Tag: Birth Certificate

Birth Certificate

  • Fake Birth Certificate Factory: পঞ্চায়েতের অন্দরে জাল শংসাপত্রের রমরমা কারবার, কড়ি ফেললেই মিলছে ‘কাগজ’!

    Fake Birth Certificate Factory: পঞ্চায়েতের অন্দরে জাল শংসাপত্রের রমরমা কারবার, কড়ি ফেললেই মিলছে ‘কাগজ’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা জমানায় প্রকাশ্যে এল বিরাট আন্তঃসীমান্ত পরিচয় জালিয়াতি চক্রের (Fake Birth Certificate Factory) হদিশ। ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ভিতকেই নাড়িয়ে দিয়েছে এই জালিয়াতি চক্র। ‘বাংলাদেশি বার্থ সার্টিফিকেট কেলেঙ্কারি’ নামে পরিচিত এই ঘটনায় জড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাঠানখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের নাম (Bangladeshis)। অভিযোগ, কেবল ২০২৪ সালেই এখান থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ৩,৫০০-এরও বেশি জাল বার্থ সার্টিফিকেট।

    প্রকাশ্যে কেলেঙ্কারি (Fake Birth Certificate Factory)

    বিজেপি নেতা কিরীট সোমাইয়ার এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশিত এই কেলেঙ্কারির কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই উঠছে নানা প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠেছে, তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের ভূমিকা, তাদের নজরদারির শিথিলতা এবং অনুপ্রবেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ নিয়েও। একসময় সুন্দরবনের একটি দ্বীপে অবস্থিত এই নিরিবিলি পঞ্চায়েতটি এখন কুখ্যাত হয়ে উঠেছে ‘ভারতের জাল বার্থ সার্টিফিকেটের রাজধানী’ হিসেবে।পাঠানখালি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসটি রয়েছে স্থানীয় জেটি থেকে মাত্র পাঁচ মিনিটের হাঁটা পথের দূরত্বে। এই পঞ্চায়েত ভবনেরই বেগুনি-সবুজ দেওয়ালের আড়ালে তদন্তকারীরা সন্ধান পেয়েছেন একটি সুচারুভাবে পরিচালিত জালিয়াতি চক্রের। প্রশাসনিক উদাসীনতা এবং রাজনৈতিক আশ্রয় ও প্রশ্রয়ের জেরে বছরের পর বছর ধরে বিকশিত হয়েছে এই চক্র (Fake Birth Certificate Factory)।

    হাজার হাজার ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট

    চলতি বছর একটি সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, পাসপোর্ট চক্রের সূত্র প্রথমে পুলিশকে পাঠানখালিতে নিয়ে যায়। সেখানে দেখা যায় মাত্র ৪ হাজার পরিবারের এই ছোট্ট গ্রামপঞ্চায়েত ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে হাজার হাজার ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট ইস্যু করেছে। এখন এই চক্র আরও আধুনিক রূপে ফিরে এসেছে। সরকারি পোর্টাল ব্যবহার করে বিদেশিদের জন্য জাল ভারতীয় পরিচয়পত্রও তৈরি করছে। এই তদন্তের কেন্দ্রীয় ব্যক্তি হলেন গৌতম সর্দার। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের এই কর্মী পাঠানখালি পঞ্চায়েত অফিসের অস্থায়ী কর্মী। ২০১৯ সালে বছরে মাত্র ৩,৫০০ টাকা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে নিয়োগ করা হয় তাঁকে। অভিযোগ, তিনি ‘জন্ম-মৃত্যু তথ্য’ (রাজ্যের সরকারি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন) পোর্টালে অ্যাক্সেসের অপব্যবহার করেন। তিনি নাকি গ্রাম প্রধানের লগইন তথ্য হ্যাক করে ওটিপি নিজের মোবাইল নম্বরে ঘুরিয়ে নিতেন (Bangladeshis)। ৭ জুন গ্রেফতার করা হয় সর্দারকে। অভিযোগ, তিনি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জন্য হাজার হাজার জাল জন্ম শংসাপত্র তৈরি করেছেন। এই সার্টিফিকেটগুলির অনেকগুলিই পরে ব্যবহার করা হয়েছে ভারতীয় পাসপোর্ট, আধার কার্ড, রেশন কার্ড ও ভোটার আইডি পেতে। কলকাতা পুলিশ ২০২২ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে সর্দারের অ্যাকাউন্টে বিপুল আর্থিক লেনদেনের হদিশও পেয়েছে (Fake Birth Certificate Factory)। এ থেকে স্পষ্ট, পঞ্চায়েত স্তরের কর্মীদের সঙ্গে এই চক্রের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের গভীর যোগসাজশ রয়েছে।

    বাংলাদেশিদের ভারতীয় পাসপোর্ট পেতে সাহায্য

    অবশ্য এর আগেও খবরের শিরোনামে এসেছে পাঠানখালি। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরেই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছিল, এই একই পঞ্চায়েত শত শত ভুয়ো শংসাপত্র ইস্যু করে বাংলাদেশিদের ভারতীয় পাসপোর্ট পেতে সাহায্য করেছিল। সেই সময় পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছিল। এত সবের পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পক্ষ থেকে কোনও কাঠামোগত সংস্কার বা ডিজিটাল অডিট ব্যবস্থা চালু করা হয়নি। যে ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা থাকা জরুরি ছিল, সেটিই পরিণত হয়েছে জালিয়াতির আঁতুড়ঘরে, বিশেষত সীমান্ত-লাগোয়া জেলাগুলিতে। এই জেলাগুলিই তৃণমূল কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ ভোটব্যাঙ্ক। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই রাজনৈতিক লাভের উদ্দেশ্যেই পঞ্চায়েতের মধ্যেই চলছে জালিয়াতির রমরমা কারবার!

    #বাংলাদেশিবার্থসার্টিফিকেটস্ক্যাম

    এসব ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় এক্স হ্যান্ডেলে কিরীট লিখেছেন, “#বাংলাদেশিবার্থসার্টিফিকেটস্ক্যাম – শুধু ২০২৪ সালেই পাঠানখালি পঞ্চায়েত থেকে ৩,৫০০-এরও বেশি ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট দিয়েছে বাংলাদেশিদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন কি বেআইনি অভিবাসীদের জন্য বাংলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিকে পাসপোর্ট কারখানায় (Bangladeshis) পরিণত করছে?” কিরীট-সহ বিজেপির অন্যান্য নেতা এই চক্রের শেকড় খুঁজতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যের এই সংস্থাগুলি তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ মূল অপারেটিভদের রক্ষা করছে (Fake Birth Certificate Factory)।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    বিজেপির এক প্রবীণ নেতা বলেন, “এটি কোনও দফতরের কর্মী কিংবা আধিকারিকের ভুল নয়, এটি ভারতের নিরাপত্তা কাঠামোকে ইচ্ছাকৃত ও পদ্ধতিগতভাবে দুর্বল করে দেওয়ার একটা প্রচেষ্টা। ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট থেকে জাল পাসপোর্ট – এই পথ দিয়ে বৈধতা পাওয়া প্রতিটি অনুপ্রবেশকারী শেষমেশ পরিণত হচ্ছে রাজনৈতিক হাতিয়ারে।” বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২ হাজার ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ঝুঁকিপূর্ণ ও ফাঁক-ফোকরযুক্ত সীমান্ত থাকায় অনুপ্রবেশের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্কিত একটি ইস্যু। এনআরসি–সিএএ বিতর্কও সবচেয়ে তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছে এই বাংলায়। এটি এমন একটি রাজ্য, যেখানে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়েই তৈরি করে নেওয়া যায় দলিলভিত্তিক নাগরিকত্ব। আর তার পৃষ্ঠপোষকরা এসআইআর-এনআরসি কিংবা সিএএর বিরুদ্ধে চিৎকার করেন গলার রগ ফুলিয়ে (Fake Birth Certificate Factory)।

    কথায় বলে না, চোরের মায়ের বড় গলা!

  • Malda: এই কি উন্নততর প্রশাসন? তৃণমূল পঞ্চায়েত থেকে ৫ বছরেও মিলল না বার্থ সার্টিফিকেট

    Malda: এই কি উন্নততর প্রশাসন? তৃণমূল পঞ্চায়েত থেকে ৫ বছরেও মিলল না বার্থ সার্টিফিকেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেউ পাঁচ দিন, কেউ আবার পাঁচ বছর ধরে হন্য হয়ে ঘুরছেন। তবুও, মিলছে না জন্ম সার্টিফিকেট। পঞ্চায়েত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে হয়রানি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে সরব হয়ে উঠলেন এলাকার ভুক্তভোগী অভিভাবকেরা। এমনই অভিযোগ উঠেছে মালদার (Malda) চাঁচল-১ নম্বর ব্লকের চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিষ্টার কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Malda)  

    অভিযোগ, মালদার (Malda) চাঁচল-১ নম্বর ব্লকের চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতে গত বোর্ডেও তৃণমূল ছিল। এখনও তৃণমূল রয়েছে। এই পঞ্চায়েত অফিসে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দফতরের কর্মচারীরা নিয়মিত দফতর খোলেন না। মাসের বেশিরভাগ সময় দফতর তালা লাগানো থাকে। দুপুর ১২ টা পেরিয়ে গেলেও দফতরের কর্মচারীদের দেখতে পাওয়া যায় না। নতুন জন্ম সার্টিফিকেট ও সংশোধনের জন্য বছরের পর বছর দফতরে হন্য হয়ে ঘুরতে হয়। তবুও, মেলেনা সার্টিফিকেট। জন্ম সার্টিফিকেট না থাকার কারণে আধার ও রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারচ্ছেন না অভিভাবকরা। দফতরের কর্মচারীরা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বছরের পর বছর ধরে অভিভাবকদের ঘুরাচ্ছেন অভিযোগ। যদিও পঞ্চায়েত কর্মচারীরা তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নুরগঞ্জ এলাকার মানেজা খাতুন নামে এক অভিভাবিকা অভিযোগ করে বলেন, জন্ম সার্টিফিকেটে ছেলের নাম সংশোধনের জন্য পাঁচ বছর ধরে ঘুরছি। তবুও, করে দিচ্ছেন না সংশোধন। তিনমাস পরে আসতে বলেছিলেন। আমি পাঁচ মাস পরে এসেছি। তবুও, ঘুরে যেতে হচ্ছে। ছেলের বয়স ১০ বছর হয়ে গেছে। আধার কার্ড ও রেশন কার্ড তৈরি করতে পারছি না। এমনকী ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করাতে পারছি না। এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ফোন না তোলায় তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    পঞ্চায়েতের এক কর্মী কী বললেন?

    জন্ম সার্টিফিকেট এর দফতরের এক কর্মচারী মহম্মদ মুস্তাকিম বলেন, কোনও অভিভাবক জন্ম সার্টিফিকেটের জন্য পাঁচ বছর ধরে ঘুরেনি। অনলাইনে সংশোধন পোর্টালটি বন্ধ রয়েছে তাই হয়তো কয়েকদিন ঘুরতে হয়েছে। চালু হয়ে গেলে কাউকে আর ঘুরতে হবে না। আসলে দফতরের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birth Certificate: এবার থেকে জন্ম শংসাপত্রেই মিলবে সব নাগরিক পরিষেবা! বিল পাশ সংসদে

    Birth Certificate: এবার থেকে জন্ম শংসাপত্রেই মিলবে সব নাগরিক পরিষেবা! বিল পাশ সংসদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি অধিবেশনে সংসদে পাশ হল ‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৩’। জানা গিয়েছে, এবার থেকে বার্থ সার্টিফিকেটের (Birth Certificate) মাধ্যমেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভরতি হওয়া, ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা, ভোটার তালিকায় নাম তোলা, আধার কার্ড পাওয়া, বিয়ের রেজিস্ট্রেশন, সরকারি চাকরিতে যোগ, পেনশনের আবেদন করা, আইটি ফাইল প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা যাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিলটি আইনে পরিণত হলে অনেক সুবিধা পাবেন সাধারণ মানুষ। পাসপোর্ট থেকে আধারের আবেদন করার ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নথি হবে এই বার্থ সার্টিফিকেট। প্রসঙ্গত এর আগে, জন্মের তারিখ এবং জন্মের স্থান প্রমাণ করার ক্ষেত্রে একাধিক নথি পেশ করতে হত। নয়া বিলে সেই সমস্যা থেকে মুক্তির কথা বলা হয়েছে।

    জাতীয় ও রাজ্য-স্তরে নিবন্ধিত জন্ম ও মৃত্যুর ডেটাবেস  তৈরি করতে সাহায্য করবে এই বিল 

    জানা গিয়েছে এই বিল জাতীয় ও রাজ্য-স্তরে নিবন্ধিত জন্ম ও মৃত্যুর ডেটাবেস তৈরি করতে সাহায্য করবে। এরফলে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে সহজেই পৌঁছে যাবে। এর ফলে ডিজিটাল নিবন্ধনের প্রক্রিয়া (Birth Certificate) আরও স্বচ্ছ হবে বলে মনে করছেন ওয়াকিহবহাল মহলের একাংশ। এই বিলটি গত মাসের ২৬ তারিখ সংসদে পেশ করা হয়েছিল। ১ অগাস্ট সেটি পাশ হয় সংসদের নিম্নকক্ষে। 

    কী বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী?

    ‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৩’ পেশ করেছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। তাঁর মতে, ‘‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ অ্যাক্ট’, ১৯৬৯-কে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তা সংশোধন করা হয়নি। তবে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে খাপ খাইয়ে এই পরিষেবাকে আরও নাগরিক বান্ধব করে তুলতে সংশোধন প্রয়োজন। তাই এই বিল (Birth Certificate) আনা হয়েছে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘বিভিন্ন রাজ্য সরকার, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেই এই আইন সংশোধন করার জন্য বিল পেশ করা হয়েছে। এই নয়া বিলে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনের বিধান যুক্ত হয়েছে। আবার অনলাইনেই বার্থ সার্টিফিকেট ডেলিভার করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।’’ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birth certificate: অক্টোবরের প্রথম দিন থেকেই গুরুত্ব বাড়ছে জন্মের শংসাপত্রের, কী কাজে লাগবে জানেন?

    Birth certificate: অক্টোবরের প্রথম দিন থেকেই গুরুত্ব বাড়ছে জন্মের শংসাপত্রের, কী কাজে লাগবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিল পাশ হয়েছিল সংসদের বাদল অধিবেশনে। তাতে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাই আইনে পরিণত হয়েছে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন (সংশোধন) বিল, ২০২৩। এর জেরে রাতারাতি গুরুত্ব বেড়ে গেল জন্মের শংসাপত্রের (Birth certificate)। ১ অক্টোবর থেকে স্কুলে ভর্তি থেকে চাকরি মায় ভোটদান – সবকিছুই হবে কেবল এই শংসাপত্রের সাহায্যেই। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

    জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন (সংশোধন) বিল, ২০২৩

    বাদল অধিবেশনে লোকসভায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন (সংশোধন) বিল, ২০২৩ পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। বিলের বিরোধিতায় সরব হয় কংগ্রেস। গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির বক্তব্য ছিল, এই বিল (Birth certificate) আইনে পরিণত হলে গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘিত হবে। এর পরেও বিলটি পাশ হয়ে যায় লোকসভায়। ৭ অগাস্ট ধ্বনিভোটে বিলটি পাশ হয় রাজ্যসভায়। পরে সেটি পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য। সেই অনুমোদন মেলায় বিলটি পরিণত হয়েছে আইনে।

    কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি 

    কেন্দ্রের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন (সংশোধন) আইন, ২০২৩ এর ১ এর উপধারা অনুযায়ী, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন (সংশোধন) বিল, ২০২৩ আইনে পরিণত হয়েছে। এই আইনটি জন্ম ও মৃত্যুর জাতীয় ও রাজ্যস্তরের ডাটাবেস তৈরি করতে সহায়তা করবে। যা সামাজিক প্রকল্পগুলি বিতরণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে এবং ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনও নিশ্চিত করবে। আবার (Birth certificate) জন্ম বা মৃত্যুর সাত দিনের মধ্যেই সেটা ডিজিটাল ডেটাবেসে রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব হবে।

    আরও পড়ুুন: মোদিই ‘বিশ্বনেতা’, লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের সুর বেঁধে দিল বিজেপি?

    প্রশ্ন হল, কীভাবে পাবেন জন্মের শংসাপত্র? Crsorgi.gov.in এই ওয়েবসাইটে গিয়ে জন্মের শংসাপত্র রেজিস্ট্রেশন ফর্ম ডাউনলোড করুন। বাচ্চা যদি হাসপাতালে জন্মায়, তাহলে সেখানেই মিলবে শংসাপত্র। শিশুর জন্মের ২১ দিনের মধ্যেই ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হবে। ফর্মে সমস্ত বিবরণ পুঙ্খানুপুঙ্খ দিতে হবে। বাবা-মায়ের আইডি প্রুফ এবং নার্সিংহোমের (যদি জন্মায়) সমস্ত তথ্যও দিতে হবে। ফর্ম জমা দেওয়ার পরে তা যাচাই করবেন রেজিস্ট্রার। শংসাপত্র পেতে দিন সাতেক সময় লাগবে। বাচ্চা জন্মের পর একটি চিঠি দেবেন মেডিক্যাল অফিসার ইনচার্জ। সেটির পাশাপাশি ফর্মের সঙ্গে দিতে হবে বাবা-মায়ের জন্মের শংসাপত্রও (Birth certificate)। সন্তানের বাবা-মা যদি বিবাহিত হন, তাহলে দিতে হবে বিয়ের শংসাপত্রও।

     

LinkedIn
Share