Tag: Birbhum

Birbhum

  • Bomb Blast: অনুব্রতর গড়ে ফের তৃণমূল কর্মীর নির্মীয়মাণ বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ, এলাকায় শোরগোল

    Bomb Blast: অনুব্রতর গড়ে ফের তৃণমূল কর্মীর নির্মীয়মাণ বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ, এলাকায় শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অনুব্রতর গড় বীরভূমে তৃণমূল কর্মীর নির্মীয়মাণ বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনা ঘটল। বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল খয়রাশোল ব্লকের লোকপুর থানার ডেমুরটিটা গ্রাম। এই গ্রামেরই একটি ফাঁকা জায়গায় স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সেখ সেরাফতের নির্মীয়মাণ বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। এই নির্মীয়মাণ বাড়িতে বালির নীচে রাখা ছিল প্রচুর পরিমাণ বোমা। আর সেই বোমাগুলোই বিস্ফোরণ হয়। ফলে এলাকা কেঁপে ওঠে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় লোকপুর থানার পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এই ঘটনার পর থেকে বাড়ির মালিক তথা তৃণমূল কর্মী পলাতক।

    কী বললেন স্থানীয় এক বাসিন্দা?

    যে জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) হয়েছে, সেই জায়গায় আরও বোমা আছে কিনা তার জন্য খবর দেওয়া হয় পুলিশের বোমা বিশেষজ্ঞদের। তারা এসে বোমা বিস্ফোরণের জায়গা মেটাল ডিটেক্টর মেশিন দিয়ে চেক করে। তাছাড়াও  বিস্ফোরণ হওয়া বাড়ি সংলগ্ন নবনির্মিত বেশ কয়েকটি বাড়িতে মেটাল ডিটেক্টর মেশিন দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। উল্লেখ্য, গ্রামে দুই গোষ্ঠী রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস ও নির্দল। সদ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই গ্রামে নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। বোমা বিস্ফোরণের বিষয়ে নির্দল সমর্থক সেখ সামিরচাঁদ বলেন, আমি সকালে উঠে বোমার বিকট শব্দ শুনি। তৃণমূল কর্মী সেখ জামালের ছেলে সেখ সেরাফতের নির্মীয়মাণ বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়। তাঁরা গ্রামকে অশান্ত করার জন্যই আনুমানিক ৭০ পিস বোমা মজুত রেখেছিল। ফাঁকা জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে বলে কোনও হতাহতের খবর নেই। বাড়ির মালিক পলাতক। তবে তাঁদের সমর্থকরা মাঠে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

    কী বললেন তৃণমূল কর্মীর পরিবারের লোকজন?

    তৃণমূল কর্মী সেখ সেরাফতের পিসি সেলিমা বিবি বলেন, যেখানে বিস্ফোরণ (Bomb Blast) হয়েছে, সেটা আমার ভাইপোর বাড়ি। কিন্তু সে বড় গাড়ি চালায়। এখানে থাকে না। ওর বাড়িতে পরিকল্পিত ভাবে বোমা রাখা হয়েছে। কারণ আমরা তৃণমূল করি। তাই আমাদের ওপরে দোষ চাপানোর জন্যই নির্দলের লোকেরা বোমগুলো রেখেছে। অন্যদিকে বিস্ফোরণ স্থলের পাশের বাড়ির মঞ্জিলা বিবি নামে এক মহিলা বলেন, আমি ঘর থেকেই বোমার আওয়াজ পেলাম। তবে কে রেখে গিয়েছে বোমাগুলো আমরা তো বলতে পারব না। এই গ্রামে এখন বিরুদ্ধ পার্টি রয়েছে। তাই এরকম ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আমরা খুব ভয়ের মধ্যেই আছি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    দুবরাজপুর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা বলেন, আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বলেছি সন্ত্রাস হবে। তাই তৃণমূল কংগ্রেস বোমা-বারুদ শিল্পে পরিণত করেছে। বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ‘পিসিমণির হেঁসেল ঘরে স্পেশাল মেনু ব্যালট পেপারের থালি,’ টোটোর ব্যানারে প্রতিবাদ

    Birbhum: ‘পিসিমণির হেঁসেল ঘরে স্পেশাল মেনু ব্যালট পেপারের থালি,’ টোটোর ব্যানারে প্রতিবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুকেশ চক্রবর্তী, বীরভূমের (Birbhum) শান্তিনিকেতনের টোটো চালক। তিনি কোনও রাজনীতি করেন না। তবে, সব সময় তিনি প্রতিবাদী মুখ হিসেবে পরিচিত। বার বার তাঁর টোটোর ব্যানারে রাজনৈতিক ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ উঠে এসেছে। এবার ‘পিসিমণির হেঁসেল ঘরে স্পেশাল মেনু ব্যালট পেপারের থালি’ লেখা ব্যানার লাগিয়ে ফের প্রতিবাদ করলেন শান্তিনিকেতনের এই টোটো চালক।

    এর আগেও ব্যানারে একাধিক প্রতিবাদ তুলে ধরেছিলেন সুকেশ

    অনুব্রতের খাসতালুক বীরভূমের (Birbhum) বোলপুরের নীচুপট্টির বাসিন্দা সুকেশ চক্রবর্তী। পেশায় টোটো চালক। প্রায় সময় টোটোর পিছনে বিভিন্ন প্রতিবাদমূলক ছবি ও কথা লিখে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতারের পর শান্তিনিকেতনের অপা বাড়ি সংক্রান্ত ব্যানার দেখা দিয়েছে সুকেশের টোটোয়। একই ভাবে গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পরে তাঁর কার্টুন ছবির সঙ্গে ব্যঙ্গাত্মক লেখা ব্যানারও দেখেছেন শান্তিনিকেতনবাসী। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে তাঁকে ‘ভগবান’ লিখে ব্যানার লাগাতেও দেখা গিয়েছে।

    পিসিমণির হেঁসেল নিয়ে কী বললেন টোটোচালক?

    সদ্য ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনার দিন হাবড়ায় সিপিএম প্রার্থীকে হারাতে টেবিলের উপরে থাকা কয়েকটি ব্যালট পেপার খেয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল প্রার্থীর এক অনুগামীর বিরুদ্ধে। তারই প্রতিবাদে এবার সুকেশের টোটোতে দেখা গেল, সে নিজে একটি প্রতীকী ব্যালট পেপার মাটির থালায় সাজিয়ে খাচ্ছে সেই ছবি। ছবি পাশে লেখা আছে, পিসিমণির হেঁসেল ঘরে স্পেশাল মেনু ব্যালট পেপারের থালি, তার সঙ্গে থাকছে বোমা, বন্দুক আর গুলি। আরও লেখা আছে, এটা হল পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র। এই ব্যানার টোটোয় লাগিয়ে যথারীতি যাত্রী নিয়ে শান্তিনিকেতনে ঘোরাফেরা করছেন তিনি। এই টোটো দেখে অনেকেই দাঁড়িয়ে পড়ছেন, অনেকে ছবি তুলছেন। টোটো চালক সুকেশ চক্রবর্তী বলেন, দেখলেন তো কিভাবে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হল? তৃণমূল প্রার্থী ব্যালট পেপার খেয়ে নিল। এটারই প্রতিবাদে আমি এই ব্যানার লাগিয়েছি। মানুষ আরও জানুক, প্রতিবাদ করুক। কত মানুষ আমাকে বলে এভাবেই প্রতিবাদ করতে থাকো, তোমার সাহস আছে। আমি চাই সবাই প্রতিবাদ করুক। নাহলে দুষ্কৃতীরা রাজ্যে রাজত্ব করবে। আর পুলিশ টেবিলের তলায় থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bagtui: বগটুই গ্রামে ফের তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে আগুন, এলাকায় আতঙ্ক

    Bagtui: বগটুই গ্রামে ফের তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে আগুন, এলাকায় আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বীরভূমের বগটুই (Bagtui) গ্রামে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকের বাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূল কর্মীর বিছানার বেশ কিছুটা অংশ আগুন লেগে পুড়ে যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বগটুই (Bagtui) গ্রামের পূর্ব পাড়ায় তৃণমূল সমর্থক আলম শেখের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের সদস্য মুর্শিদা বিবির বক্তব্য, জানলা দিয়ে দলীয় পতাকা আগুন ধরিয়ে বিছানায় ফেলে দেওয়া হয়। বিছানায় সেই সময় আমার ন’মাসের সন্তান শুয়ে ছিল। আমি বারান্দায় ছিলাম। প্রতিবেশীরা আমাকে জানাই, ঘরের মধ্যে বিছানায় আগুন জ্বলছে। সঙ্গে সঙ্গে এসে ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখি, বিছানায় দাউ দাউ করে জ্বলছে। বিছানা থেকে বাচ্চাটিকে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি। তবে, বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল তা বুঝতে পারছি না। আমরা তৃণমূল করি বলে হয়তো এধরনের ঘটনা ঘটেছে। কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে রামপুরহাট থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এর আগে ২০২২ সালের ২১ মার্চ বগটুইবাসীই শুধু নয়, গোটা রাজ্যের মানুষের কাছেই ওই রাতের স্মৃতি টাটকা। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছিল ১০ জনের। ক্ষমতা দখলের লড়াইকে কেন্দ্র করে গত বছর ২১ মার্চ বগটুই গ্রামে পুড়িয়ে খুন করা হয় ১০ জনকে। যার মূলে ছিল পঞ্চায়েত দখল। বড়শাল পঞ্চায়েতের মধ্যেই পড়ে বগটুই। প্রথমে সেই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে গুলি ও বোমা মেরে খুন করা হয়। তারই পালটা বগটুই গ্রামে ১০ জনকে পুড়িয়ে খুন করা হয়। এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। এবার দলের সমর্থকদের বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনার পিছনে গোষ্ঠী কোন্দল না অন্য কোনও কারণ দায়ী তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের রামপুরহাট- ১ নম্বর ব্লক সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, বগটুই (Bagtui) শান্ত ছিল। সেটাকে অশান্ত করার  প্রচেষ্টা টলছে। পুলিশকে অনুরোধ করা হয়েছে, সঠিক তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করার জন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: সেপটিক ট্যাঙ্কে তলিয়ে গিয়ে মৃত ৩, এলাকায় শোকের ছায়া

    Birbhum: সেপটিক ট্যাঙ্কে তলিয়ে গিয়ে মৃত ৩, এলাকায় শোকের ছায়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা নাগাদ এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তিন জনের প্রাণ গেল বেঘোরে। ঘটনাটি বীরভূম (Birbhum) জেলার হজরতপুর গ্রামে ঘটেছে। জানা যায়, কাঁকরতলা থানার হজরতপুর গ্রামের সনাতন ধীবরের বাড়িতে পায়খানার সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিনজনের। মৃতদের মধ্যে দুজন শ্রমিক এবং একজন বাড়ির মালিক। বাড়ির ম্যানহোল খোলার সময় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। গ্রামে শোকের ছায়া। 

    কীভাবে ঘটেছে ঘটনা (Birbhum)?

    নির্মাণ শ্রমিক স্বপন বাদ্যকর (৪৬) ম্যানহোল খোলা মাত্রই গ্যাসে অজ্ঞান হয়ে গিয়ে প্রথমে চেম্বারের (Birbhum) মধ্যে তলিয়ে যান। ঠিক এরপরই তাঁকে দেখতে গিয়ে বাড়ির মালিক সনাতন ধীবর (৪৯) প্রচণ্ড গ্যাসে অচৈতন্য হয়ে তলিয়ে যান। একটু পরেই নির্মাণ শ্রমিকের সহকারী কর্মী অমৃত বাদ্যকর (৩২), টর্চের আলো জ্বেলে দেখতে গিয়ে তিনিও চেম্বারে তলিয়ে যান। মুহূর্তের মধ্যে কোনও কিছু বোঝার আগেই পরপর তিনজনের তলিয়ে যাওয়া এক বিষ্ময়কর ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। সূত্রে জানা গেছে, আসলে গ্যাসের তীব্রতা এতটাই ছিল যে কিছু বুঝে ওঠার আগেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবরে এলাকাবাসী হয়ে যান। নেমে আসে শোকের ছায়া।

    পুলিশের ভূমিকা

    ঘটনা ঘটার পরপরই খবর দেওয়া হয় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের (Birbhum) কাছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ সহ দমকল বিভাগে কর্মীরা এসে উপস্থিত হন। খবর পেয়ে ডিএসপি মোতাসিম আক্তার, দুবরাজপুর সার্কেল ইন্সপেক্টর মাধবচন্দ্র মন্ডল, স্থানীয় থানার ওসি সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এদিকে দমকল বিভাগের লোকজন এসে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করেন। এরপর স্থানীয় নাকড়াকোন্দা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহগুলি সিউড়ি মর্গে পাঠানো হয় বলে সূত্রের খবর। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটল পুলিশ তার তদন্ত শুরু করেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: পাঁচজন অতিরিক্ত কনেযাত্রী, বউভাতে খাওয়ার বদলে জুটল বরপক্ষের বেধড়ক মার

    Birbhum: পাঁচজন অতিরিক্ত কনেযাত্রী, বউভাতে খাওয়ার বদলে জুটল বরপক্ষের বেধড়ক মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ জন কনেযাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন বরপক্ষের বাড়ির লোকজন। কিন্ত, কনেপক্ষ পাঁচ জন বেশি নিয়ে গিয়েছিল। এটাই অপরাধ। আর তাই প্যান্ডেলে বসে ভুরিভোজ খাওয়ার বদলে জুটল উত্তম-মধ্যম। বরপক্ষের হামলায় কনেপক্ষের বাড়ির বেশ কয়েকজন জখম হন। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) দুবরাজপুরের শিমুলডিহি গ্রামে। আহত হয়ে বেশ কয়েকজন ভর্তি সিউড়ি হাসপাতালে। অন্যদিকে কনের ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বউভাতের দিন বর সহ বরপক্ষের চারজনকে গ্রেফতার করেছে দুবরাজপুর থানার পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বীরভূমের (Birbhum) দুবরাজপুরের লোবা পঞ্চায়েতের শিমুলডিহি গ্রামের সুরিয়া খাতুনের সঙ্গে পাশের সদাইপুর থানার গুনসিমা গ্রামের শেখ আতিকুলের মুসলিম মতে বিয়ে হয়। রবিবার বউভাত খেতে শিমুলডিহি থেকে ৩০ জন কনেযাত্রী যান গুনসিমা গ্রামে। কিন্তু, ২৫ জন কনেযাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। পরিবর্তে ৫ জন বেশি অতিথি নিয়ে যাওয়ায় বচসা শুরু হয়ে যায়। অতিরিক্ত ৫ জনের খাওয়ার খরচ মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়ার পরও বরপক্ষ তা মানতে চাননি। বচসা থেকে শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি। এরপরই বরপক্ষের বাড়ির লোকজন কনেপক্ষের বাড়ির লোকজনদের বেধড়ক পেটায়। নিজের বাড়ির লোকজনদের বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন নতুন কনেও। সব মিলিয়ে বউভাত অনুষ্ঠান বানচাল হয়ে যায়। যে সব অতিথিরা ভোজ খেতে এসেছিলেন, তাঁরা পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ছুটে পালান। অনুষ্ঠান বাড়িতে দুপক্ষের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। গোটা বউভাত বাড়ি কার্যত রণক্ষেত্রের আকার নেয়। কার্যত লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বউভাত অনুষ্ঠান।

    কী বললেন কনেপক্ষের পরিবারের লোকজন?

    কনেপক্ষের পরিবারের সদস্য শেখ জলিল বলেন, ৫০ জন বরযাত্রী আসবে বলে ওরা ৮৫ জন এসেছিলেন। আমরা প্রত্যেককে সম্মান করেছি। আমরা ৫০ জন কনেযাত্রী যাওয়ার কথা বলেছিলাম। কিন্তু, ওরা তা মানতে রাজি হয়নি। ওরা ২৫ জন কনেযাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিল। আমরা ৩০ জন নিয়ে যাব বলেছিলাম। অতিরিক্ত ৫ জনের যা খাওয়া খরচ হবে, তা মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলাম। কিন্তু, ৩০ জন কনেযাত্রী দেখেই আমাদের উপর চড়াও হয়। আমাদের বেধড়ক পেটায়। বেশ কয়েকজন জখমও হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: পুনর্নির্বাচনের দিনই এনআইএ গ্রেফতার করল তৃণমূল প্রার্থীকে, চাঞ্চল্য বীরভূমে

    Birbhum: পুনর্নির্বাচনের দিনই এনআইএ গ্রেফতার করল তৃণমূল প্রার্থীকে, চাঞ্চল্য বীরভূমে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের পুনর্নির্বাচনের দিনই গ্রেফতার তৃণমূল প্রার্থী। সোমবার বীরভূমের নলহাটি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করল এনআইএ। দিন কয়েক আগে মহম্মদবাজার (Birbhum) থানা এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ জিলেটিন স্টিক-সহ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। সেই তদন্তে নেমে এনআইএ-র জালে এবার তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রার্থী। গ্রেফতারের কারণে জেলায় তীব্র শোরগোল।

    কে গ্রেফতার হলেন (Birbhum)?

    ধৃতের নাম মনোজ ঘোষ। ইতিপূর্বে তাঁকে দু’বার নোটিস পাঠিয়েছিল এনআইএ। এদিন নলহাটি (Birbhum) থানায় ডেকে পঞ্চায়েত প্রার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। তারপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেও নলহাটিতে এনআইএ হানা দিয়েছিল। একটি পাথর খাদান থেকে বিস্ফোরক জিলেটিন স্টিক, ডিটোনেটর, একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার হয়। খাদানের যে ঘর থেকে উদ্ধার হয়, সেই ঘরটি এলাকার তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী মনোজ ঘোষের। আর এই সূত্র ধরেই গ্রেফতার হলেন তৃণমূল প্রার্থী।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের স্থানীয় এক নেতার দাবি, পরিত্যক্ত ঘর (Birbhum) থেকে সামান্য কিছু জিলেটিন উদ্ধার হয়েছে। আর তাকে ঘিরেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতে চাইছে বিজেপি। এলাকায় ওরা জিততে পারবে না বলে এইভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করছে। মানুষের রায় নিয়ে বিজেপি জয়ী হতে পারবে না।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির স্থানীয় এক নেতার অভিযোগ, এই তৃণমূলের প্রার্থী পুলিশি মদতে বিস্ফোরক মজুত করে অবৈধ কারবার চালাচ্ছিল। আইনের উপরে কেউ নয়। অপরাধীরা শাস্তি পাবেই। ফলে ভোটের মুখে নলহাটির (Birbhum) বাহাদুরপুর গ্রামকে ঘিরে আলোচনা তুঙ্গে।

    নলহাটি কতটা সুরক্ষিত?

    নলহাটি (Birbhum) এলাকায় যতগুলি পাথর খাদান আছে, তার বেশিরভাগেরই কোনও সরকারি অনুমতি নেই। অথচ বেআইনি পথেই জিলেটিন, ডিটোনেটর দিয়ে খাদানের পাথরে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যবসা চলছে। কিছুদিন আগেই ওই এলাকায় রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টিম একটি বড়সড় বিস্ফোরক পাচারকারী দলকে গ্রেফতার করে। পরে যার তদন্তভার নেয় এনআইএ। সেই সূত্র ধরেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রার্থীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এক দিকে পঞ্চায়েত নির্বাচন, নির্বাচনের ফলাফল এবং অপর দিকে তৃণমূল প্রার্থী গ্রেফতারের ঘটনা ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: জেলাশাসকের দফতরের সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির, উত্তাল বীরভূম

    Birbhum: জেলাশাসকের দফতরের সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির, উত্তাল বীরভূম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুনঃনির্বাচনের দিনই বীরভূম (Birbhum) জেলাশাসকের দফতরের সামনে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হল। ভোট লুঠ-সন্ত্রাস-ছাপ্পা-হত্যালীলার প্রতিবাদে আগুন জ্বালিয়ে বীরভূম পুলিশ সুপারের উদ্দেশে লজ্জাজনক স্লোগান উঠল “হায়-হায়”। এভাবেই প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাল বীরভূম বিজেপি। নির্বাচনে হিংসার বিরুদ্ধে বিজেপির কর্মীরা প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে খালি গায়ে মাটিতে বসে বিক্ষোভ দেখান। ৮ ই জুলাই রাজ্যের জেলায় জেলায় যে সন্ত্রাস হয়ছে, তার জন্য একমাত্র দায়ী নির্বাচন কমিশন। কমিশনকে এই হিংসার দায়িত্ব নিতে হবে বলে দাবি করে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে খুনী এবং মুখ্যমন্ত্রীকে খুনীর প্রধান সঞ্চালক বলে দাবি করা হয়।

    বিজেপি জেলা সভাপতির বক্তব্য

    বিজেপির জেলা (Birbhum) সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ১৪ টি বুথে রিপোলিং হচ্ছে, সেখানে তৃণমূল নিশ্চিত হারছে বলে! অন্যান্য জায়গায় ১০০-১৫০ টি বুথে রিপোলিং হচ্ছে। কিন্তু বীরভূমে হচ্ছে না। এর কারণ হল তৃণমূল হেরে যাবে ভোটে। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের নামে একটা প্রহসন চলছে। আমরা বীরভূমবাসীরা সেই প্রহসনের ভাগীদার। বীরভূমের পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর। দুবরাজপুরে বিজেপির ১০০ জনকে সরকারি কাজে বাধার অজুহাত দেখিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকায় এলাকায় মহিলা, শিশুদের উপর তৃণমূলের গুন্ডারা সন্ত্রাস চালাচ্ছে। ময়নাডাল গ্রামের ভোট পড়ার সংখ্যা শূন্য দেখিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করছে কমিশন। এই বুথের মহিলা-পুরুষ শূন্য করে নির্বাচন করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, রাজ্য জুড়ে যেভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে, তার প্রতিবাদে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করা হল। এই আগুন ছোট, এরপর বড় আগুন জ্বলবে। অভিনব ভাবে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। গণতন্ত্রকে হত্যা করে প্রশাস যেমন উলঙ্গ হয়েছে ঠিক সেইভাবেই বিজেপি কর্মীরা গায়ের জামা খুলে প্রতীকী প্রতিবাদ করলেন। রাজ্যের ভোট জুড়ে সকল হিংসার দায়িত্ব এই প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। আজ নির্বাচনের নামে যে প্রহসন চলছে তাকে অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। 

    আক্রান্ত সিপিএম প্রার্থী

    হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ভয়ে গৃহবন্দি হয়ে বসে রয়েছেন সিপিএম প্রার্থী। এরকমই ঘটনার দেখা মিলল বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে। সেখানেও হচ্ছে উপ নির্বাচন। সেখানকার সিপিএমের মহিলা প্রার্থীর অভিযোগ, রবিবার রাতে এসে হুমকি দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তাঁর স্বামীর হাতে শনিবার চাকু মেরেছে গুন্ডারা। ভোটকেন্দ্রে গেলে, মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। এর জেরে মহিলা প্রার্থী ও তাঁর স্বামী যেতে পারছেন না ভোটকেন্দ্রে। যদিও এ নিয়ে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ করেননি সিপিএম প্রার্থী। তাঁর ভয়, অভিযোগ করলে ভোটের পর ঘরবাড়ি আর আস্ত থাকবে না! তাঁদেরও প্রাণ সংশয়ের মুখে পড়তে হবে। যদিও হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করেছন স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থী।

    তৃণমূল প্রার্থী সঞ্জয় দাস বলেছেন, “সিপিএম প্রার্থীর সঙ্গে লোক নেই। তিনি মিথ্যা অভিযোগ করছেন। খুব শান্তিতে ভোট হচ্ছে এখানে। কোনও অসুবিধা হয়নি।” এদিকে ময়ূরেশ্বরের ভোটাররাও ভয় দেখানোর অভিযোগ করেন। খবর পেয়ে সেন্ট্রাল ফোর্স ওই এলাকায় পৌঁছেছে এবং তারপরই ভোটাররাও ভোট দিতে বের হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: কর্মীকে মারধর করল প্রার্থী, মুরারইতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র

    Birbhum: কর্মীকে মারধর করল প্রার্থী, মুরারইতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও তাঁর স্ত্রীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে। তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রী আবার নির্দল প্রার্থী হয়েছেন পাশের বুথে। ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর স্ত্রীকে মুরারই (Birbhum) গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর নাম রমজান আলি ও স্ত্রীর নাম রুকসানা খাতুন। তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।  

    কোথায় ঘটনা ঘটল (Birbhum)?

    ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) মুরারই থানার পানিয়ারা গ্রামে। অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর নাম রেজাউল দফাদার। তিনি এবার মুরারই গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫৭ নম্বর পানিয়ারা গ্রামের প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর স্ত্রী শিল্পী বেগম আবার পাশের ৫৬ নম্বর বুথে নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়ছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়াই করলেও রেজাউল দফাদার নিজের স্ত্রীকে জয়ী করতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্দল গোঁজ প্রার্থী দিয়েছেন। এই নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা জমা দেওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি চলছিল। অপর দিকে তৃণমূল কর্মী রমজান আলি ৫৬ নম্বর বুথে তৃণমূলের হয়ে ভোট করাতে গিয়েছিলেন। তৃণমূলের হয়ে ভোট করাতেই রেজাউল দফাদারের রোষানলে পড়েন। দুই পক্ষের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হয়। মূল অভিযোগ, রেজাউল দফাদার তাঁর লোকজনদের নিয়ে এসে রমজান আলির বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে। মারধরে আহত হয় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী রমজান আলি ও তাঁর স্ত্রী রুকসানা খাতুন। ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে মুরারই থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

    আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর বক্তব্য

    আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী রমজান আলি (Birbhum) বলেন, তৃণমূলের ভোট করাতে গিয়েছিলেন বলে নির্দল প্রার্থীর দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর করে। যদিও দুষ্কৃতীরা নির্দল প্রার্থীর স্বামীর প্রার্থীর অনুগামী। রামজান আলি আরও বলেন, বুথে পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদের হয়ে ভোট করাতে গিয়েছিলাম বলে ব্যাপক মারধর করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁর স্ত্রীকেও খুব মারধর করে এবং কাপড়জামা ছিড়ে দিয়ে ধর্ষণ করারও চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেন। হামলার সময় দুষ্কৃতীদের হাতে বন্দুক এবং বোমা ছিল বলে অভিযোগ করেন।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পঞ্চায়েত ভোটের আগে দল ছাড়লেন বীরভূম তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক

    TMC: পঞ্চায়েত ভোটের আগে দল ছাড়লেন বীরভূম তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী প্রচার শেষ হতে না হতেই দলত্যাগ করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায়। বুধবার এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নিজের সিদ্ধান্তের কথাই জানালেন তিনি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ দল ছাড়ার হিড়িক দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে। সেই তালিকায় নব সংযোজন অতনু।

    আরও পড়ুন: “নন্দীগ্রামে আর একটা ১৪ মার্চ ঘটাতে চায় মমতা ব্যানার্জি”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    কী বললেন অতনু?

    অতনু জানিয়েছেন, যতদিন পর্যন্ত বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ছিলেন ততদিন পর্যন্ত দলে সম্মান ছিল। কিন্তু তিনি যেহেতু জেলে রয়েছেন তার পর থেকে দলের বাকি সদস্যদের আর সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এমনকি সম্মানও দেওয়া হয় না। তাছাড়া দলে থেকে কাজ করতে পারছেন না বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন অতনু চট্টোপাধ্যায়। অতনুর আরও দাবি, তৃণমূলে যোগদান করার সময় তিনি জানিয়েছিলেন যে দলে থেকে তিনি কাজ করতে চান। অথচ দলের উচ্চ নেতৃত্ব আশ্বাস দিলেও সেই সুযোগ তিনি পাননি বলে বুধবার অভিযোগ করেন। রাজনৈতিক জীবন থেকে সরে আসার কোন ইচ্ছেই ছিল না। কিন্তু নেহাত বাধ্য হয়ে দল ছাড়তে হচ্ছে বলে জানান অতনু চট্টোপাধ্যায়। বুধবার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে দল ছাড়া কথা ঘোষণা করলেও গত ২৫ মে ২০২৩ তারিখে দল ছাড়ার কথা উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন বলে জানান তিনি। বেশ কয়েকদিন ধরেই দলীয় কর্মসূচিগুলোতে গরহাজির থাকছিলেন অতনু।

    আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল সমাজবিরোধীদের ভোটে দাঁড় করাচ্ছে’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    কী বললেন বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা?

    এবিষয়ে বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘‘তৃণমূল (TMC) দল এবার আসতে আসতে সবাই ত্যাগ করবে। যেভাবে নিয়োগ দুর্নীতি, গরু চুরিতে নাম জড়াচ্ছে একের পর এক নেতার তাতে দলে আর কেউ থাকতে চাইছেন না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মহম্মদবাজারে বিজেপি কর্মী খুন, উদ্ধার গুলির খোল, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: মহম্মদবাজারে বিজেপি কর্মী খুন, উদ্ধার গুলির খোল, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাকি আর মাত্র দু’দিন। তবু অশান্তি থামার লক্ষ্মণ নেই। বৃহস্পতিবার সকালেই মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোমা বিস্ফোরণে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এবার অনুব্রতহীন বীরভূমে  প্রাণ গেল এক বিজেপি (BJP) কর্মীর। গলা টিপে খুন করে তাঁকে রাস্তায় ফেলে রেখে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই খুন করেছে বলে বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ। অন্যদিকে, জলপাইগুড়িতে বিজেপি জেলা সভাপতির গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চলানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সবমিলিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগেও উত্তপ্ত রাজ্যের একাধিক জেলা। এনিয়ে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে, খুন হওয়া বিজেপি কর্মীর নাম দিলীপ মাহারা (৪৮)। তিনি মহম্মদবাজারের বি মণ্ডলের হিংলো গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির (BJP) বুথ সহ-সভাপতি। যদিও এবার তাঁর স্ত্রী ছবি মাহারা পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন। বিজেপির ওই কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মহম্মদবাজারের সারেন্ডা গ্রামে রাস্তার উপর তাঁর দেহ ফেলে রাখা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) কর্মীর পরিবারের লোকজন?

    মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বুধবার রাত থেকে দিলীপের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিন সকালে গ্রামে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁর দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলায়ও দাগ রয়েছে। এছাড়া মৃতদেহের কিছু দূরে একটি গুলির খোলও পাওয়া গিয়েছে। দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) মণ্ডল সভাপতি পিনাকি মণ্ডল বলেন, দিলীপবাবু আমাদের দলের স্থানীয় স্তরের নেতা। তিনি ভাল সংগঠক ছিলেন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করেছে। আমরা এই খুনের ঘটনার কেন্দ্রীয় সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত দাবি করছি। একইসঙ্গে যে বা যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, এটা কোনও খুন নয়। স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এটা নিয়ে বিজেপি (BJP) নোংরা রাজনীতি করছে। পুলিশ প্রশাসন ঘটনার তদন্তে করে দেখুক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share