Tag: Bihar Assembly elections

  • NDA: বিহার নির্বাচনের আগে ইস্তেহার প্রকাশ এনডিএর, কী কী প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে জানেন?

    NDA: বিহার নির্বাচনের আগে ইস্তেহার প্রকাশ এনডিএর, কী কী প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় বিহার বিধানসভা নির্বাচন। ভোট হবে দু’দফায়। প্রথম দফার নির্বাচনের আগেই ইস্তেহার (Bihar Manifesto) প্রকাশ করল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ (NDA) জোট। এই ইস্তেহারে এক কোটি সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্পগুলির ওপরও। ইস্তেহারে বলা হয়েছে, এক কোটি নারীকে ‘লাখপতি দিদি’ বানানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিকাঠামো নির্মাণের বড় পরিকল্পনা হিসেবে বিহারে চারটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সাতটি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।

    এনডিএর ইস্তেহার (NDA)

    এনডিএর ওই ইস্তেহারে আরও বলা হয়েছে, ৫০ লাখ নতুন পাকা বাড়ি নির্মাণ করা হবে। বিনামূল্যে দেওয়া হবে রেশন। নিখরচায় বিদ্যুৎ মিলবে ১২৫ ইউনিট। ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবাও পাওয়া যাবে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে সামাজিক নিরাপত্তা পেনশনও দেওয়া হবে। শুক্রবার সকালে পাটনায় বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা ও মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার প্রকাশ করেন ইস্তেহারটি। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এই জোটে রয়েছে জেডিইউ, চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি এবং অন্য কয়েকটি রাজনৈতিক দল।

    জোর কর্মসংস্থানে

    এনডিএর ইস্তেহারে জোর দেওয়া হয়েছে কর্মসংস্থানের ওপরও। এ রাজ্যের যুব সমাজের একটা বড় অংশ ফি বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যান কাজের খোঁজে। ফের ক্ষমতায় এলে এনডিএ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা স্কিল সেনসাস পরিচালনা করবে, যার মাধ্যমে প্রত্যেক তরুণকে দক্ষতা-ভিত্তিক কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হবে (NDA)। ইস্তেহারে বলা হয়েছে, “আমরা বিহারকে একটি গ্লোবাল স্কিলিং সেন্টার হিসেবে গড়ে তুলব। প্রতিটি জেলায় তৈরি করা হবে মেগা স্কিল সেন্টার।” বিহার স্পোর্টস সিটি ও অন্যান্য বিভাগে বিভিন্ন ‘সেন্টার অফ এক্সেলেন্স’ তৈরি করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে ওই ইস্তেহারে (Bihar Manifesto)।

    ‘লাখপতি দিদি’

    এনডিএ সরকার মহিলাদের কর্মসংস্থানের ওপরও বিশেষ জোর দিয়েছে। ইস্তেহারে এনডিএর প্রতিশ্রুতি, মুখ্যমন্ত্রীর মহিলা কর্মসংস্থান স্কিমের মাধ্যমে তাঁদের সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। এক কোটি ‘লাখপতি দিদি’ তৈরি করার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ হল, মহিলাদের বছরে অন্তত এক লাখ টাকা আয় করতে সক্ষম করে তোলা হবে (NDA)। ‘মিশন কোটিপতি’র মাধ্যমে মহিলা উদ্যোক্তাদের মধ্যে থেকে কোটিপতি উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যমাত্রাও ধার্য করেছে এনডিএ। সরকার সাতটি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ এবং ৩ হাজার ৬০০ কিলোমিটার রেলপথ আধুনিকীকরণের পরিকল্পনাও করেছে। পাটনা, দ্বারভাঙা, পূর্ণিয়া ও ভাগলপুরে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং চারটি শহরে মেট্রো নেটওয়ার্ক তৈরি করা হবে। আরও ১০টি শহরে বিমান যোগাযোগ সম্প্রসারণের পরিকল্পনাও রয়েছে।

    নয়া শিল্পপার্ক নির্মাণ

    প্রতিটি জেলায় কারখানা ও ১০টি নতুন শিল্পপার্ক নির্মাণেরও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ইস্তেহারে। জোট আবার ক্ষমতায় ফিরলে কমপক্ষে ১০০টি এমএসএমই পার্ক এবং ৫০ হাজারেরও বেশি কুটির শিল্প স্থাপন করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এনডিএ (NDA)। একটি প্রতিরক্ষা করিডর এবং সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং পার্ক নির্মাণের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি একটি বিশ্বমানের মেডিসিটি এবং প্রতিটি জেলায় একটি করে মেডিকেল কলেজ গড়ে তোলার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। এনডিএ আরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে বিহারকে দক্ষিণ এশিয়ার টেক্সটাইল ও রেশমের কেন্দ্র হিসেবেও প্রতিষ্ঠা করা হবে (Bihar Manifesto)।

    ‘এডুকেশন সিটি’

    ইস্তেহারে কৃষকদের জন্যও রয়েছে একাধিক বড় প্রতিশ্রুতি। সব রকম ফসলের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (MSP) নিশ্চয়তার পাশাপাশি নতুন ‘কর্পুরি ঠাকুর কৃষক সম্মান নিধি’ প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের ৩ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। এর ফলে কৃষকদের মোট বার্ষিক আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ ৬ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হবে ৯ হাজার টাকা। জেলেদের সাহায্যের পরিমাণও ৪,৫০০ থেকে বাড়িয়ে করা হবে ৯ হাজার টাকা। রাজ্যের কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়নে ১ লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ নিশ্চিত করা হবে (NDA)। ‘এডুকেশন সিটি’ নির্মাণ এবং বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্যাম্পাস খোলার পরিকল্পনাও করেছে এনডিএ। দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘কেজি থেকে পিজি’ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ও মানসম্পন্ন শিক্ষার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়গুলিতে মধ্যাহ্নভোজের সঙ্গে সঙ্গে পুষ্টিকর প্রাতঃরাশও দেওয়া হবে।

    তফসিলি জাতির জন্য

    তফসিলি জাতি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি সাব-ডিভিশনে তৈরি করা হবে আবাসিক স্কুল। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন এমন এসসি শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। একেবারে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য পাবেন (Bihar Manifesto)। এনডিএর প্রতিশ্রুতি, সীতার জন্মস্থান মিথিলাকে ‘সীতাপূরম’ নামে একটি বিশ্বমানের আধ্যাত্মিক নগরীতে পরিণত করা হবে। বিষ্ণুপদ ও মহাবোধি করিডর নির্মাণ, এবং রামায়ণ, জৈন, বৌদ্ধ ও গঙ্গা সার্কিট গড়ে তোলাও রয়েছে এনডিএর নির্বাচনী ইস্তেহারে (NDA)।

  • Bihar Assembly Elections: বিহারে প্রথম দফায় ৭১ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি

    Bihar Assembly Elections: বিহারে প্রথম দফায় ৭১ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Assembly Elections) প্রথম দফায় ৭১ জন প্রার্থীর নামের তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি (BJP)। মঙ্গলবার এক সরকারি বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে পদ্মশিবির। বিহার বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৪৩টি। নির্বাচন হবে দু’দফায় – ৬ নভেম্বর ও ১১ নভেম্বর। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক ১২ অক্টোবর জেপি নাড্ডার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

    কে কোন আসনে লড়ছেন (Bihar Assembly Elections)

    কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি বিহার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আরও বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। জানা গিয়েছে, সিওয়ান থেকে মঙ্গল পাণ্ডে, কাটিহার থেকে তারকিশোর প্রসাদ, দানাপুর থেকে রামকৃপাল যাদব, বানকিপুর থেকে নীতিন নবীন, বেতিয়া থেকে রেণু দেবী, গয়া টাউন থেকে প্রেম কুমার, জামুই থেকে শ্রেয়সী সিংহ, লখিসরাই থেকে উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় কুমার সিনহা এবং তারাপুর থেকে আর এক উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী লড়াই করবেন। এই তারাপুর সম্রাটের পারিবারিক ঘাঁটি। এই কেন্দ্রের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন সম্রাটের বাবা শকুনি চৌধুরী এবং মা পার্বতী দেবী। সম্রাট অবশ্য বিধায়ক নন, তিনি বিহার বিধান পরিষদের সদস্য। যে কেন্দ্রে এবার তিনি প্রার্থী হয়েছেন, গত পনের বছরেরও বেশি সময় ধরে সেটি রয়েছে নীতীশ কুমারের দল জেডিইউয়ের হাতে। এই তারাপুরেই ২০২১ সালের উপনির্বাচনেও জয়ী হয়েছিলেন জেডিইউ প্রার্থী। এবার জোটসঙ্গী বিজেপিকে ওই আসনটি ছেড়ে দিয়েছে নীতীশের দল।

    বিজেপির রাজ্য সভাপতির বক্তব্য

    বিহারের আর (BJP) এক উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয়কুমার এবারও লড়ছেন তাঁর ঘাঁটি লখিসরাই থেকে। ২০১০ সাল থেকে পর পর তিনবার এই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হয়েছেন তিনি (Bihar Assembly Elections)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ জয়সওয়াল বলেন, “অনেকেই আশা করেননি যে প্রার্থীদের তালিকা এত দ্রুত প্রকাশিত হবে। প্রথমেই এনডিএ জোট আসন বণ্টনের কাজ সম্পন্ন করে। মহাগটবন্ধন এখনও আলোচনা চালাচ্ছে। অথচ এনডিএ জোট আসন বিলি চূড়ান্ত করে ফেলল। আজ ভোরেই তারা জনসমর্থন জোগাড় করার পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে। যেমনটা আমি আগেই বলেছিলাম, এনডিএ হল পঞ্চ পাণ্ডবের মতো একটি শক্তিশালী জোট। নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠনের জন্য প্রস্তুত।”

    তাওড়ের পোস্ট

    এর আগে ১২ অক্টোবর আসন্ন বিহার নির্বাচনের জন্য ক্ষমতাসীন এনডিএ তাদের আসন বিলির কথা ঘোষণা করে। জোটের তরফে জানানো হয়, বিজেপি  এবং জেডিইউ প্রত্যেকে লড়বে ১০১টি করে আসনে, এলজেপি (রামবিলাস) লড়বে ২৯টি আসনে, রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ৬টি আসনে এবং হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা-ও (এইচএএম) ৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে (Bihar Assembly Elections)। প্রসঙ্গত, এডিএর সদস্য দলগুলি হল বিজেপি, জনতা দল (ইউনাইটেড), লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস), হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (সেক্যুলার) এবং রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা। আসন রফা চূড়ান্ত হওয়ার পর এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির বিহারের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বিনোদ তাওড়ে লিখেছিলেন, “সংগঠিত ও নিবেদিতপ্রাণ এনডিএ। আসন্ন বিহার (BJP) বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এনডিএ পরিবারের সব সদস্য বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে আসন বণ্টন সম্পন্ন করেছে, যা নিম্নরূপ —

    • বিজেপি – ১০১টি আসন
    • জেডিইউ – ১০১টি আসন
    • এলজেপি (রাম বিলাস) – ২৯টি আসন
    • আরএলএম – ৬টি আসন
    • এইচএএম – ৬টি আসন

    সব এনডিএ দলের নেতা ও কর্মীরা আনন্দের সঙ্গে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। সবাই আবারও বিহারে এনডিএ সরকার গঠনের লক্ষ্যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

    ভোট কূশলী প্রাশান্ত কিশোরের দল

    বিহারের আসন্ন নির্বাচনে এনডিএর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বাধীন আরজেডি (RJD), কংগ্রেস, দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন সিপিআই (এমএল), সিপিআই, সিপিএম এবং মুকেশ সহানির বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি)-র নেতৃত্বাধীন আইএনডিআই (INDI) জোট। লড়াইয়ের ময়দানে থাকছে ভোট কূশলী প্রাশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজও। তাঁর দল লড়ছে এবারই প্রথম (Bihar Assembly Elections)।

    উল্লেখ্য যে, বিহার বিধানসভা নির্বাচনের গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ১০ অক্টোবর। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। যাচাইয়ের জন্য সময় মিলবে ১৮ তারিখ পর্যন্ত। প্রার্থীরা নাম প্রত্যাহার করতে (BJP) পারবেন ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ হবে ১১ নভেম্বর। প্রথম দফায় নির্বাচন হবে ১২১টি আসনে, দ্বিতীয় দফায় ১২২টিতে। দ্বিতীয় দফার গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে ১৩ অক্টোবর। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত। ফল ঘোষণা হবে ১৪ নভেম্বর (Bihar Assembly Elections)।

  • RSS: দিল্লি বিজয় সম্পন্ন, এবার বিহারে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে উদ্যোগী আরএসএস

    RSS: দিল্লি বিজয় সম্পন্ন, এবার বিহারে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে উদ্যোগী আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরএসএসের (RSS) নিবিড় প্রচারের সুফল কুড়িয়েছে বিজেপি। দিল্লি, হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্র হয়েছে পদ্মময়। এবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের পাখির চোখ বিহার। চলতি বছর হওয়ার কথা বিহার বিধানসভার নির্বাচন (Bihar Assembly Polls)। সেখানে বিজেপিকে সাহায্য করতে তাই কোমর বেঁধে নামছেন সংঘের নেতারা।

    দিল্লি জয়ে আরএসএসের ভূমিকা (Bihar Assembly Polls)

    উল্লেখ্য যে, আরএসএসকে জেতাতে দিল্লির প্রতিটি প্রান্তে ৫০ হাজারেরও বেশি সভা করেছে আরএসএস। বিজেপিকে ভোট দিতে উৎসাহিত করেছে ভোটারদের। বিহারের পাশাপাশি আরএসএসের নজর পশ্চিমবঙ্গের দিকেও। রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সাফল্য নিশ্চিত করতে মিশন ত্রিশূল হাতে নিয়েছে আরএসএস। এই মিশনে একটি কৌশল গঠিত হয়েছে তিনটি মূল বিষয়কে কেন্দ্র করে।

    বিহার বিধানসভা নির্বাচন

    বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আর মাত্র আট মাস বাকি। এখন থেকেই মাঠে নেমে পড়েছে আরএসএস (RSS)। শুরু করে দিয়েছে বিজেপিকে জেতাতে যাবতীয় প্রস্তুতি। সূত্রের খবর, আরএসএস তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ দিচ্ছে। এগুলি হল, গোপান সমীক্ষার মাধ্যমে অসন্তুষ্ট ভোটার ও প্রধান সমস্যাগুলি চিহ্নিত করা, নির্বাচনী প্রচারের মূল বিষয় ঠিক করতে সব চেয়ে প্রভাবশালী ইস্যুগুলি নির্ধারণ করা এবং এই ইস্যুগুলির ভিত্তিতে বিজেপির জন্য নির্বাচনী সুবিধা ও ঝুঁকি বিশ্লেষণ করা। আরএসএসের এই সমীক্ষা কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে। এজন্য আরএসএসের বিস্তৃত শাখা নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে বিহারজুড়ে শাখার সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে, যাতে তৃণমূল পর্যায়ে সংযোগ আরও দৃঢ় করা যায়।

    বিহারে পদ্ম ফোটাতে চেষ্টার কসুর করছে না আরএসএস। ভালো ফলের জন্য বিহারকে উত্তর ও দক্ষিণ দুই অংশে ভাগ করা হয়েছে। মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হবে আরএসএসের সভা। সেখানে দুর্বল ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিকে শক্তিশালী করতে একটি ব্যাপক বুথ-স্তরের সমীক্ষা পর্যালোচনা করা হবে। বিহার এমন একটি রাজ্য যেখানে বিজেপি কখনও এককভাবে সরকার গঠন করেনি। সেই কারণেই কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে আরএসএস। আরএসএস সক্রিয়ভাবে কৌশলও তৈরি করছে। সেই কৌশল কাজে লাগিয়েই বিহারে (Bihar Assembly Polls) এবার বাজিমাত করতে চাইছে আরএসএস (RSS)।

LinkedIn
Share