Tag: Birbhum

Birbhum

  • Birbhum: “লাভপুরের বিধায়কও আসানসোল বা প্রেসিডেন্সি জেলে যাবেন” বিস্ফোরক অনুপম হাজরা

    Birbhum: “লাভপুরের বিধায়কও আসানসোল বা প্রেসিডেন্সি জেলে যাবেন” বিস্ফোরক অনুপম হাজরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখানকার বিধায়কের কারণে অনুব্রত মণ্ডল তিহারে! কেষ্ট হয়েছেন নীলকণ্ঠ আর তাঁর হয়ে কাজ করতেন এই তৃণমূল বিধায়ক। লাভপু্রের (Birbhum) জনসভায় ঠিক এই ভাবেই তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক অনুপম হাজরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণে বীরভূমের রাজনীতি সরগরম।

    সভায় কী বললেন অনুপম হাজরা (Birbhum)?

    বীরভূমের (Birbhum) লাভপুরে বিজেপির জনসভা ছিল। সেই জনসভায় অনুপম হাজরা, লাভপুর বিধানসভার বিধায়ক অভিজিৎ সিনহার নাম উল্লেখ না করলেও, অনুব্রত মণ্ডলের তিহার জেলে যাওয়ার জন্য লাভপুরের বিধায়ককে দায়ী করলেন। নাম না করে অনুপম হাজরা লাভপুরের বিধায়ককে উদ্দেশ্য করে বলেন, তিনিই বীরভূমের পুলিশ-প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করেন! সেই সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের সাগরেদ হয়ে গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ৭২ জনের নামের তালিকা দিয়ে এসেছি দিল্লিতে। সেই তালিকা আরও দীর্ঘ হচ্ছে। কোনও গরু চোর জেলের বাইরে থাকবে না। কেষ্টবাবু যদি তিহারে যেতে পারেন, তাহলে এই বিধায়কের অন্ততপক্ষে আসানসোল, প্রেসিডেন্সি জেলে যাওয়া উচিত। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, তাঁর সীমান্ত পল্লির পিছনের বাড়ি ও জমি মিলিয়ে প্রায় কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। এছাড়াও তাঁর সঙ্গে ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে তৃণমূলে আসা অনেক নেতার অল্প সময়ে অনেক সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে। দ্রুত তদন্ত হবে।

    অনুব্রত মণ্ডল সম্পর্কে কী বললেন?

    বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা, অনুব্রতর বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, আমার সাংসদ (Birbhum) তহবিল থেকে কেষ্ট মণ্ডল ২৫ কোটি টাকার জন্য ফাঁকা প্যাডে সই করতে বলেছিলেন। বর্তমানে এখানকার চালকল, টোল, ট্যাক্সি, অবৈধ ব্যবসায়ীরা কেষ্ট লবি থেকে রানা সিংয়ের লবিতে এসে ব্যাপক ফুলেফেঁপে উঠেছে। সকলের নামের লিস্ট দিল্লিতে জমা দেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি ধরপাকড় শুরু হবে।

    তৃণমূলের লাগাতার হিংসার বিরুদ্ধে কী বললেন?

    এদিন জনসভা (Birbhum) থেকে তৃণমূলের যেসব নেতা বিজেপি কর্মীদের মারধর অত্যাচার করছেন, তাঁদের উদ্দশে কড়া বার্তা দেন অনুপম হাজরা। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে কখনই হরণ করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন। সেই সঙ্গে বলেন, তৃণমূলের ভোট লুণ্ঠনকারী দুষ্কৃতীদের কী ওষুধ লাগবে, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বুঝে গেছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট চোরদের রাস্তায় বেঁধে সঠিক শাস্তি দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তিনি আরও বলেন, মানুষের অধিকারের সঙ্গে বঞ্চনা হলে প্রতিবাদী সাধারণ মানুষ আইন তুলে নেবেনই। এই সরকারের পতন নিশ্চিত।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমে শ্বশুরকে গুলি করে পালাল জামাই, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Birbhum: বীরভূমে শ্বশুরকে গুলি করে পালাল জামাই, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্বশুরকে গুলি করে খুন করে পালিয়ে গেল জামাই। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) মল্লারপুর থানার সন্ধিগড়া বাজারের ঘটনা। জখম ব্যক্তির নাম মঙ্গল বায়েন। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার পর থেকে হামলাকারী জামাই অনুপ বায়েন পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। তবে, সাধারণ মানুষের কাছে এভাবে আগ্নেয়াস্ত্র কী আসছে? পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    গুলিতে জখম মঙ্গলবাবুর বাড়ি বীরভূমের (Birbhum) মল্লারপুর থানার সন্ধিগড়া বাজার এলাকায়। তাঁর মেয়ের সঙ্গে ষাটপলসার গ্রামের বাসিন্দা অনুপ বায়েনের সঙ্গে বিয়ে দেন। বিয়ের পর জামাই কিছুদিন ঘর জামাই ছিলেন। শ্বশুরে ট্রাক্টর চালাতেন। জমি জায়গা দেখাশুনা করতেন। কিন্তু, সম্পত্তি দেওয়া নিয়ে জামাইয়ের সঙ্গে শ্বশুরের বচসা হয়। অনুপ শ্বশুরবাড়়ি ছেড়ে চলে যায়। পরে, তাকে ডেকে পাঠানো হলেও সম্পত্তি দেওয়া নিয়ে কোনও আলোচনা না হওয়ায় অনুপ রেগে যায়। পরে, সে চলে যায়। শনিবার রাতে ট্রাক্টর চালিয়ে মঙ্গলবাবু বাড়ি ফেরার পথেই মল্লারপুর থানার সন্ধিগড়া বাজারের কাছে উওর মাঝারি পাড়ার মাঠের মাঝখানে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার বিবরণ জানতে হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধীমান মিত্র, মল্লারপুর থানার অফিসার ইন চার্জ সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    মঙ্গলবাবুর এক আত্মীয় স্বপন দাস বলেন, পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই মেয়ের সঙ্গে অশান্তি চলছিল বাবার। জামাইয়ের সঙ্গে অশান্তি লাগ। তারজন্য এভাবে গুলি করে খুন করার চেষ্টা করবে তা ভাবতে পারছি না। আমরা দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: চন্দ্রযান-৩ সাফল্যের নেপথ্যে বীরভূমের কৃষক সন্তান, কৃতি বিজ্ঞানীর গর্বে পদযাত্রা

    Chandrayaan 3: চন্দ্রযান-৩ সাফল্যের নেপথ্যে বীরভূমের কৃষক সন্তান, কৃতি বিজ্ঞানীর গর্বে পদযাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সাফল্যের সঙ্গে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) নামিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছে ভারত। বুধবার সন্ধ্যায় মহাকাশ বিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে দেশ। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্ৰ তথা ইসরোর বিজ্ঞানীরা এই অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছেন। নির্ধারিত দিনে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেছে চন্দ্রযান-৩। আর এই সাফল্যে সামিল বীরভূমের প্রত্যন্ত গ্রামের বিজয় কুমার দাই। তিনিও চন্দ্রযান-৩ পাঠানোর নেপথ্যে থাকা ইসরোর অন্যতম বিজ্ঞানীদের একজন। আর তাতেই আরও গর্বিত বীরভূমবাসী।

    কী বললেন বিজ্ঞানী বিজয় দাইয়ের মা?

    বীরভূমের মল্লারপুর থানার দক্ষিণগ্রামের দাই পাড়ার তফশিলি দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্ম বিজয়ের। দারিদ্রতাকে জয় করে তিনি ইসরোর বিজ্ঞানী হয়ে উঠেছেন। চন্দ্রযান (Chandrayaan 3) পাঠানোর এই কর্মযজ্ঞে সামিল হন তিনি। চন্দ্রযানের ইলেকট্রিক টিমের অন্যতম সদস্য বিজয়। ইসরোর বিশ্বজোড়া খ্যাতির কর্মকাণ্ডে বিজয়ের অংশগ্রহণে গর্বিত তাঁর বাবা-মা ও গ্রামের বাসিন্দারা। চন্দ্রযান-২ সফল না হলেও চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করায় খুশি বীরভূমবাসী। আনন্দে আত্মহারা বিজয়ের মা শ্যামলী দাই। তাঁর তিন ছেলের মধ্যে মেজ ছেলে হচ্ছে বিজয়। ছেলের এ হেন সাফল্য তিনি বলেন, বুধবার বিকেল থেকেই টিভির পর্দায় চোখ ছিল। চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-৩ নামতেই আমার গর্বে বুক ভরে ওঠে। কারণ, এতবড় কর্মযজ্ঞে আমার ছেলে নিজে সেখানে রয়েছে। তাদের সকলের এই পরিশ্রমে এই সাফল্য।

    বিজ্ঞানী বিজয় দাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এলাকায় পদযাত্রা করল স্কুলের পড়ুয়ারা

    ২০০০ সালে মল্লারপুর থানার দক্ষিণগ্রাম জগত্তারিণী বিদ্যায়তন থেকে ৮৯ শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক পাশ করেন বিজয় কুমার দাই। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ থেকে। তারপর কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার ডিগ্রি সম্পূর্ণ করেন। এরপর চাকরি পেয়ে যান ইসরোয়। সেখানেই চন্দ্রযান-২ এবং চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) উৎক্ষেপণে অংশগ্রহণ করেন বিজয়। ছাত্রের এই সাফল্যে খুশি তাঁর স্কুল শিক্ষক থেকে শুরু করে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার বিজয়বাবুর স্কুলের শিক্ষক ও পড়ুয়ারা এলাকায় জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে এলাকায় পদযাত্রা করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মৃত লালন শেখের বাড়ির কাছে উদ্ধার হল বোমা, চাঞ্চল্য

    Birbhum: বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মৃত লালন শেখের বাড়ির কাছে উদ্ধার হল বোমা, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) বগটুইয়ে নিহত লালন শেখের বাড়ির বাগান থেকে উদ্ধার হল বোমা। বগটুইকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন লালন। সিবিআই হেফাজতে তাঁর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার সকালে সেই লালন শেখের বাড়ির বাগান থেকে প্রচুর পরিমাণে তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। রামপুরহাট থানার বগটুই গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় লালন শেখের বাড়ি। বাড়ির সামনেই বাগান থেকে উদ্ধার হয় বোমা। বাগানের মাটিতে গর্ত করে বোমাগুলি রাখা ছিল। পরে, বোমাগুলি উদ্ধার করে একটি প্লাস্টিকের পাত্রে রাখা হয়। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ২১ মার্চ বীরভূমের (Birbhum) বগটুই গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে খুনের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, এই খুনের প্রতিশোধ নিতে সেদিন রাতেই বগটুই গ্রামে গণহত্যা চলে। গ্রামে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ১০ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন লালন শেখ। দীর্ঘ সময় গা ঢাকা দিয়েছিলেন লালন। পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে তাঁকে সিবিআই গ্রেফতার করে। সেই সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীনই গত বছর ১২ ডিসেম্বর তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। রামপুরহাটে সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসের বাথরুমে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় লালনের। বগটুইয়ের ঘটনার পর তাঁর বাড়ি সিল করে দিয়েছিল সিবিআই। পরে যদিও আদালতের নির্দেশে তা খুলেও দেওয়া হয়। সেই বাড়িরই সামনে বাগান থেকে উদ্ধার হয় বোমা। পুলিশ এসে বোমাগুলি উদ্ধার করে। ইতিমধ্যেই বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে।

    বোমা উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির বীরভূম (Birbhum) জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের সময় তৃণমূল এই বোমা মজুত করে রেখেছিল। আমাদের দাবি, অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যদিকে, তৃণমূলের রামপুরহাট-১ ব্লকের সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, এই ধরনের ঘটনায় তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: মহম্মদবাজারে এক ব্যবসায়ীকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন

    Birbhum: মহম্মদবাজারে এক ব্যবসায়ীকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাথর ব্যবসায়ীকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজার থানার সেরেন্ডা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যবসায়ীর নাম তাপস দাস (৩৩)। তিনি কেন্দ্রসরাল গ্রামের বাসিন্দা। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশের ভুমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাপসবাবুর হার্ডওয়্যারের ব্যবসা ছিল। পরিশ্রম করে গত কয়েক বছরে বীরভূমে (Birbhum) পাথর খাদান, জীবন বিমার এজেন্ট হিসাবে ফুলে ফেঁপে উঠেছিলেন। সোমবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ প্রতিদিনের মতো দোকান থেকে নিজের বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। সেরেন্ডা গ্রামের কাছে আকটি বটতলার পাশে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখে তাঁর বাড়িতে খবর দেন এক গ্রামবাসী। পরে, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাথর ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। ব্যবসায়ীর পেটে একটি ও ঘাড়ে দু’টি গুলির চিহ্ন আছে।

    কী বললেন ব্যবসায়ীর পরিবারের সদস্যরা?

    মৃত ব্যবসায়ীর ভাই রাজু বলেন, দাদা দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে শুনেই আমরা গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। দশন্দরিয়া ও সেরেন্ডার মাঝামাঝি একটি ফাঁকা রাস্তার মাঝে বটতলার পাশে পড়েছিল দাদা। অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে দেখে হাসপাতালে ভর্তি করি। দাদা কোনও কথা বলতে পারেনি। ভর্তির পরে দাদা মারা যায়। হাসপাতালে এসে আমরা বুঝতে পারি দাদাকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। দাদার কোনও শত্রু ছিল না। কেন খুন করা হল বুঝতে পারছি না।

    কী বললেন জেলার পুলিশ সুপার?

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে বীরভূম (Birbhum) জেলার পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, জমি সংক্রান্ত একটি বিবাদ থেকে এই ঘটনা ঘটতে পারে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: রামপুরহাটে ৬০ পেটি জিলোটিন স্টিক উদ্ধার, এত বিস্ফোরক মজুত ঘিরে উঠছে প্রশ্ন

    Birbhum: রামপুরহাটে ৬০ পেটি জিলোটিন স্টিক উদ্ধার, এত বিস্ফোরক মজুত ঘিরে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারুদের স্তূপে বীরভূম (Birbhum)। ফের উদ্ধার প্রচুর জিলোটিন স্টিক। পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ওই বিস্ফোরকগুলি কে বা কারা মজুত করল তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কোথায় থেকে উদ্ধার হল জিলোটিন স্টিক?

    রবিবার সকালে বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাটের রদিপুরের কাছে আচমকাই হানা দেয় পুলিশ। একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। বেশ কিছুক্ষণ পর প্রায় ৬০ পেটি জিলোটিন স্টিক উদ্ধার হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ১২ হাজার পিস জিলোটিন স্টিক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। কে বা কারা পরিত্যক্ত বাড়িতে জিলোটিন স্টিক মজুত করে রেখেছিল, তা এখনও জানা যায়নি। বিপুল পরিমাণ জিলোটিন স্টিক মজুতের নেপথ্যে ছকই বা কী ছিল, তা-ও স্পষ্ট নয়। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

     এর আগে নলহাটিতে উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর পরিমাণে জিলোটিন স্টিক?

     গত ২৮ জুন সকালে আচমকাই বীরভূমের (Birbhum) নলহাটির বাহাদুরপুরে তৃণমূল নেতা মনোজ ঘোষের একটি পাথর খাদানে হানা দেয় এনআইএ আধিকারিকরা। দীর্ঘ আট থেকে দশ ঘন্টা সেখানে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, অফিসে সেই সময় মনোজ ঘোষের ম্যানেজার পার্থকুমার মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাঁকে সঙ্গে নিয়েই খাদানের কাছে একটি পরিত্যক্ত ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ এবং প্রচুর পরিমাণ জিলোটিন স্টিক উদ্ধার হয়। এরপর পুনর্নির্বাচনের দিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এনআইএ সূত্রে খবর, মনোজ ঘোষকে জেরা করে বীরভূমের কুশমোড়ের ইসলাম চৌধুরীর খোঁজ পান তদন্তকারীরা। ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধেও বিস্ফোরক মজুতের অভিযোগ রয়েছে। কুশমোড় ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি তিনি। শুক্রবার ভোররাতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছয় এনআইএ। ইসলাম চৌধুরীকে পাইকর থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তাঁকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায়। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই রামপুরহাট থেকে জিলোটিন স্টিক উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: মুরারই স্টেশনে রেল অবরোধের জেরে চরম ভোগান্তি, আটকে বন্দে ভারত সহ একাধিক ট্রেন

    Birbhum: মুরারই স্টেশনে রেল অবরোধের জেরে চরম ভোগান্তি, আটকে বন্দে ভারত সহ একাধিক ট্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ছুটির দিন সকাল থেকে বীরভূমের (Birbhum) মুরারই স্টেশনে রেল অবরোধের জেরে চরম ভোগান্তি হয়। রামপুরহাট লাইনের একাধিক স্টেশনে আপ-ডাউন লাইনে একাধিক ট্রেন আটকে পড়ে। নলহাটি জংশনে হাও়ড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস আটকে পড়ে। সাহেবগঞ্জ-রামপুরহাট প্যাসেঞ্জার ট্রেন মুরারই স্টেশনে আটকে পড়ে। অবরোধের জেরে ট্রেনে থাকা যাত্রীদের চরম ভোগান্তি হয়।

    ঠিক কী নিয়ে অবরোধ?

    বীরভূমের (Birbhum) মুরারই স্টেশনে করোনার আগে বেশিরভাগ ট্রেন দাঁড়াত। কিন্তু, করোনার পর থেকে বহু ট্রেন এই স্টেশনে দাঁড়ায় না। করোনা দাপট এখন কমে গিয়েছে। কিন্তু, এই স্টেশনে এতদিন যে সব ট্রেন দাঁড়ানোর কথা ছিল। কোনও ট্রেনের স্টপেজ আর নেই। এরফলেই এলাকার মানুষের তরম ভোগান্তি শুরু হয়। এর আগে এলাকার বাসিন্দারা বহু জায়গায় দরবার করেছে তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। মুরারই নাগরিক কমিটির ব্যানারে সাধারণ মানুষ রেল অবরোধ শুরু করেন। এদিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ রেল অবরোধ শুরু হয়। প্রথমে কিছুক্ষণ অবরোধ হয়ে উঠে যাবে ধরে নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ ততটা গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু, বন্দে ভারতের মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন আটকে প়়ড়ায় রেল কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। অবরোধ তোলার জন্য বহুবার দরবার করে। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অবরোধকারীদের বক্তব্য, এর আগে স্টেশন মাস্টারের কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। কিন্তু,তাতে কাজ হয়নি। তাই, আমরা লিখিত প্রতিশ্রুতি পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যাব।

    কী বললেন ট্রেনের যাত্রীরা?

    বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনে আটকে পড়া এক যাত্রী বলেন , কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাব বলে বন্দে এক্সপ্রেসে মোটা টাকা খরচ করে টিকিট কেটেছিলাম। কিন্তু, তাতে লাভ কী হল? বীরভূমে (Birbhum) সকাল থেকে আটকে রয়েছি। অবরোধ ওঠার পর হাওড়া পৌঁছাব কবে তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: অনুব্রতর জেলায় উন্নয়ন সত্যিই রাস্তায়! জলে ভরা গর্তে ধান গাছ লাগিয়ে প্রতিবাদ বিজেপির

    BJP: অনুব্রতর জেলায় উন্নয়ন সত্যিই রাস্তায়! জলে ভরা গর্তে ধান গাছ লাগিয়ে প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কেষ্ট মণ্ডল এখন জেলে। ভোটের আগে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বারবারই বলেছেন, রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে উন্নয়ন। কিন্তু বীরভূমের সিউড়ি পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে উন্নয়ন যে কতটা হয়েছে, তা বিভিন্ন এলাকা ঘুরলে সহজেই বোঝা যায়। বীরভূমের সিউড়ি পুরসভার বেশ কিছু ওয়ার্ড অল্প বৃষ্টিতেই থানা-খন্দে ভরে ওঠে। যেমন বড়বাগান প্রান্তিক সংঘের সামনের রাস্তা একেবারে ভঙ্গুর। অন্যদিকে সিউড়ির ব্যস্ততম সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হসপিটালের রাস্তা, সেখানেও অল্প বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। স্থানীয় দোকানদাররা নোংরা ফেলার কারণে হাইড্রেনের মধ্যে জমা থাকে ওই নোংরা। যার ফলে জল বেরিয়ে যেতে পারে না। যত দিন যাচ্ছে, পরিস্থিতি যেন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। এরই প্রতিবাদে আন্দোলনে নামল বিজেপি (BJP)। 

    কী বলছেন এলাকার ভুক্তভোগীরা?

    এলাকার মানুষের বক্তব্য, জেলায় জেলায় ডেঙ্গু যেভাবে বাড়ছে, তাতে জমা জল নিয়ে তাঁরা এমনিতেই আতঙ্কিত। অন্যান্য জায়গায় জল বের করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে চুন, মশা মারার তেল প্রভৃতি। কিন্তু সিউড়ি পুরসভা এখনও পর্যন্ত সেরকম কোনও ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি। যে কারণে যে কোনও সময় ডেঙ্গুর  প্রকোপ বাড়তে পারে। পুরসভার বিভিন্ন রাস্তা এখনও পর্যন্ত খারাপ। সেই কারণে অল্প বৃষ্টিতেই সেখানে জল জমে যাচ্ছে। এখানেও পুরসভার কোনও হেলদোল নেই।

    ধান গাছ লাগিয়ে আন্দোলনে বিজেপির (BJP) যুব মোর্চা

    প্রান্তিক সংঘের সামনের রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে খারাপ। ইতিমধ্যেই সেখানে যে গর্ত রয়েছে, সেখানে জমতে শুরু করেছে জল। এই নিয়ে সিউড়ি নগর যুব মোর্চার (BJP) তরফ থেকে পথ অবরোধ করা হয়। শুধু এখানেই নয়, যেখানে জল জমে আছে, সেখানে তারা ধান গাছ লাগিয়ে এবং মাছ ছেড়ে পুরসভার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন। সংগঠনের সদস্যরা জানিয়ে দিয়েছেন, ১৫ দিনের মধ্যে যদি রাস্তা ঠিক না হয়, তাহলে যে আন্দোলনে তাঁরা নেমেছেন, তার থেকেও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। 

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে হুক্কাবারের রমরমা, হুঁশ নেই পুরসভার

    Birbhum: কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে হুক্কাবারের রমরমা, হুঁশ নেই পুরসভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিনিকেতনে (Birbhum) রমরমিয়ে চলছে বেআইনি হুক্কাবার। সন্ধ্যা নামলেই ওঠে ধোঁয়ার কুণ্ডলী। নেশায় বুঁদ যুবসমাজ। কোপাই নদীর অদূরেই প্রশাসনের ঠিক নাকের ডগায় কোনও অনুমতি ছাড়াই বসছে হুক্কার আসর৷ এমনকি, ১৮ বছরের নীচেও ছেলেমেয়েরা মজেছে হুক্কায়। আর এতে নির্বিকার পুলিশ ও প্রশাসন। সরব হয়েছেন শিক্ষাবিদের একাংশ।

    কীভাবে চলছে হুক্কাবার (Birbhum)?

    সাধারণত হুক্কাবারে ১৮ বছরের নিচে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না৷ কিন্তু, এখানে এসব ছাড়! কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী ছাড়াও এই বোলপুর-শান্তিনিকেতনে (Birbhum) রয়েছে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয় সহ একাধিক সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিল্পচর্চা ও সাহিত্য কেন্দ্র। সেখানে প্রশাসনের নাকের ডগায় হুক্কার আসর বসায় রীতিমতো প্রশ্ন উঠেছে, কেন নির্বিকার পুলিশ ও প্রশাসন?

    কী কী লাগে হুক্কাবার চালাতে?

    আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন শহর বোলপুর (Birbhum)৷ আর বোলপুর পুরসভা হল এই সরকারের মডেল পুরসভা৷ এই পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে কোপাই নদীর অদূরে রমরমিয়ে চলছে বেআইনি হুক্কাবার। একটি হুক্কাবার চালাতে গেলে ২০০৩ সালের ‘সেন্ট্রাল টোব্যাকো আইন’ অনুযায়ী কমপক্ষে ১০ টি লাইসেন্স প্রয়োজন হয়। যেমন স্থানীয় পৌরসভা থেকে ফুড লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স, ইন্ডিয়ান পারফরম্যান্স রাইটস সোসাইটি থেকে মিউজিক লাইসেন্স, সিসি ক্যামেরা বাধ্যতামূলক, ফায়ার লাইসেন্স, জিএসটি রেজিস্ট্রেশন, স্টাফ ও লেবার লাইসেন্স, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ থেকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ লাইসেন্স সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে নো অবজেকশন এবং পুলিশের কাছ থেকে ছাড়পত্র প্রভৃতি। কিন্তু, শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত গোয়ালপাড়া রাস্তায় কোনও রকম কোনও প্রশাসনিক দফতরের অনুমতি ছাড়াই রমরমিয়ে চলছে পশালবনী নামে এক হুক্কাবার৷

    বোলপুর পুরসভার বক্তব্য

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই কলকাতা, সল্টলেক, বিধাননগর, শিলিগুড়ি প্রভৃতি জায়গায় হুক্কাবার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট পুরনিগম। যদিও, এই বিষয় নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছে লাইসেন্স প্রাপ্ত হুক্কাবার মালিকেরা৷ কিন্তু, শান্তিনিকেতনে (Birbhum)  হুক্কাবার বা হুক্কার আসরের কোনও অনুমতি নেই প্রশাসনের। আর এই নিয়ে সরব হয়েছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ। বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ বলেন, “বোলপুর পুরসভা হুক্কাবারের লাইসেন্স দেওয়ার অধিকারী নয়। রবিঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত এই শহর, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন। এখানে যুবসমাজ নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ুক আমরা চাই না। তারজন্য যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার আমরা নেব। পুলিশকেও বলব বিষয়টি দেখার জন্য৷”

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • School: শিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদ, স্কুলে পঠন-পাঠন বন্ধ রেখে বিক্ষোভ, গ্রেফতার অভিযুক্ত

    School: শিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদ, স্কুলে পঠন-পাঠন বন্ধ রেখে বিক্ষোভ, গ্রেফতার অভিযুক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের এক শিক্ষককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল অভিভাবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বীরভূমের বোলপুর শ্রীনিকেতন ব্লকের বাঁধনবগ্রাম স্কুলে তালা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় মানুষজন থেকে শুরু করে প্রাক্তন পড়ুয়ারা। এই মুহূর্তে পঠন-পাঠন বন্ধ রয়েছে স্কুলে।

    শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    ২৪ জুলাই ক্লাসে পড়া না পারার জন্য স্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক উত্তম সাহা বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রীকে কান ধরে ক্লাসের বাইরে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন। শিক্ষক হিসেবে এটাই ছিল তাঁর অপরাধ। সেই আক্রোশেই শাস্তি পাওয়া এক ছাত্রীর বাবা বাসুদেব দাস ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মঙ্গলবার স্কুলে আসার পথে রাস্তার মধ্যে শিক্ষক উত্তম সাহাকে পেয়ে বেধড়ক মারধর করেন। মারধরের জেরে তাঁর একটি হাত ও পা ভেঙে যায়। তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?

    বিক্ষোভকারী পড়ুয়া, স্কুলের প্রাক্তনী ও গ্রামবাসীদের বক্তব্য, শিক্ষকের উপর চড়াও হওয়া অভিযুক্ত বাসুদেব দাস ও তার স্ত্রী শিখা দাসকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তার সঙ্গে তাদের মেয়েকে এই স্কুল থেকে টিসি দিতে হবে। সকলেই এই দাবিতেই সোচ্চার হয়ে ওঠেন। বুধবার স্কুল শুরুর পরই পঠন-পাঠন বন্ধ করে স্কুলের সামনে বিক্ষোভে বসেন প্রাক্তন পড়ুয়ারা। পরবর্তীতে তাদের সঙ্গেই যোগ দেয় বর্তমান পড়ুয়ারা। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, পড়াশুনা না পারলে শিক্ষকরা শাসন করতেই পারেন। এতে অন্যায় কিছু নেই। সামান্য শাসন করার জন্য একজন শিক্ষকের উপর যদি এরকম হামলার ঘটনা ঘটে, তাহলে স্কুলে শিক্ষকরা কী করে পড়াশুনা করাবেন? আমাদের দাবি, হামলাকারীদের সকলকেই গ্রেফতার করতে হবে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বাসুদেব দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু, তার স্ত্রী স্কুলেরই প্যারা টিচার শিখা দাসকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। সেই দাবিতেই স্কুল বয়কট করে পঠন-পাঠন বন্ধ রেখে চলছে বিক্ষোভ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share