Tag: Birbhum

Birbhum

  • Tenancy Act: “তখন আমার জন্মই হয়নি”! ৬৫ বছরের পুরনো মামলার শুনানিতে মন্তব্য বিচারপতির

    Tenancy Act: “তখন আমার জন্মই হয়নি”! ৬৫ বছরের পুরনো মামলার শুনানিতে মন্তব্য বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রজাদের উপরে ৬০০ টাকা খাজনা চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জামিদার। গত ৬৫ বছর ধরে হাইকোর্টে মামলা চলছিল। রায় প্রদানে জমিদারের সিদ্ধান্তকে বহাল রাখলেন বিচারপতি অজয় কুমার মুখোপাধ্যায়। মামলার (Tenancy Act) রায়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এখানেই যে, বিচারতি যে মামলার রায় দিয়েছেন, সেই মামলা যখন শুরু হয়েছিল, সেই সময় জন্মাননি তিনি। বিচারপতির রায়দান করতে গিয়ে এই কথা বলায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    মামালা কেন গুরুত্ব পূর্ণ (Tenancy Act)

    বিচারপতির রায়দান (Tenancy Act) প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষণের মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উল্লেখ্য মামলা যখন শুরু হয়েছিল, সেই সময় বিচারপতি স্বয়ং জন্মগ্রহণ করেননি। আর এই রকম একটি মামলার রায় দেওয়ায় নিজেই আশ্চর্য হয়েছেন। বিচারপতি অজয় কুমার মুখোপাধ্যায় নিজে বলেন, “এই মামলা শুরু হওয়ার সময় আমার তো জন্মই হয়নি।”

    যদিও ১৯৫৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিশেষ আইন পাশ হওয়ার ফলে জমিদারি প্রথাকে অনেকটাই সংকুচিত হয়েছিল। কোনও ব্যক্তির যদি ২৪ একরের বেশি জমি থাকে, তাহলে তা সরকারি খাস জমি বলে ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছিল সেই সময় থেকেই। 

    মামলা কী ছিল?

    সূত্রে জানা গেছে, মামলা (Tenancy Act)  হল বীরভূমের রামপুরহাটের আজ থেকে ৬৫ বছরের আগেকার জমিদার আমলের একটি মামলা। জমিদার এই এলাকার স্থানীয় প্রজাদের উপর তৎকালীন ৬০০ টাকা খাজনা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তবে এই চাপিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রজাদের মধ্যে অনেকেই আপত্তি করেছিলেন। এরপর রামপুরহাট জেলা আদালতে মামলা করলে প্রজারা প্রাথমিকভাবে জয়ী হন। কিন্তু পরে জমিদার বাড়ির পক্ষ থেকে আবার জেলা আদালতে আবেদন করলে, সেই সময় মামলায় জয়লাভ করেন জমিদার পক্ষ। এরপর ১৯৫৯ সালে জমিদারের পক্ষের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন প্রজারা। এরপর থেকে দীর্ঘ ৬৫ বছর ধরে মামলা চলছিল কলকাতা হাইকোর্টে। যদিও যাঁরা যাঁরা মামলা করেছিলেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই ইতিমধ্যে মারা গেছেন বলে জানা গেছে। হাইকোর্ট এরপরে ১৮১৭ সালের ব্রিটিশ আমলের ‘টেনেন্সি আইন’ (Tenancy Act) অনুসারে খাজনা নিয়ে মামলার যাবতীয় বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে রায় দেন।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “যেদিন ভাইপো কেষ্টর সঙ্গে যাবে, সেদিন থেকে তৃণমূল ফাঁকা হয়ে যাবে”, তোপ শুভেন্দুর

    Birbhum: “যেদিন ভাইপো কেষ্টর সঙ্গে যাবে, সেদিন থেকে তৃণমূল ফাঁকা হয়ে যাবে”, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) সিউড়িতে পঞ্চায়েতরাজ সম্মেলনের সভা থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন। তিনি বলেন, তৃণমূল আমাদের জয়ী প্রার্থীদের ১ কোটি টাকার লোভ দেখিয়ে দল ভাঙানোর চেষ্টা করছে। নাম না করে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু। বীরভূমের বালি, পাথর, কয়লা, মাটি পাচারের টাকা কালীঘাটে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এদিন এই সম্মেলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুবরাজপুরের বিধায়ক অনুপ সাহা, বীরভূমের জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা, রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সহ জেলার অন্যান্য নেতারা।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Birbhum)?

    বীরভূমের (Birbhum) সিউড়িতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা রাজ্যের শাসকদলের সমালোচনা করে বলেন, “তৃণমূলে যোগদান করার জন্য জয়ী প্রার্থীদের ১ কোটি টাকা করে দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। বোঝাই যাচ্ছে, তৃণমূল আর থাকবে না। যেদিন ভাইপো কেষ্টর সঙ্গে যাবে, সেদিন থেকে তৃণমূল ফাঁকা হয়ে যাবে। তৃণমূল বলে কিছুই থাকবে না। বীরভূমের বালি, পাথর, কয়লা সব পাচার হচ্ছে। পাচারের টাকা যাচ্ছে কয়লা ভাইপোর কাছে। গত দেড় বছরে আমি এই জেলায় ১৭ বার এসেছি। তৃণমূলের কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা জেলের বাইরে থাকবে না। এই জেলায় কেষ্ট মণ্ডল নেই বটে, কিন্তু সবটাই পরিচালিত হচ্ছে কাজল শেখের মাধ্যমে। আর কাজল শেখের গুরু হলেন কয়লা ভাইপো। মানুষ বদলে গেলেও সিস্টেমটা একই রয়েছে। সরকারের ব্যবস্থা একই রকম ভাবে দুর্নীতির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জেলায়। শাসক দলের নেতারা বারবার বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা কেস দিচ্ছে। শাসক দলের সঙ্গে রাজনীতির মতভেদ হলে, তৃণমূলের গুন্ডারা আক্রমণ করছে বাড়িতে গিয়ে। তবে আমি সকলকে বলব, ব্যবস্থার বদল অবশ্যই ঘটবে।”

    জেলা সভাপতির বক্তব্য

    বীরভূমের (Birbhum) জেলা বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, রাজ্যের শাসক দলের তীব্র হিংসার মধ্যেও আমরা আমাদের রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আজ আমরা সিউড়িতে পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলন করছি, এটাও আমাদের বড় সাফল্য। আমাদের জয়ী প্রার্থীদের তৃণমূলের পক্ষ থেকে টাকার লোভ দেখানো হচ্ছে। চোখে চোখ রেখে আমরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। এই জেলার সনাতনী হিন্দুদের সংস্কৃতিকে বাঁচানোর শপথ নিয়েছি আমরা। তিনি আরও বলেন, যদি আপনারা বীরভূমের জেলা পরিষদের দফতরে যান, দেখবেন সেটা সরকারি দফতর না হজ হাউস, কিছুই বুঝতে পারবেন না।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: চিনের যুব সমাজের চরিত্র গঠনে বিবেকানন্দের পাঠ, রামকৃষ্ণ মিশনে প্রস্তাব কনসাল জেনারেলের

    Birbhum: চিনের যুব সমাজের চরিত্র গঠনে বিবেকানন্দের পাঠ, রামকৃষ্ণ মিশনে প্রস্তাব কনসাল জেনারেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনে যুব সমাজের চরিত্র গঠনের জন্য বিবেকানন্দ পড়ানোর আবেদন জানালো চিন সরকার। চিন সরকার আরও বলল, মার্ক্স-লেলিন নয় চাই বিবেকানন্দের নৈতিকতা। রামকৃষ্ণ মিশনের কাছে সম্প্রতি চিনের কনসাল জেনারেল এমনই প্রস্তাব দিয়েছেন। এই কথাই বোলপুরে (Birbhum) জানালেন রামকৃষ্ণ মিশনের পক্ষ থেকে। ভারতীয় জীবনবোধে বিবেকানন্দের প্রভাব কি পড়বে এবার কম্যুনিস্ট পার্টি অফ চায়নাতেও? বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    রামকৃষ্ণ মিশনের পক্ষ থেকে কী বলা হয়েছে (Birbhum)?

    বিবেকানন্দের ভাবধারায় চীনের যুবসমাজকে গড়ে তুলতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক সুবিরানন্দ মহারাজ আজ বোলপুরে একথা জানিয়েছেন একটি অনুষ্ঠানে। চিনে সবথেকে বেশি দার্শনিক হিসাবে মান্যতা পেয়েছেন বিবেকানন্দ। বিবেকানন্দের দেখানো পথ, এখন পৃথিবীকে মুক্তির পথ দেখাবে। চীনের কনসাল জেনারেল সম্পর্কে মহারাজ আরও বলেন যে চিন এই দেশকে চা দিয়েছে কিন্তু ভারতবর্ষ বিশ্বকে স্বামী বিবেকানন্দকে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, চিনের কনসাল জেনারেল বলেছেন, সমাজ তৈরির জন্য মার্ক্স-লেলিনকে দরকার হয় না, বিবেকানন্দ হলেন অন্যতম সমাজ চিন্তাবিদ। বিবেকানন্দের আদর্শ এবং নৈতিক মূল্যবোধ বর্তমান প্রজন্মের কাছে একান্ত প্রয়োজন। তাই চিনের মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবেকানন্দের বাণীকে কীভাবে পৌঁছানো যায়, সেই বিষয়ে কাজ করতে হবে। চিনের আগ্রহকে মিশনের পক্ষ থেকে ইতিবাচক বিষয় হিসাবে দেখা হচ্ছে বলে মহারাজ জানিয়েছেন।

    অনুষ্ঠানে উজ্জ্বল উপস্থিতি

    আজ বোলপুরে (Birbhum) রামকৃষ্ণ মঠের একটি সাধু নিবাসের উদ্বোধন করে মিশনের সাধারণ সম্পাদক সুবিরানন্দ মহারাজ বক্তব্য রাখেন। চিনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলিতে কিভাবে বিবেকানন্দের ভাবধারা পৌঁছে দেওয়া যায়, সে নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি। রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যের সংসদ তহবিলের ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি সাধু নিবাস নির্মাণ করা হয়েছে। আজকের অনুষ্ঠানে প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলা শাসক বিধান রায় সবাই রামকৃষ্ণ মিশনের সেবামূলক বিভিন্ন কাজের কথা তুলে ধরেন এবং সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ‘আটটি বাড়ি নিল কে? কাকা-ভাইপো ছাড়া আবার কে’, তৃণমূলের বিরুদ্ধে পোস্টার ঘিরে শোরগোল

    TMC: ‘আটটি বাড়ি নিল কে? কাকা-ভাইপো ছাড়া আবার কে’, তৃণমূলের বিরুদ্ধে পোস্টার ঘিরে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুবরাজপুরের অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের গেটে পড়ল আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টার। পোস্টারে আবাস যোজনার দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে। তৃণমূল (TMC) নেতার কাছে দুর্নীতির জবাব চাওয়া হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    পোস্টারে কী লেখা রয়েছে?

    পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘আটটি বাড়ি নিল কে? কাকা ভাইপো ছাড়া আবার কে? পৌরপিতা জবাব দেন। যার মূল্য ৩০ লাখ টাকা। মমতা ব্যানার্জী, অভিষেক ব্যানার্জী জিন্দাবাদ।’ কিন্তু, কে এই কাকা ভাইপো? তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। বৃহস্পতিবার দুবরাজপুর পুরসভা এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কুলুপাড়ার একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ঠিক এমনই পোস্টার দেখা যায়। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র খুলতে এসে কর্মীদের এই পোস্টার চোখে পড়ে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, আবাস যোজনার বাড়ি নিয়েই দুর্নীতি হয়েছে। তা বিরুদ্ধে এই পোস্টার, রাতের অন্ধকারে লাগানো হয়েছে। কিন্তু কে বা কারা এই পোস্টার লাগালো তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    এ বিষয়ে তৃণমূল (TMC) নেতা তথা দুবরাজপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পীযূষ পান্ডে বলেন, উপভোক্তাদের চিহ্নিত করেন ওয়ার্ড কাউন্সিলররা। পরে, উপভোক্তারা নিজেরাই বাড়ি করেন। কাকা, ভাইপোকে আটটা বাড়ি দেওয়া হয়েছে এরকম অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কেউ নেশা করে এই ধরনের পোস্টার লাগিয়েছে। তবুও আমি ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বলেছি।

    কী বললেন পুরসভার কাউন্সিলার?

    ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার ভাস্কর রুজ বলেন, কেউ অসৎ উদ্দেশ‍্য নিয়ে এরকম কাজ করেছে। তবে, এই ওয়ার্ডে স্বচ্ছভাবে আবাস যোজনার কাজ হয়েছে। দলকে বদনাম করার জন্য এই কাজ করা হয়েছে। কোথাও কোনও দুর্নীতি হয়নি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে দুবরাজপুর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, রাজ্যের পিসি ভাইপোর কথা আমরা জানি। কিন্তু, দুবরাজপুরে কাকা, ভাইপো কে আছেন এর জবাবটা একমাত্র পৌর প্রধানই দিতে পারেন। সারা রাজ্য জুড়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার যে দুর্নীতি হয়েছে সেটা বারংবার আমরা বলেছি। আজকে দুবরাজপুর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে পোস্টার দিয়ে আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে তা পোস্টারের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। আবাস যোজনার বাড়িগুলি নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে তাতে চেয়ারম্যান, কাউন্সিলার এবং তাঁর ঘনিষ্ঠরা যুক্ত রয়েছেন। কাকা ভাইপোর নামে পোস্টার দিয়ে সেই ইঙ্গিতই দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: সদাইপুরে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ! ঝলসে গেলেন তৃণমূল নেতা

    Bomb Blast: সদাইপুরে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ! ঝলসে গেলেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’ দিন আগেই বীরভূমের খয়রাশোলে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়ি থেকে প্রচুর বোমা উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে (Bomb Blast) গুরুতর জখম হলেন এক তৃণমূল নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সদাইপুর থানার হাজরাপুর গ্রামে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    বীরভূম জেলার সদাইপুর থানার পাথরচাপুরির কাছে হাজরাপুর গ্রামে বোমা তৈরির মশলা মজুত করা হয়েছিল। এমনকী বোমা বাঁধার কাজও চলছিল বলে অভিযোগ। সেই সময় বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হন স্থানীয় তৃণমূল নেতা গোলাম রসুল। তার মুখ থেকে বুক ও হাত, পা ঝলসে যায়। বুধবার তাঁকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালে হাজির হন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। বিস্ফোরণের (Bomb Blast) পর থেকে গ্রামেও উত্তেজনা রয়েছে। যদিও বোমা নয়, গ্যাস সিলিন্ডার ফেটেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি শাসক দলের। যা নিয়ে এলাকায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। দুবরাজপুর ব্লক তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য স্বপন মণ্ডল বলেন, সব মিথ্যা অভিযোগ। চা করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। কোনও বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) নয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনায় বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, তৃণমূলের লোকজন বোমা মজুত করছিল। ওরা তৃণমূলের দুষ্কৃতী। সেই সময় বিস্ফোরণে (Bomb Blast) জখম হয় ওদেরই লোক। বীরভূম জেলাকে বারুদের স্তূপে পরিণত করেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তো দেখলেন, কিভাবে ভোট করল ওরা। কোনও গণতন্ত্র নেই, দুষ্কৃতীদের রাজত্ব চলছে। পুলিশ ও প্রশাসন সবাই সব জেনেও নিশ্চুপ।

    সিউড়িতে উদ্ধার বোমা

    অন্যদিকে, সিউড়ি থানার ধল্লা গ্রামে তিনটি প্লাস্টিকের ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার হয়। প্রায় ৬০টি তাজা বোমা ছিল। পুলিশ বোমাগুলি উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে রাখে। কে বা কারা বোমাগুলি মজুত করেছিল তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ভোট কিনতে প্রকাশ্যে টাকা বিলি! দেওয়া হচ্ছে শাড়ি, কাপড়! অভিযুক্ত তৃণমূল প্রার্থী

    Birbhum: ভোট কিনতে প্রকাশ্যে টাকা বিলি! দেওয়া হচ্ছে শাড়ি, কাপড়! অভিযুক্ত তৃণমূল প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট কিনতে আদিবাসীদের দেওয়া হচ্ছে নগদ টাকা। বিলি করা হচ্ছে নতুন শাড়ি, কাপড়। নির্বাচনী বিধি ভেঙে ভোটারদের টাকা ও শাড়ি দিতে দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে। ভোটের আগে কেন এই ভাবে নিয়ম ভেঙে, ভোট কেনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগে সরব বিরোধীরা। ভোটের ঠিক একদিন আগে এই ঘটনায় বীরভূম (Birbhum) জেলায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

    কী ঘটেছে (Birbhum)?

    ঘটনাটি বীরভূমের (Birbhum) মুরারই এক নম্বর ব্লকের মহুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলগড়িয়া গ্রামে ঘটেছে। ওই আসনের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন হুমায়ুন কবীর। তাঁর স্ত্রী বদরুন্নেসা খাতুন মহুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেরই তৃণমূল কংগ্রেসের বিদায়ী প্রধান ছিলেন। গতকাল বিকেলে হুমায়ুন কবীর তাঁর নির্বাচনী এলাকা বেলগড়িয়া গ্রামে আদিবাসী ভোটারদের টাকা ও শাড়ি বিলি করেছেন।এই বিলি করার ছবি ও ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সামজিক মাধ্যমে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ভিডিওতে মহিলাদের শাড়ি দেওয়া হচ্ছে এবং পুরুষদের খাবারের জন্য হাতে করে পাঁচশো টাকার নোট দিতে দেখা গেছে। যদিও টাকা ও শাড়ি বিলি করার ঘটনা অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, এমন কোনও ঘটনার সঙ্গে তিনি যুক্ত নন, বিরোধীদের অপপ্রচার মাত্র। 

    বিরোধীদের বক্তব্য

    স্থানীয় (Birbhum) সঞ্জীব বর্মন সিপিএম নেতা বলেন, টাকা বিলি এবং কাপড় শাড়ি বিতরণের বিষয়টি একদম সত্য। ঘটনা সর্বত্র ভাইরাল হয়েছে। যাঁরা টাকা দিচ্ছেন, তাঁরা সকলেই শাসক দলের লোক। নির্বাচনের আচরণ বিধিকে অমান্য করে এই অনৈতিক আচরণ করা হয়েছে। রাজ্য জুড়ে চোরেদের চুরি সম্পর্কে সকলে জেনে গেছে। তাই শাসক দল হারের সম্ভাবনাকে বুঝতে পেরেই এইভাবে টাকা বিলি করছে। নির্বাচন অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ হলে তৃণমূলকে সাধারণ মানুষ বহিষ্কার করবে। তিনি আরও বলেন, এইভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করার বিষয় নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানাবো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: অনুব্রতর গড়ে ফের ভাঙন, তৃণমূল সাংসদ অসিত মালের ভাইপো যোগ দিলেন বিজেপিতে

    BJP: অনুব্রতর গড়ে ফের ভাঙন, তৃণমূল সাংসদ অসিত মালের ভাইপো যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুকে তৃণমূলে ভাঙন ধরাল বিজেপি (BJP)। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিলের কাজ বৃহস্পতিবারই শেষ হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিলের শেষ পর্বে দেখা যায় বিভিন্ন দলের টিকিট বন্টন নিয়ে দলীয় কর্মীদের মধ্যে রয়েছে চাপা ক্ষোভ। প্রতিবাদ জানাতে অনেকেই ভোট ময়দানে সামিল হয়েছেন দলীয় গোঁজ প্রার্থী হিসেবে। অনেকে আবার দলবদল করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের সরাসরি বিরোধিতা করতে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ অসিত মালের ভাইপো রূপেস মাল শুক্রবার  বিজেপির রামপুরহাটে শাখায় যোগদান করলেন। অন্যদিকে, এদিন সকালে বীরভূমের  ময়ূরেশ্বর-১ নম্বর ব্লকের মল্লারপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন বুথ সভাপতি বিকাশ পত্রধর বিজেপিতে যোগদান করলেন। তিনি ময়ূরেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ রায়ের ছায়া সঙ্গী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তবে, তিনি একা দলবদল করেছেন এমন নয়,  তাঁর সঙ্গে এলাকার আরও প্রায় ৩০০ জন কর্মী সমর্থক নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগদান করেন। বিকাশ পত্রধরের  হাতে পতাকা তুলে দেন রাজ্য কমিটির সদস্য অর্জুন সাহা। পাশপাশি উপস্থিত ছিলেন মণ্ডল সভাপতি সহ অনান্যরা। বিধায়ক এবং দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিজেপিতে যোগদান বলে জানিয়েছেন বিকাশবাবু।

    কী বললেন দলত্যাগী নেতা?

    রাজ্যজুড়ে শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল বারবার প্রকাশ্যে এসেছে সাম্প্রতিককালে। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যে সেই কোন্দল আরও প্রকট হয়েছে। বিশেষ করে অনুব্রত গড় বীরভূম জেলায় তৃণমূলের ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। কখনও তৃণমূল কর্মীরা দল ছেড়ে যোগদান করছেন সিপিএমে, কখনও আবার বিজেপিতে (BJP), কখনও আবার কংগ্রেসে। তবে বেশিরভাগ সময় দেখা গিয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদানের সংখ্যা বেশি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এভাবে শাসকদল ভেঙে বিজেপিতে যোগদানের ঘটনা গেরুয়া শিবিরকে নির্বাচনের আগে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। তৃণমূল সাংসদের ভাইপো রূপেশ মাল বলেন তৃণমূল দলে তিনি যথাযথ সম্মান পাচ্ছিলেন না, তাছাড়া তৃণমূল যোগ্য ব্যক্তিদের বঞ্চিত করে অযোগ্য ব্যক্তিদের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী মনোনীত করে টিকিট দিয়েছে। এজন্যই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলাম। অন্যদিকে, বিজেপিতে যোগ দিয়ে বিকাশ পত্রধর বলেন, আমি প্রথম দিন থেকে তৃণমূল করতাম। এখন দলটা দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। দুর্নীতি মুক্ত পঞ্চায়েত গড়তেই তৃণমূল ছেড়েছি। কয়লা, গরু, পাথর খাদানের টাকা সব ভাইপোর (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) কাছে যায়। এই টাকায় রাজ্যের অনেক উন্নয়ন হত।  স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক এখন চোরদের নিয়ে ঘোরে। এই দলটা আর করা যায় না। এখন এই এলাকায় বিজেপির জনজোয়ার। ময়ুরেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতি দখল করবে বিজেপি।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন  তৃণমূলের নবজোয়ার শেষ হতে না হতেই দেখা দিয়েছে ভাটা। আজকে তৃণমূল সাংসদদের নিজের ভাইপো বিজেপিতে যোগদান তারই জ্বলন্ত প্রমাণ। অন্যদিকে, বিজেপি (BJP) নেতা অর্জুন সাহা বলেন, বিকাশ এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা। ভালো সংগঠক। তাঁর নেতৃত্বে কয়েকশো কর্মী সমর্থক আমাদের দল যোগ দিলেন। এতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের সংগঠন অনেকটাই মজবুত হল।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    জেলা পরিষদের কো মেন্টর ধীরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি বলেন বিকাশ পত্রধর এখন তৃণমূলে নেই। সে কোন দল করবে, না করবে সেটা ওর ব্যাপার তৃণমূলের কোনও কিছু যায় আসে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী হচ্ছেন বগটুইকাণ্ডে স্বজন হারানো মিহিলালের পরিবার!

    Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী হচ্ছেন বগটুইকাণ্ডে স্বজন হারানো মিহিলালের পরিবার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) প্রার্থী হচ্ছেন বগটুইকাণ্ডে স্বজন হারানো মিহিলাল শেখের (Mihilal Sheikh) পরিবারের লোকজন। তৃণমূল নয়, তাঁরা লড়বেন পদ্ম প্রতীকে। সোমবার বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র পেশ করতে যান মিহিলালের ভাইপো ও তাঁর স্ত্রী। হলুদ পাঞ্জাবী পরে এক সময়ের তৃণমূল কর্মী মিহিলালও ছিলেন তাঁদের সঙ্গে। মিহিলাল জানান, তাঁর পরিবারের তিনজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিজেপির টিকিটে লড়বেন তাঁরা। মিহিলাল বলেন, “আমার ভাইপো, ভাইপোর স্ত্রী এবং আরও কয়েকজন মনোনয়ন দিচ্ছে।” তিনি বলেন, “ইতিমধ্যেই অনেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। শুধু এখানে নয়, পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলো থেকেও অনেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আমি মূলত সংখ্যালঘুদের মনোনয়নগুলো দেখছি। ” 

    কী বলছেন মিহিলাল?

    তিনি (Panchayat Election 2023) বলেন, “শাসক দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে ভোটে লড়ছি আমরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে দুর্নীতিমুক্ত শাসন চাইছি। মিহিলাল বলেন, যারা আমাদের লোকজনকে পুড়িয়ে মারল, তারা এখন জেলের মধ্যে বিয়ার খাচ্ছে। বাইরে থেকে জেলে খাবার যাচ্ছে। এগুলো আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় করাচ্ছেন। এতদিন মুখ খুলিনি। সব লোককে টানাটানি করব না ভেবেছিলাম। কিন্তু পারলাম না।” বিজেপির জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী মিহিলাল। বলেন, “বগটুইয়ের মানুষ বিজেপির পাশে রয়েছেন।” বিজেপি নেতা ধ্রুব সাহা বলেন, “মিহিলালের নেতৃত্বে ওখানে আমরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করব। সাধারণ গ্রামবাসী তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে নির্বাচনে ভোট দেবে আমাদের।”

    বগটুইকাণ্ড

    ২০২২ সালের ২১ মার্চ খুন হন (Panchayat Election 2023) তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ। পরে তৃণমূলের লোকজন ১২টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। আরও অনেকের সঙ্গে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় মিহিলালের স্ত্রী, মা, মেয়ে এবং বোনের। মিহিলালের অভিযোগ ছিল, রাজ্যের মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই ওই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন।

    আরও পড়ুুন: “বাংলায় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    বগটুইকাণ্ডের পর স্বজনহারাদের পাশে দাঁড়ায় বিজেপি। পরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে পদ্ম শিবিরে যোগ দেন মিহিলাল। বগটুই তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এবার সেখানেই পাশার দান উল্টে দিতে পারেন স্বজনহারা মিহিলাল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Birbhum: বীরভূমে মনোনয়ন জমা করতে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপি, অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক

    Birbhum: বীরভূমে মনোনয়ন জমা করতে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপি, অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ই জুন থেকে ১৫ই জুন চলবে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া। আর সেই মনোনয়ন করতে গিয়ে এবার আক্রান্ত হল বিজেপি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৭০ জন বিজেপি কর্মী। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) লাভপুরে।

    কী ঘটেছে (Birbhum)  বীরভূমে

    জানা গিয়েছে, শনিবার গ্রাম পঞ্চায়েত এবং সমিতির মোট ৭০ জন বিজেপি কর্মী মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন লাভপুরের (Birbhum) ব্লক অফিসে। লাভপুর বাস স্ট্যান্ডে বাস থেকে নেমে ব্লকের দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা, ঠিক এমন সময় ব্লক অফিসে ঢোকার আগেই পেট্রোল পাম্পের কাছে, প্রায় ৩০ টি মোটর বাইকে ৬০ জন দুষ্কৃতী হাতে মোটা লাঠি নিয়ে আচমকা মারধর শুরু করে। উল্লেখ্য ঘটনা স্থলের পাশেই পুলিশ দাঁড়িয়ে ছিল, কিন্তু পুলিশ ছিল কেবল দর্শকের ভূমিকায়। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বেধড়ক মারে লাভপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি কর্মী সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের ডান হাত এবং জামনা পঞ্চায়েতের মহাদেব মণ্ডলের বাঁ পা ভেঙে যায়। নির্বাচনে মনোনয়ন না করতে দিয়ে তৃণমূল কার্যত বিরোধী মতকে কণ্ঠরোধ করতে চায় বলে জানায় বিজেপি।

    কী অভিযোগ?

    স্থানীয় (Birbhum) বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ এবং তৃণমূল নেতা মান্নান হোসেনের নেতৃত্বে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। আহত বিজেপি কর্মীদের বোলপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

    মনোনয়ন পত্র জমাকে ঘিরে বিরোধীদের অভিযোগ

    পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে জেলায় জেলায় উত্তেজনা শুরু হয়ে গেছে প্রথম দিন থেকেই। গতকাল নন্দীগ্রামের বিষ্ণুপুর ১ নম্বর ব্লকে বেশ কিছু বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করতে পারেননি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতকাল নির্বাচনের বিশেষ প্রস্তুতির কিছুই ছিল না বলে বিরোধীদের অভিযোগ ছিল। আজ মনোনয়নের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকাল থেকেই ডোমকলে কংগ্রেস-সিপিএম প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়াকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়েছে। শাসক তৃণমূল, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে এই মনোনয়নে বাধা বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদদের একাংশ। রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিরাপত্তার বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই এখন দেখার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: উত্তর দিনাজপুরের আহত ৪ এবং বীরভূমের নিখোঁজ ২ পরিযায়ী শ্রমিক, পরিবারের পাশে বিজেপি

    Train Accident: উত্তর দিনাজপুরের আহত ৪ এবং বীরভূমের নিখোঁজ ২ পরিযায়ী শ্রমিক, পরিবারের পাশে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দারা অনেকেই করমণ্ডল এক্সপ্রেসে (Train Accident) ছিলেন আর তাই ট্রেনের দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন জেলার ৪ জন এবং অপর দিকে একই দুর্ঘটনায় বীরভূমের দুই পরিযায়ী শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। পরিবারের মানুষ দুশ্চিন্তায় নাওয়া খওয়া ছেড়ে দেওয়ার উপ্রক্রম হয়েছে।

    উত্তর দিনাজপুর থেকে (Train Accident) নিখোঁজ

    বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় (Train Accident) জখম হল উত্তর দিনাজপুরের ৪ জন৷ আহতদের সকলকেই স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই দুর্ঘটনার মর্মান্তিক দু:সংবাদ, বাড়িতে এসে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। আহতদের বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ব্লকের লক্ষীপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়। জানা গিয়েছে আহতরা সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক। আহতদের নাম হুদা আলম, মহম্মদ রাজ্জাক, মহম্মদ শাহাদাত, মিরাজুল ইসলাম। জানা গিয়েছে আহতদের মধ্যে হুদা আলমের অবস্থা গুরুতর। শুক্রবার ট্রেন দুর্ঘটনার পরপরই আহতদের মধ্যে একজন বাড়িতে ফোন করে এই দুর্ঘটনার কথা জানান। তারপরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন আহতদের পরিবারের সদস্যরা। আহতরা কে কোথায়, কীভাবে আছেন তা নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিজনরা। ঘটনার জেরে কার্যত দুশ্চিন্তায় পরিবার।

    বীরভূম থেকে নিখোঁজ এবং পরিবারের পাশে বিজেপি

    সিউড়ির নগরী পঞ্চায়েতে ঝোড়গ্রামের দুই পরিযায়ী শ্রমিক গতকাল করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার (Train Accident) কবলে পড়েন। তাঁদের মধ্যে একজন নিখোঁজ, অপরজন কটক হসপিটালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানা গেছে। নিখোঁজ ব্যাক্তির নাম লাভলু মাল আর আহত ব্যক্তির নাম মহিম ডোম। এই পরিবারের বাড়িতে বিজেপির প্রতিনিধি দল পৌঁছান। ইউপির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মা মহাশয় সহ বিজেপির একাধিক জেলার কার্যকর্তারা নিখোঁজ পরিবারের পাশে থেকে আশ্বাস দেন। দীনেশ শর্মা বলেন, ভারত সরকার এই নির্মম বেদনাদায়ক ঘটনার প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন। আমরাও আজ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ ব্যাক্তির পরিবারে পাশে থেকে আশ্বাসের বার্তা দিয়েছি। সরকার ক্ষতি পূরণের কথা ঘোষণা করেছেন। ওড়িশা সরকারের সঙ্গে আমাদের ভারত সরকার একসঙ্গে মিলে উদ্ধার কাজ করছে। এই মুহূর্তে সাধারণ মানুষের পাশে থাকাটাই আমাদের একমাত্র কর্তব্য বলে মন্তব্য করেন বিজেপির এই নেতা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share