মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরের দিন শনিবারই বিজেপি (Bihar Poll Victory) থেকে বহিষ্কার করা হল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরকে সিংকে (BJP)। বরখাস্ত করা হয়েছে বিজেপিরই এমএলসি অশোক আগরওয়ালকেও। শুক্রবারই প্রকাশিত হয় বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল। ৮৯টি আসন জিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বিজেপি। তার পর শনিবারই শাস্তির খাঁড়া নেমে এল দলের দুই নেতার ওপর।
সাসপেনশান লেটার (Bihar Poll Victory)
আরকে সিংকে সম্বোধন করে সাসপেনশান লেটারে লেখা হয়েছে, “আপনার কার্যকলাপ দলের বিরুদ্ধে। এটি দলীয় শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের আওতায় পড়ে। দল এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এবং এটি দলের ক্ষতি করেছে।” চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, “অতএব, নির্দেশ অনুসারে আপনাকে দল থেকে বরখাস্ত করা হচ্ছে এবং কেন আপনাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না, তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হচ্ছে। এই চিঠি পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে আপনাকে আপনার অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।” বিজেপি সূত্রে খবর, সিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অন্যতম একটি কারণ হল, সাম্প্রতিক বিহার বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ। প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁর নিজের দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন (Bihar Poll Victory)।
দল বিরোধী কাজের অভিযোগ
বিহার বিধানসভার নির্বাচন হয় চলতি মাসের ৬ এবং ১১ তারিখে। এর আগে অক্টোবর মাসে ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করে ভোটারদের অপরাধমূলক ব্যাকগ্রাউন্ড থাকা নেতাদের ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এর মধ্যে জেডিইউয়ের অনন্ত সিং এবং বিজেপির সম্রাট চৌধুরীর মতো বেশ কয়েকজন এনডিএ প্রার্থীও ছিলেন। সম্রাট বিহারের বিদায়ী মন্ত্রিসভায় উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।আরকে সিংদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দলবিরোধী মন্তব্য ও আচরণের জেরে বারবার ক্ষতি হয়েছে দলের। কাটিহারের মেয়র ঊষা আগরওয়ালকেও এই কারণে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিহার বিজেপির প্রধান অরবিন্দ শর্মা এদিন সকালে ওই তিন নেতার কাছে শোকজ-সহ বরখাস্তের নোটিশ পাঠান। সেখানে সাফ জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে (BJP) তাঁদের আচরণে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত করেছে সংগঠনের ভাবমূর্তিরও (Bihar Poll Victory)।
