Tag: Birbhum

Birbhum

  • TMC Inner Clash: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ব্যাপক বোমাবাজি, হাত-পা উড়ল যুবকের, জখম নাবালকও

    TMC Inner Clash: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ব্যাপক বোমাবাজি, হাত-পা উড়ল যুবকের, জখম নাবালকও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারুদের স্তূপে বীরভূম (Birbhum)! ফের একবার প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Inner Clash)। আবারও ঘটল বোমাবাজির ঘটনা। ওই ঘটনায় এক নাবালক সহ জখম হয়েছেন দুজন। এলাকা দখলের জেরে এই ঘটনা, বলছেন স্থানীয়রাই। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ১২জনকে। উদ্ধার হয়েছে ৩০টি তাজা বোমা। এলাকায় পুলিশ পিকেট। ভয়ে পুরুষ শূন্য গোটা গ্রাম। বীরভূমের সাঁইথিয়ার ওই ঘটনায় আতঙ্ক গোটা এলাকায়।

    বিবাদের কারণ…

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘদিনের পুরানো। সোমবার বিকেলে আচমকাই প্রকাশ্যে চলে আসে তৃণমূলের সাঁইথিয়া ব্লক সভাপতি সাবের আলি ও ব্লক কার্যকরী সভাপতি তুষার মণ্ডলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Inner Clash)। ঘটনাস্থল সাঁইথিয়ার ফুলুর পঞ্চায়েতের বহরাপুর গ্রাম। কোনও একটি কারণে এদিন দু পক্ষের বিবাদ চরমে ওঠে। প্রথমে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। পরে বাঁধে সংঘর্ষ। ঘটনার জেরে এলাকায় শুরু হয় ব্যাপক বোমাবাজি। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়তে থাকে। বোমার ঘায়ে জখম হন সাদ্দাম নামে এক যুবক। তাঁর ডান হাত এবং ডান পা উড়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সাঁইথিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। গুরুতর জখম অবস্থায় সাদ্দাম বলেন, আমার কাকাকে আটকে রেখেছিল তুষার মণ্ডলের লোকজন। ওরাই আমাকে বোমা মেরেছে।

    তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের (TMC Inner Clash) জেরে যে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে, তাতে জখম হয়েছে মুজাফফর হোসেন নামে এক নাবালকও। তার সারা গায়ে বোমার আঘাতের ক্ষত। তাকেও প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পরে দুজনকেই সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘পুলিশ কামড়ালে কি ভ্যাকসিন নিতে হবে?’’, পশ্চিম মেদিনীপুরের সভায় সুকান্ত

    পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা সবাই তৃণমূল (TMC) কর্মী। এলাকায় রয়েছে চাপা উত্তেজনা। অশান্তি এড়াতে এলাকায় চলছে পুলিশি টহলদারি। রয়েছে পুলিশ পিকেটও। ভয়ে গ্রাম ছেড়েছেন পুরুষরা। ফের অশান্তির আশঙ্কায় বাচ্চাদের হাত ধরে গ্রাম ছাড়ছেন মহিলারাও। মঙ্গলবার সকালেও অকুস্থলে গিয়ে দেখা গিয়েছে শুকনো রক্তের দাগ। পড়ে রয়েছে খালি বালতি। এই বালতি করেই বোমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, কাটমানি সহ একাধিক বিষয় নিয়ে তৃণমূলের এই গন্ডগোল নতুন নয়। প্রায়ই হয়। আগামীতে আরও বাড়বে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

     

  • Birbhum: ফিরহাদের উপস্থিতিতেই সিউড়িতে বগটুই স্মৃতি! তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মৃত ১

    Birbhum: ফিরহাদের উপস্থিতিতেই সিউড়িতে বগটুই স্মৃতি! তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মৃত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বগটুইয়ের স্মৃতি ফিরে এলো বীরভূমের সিউড়িতে (Birbhum Siuri)। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দে (Tmc inner clash) খুন হল এক জন। আগুন লাগানো হল একাধিক বাড়িতে। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) যখন খোদ সিউড়িতে হাজির, তখনই কাল মাঝরাত থেকে এই কাণ্ড চলল সেখানে । বালি খাদানের দখলদারি ঘিরে গোষ্ঠীকোন্দলের ফলে খুন হতে হল কাজল শেখের বিরোধী গোষ্ঠীর একজনকে। তার নাম ফাইজুল সেখ। এর পাল্টা আগুন লাগিয়ে দেওয়া হল কাজল শেখের বাড়ি চত্বরে। পুলিশের সামনেই চলল লাগাতার বোমাবাজি। 

    বীরভূমে বালি খাদানের দখল নিয়ে তৃণমূলে গোষ্ঠী কোন্দল বহু পুরনো। ইদানিং তা চরম আকার নিয়েছিল কাজল সেখ ও আতাউর সেখ গোষ্ঠীর মধ্যে। পুলিশি হস্তক্ষেপে তা মেটানোর চেষ্টা চললেও, এবার তা চরম আকার নিল। আতাউরের অভিযোগ, কাজলের লোকজন তার দল ভাঙানোর চেষ্টা করছিল। খুনের হুমকিও দিয়েছিল। গতকাল রাতে বাঁশজোড় এলাকায় তারা ফাইজুল সেখকে ভোজালির কোপ মারে। দেহের বিভিন্ন অংশে ভোজালির আঘাতে লুটিয়ে পড়ে ফাইজুল। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। 

    আরও পড়ুন: মামলা করে টাকা ও সময় নষ্ট করছে দেউলিয়া সরকার! বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্যকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    হাসপাতাল চত্বরে হাজির মৃতের ঘনিষ্ঠদের স্পষ্টই বলতে শোনা যায়, ‘কেন পার্টি করছিস!মুখ খুললে একজনের পর এবার অনেককে খুন হতে হবে।’ এই স্বগতোক্তিই বুঝিয়ে দেয়, বীরভূম তৃণমূলের প্রকৃত চেহারা। অনেকদিন ধরেই বালি খাদান দখল নিয়ে শাসক দলের মধ্যে কাজিয়া তুঙ্গে। আর এই কাজিয়াকে ঘিরে প্রায়শই সেখানে চলে বোমাবাজি। খুনের ঘটনাও ঘটে আকছার। বহুদিন ধরেই এর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে নাম উঠে এসেছে কাজল সেখের। গতকাল সেই কাজল সেখের সঙ্গেই এক ছবিতে দেখা যায় ফিরহাদ হাকিমকে।

    অনুব্রতর গ্রেফতারির পর বীরভূমে যখন ছন্নছাড়া অবস্থা তৃণমূলের, পঞ্চায়েত ভোটের আগে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টায় সেখানে ছুটে যান ফিরহাদ হাকিম। অনুব্রতকে সেখানে তিনি বাঘের সঙ্গে তুলনা করেন। কয়লা পাচার, গরু পাচারে অভিযুক্ত হয়ে যখন নিজের এলাকাতেই নিন্দিত অনুব্রত, তখন তাঁকে বাঘের সঙ্গে তুলনা করে একটা শ্রেণীকে চাঙ্গা করতে চান রাজ্যের মন্ত্রী। কথা বলেন কাজল সেখের সঙ্গেও। আর তারপরই এই খুনের ঘটনা। খুন, আগুন, বোমাবাজি। বীরভূমে তৃণমূল আছে একই মেজাজে। আর তার ফলে কখনও জ্বলছে বগটুই, কখনও বাঁশজো়ড়।

  • CBI: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বীরভূম থেকে ৫ তৃণমূল কর্মী গ্রেফতার

    CBI: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বীরভূম থেকে ৫ তৃণমূল কর্মী গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় গ্রেফতার পাঁচ তৃণমূল (TMC) কর্মী। শুক্রবার বীরভূমের (Birbhum) সদাইপুর থানা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)। এদিনই ধৃতদের তোলা হয় সিউড়ি জেলা আদালতে। বিচারক তাঁদের দু’দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিলেন।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেস। এই নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই রাজ্যের আরও কয়েকটি জেলার পাশাপাশি বীরভূমেও ব্যাপক হিংসার অভিযোগ ওঠে। সদাইপুরের সাহাপুরে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি মহিলাদের শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগও ওঠে। এদিন সেই সাহাপুর গ্রাম থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা গ্রেফতার করেন পাঁচ তৃণমূল কর্মীকে। ধৃতরা হলো শেখ জামির হোসেন, শেখ কারিবুল ওরফে কারু, শেখ আসরফ ওরফে রাহুল, শেখ নুড়াই ও জয়ন্ত ডোম। 

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতারকে ঘিরে জেলা জুড়ে রাজনৈতিক শোরগোল উঠেছে। বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা জানান, সনাতনীদের উপর অত্যাচার করে তৃণমূল কর্মীরা ভেবেছিল পার পেয়ে যাবে। সঠিক বিচার পাবেন অত্যাচারে ভেঙে পরা বিজেপি কর্মীরা। তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় জানান, পরিকল্পিতভাবে গ্রামে গ্রামে এজেন্সি দিয়ে ভোটের আগে ভয় দেখানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এলাকার মানুষ সব জানেন।

    আরও পড়ুন: সিবিআই-এর তলব এড়িয়ে ই-মেল করলেন কেষ্ট কন্যা, কী লিখেছেন চিঠিতে?

    বিধানসভা ভোটে ফলাফল বেরনোর পরেই সদাইপুর এলাকায় একটি গ্রামে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে বেছে বেছে অত্যাচার চালানোর অভিযোগ ওঠে। বাড়ির গরু, ছাগল থেকে সব লুঠপাট এমনকী মেয়েদের উপর নির্বিচারে অত্যাচার চালানোর অভিযোগ ওঠে। ভাঙচুর চালানো হয় কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে। এলাকার এক বিজেপি বুথ কর্মী জানান, তিনি বিজেপি করার অপরাধে তাঁর বাড়ির মহিলাদের ধর্ষণ করে তৃণমূলের কর্মীরা। তিনি সদাইপুর থানায় ধর্ষণের ও লুঠপাটের অভিযোগ জানান। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে সদাইপুর থানার পুলিশ। কিন্তু, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগে আইনের কোনও বিচার হবে না বলে জেলা নেতৃত্বের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়।

    অবশেষে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিবিআই (CBI)। সেই সূত্রে অভিযুক্তদের দুর্গাপুরে সিবিআইয়ের শিবিরে তাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।এরপর বৃহস্পতিবার রাতে সাহাপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে সিবিআই সুত্রে জানা গিয়েছে। সিউড়ি আদালতের বিচারক ধৃতদের আগামী দু’দিন সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • West Bengal: প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে ফের তিন জায়গায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, জলে ডুবে মৃত মোট ৪

    West Bengal: প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে ফের তিন জায়গায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, জলে ডুবে মৃত মোট ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল মায়ের বিদায়বেলায় জলপাইগুড়ির মালবাজারের ঘটনার পাশাপাশি আরও দুই জায়গায় ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। জলাপাইগুড়ি ছাড়া মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমেও ঘটেছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে মুর্শিদাবাদের সাটুইয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে মোট দুই জনের। অন্য ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের ধুলিয়ানে। সেখানে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আবার বীরভূমেও জলের তলায় তলিয়ে যান ৮০ বছরের এক যুবক।

    মুর্শিদাবাদে কী ঘটেছিল?

    প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল মুর্শিদাবাদের সাটুইয়ে। সেখানেও মা দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয় দুই জনের। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদেরই সামসেরগঞ্জের ধুলিয়ানে। ওই এলাকার কাঞ্চনতলা গঙ্গাঘাটে এই ঘটনাটি ঘটেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেখানেও প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে নৌকা করে যাচ্ছিলেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে এক ব্যক্তি নৌকা থেকে পরে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম অমিত সিংহ, বাড়ি ধুলিয়ান পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের রায়গঞ্জে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে দুর্গা বিসর্জনে গিয়ে হড়পা বানে মৃত অন্তত ৮, ঠিক কী ঘটেছিল?

    বীরভূমের দুর্ঘটনা

    প্রতিমা নিরঞ্জনের মধ্যেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল বীরভূমের ভীমগড়েও। সূত্রের খবর অনুযায়ী,  ইসগড়া গ্ৰাম থেকে বুধবার লোবা কালি মন্দিরে ১২ জন যুবক পুজো দিতে যান। তাঁরা দাবি করেছেন, পুজো দেওয়ার পর তাঁরা অজয় নদে স্নান করতে নামেন। আর সেকানে স্নান করতে গিয়েই জলে তলিয়ে যান ওই ব্যক্তি। ৪০ বছর বয়সী ওই মৃতের নাম কালিচরণ দত্ত। স্থানীয় সূত্রে খবর, করতে পারেনি। কালিচরণ জলেই তলিয়ে যান। পরে দুবরাজপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছান ও মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।

    প্রায় প্রতি বছরই দশমীর দিন অনেক রাজ্যেই এমন দুর্ঘটনা দেখা যায়। প্রতিমা বিসর্জন করতে অনেকেই জলে ডুবে প্রাণ হারান। ফলে এবারও এমনই ঘটনা দেখা গেল পুরো রাজ্য জুড়ে। তবে এবারের মালবাজারের ঘটনার ফলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

  • Suvendu Adhikari: বোলপুরে শিশুহত্যার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির

    Suvendu Adhikari: বোলপুরে শিশুহত্যার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিনিকেতনে শিশুখুনের (Child Murder) আঁচ এসে লাগল বিধানসভায়ও (State Assembly)। পুলিশের বিরুদ্ধে অপদার্থতার অভিযোগে সোচ্চার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শিশু মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে সিবিআই (CBI) তদন্ত দাবি করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। খোদ পুলিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিধানসভায় হায় হায় স্লোগান বিজেপির। বুধবার বিধানসভা থেকে ওয়াকআউটও করেন পদ্ম-বিধায়করা। বিধানসভা কক্ষের বাইরে বিক্ষোভও প্রদর্শন করেন তাঁরা।  

    দু দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার হয় শান্তিনিকেতনের মোলডাঙার বাসিন্দা বছর পাঁচেকের শিবম ঠাকুরের দেহ। গ্রামেরই মুদিখানার দোকানে বিস্কুট কিনতে গিয়েছিল সে। পরে উদ্ধার হয় দেহ। পরিবারের অভিযোগ, শিশুটিকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। ঘটনার জেরে অভিযু্ক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।

    শান্তিনিকেতনের এই অশান্তির আঁচ এসে লাগে বিধানসভায়ও। বুধবার বিধানসভায় বিষয়টি তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শিশুখুনের ঘটনায় পুলিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি দাবি করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেই দাবি মেনে না নেওয়ায় হইচই করেন বিরোধীরা। পুলিশ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে হায় হায় স্লোগান দিতে থাকেন। পরে বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা। নিহত শিশুর ছবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন :চিকিৎসা ভাতা বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারী

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে শিশু ও কিশোরকে অপহরণ করা হচ্ছে। পুলিশ ডায়েরি নিচ্ছে না, তদন্তও করছে না। পরে তাদের দেহ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, গতকালের এই বাচ্চাটা ১৮ তারিখ নিখোঁজ হয়েছে। তার পরিবার জিডি করেছে। ২০ তারিখ পাশের বাড়ি রুবি বিবির বাড়িতে পলিথিনে মোড়া এই বাচ্চার দেহ পাওয়া গিয়েছে। শুভেন্দু বলেন, পুলিশ মন্ত্রী চোরেদের বাঁচানোর জন্য বিধানসভায় এসে মিথ্যা কথা বলতে পারেন। তিনি এত ব্যস্ত যে চোরেদের বাঁচানোর জন্য ইডি-সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে রেজোলিউশনে নেচে নেচে বলতে পারেন, আর এই বাচ্চাটার জন্য আমরা বলেছিলাম হাউস চলাকালীন পুলিশ মন্ত্রীকে এসে বলতে বলুন। তাঁর অভিযোগ, অধ্যক্ষ একপেশে আচরণ করেন। তিনি কর্ণপাত করেননি। আমরা বিজেপি বিধায়করা ভিতরে প্রতিবাদ করেছি, বাইরেও করেছি। তিনি বলেন, আমরা রুবি বিবির ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। সিবিআই তদন্তের দাবিও জানান শুভেন্দু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Student Murder: মেধাবী ছাত্রকে অপহরণ করে খুন, বাগুইআটিকাণ্ডের ছায়া বীরভূমে?

    Student Murder: মেধাবী ছাত্রকে অপহরণ করে খুন, বাগুইআটিকাণ্ডের ছায়া বীরভূমে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ফের ছাত্র খুন (Student Murder)। বাগুইআটির জোড়া ছাত্র খুনের ঘটনার স্মৃতি এখনও টাটকা রাজ্যবাসীর। তার মধ্যেই ফের মেধাবী ছাত্র খুনের ঘটনা। এবার অবশ্য ঘটনাস্থল কলকাতা থেকে বেশ খানিকটা দূরে, বীরভূমে (Birbhum)। রবিবার সাত সকালে ইলামবাজার থানার চৌপাহাড়ির জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় সৈয়দ সালাউদ্দিনের দেহ। তাঁর গলার নলি কাটা ছিল। অভিযোগ, অপরহণ করে খুন করা হয়েছে ওই ছাত্রকে। সালাউদ্দিনের বাড়ি বীরভূমেরই খয়রাশোল থানার আহমদপুর গ্রামে।

    পুলিশ সূত্রে খবর, সালাউদ্দিনের বাবা আবদুল মতিন পাথরের ব্যবসায়ী। সেই সূত্রে তিনি থাকতেন মল্লারপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে। আসানসোলের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র ছিলেন বছর উনিশের সালাউদ্দিন।

    মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিকে যাবেন বলে বাড়িতে জানিয়েছিলেন সালাউদ্দিন। শনিবার সকালে চলেও যান পিকনিকে। তার পর আর তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। এদিন গভীর রাতে তাঁর বাবাকে ফোন করে দুষ্কৃতীরা বলে, সালাউদ্দিনকে অপহরণ করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, অপহরণকারীরা ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তি পণ দাবি করে। পুলিশকে খবর দিলে সালাউদ্দিনকে মেরে ফেলা হবে বলেও ফোনে হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। রাতেই সালাউদ্দিনের  পরিবারের লোকজন খবর দেন থানায়। রবিবার সকালে গলার নলি কাটা দেহ উদ্ধার হয় সালাউদ্দিনের। খবর পেয়ে এলাকায় যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। শুরু হয়েছে তদন্ত।

    আরও পড়ুন : ধরা পড়ল বাগুইআটি জোড়া খুন কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী, জানেন কীভাবে?

    ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই শেখ সলমন নামে এক তরুণকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সে সালাউদ্দিনের বন্ধু। কিছুদিন আগে সলমন সালাউদ্দিনের কাছে দু লক্ষ টাকা ধার চেয়েছিল। এই খুনের ঘটনার সঙ্গে ওই ঘটনার কোনও যোগ রয়েছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। পুলিশের একটি সূত্রের খবর, ধৃত সলমন সালাউদ্দিনকে খুনের কথা স্বীকার করেছে। তাঁকে বিরিয়ানি খাইয়ে পরে খাওয়ানো হয় মদ। অচৈতন্য হয়ে পড়লে করা হয় খুন। বাজারে সলমনের অনেক টাকা ধার ছিল। তাই বড়লোক বন্ধুকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ছক কষেছিল সে।  

    ২২ অগাস্ট খুন হয় বাগুইআটির আট নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অতনু দে ও অভিষেক নস্কর। এলাকারই হিন্দু বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল তারা। সেই ঘটনার পর এবার ফের ছাত্র খুন। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার হাল অন্যান্য রাজ্যের চেয়ে ভাল বলে বরাবরই দাবি করেন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সপ্তাহ তিনেকের মধ্যে তিন ছাত্রের খুনের ঘটনাই প্রমাণ করে দেয় তাঁর দাবি কতটা অসার!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Cow Smuggling Case:  অনুব্রত-কন্যার নামে জমির হদিশ!  বোলপুরের বিএলআরও অফিসে কী পেল সিবিআই?

    Cow Smuggling Case: অনুব্রত-কন্যার নামে জমির হদিশ! বোলপুরের বিএলআরও অফিসে কী পেল সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোলপুরের জমি রেজিস্ট্রি অফিসে তল্লাশি চালিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যার নামে জমির হদিশ পেল সিবিআই। মঙ্গলবার সকালে সিবিআইয়ের (CBI)দুই সদস্যের এক প্রতিনিধি দল বোলপুরে অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সাব রেজিস্ট্রার অফিস হানা দেয়। একেবারে অফিস খোলার সঙ্গে সঙ্গেই আসেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। 

    আরও পড়ুন: পার্থ-কাণ্ডে এবার উঠে এল এক ব্যাঙ্ক দম্পতির নাম! কালো টাকা সাদা করতে এরাই কি সাহায্য করত ?

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, অফিসের যেখানে দলিল সহ বাড়ি-জমির কাগজপত্র সার্চিং করা হয়, সেখানেই যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। অনুব্রত মণ্ডল সহ তাঁর কয়েকজন আত্মীয়ের যে সমস্ত বাড়ি-জমির নথি গোয়েন্দাদের কাছে এসেছে, সেগুলি কবে কেনা হয়েছে বা মালিকানা হস্তান্তর হয়েছে, সেটাই গোয়েন্দারা সার্চিং করে দেখেন। একেবার সার্চিং দফতরে কর্মীকে কম্পিউটারের সামনে বসিয়ে কোন সম্পত্তি কবে, কার থেকে, কত দামে কেনা হয়েছিল এবং বর্তমান মালিক কে তার খোঁজ নেন গোয়েন্দারা।

    আরও পড়ুন: বাম-বিজেপি নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে নয়া মোড়! কী হল আদালতে?

    সিবিআই সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে একাধিক নথি আধিকারিকরা পেয়েছেন। এদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত ছ’ঘণ্টা ধরে তাঁরা বিভিন্ন নথিপত্র খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন। এর পর তাঁরা ওই দফতর থেকে বেরিয়ে যান। বোলপুরের জমি রেজিস্ট্রি অফিসে নথিপত্র ঘেঁটে দেখার সময় সুকন্যার জমি ও সম্পত্তির হদিশ মেলে। অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যা ছাড়াও তাঁদের ঘনিষ্ঠদের স্থাবর সম্পত্তি ঠিক কত, সে সম্পর্কে তথ্য  খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা।

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুরের বল্লভপুর এলাকায় ০.৬২ একর জমির সন্ধান মিলেছে সুকন্যার নামে। সিবিআই আধিকারিকরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। অনুব্রতের দেহরক্ষী সহগল হোসেনের নামেও কোনও জমি আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সহগল এখন সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। পাশাপাশি বীরভূমের একাধিক চালকলের লিজের কাগজপত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমে পাথরবোঝাই লরি থেকে তোলাবাজি বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Birbhum: বীরভূমে পাথরবোঝাই লরি থেকে তোলাবাজি বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমে (Birbhum) পাথর বোঝাই লরি থেকে তোলাবাজির অভিযোগ ওঠে মাঝেমাঝেই। ভুয়ো সরকারি বিল ছাপিয়ে টাকা তোলার অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court)। এই ইস্যুতে এবার রাজ্যকে চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। অবৈধ ভাবে টাকা তোলা বন্ধ করতে রাজ্যকে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। পরবর্তী শুনানিতে ইডি সহ সবপক্ষের আইনজীবীকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১ নভেম্বর। 

    বীরভূমে পাথরবোঝাই লরি থেকে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন বীরভূমের এক বাসিন্দা। মামলাকারীর দাবি, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতি কিউবিক মিটারে ১৩০ টাকা করে রাজস্ব আদায় করবে সরকার। এই টাকা গ্রিপ চালানের মাধ্যমে খাদানের লিজ হোল্ডারের কাছ থেকে আদায় করার নিয়ম রয়েছে। অভিযোগ, এই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নলহাটি-মুরারই-সহ বীরভূমের একাধিক খাদান এলাকায় বেআইনিভাবে সরকারি বিল ছাপিয়ে টাকা তোলা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: রাজীব ভট্টাচার্য কি কেষ্টর ‘বেনামি’, কার চিকিৎসার জন্য ৬৬ লাখ দিয়েছিলেন? তদন্তে ইডি-সিবিআই

    এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। মামলার শুনানিতে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে, বেআইনিভাবে সরকারের নাম ভাঙিয়ে কোনওরকম তোলাবাজি করা চলবে না। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল উচ্চ আদালত।

    প্রসঙ্গত, বাংলার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই মামলা তাৎপর্যপূর্ণ। দুর্নীতির অভিযোগে এখন হাজতে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। দাপুটে তৃণমূল নেতা গ্রেফতারের পর থেকেই নড়ে চড়ে বসেছে প্রশাসন। কখনও অবৈধ বালি খাদান বন্ধ হচ্ছে, আবার কখনও পাথরের ক্র্যাশার, খাদান বন্ধ করার নিদান আসছে। এ সময়ই সামনে এল ভুয়ো বিল ছাপিয়ে পাথরবোঝাই লরি থেকে তোলা তোলার অভিযোগ।

     

  • Anubrata Mandal: অনুব্রতের চালকলে সিবিআই হানা! মিলল রাজ্য সরকারের স্টিকার লাগানো ৫টি গাড়ি

    Anubrata Mandal: অনুব্রতের চালকলে সিবিআই হানা! মিলল রাজ্য সরকারের স্টিকার লাগানো ৫টি গাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  এবার বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) চালকলে হানা দিল সিবিআই (CBI)। মিলল পাঁচটি বিলাসবহুল গাড়ি। প্রতিটিতে তৃণমূলের স্টিকার লাগানো। এই গাড়ির মালিক কে? কী কাজে ব্যবহার করা হত এই গাড়িগুলি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে একাধিকবার প্রশ্ন করা হলেও মুখে কুপুপ এঁটেছেন মিল কর্মীরা।  স্থানীয়দের দাবি, প্রায়ই ওই মিলে যেতেন অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা। 

    শুক্রবার সকালে প্রায় সোয়া দশটা নাগাদ ভোলে ব্যোম রাইস মিলে প্রবেশ করে সিবিআই। তবে শুরুতে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠে এসেছিল। দরজার তালা খোলা নিয়ে বেশ অনেকক্ষণ টালবাহানা চলে। প্রথমে নিরাপত্তারক্ষীরা বলেন , তাঁদের কাছে চাবি নেই। প্রায় মিনিট ৪০ পরে দরজা খুলে ভেতরে ঢোকেন সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর বোলপুরের ওই ভোলে ব্যোম রাইসমিল আসলে অনুব্রতের স্ত্রী এবং মেয়ের নামে। অনুব্রত কন্যা সুকন্যা ওই মিলে বসতেন। প্রায় ৪৫ বিঘা জায়গার ওপর অবস্থিত ওই রাইসমিল।

    আরও পড়ুন: অনুব্রতর ১৭ কোটির FD-তেই লুকিয়ে আরও ১৯ জনের ‘প্রাণভোমরা’! তাই কি ইডি-সিবিআইতে আপত্তি?

    সিবিআই সূত্রে খবর, চালকলের ভিতরে প্রবেশ করে তদন্তকারী অফিসারদের চোখ যায় একটি জায়গায়। সেখানে সার দিয়ে একের পর এক ঝকঝকে এসইউভি দেখতে পান তাঁরা। ওই গাড়িগুলির মালিক কে, তা জানার চেষ্টা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। ঝকঝকে সেই সব গাড়িতে আবার সাঁটানো রয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার’ লেখা স্টিকার। রয়েছে পাইলট কারও। পাশাপাশি, নিরাপত্তা রক্ষীরা কেন আধ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে গেট খোলেননি, সেটাও জানার চেষ্টা করছেন আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, গত দু’মাস ধরে এই চালকলটি বন্ধ রয়েছে। তা সত্ত্বেও এত কর্মী ভিতরে কী করছেন, সেই প্রশ্নও উঠেছে। 

    গরুপাচার মামলার তদন্তে সিবিআইয়ের নজরে অনুব্রত সহ তাঁর একাধিক ঘনিষ্ঠের সম্পত্তি। ইতিমধ্যে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১৭ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। স্থানীয় সূত্রের খবর ২০১১ সালের আগে এই রাইস মিল অনুব্রত মণ্ডলের ছিল না। ছিল অন্য কারও হাতে। ২০১৩ সালে অনুব্রত মণ্ডল তা কিনে নেন। সূত্রের খবর, আনুমানিক ৫ কোটি টাকা দিয়ে চালকলটি কেনেন অনুব্রত। এ-ও জানা যাচ্ছে, ওই চালকল বিক্রি করতে আগের মালিক হারাধন মণ্ডলকে এক প্রকার বাধ্য করা হয়। ব্যবসা চালাতে না পেরে কলটি বিক্রি করে দেন তিনি। 

     

  • Siuri Sealdah New Train: রবিবার থেকেই সিউড়ি-শিয়ালদহ নতুন ট্রেন

    Siuri Sealdah New Train: রবিবার থেকেই সিউড়ি-শিয়ালদহ নতুন ট্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের সিউড়ি (Birbhum Siuri) থেকে সরাসরি শিয়ালদহ (Sealdah) পর্যন্ত মেমু একপ্রেস চালু হতে চলেছে। এর ফলে সিউড়ির বাসিন্দাদের আর ঘুরপথে শিয়ালদহ যাতায়াত করতে হবে না। সিউড়ি থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ২৪০ কিলোমিটার। গাড়িতে এলে সময় লাগে ৪ ঘণ্টা, আর ট্রেনে সাড়ে চার ঘণ্টা। বীরভূম জেলা সদর থেকে কলকাতা নিত্য যাতায়াতের কোনও সুবিধা এতদিন ছিল না। ঘুরপথে যেতে হত যাত্রীদের। নইলে ভরসা ছিল বাস।

    বীরভূমবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, সিউড়ি-কলকাতার মধ্যে একটি ট্রেন চালু হোক। যাতে অফিস করে বাড়ি ফিরতে অসুবিধা না হয়। এতদিন দাবি জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এবার সিউড়িবাসীর আশা পূর্ণ হল। ৩১ জুলাই, রবিবার চালু হতে চলেছে নতুন এই ট্রেন। রেলমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে এই ট্রেন সিউড়ি থেকে অন্ডাল, বর্ধমান, ব্যান্ডেল, নৈহাটি হয়ে শিয়ালদহ পৌঁছবে, আবার শিয়ালদহ থেকে ওই একই পথে সিউড়িতে যাবে। নতুন ট্রেনটি ভোর ৫টা ২০ মিনিটে সিউড়ি স্টেশন থেকে ছাড়বে। শিয়ালদহে পৌঁছবে ৯টা ৫৭ মিনিটে। অন্যদিকে শিয়ালদহ থেকে এই ট্রেনটি ছাড়বে বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে ও সিউড়িতে গিয়ে পৌঁছবে রাত ১০টা ১৫ মিনিটে। এতদিন হুল আর ময়ূরাক্ষী ছাড়া কলকাতা আসতে পারতেন না সিউড়িবাসী। সিউড়ি শিয়ালদা ট্রেন চালু হওয়ার খবরে খুশি নিত্যযাত্রীরা।  

    বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় আরও দুটি দাবি জানিয়েছিলেন রেলমন্ত্রীর কাছে। এক দেউচা পাঁচামি-সিউড়ি নতুন লাইন ও সিউড়িতে একটি রেলওয়ে সাইডিং তৈরি করা। ভারতীয় রেল জানিয়েছে দুটি কাজেরই সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। জমি পেলেই কাজ শুরু করতে প্রস্তুত ভারতীয় রেল। এই প্রকল্পে রাজ্য সরকার সাড়া দেবে কি না তা সময় বলবে। কিন্তু স্থানীয় বিধায়ক বা সাংসদের বদলে বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়া বিজেপি প্রার্থী দাঁড়ালেন মানুষের পাশে। তাঁরই উদ্যোগে এবং কেন্দ্র সরকারের সহায়তায় চালু হতে চলেছে সিউড়ি-শিয়ালদা নতুন ট্রেন (Siuri Sealdah MEMU)।                                                                                                                                                                                                                                                                                                    

LinkedIn
Share