Tag: Birbhum

Birbhum

  • CBI Summons Bankers: গরুপাচার মামলায় বীরভূমের চার ব্যাংক আধিকারিককে তলব সিবিআইয়ের

    CBI Summons Bankers: গরুপাচার মামলায় বীরভূমের চার ব্যাংক আধিকারিককে তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) নয়া মোড়। এবার সিবিআই (CBI)- তলব (Summons) করল বীরভূমের (Birbhum) চার রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংক আধিকারিককে (Banker)। আজই কলকাতা এসে পৌঁছেছেন তাঁরা। নিজাম প্যালেসে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে তাঁদের। এই আধকারিকদের নিজের সঙ্গে এই মামলা সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি নিয়ে হাজির হতে বলেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। অবুব্রত ঘনিষ্ঠদের ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের নথি সিবিআই আধিকারিকদের হাতে এসেছে বলে খবর। এছাড়া কেষ্ট (Anubrata Mondal) আত্মীয়দের একাধিক ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে অনুমান করছে গোয়েন্দারা। আর এই বিষয়ে খোঁজ খবর নিতেই চার ব্যাংক আধিকারিককে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। 

    আরও পড়ুন: অনুব্রত, তাঁর ঘনিষ্ঠদের নথিভুক্ত সম্পত্তি ঠিক কত? জানলে চোখ কপালে উঠবে

    ইতিমধ্যেই গরুপাচার মামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। ফের ১৮ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। ১৫ সেপ্টেম্বর সিবিআই- এর বিশেষ আদালতে তোলা হবে। 

    সম্প্রতি গরুপাচার মামলা নিয়ে মুখ খুলেছেন, কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ। তিনি বলেন, বীরভূমের পর মুর্শিদাবাদ, নদিয়া সব পেরিয়ে গরু পাচার হয় বিভিন্ন জায়গায়, সেই সব জেলার প্রশাসন-পুলিশ, সমস্ত রাজনৈতিক নেতা সমস্ত ব্যাপারগুলো হয়েই তো এগুলো হয়।” যখন গরুপাচার মামলা নিয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য, তখনই এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন, তৃণমূল বিধায়ক। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে পর্যন্ত তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র কেতুগ্রামের তৃণমূলের দায়িত্বে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। আর সেই অনুব্রতকে নিয়েই মুখ খুলেছেন শেখ শাহনওয়াজ।

    আরও পড়ুন: গরু পাচারের টাকার খোঁজ পেতে সায়গলকে হেফাজতে নিতে চায় ইডি!

    অনুব্রত এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ জানতে চায় সিবিআই। দুর্নীতির গভীরতা ঠিক কতটা মূলত তা জানাই লক্ষ্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। আর তা জানতেই একের পর এক তল্ব করছেন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, ওই চার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মীদের বেশ কিছু নির্দিষ্ট প্রশ্ন করবেন সিবিআই গোয়েন্দারা। অনুব্রত এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেন সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে চাইতে পারেন, ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে টাকা আসত কোথা থেকে, এবং যেত কোথায় তার বিস্তারিত নথি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cattle smuggling: কেন গ্রেফতার অনুব্রতর দেহরক্ষী, এত সম্পত্তি হল কীভাবে?

    Cattle smuggling: কেন গ্রেফতার অনুব্রতর দেহরক্ষী, এত সম্পত্তি হল কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল (TMC) নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। সিবিআইয়ের দাবি, আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মিলেছে ওই কনস্টেবলের কাছ থেকে। মিলেছে সোনা এবং নগদ। পরিবারের এক নিকটাত্মীয় মারা যাওয়ার পর তাঁর স্থানে পুলিশের (Bengal Police) চাকরিতে ঢোকেন সায়গল। ক্রমেই কেষ্ট মণ্ডলের দেহরক্ষী, তারপর থেকে প্রভাব এবং প্রতিপত্তি দুই-ই বিপুল হয়েছে। অভিযুক্ত হয়েছেন গরু পাচার (Cattle smuggling) মামলায়। শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার।

    কিন্তু কেন সিবিআই সায়গলকে ধরল?

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, ২০১৭-১৮ সালে মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার হওয়া বিএসএফের (BSF) কমান্ডান্ট জিবু ম্যাথু ধরা পড়ার পরই গরু পাচারের চক্রটি বেরিয়ে আসে। সিবিআইয়ের কোচি শাখা ওই মামলার তদন্ত করছে। তাতেই গ্রেফতার হয়েছিল গরু পাচারের অন্যতম মূল মাথা এনামুল শেখ (Enamul Sheikh)। আর এখান থেকেই যোগাযোগ মিলেছে সায়গলের। সায়গলের গুরু ঠাকুরদেরও খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে সিবিআই। শুধু কিছু সময়ের অপেক্ষা। 

    তদন্তকারীদের একাংশ জানাচ্ছেন, জেলে যাওয়ার আগে এনামুলের সঙ্গে সায়গলের এক বছরে শতাধিক বার টেলিফোনে কথা হয়েছে। তদন্তে দেখা গিয়েছে, এনামুলের ওই ফোনটি নেওয়া ছিল তাঁর এক ভাইয়ের নামে। তিনি স্বীকার করে নেন, তাঁর নামে ফোনটি নেওয়া হলেও সেটা ব্যবহার করতেন এনামুলই। 

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকার লেনদেন! গেছে কার পকেটে? তদন্তে ইডি

    প্রশ্ন, এনামুল বারবার সায়গলের সঙ্গে কথা বলতেন কেন? তদন্তকারীরা মনে করছেন, বীরভূম ছিল গরু পাচারের অন্যতম করিডর। জেলায় পাঁচটি গরুর হাট থেকে নিয়মিত গরু বাংলাদেশে পাচার হয়। এছাড়া সায়গলের ‘বস’ অনুব্রত মণ্ডল সেই সময় রাজনৈতিকভাবেও মুর্শিদাবাদ যাতায়াত শুরু করেছিলেন। তদন্তে জেরার সময় অনেকেই সিবিআইকে জানিয়েছেন, সায়গলের কাছে আসা অধিকাংশ ফোনই আসলে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলার জন্যই আসত। 

    পাঁচ দফা জেরাপর্বে সে কথা সায়গল স্বীকার করতে চাইছিলেন না। উল্টে এমন কয়েকজনের নাম তদন্তকারীদের সামনে তিনি নিয়ে এসেছিলেন যাঁদের বিষয়ে সিবিআইয়ের কাছে বিশদ তথ্য ছিল না। ফলে গরু পাচারের চক্রটি আরও বড় করে দিয়েছিলেন সায়গল। সপ্তাহে দু-তিন বার কেন এনামুল তাঁর সঙ্গে কথা বলতেন, তা এবার হেফাজতে নিয়ে জানতে চাইবে সিবিআই। এপ্রিলের শেষে তাঁর গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে। মারা যায় তাঁর ছোট্ট মেয়ে। তারপর থেকেই সায়গল কিছুটা তদন্তে সহযোগিতা শুরু করেন বলে খবর।

    এ তো গেল গরুপাচার নিয়ন্ত্রণে সায়গল এবং তাঁর মাথাদের যোগসূত্রের কথা। নামে-বেনামে সায়গলের সম্পত্তি দেখলে চোখ কপালে উঠবে সবার। সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা জেনেছেন, কয়েকশো কোটি টাকার মালিক তিনি। গত ১ এবং ২ জুন টানা তল্লাশি চালায় সিবিআই। কলকাতাতেই তাঁর তিনটি ফ্ল্যাট মিলেছে। এছাড়া ডোমকল ও বোলপুরে প্রাসাদের মতো বাড়ি। সবই হয়েছে গত পাঁচ ছয় বছরে। একটি বাড়ি থেকে মিলেছে নগদ ১৫ লক্ষ টাকা। সবমিলিয়ে পাওয়া গিয়েছে প্রায় ২ কেজি সোনা। তার মধ্যে একটি ফ্ল্যাট থেকেই ৯০০ গ্রাম সোনা পাওয়া গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: টানা চার ঘণ্টা জেরা, ধকল সইতে না পেরে হাসপাতালে অনুব্রত!

    তদন্তকারীদের দাবি, নামে-বেনামে পেট্রল পাম্প, রিসর্টেরও মালিক সায়গল। আরও বিস্ফোরক খবর হল, ডেউচা-পাচামির (Deucha Pachami) এক ক্রাশার মালিক সায়গলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছেন। সেই নথিও সিবিআইয়ের হাতে এসেছে। অনুব্রতর দেহরক্ষীর আয়কর রিটার্নে কোথাও এসবের উল্লেখই নেই। কেন কোনও ব্যবসায়ী তাঁকে এত বিপুল পরিমাণ টাকা পাঠাচ্ছেন, তা এবার হেফাজতে থাকাকালীন জানাতে হবে সায়গলকে। তদন্তকারীরা জানতে চাইবেন, বেনামি সম্পত্তিগুলি আসলে কার? 

    সিবিআইয়ের এক তদন্তকারীর কথায়, যদি তৃণমূলের নেতা কেষ্ট মণ্ডলের দেহরক্ষীই এত বিপুল সম্পত্তির অধিকারী হোন, তা হলে দলের আরও বড় মাথাদের কথা ভেবে দেখুন। গরুপাচার থেকে শুরু করে কয়লাপাচার (Coal Smuggling) ও এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি (SSC Recruitment Scam) যোগে এঁদের সকলকেই এবার আইনি প্রক্রিয়ায় আসতে হবে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, গরু পাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling) শুধু সায়গল নন, জড়িত রয়েছেন বীরভূমের (Birbhum) বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসার, রাজনৈতিক নেতা। তাঁদেরও বিচারের প্রক্রিয়ায় দ্রুত আনার জন্য তদন্তের জাল বিস্তার হচ্ছে।

  • Birbhum Bombs recovered: বারুদের স্তূপ বীরভূম! এবার ডোবা থেকে উদ্ধার ট্রাঙ্ক-ভর্তি বোমা

    Birbhum Bombs recovered: বারুদের স্তূপ বীরভূম! এবার ডোবা থেকে উদ্ধার ট্রাঙ্ক-ভর্তি বোমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বগটুই ঘটনার পর কেটে গেছে ৬৭ দিন। এখনও বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্ধার হচ্ছে বোমা বারুদ অস্ত্র। এবার ডোবা থেকে এক ট্রাঙ্ক ভর্তি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। আবার কেন্দ্রস্থল সেই মাড়গ্রাম, যেখান থেকে গত ২ মাসে অন্তত ৪ বার বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। 

    ২১ মার্চের ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল যাবতীয় বোমা অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। তারপর থেকে উদ্ধার হয়েই যাচ্ছে। বগটুই গ্রাম থেকে খুব বেশি দূরে নয় মাড়গ্রাম। গত ২ মাসে এই এলাকার নাম বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে। 

    কখনও ড্রামের মধ্যে, নদীর পাড়ে, কখনও পরিত্যক্ত শৌচাগারের চেম্বার, কখনও আবার ঝোপ। সাম্প্রতিককালে, বীরভূম জেলার একাধিক জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে চারশোরও বেশি তাজা বোমা। 

    এর আগে গত ২৫ মার্চ, মাড়গ্রাম থানার অন্তর্গত ছোট ডাঙাল গ্রামেও থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর তাজা বোমা। প্রায় ২০০ বোমা উদ্ধার হয়। খালের পাশে ৬ টি ব্যারেলের মধ্যে বোমাগুলি রাখা ছিল। খবর পেয়ে সেগুলি উদ্ধার করে পুলিশ। 

    একদিন পরই, মাড়গ্রামে রামপুরহাট-বিষ্ণুপুর রাজ্য সড়কের ধারে নির্মীয়মাণ বাড়ির পিছনের চৌবাচ্চায় ৪ বালতি-ভর্তি বোমা মিলেছিল। বালতিগুলি খড় দিয়ে চাপা দেওয়া ছিল। স্থানীয় মানুষ খবর দেয় পুলিশকে। অন্তত ৪০টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। 

    ফের একবার বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে শিরোনামে মাড়গ্রাম। এবার মাড়গ্রাম থানার মাহিপাড়া থেকে উদ্ধার করা হল ট্রাঙ্কভর্তি বোমা। আর শুধু মাড়গ্রাম নয়, গোটা বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গত ২ মাসে বিপুল পরিমাণ বোমা উদ্ধার হয়েছে। রামপুরহাট থেকে দুবরাজপুর  বা  নানুর থেকে লাভপুর– বারবার বোমা উদ্ধার হয়েছে এই জলা থেকে। 

    এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক সাম্প্রতিককালে বীরভূম থেকে বোমা-আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়ার ঘটনাবলি-

    ২৫ মার্চ – বোমা উদ্ধার মাড়গ্রামে
    ২৬ মার্চ – বোমা উদ্ধার মাড়গ্রামে
    ৪ এপ্রিল – লোকপুরে তাজা বোমা উদ্ধার
    ৯ এপ্রিল – নানুরে ৫ টি আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার ৫ জন।
    ১৬ এপ্রিল – বোমা উদ্ধার মাড়গ্রামে
    ৩ মে – রামপুরহাটে তাজা বোমা উদ্ধার
    ১০ মে – বোমা উদ্ধার পাইকরে
    ১১ মে – পিস্তল উদ্ধার রামপুরহাটে
    ১৬ মে – আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার রামপুরহাটে
    ১৯ মে – আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার রামপুরহাটে
    ২৪ মে – আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার রামপুরহাটে
    ২৫ মে  – আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার রামপুরহাটে
    ২৫ মে – আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার লাভপুরে
    ২৭ মে – বোমা উদ্ধার মাড়গ্রামে

    এপ্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, “প্রতিদিন বোমা উদ্ধারের পরও কিভাবে এলাকায় এত বোমা পাওয়া যাচ্ছে? কাদের মদতে এলাকায় বোমা বারুদের শিল্প তৈরি হচ্ছে?” বিরোধীদের কটাক্ষ, বারুদের স্তূপের উপর বসে আছে গোটা জেলা। এই জেলায় যত বোমা এবং বারুদ মজুত আছে তাতে শুধু বীরভূম কেন, একটা দেশ উড়ে যেতে পারে! 

     

  • Birbhum: সিআইডি নয়, বীরভূমে জোড়া বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত করবে এনআইএ, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Birbhum: সিআইডি নয়, বীরভূমে জোড়া বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত করবে এনআইএ, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বীরভূমে জোড়া বিস্ফোরণে এনআইএ (NIA) তদন্তের নির্দেশ আদালতের। বিস্ফোরণ সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্র কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে দিতে সিআইডিকে (West Bengal CID) নির্দেশও দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। ঘটনায় ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্য সরকারের (Mamata Government)।

    সিবিআই থেকে ইডি বা এনআইএ – রাজ্যে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনার তদন্তের দায়ভার পড়ছে কেন্দ্রীয় এই সব এজেন্সির হাতে। বছর তিনেক আগে এক মাসের ব্যবধানে বীরভূমে ঘটে যাওয়া জোড়া বিস্ফোরণের তদন্তভার এবার হাইকোর্টের নির্দেশে বর্তাল এনআইএ-র ওপর।

    বিস্ফোরণের প্রথম ঘটনাটি ঘটে ২০১৯ সালের ২৯ অগাস্ট, বীরভূমের সদাইপুরের রেঙ্গুনি গ্রামে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে উড়ে যায় জনৈক হাইতুন্নেশা খাতুনের গোয়ালঘরের চাল। এই ঘটনার জেরে বাতাসে লেগে থাকা বারুদের গন্ধ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই বিস্ফোরণের দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে। এবার ঘটনাস্থল বীরভূমের লোকপুরের গাংপুর। ২০ সেপ্টেম্বর স্থানীয় বাসিন্দা বাবলু মণ্ডলের বাড়ির টিনের চাল উড়ে যায়। পুলিশের হাত ঘুরে দুই বিস্ফোরণের তদন্তভার যায় সিআইডির(CID) হাতে। আদালতের নির্দেশে পরে যে দায়িত্ব বর্তায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র হাতে।

    তদন্তভার পাওয়ার পরেও তদন্তের কাজ বিশেষ না এগনোয় রাজ্যকেই দুষতে থাকে এনআইএ। দ্বারস্থ হয় বিশেষ আদালতের। এরপর নথি দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় বিশেষ আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সেই মামলায়ই এই নির্দেশ দেয় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চ। নির্দেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের মন্তব্য, আইন অনুযায়ী এই ধরনের ঘটনা ঘটলে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা, এনআইএ-কে একটা প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠায়। সেই রিপোর্ট বিবেচনা করে তদন্ত করা বা না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু এই দুই ঘটনার ক্ষেত্রে সেই রিপোর্ট পাঠানো হয়নি। যেহেতু রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার চেয়ে এনআইএ-র বিস্তৃতি আরও বেশি, সেজন্য ন্যায়-বিচারের স্বার্থে দুই মামলার তদন্তভার দেওয়া হল এনআইএ-কে।

     

  • anubrata mandal: গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই দফতরে অনুব্রত মণ্ডল, কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    anubrata mandal: গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই দফতরে অনুব্রত মণ্ডল, কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করলেন অনুব্রত মণ্ডল(anubrata mandal)!

    শেষমেশ বৃহস্পতিবার সাত সকালেই নিজাম প্যালেসে গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই(cbi) দফতরে হাজিরা দিলেন তৃণমূলের(tmc) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এদিন সকাল ৯টা ৫০ মিনিট নাগাদ সিবিআই দফতরে হাজির হন তিনি। বুধবার সন্ধেয় সিবিআই দফতরে হাজির হয়েছিলেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও।

    ৬ এপ্রিল গরু পাচারকাণ্ডে দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রতকে নিজাম প্যালেসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই। সেদিন সকালে চিনার পার্কের বাড়ি থেকে বেরিয়েও পরে আর সিবিআই দফতরে হাজির হননি তিনি। শারীরিক অসুস্থতার জেরে এসএসকেএম হাসপাতালের(sskm hospital) উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হন তিনি। অনুব্রত তখন সিবিআইকে জানিয়েছিলেন, তারা চাইলে হাসপাতালে এসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। হাসপাতাল থেকে ছুটির পরে ফের একবার সিবিআইকে চিঠি দেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর বাড়িতে বা ভার্চুয়াল মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজি আছেন তিনি।

    পরে সিবিআইকে ফের একবার চিঠি দিয়ে তিনি জানান, ২১ মে’র পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রস্তুত। নির্দিষ্ট ডেডলাইন শেষ হওয়ার আগেই বুধবার সিবিআই দফতরে ফের আইনজীবি মারফৎ চিঠি পাঠান অনুব্রত। জানিয়ে দেন, গরু পাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদে রাজি হন তিনি। সেই মতো বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে সময় দেয় সিবিআই। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে। এদিন তার ঢের আগেই চিনার পার্কের বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান তিনি।           

    এসএসসি মামলায় বুধবার সন্ধেয় সিবিআইয়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা তাঁকে জেরা করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। তার পরের দিনই সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দিলেন অনুব্রত। তাঁকে জেরা করে গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তের জট খুলতে পারে বলেই আশা তদন্তকারীদের।

    আরও পড়ুন : নিজাম প্যালেসে সাড়ে তিন-ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে

    রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পার্থকে(partha chaterjee ) কেবল জিজ্ঞাসাবাদ করেই ছেড়ে দিয়েছে সিবিআই। তার পরেই সাহস পেয়েছেন অনুব্রত। সেই কারণেই এদিন বীরভূমের(Birbhum) দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত সাত সকালে হাজির হয়েছেন সিবিআই দফতরে।

     

     

  • Bagtui Violence: বগটুইকাণ্ডে নাম জড়াল বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারের, প্রত্যক্ষদর্শীর বিস্ফোরক দাবিতে বিপাকে তৃণমূল

    Bagtui Violence: বগটুইকাণ্ডে নাম জড়াল বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারের, প্রত্যক্ষদর্শীর বিস্ফোরক দাবিতে বিপাকে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাম্প্রতিককালের একটি ঘটনা যা গোটা রাজ্যকে নাড়িয়ে দিয়েছে তা হল বীরভূমের (Birbhum) বগটুইকাণ্ড (Bagtui violence)। রামপুরহাটের (Rampurhat) এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। ইতিমধ্য়েই এই কাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। আর এরমধ্য়েই উঠে আসছে একটার পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। 

    ইতিমধ্য়েই, এই কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে একাধিক তৃণমূল নেতার। এই কাণ্ডের পরেই তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই নেতা এখন সিউড়ি জেলে বন্দি। এবার উঠে এল উঠে এল রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। স্থানীয় বিধায়ক আশিসের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় জড়িত থাকার বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন এই হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী তথা নিহতদের আত্মীয় মিহিলাল শেখ। যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস।

    সম্প্রতি, মিহিলাল শেখ দাবি করেছেন, ‘আশিস বন্দোপাধ্যায় আনারুলকে দিয়ে এসব কাণ্ড ঘটিয়েছেন। উনিই আনারুলকে ব্লক সভাপতি করেছেন। তিনি আনারুলকে গাইড করছেন। কাউকে যেন না ছাড়া হয়।’ এখানেই থেমে থাকেননি মিহিলাল। আশিসের বিরুদ্ধে আরও তোপ দাগেন তিনি। ক্ষোভের সুরে তাঁর অভিযোগ, ধৃতরা জেলের ভিতর রাজার হালে আছে। স্থানীয় বিধায়কের মদতে জেলের ভিতর তাদের সব সুবিধা পৌঁছচ্ছে।

    আশিসের নাম এই প্রথম উঠে এল এমনটা নয়। বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এর আগে আনারুলকে সরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরেই আনারুলকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আমি আশিসকে বলেছিলাম।’ 

    গত ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে খুন হন ১ নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ। তারপর বগটুই গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে শিশু ও মহিলা সহ ৭ জনকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। পরে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হা পাতালে ঘটনায় আহত আরও দুই মহিলার মৃত্যু হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে জোড়া ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআইকে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেনসহ মোট ২৮ জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।

    ইতিমধ্যেই সিবিআই একের পর এক বহু প্রশাসনিক আধিকারিক এবং তৃণমূল নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সেক্ষেত্রে ডেপুটি স্পিকারের নাম জড়ানোই তাঁকেও কি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে? সেই প্রশ্ন এখন ঘোরাফেরা করছে। চরম অস্বস্তিতে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস। মিহিলালের স্পষ্ট দাবি, ‘আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের ওপর অত্যাচার করছে। যারা পুড়িয়ে মেরেছে তারা জেলে থেকেও সমস্ত রকমের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। জেলে এলাহিভাবে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। বিয়ার খাচ্ছে, বিরিয়ানি, বাইরের খাবার পাচ্ছে। আর এসব ব্যবস্থা করছে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।’ 

    যদিও, মিহিলালের (Mihilal Sheikh) যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করেছেন রামপুরহাটের বিধায়ক। আশিস বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Deputy Speaker Ashish Banerjee) পাল্টা দাবি, মিহিলাল কারও শেখানো বুলি আওড়াচ্ছেন। পরিকল্পিতভাবে তিনি দলকে ও আমাকে হেয় করতে চাইছেন। তিনি বলেন, ‘এক মাস হয়ে গেল তারপর এখন এই ঘটনায় আমার নাম জড়ানো হচ্ছে। আমার মনে হয় এইসব পুরোপুরি মিথ্যা, শেখানো কথা। প্রমাণ থাকলে আমি নির্বাসন নেব।’

     

     

  • Sushovan Bandyopadhyay: ওনার কথা আজও মনে পড়ে! প্রয়াত চিকিৎসক সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়েকে চিঠি মোদির

    Sushovan Bandyopadhyay: ওনার কথা আজও মনে পড়ে! প্রয়াত চিকিৎসক সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়েকে চিঠি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদ্মশ্রী প্রাপ্ত ডাক্তার প্রয়াত সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ে মন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শোকবার্তা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তিনি চিঠিতে লেখেন, ‘ডাক্তার সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বশ্রেষ্ঠ মানবাত্মার প্রতীক। অসংখ্য মানুষের রোগ উপশমকারী একজন দয়ালু ও উদারহৃদয় চিকিৎসক হিসেবেই তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁর মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তাঁর পরিবারের পাশে আছি। ওনার জায়গা পূরণ হওয়ার নয়। ওনার চলে যাওয়া এক অপূরণীয় ক্ষতি। উনি না থাকলেও ওনার আদর্শ এবং কাজ আমাদের মধ্যে চিরদিন থেকে যাবে।’ প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, ‘পদ্ম পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের সময় তাঁর সঙ্গে মত বিনিময়ের কথা আমার আজও মনে আছে । তাঁর প্রয়াণে আমি ব্যথিত।’ এর আগে তাঁর প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করে ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী।

    গত ২৬ জুলাই প্রয়াত হন বোলপুরের ((Bolpur) অত্যন্ত জনপ্রিয় চিকিৎসক ‘১ টাকার ডাক্তার’ (1 Rupee doctor) সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় (Sushobhan Banerjee)। কিডনির সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি। ৮৪ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ফেলেন (Demise) তিনি। বছরের পর বছর ধরে এলাকায় এক টাকার ডাক্তার হিসাবে পরিচিত ছিলেন, সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়। বোলপুরের হরগৌরিতলায় ৫৭ বছর ধরে মাত্র এক টাকায় রোগী দেখে আসছিলেন তিনি। গরিব মানুষদের জন্য তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ।

    আরও পড়ুন: ভালো নেই সলমন রুশদি, হারাতে পারেন একটি চোখ

    ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ৩০ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন ডাক্তার সুশোভন ব্যানার্জি।  গত কয়েক মাস ধরেই কিডনি সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছিলেন। ধারাবাহিকভাবে চলছিল তাঁর ডায়ালাইসিস। তবে এই ডায়ালাইসিস চলাকালীনও তিনি যতটা সম্ভব রোগীদের পরিষেবা দিয়েছেন। এরই মধ্যে ১৫-২০ দিন আগে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাঁকে ভর্তি করা হয় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সুশোভনবাবু আজীবন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট সদস্য ছিলেন। সাধারণ মানুষের আর্জি মেনে নিয়ে জীবিত অবস্থায় বোলপুরে তিনি নিজের মূর্তি উন্মোচন করেছিলেন।

  • Sukanta on Anubrata: “বাঁচার চেষ্টা করবেন…বেশিদিন বাঁচতে পারবেন না”, কার সম্পর্কে একথা বললেন সুকান্ত?

    Sukanta on Anubrata: “বাঁচার চেষ্টা করবেন…বেশিদিন বাঁচতে পারবেন না”, কার সম্পর্কে একথা বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বীরভূমের (birbhum) তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি ডেরায় গিয়ে এবার অনুব্রতকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তৃণমূল (tmc) নেতার অসুস্থতা সম্পর্কে তাঁর ইঙ্গিত, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের এড়াতেই ফের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি।

    বৃহস্পতিবার ডেউচা-পাঁচামিতে ‘উচ্ছেদ বিরোধী’ পদযাত্রায় যোগ দিতে বীরভূম গিয়েছিলেন সুকান্ত। ছিলেন তারাপীঠের একটি হোটেলে। শুক্রবার সকালে যান তারাপীঠ মন্দিরে (tarapith temple)। সেখানেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রতকে (Anubrata Mandal) নিয়ে মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকবেন তিনি। আমরা জানি তো। তিনি অসুস্থ থাকবেন এবং অসুস্থ থেকে বাঁচার চেষ্টা করবেন। তবে বেশিদিন বাঁচতে পারবেন না এটুকু বলতে পারি।”

    সিবিআই গ্রেফতারি এড়াতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত। পরে ৬ এপ্রিল অসুস্থ হয়ে পড়ায় ভর্তি হন এসএসকেএম হাসপাতালে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও, বুধবার রাতে ফের বুকে ব্যথা অনুভর করেন। এবার ভর্তি হন বাইপাসের ধারের এক বেসরকারি হাসপাতালে। এই নিয়েই কটাক্ষ করেন সুকান্ত।

    কেবল অনুব্রত নন, এদিন সুকান্তের নিশানায় ছিল রাজ্য সরকারও। মাসখানেকের মধ্যে শুধু বীরভূমেই চারটি ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে সুকান্তের কটাক্ষ, রাজ্যে যেভাবে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, তাতে মা-বোনেরা সুরক্ষিত নন। মা-বোনেদের সুরক্ষা চাওয়ার জন্যই মা তারার কাছে আজ পুজো দেওয়া। বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান, ইতিমধ্যেই একাধিক ধর্ষণ ও অন্যান্য ঘটনায় আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের এই সব নির্দেশেই স্পষ্ট, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। রাজ্য পুলিশের ওপর আদালতের বিচারকের কোনও ভরসা নেই।

    আরও পড়ুন : “বাংলা জেহাদিদের আঁতুড়ঘর”, বিএসএফের রাইফেল ছিনতাইকাণ্ডে ট্যুইট সুকান্তর

    রাজ্য পুলিশকেও কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত। তিনি বলেন, পুলিশ যে অপারগ, তা দেখা যাচ্ছে। যেখানে রাজনৈতিক কোনই ইন্ধন রয়েছে, সেখানে পুলিশকে দেখে বোঝা যাচ্ছে, তারা নখ-দন্তহীন কেমন একটা বাঘ।

     

  • Cbi on Bhadu Sheikh murder: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুন হন ভাদু শেখ, বলছে সিবিআই রিপোর্ট

    Cbi on Bhadu Sheikh murder: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুন হন ভাদু শেখ, বলছে সিবিআই রিপোর্ট

    কলকাতা: বখরার টাকার ভাগ বাঁটোয়ারার পরিণতিতেই বগটুইয়ের(bogtui) ঘটনা ঘটেছিল। সিবিআইয়ের (CBI) প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পর অন্তত এমনই মনে করছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High court)। সেই কারণেই স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনেও (bhadu sheikh murder) সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

    ২১ মার্চ রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ খুন হন রামপুরহাটের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের ভাদু শেখ। এর ঘণ্টা দুয়েক পরেই বগটুই গ্রামে কার্যত তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয় ৯ জনকে। ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করে রাজ্য সরকার (West Bengal government)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) নির্দেশে তারাপীঠ থেকে সিট গ্রেফতার করে তৃণমূলের তৎকালীন ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে (Anarul Hossain)। যদিও আনারুলের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আত্মসমর্পণ করেছেন তিনি।

    বগটুইকাণ্ডের তদন্তে সিবিআই দাবি করেন বিরোধীরা। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সিবিআই তদন্তের (CBI investigation) নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টও। ৮ এপ্রিল সিবিআই প্রাথমিক রিপোর্ট দেয়। সেই রিপোর্ট থেকেই জানা যায়, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কাজিয়ার জেরে ঘটে বগটুইয়ের ঘটনা। ওই রাতে ভাদু শেখ খুনের পরেই শুরু হয় বদলা নেওয়ার পালা। যার জেরে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে লাশ হয়ে যান ৯ জন। এর পরেই ভাদু শেখ খুনেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। ভাদু শেখ খুনের নেপথ্যে যে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বখরা সংক্রান্ত কোনও বিবাদ রয়েছে, তা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। একই দাবি জানিয়েছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এদিন সিবিআইয়ের কাছ থেকে প্রাথমিক রিপোর্ট পেয়ে আদালতও মনে করছে, বখরা সংক্রান্ত গন্ডগোলের জেরেই বগটুইকাণ্ড। সেই কারণেই ভাদু শেখ খুনেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ।

LinkedIn
Share