিক বিতর্ক

    জানা গিয়েছে, পুরো প্রক্রিয়াটি পরিচালনার জন্য ১ লাখ ব্লক স্তরের অফিসার, ৪ লাখ স্বেচ্ছাসেবক এবং ১.৫ লাখ বুথ স্তরের এজেন্ট নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। নির্বাচন কমিশনের দাবি, যেন কোনও যোগ্য ভোটার বাদ না পড়েন, তা নিশ্চিত করতে সমস্ত সম্ভাব্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তবে এই প্রচার রাজনৈতিক বিতর্কও সৃষ্টি করেছে। বিরোধী জোট ইন্ডি ব্লকের তরফে একে “ভোট নিষেধাজ্ঞা” বলে অভিহিত করা হয়েছে। তারা একে এনডিএ-র একটি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছে। যদিও বর্তমানে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলাটি পর্যালোচনা করছে। নির্বাচন কমিশনকে আধার কার্ড, রেশন কার্ড এবং ভোটার আইডি সহ যাবতীয় নথিপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছে (Untraceable Voters)।

    অনুপ্রবেশকারী আটক

    অন্যদিকে, বিশেষ নিবিড় সংশোধন অভিযানের মাধ্যমে আর একটি চমকপ্রদ তথ্যও সামনে এসেছে। বুথ লেভেল অফিসাররা নেপাল, বাংলাদেশ এবং মায়ানমার থেকে আসা বেশ কিছু বিদেশিকে আটক করেছেন। এদের কাছে মিলেছে ভারতীয় নথিপত্র যেমন আধার কার্ড, রেশন কার্ড ও বসবাসের জন্য শংসাপত্র। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরেই শুরু হয়েছে তদন্ত। বিদেশিরা কীভাবে এসব সরকারি নথি জোগাড় করল তা জানতেই শুরু হয়েছে তদন্ত (Untraceable Voters)।

    বিশেষ অভিযান চালানোর ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের

    প্রসঙ্গত, জাতীয় নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে যে ১ অগাস্ট থেকে ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত একটি বিশেষ অভিযান চালানো হবে। ওই অভিযানে যেসব ব্যক্তিকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে শনাক্ত করা হবে, তাদের নাম চূড়ান্ত ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। বিহার রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন হওয়ার কথা চলতি (Infiltration) বছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে। তার আগে ‘শুদ্ধিকরণ’ করতে গিয়ে উঠে এল বিস্তর গরমিলের কথা। স্বাভাবিকভাবেই এই মুহূর্তে দেশবাসীর নজর বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলের দিকে। কারণ এতদিন এই ভুয়ো ভোটাররাই ছিল অন্যতম নির্ণায়ক শক্তি। তাদের ভোট পেয়ে রাজ করেছে কারা, সেই রহস্যেরই পর্দা ফাঁস হবে এবার (Untraceable Voters)।

  • Bihar Poll 2025: বিহারের ভোটের তালিকায় নেপালি-বাংলাদেশিদের ‘অনুপ্রবেশ’! বাদ লক্ষ নাম, চিন্তিত মমতা?

    Bihar Poll 2025: বিহারের ভোটের তালিকায় নেপালি-বাংলাদেশিদের ‘অনুপ্রবেশ’! বাদ লক্ষ নাম, চিন্তিত মমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটমুখী বিহারে (Bihar Poll 2025) চলছে ভোটার তালিকা সংশোধন (Special Intensive Revision of voter list)। যাকে বলা হচ্ছে ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’। অবৈধ অনুপ্রবেশকারী- সহ অযোগ্য ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ ভোটার রিভিউ ফর্ম পূরণ করেছেন। যা মোট ভোটারের ৮৮.১৮ শতাংশ। ২৫ জুলাই পর্যন্ত ফর্ম পূরণের সময় রয়েছে। প্রাথমিকভাবে খবর, বিহারের (Bihar) বর্তমান ভোটার তালিকা থেকে ৩৯ লাখ ভোটারের নাম বাদ যেতে পারে। তারা ভারতীয় নন বলে কমিশনের বুথ লেভেল অফিসারের চিহ্নিত করেছে। এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই সরব হয়েছেন। কেন? আসলে কী ভয়। এ রাজ্যে বিরোধীদের সঙ্গে শাসক দলের ভোটের ফারাক খানিকটা ওরকমই। তাই কী ভয় পাচ্ছেন মমতা?

    ভোটার তালিকায় বিদেশিরা

    এই বছরের অক্টোবর বা নভেম্বরে বিহারে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। তারই প্রস্তুতিতে এখন তৎপর নির্বাচন কমিশন। ভোটার (Bihar Poll 2025) তালিকা সংশোধনের কাজ চলছে জোরকদমে। সেই প্রক্রিয়াতেই উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভোটার তালিকায় নেপাল, বাংলাদেশ ও মায়ানমার থেকে আগত বিপুল সংখ্যক মানুষের নাম রয়েছে বলে দাবি নির্বাচন কমিশনের। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ভোটার তালিকার পর্যালোচনার অংশ হিসেবে বুথ স্তরের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি পরিদর্শনে যাচ্ছেন। তাতেই তাঁদের নজরে আসে ভোটার তালিকায় এই ‘বিদেশি’ অভিবাসীদের উপস্থিতি। কমিশনের মতে, এঁদের মধ্যে কেউই ভারতে ভোটাধিকার পাওয়ার যোগ্য নন। সূত্রের খবর, ১ অগাস্টের পর থেকে কমিশন এই তালিকায় থাকা সন্দেহভাজন নামগুলি নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত চালাবে। সেই অনুসন্ধানের ভিত্তিতে ৩০ সেপ্টেম্বর যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে, তাতে এ ধরনের ‘অবৈধ’ ভোটারদের নাম আর থাকবে না বলেই জানানো হয়েছে।

    স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের উদ্দেশ্য

    বিহারের (Bihar Poll 2025) ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, ২০০৩-এর ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম ছিল, তাঁদের সমস্যা নেই। কিন্তু বাকিদের মধ্যে যাঁদের জন্ম ১৯৮৭ সালের আগে, তাঁদের জন্মের প্রমাণপত্র দিতে হবে। তাঁরা গত লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়ে থাকলেও ছাড় নেই। ১৯৮৭ থেকে ২০০৪-এর মধ্যে যাঁরা জন্মেছেন, তাঁদের নিজেদের এবং বাবা-মায়ের মধ্যে যে কোনও এক জনের জন্মের প্রমাণপত্র দিতে হবে। ২০০৪-এর পরে জন্ম হলে নিজের ও বাবা-মায়ের দু’জনেরই জন্মের প্রমাণপত্র দিতে হবে। কমিশন সূত্রের খবর, এই ভুয়ো ভোটার বাছতে গিয়েই ভূরি ভূরি বিদেশি ভোটারের হদিশ মিলছে। এদের অধিকাংশই বাংলাদেশ বা নেপালের বাসিন্দা। কেউ কেউ রয়েছেন মায়ানমারের। সংখ্যাটা সঠিকভাবে জানানো না হলেও সেটা চমকে দেওয়ার মতো। কমিশন সূত্রের খবর, এই ধরনের ভোটারদের নাম আগামী সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত হতে চলে ভোটার তালিকায় রাখা হবে না। ওই ভোটার তালিকায় শুধু ভারতীয়দের নাম থাকবে। সেটাই স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের উদ্দেশ্য।

    সারা দেশে হবে ভোটার তালিকা সংশোধন

    এই পদক্ষেপ শুধু বিহারেই (Bihar Poll 2025) সীমাবদ্ধ থাকবে না, নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সারা দেশে ভোটার তালিকা পর্যালোচনার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে এমনই কড়া নজরদারি চালানো হবে। সন্দেহজনক ভোটারদের জন্মস্থান যাচাই করে, প্রয়োজনে তাঁদের নাম বাদ দেওয়ার দিকেই এগোবে কমিশন। বাংলায় আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যে ভোটার তালিকা থেকে এই বিপুল সংখ্যক ভোট বাদ পড়লে সমস্যায় পড়বে মমতা সরকার। টলমল করবে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি। তাই কী ভীত মমতা? তাই কী এই পদক্ষেপের বিপক্ষে সুপ্রিম দুয়ারে কড়া নাড়ছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।

    ৮০ শতাংশ ভোটার ফর্ম জমা দিয়েছেন

    এদিকে বিহারে (Bihar Poll 2025) ২৫ জুলাইয়ের মধ্যেই ভোটার তথ্য যাচাইয়ের কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কমিশনের দাবি, ইতিমধ্যেই প্রায় ৮০ শতাংশ ভোটার ফর্ম জমা দিয়েছেন। এরই মাঝে, সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির সময় আধার কার্ড, ভোটার আইডি এবং রেশন কার্ড এই তিনটি নথিকে গ্রহণযোগ্য প্রমাণপত্র হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। পাশাপাশি আদালত এটাও খতিয়ে দেখবে যে, তালিকা সংশোধনের নামে আদৌ কোনও নাগরিক তাঁর ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কিনা। এই পরিস্থিতিতে বিহারে বিধানসভা ভোটের আগে ভোটার তালিকা সংশোধন এখন রাজনীতির অন্যতম স্পর্শকাতর ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

  • Bihar Election: বিহার ভোটে কমিশনের সমীক্ষায় উঠে এল নেপাল-বাংলাদেশ-মায়ানমারের অবৈধ নাগরিক

    Bihar Election: বিহার ভোটে কমিশনের সমীক্ষায় উঠে এল নেপাল-বাংলাদেশ-মায়ানমারের অবৈধ নাগরিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরেই বিহারে ভোট (Bihar Election)। এই আবহে নির্বাচন কমিশনের সমীক্ষায় ধরা পড়ল চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা যাচ্ছে, নেপাল, বাংলাদেশ, এমনকি মায়ানমারের বহু নাগরিক বর্তমানে বিহারে বসবাস করছেন এবং তাঁরা অবৈধভাবে নিজেদের নামে আধার কার্ড, স্থায়ী বাসিন্দা শংসাপত্র এবং রেশন কার্ড তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সরকারি আধিকারিকরা ব্লক ধরে ধরে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে সমীক্ষা চালাচ্ছেন। এই সমীক্ষার মাধ্যমে বহু বিদেশি নাগরিককে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী ১ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্টের মধ্যে এই অবৈধ ভোটারদের বিরুদ্ধে ব্যাপক তদন্ত ও অভিযান চালানো হবে। যাচাই-বাছাই শেষে যাঁরা অবৈধ প্রমাণিত হবেন, তাঁদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।

    ৩০ সেপ্টেম্বর বিহারের সংশোধিত ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে

    বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধনের (Bihar Election) সিদ্ধান্ত ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বহু বাংলাদেশি, নেপালি ও মায়ানমারের বাসিন্দা বেআইনিভাবে ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন।নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্ত করে এদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর বিহারের সংশোধিত ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের কথা।

    মোট ভোটার ৭ কোটি ৮০ লাখ (Bihar Election)

    ২৫ জুন থেকে শুরু হয়েছে বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের বিশেষ অভিযান, যা চলবে আগামী ২৬ জুলাই পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন রাজ্যের মোট ৭.৮ কোটি ভোটারের বৈধতা যাচাই করবে বলে জানানো হয়েছে।নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে, এবার ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য শুধুমাত্র আধার কার্ড বা রেশন কার্ড যথেষ্ট নয়। জন্ম সনদ বা সরকারি স্বীকৃত জন্ম-পরিচয়ের নথি দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর অর্থ, এবার আরও বেশি  কঠোর নির্বাচন কমিশন।

  • E-Voting: পথ দেখাল বিজেপি-শাসিত বিহার, চালু হয়ে গেল ই-ভোটিং

    E-Voting: পথ দেখাল বিজেপি-শাসিত বিহার, চালু হয়ে গেল ই-ভোটিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ দেখাল বিজেপি-শাসিত বিহার (Bihar)। চালু করে দিল মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ (E-Voting)। বাড়িতে বসে মোবাইলে প্রথম ভোটটি দিলেন বিভা দেবী। তিনিই বিহারের প্রথম মহিলা ই-ভোটার। শনিবার রাজ্যের তিন জেলার ছ’টি পুরসভার ৪৫টি আসনে উপ-নির্বাচন হয়। তাতেই পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছিল ই-ভোটিং ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় দেশ তো বটেই বিদেশ থেকেও পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন প্রবাসীরা।

    ই-ভোটিং (E-Voting)

    এদিন ভোট হয়েছে পাটনা, পূর্ব চম্পারন, রোহতাস, বক্সার, বাঁকা এবং সরণ – এই ছ’টি পুরসভায়। ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ৭টায়। চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। ভোট গণনা হবে ৩০ জুন। বিহারের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দীপক প্রসাদ জানান, দেশে এই প্রথম বিহারে ই-ভোটিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হল ভোটের হার বৃদ্ধি করা। অসুস্থ কিংবা বয়স্করা বুথে গিয়ে ভোট দিতে পারেন না। ভোট দিতে পারেন না কর্মসূত্রে যারা দূর দেশে বসবাস করেন, তাঁরাও। বুথে গিয়ে ভোট দিতে পারেন না অন্তঃসত্ত্বারাও। কষ্ট করে বুথে গিয়ে ভোট দিতে হয় বিশেষভাবে সক্ষম ভোটারদের। ই-ভোটিং (E-Voting) ব্যবস্থা চালু হওয়ায় এবার থেকে বাড়িতে বসেই তাঁরাও অংশ নিতে পারবেন বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের উৎসবে। দীপক বলেন, “ই-ভোটিংয়ের জন্য দু’টি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এই ব্যবস্থা সম্পূর্ণ নিরাপদ। ই-ভোটিংয়ে একবার ভোট দেওয়া হয়ে গেলে সেটি লক হয়ে যাবে। শুধু ভোট গণনার দিন ফের খোলা হবে।” এই অ্যাপ দুটি হল ই-ভোটিং এসইসিবিএইচআর এবং ই-ভোটিং এসইসিবিআইএইচএআর।

    কারা ভোট দিতে পারবেন?

    কারা এই ব্যবস্থায় ভোট দিতে পারবেন? জানা গিয়েছে, ৮০ বছরের বেশি বয়সী নাগরিক, বিশেষভাবে সক্ষম ভোটার, গুরুতর রোগে অসুস্থ ভোটার, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এবং পরিযায়ী শ্রমিক বা বিদেশে থেকে স্বীকৃত ভোটার (E-Voting)। বিহার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই পুরসভা উপনির্বাচনে ১৬ হাজার ৭৮৮ জন মহিলা এবং ১৬ হাজার ২৯১ জন পুরুষ মোবাইলে ই-ভোটিং করবেন বলে আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে ৩১ হাজার ২৩৮ জন ভোটারকে ই-ভোটিং ব্যবস্থায় (Bihar) ভোট দেওয়ার যোগ্য বলে বিবেচনা করা হয়েছে।

LinkedIn
Share