Tag: Birbhum

Birbhum

  • Tarapith Temple: মোবাইল নিয়ে আর তারাপীঠ মন্দিরে ঢোকা যাবে না, চালু একগুচ্ছ নতুন নিয়ম

    Tarapith Temple: মোবাইল নিয়ে আর তারাপীঠ মন্দিরে ঢোকা যাবে না, চালু একগুচ্ছ নতুন নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) তারাপীঠ মন্দিরে (Tarapith Temple) মোবাইল নিয়ে ঢোকা নিষিদ্ধ করল কর্তৃপক্ষ। এর আগে গর্ভগৃহে নিষিদ্ধ হয়েছিল আগেই। এবার আর তারাপীঠে মা তারার মন্দিরেও মোবাইল নিয়ে ঢুকতে পারবেন না দর্শনার্থীরা। মঙ্গলবার পৌষ মাসের প্রথম দিন থেকেই এই নতুন নিয়ম কার্যকর করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।

    নতুন নিয়মে কী কী ঠিক হয়েছে? (Tarapith Temple)

    আগেই মন্দির চত্বরে মোবাইল (Tarapith Temple) নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার তা কার্যকর করা হল। সম্প্রতি তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি, সহ-সভাপতি ও সেবায়েতদের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক করেন বীরভূমের জেলাশাসক। সেই বৈঠকে মন্দিরের ‘নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা বজায়’ রাখতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নয়া নির্দেশ অনুযায়ী, মন্দিরে মোবাইল নিয়ে প্রবেশে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মোবাইল গেটে নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে জমা রেখে ঢুকতে হবে। মন্দির নির্দিষ্ট সময়ে খুলতে এবং বন্ধ করতে হবে। মন্দিরে নির্দিষ্ট সময়ে ভোগ নিবেদন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পুজোর জন্য মাত্র দু’টি লাইন রাখা হবে- একটি সাধারণ লাইন, অন্যটি বিশেষ লাইন। সাধারণ লাইন এক ঘণ্টা আগে খোলা হবে। তার পর বিশেষ লাইন চালু হবে। দুপুরে ভোগের জন্য বন্ধ থাকবে প্রায় ১ ঘণ্টার কাছাকাছি। মায়ের চরণ ছুঁয়ে ভক্তরা প্রণাম করতে পারলেও, জড়িয়ে ধরা যাবে না দেবীকে। এছাড়া, পুজোর জন্য যে সমস্ত উপাচার, তা সেবাইতরাই মায়ের পায়ে ছোঁয়াবেন। এ ছাড়াও নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মন্দিরের গর্ভগৃহে গোলাপজল, আলতা দেওয়া যাবে না। যদিও মন্দির কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, নতুন নিয়ম কিছু না। যে সমস্ত নিয়ম ছিল, সেগুলি যাতে অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয়, সেদিকে কড়া নজর থাকবে এ বার থেকে।

    মন্দির কমিটির সভাপতি কী বললেন?

    এ দিন সকালে মন্দির (Tarapith Temple) চত্বরে বিশাল বোর্ড দেখা গিয়েছে। তাতে লেখা, ‘মোবাইল নিয়ে প্রবেশ নিষেধ’। রীতিমতো ব্যাগ পরীক্ষা করা হচ্ছে এ দিন থেকে। এবার থেকে ভক্তদের মোবাইল ফোন গেটেই জমা রেখে প্রবেশ করতে হবে মন্দিরে। মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই নিয়মগুলো আগে থেকেই ছিল। এ দিন থেকে নিয়মগুলি আরও ভালো ভাবে কার্যকরী করার ওপর নজর দেওয়া হবে। তারাপীঠে হাজার হাজার ভক্ত আসেন। তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেটাই দেখছি আমরা। আসলে আমাদের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ ছিল, দীর্ঘক্ষণ ধরে মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। তাই পুজো পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। গর্ভগৃহে ঢুকে মায়ের চরণ স্পর্শ করতে পারবেন। তবে অন্যান্য যা থাকবে সেবাইতরা তা মায়ের চরণে দেবেন। ভক্তদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তাই মোবাইল গর্ভগৃহে পুরোপুরি নিষিদ্ধ।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমে বজরংবলির মূর্তি ভাঙল দুষ্কৃতীরা, ডিজিকে ব্যবস্থা নিতে বলে টুইট করলেন শুভেন্দু

    Birbhum: বীরভূমে বজরংবলির মূর্তি ভাঙল দুষ্কৃতীরা, ডিজিকে ব্যবস্থা নিতে বলে টুইট করলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করেছে সেদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। যার জেরে উত্তাল ওপার বাংলা। সেই ঘটনার আঁচ পড়েছে এপারেও। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন সনাতনীরা। এই আবহের মধ্যে এবার বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের ইন্দ্রগাছা মোড়ে একটি মন্দিরে হনুমান মূর্তি ভাঙার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সিউড়ি থানার পুলিশ। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে বলে জানা গিয়েছে।

    কী বললেন মন্দিরের পুরোহিত? (Birbhum)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ি-বোলপুর (Birbhum) রাস্তার ধারে ১০-১২ বছর আগে একটি হনুমান মন্দির গড়ে ওঠে। প্রতিদিন সেখানে নিয়ম করে পুজোও হয়। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে কে বা কারা বজরংবলির মূর্তি ভাঙে। শুক্রবার সকালে পুরোহিত মন্দিরে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে। মন্দিরের পুরোহিত মনোজ দাস বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি জানতে পারি। সকাল হতেই মন্দিরে ছুটে আসি। এসে দেখি মূর্তিটি দুষ্কৃতীরা ভেঙে দিয়েছে। এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। ঘটনার খবর পেয়ে এদিন পুলিশ এসেছিল। সমস্ত বিষয়টি আমরা জানিয়েছি। আমরা অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।”

    সরব শুভেন্দু

    বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, রাজ্যটাকে বাংলাদেশ করার চেষ্টা চলছে। আমরা এসব হতে দেব না। এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। রাজ্য নেতৃত্বকে সমস্ত বিযয়টি জানানো হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি (Suvendu Adhikari) লেখেন, “বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি ২ ব্লকের ইন্দ্রগাছা মোড়ে বজরংবলির মূর্তি ভাঙা হয়েছে। আমি রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের কাছে অনুরোধ করছি দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করা হোক।” জেলা পুলিশের কর্তাদের দাবি, তাঁরা বিষয়টির ওপর নজর রাখছেন। নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বিয়ে না শেষ যাত্রা! সানাই-ব্যান্ড বাজিয়ে দাদুকে শ্মশানে নিয়ে গেলেন নাতিরা

    Birbhum: বিয়ে না শেষ যাত্রা! সানাই-ব্যান্ড বাজিয়ে দাদুকে শ্মশানে নিয়ে গেলেন নাতিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিনাম সংকীর্তন নয়, সানাইয়ের সঙ্গে ঢাক ঢোল ব্যান্ড বাজিয়ে দাদুর শেষকৃত্য সম্পন্ন করলেন নাতি-নাতনিরা! শুনতে অবাক লাগলেও, এমনই এক অভাবনীয় ঘটনার সাক্ষী রইলেন বীরভূমবাসী (Birbhum)। অনেকে ভেবেছিলেন বোধহয় বরযাত্রীর দল আসছে। পরে, ভুল ভাঙে। ১০০ বছর পেরিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মেছে দুবরাজপুরের রবিলাল বাদ্যকর। তাঁর মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই আছ়ড়ে পড়ে গ্রামের লোকজন। জাঁকজমকভাবে শোভাযাত্রা করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় শ্মশানে।  

    পরিবারের সদস্যরা কী বললেন? (Birbhum)

    যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। তবুও শতায়ু বৃদ্ধের মৃত্যুতে দেখা গেল এক অন্য ছবি। ব্যান্ড বাজিয়ে জাঁকজমকভাবে শত বছরের বৃদ্ধের মৃতদেহ সৎকার করার জন্য নিয়ে আসা হল বক্রেশ্বর শ্মশানে। প্রসঙ্গত, ১৮ নভেম্বর রাতে দুবরাজপুর ব্লকের (Birbhum) গৌরগঞ্জ গ্রামের রবিলাল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রায় ১০ দিন ধরে অসুস্থ থাকার পর মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর চারপুত্র, নাতি-নাতনি নিয়ে ভরা সংসার। বৃদ্ধের ইচ্ছা মতো গ্রামের ব্যান্ড পার্টি ও অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র সহযোগে শবদেহ বক্রেশ্বর শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। মৃত বৃদ্ধের পরিবারের পক্ষ থেকে মিতন বাদ্যকর বলেন, “শতবছর পূর্ণ হওয়ায় এমন আয়োজন।” এক প্রতিবেশী আকাশ মাল বলেন, “এদিন গ্রামবাসীরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।”

    আরও পড়ুন: বন্ধু মাক্রঁ ও স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাত মোদির, জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে কী নিয়ে আলোচনা?

    বৃদ্ধের ইচ্ছেতেই এই আয়োজন

    শ্মশান যাত্রার (Birbhum) জন্য বিশেষভাবে আয়োজন করা হয় ব্যান্ড,সানাই এবং হরিনাম সংকীর্তনের। সেই যাত্রায় শামিল হন বহু মানুষ। হরিনামের সঙ্গে এইরকম এক আয়োজনে শেষকৃত্য হচ্ছে খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা তল্লাটে। ওই বৃদ্ধের পরিবারের দাবি, রবিলালের শেষ ইচ্ছে ছিল এমনটাই। তাই, তাঁর ইচ্ছাতেই রীতিমতো ব্যান্ড বাজিয়ে শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই আয়োজন করেছিলেন নাতি-নাতনিরা। এই শেষযাত্রা দেখতে রাস্তার ধারে ভিড় করেছিল জনতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমে কাজল শেখের অনুগামীদের হাতে মার খেলেন কেষ্ট-অনুগামীরা! তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Birbhum: বীরভূমে কাজল শেখের অনুগামীদের হাতে মার খেলেন কেষ্ট-অনুগামীরা! তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত বীরভূমের (Birbhum) নানুর। কাজল শেখ গোষ্ঠীর অনুগামীদের হামলায় আক্রান্ত হলেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। আর এই ঘটনায় তৃণমূলের (Trinamool Congress) দলীয় কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে। অনুব্রত জেলায় থাকা অবস্থায় তাঁর অনুগামীদের এভাবে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নিয়ে জেলা জুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তিহার জেলে থাকার সময় কাজল শেখের অনুগামীদের দাপাদাপির সাক্ষী ছিলেন বীরভূমবাসী (Birbhum)। বার বার আক্রান্ত হয়েছেন অনুব্রত অনুগামীরা। অনুব্রত জেলায় ফিরতে বুকে বল পেয়েছিলেন তাঁর অনুগামীরা। সম্প্রতি তৃণমূল কার্যালয়ে কোর কমিটির বৈঠক হয়েছে। কোর কমিটির বৈঠকের নির্যাস অনুযায়ী, অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষমতা কিছুটা হলেও খর্ব হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আরও বেশি অক্সিজেন পেয়েছে অনুব্রতর বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত কাজল শেখ গোষ্ঠী। জানা গিয়েছে, রবিবার নানুরের বাহিরিতে চায়ের দোকানে এক ব্যক্তি বসেছিলেন। তখনই কাজল শেখের অনুগামীরা সেখানে যান। দোকানের মধ্যে কোনও একটি বিষয়কে কেন্দ্র তাঁর সঙ্গে ঝামেলা বাঁধে। তখনই ওই ব্যক্তির ওপর কাজল শেখের অনুগামীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন অনুব্রতর মণ্ডলের বেশ কয়েকজন অনুগামীও। আক্রান্তদের উদ্ধার করে ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে আটক কিংবা গ্রেফতার করা হয়নি।

    আরও পড়ুন: ব্যাট হাতে প্রস্তুত শীত! কলকাতায় ১৮ ডিগ্রি, পুরুলিয়ায় ১২, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    শুরু হয়েছে তরজা

    কাজল শেখের অনুগামী তথা বাহিরির (Birbhum) পঞ্চায়েত প্রধান জানাচ্ছেন, সম্পূর্ণই পারিবারিক বিবাদ। তা থেকেই হাতাহাতি। অন্যদিকে, আক্রান্তদের অভিযোগ, কাজল শেখের অনুগামীরা সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবেই হামলা চালিয়েছে। এই প্রসঙ্গে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা জামশেদ আলি খানের বক্তব্য, হামলার জেরে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। প্রশাসন অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনত পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Awas Yojana scheme: আবাস যোজনায় ফের ‘দুর্নীতি’! জেলায় জেলায় ব্যাপক ক্ষোভ ‘বঞ্চিতদের’, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    Awas Yojana scheme: আবাস যোজনায় ফের ‘দুর্নীতি’! জেলায় জেলায় ব্যাপক ক্ষোভ ‘বঞ্চিতদের’, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার আবাস যোজনায় (Awas Yojana scheme) নতুন করে দুর্নীতির অভিযোগ দেগঙ্গায়। গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে রাজ্যের আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা। ঘটনা ঘটেছে দেগঙ্গা থানার বেড়াচাঁপা ২ পঞ্চায়েতের পশ্চিম যাদবপুর গ্রামে। মূলত আবাস যোজনার সমীক্ষা করতে গেলে দুর্নীতির ইস্যুতে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়েন। ঘটনায় তৃণমূল অত্যন্ত চাপের মুখে। পাল্টা বিজেপি এক হাত নিয়েছে চুরি নিয়ে। উল্লেখ্য একই ভাবে সোমবারও পুরুলিয়া-জলপাইগুড়ি-বীরভূমে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল।

    যাঁদের বাড়ি দরকার তাঁদের বাড়িতে সমীক্ষা হয়নি (Awas Yojana scheme)

    মমতা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আবাস যোজনার (Awas Yojana scheme) পরিকল্পনায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। ক্যাগ রিপোর্টের ভিত্তিতে স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে যে, তৃণমূল সরকার আবাস যোজনায় প্রচুর পরিমাণে আর্থিক নয়-ছয় করেছে। লোকসভার ভোটের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একাধিক বার আবাসে আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে মমতাকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন। দুর্নীতির কারণে রাজ্যের বরাদ্দ অর্থও কমিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র।

    মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনায় সমীক্ষার কাজে গেলে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা ক্ষোভের মুখে পড়েন। স্থানীয়দের বক্তব্য, “তৃণমূলের নেতারা মানুষের ন্যায্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত করেছে। প্রকৃত প্রাপকরা নিজেদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কারণে। যাঁদের বাড়ি দরকার তাঁদের বাড়িতে সমীক্ষা হয়নি। যাঁদের দুটো তিনটে বাড়ি আছে তাঁদের বাড়িতেই সমীক্ষা করেছে রাজ্য সরকারের জনপ্রতিনিধি এবং আধিকারিকরা। প্রকল্পের সুবিধা থেকে গরিবদের বঞ্চনা করা হয়েছে।” এক সরকারি আধিকারিক বলেন, “পুরনো তালিকা অনুযায়ী আবাসের (Awas Yojana scheme) সমীক্ষা হচ্ছে। তালিকা চূড়ান্ত হলে সব কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে।” 

    পুরুলিয়া-জলপাইগুড়ি-বীরভূমে ব্যাপক ক্ষোভ

    একই ভাবে পুরুলিয়া জেলার মানবাজার ১ ব্লকে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। অভিযোগে ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত সোনাইজুড়ি পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে দেন। আবার পঞ্চায়েতকে অন্ধকারে রেখে সরকারি সমীক্ষা করছেন বলে অভিযোগ তুলে কয়েকদিন আগে তৃণমূল পরিচালিত বাঘমুণ্ডি ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত অযোধ্যায় তালা ঝুলিয়ে দেন দলেরই কর্মীরা। আবার জলপাইগুড়ির সদর ব্লকে আরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের করলাভ্যালি চা বাগানের শ্রমিক মহল্লার বঞ্চিতরা বিডিও-র দ্বারস্থ হয়ে দ্রুত সমাধানের দাবি করেন। অন্যদিকে, বীরভূমের ইলামবাজারের মঙ্গলডিহি পঞ্চায়েতের সামনে আবাস যোজনার সমীক্ষা চালাতে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন ব্লকের আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুনঃ কালীপুজোয় আরও রাত পর্যন্ত চলবে মেট্রো, কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর রুটের সূচি পরিবর্তন

    শুভেন্দুর তোপ

    আসানসোলে একটি কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আবাসে ব্যাপক রাজনীতি হচ্ছে। তৃণমূল অনেকদিন খেতে পায়নি। তাই প্রকল্প বিক্রি করতে পথে নেমেছে। প্রথমত এই তালিকাতেই কয়েক লক্ষ যোগ্য লোকের নাম নেই ৷ দ্বিতীয়ত, যে নাম এসেছে, অধিকাংশই তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেদের নাম৷ যাঁদের পাকাবাড়ি (Awas Yojana scheme) আছে, পাওয়ার যোগ্য নয়৷ আমি অন্তত ১০০টা ছবি দেখাতে পারি।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমের খয়রাশোল বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্ত চেয়ে মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    Birbhum: বীরভূমের খয়রাশোল বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্ত চেয়ে মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) খয়রাশোলে বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। জানা গিয়েছে খয়রাশোলের ভাদুলিয়া কয়লাখনিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তাতে কমপক্ষে ৭ জন মারা গিয়েছে। এবার এই বিস্ফোরণকাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা দায়েরের জন্য আবেদন করা হয়েছিল উচ্চ আদালতে। মঙ্গলবার, প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বোমাকাণ্ডে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। এলাকার মানুষের দাবি, পূর্ণাঙ্গ তদন্তের অনুমতি দিয়ে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হোক।

    লরিতে মজুত ছিল বিস্ফোরক (Birbhum)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খয়রাশোলের (Birbhum) লোকপুর থানার ভাদুলিয়া গ্রামে একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এই খনিতে একটি লরিতে প্রচুর বিস্ফোরক-বারুদ ছিল বলে জানা গিয়েছে। এরপর ওই লরিতেই বিস্ফোরণ ঘটেছিল। প্রথমে দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও পরে আরও ৫ জনের মৃত্যু ঘটেছে। একই ভাবে বেশ কিছু লোকজন আহত হয়েছিলেন। তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী সিউড়ি, দুবরাজপুর সহ একাধিক এলাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। এলাকার মানুষের দাবি, খনিতে অবৈধ কাজ চলে। হয়তো কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যের জন্য লরিতে বিস্ফোরক মজুত করা ছিল। পুলিশ এলাকায় সক্রিয় নেই বলেই দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য এতটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

    আরও পড়ুন: সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নির্যাতিতাকে ধর্ষণ! চার্জশিটে উল্লেখ করল সিবিআই

    পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ

    পুলিশ জানিয়েছে, সরকারি খাদানে বেআইনিভাবে কয়লা উত্তোলনের কাজ হচ্ছে কিনা এই বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এদিকে মৃতদের পরিবার থেকে পুলিশকে ঘেরাও করে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। মৃতদের পরিবারের দাবি, রাজ্য প্রশাসনকে পরিবার পিছু ৩০ লক্ষ টাকা, একটি করে বাড়ি এবং সরকারি চাকরি দিতে হবে। তবে বেশ কিছু সময় ধরে আন্দোলনের পর প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন এলাকার মানুষ। এলাকার (Birbhum) বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা বলেন, “কয়লাখনিগুলিতে তৃণমূলের নেতারা অবৈধভাবে দখল করে বেআইনি কাজ করছে। গোটা বাংলাকে এই ভাবে বারুদের স্তূপের উপর দাঁড় করিয়ে রেখেছে তৃণমূল। আগামী দিনে মানুষ যোগ্য জবাব দেবেন। আমাদের দাবি, এই বিস্ফোরণের পিছে যারা আছে তাদের খোঁজ করে সত্যটা প্রকাশ্যে নিয়ে আসুক এনআইএ।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমের খনিতে বিস্ফোরণ, মুখ বোজাতে সেই ‘টাকার খেলা’ মমতার! বিজেপি চাইল এনআইএ

    Birbhum: বীরভূমের খনিতে বিস্ফোরণ, মুখ বোজাতে সেই ‘টাকার খেলা’ মমতার! বিজেপি চাইল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) খয়রাশোলে কয়লাখনিতে বিস্ফোরণে সাতজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণ নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন! পুলিশকে ঘিরে প্রবল বিক্ষোভ দেখিয়েছে জনতা। রাজ্যের গেরুয়া শিবির গোটা ঘটনায় এনআইএ (NIA) তদন্ত দাবি করেছে। ঠিক এই আবহে ফের  টাকা দিয়ে মুখ বোজানোর রাজনীতি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতদের পরিবারপিছু একটি করে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে বিস্ফোরণে মৃতদের পরিবারকে মোট ৩০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়ে দিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।

    মূল ঘটনা (Birbhum)

    প্রসঙ্গত, সোমবার সকালেই বীরভূমের (Birbhum) খয়রাশোল ব্লকের লোকপুর থানার অন্তর্গত ভাদুলিয়া গ্রামে বিস্ফোরণটি ঘটে। ভাদুলিয়ার গঙ্গারামচক মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেড কোলিয়ারিতে (জিএমপিএল) বিস্ফোরণে নিহত হন জয়দেব মুর্মু, সোমলাল হেমব্রম, মঙ্গল মারান্ডি, জুডু মারান্ডি, পলাশ হেমব্রম, রুবিলাল মুর্মু। মৃতদের সকলেরই বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে বলে জানা গিয়েছে৷ বিস্ফোরণের অভিঘাতে তাঁদের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এদিক ওদিক ছিটকে পড়ে দেহাংশ। ঘটনার পরেই এলাকা ছেড়ে পালান জিএমপিএল-এর আধিকারিক এবং উপরতলার কর্মীরা। এরপর পুলিশ পৌঁছলে তাদেরকে ঘিরে ধরেও চলে বিক্ষোভ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খনিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য একটি ট্রাকেই বিস্ফোরক আনা হয়েছিল। যে পরিমাণ বিস্ফোরক দু’টি ট্রাকে আনা হয়, সোমবার তা একটি ট্রাকে করেই নিয়ে আসা হয়েছিল। তাই ওভারলোডিংয়ের জেরেই এই বিস্ফোরণ কি না, সে প্রশ্ন উঠেছে।

    এনআইএ দাবি বিজেপির 

    ইতিমধ্যেই এনআইএ (NIA) তদন্ত চেয়েছেন দুবরাজপুরের (Birbhum) বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা। ঘটনাস্থলে গিয়ে মানুষজনের সঙ্গে সোমবার কথাও বলতে দেখা যায় তাঁকে। পরে সংবাদমাধ্যমকে অনুপ সাহা বলেন, ‘‘যা ঘটেছে, তা খুবই মর্মান্তিক৷ বিস্ফোরণে এতগুলো প্রাণ গেল। প্রশাসনের মদতে এই কয়লা খনি চলে। জঙ্গল কেটে খনি করা হয়, অনুমোদন ছা়ড়াই গভীর খনন করা হয়৷ আর বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি খোলা রাস্তা দিয়ে আসছে? আজ যদি এই বিস্ফোরণ জনবহুল এলাকায় ঘটত কী হত? প্রশাসন এ ভাবে দায়িত্ব এড়াতে পারে না৷ আমরা চাই এনআইএ তদন্ত হোক। তা হলেই সত্য সামনে আসবে।’’

    কীভাবে এত ডিনামাইট সেখানে মজুত হল? প্রশ্ন বিজেপি নেতার

    বীরভূমের কয়লা খনিতে বিস্ফোরণ নিয়ে ইতিমধ্যে সামনে এসেছে বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিবৃতিও জগন্নাথবাবু নিজের ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘‘পুলিশের উপর মানুষের কোনও আস্থা নেই। বীরভূমের ভাদুলিয়ায় খনিতে বিস্ফোরণের পর ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। কীভাবে এত ডিনামাইট সেখানে মজুত হল? কোনও বিশেষজ্ঞ ছিলেন নাকি যে আদিবাসীদের প্রাণ গেল তাঁরাই ডিনামাইট ফাটিয়ে কয়লা তুলতো। এই অসাধু চক্রের মূলে আঘাত করতে হবে। না হলে মাননীয়ার পুলিশকে এভাবেই জনগণ তাড়িয়ে দেবে। সেই সঙ্গে এই সরকারটাকেও।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমে মোবাইল চোর সন্দেহে গাছে বেঁধে গণপিটুনি, পুলিশ কী করছে?

    Birbhum: বীরভূমে মোবাইল চোর সন্দেহে গাছে বেঁধে গণপিটুনি, পুলিশ কী করছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও ছেলেধরা, কখনও চোর সন্দেহে রাজ্যজুড়ে আইন হাতে তুলে নেওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। সবক্ষেত্রেই কমবেশি গাছে বেঁধে হামলা চালানো হচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের পরও এই ধরনের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। বৃহস্পতিবারই জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে এক কংগ্রেস কর্মীকে গাছে বেঁধে গণপিটুনি দিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তৃণমূলের বুথ সভাপতি-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার বীরভূমের (Birbhum) মল্লারপুর (Mallarpur) থানার কোটগ্রামে মোবাইল চুরির সন্দেহে এক যুবককে গাছে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত যুবকের নাম রমজান শেখ। মোবাইল চোর সন্দেহে তাঁকে গাছে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রমজানকে  দক্ষিণগ্রাম (Birbhum) থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েকজন প্রতিবেশী তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। কেন তাঁকে নিয়ে গেল তা পরিবারের লোকজন জানতেন না। নিমগাছে বেঁধে লাঠি, এমনকী লোহার রড দিয়ে তাঁকে  মারধর করা হয়। বিষয়টি জানার পরই পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পুরানো কোনও আক্রোশ থেকেই মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে এভাবে নৃশংসভাবে মারধর করা হয়েছে। এমনই দাবি পরিবারের।

    আরও পড়ুন: ২৬ জুলাই কার্গিল বিজয় দিবস, দেশের ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ এই দিন

    জখম যুবকের পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    রমজানের বাবা নোসেউদ্দিন শেখ বলেন, প্রতিবেশীদের (Mallarpur) সঙ্গে পুরানো বিবাদ ছিল। কিন্তু, তারজন্য আমার ছেলেকে এভাবে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হামলা চালাবে তা ভাবতে পারছি না। যদি আমার ছেলে এই ধরনের ঘটনা করে থাকে, পুলিশ-প্রশাসন রয়েছে। সেখানে অভিযোগ করতে পারত। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করত। আমার প্রশ্ন, পুলিশ কী করছে? প্রকাশ্যে গাছে বেঁধে এভাবে মারধর মেনে নেওয়া যায় না। আমরা দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: লোকসভায় লিড পেয়েছে বিজেপি, আদিবাসী গ্রামে জল বন্ধ করল তৃণমূল! আন্দোলনে গেরুয়া শিবির

    Birbhum: লোকসভায় লিড পেয়েছে বিজেপি, আদিবাসী গ্রামে জল বন্ধ করল তৃণমূল! আন্দোলনে গেরুয়া শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ভোটে দিয়েছিলেন গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দা। ভোটের ফল বের হওয়ার পর দেখা যায়, বীরভূমের (Birbhum) নারায়ণপুরের খড়িডাঙা নামে আদিবাসী গ্রামে তৃণমূলকে হারিয়ে লিড পেয়েছে বিজেপি। এটাই ছিল ওই গ্রামের বাসিন্দাদের অপরাধ। কারণ, তারপর থেকেই এই আদিবাসী গ্রামে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল পঞ্চায়েত। এমনই অভিযোগে সরব বিজেপি। পানীয় জল সরবরাহ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার থেকে রামপুরহাট মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসে বিজেপি। এদিনের অবস্থান বিক্ষোভে বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা সহ স্থানীয় নেতা, কর্মী-সমর্থকেরা হাজির ছিলেন। তিন ধরে এই ধর্না চলবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

    ফুটপাত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের দাবি (Birbhum)

    এমনিতেই বেশ কিছুদিন ধরেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে রামপুরহাট (Birbhum) জুড়ে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দেওয়ার বিষয়ে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি প্রশাসন। অসহায় ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি। উচ্ছেদ হওয়া ফুটপাত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়েছে। এদিনের অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে বিজেপি নেতারা বলেন, অবিলম্বে উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। নাহলে আমাদের আন্দোলন আরও জোরদার হবে।

    আরও পড়ুন: জ্যান্ত কেউটেকে দুধ-গঙ্গাজল দিয়ে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয় বর্ধমানের চার গ্রামে

    বিজেপি জেলা সভাপতি কী বললেন?

    বিজেপি (BJP) জেলা (Birbhum) সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, লোকসভা ভোটে বিজেপি লিড পেয়েছে বলে খড়িডাঙার আদিবাসী গ্রামের মানুষ পানীয় জল পাচ্ছেন না। তৃণমূল নোংরা রাজনীতি করছে। আমরা এর আগে বিডিও অফিসে দ্বারস্থ হয়ে সমস্যার কথা বলেছিলাম। কিন্তু, তাতেই প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তাই, বাধ্য হয়ে মহকুমা শাসকের দরবারে আমরা সেই একই আর্জি জানিয়েছি। পাশাপাশি জেলায় যে সব জায়গায় বিজেপির (BJP) ফল ভালো হয়েছে, সেখানেই তৃণমূল আমাদের কর্মীদের বঞ্চিত করছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এসবের বিরুদ্ধে আমাদের এই আন্দোলন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: খাসতালুকে তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে সরানো হল কেষ্টর ছবি, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Anubrata Mondal: খাসতালুকে তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে সরানো হল কেষ্টর ছবি, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কি বীরভূমে ব্রাত্য হয়ে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল? নানুরের পার্টি অফিস থেকে তাঁর ছবি সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় এই বিষয় নিয়ে ফের চর্চা হতে শুরু করেছে। এমনিতেই কেষ্ট জেলে যাওয়ার পর জেলায় কাজল শেখ গুরুত্ব পেতে শুরু করেন। লোকসভা ভোটের কয়েকমাস আগেই জেলাজুড়েই অনুব্রতের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। যদিও তৃণমূল নেত্রী কেষ্টর (Anubrata Mondal) প্রশংসা করায় লোকসভা নির্বাচনে কেষ্ট তিহার জেলে থাকলেও তাঁর ছবি নিয়ে দড়ি টানাটানি করেননি দলেরই বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজন। বরং, জেলাজুড়ে (Birbhum) কেষ্টর ছবিতে ছয়লাপ করে দেওয়া হয়েছিল।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Anubrata Mondal)

    ২১ জুলাই পর ২৭ জুলাই নানুরে শহিদ দিবস পালন করা হয়। যেখান ২০১১ সালে আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ নিজে এসেছেন। এমনকী তিহার যাওয়ার আগে অনুব্রত মণ্ডলও (Anubrata Mondal) তৃণমূলের এই শহিদ স্মরণ সভার প্রধান বক্তা হিসেবে গণ্য হতেন। তবে, ২০২৪ সালে দেখা গেল অন্য চিত্র। নানুরের বাসাপাড়ার তৃণমূল কার্যলয় থেকে অনুব্রত মণ্ডলের ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই কার্যালয়ের দায়িত্ব রয়েছেন কেষ্ট ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খানের। কেন সরে গেল অনুব্রত মণ্ডলের ছবি তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    আরও পড়ুন: সুকান্ত লিড পাওয়ায় বালুরঘাটে বন্ধ নাগরিক পরিষেবা! মহকুমা শাসককে নালিশ পুরবাসীর

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    লোকসভা নির্বাচনের আগে বীরভূম সফরে মুখ্যমন্ত্রী এসে কেষ্টর প্রশংসা করেছিলেন। এতদিন তাঁকে নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা ছিল না। তবে, নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় লাভের পর আবারও তাঁর ছবি সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দলীয় কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তৃণমূলের মুখপাত্র জামসেদ আলি খান বলেন,অনুব্রতর (Anubrata Mondal) ছবি বা পোস্টার সরিয়ে নিলে গোটা বীরভূমের (Birbhum) মানুষের মন থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া অসম্ভব। এখানে অনুব্রত মণ্ডলের বাইরে কিছু নেই। কিন্তু, পার্টি অফিস থেকে কেন সরিয়ে ফেলা হল তাঁর ছবি, তা দেখছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share