Tag: Birbhum

Birbhum

  • Tarapith Ratha Yatra: রথে চড়ে তারাপীঠ ঘুরলেন মা-তারা, কেন মন্দিরের বাইরে বের হন দেবী?

    Tarapith Ratha Yatra: রথে চড়ে তারাপীঠ ঘুরলেন মা-তারা, কেন মন্দিরের বাইরে বের হন দেবী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্মের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল রথযাত্রা। স্নানযাত্রার পর নিভৃতবাস থেকে বেরিয়ে আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে রথে চড়ে দাদা বলরাম ও বোন সুভদ্রাকে নিয়ে মাসির বাড়ি যান জগন্নাথদেব। এর সাতদিন পরে তাঁরা যখন ফিরে আসেন, সেটাই উল্টো রথ নামে পরিচিত। এই রথযাত্রা ও উল্টোরথের শুভ দিনে বীরভূমের (Birbhum) তারাপীঠ মন্দিরে ভিড় জমান হাজার হাজার ভক্তরা। মা-তারার (Tarapith Ratha Yatra)  বিগ্রহকে গর্ভগৃহের বাইরে আনা হয় শুধুমাত্র রথের এই দু’দিন। এরপর রথে বিগ্রহকে বসিয়ে প্রদক্ষিণ করা হয় তারাপীঠ।

    তারাপীঠে রথের প্রচলন কবে শুরু হয়? (Tarapith Ratha Yatra)  

    তারাপীঠে রথযাত্রার (Tarapith Ratha Yatra) মাহাত্ম্যই আলাদা। জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে নিয়ে রথযাত্রা উৎসব নয়, তারাপীঠে তারা-মা-ই জগন্নাথের প্রতিভূ। একাধারে তিনিই কালী, তিনিই কৃষ্ণ। সোজা রথ থেকে উল্টো রথ-দুই পর্যায়ের রথেই মা-তারাই অধিষ্ঠিতা থাকেন। তারাপীঠের ইতিহাস ঘাটলে জানা যায়, আনুমানিক ১৭৮০ সালে নাটোরের রানি ভবানীর দত্তকপুত্র রাজা রামকৃষ্ণ তারাপীঠে রথের প্রচলন করেছিলেন। পরবর্তীকালে কলকাতার আশালতা সাধুখাঁ নামে এক ভক্ত রথঘর নির্মাণ করেন। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অজয় মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে যার উদ্বোধন হয়েছিল। সেই সময় কাঠের তৈরি একটি রথে তারা-মাকে বসিয়ে গোটা চণ্ডীপুর গ্রাম (বর্তমানে তারাপীঠ নামে পরিচিত) প্রদক্ষিণ করানো হত। সেই সময় রথের রশিতে টান দিতে স্থানীয় মানুষ ছাড়াও আশপাশের বাসিন্দারাও ভিড় জমাতেন। হরিনাম সংকীর্তন, বিভিন্ন রকমের বাজনা ও ‘জয় তারা’ ধ্বনি সহযোগে তারা মাকে রথে চাপিয়ে গ্রাম ঘোরানো হত। সময় যত গড়িয়েছে, তারা মায়ের রথের মাহাত্ম্য ততই প্রসিদ্ধি লাভ করেছে।

    আরও পড়ুন: জগন্নাথদেবের রত্নভাণ্ডারের ভিতরে নাগ দেবতা! দরজা খুলে কী দেখা গেল?

    উল্টোরথে তারা মাকে দেখতে ভক্তদের ঢল নামে

    রথযাত্রার দিনের মতো, উল্টো রথের দিন, সোমবার বিকেলে মা-তারার বিগ্রহকে (Tarapith Ratha Yatra) প্রদক্ষিণ করানো হল তারাপীঠে। যেহেতু তারাপীঠে মা-তারা একমাত্র অধিষ্ঠাত্রী দেবী, তাই মা তারাকেই এখানে দেবদেবী রূপে পুজো করা হয়ে থাকে। আর বছরের তিনটি দিনে মা-তারাকে মূল মন্দির থেকে বের করা হয়। এক, শুক্লা চতুর্দশীর দিনে আবির্ভাব দিবসে। অন্যদিন, এই রথযাত্রার দিনে এবং উল্টো রথের দিনে। উল্টো রথযাত্রার দিনে মা-তারাকে রথে চাপিয়ে তারাপীঠ এলাকা প্রদক্ষিণ করা হয়। তারপর আবার মাকে মূল মন্দিরে ফিরিয়ে নিয়ে আনা হয়। মা-তারার এই বিশেষ রথযাত্রা দেখতে তারাপীঠে (Birbhum) প্রচুর ভক্তের ভিড় হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “সংখ্যালঘুরা বোমা তৈরি করবে, সংখ্যাগুরুরা বড় দায়িত্বে থাকবে, হতে পারে না”, বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    Birbhum: “সংখ্যালঘুরা বোমা তৈরি করবে, সংখ্যাগুরুরা বড় দায়িত্বে থাকবে, হতে পারে না”, বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমানেই ২১ জুলাই, তৃণমূলের বড় কার্যক্রম। আর তাকে কেন্দ্র করে বিশেষ বৈঠক আয়োজন করা হয়েছিল বীরভূম (Birbhum) জেলার মাঠপালশা গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান শেখ ইউনিস মুসলমান ভোট এবং অধিকার নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, “সংখ্যালঘুরা বোমা তৈরি করবে, সংখ্যাগুরুরা বড় দায়িত্বে থাকবে, হতে পারে না।”  

    তৃণমূল নেতা ঠিক কী বললেন (Birbhum)?

    তৃণমূল নেতা শেখ ইউনিস (Birbhum) বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যা লঘুদের একমাত্র পথ হল তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা দিদি আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। কাজল শেখ নানুরে এবং সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকে নেতৃত্ব দেখিয়েছেন। ৬৭ হাজার ভোটারদের মধ্যে তৃণমূল ২৭ হাজার ভোটে লিড দিয়েছে। মুসলমানেরা ঢেলে ভোট দিয়েছে তৃণমূলকে। তাই আমাদের সংগঠিত হতে হবে। সংখ্যাগুরু হয়ে যাঁরা বড় বড় পদ নিয়ে বসে আছেন, তাঁদের নিয়েও ভাবতে হবে। সংখ্যালঘু মুসলমানেরা কোথায় যাবেন? এই সব নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। কোর কমিটি মেম্বারদের আঙুল তুলে বুঝিয়ে দিতে হবে, বুথেই জিততে পারছেন না, জেলায় আবার কীসের দায়িত্ব নেবেন। বোমা বাঁধা থেকে লাঠি সব আমরা করব, আর পদের বেলায় শুধু সংখ্যাগুরু! এই সবকিছু ভাবতে হবে। এই সিস্টেম মানা যাবে না।”

    আর কী বললেন?

    তৃণমূল নেতা শেখ ইউনিস (Birbhum) আরও বলেছেন, “যদি বিজেপি ৪০০ আসন পেতো তাহলে কি আমরা ঠিক মতো নামাজ পড়তে পারতাম? ইসলামি ধর্মীয় আচার ঠিক করে পালন করতে পারতাম তো? উত্তর প্রদেশের যোগী দাবি করেছেন এখনে মসজিদে মাইক বাজে না, রাস্তায় কেউ নামাজ পড়েন না। কিন্তু বিজেপি ২৪০ আসনে আটকে গিয়েছে। অযোধ্যা থেকে শুরু করে রামের যাত্রা পথে যেখানে যেখানে বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে, সেখানে সেখেনে হেরেছে। তাই সংখ্যাগুরুদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে হবে। মোদি ৭৩ শতাংশ হিন্দু সমাজকে একত্রিত করতে চেয়েছিলেন। আমরা কত? কোথাও ২৭ বা ২৫ শতাংশ মুসলমান, বাকি তো সব সংখ্যাগুরু। তাই ভাবতে হবে, ওরা জিতে গেলে আমাদের কী অবস্থা হতো? তৃণমূল একমাত্র আমাদের পথ।”

    আরও পড়ুনঃ যুবক-যুবতীকে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গুজব! পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা গ্রামবাসীর, উত্তেজনা আসানসোলে

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির জেলা সভাপতি (Birbhum) ধ্রুবকুমার সাহা বলেছেন, “তার মানে নির্বাচনে তৃণমূলের অস্ত্র সংখ্যালঘু। তারাই বোমা বাঁধে, লাঠি ধরে। আসল সত্য ফাঁস হয়েছে। সংখ্যালঘুদের বোধোদয় হয়েছে। ২০২৬ সালে তাদের মনে শুভবুদ্ধির উদয় হোক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: তৃণমূলের সন্ত্রাস, চাষ করতে পারছেন না বিজেপি কর্মীরা, পুলিশের দ্বারস্থ গেরুয়া শিবির

    Birbhum: তৃণমূলের সন্ত্রাস, চাষ করতে পারছেন না বিজেপি কর্মীরা, পুলিশের দ্বারস্থ গেরুয়া শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমে (Birbhum) চাষ করতে দেওয়া হচ্ছে না বিজেপি কর্মীদের। জেলার বিভিন্ন গ্রামে চাষ করতে পারছেন না তাঁরা। গ্রামে গ্রামে বিজেপি কর্মীদের চাষের ওপর ফতোয়া জারি করেছে শাসক দল। এমনই অভিযোগ করে জেলার (Birbhum) পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলেন বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা।  প্রসঙ্গত, এদিন লম্বোদর দাস, দামোদর পাল নামের জনৈক বিজেপি (BJP) কর্মীরা এই অভিযোগ দায়ের করেন। প্রত্যেকেই গ্রামে গ্রামে তৃণমূলের লাগামছাড়া সন্ত্রাসের কথা তুলে ধরেন নিজেদের অভিযোগে।

    সিউড়ি-২ নম্বর ব্লকের একাধিক গ্রামে সন্ত্রাস (Birbhum)

    আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার বিজেপির বীরভূম (Birbhum) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘নির্বাচনের পর থেকেই সিউড়ি-২ নম্বর ব্লকের একাধিক গ্রামে সন্ত্রাস চলাচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। বিজেপি (BJP) কর্মীদের বাড়িতে থাকতে দিচ্ছে না। চাষ করতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁদের, ট্রাক্টর ভাড়া দেওয়া হচ্ছে না বিজেপি কর্মীদের। তাঁরা যাতে নিরাপদে তাঁদের বাড়িতে থাকতে পারে এবং চাষ করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে প্রশাসনকে।’’

    বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের টার্গেট করছে পুলিশ

    একই সঙ্গে ধ্রুব সাহার দাবির, ‘‘মল্লারপুরের (Birbhum) পাথাই গ্রামে পুলিশকে মারধরের ঘটনার পর বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করার হুমকি দিচ্ছে সিভিক ভলেন্টিয়াররা।’’ এই ঘটনাতেও পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। ধ্রুব সাহা অভিযোগ করেছেন, ‘‘মাস কয়েক আগে এখানে পুলিশকে মারধরের ঘটনা ঘটেছিল। কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছিলেন। এই ঘটনার পর পুলিশ দোষী ব্যক্তিদের ধরতে না পেরে বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের টার্গেট করছে, বাড়িতে থাকতে পারছেন না গ্রামের মানুষেরা। সিভিক ভলেন্টিয়াররা বাড়িতে গিয়ে গিয়ে হুমকি দিচ্ছে বাড়ি ভাঙচুর করার, লুটপাট করে নেওয়ার।’’ পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, যাঁরা প্রকৃত দোষী, যাঁরা পুলিশকে মারধর করেছেন, তাঁদেরকে চিহ্নিত করুক পুলিশ। এই ঘটনায় বিজেপি কর্মীদের টার্গেট করছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bolpur: বগটুইয়ের স্মৃতি ফিরল বোলপুরে! ঘুমন্ত অবস্থায় মা-ছেলেকে পুড়িয়ে খুন, সিবিআই তদন্তের দাবি

    Bolpur: বগটুইয়ের স্মৃতি ফিরল বোলপুরে! ঘুমন্ত অবস্থায় মা-ছেলেকে পুড়িয়ে খুন, সিবিআই তদন্তের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বগটুইয়ের ছায়া এবার বোলপুরে। রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় বাড়িতে অগ্নিসংযোগ! অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল মা ও ছেলের। গুরুতর জখম অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন বাবা। বৃহস্পতিবার রাতে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুর (Bolpur) থানার রায়পুর-সুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রজতপুর গ্রামে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bolpur)

    প্রতিদিনের মতো খাওয়া-দাওয়া সেরে বৃহস্পতিবার রাতেও একতলার ঘরে ঘুমাতে গিয়েছিলেন একই পরিবারের ৩ জন। ঘরের জালনা তাঁদের খোলা ছিল। স্ত্রী রূপা বিবি (৩০), ছেলে আয়ান শেখকে (৪) নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন আব্দুল আলিম (৩৮)। অভিযোগ, জানালা দিয়ে কেউ বা কারা কেরোসিন তেল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা বিধ্বংসী রূপ নেয়। আগুন জ্বলতে দেখে চিৎকার শুরু করেন প্রতিবেশীরা। ততক্ষণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে মা ও চার বছরের ছেলের। গুরুতর জখম অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আব্দুল আলিম। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। আব্দুল পেশায় ঠিকাদারি কাজ করতেন। আত্মীয়দের দাবি, ওর কোনও ব্যবসায়িক শত্রু ছিল না। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বোলপুর থানার পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: চোপড়াকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন শুভেন্দু

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    ঘটনা প্রসঙ্গে, নিহত রূপা বিবির বাবা শেখ করিম বলেন, “কেরোসিন তেলের গন্ধ বের হচ্ছে, তেল ছিটিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে । আমার জামাই বোলপুরে ঠিকাদারির কাজ করত। ওর তেমন কেউ ছিল কি না জানি না। আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।”

    বোলপুরের ঘটনায় তাজা হয়েছে বগটুইয়ের স্মৃতি!

    এই ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী, তাজা হয়েছে বগটুইয়ের (Bogtui) স্মৃতি। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২১ মার্চ রাতে বীরভূমের রামপুরহাট থানার বগটুইয়ের (Bogtui) এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। তাতে মৃত্যু হয় ১০ জনের। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বগটুই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করে সিবিআই। সেই সময় এই ঘটনাকে ঘিরে আলোড়িত হয়েছিল গোটা রাজ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশই সার! কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বুলডোজার চলল বীরভূমে, সরব বিজেপি

    Birbhum: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশই সার! কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বুলডোজার চলল বীরভূমে, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্ছেদ অভিযানে বুলডোজার নামানোয় রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভের আঁচ পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মুখ খোলেন। একমাসের জন্য বুলডোজারে না করে দিয়েছেন তিনি। হকারদের পুনর্বাসনের কথাও উঠে এসেছে নবান্নের বৈঠকে। কিন্তু, তারপরেও ভিন্ন ছবি দেখা গেল বীরভূমে (Birbhum)। শুক্রবার সকালে বোলপুর শহরে দখলদারদের উচ্ছেদ করতে চলল বুলডোজার। আর এই উচ্ছেদ অভিযানে ব্যবহার করা হল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    এদিন পুরসভার পক্ষ থেকে বোলপুর (Birbhum) শহরের চৌরাস্তা মোড় থেকে শান্তিনিকেতন মোড় পর্যন্ত এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। উচ্ছেদ যে হবে সে কথা পুরসভার পক্ষ থেকে আগাম মাইকিং করে জানিয়েও দেওয়া হয়। তারপর থেকেই তা নিয়ে এলাকায় বাড়ছিল চাপানউতোর। তবে, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস পেয়ে দোকানদাররা ভেবেছিলেন, এখনই এসব আর কিছু হবে না। তবে, এদিন সকালে দোকান ভাঙতে বুলডোজার এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেখে, হতবাক হয়ে যান ব্যবসায়ীরা। এই বিষয়ে এলাকারই এক হকার বলেন, “আমাদের স্থায়ী দোকান। ১৯৯৮ সাল থেকে আছে। এটাই আমাদের উপার্জনের একমাত্র পথ। এখন যদি এটাও ভেঙে দেয় তাহলে খাব কী আমরা? উচ্ছেদ করার আগে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুক। মুখ্যমন্ত্রী সময় দেওয়ার পরও কেন এভাবে দোকান ভাঙা হল তা বুঝতে পারছি না।

    আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট! বেআইনি জানতে পেরে ঘুম উড়েছে আবাসিকদের

    প্রশাসনের কর্তাদের কী বক্তব্য?

    বোলপুরের (Birbhum) এসডিও অয়ন নাথ বলেন, ” রাস্তার ফুটপাতের পাশে থাকা দোকানগুলি অনেক সময় অস্থায়ীভাবে স্ট্রাকচার বানিয়ে তা একেবারে ফুটপাতের ওপর তুলে দিয়ে জিনিসপত্র রাখে। জোর করে দখল রেখেছে। সাধারণ পথচারীদের হাঁটাচলায় অসুবিধা হচ্ছে। দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও বাড়ছে। অবৈধ নির্মাণগুলিও সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। যাঁদের কাছে স্থায়ী দোকানের বৈধ কাগজ রয়েছে তাও দেখাতে বলা হয়েছে।”

    সরব বিজেপি

    বুলডোজারের বিরুদ্ধে এর আগে সরব হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী একমাসের সময়সীমা ধার্য করার পরও বোলপুরের এই উচ্ছেদ অভিযান হওয়ায় সরব হয়েছে বিজেপি (BJP)। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, ভোটের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঠিকমতো করে ব্যবহার করা হয়নি। এখন উচ্ছেদ অভিযানে বুলডোজারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নামানো হয়েছে। এসবের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hawker Eviction: হকার উচ্ছেদে এবার সরব গেরুয়া শিবির, সিউড়িতে বিক্ষোভ বিজেপির!

    Hawker Eviction: হকার উচ্ছেদে এবার সরব গেরুয়া শিবির, সিউড়িতে বিক্ষোভ বিজেপির!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই কলকাতা থেকে কোচবিহার— সারা বাংলায় ফুটপাথ দখলমুক্ত করার অভিযানে নেমেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সেই অভিযানের তৃতীয় দিন। তাই সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় সরকারি জমি দখল করে তৈরি বেআইনি অস্থায়ী নির্মাণ সরাতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। এই নিয়ে বীরভূমের (Birbhum) কয়েক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা। রামপুরহাট ও সিউরিতেও শুরু হয় তুলকালাম। আর এর পরেই হকার উচ্ছেদের (Hawker Eviction) প্রতিবাদে পুরসভার সামনে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি। 

    রামপুরহাট-সিউরিতে তুলকালাম (Hawker Eviction) 

    বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ রামপুরহাটে ফুড পার্কে বুলডোজার নিয়ে জবরদখল উচ্ছেদে নামে স্থানীয় প্রশাসন। রামপুরহাট পুরসভার ১৭ এবং তিন নম্বর ওয়ার্ডে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রশাসনের তরফে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে উচ্ছেদ অভিযানে যাওয়ার সময়ই ওই ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর এবং কয়েক জন ব্যবসায়ীর সঙ্গে বচসা বাধে পুলিশের। ধাক্কাধাক্কিও হয়। বিক্ষুব্ধদের দাবি, কোনও আগাম নোটিশ না দিয়েই পুলিশ উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে। যদিও পুলিশি তৎপরতায় পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।  
    রামপুরহাটের পাশাপাশি বিক্ষোভের ছবি উঠে আসে সিউরিতেও। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরেই গতকাল থেকে সিউড়ি শহর জুড়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে পুরসভা৷ কেবল সিউড়ি নয় বৃহস্পতিবার জেলার একাধিক পুরসভায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। 

    আরও পড়ুন: বিজেপির লিড ৭২ হাজার! শিলিগুড়িতে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গ্রেফতার

    হকার উচ্ছেদ নিয়ে সরব বিজেপি (BJP) 

    সিউরিতে অশান্তি শুরু হতেই হকার উচ্ছেদ নিয়ে সরব হয় বিজেপি। উচ্ছেদ অভিযানের (Hawker Eviction) প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয় বিজেপি। তারপরেই পুরসভার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা সহ অন্যান্যরা। বিজেপির (BJP) দাবি, সরকারি জমি জবর দখল হওয়া উচিৎ নয় এবং সরকারি জমি দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিলে আমাদের সমর্থন থাকবে। কিন্তু জাতীয় হকার নীতি অনুযায়ী সরকার এভাবে হঠাৎ করে উচ্ছেদ করতে পারেনা। জমি ডিমারকেশন করতে হয়। সাতদিন নুন্যতম সময় দেওয়া উচিৎ। প্রশাসন এভাবে হঠাৎ করে বুলডোজার চালাতে পারেনা। হকারদের পুনর্বাসন করতে হবে সরকারকে। একপেশে পদক্ষেপ নিয়ে হকার উচ্ছেদ করা যাবেনা। সিউড়ির মীনভবন পর্যন্ত রাস্তা আগে করা উচিৎ। পুনর্বাসন না দিলে বিজেপির আন্দোলন চলবে। একইসঙ্গে এ প্রসঙ্গে জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ তোলেন যে, টাকার বিনিময়ে হকারদের বসানো হয়। 
    এ প্রসঙ্গে রামপুরহাটের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘আমাদের কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। আমাকে দোকান থেকে জিনিসপত্রও বার করতে দেয়নি। তার আগেই ভেঙে দিল। ছোট দোকানগুলো ভাঙছে (Hawker Eviction)। কিন্তু বড় দোকানগুলোতে কিছু করা হচ্ছে না। আমরা গরিব মানুষ। আমি কোথায় গিয়ে ব্যবসা করব? ছেলেমেয়েদের মুখে কী ভাবে খাবার তুলে দেব? কালকে রাতে শুনেছিলাম ভাঙবে। একটু তো সময় দিতে হবে।’’  
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বুথে হেরেছে তৃণমূল, রেললাইনের ধার থেকে বিজেপি কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার, শোরগোল

    Birbhum: বুথে হেরেছে তৃণমূল, রেললাইনের ধার থেকে বিজেপি কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেল লাইনের ধার থেকে বিজেপি কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। রবিবার সকালে বীরভূম (Birbhum) জেলার নলহাটি-চাতরা স্টেশনের মাঝে পাইকপাড়া গ্রামের কাছে লাইনের ধারে পড়েছিল বিজেপি কর্মীর দেহটি। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম প্রদীপ মাল। তাঁর বাড়ি বীরভূমের নলহাটি থানার পাইকপাড়া গ্রামে। তিনি বিজেপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তবে, খুন নাকি ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু, নাকি আত্মহত্যা করেছেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও উপযুক্ত তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রদীপবাবু এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী। গত পঞ্চায়েত (Birbhum) নির্বাচনে তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে পাইকপাড়া বুথে বিজেপি প্রার্থী পর্যন্ত দিতে পারেনি। কিন্তু, ওই বুথে বিজেপির জনসমর্থন অনেক বেশি। হেরে যাওয়ার আতঙ্কে তৃণমূল ওই বুথে বিজেপিকে প্রার্থী দিতে দেয়নি বলে অভিযোগ। এবার লোকসভা নির্বাচনে ওই বুথে প্রায় ৪০০ ভোটে লিড পেয়েছে বিজেপি। তৃণমূল এই বুথে হেরে যাওয়ায় শাসক দলের নেতারা ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। বিজেপি কর্মী প্রদীপবাবুর সঙ্গে তৃণমূল কর্মীরা বচসা জড়িয়ে পড়েন। পরে, মিটে গেলেও তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় টোটো চালক প্রদীপবাবু রবিবার ভোরে বাড়ি থেকে বের হন। তারপর সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় গ্রাম সংলগ্ন রেল লাইনের ধার থেকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে রেল পুলিশ।

    আরও পড়ুন: কাঁকসায় তৃণমূল সমর্থকের ছেলে জঙ্গি! গ্রেফতার করল এসটিএফ

    বিজেপির জেলা নেতৃত্ব কী বললেন?

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিজেপির (BJP) বীরভূম (Birbhum) জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। পরে, তিনি বলেন, “আমাদের দলের কর্মী প্রদীপ মালের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের বিবাদ হয়েছিল। রেললাইন থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা যথেষ্ট সন্দেহজনক। বিষয়টি আমরা তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “দলে থেকে যাঁরা অন্য দলের হয়ে ভোট করিয়েছেন তাঁদের তাড়াব”, বিস্ফোরক শতাব্দী

    Birbhum: “দলে থেকে যাঁরা অন্য দলের হয়ে ভোট করিয়েছেন তাঁদের তাড়াব”, বিস্ফোরক শতাব্দী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) ফের আরেকবার লোকসভা ভোটে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। বীরভূম এবং বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভালো ফল করেছে তৃণমূল। যে দুবরাজপুর বিধানসভা ২০২১ সালে বিজেপি জয়ী হয়েছিল, এবার সেখানেও তৃণমূল ঘাস ফুল ফুটেছে। আর এইবার জয়ী হয়ে সাংসদ শতাব্দী রায় বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন দলেরই নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। খয়রাশোল ব্লকের দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, “দলে থেকে যাঁরা অন্য দলের হয়ে ভোট করিয়েছেন তাঁদের তাড়াব” এই মন্তব্যের ফলে দলের অন্দরে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    ঠিক কী বললেন শতাব্দী (Birbhum)?

    বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল সাংসদ একাধিকবার ভোটের আগেও তৃণমূলের অন্তর্গত দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে গোষ্ঠীকোন্দলকে উস্কে দিয়েছিলেন। শনিবার শতাব্দী রায় আবার বলেছেন, “দলের মধ্যে কয়েকজন বেইমান আছেন। বিজেপির জন্য যাঁরা ভোট করেছেন, তাঁদের আগে চিহ্নিত করতে হবে। আমরা তো দলের জন্য ভোট করি, আগে যা হয়নি এবার থেকে তাই করা হবে। দলে থেকে দলবিরুদ্ধ আচরণ করা যাবে না। বেইমানদের আগে তাড়ানো হতো না, এইবার থেকে তাড়ানো হবে। আমিও বিরোধীদের সম্মান করি। কিন্তু দলের পদ থেকে হিন্দুদের কাছে বলব বিজেপিকে ভোট দাও, আবার মুসলমানদের বলবে কংগ্রেসকে ভোট দাও। আর জয়ী হওয়ার পর বলবে, দিদি আমি আপনার জন্য পুজো দিয়েছি। তাঁদের প্রত্যককে আমি চিনি।”

    আরও পড়ুনঃ ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের ফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে যাচ্ছে বিজেপি

    আগেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছিল

    উল্লেখ্য, খয়রাশোলে (Birbhum) প্রাক্তন ব্লক সভাপতির সঙ্গে অঞ্চল সভাপতিদের গোষ্ঠী কোন্দলের কথা সবাইকার জানা। একাধিক তৃণমূল নেতারা বিরোধ মেটাতে রাস্তায় নেমেছিলেন। কাজের কাজ শেষ পর্যন্ত কিছুই হয়নি। তৈরি করা হয়েছিল কোর কিমিটিও। গোষ্ঠী কোন্দলের ঝামেলা মেটেনি বললেই চলে। রাজনীতির একাংশের বক্তব্য এই কোন্দলকে ঢাল করে ২০২১ সালে বিজেপি পদ্ম ফুটিয়ে ছিল দুবরাজপুরে। একই ভাবে শতাব্দীকে লোকসভার প্রচারে, একাধিকবার আবাস যোজনার বাড়ি, কাঁচা রাস্তা, পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে জেলার গ্রামীণ এলাকায় সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল শতাব্দীকে। আবার রামপুরহাট পুরসভার পুরনির্বাচনে ভালো ভোট না পাওয়ায় দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: নিয়োগ-দুর্নীতি তদন্তে নয়া মোড়! জেলবন্দি পার্থর আরও সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি

    Partha Chatterjee: নিয়োগ-দুর্নীতি তদন্তে নয়া মোড়! জেলবন্দি পার্থর আরও সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া মোড়। এবার জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) আরও সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি। ইডি সূত্রে খবর, এই সম্পত্তি মূলত রয়েছে বীরভূমে (Birbhum)। এর আগে পার্থ-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে বীরভূমেরই বোলপুরে একটি বাড়ির হদিশ পেয়েছিল ইডি। আর এবার ইডির সাম্প্রতিক তদন্তে জানা গিয়েছে, পার্থের আরও অন্তত ৫টি সম্পত্তি রয়েছে সেই বোলপুরেই। 

    ঠিক কী জানা গিয়েছে তদন্তে?

    সূত্রে খবর, বোলপুরের (Bolpur) বুকে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর যে সম্পত্তি রয়েছে তা মূলত জমি। বর্তমানে যার বাজারদর কয়েক কোটি টাকা। যদিও এই সম্পত্তি কিন্তু পার্থর নামে নেই। বরং সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, ওই সম্পত্তিগুলির নথিতে এক পার্থ ঘনিষ্ঠের নাম রয়েছে। ঠিক যেমন এর আগে পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতার নামে সম্পত্তির হদিশ পেয়েছিল ইডি। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি ওই ঘনিষ্টের নামে জমিগুলি কেনা হলেও সংশ্লিষ্ট জমিগুলির মালিক আদতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) নিজেই। এমনকী তদন্তকারীরা এও জানতে পেরেছেন, সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলিতে মাঝেমধ্যেই আসতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইডি সূত্রে খবর, গত কয়েক দিনে পার্থ-ঘনিষ্ঠ এক প্রোমোটার-সহ বেশ কয়েক জনকে জেরা করে এই তথ্য পেয়েছে তারা।

    কোন দিকে মোড় নেবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জল? 

    উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জুলাই মাসে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। সেই থেকে জেলের চার দেওয়ালের মধ্যে জীবন কাটছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। প্রায় দুবছর ধরে ওটাই তাঁর ঠিকানা। আর এরই মধ্যে আবারও জেলবন্দি পার্থর আরও সম্পত্তির খোঁজ পেল ইডি। বলাই বাহুল্য যে দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। আর এরই মধ্যে ফের পার্থর সম্পত্তির খোঁজ মেলায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলার মোড় অন্যদিকে বাঁক নেয় কিনা এখন সেটাই দেখার। 

    আরও পড়ুন: ৩৫০ বছর আগে এই দিনেই ছত্রপতি হন শিবাজি! ফিরে দেখা সেই ইতিহাস

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠকে তলব ইডির (Partha Chatterjee)

    তবে এই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে বীরভূমে এই কোটি কোটি সম্পত্তির হদিশ এই প্রথম নয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর পার্থ-অর্পিতার নামে যৌথ একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছিল তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। ইডি সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের মধ্যে একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যেই বীরভূমের (Birbhum) জায়গায় জায়গায় অনুসন্ধানে নেমেছে। সূত্রের খবর, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ওই ঘনিষ্ঠকে খুব শীঘ্রই তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বিজেপি করার অপরাধ! কল-পুকুরের সামনে কড়া পাহাড়া, ভোটের দিন থেকে বন্ধ পানীয় জল

    Birbhum: বিজেপি করার অপরাধ! কল-পুকুরের সামনে কড়া পাহাড়া, ভোটের দিন থেকে বন্ধ পানীয় জল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপরাধ গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবার মোদির ওপর আস্থা রেখে বিজেপি দল করেন। বহু চেষ্টা করেও তৃণমূলে ফেরাতে পারেননি এলাকার শাসক দলের মাতব্বররা। আর তাই, নির্বাচনের দিন থেকে গ্রামে জল নিতে দেওয়া  হচ্ছে না বিজেপি পরিবারগুলিকে। এই অভিযোগ ঘিরে শোরগোল বীরভূমের (Birbhum) ইলামবাজারে।

    পুকুর-কল পাহাড়া দিচ্ছে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা (Birbhum)

    বিজেপি সমর্থক গ্রামবাসীদের বক্তব্য, লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর সন্দেশখালির মতো করে দেওয়া হবে ইলামবাজারের (Birbhum) মুর্গাবনি গ্রামকে। এমনই হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল। ইলামবাজারের মুর্গাবনি গ্রামে ভোটের দিন থেকেই বিজেপি করার অপরাধে ৩০ টি পরিবারকে পানীয় জল নিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গ্রামে বিক্ষোভ দেখান ওই পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সদস্যরা বলেন, আমরা বিজেপি করি। তাই নির্বাচনের পর দিনই থেকেই তাঁদের ওপর নিগ্রহ করা হচ্ছে। এমনকী গ্রামের কল থেকে তাঁদের জল নিতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি। অভিযোগ, এলাকার তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ রবি মুর্মুর নেতৃত্বে এলাকায় তাণ্ডব চালানো হচ্ছে। অভিযোগ সকাল থেকে পানীয় জলের জায়গাগুলিতে বসে থাকছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এলাকার পুকুরগুলিতেও পাহার দিচ্ছেন তাঁরা। পাঁচ দিন ধরে তীব্র জলকষ্টে ভুগছে এই এলাকার বিজেপি সমর্থকদের পরিবারগুলি।

    আরও পড়ুন: ভোটের মুখে কেশপুরে বিজেপি নেতাকে রাস্তায় ফেলে মার, স্বরূপনগরে আক্রান্ত কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি নেতা সুব্রত বিশ্বাস বলেন, “বরাবর এই এলাকায় বিজেপি জিতে এসেছে। তাই ওদের এত রাগ। জলও বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকী প্রশাসনের সামনেই হুমকি দিচ্ছে, পানীয় জল দেব না। দ্বিতীয় সন্দেশখালি করে দেব।” স্থানীয় তৃণমূলের নেতা রবি মুর্মু বলেন, “এরকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি। সুপরিকল্পিতভাবে মিথ্যা বলছে। কারোর জল বন্ধ করা হয়নি। আদিবাসীদের বিষয়। এখন পায়ের তলার মাটি হারিয়ে যাচ্ছে, তাই বিজেপি এই ধরনের অভিযোগ করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share