Tag: Birbhum

Birbhum

  • Poush Mela: শান্তিনিকেতনে এই বছর হচ্ছে না পৌষমেলা, ঘোষণা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের

    Poush Mela: শান্তিনিকেতনে এই বছর হচ্ছে না পৌষমেলা, ঘোষণা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময়ের অভাবে এবছরও শান্তিনিকেতনে পৌষমেলা (Poush Mela) হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সময়পর্বে মেলা বন্ধ করা হয়েছিল। মেলার নামে ক্যাম্পাসে রবি ঠাকুরের সংস্কৃতিকে নষ্ট করার কথা উঠেছিল। কিন্তু তাঁর কার্যকালের সময় শেষ হলে আবার শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা হবে বলে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু আজ সোমবার বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট জানিয়ে দিল, সময়ের অভাবে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা হচ্ছে না। অবশ্য এই সিদ্ধান্তে স্থানীয় এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের কথা জানা গিয়েছে।

    প্রথমে হওয়ার কথা ছিল মেলা (Poush Mela)

    প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হতেই এই পৌষমেলা (Poush Mela) নিয়ে প্রথমে আশার আলো দেখা গিয়েছিল স্থানীয় এবং দেশ-বিদেশের পর্যটকদের। ক্যাম্পাসের ভিতরে-বাইরে সকলের মধ্যে মেলা হওয়ার কথা জানতে পারায় বেশ খুশির আবহ ছিল। কিন্তু সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে লম্বা বৈঠকের পর ঘোষণা হয়, সময় কম, তাই এই সংক্ষিপ্ত সময়ে মেলার পুরোপুরি প্রস্তুতি সম্ভবপর নয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিক। তবে বিশ্বভারতীর অভ্যন্তরীণ পৌষ উৎসব পালন করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার বলেন, ‘‘আমাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে, এই বছর আর পৌষমেলা করা সম্ভব হচ্ছে ।“

    ২০১৯ সাল থেকেই বন্ধ পৌষমেলা

    বোলপুর শান্তিনিকেতনের অন্যতম প্রধান উৎসব হল পৌষমেলার (Poush Mela) উৎসব। এই উৎসব নানাবিধ কারণে বিগত ২০১৯ সাল থেকে বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিবাদে সরব হয়েছিল নানা মহল। বিশ্বভারতীতে ছাত্রদের মধ্যে নানান বিক্ষোভ কর্মসূচিও দেখা যায়। পাশাপাশি তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবতী এই মেলাকে বন্ধ করার কারণ হিসাবে মেলার নামে ক্যাম্পাসে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের জায়গা দখল, মাঠে অবৈধ কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ তুলেছিলেন। সার্বিক ভাবে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আশ্রমিক জীবনযাপনের উপর মেলার নামে অপসংস্কৃতিকে চাষ হচ্ছে বলে যুক্তিও উঠেছিল সেই সময়। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সময়পর্বে তাই মেলা বন্ধ করা হয়। সেই সময়পর্বে ক্যাম্পাসের নিজস্ব জায়গাগুলিকে দখলমুক্ত করতে ফেন্সিং ওয়াল দিতে গেলে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক, নেতা এবং কর্মীরা জেসিবি মেশিন দিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ উঠেছিল। একই ভাবে নির্মাণসামগ্রী রড, বালি, পাথর চুরি হয় বলে সংবাদ মাধ্যমে জানা গিয়েছিল। বহিরাগত দৌরাত্ম্যের কবল থেকে ক্যাম্পাসকে মুক্ত করার কথা তৎকালীন উপাচার্যের মুখে বার বার শুনে গিয়েছিল।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: কেষ্টর গড়ে বিজেপি নেতা-কর্মীদের মাথা ন্যাড়া করার নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা, বিতর্ক

    Birbhum: কেষ্টর গড়ে বিজেপি নেতা-কর্মীদের মাথা ন্যাড়া করার নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা, বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল এখন তিহার জেলে রয়েছেন। বিজেপি সহ বিরোধীদের কদর্য ভাষা প্রয়োগে সিদ্ধহস্ত ছিলেন কেষ্ট। বছরখানেক হল জেলার মাটিতে তিনি নেই। কিন্তু, তাঁর সেই ভাষা ধার করেই বিজেপিকে লাগাতার আক্রমণ করে চলেছেন তৃণমূলের জেলার নেতা-কর্মীরা। এবার বিজেপি নেতা-কর্মীদের মাথা ন্যাড়া করার নিদান দিলেন কেষ্টর গড় বীরভূমের (Birbhum) এক তৃণমূল নেতা। যা নিয়ে জেলাজুড়ে শোরগোল শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন ওই তৃণমূল নেতা? (Birbhum)

    ১০০ দিনের কাজের টাকা ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতির প্রতিবাদে বীরভূমের (Birbhum) বোলপুর শ্রীনিকেতন ব্লকের অন্তর্গত রুপপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়। আর সেই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর শ্রীনিকেতন ব্লকের তৃণমূল নেতা বাবু দাস। মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল নেতা বাবু দাস বলেন, মা বোনেদের বলবো, যদি ১০০ দিনের কাজের টাকা না পেয়ে থাকেন, কোনও বিজেপি নেতাকর্মী এলে তাঁর মাথাটা ন্যাড়া করে দিন। রাস্তায় দাঁড় করিয়ে ভান্ডারি ডেকে তাঁর মাথাটা ন্যাড়া করে ঘোল ঢেলে দিন। বল হরি, হরি বল বলে পাড়া থেকে তাড়িয়ে দিন। প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে এমনই হুমকি দিতে দেখা গেল রুপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা বাবু দাসকে। শুধু প্রকাশ্যে মঞ্চে নয়, তিনি ক্যামেরার সামনেও জানিয়েছেন, গ্রামে যখন চোর ধরা পড়ে, বয়স্ক মানুষরা বলে চোর ধরা পড়েছে, মাথাটা ন্যাড়া করে দে। যারা ১০০ দিনের টাকা চুরি করেছে, তাদের ন্যাড়া করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা বলেন, তিন রাজ্যে বিজেপি জয়ী হয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে বিজেপির জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। তাই, এসব বলে কোনও লাভ নেই। তৃণমূল যত বলবে তত ওদের ভোট কমবে। বরং, চোর মানেই তৃণমূল। এবার তৃণমূল নেতাদের সাধারণ মানুষ গণপিটুনি দেবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বৈঠকই সার! মঞ্চ থেকেই নামিয়ে দেওয়া হল তৃণমূল নেত্রীকে, কেষ্ট গড়ে ফের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    Birbhum: বৈঠকই সার! মঞ্চ থেকেই নামিয়ে দেওয়া হল তৃণমূল নেত্রীকে, কেষ্ট গড়ে ফের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচারকাণ্ডে জেলে রয়েছে। যত দিন যাচ্ছে বীরভূম জেলায় তৃণমূলের দ্বন্দ্ব বেড়েই চলেছে। কোন্দল থামাতে কয়েকদিন আগে ঘটা করে জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে বীরভূমের (Birbhum) খয়রাশোলে বৈঠক করা হয়েছিল। জেলা নেতৃত্বের আশা ছিল, বৈঠকে সমস্যার সমাধান হয়েছে। জোটবদ্ধভাবে সকলকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা নেতৃত্বের নির্দেশে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। আর তাতেই তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল।

    তৃণমূলের রাজ্য নেত্রীকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়া হল (Birbhum)

    জেলা নেতৃত্বের নির্দেশে বীরভূমের (Birbhum) খয়রাশোলে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। মঞ্চে শতাব্দী রায়, বিকাশ রায়চৌধুরী, চন্দ্রনাথ সিনহা, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, কাজল শেখ সহ একাধিক জেলা নেতৃত্ব ছিলেন। সেই মঞ্চে ঠাঁই না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন রাজ্য মহিলা সেলের সাধারণ সম্পাদক অসীমা ধীবর। মঞ্চ থেকে তাঁকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। জানা গিয়েছে, ব্লকের তৃণমূল নেতা উজ্জ্বল কাদেরি, খয়রাশোলের ব্লক সভাপতি কাঞ্চন অধিকারীর উদ্যোগেই এদিন জেলা তৃণমূলের এই বিজয়া সম্মিলনী হয় বলে জানা গিয়েছে। সেখানেই জেলার শীর্ষনেতৃত্ব ছিল। তৃণমূল সুপ্রিমো নিজে নির্দেশ দিয়েছে, এসব কোন্দল দলে বরদাস্ত করা হবে না। সেই নির্দেশই সার। কোনও কিছুই কাজেই এল না। জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে রাজ্য সেলের মহিলা সাধারণ সম্পাদক অসীমা ধীবর মঞ্চে বসেন।  মঞ্চে বসার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নামিয়ে দেওয়া হয়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন বিক্ষুব্ধ রাজ্য নেত্রী?

    রাজ্য সেলের মহিলা সাধারণ সম্পাদক অসীমা ধীবর বলেন, কয়েকদিন আগে বৈঠক করে কোন্দল মেটানোর জন্য বলা হল। আমরা ভাবলাম, সব মিটে গিয়েছে। কিন্তু, আমার মতো রাজ্য নেত্রীকে প্রকাশ্যে মঞ্চ থেকে নামিয়ে অপমান করা হল। আমাকে অপমান করার অর্থ দলকে অপমান করা। এই ব্লকের যারা দায়িত্বে রয়েছে, তারা এসব করল। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

    তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের বীরভূমের (Birbhum) জেলা নেতা বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, মন্ত্র একটাই তৃণমূল কংগ্রেস, নাম একটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে মতান্তর বা কোন্দলের কোনও জায়গাই নেই। এটা নিয়ে ভাবার কিছু নেই। অসীমা আমাদের পুরানো কর্মী, এখানকার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। কোনও কারণে হয়ত ভুল বুঝেছে, দেখে নেওয়া হচ্ছে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, কাটমানি আর কোন্দল নিয়ে তৃণমূল দল গঠিত। তাই, বিজয়া সম্মিলনীতে অসীমা ধীবরকেই মঞ্চে উঠতে দিল না। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে তৃণমূল যে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছিল, সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও প্রকট হল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ‘‘দলুয়াখাকিতে ক্রিমিনালদের বাস’’! প্রশাসন ‘ব্যর্থ’, তা কি মেনেই নিলেন ফিরহাদ?

    South 24 Parganas: ‘‘দলুয়াখাকিতে ক্রিমিনালদের বাস’’! প্রশাসন ‘ব্যর্থ’, তা কি মেনেই নিলেন ফিরহাদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দলুয়াখাকিতে ক্রিমিনালরা থাকে”। জয়নগরের গিয়ে রাজ্যের নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কার্যত মেনে নিলেন রাজ্যে এখন দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য চলছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা কতটা সুরক্ষিত? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধী দলগুলি। পাল্টা বিজেপির বক্তব্য, তৃণমূলের মধ্যে ভাগের মাল নিয়ে খুনোখুনি চলছে। রাজ্যে আইনের শাসন নেই।

    কী বলেন মন্ত্রী ফিরাদ (South 24 Parganas)?

    রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা মেয়র ফিরহাদ হাকিম জয়নগরের মৃত সইফুদ্দিন লস্করের বাড়িতে (South 24 Parganas) গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, “দলুয়াখাকিতে কিছু ঘরবাড়ি ভাঙচুর হয়েছে, তবে গ্রামে কিছুই হয়নি। বাড়ি ভাঙার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ মানুষের হত্যা। আর কটা বাড়িতেই বা আগুন লেগেছে! দলুয়াখাকিতে ক্রিমিনালরা থাকে। এটা নিয়ে রাজনীতি কেন হবে? তবে ভাঙচুরকে সমর্থন করি না। যারা করেছে তাদেরকেও চিনি না।”

    বিজপির বক্তব্য

    বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যের মন্ত্রীর বক্তব্যকে কটাক্ষ করে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “জয়নগরের (South 24 Parganas) ঘটনাটা ভাগ নিয়ে নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি। গত তিন মাসে তৃণমূলের মধ্যে দুর্নীতির টাকার ভাগ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা সবথেকে বেশি ঘটেছে। বাইক নিয়ে যারা এসেছিল তারা কারা? দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হোক।”

    ঘটনা কী ঘটেছিল

    উল্লেখ্য, কালীপুজোর দিন ভোরবেলায় খুব কাছ থেকে দুষ্কৃতীরা গুলি করে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে। উল্লেখ্য, বাইকে করে আসা দুষ্কৃতীদের মধ্যে দুজনকে ঘটনাস্থল থেকে ধরে ফেলে এলাকাবাসী। একজনকে ঘটনাস্থলেই পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর এলাকায় খুনের প্রতিহিংসায় গ্রামে বেশ কিছু বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে হত্যার পরিকল্পনাও করা হয়। ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছিল। উল্লেখ্য, যাকে ঘটনাস্থলে পিটিয়ে মারা হয়েছিল তার স্ত্রীর দাবি স্বামী তৃণমূলের কর্মী ছিলেন। রাজনীতির একাংশের মানুষ এই হত্যাকাণ্ডকে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল বলেছেন। এ যেন জয়নগরে (South 24 Parganas) ঠিক আরও একবার বগটুই হত্যাকাণ্ডের ছায়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ডিসেম্বর মাস তৃণমূল নেতাদের কাছে হবে ভয়াবহ, রামপুরহাটে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Birbhum: ডিসেম্বর মাস তৃণমূল নেতাদের কাছে হবে ভয়াবহ, রামপুরহাটে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুক বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাটে দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেতাদের সাবধানবার্তা শোনালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়ে দিলেন, ডিসেম্বর মাস খুব ভয়াবহ হবে বীরভূমের তৃণমূল নেতাদের কাছে। ফলে আগামী ডিসেম্বরে কি আরও তৃণমূল নেতা জেলে যাবেন? শুভেন্দুর হুঙ্কারের জেরে এই জল্পনা রাজনীতির একাংশের মানুষ করছেন। রাজ্যের একাধিক তৃণমূল নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক দুর্নীতির অভিযোগে ইডি-সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। শুভেন্দুর অভিযোগ, রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা সঠিক ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না। তাই তৃণমূলের আসল চোরকে ধরতে ২৯ নভেম্বর কলকাতায় যাওয়ার আহ্বান করেছেন তিনি। 

    রামপুরহাটে কী বললেন শুভেন্দু (Birbhum)?

    রামপুরহাটের (Birbhum) সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ডিসেম্বর মাস খুব ভয়াবহ হবে বীরভূমের তৃণমূল নেতাদের কাছে। ভোট পরবর্তী হিংসা, চুরি, জিলেটিন উদ্ধারেও তদন্ত হবে। মহম্মদবাজারে জিলেটিন উদ্ধারে অনেক তৃণমূল নেতার নাম পাওয়া গিয়েছে। তাই সাবধান নেতারা।” এদিন শুভেন্দু আরও বলেন, “রাতের অন্ধকারে বালি, পাথর, কয়লা সহ গরু পাচার হচ্ছে। পুলিশের সহযোগিতায় এই পাচার কাজ চলছে।” এরপর রাজ্য পুলিশের ডিআইজি শ্যাম সিং এবং রামপুরহাটের মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কথা উল্লেখ করে সংগঠিত বালি, পাথর, গরু, পাচারের অভিযোগ তোলেন।

    কাজল শেখের বিরুদ্ধে কী বললেন?

    পাশাপাশি বীরভূম (Birbhum) জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের নাম উল্লেখ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আবার নতুন একটি পাখি উড়ছে। কাজল শেখ। তাঁর ভাগ্নে বাপি। আমাদের সব নজরে আছে। যাঁরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতে দেননি তাঁদের খুব ভয়ঙ্কর অবস্থা হবে। সব হিসেব নেওয়া হবে।”

    ডেপুটি স্পিকারকে হারানোর বার্তা

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা রামপুরহাটের (Birbhum) বিধায়ক আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করে নির্বাচনে পঞ্চাশ হাজার ভোটে হারানোর হুমকি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “সব খেয়েছে হাওয়াই চটি, আসল চোর মমতাকে ক্ষমতাচ্যুত করতেই হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: শান্তি নেই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ শান্তিনিকেতনে! ডিজের দাপটে অতিষ্ঠ মানুষ

    Birbhum: শান্তি নেই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ শান্তিনিকেতনে! ডিজের দাপটে অতিষ্ঠ মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তি নেই শান্তিনিকেতনে (Birbhum)। কালীপুজো থেকে ছটপুজো, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ শান্তিনিকেতনে শব্দদানব ডিজের দাপটে অতিষ্ঠ মানুষজন৷ শব্দ দূষণের কারণে শান্তিনিকেতন এখন অশান্ত। মধ্যরাত পর্যন্ত ডিজে বাজিয়ে চটুল অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় শান্তিনিকেতনের শ্যামবাটি থেকে ৭ জন শিল্পীকে আটক করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় ডিজে বক্স সহ গাড়ি৷ জানা গিয়েছে, জেলা জুড়ে কয়েক দিনে প্রায় ১৫০ টি অভিযোগ জমা পড়েছে৷ সাধারণ মানুষ চরম অস্বস্তির মধ্যে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    কার নেতৃত্বে চলছিল চটুল অনুষ্ঠান (Birbhum)?

    ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ শান্তিনিকেতন (Birbhum), সংস্কৃতির শহর৷ এলাকার মানুষের অভিযোগ, কালীপুজো থেকে শুরু করে ছটপুজো। সর্বত্র ডিজেবক্সের শব্দ দানবের দৌরাত্ম্যে একেবারে সাধারণ জীবন নাজেহাল। স্থানীয় মানুষ জানিয়েছেন, শান্তিনিকেতন থানার শ্যামবাটিতে শহরের মূল রাস্তা অবরোধ করে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রচণ্ড শব্দে ডিজে বক্স বাজিয়ে চলছিল চটুল অনুষ্ঠান। সেই সঙ্গে আরও জানা গিয়েছে, বোলপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার চন্দন মণ্ডলের নেতৃত্বে চলছিল এই চটুল অনুষ্ঠান। আরও জানা গিয়েছে, মানুষ প্রতিবাদ করলে অভিযোগকারীদের শাসক দলের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল। 

    পুলিশের ভূমিকা

    শান্তিনিকেতনে (Birbhum) উচ্চস্বরে ডিজে বাজানোর অভিযোগ পেয়ে বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় ৪ জন পুলিশ অফিসারকে শোকজ করেছেন। তারপর থেকেই ডিজের দৌরাত্ম্য বন্ধে তৎপর হয়েছে পুলিশ। আবার শান্তিনিকেতন থানার ওসি কস্তুরী মুখোপাধ্যায় বলেন, “এই অনুষ্ঠানের বিষয়ে কোনও অনুমতিই নেওয়া হয়নি।”

    তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    ঘটনায় বোলপুরের (Birbhum) তৃণমূল কাউন্সিলার চন্দন মণ্ডল বলেন, “এটা ঠিক একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল৷ তবে এই প্রথম অনুষ্ঠান নয়, আগেও এইরকম অনুষ্ঠান হয়েছে এখানে। একটু রাত হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু ডিজে বাজানোর তেমন কোনও ঘটনা ঘটেনি৷ কিন্তু, এমন নয় অনিয়ম করা হয়েছে বা অশান্তি হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেব” হুমকি তৃণমূল নেতার

    Birbhum: “বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেব” হুমকি তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “লোকসভার ভোটে বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেব”। সরকারি প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিলেন তৃণমূল নেতা বাবু দাস। যা ঘিরে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বীরভূমের এই নিয়ে তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পাল্টা বিজেপির বক্তব্য রাজ্যে তৃণমূল সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোট লুট করতে চাইছে। লোকসভা ভোটে মানুষ দুর্নীতিগ্রস্থ তৃণমূলকে ভোট দেবে না।  

    কোন তৃণমূল নেতা বলেন (Birbhum)?

    চার মাস পর ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট, পাখির চোখ করে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করে দিল তৃণমূল নেতা বাবু দাস। এদিন বোলপুর (Birbhum) পৌরসভার অন্তর্গত এক নম্বর ওয়ার্ডের প্রান্তিক এলাকায় তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদেরকে নিয়ে একটি সভার আয়োজন করেন এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সংগীতা দাস। আর সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ব্লকের তৃণমূলের নেতা বাবু দাস বলেন, “বিজেপিকে গোহারা হারিয়ে দিন। লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে স্বাস্থ্য সাথী সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা নিন। আর যদি কেউ ভাবে বিজেপিকে ভোট দিব, তাহলে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা বন্ধ করে দেব। কথা দিয়ে গেলাম এমনকী সরকারি সব বন্ধ করে দেবো।” ঘটনায় অবশ্য বিরোধীরা তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের নেতাকে।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    তৃণমূল নেতা প্রকল্পের সুবিধা বন্ধ করার নিদান দিলে চরম বিতর্ক ছড়ায় বীরভূমে (Birbhum)। পাল্টা বিজেপি নেতা কাঞ্চন ঘোষ বলেন, “সরকারি প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া আর হুমকি দিচ্ছেন নেতারা। তৃণমূলের গুন্ডারা রাজ্যের আইন-কানুনকে পরোয়া করে না। তবে মানুষ লোকসভার ভোটে বিজেপিকেই ভোট দেবে। তৃণমূল নেতারা কী করতে আমরাও দেখবো।”

    সংবাদ মাধ্যমে তৃণমূল নেতার সাফাই

    পরে বোলপুরের (Birbhum) তৃণমূল নেতা বাবু দাস সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাফাই দিয়ে বলেন, “চার মাস পরেই তো লোকসভার ভোট, তাই মহিলাদেরকে নিয়ে ভোট প্রচার শুরু করে দিলাম। কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করে রেখেছে, বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে। তাই সমস্ত মহিলাদেরকে বুঝিয়ে দিয়েছি লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে স্বাস্থ্য সাথী সবকিছুই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিচ্ছেন। বিপুল ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জয়ী করুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Visva Bharati: প্রাক্তন উপাচার্যের বাড়িতে ঢুকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ, করা হল ভিডিও

    Visva Bharati: প্রাক্তন উপাচার্যের বাড়িতে ঢুকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ, করা হল ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলায় দায়ের হওয়া অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে বীরভূম জেলার পুলিশ। এদিন প্রাক্তন উপাচার্যের বাড়তিতে ঢুকেই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় করা হয়েছে ভিডিও রেকর্ডিং এবং পুরো প্রক্রিয়াকে লিখিত আকারে নেওয়া হয়েছে। শেষে প্রাক্তন উপাচার্যকে দিয়ে সইও করানো হয় বলে জানা গিয়েছে।

    রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাত (Visva Bharati)

    বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নিজের কার্যকালে একাধিক বিষয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে গিয়েছিলেন। শাসক দলের নেতারা ক্যাম্পাসে দৌরাত্ম্য চালায়। তৃণমূলের নেতাদের অবৈধভাবে জায়গা দখল, পৌষমেলা বন্ধ, মেলার মাঠে বেআইনি দখল, বসন্ত উৎসবের নামে অপসংস্কৃতি থেকে শুরু করে ক্যাম্পাসে দেওয়াল দেওয়া ইত্যাদি নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন তিনি। সর্বোপরি অমর্ত্য সেনের জমি দখলকে ঘিরে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সংঘাতে গিয়েছিলেন তিনি। ফলে শাসক দল, পুলিশকে দিয়ে প্রাক্তন উপাচার্যের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স্বার্থে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বলে মনে করছে অনেকেই।

    ফলক বিতর্ক

    বিদ্যুৎ চক্রবর্তী উপাচার্য থাকার সময় ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সম্মান পাবার পর থেকেই বিশ্বভারতী (Visva Bharati) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পসের একাধিক জায়গায় ফলক লাগানো হয়। আর তা থেকে শুরু হয়েছিল তুমুল বিতর্ক। বিতর্কের কারণ ছিল ফলকে উপাচার্য হিসাবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, আচার্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর নাম ছিল। ছিল না রবীন্দ্রনাথের নাম। আর নাম না থাকার কারণে বিভিন্ন মহলে প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল।

    নোটিশ পাঠিয়েছিলেন শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সদস্য

    এই ফলক বিতর্কের জন্যই বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) প্রাক্তন উপাচার্যকে নোটিশ পাঠিয়েছিল পুলিশ। সূত্রে জানা গিয়েছে, এই নোটিশে মূল অভিযোগ করেছিলেন শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার। গত ১৪ নবভেম্বর বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে শান্তিনিকেতন থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। উল্লেখ্য, এই ফলকে নাম নিয়ে রাজ্যের রাজ্যাপাল সিভি আনন্দ বোসও তৎকালীন উপাচার্যের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছিলেন। যদিও ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীর ফলক পরিবর্তনের জন্য নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। গঠন করা হয়েছে চার সদস্যের একটি কমিটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: কেষ্টহীন বীরভূমে প্রশ্নের মুখে এবার তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী

    Anubrata Mondal: কেষ্টহীন বীরভূমে প্রশ্নের মুখে এবার তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর পর বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন সব রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে কমবেশি করা হয়। ক্ষমতায় আসার পর থেকে তৃণমূল এই কর্মসূচি ঘটা করেই পালন করে। আর তৃণমূলের বীরভূম জেলার ‘বেতাজ বাদশা’ অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) তাঁর খাসতালুকে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করতেন জাঁকজমক করে। কেষ্ট হীন বীরভূমে এবার দুর্গাপুজোর পর কালীপুজো পেরিয়ে গেলেও তৃণমূল বিজয়া সম্মিলনীক আয়োজন করতে পারল না বলে দলের অন্দরেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

    গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহ ভাড়া করে হত কেষ্ট-র বিজয়া সম্মিলনী (Anubrata Mondal)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) প্রতি বছর বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহ ভাড়া করে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করতেন। জেলার সাংসদ, বিধায়ক, ব্লক সভাপতি, জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহসভাপতি, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং দলের শাখা সংগঠনের নেতারা থাকতেনই। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ থাকলেও জেলা স্তরে এখনও বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করতে পারেননি বর্তমান জেলা নেতৃত্ব। কবে হবে সেই আয়োজন, স্পষ্ট নয় সেটাও। দলের কর্মীদের একাংশের দাবি, এর থেকেই পরিষ্কার, অনুব্রত এক বছরের বেশি সময় ধরে না-থাকলেও এখনও দলের ‘ছন্নছাড়া’ ভাবটা কাটেনি। কেষ্ট অনুগামী এক তৃণমূল নেতা বলেন, কেষ্টদা থাকলে এসব ভাবা যেত না। গতবারও বিজয়া সম্মিলনী হয়েছিল সুন্দরভাবে। এবার সেটা হল না। এমনিতেই তিহার জেলে কেষ্ট থাকার পরও দল এতদিন তাঁর উপর আস্থা রেখেছিলেন। কিন্ত, এবার জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যানেদের নামের যে তালিকা দলের পক্ষ থেকে প্রকাশিত হয়েছে, তাতে অনুব্রত মণ্ডলের নাম নেই। ফলে, তাঁকে ছেঁটে ফেলা হল বলেই মনে করছেন অনুব্রতের অনুগামীরা। জানা গিয়েছে, শুধু বিজয়া সম্মিলনী নয়, নিজেদের মধ্যে সমন্বয়, বোঝাপড়ার অভাব, জেলার বিভিন্ন সাংগঠনিক সমস্যা নিয়ে আলোচনাও বকেয়া। সেই জন্য আগামী ২৩ নভেম্বর বৈঠক হতে পারে কোর কমিটির। তার পরেই সিদ্ধান্ত সামনে আসার সম্ভাবনা।

    জেলা তৃণমূলের এক নেতার কী বক্তব্য?

    জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী  বলেন, অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) থাকাকালীন বিজয়া সম্মিলনী জেলা স্তরেই সীমাবদ্ধ ছিল। এবার সেটা ব্লক ও অঞ্চল স্তরে নামানো হয়েছে। সেইজন্য দেরি হচ্ছে। আমরা শীঘ্রই বৈঠক করে এ ব্যাপারে দিনক্ষণ চূড়ান্ত করব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: সোমবারও তারাপীঠে ব্যাপক ভিড়, রেকর্ড ভক্ত সমাগম নৈহাটির বড়মার মন্দিরে

    Kali Puja 2023: সোমবারও তারাপীঠে ব্যাপক ভিড়, রেকর্ড ভক্ত সমাগম নৈহাটির বড়মার মন্দিরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর (Kali Puja 2023) দিন সোমবারও শক্তিপীঠ তারাপীঠে ব্যাপক ভক্তের ভিড়ের চিত্র দেখা গেল। সতীর একান্নপীঠের মধ্যে একটি হল এই তারাপীঠ। সাধক বামাক্ষ্যাপার সাধনার কেন্দ্র ছিল এই তারা মায়ের মন্দির। মা তারা এদিন শ্যামা রূপে পূজিত হলেন।

    অপর দিকে বঙ্গে কালীপুজোর বড় আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে নৈহাটির বড় মায়ের কালীপুজো। এই বছর রেকর্ড ভক্তের সমাগম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই বছর বড় মায়ের কালীপুজো শতবর্ষে পদার্পণ করেছে। লাখ লাখ মানুষ দর্শন করে পুজো দিলেন। পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, বড় মা এখন শুধু নৈহাটির মা কালী নন সারা বিশ্বের জননী।

    তারা রূপে শ্যামা মায়ের পুজো (Kali Puja 2023)

    কালীপুজোর (Kali Puja 2023) দিনে ভোর ৫টা থেকে তারাপীঠে মায়ের মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়। এখানে মায়ের আরাধনা করা হয় তন্ত্রমতে। কথিত আছে দেবীর মাতৃরূপ দেখতে চেয়েছিলেন বশিষ্ঠ মুনি। মা তারা মাতৃ রূপে দর্শন দিয়েছিলেন তাঁকে। এখানেই তপস্যা করে সিদ্ধপুরুষ হন সাধক বামাক্ষ্যাপা। পুজোতে তারা মাকে নিবেদন করে এদিন পোড়া শোলমাছের মাথা দিয়ে অন্নভোগ দেওয়া হয়। এদিন নিয়ম মেনে দেওয়া হয় মাকে শীতল ভোগও। মঙ্গলারতি, সন্ধ্যারতির সময় মায়ের পুজো করতে ভক্তদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

    নৈহাটির বড় মায়ের কালীপুজো

    শ্যামাপুজোর (Kali Puja 2023) মূল আকর্ষণের কেন্দ্র হল নৈহাটির অরবিন্দ রোডের বড়মা কালী। এই পুজো জেলার কালীপুজোর পরিধি অতিক্রম করে রাজ্য, দেশ এবং বিশ্বের বড় মা হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এই কালীর মাহাত্ম্য এমনই যে মানত করলে মা ভক্তদের মনের বাসনা পূরণ করেন। মায়ের পুজো দিলে ভক্তরা খালি হাতে কেউ বাড়ি ফেরেন না। এই বারের মূর্তি হয়েছে উচ্চতায় ২২ ফুট। উপচে পড়েছে ভক্তদের ভিড়। রীতিমতো ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে। নবদ্বীপের রাস মেলায় গিয়ে বড় মূর্তি দেখার পর জুটমিলের কর্মী ভবেশ চক্রবর্তী বড় মায়ের কালী পুজোর প্রচলন শুরু করেছিলেন। মায়ের পুজো দিতে লক্ষাধিক মানুষ দণ্ডি কেটে পুজো দেন বলে জানা গিয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share