Tag: BJP LEADER

BJP LEADER

  • Suvendu Adhikari: “নন্দীগ্রামে হারিয়েছি, ভবানীপুরেও হারাব, ভাইপোকে জেলে পাঠাব”, আগুনে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “নন্দীগ্রামে হারিয়েছি, ভবানীপুরেও হারাব, ভাইপোকে জেলে পাঠাব”, আগুনে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। ভবানীপুরেও হারাব। প্রাক্তন করব। আপনার ভাইপোকে জেলে পাঠাব।” বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এমনই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    নন্দীগ্রামে হার মমতার (Suvendu Adhikari)

    ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পদ্ম-প্রার্থী শুভেন্দু। ওই নির্বাচনে প্রায় দু’হাজার ভোটে তৃণমূল সুপ্রিমোকে ধরাশায়ী করেন শুভেন্দু। পরে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ধরে রাখেন মমতা। উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে মমতা স্বয়ং হারলেও, তাঁর দল তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন তৃণমূলের সর্বময় কর্ত্রী। নিয়ম অনুযায়ী, মন্ত্রী পদে থাকতে গেলে ছ’মাসের মধ্যে কোনও কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে আসতে হয়। সেই মতো ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন করিয়ে তৃণমূল জিতিয়ে আনে মমতাকে। গদি টিকে যায় তৃণমূল নেত্রীর।

    ভবানীপুরেই প্রার্থী মমতা

    অতএব, সেই ‘নিরাপদ’ ভবানীপুরেই যে এবারও মমতা প্রার্থী হতে চলেছেন, তা বলাই বাহুল্য। শুভেন্দুর খাসতালুক হিসেবে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুরের কোনও বিধানসভা আসনে দাঁড়িয়ে মমতা যে আর মুখ পোড়াতে চান না, তা স্পষ্ট তাঁদের দলের নেতাদের কথায়ই। মঙ্গলবার বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছিল তৃণমূল। উত্তরবঙ্গ সফরে থাকায় এদিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী। তবে তিনি যে ভবানীপুর থেকেই প্রার্থী হচ্ছেন, এদিনের অনুষ্ঠানে তা ঘোষণা করে দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তৃণমূল নেত্রীর জয়ের মার্জিনও এদিনের (Suvendu Adhikari) অনুষ্ঠানে বেঁধে দেন তৃণমূলের আর এক নেতা তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র এবং মমতার সতীর্থ ফিরহাদ হাকিম। সুব্রত বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হতে চলেছেন। প্রচুর ভোটে তাঁকে জেতাতে হবে।” ফিরহাদ হাকিমও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১ লাখ ভোটে জয়ী করব (BJP)।”

    মমতার গলায় কি আতঙ্কের সুর!

    তৃণমূল নেতারা এমনতর ‘দিবাস্বপ্ন’ দেখলেও, রাজনৈতিক মহলের মতে, শুভেন্দু-হেতু এবার ভবানীপুরকেও আর তেমন ‘নিরাপদ’ বলে ভাবছেন না খোদ তৃণমূল নেত্রী। এদিনের অনুষ্ঠানে তাঁর অডিও বার্তা শোনানো হয়। সেটাই সকলকে শোনান ফিরহাদ। তাতে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, “ভবানীপুরটা বাইরে থেকে লোক এনে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুরো পরিকল্পনা করে (Suvendu Adhikari)। আমি আউটসাইডার মানে যাঁরা বেঙ্গলে থাকেন, তাঁদের বলছি না। যাঁরা হঠাৎ করে বাইরে থেকে এসে, টাকা খরচ করে জায়গা কিনে, বাড়ি তৈরি করে, স্থানীয় কাউকে কিছু টাকা দিয়ে বেরিয়ে চলে যাচ্ছেন, তাঁদের কথা।” ভবানীপুর কেন্দ্রটি নিয়ে যে তৃণমূল সুপ্রিমো সিঁদুরে মেঘ দেখছেন, তা জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহাও। তিনি বলেন, “ওরা (তৃণমূল) মমতার জয় নিয়ে সন্দিহান। তাই প্রথমেই ভবানীপুর নিয়ে ভাবতে হচ্ছে।”

    কী বললেন শুভেন্দু

    এহেন প্রেক্ষিতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “হারাব, হারাব। ২০ হাজারে হারাব। ভবানীপুরে এসআইআর (SIR)-এর পরে হারাব ওঁকে। ৮টা ওয়ার্ডের ৫টায় বিজেপির লিড আছে। বিজেপিই হারাবে। যে দাঁড়াবে, সে-ই হারাবে। বিজেপি ওখানে ২০১৪ সালে ওদের হারিয়েছে। এসআইআর-এর পরে উনি হারবেন (BJP)।” এর পরেই তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “আপনাকে হটাবই। নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। ভবানীপুরে হারাব। প্রাক্তন করব। আপনার ভাইপোকে জেলে পাঠাব।” প্রসঙ্গত, এর আগে অন্য একটি সভায় শুভেন্দু বলেছিলেন, “নন্দীগ্রামে মমতাকে হারিয়েছি, ভবানীপুরেও হারাব।” তার পরেই রাজ্যজুড়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায়, তাহলে কি এবারও ভাবানীপুরে মুখোমুখি হচ্ছেন যুযুধান দু’পক্ষের দুই দাপুটে নেতা মমতা-শুভেন্দু? সে ব্যাপারে অবশ্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নিজে কিছুই বলেননি। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপিতে কে, কোন আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তা ঠিক করেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই ভবানীপুরে মমতা-শুভেন্দুর দ্বৈরথ হতে চলেছে কিনা, তা বলবে সময়। তবে ওই কেন্দ্রে যে এবারও ঘাসফুলের প্রার্থী হচ্ছেন মমতা, তা ঘোষণা করে দিয়েছেন সুব্রত।

    ভবানীপুর নিয়ে উদ্বেগ

    তবে ভবানীপুর কেন্দ্র নিয়ে যে খোদ তৃণমূল নেত্রীই উদ্বেগে (BJP) রয়েছেন, তা ধরা পড়েছে তাঁর গলায়। এদিন অডিও বার্তায় মমতাকেও বলতে শোনা যায়, “সেই জায়গাগুলো (ভবানীপুরের) আদৌ…যাঁরা ফ্ল্যাট কিনছেন, তাঁরা না পাচ্ছেন জল, না পাচ্ছেন ড্রেনেজ সিস্টেম…না পাচ্ছেন ঠিকমতো ব্যবস্থা। সেক্ষেত্রে আমরা কেন এটা বুঝব না…সব কিছু দেখে রাখতে হবে আমাদের। কারণ দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা সবই তো আমাদের। সেই জন্যই আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে। সবাই ভালো থাকুন।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশের মতে, ভবানীপুরে মমতাকে হারাতে শুভেন্দু যেভাবে আগ্রাসী হয়ে উঠেছেন, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন তৃণমূল সুপ্রিমো স্বয়ং। তাই উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিতে চাইছেন ভবানীপুরে। যে উন্নয়নের জন্য হা-পিত্যেশ করে (BJP) বসে রয়েছেন ভবানীপুরের বাসিন্দারা (Suvendu Adhikari)!

  • Shamik Bhattacharya: “তলোয়ার নয়, আমরা তাদের হাতে কলম তুলে দিতে চাই,” ‘মেইডেন স্পিচে’ বললেন শমীক

    Shamik Bhattacharya: “তলোয়ার নয়, আমরা তাদের হাতে কলম তুলে দিতে চাই,” ‘মেইডেন স্পিচে’ বললেন শমীক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিজেপি (BJP) মুসলমান বিরোধী নয়, বরং মুসলমানদের হাত থেকে তলোয়ার কেড়ে নিয়ে কলম ধরাতে চায়।” বৃহস্পতিবার কলকাতার সায়েন্স সিটির বিশাল মঞ্চ থেকে কথাগুলি বললেন বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। বস্তুত, এ রাজ্যে বিজেপি এখনও মুসলমানদের ‘কাছের লোক’ হয়ে উঠতে পারেনি। তৃণমূলের চটকদারির রাজনীতিতে (স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী ইদের জমায়েতে গিয়ে নমাজ পড়েন) ভুলে গিয়ে ‘স্বজাতি’কেই (পড়ুন, তমান্না খাতুন)খুন করে বসে।

    মুসলিমদের প্রতি বার্তা শমীকের (Shamik Bhattacharya)

    রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূলের পাল্লায় পড়ে মুসলিমদের এই বিপথগামিতা থেকে সরিয়ে আনতে বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি যে আগ্রহী, এদিন সেই বার্তাই দিলেন শমীক। বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে এদিন তাঁর ‘মেইডেন স্পিচে’ শমীক মুসলমানদের কাছে টানার চেষ্টা করলেন আন্তরিকভাবেই। এদিন শমীকের হাতে রাজ্য সভাপতির দায়িত্বের শংসাপত্র তুলে দেন গৈরিক শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাতে শংসাপত্র পাওয়ার পর বঙ্গ বিজেপির নয়া সারথি হিসেবে তাঁর ‘মেইডেন স্পিচে’ শমীক বলেন, “দিনের পর দিন বাংলার মাটিতে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু বিজেপির লড়াই কোনও মুসলমানের বিরুদ্ধে নয়। যারা পাথর হাতে ঘোরে, তাদের আমরা বই ধরাতে চাই। যারা তলোয়ার নিয়ে রাস্তায় নামে, তাদের হাতে আমরা কলম তুলে দিতে চাই।”

    হিন্দু-মুসলিম সৌহার্দ্যের বার্তা

    হিন্দু-মুসলিম সৌহার্দ্যের বার্তা দিয়ে বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি বলেন, “আমরা চাই দুর্গাপুজোর বিসর্জন আর মহরমের শোভাযাত্রা একই রাস্তা দিয়ে যাক, এক সঙ্গে, সংঘর্ষ ছাড়াই। আমরা চাই সম্প্রীতির বাংলাকে (BJP) বাঁচাতে।” তিনি বলেন, “এজন্য কোনও দাঙ্গা হবে না, সংঘর্ষ হবে না। কোনও রাজনৈতিক সম্প্রীতির বিভাজন থাকবে না। পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে হবে, বাঁচাতে হবে এর বহুত্ববাদকে। এই মাটিকে রক্ষা করতে হবে। এটাই বিজেপির (Shamik Bhattacharya) লড়াই। এটা আমরা করেও দেখাব।”

    মুসলমানদের গৌরবোজ্জ্বল অতীতের কথা স্মরণ

    এদিনের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের গৌরবোজ্জ্বল অতীতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শমীক বলেন, “বাংলার সংখ্যালঘু ভাইবোনেরা সৈয়দ মুজতবা সিরাজ, সৈয়দ মুস্তাফা আলি, এস ওয়াজেদ আলি, নজরুলের কথা শুনবে, না কি কোনও উগ্রপন্থীর কথা শুনবে? না কি হুমায়ুন কবীরের বক্তব্যকে গ্রহণ করবে?” তিনি বলেন, “আপনাকেই চিন্তা করতে হবে, আপনার পরবর্তী প্রজন্ম তলোয়ার নিয়ে রাস্তায় বেরবে, না কি রাস্তায় পাথর ছুড়বে? মুসলমান মানেই সমাজবিরোধী! দেখুন রাজ্যের দিকে তাকিয়ে। মারছে মুসলমান, মরছেও মুসলমানই। কারা এই অবস্থা তৈরি করল?” বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি বলেন, “আপনারা মনে করলে বিজেপিকে ভোট দেবেন না, কিন্তু আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন, গত তিন বছরে পশ্চিমবঙ্গে যত খুন হয়েছে, তার মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যা কত। ৯০ শতাংশই মুসলমান খুন হয়েছেন। যারা মারছে আর যারা মরছে, তারা সবাই মুসলমান। আর তাদের পরিবার বলছে সিবিআই তদন্ত চাই।”

    ঘাসফুল বিরোধী সব ভোটকে পদ্মঝুলিতে ফেলার চেষ্টা

    বছর ঘুরলেই রাজ্যে বাজবে বিধানসভা নির্বাচনের ডংকা। তাই তৃণমূলকে (Shamik Bhattacharya) রাজ্য থেকে উৎখাত করতে ঘাসফুল বিরোধী সব ভোটকে পদ্মঝুলিতে ফেলার চেষ্টাও এদিন করেছেন শমীক। বঙ্গ বিজেপির দণ্ডমুণ্ডের নয়া কর্তা বামেদের উদ্দেশে (BJP) বলেন, “বামদের বলছি, ভোট কাটাকাটি করবেন না। পেছনের দরজা দিয়ে তৃণমূলকে ক্ষমতায় ফেরাবেন না। ২০২৬ সালে নির্বাচন, তৃণমূলের বিসর্জন। তাই যার যা পতাকা আছে, সেগুলি সরিয়ে রেখে আসুন এক সঙ্গে লড়ুন। সমস্ত মত-পথ ভুলে যান। এগিয়ে আসুন। তৃণমূলকে সরিয়ে দিন। তারপর আবার যে যার মত-পথে চলবেন।” তিনি বলেন, “মানুষ শিল্প চায়, চাকরি চায়। অথচ রাজ্যে তা নেই। অথচ আমাদের সোনার বাংলা ছিল। আবার সোনার বাংলা বানাতে হবে।” শমীক (Shamik Bhattacharya) বলেন, “বাংলার মানুষ তৃণমূলের শাসন থেকে মুক্তি চাইছেন।”

    ছাব্বিশের ভোটে বিজেপিই জিতবে

    তবে ছাব্বিশের ভোটে যে আর তৃণমূল আর রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরবে না, এদিন সে কথাও প্রত্যয়ের সঙ্গে জানিয়ে দেন শমীক। বলেন, “তৃণমূল শেষ হয়ে গিয়েছে। আর থাকবে না। তৃণমূলের মুখ কোথায়? মানুষ সবাইকে প্রত্যাখ্যান করছে। আমরা সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করব। আগামী নির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে আমরা ক্ষমতায় আসব।” তবে এ রাজ্যে বিজেপির সংগঠন বিস্তার যে অনায়াস নয়, তা বেশ বোঝেন শমীক। বলেন, “এতদিন ধরে বিজেপি এতটা রাস্তা পেরিয়েছে। সেই রাস্তা কিন্তু মসৃণ ছিল না। আমাদের কর্মীদের ওপর অনেক অত্যাচার হয়েছে, মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও কর্মীরা সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছেন।” তিনি (Shamik Bhattacharya) বলেন, “আমরা সর্বস্তরের সব নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে এক সঙ্গে লড়াই করব। কোথাও কোনও ভেদাভেদ থাকবে না।” শমীক বলেন, “আগামী নির্বাচনে বিজেপিই জিতছে। পৃথিবীর কোনও শক্তি নেই, যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাবেন (BJP)।”

  • Parvesh Verma: দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির পরবেশ ভার্মা! চেনেন তাঁকে?

    Parvesh Verma: দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির পরবেশ ভার্মা! চেনেন তাঁকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতি তাঁর রক্তে। উত্তরাধিকার সূত্রেই তিনি পেয়েছেন রাজনীতির রাজদণ্ড। নয়াদিল্লি আসনে আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তিনি হারিয়েছেন ৪ হাজার ৪৯ ভোটে। এহেন জায়ান্ট কিলার পরবেশ ভার্মাই (Parvesh Verma) কি হতে চলেছেন দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী? দিল্লির রাজনৈতিক মহলে এবং বিজেপির (BJP) অন্দরে পরবেশের নাম নিয়ে চলছে জোর চর্চা। প্রশ্ন হল, কে এই পরবেশ?

    রাজনৈতিক উত্তরাধিকার (Parvesh Verma)

    দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন পরবেশের বাবা সাহিব সিং ভার্মা। তিনি বিজেপির প্রাক্তন সহ-সভাপতিও। ত্রয়োদশ লোকসভায় তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী। জাঠ সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় মুখ সাহিব। পরবেশের কাকা আজাদ সিংও বিজেপির প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। তিনি ছিলেন উত্তর দিল্লি পুরনিগমের মেয়র। ২০১৩ সালের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে মেহরাউলি আসন থেকে জিতে বিধায়ক হন পরবেশ। ২০১৪ সালে পশ্চিম দিল্লি লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে সাংসদ হন তিনি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনেও সাড়ে ৫ লাখেরও বেশি ভোটে জিতেছিলেন পরবেশ (Parvesh Verma)।

    জায়ান্ট কিলার

    দিল্লি বিজেপির প্রথম সারির নেতা পরবেশ। তিনি হারিয়েছেন কেজরিওয়ালকে। পরাস্ত করেছেন কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের ছেলে সন্দীপ দীক্ষিতকে।  পরবেশ দিল্লি বিজেপির প্রথম সারির নেতা। বাবার মতোই জাঠদের মধ্যেও তাঁর বিরাট প্রভাব। দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হয়তো তাঁকেই বেছে নেবেন বিজেপি নেতৃত্ব। পরবেশ স্বয়ং বলছেন, এ ব্যাপারে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবেন দলীয় নেতৃত্ব। পরবেশ ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে রয়েছেন প্রয়াত বিজেপি নেত্রী তথা দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের মেয়ে বাঁশুরি স্বরাজ, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও।

    ১৯৭৭ সালে জন্ম পরবেশের। পড়াশোনা দিল্লি পাবলিক স্কুলে। কিরোরি মাল কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পর এমবিএ করেন ফোর স্কুল অফ ম্যানেজমেন্ট থেকে।

    ২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় পরবেশ ছিলেন দিল্লি বিজেপি নির্বাচন কমিটির সদস্য। সদ্য সমাপ্ত দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে পরবেশ ঘুরেছেন বিভিন্ন বস্তিতে। বলেছেন, “বস্তির যাঁরা বিশুদ্ধ পানীয় জল এবং শূন্য বিদ্যুৎ বিল পাচ্ছেন, তাঁরা দয়া করে কেজরিওয়ালকে ভোট দিন। আর যাঁরা পাচ্ছেন না, তাঁরা দয়া করে বিজেপিকে (BJP) ভোট দিন।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই ‘মন্ত্রে’ই বাজিমাত করেছেন পরবেশ (Parvesh Verma)।

  • Rahul Gandhi: ৪৫ মিনিটে মুখে ৩৪ বার চিনের নাম! রাহুলকে ‘জিনপিং’ বলে কটাক্ষ বিজেপির

    Rahul Gandhi: ৪৫ মিনিটে মুখে ৩৪ বার চিনের নাম! রাহুলকে ‘জিনপিং’ বলে কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বক্তব্য মাত্র ৪৫ মিনিটের। এই পৌনে এক ঘণ্টার বক্তব্যে অন্তত ৩৪ বার চিনের নাম নিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা ওয়েনাড়ের সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কংগ্রেস নেতার এহেন ‘চিন-প্রীতি’তে বেজায় চটেছে বিজেপি। রাহুলকে তীব্র আক্রমণ শানান পদ্ম নেতৃত্ব। এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, “৪৫ মিনিটের বক্তব্যে রাহুল গান্ধী অন্তত ৩৪ বার চিন শব্দটি উল্লেখ করেছেন।”

    রাহুলের অভিযোগ (Rahul Gandhi)

    দেশের উৎপাদন ক্ষেত্র নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ করেছিলেন রাহুল। তিনি বলেছিলেন, “চিন অন্তত এই ক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে ১০ বছর এগিয়ে আছে। চিন ব্যাটারি, রোবট, মোটর-সহ নানা ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করছে। গত ১০ বছর ধরে তারা এই সব নিয়ে কাজ করছে। আর আমরা এই কাজে পিছিয়ে রয়েছি।”

    বিজেপির নিশানায় রাহুল

    রাহুলকে (Rahul Gandhi) নিশানা করেছেন বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্রও। তিনি ব্যঙ্গ করে তাঁকে ‘রাহুল জিনপিং’ (চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং) বলে অভিহিত করেন (Rahul Gandhi)। তিনি বলেন, “আমি তাঁকে ‘রাহুল জিনপিং’ বলেই সম্বোধন করতে চাই। তিনি চিনের নাম ৩৪ বার উচ্চারণ করেছেন। তিনি নিশ্চয়ই প্রার্থনা করছেন যেন পরের জন্মে তিনি চিনা হতে পারেন।”

    তিনি বলেন, “২০০৪-১৪ সালের কংগ্রেস শাসন আমলে ভারত ও চিনের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি ২৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল।” তিনি রাহুলের ব্যাঙ্কিং খাত সংক্রান্ত মন্তব্যও উড়িয়ে দেন। তিনি এও উল্লেখ করেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার মুদ্রা প্রকল্পের আওতায় ৫১ কোটি মানুষকে ঋণ দিয়েছে, সেখানে কংগ্রেস ইউপিআইয়ের মতো আর্থিক উদ্ভাবনের বিরোধিতা করেছিল। এটি বর্তমানে দৈনিক ৫০ কোটি লেনদেন পরিচালনা করছে।’

    প্রসঙ্গত, রাহুল বলেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামের প্রস্তাব করেছিলেন। আমার মনে হয় এটা একটা ভালো আইডিয়া। আর তার ফল তো আপনাদের সামনেই হাজির। ২০১৪ সালে (BJP) উৎপাদন ক্ষেত্রে জিডিপি ছিল ১৫.৩ শতাংশ। সেটা আরও নেমে গিয়ে হয়েছে ১২.৬ শতাংশ। ৬০ বছরে এটা সর্বনিম্ন (Rahul Gandhi)।”

  • Sajal Ghosh: ১০ টাকা দিলেই বাড়িতে পৌঁছে যাবে খাবার, বড় উদ্যোগ বিজেপি নেতা সজল ঘোষের

    Sajal Ghosh: ১০ টাকা দিলেই বাড়িতে পৌঁছে যাবে খাবার, বড় উদ্যোগ বিজেপি নেতা সজল ঘোষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিন জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। ৫০০ টাকা হাতে নিয়ে বাজার গেলে ঝোলা ভর্তি হয় না। মূল্যবৃদ্ধির বাজারে এবার বড় উদ্যোগ নিলেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ (Sajal Ghosh)। মাত্র ১০ টাকায় বাড়িতে পৌঁচ্ছে যাবে খাবার। পেটপুরে মিলবে খাবার। এই উদ্যোগের জন্য তিনি সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।

    কারা এই উদ্যোগের সুবিধা পাবেন? (Sajal Ghosh)

    ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখ থেকেই বিজেপি (BJP) নেতা সজল ঘোষ (Sajal Ghosh) শুরু করছেন এই পদক্ষেপ। জানা যাচ্ছে, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই রাজ্যে এমন অনেক অসহায় প্রবীণ নাগরিক রয়েছেন, যাঁরা একা থাকেন। ঠিকভাবে রান্না করতে পারেন না। অনেকে আবার বয়সের কারণে বাইরে খাবার কিনতে যেতে পারেন না। আর বাজারমূল্য একটি বড় ফ্যাক্টর। এসবের কথা মাথায় রেখে রাতের খাবারের বন্দোবস্ত করার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মধ্য ও উত্তর কলকাতার বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য দশ টাকার বিনিময়ে বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেবে বিজেপি। যেসব বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা বাড়িতে একা থাকেন, অসহায় তাদের পাশে দাঁড়াতেই এই পদক্ষেপ করছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। এই উদ্যোগের নাম রাখা হয়েছে ‘চেটেপুটে’। তবে তিনি পরিস্কার জানিয়েছেন, ‘মা ক্যান্টিনের’ সঙ্গে এর কোনও মিল নেই।

    আরও পড়ুন: ‘‘এটা মৃত্যু নয়, হত্যা”, স্যালাইনকাণ্ডে থানায় এফআইআর দায়ের বিজেপি বিধায়ক শঙ্করের

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    এ বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘সজল ঘোষ (Sajal Ghosh) এই এলাকায় বরাবর জনসেবামূলক কাজ করেছেন। আগেও আমাদের দল এই ধরনের জনসেবামূলক কাজ করেছে। অনেক সময় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের বাড়িতে রান্না করার মতো পরিস্থিতি থাকে না। তাঁদের জন্যই মূলত এই উদ্যোগ। আশা রাখব, এই উদ্যোগে বহু বৃদ্ধ-বৃদ্ধা উপকৃত হবেন। তবে এটা কারও পাল্টা নয়, আগেই বলে দিলাম। বরং, এটা বলতে পারি, সজলের উদ্যোগ অভিনব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘ছাব্বিশে হবে হিন্দু সরকার’’, নন্দীগ্রামে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘ছাব্বিশে হবে হিন্দু সরকার’’, নন্দীগ্রামে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। এই আবহে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) হুঙ্কার, ‘হিন্দু সরকার হবে ছাব্বিশে।’ বৃহস্পতিবারই শুভেন্দু অধিকারী বাংলাদেশের হিন্দুদের প্রসঙ্গ টেনে সাফ বলেন, “সব হিন্দুরা এক আছে তো? হিন্দু সরকার হবে ছাব্বিশে। হিন্দু সরকার হবে।” একইসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিন্দুত্ববোধ জাগরণের উদ্দেশে রাজ্যের সব বাড়িতে গীতা পৌঁছে দেওয়ার কথাও বলেন।

    প্রতি বাড়িতে গীতা পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) 

    বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের কর্মসূচি থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘আমরা সব হিন্দু বাড়িতে গীতা পৌঁছে দেব। হিন্দু ধর্ম জিন্দাবাদ। দুনিয়ার হিন্দু এক হও।’’ প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ইস্যুতে নন্দীগ্রামে এক বিক্ষোভ মিছিল করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানেই এই কথাগুলি  বলতে শোনা যায় তাঁকে।

    আশঙ্কা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসে জীবন বিপন্ন হতে পারে

    অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারই চট্টগ্রাম আদালতে জামিন খারিজ হয় হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের। বিচারকের এমন সিদ্ধান্ত ঘিরে ফের শুরু হয় বিতর্ক। প্রশ্ন ওঠে বর্তমান বাংলাদেশে ইউনূস সরকারের আমলে বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়েও। বাংলাদেশের এমন ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারীকে আশঙ্কা প্রকাশ করতে দেখা যায়। বিরোধী দলনেতার আশঙ্কা, হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জীবন বিপন্ন হতে পারে বাংলাদেশের জেলে। তাঁকে হত্যা করা হতে পারে বিষ প্রয়োগ করে। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মতে, ‘‘যেভাবে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে স্লো পয়জন করে মারা হয়েছিল, সেভাবেই চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে হত্যা করা হতে পারে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: নৃশংসভাবে খুন উস্তির বিজেপি নেতা, মমতাকে ‘রক্তপিপাসু মুখ্যমন্ত্রী’ তোপ সুকান্তর

    BJP: নৃশংসভাবে খুন উস্তির বিজেপি নেতা, মমতাকে ‘রক্তপিপাসু মুখ্যমন্ত্রী’ তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতাকে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থানার দ্বীপের মোড় এলাকায়। বাইরে থেকে তালাবন্ধ অবস্থায় থাকা বিজেপির কার্যালয়ের ভিতর থেকে তাঁর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃত বিজেপি নেতার নাম পৃথ্বীরাজ নস্কর। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মথুরাপুর লোকসভার বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া কনভেনার ছিলেন। তাঁর বাড়ি আটপাড়া এলাকায়। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই খুন করেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘রক্তপিপাসু মুখ্যমন্ত্রী’ বলে আক্রমণ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন বিজেপি নেতা (BJP)

    গত ৫ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। দীর্ঘ সময় খোঁজ না পেয়ে গত ৭ তারিখ সন্ধ্যায় উস্তি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পুলিশ। শুরুতে খোঁজ না মিললেও পৃথ্বীরাজের ফোন চালু রাখা ছিল বলে পরিবারের দাবি। তাতেই ঘনায় রহস্য। শুক্রবার রাতে সন্দেহের বশে পরিবারের লোকজনেরা বন্ধ পার্টি (BJP) অফিসের জানালা দিয়ে কাপড় জড়ানো অবস্থায় কিছু পড়ে দেখতে দেখে পুলিশে খবর দেন। জানা গিয়েছে, তালা ভেঙে বিজেপির ওই কার্যালয়ে পুলিশ ঢোকে। সেখানে বিজেপি নেতার রক্তাক্ত দেহটি পড়ে ছিল। বিবস্ত্র অবস্থায় পড়েছিল দেহটি। জামাকাপড় পড়ে ছিল দেহের পাশেই। দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল বলেও জানা গিয়েছে। তবে, পৃথ্বীরাজের মোবাইল নম্বরের টাওয়ার লোকেশন জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। শেষবার তিনি কার সঙ্গে কথা বলেন, তা-ও জানার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যে জায়গায় দেহ উদ্ধার হয়েছে সেখান থেকে পৃথ্বীরাজের বাড়ির দূরত্ব মেরেকেটে ১ কিলোমিটার। বাড়ির এত কাছে এই কাণ্ড ঘটে গেল, অথচ কেউ কীভাবে কিছু টের পেল না তা ভাবাচ্ছে পুলিশকে। তাহলে কী অন্যত্র মেরে ওখানে দেহ রাখা হয়েছে? সেই প্রশ্নও উঠছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূলের রুচিবোধ নিম্নমানের, থ্রেট কালচারের জনক মমতা’’, তোপ শুভেন্দুর

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    গত লোকসভা নির্বাচনে মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির (BJP) পরাজিত প্রার্থী অশোক পুরকাইতের ছায়া সঙ্গী ছিলেন পৃথ্বীরাজ। তখন থেকেই শাসক তৃণমূলের টার্গেট হয়ে গিয়েছিলেন বলে পরিবারের দাবি। পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পনা করেই পৃথ্বীরাজকে অপহরণ করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই। ওরাই খুন করেছে। তারপর দেহ নিয়ে এসে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে ফেলে রেখে গিয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, ৪ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন পৃথ্বীরাজ। বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। ফোন করলেও পাওয়া যায়নি। এর পর ৭ নভেম্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের লোকজন। পৃথ্বীরাজের দাদা বলেন, ‘‘আমি সবসময় বাড়িতে থাকি না। ১২টার সময় স্ত্রী ফোন করে বলল, ভাই খুন হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আসতে পারিনি। সকালে এসে শুনলাম নিয়ে গিয়েছে। সাময়িকভাবে ব্যবহার করা হত কার্যালয়টি। বিজেপির আইটি সেলের কর্মী ছিল ভাই। ঠিক ভাবে বলতে পারছি না। কিন্তু আমাদের একটা দুর্গাপুজো হয়। সেখানে জাস্টিস ফর আরজি কর লেখা ব্যানার টাঙানো হয়। বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে যান সমাজবিরোধীরা। ভাইয়ের কাছে পার্টি অফিসের চাবি থাকত। অথচ পার্টি অফিসে বাইরে থেকে তালা দেওয়া ছিল। আমার ভাইকে খুন করা হয়েছে। আমরা ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।’’

    মমতাকে নিশানা সুকান্তর

    দলীয় কর্মীকে খুনের ঘটনায় রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নিজের এক্স হ্যান্ডলে সুকান্ত দাবি করেন, কয়েকদিন আগে তাঁকে তাঁর নিজের এলাকা থেকেই তুলে নিয়ে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীবাহিনী। নৃশংস খুনের আগে পৃথ্বীরাজের উপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়েছে। সমাজমাধ্যমে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে লেখেন, ‘‘এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করে দিল রাজ্যের জনবিচ্ছিন্ন, নৃশংস এবং রক্তপিপাসু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক কতটা ভয় পেয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টিকে। আমরা আমাদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করেও রাজ্যের প্রতিটি বিজেপি কর্মীর সুরক্ষার জন্য লড়বো। রাজ্যকে বাঁচানোর সংকল্পে রক্তপিপাসু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলছে, চলবে।’’

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘ভয় কেটে গিয়েছে’’, ভাঙা হাত নিয়ে আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিলে মিঠুন

    RG Kar Incident: ‘‘ভয় কেটে গিয়েছে’’, ভাঙা হাত নিয়ে আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিলে মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙা হাত নিয়েই এবার আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Incident) বিচার চেয়ে কলকাতার রাজপথে নামলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতার দিনটির স্মরণে বুধবার বিকেলে সিমলা স্ট্রিট থেকে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় পর্যন্ত ‘বিবেক জাগরণ যাত্রা’র ডাক দিয়েছিল বিদ্বজ্জনদের একাংশ। সেই পদযাত্রায় অংশ নিলেন ‘মহাগুরু’।

    ‘‘ভয় কেটে গিয়েছে’’

    এদিন মিঠুন (Mithun Chakraborty) বলেন, ‘‘এই প্রতিবাদ যেন বন্ধ না হয়। এটাই আমাদের বাংলা। আমাদের বাংলা প্রতিবাদী বাংলা। আমাদের বাংলা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ার বাংলা। এত দিন সব মুখ বুজে ভয়ে বসে ছিল। সেই ভয় কেটে গিয়েছে।.. সবাই চায় জাস্টিস (RG Kar Incident)। জাস্টিস যতক্ষণ না পাবে, এই প্রতিবাদ চলবে। এই আওয়াজ চলবে। আমরা এর বিরুদ্ধে লড়ব।’’ এদিন ‘বিবেক জাগরণ যাত্রা’য়  হাঁটলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার, প্রাক্তন আমলা তথা প্রাক্তন সাংসদ বিক্রম সরকার, চিকিৎসক কুণাল সরকার, শিক্ষক বিমলশঙ্কর নন্দ প্রমুখ। মিছিলে সামিল হলেও, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই হাঁটেননি মিঠুন। একটি হুডখোলা জিপের সামনের আসনে বসেই কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা গেল তাঁকে। 

    আরও পড়ুন: যখন মোদিকে আত্মানুসন্ধানে সাহায্য করেছিল স্বামী বিবেকানন্দের বাণী

    কেন এই উদ্যোগ

    কর্মসূচির উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শকে স্মরণ করেই এই মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। ১৮৯৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার শিকাগো শহরে স্বামী বিবেকানন্দ সারা পৃথিবীর বিবেকের জাগরণ ঘটিয়েছিলেন। অথচ আজ ১৩১ বছর পরে তাঁর নিজের শহর কলকাতাতেই বিবেকের দংশনে নিত্য ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে মানুষ! আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা সমাজের মনুষ্যত্বকে। তাই প্রতিবাদ হিসাবে শিকাগো বক্তৃতার দিনেই এই কর্মসূচির আয়োজন, বলে জানান উদ্যোক্তারা। মিছিলের আহ্বায়ক ছিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার। বিকাল ৪টেয় নাগাদ হেদুয়ায় স্বামীজির পৈতৃক বাসস্থান থেকে মিছিল শুরু হয়। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্রের মূর্তির পাদদেশে পৌঁছে শেষ হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NHRC: নবান্ন অভিযান-বন‍্ধে পুলিশি অত্যাচার, পুলিশ কমিশনারকে নোটিশ মানবাধিকার কমিশনের

    NHRC: নবান্ন অভিযান-বন‍্ধে পুলিশি অত্যাচার, পুলিশ কমিশনারকে নোটিশ মানবাধিকার কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজে’র নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতে ও পরের দিন বিজেপির ১২ ঘণ্টা বাংলা বনধে পুলিশি অত্যাচার (Police Atrocities)। এই জোড়া অত্যাচারের প্রতিবাদে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে চিঠি লিখেছিলেন বিজেপি নেতা তথা বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতার পুলিশ (Kolkata Police) কমিশনার বিনীত গোয়েলকে নোটিশ পাঠাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (NHRC)। নোটিশ পাওয়ার দু’সপ্তাহের মধ্যে এই ঘটনায় কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেই রিপোর্ট মানবাধিকার কমিশনের কাছে পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলেন সৌমিত্র। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন আরও পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি।

    কী লেখা হয়েছে চিঠিতে? (Saumitra Khan)

    চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরিচালিত একটি হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় গোটা দেশে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনা পুরো দেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনায় প্রতিবাদের পাশাপাশি ন্যায় বিচারের দাবিও জানানো হচ্ছে। এই কাণ্ডের ফলে রাজ্য সরকারের আসল চেহারা বাইরে বেরিয়ে এসেছে। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী চালিত এক রাজ্যে মহিলারা যে সুরক্ষিত নন, তাও প্রকাশ্যে এসেছে।’ চিঠিতে বিষ্ণুপুরের সাংসদ (Saumitra Khan) লিখেছেন, ‘আরজি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদের জন্য গত ২৭ অগাস্ট বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের তরফে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। রাজনৈতিক যোগসূত্র ছাড়া সকলে হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে হাঁটছিলেন। পুলিশের (Kolkata Police) তরফে এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর নির্মমভাবে অত্যাচার করা হয়। আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ।’

    সৌমিত্রদের অভিযোগ

    সৌমিত্রদের (Saumitra Khan) অভিযোগ অনুযায়ী, নবান্ন অভিযানে ২০০ জন ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ (Kolkata Police) তাঁদের ওপর যে নির্যাতন করেছে, তা নৃশংস, নিষ্ঠুর। এতে তাঁদের শান্তিপূর্ণ জমায়েতের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। মানুষের অধিকারের প্রতি পুলিশের যে অশ্রদ্ধা, নবান্ন অভিযানের ছাত্র সমাজের বিরুদ্ধে পুলিশের অত্যাচারই তার প্রমাণ।

    আরও পড়ুন: মিলে গেল মোদির গ্যারান্টি, বাংলায় দুর্নীতির টাকা ফেরত দিতে শুরু করল ইডি

    কমিশন জানিয়েছে, অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে, মানুষের অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে তা গুরুতর। সুপ্রিম কোর্টও পর্যবেক্ষণে এটা জানিয়েছে। পুলিশ (Kolkata Police) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে (NHRC) ব্যর্থ হয়েছে। তাই কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North Bengal: ‘উত্তরবঙ্গকে জুড়ে দেওয়া হোক উত্তর-পূর্বের সঙ্গে’, মোদিকে আবেদন সুকান্তর

    North Bengal: ‘উত্তরবঙ্গকে জুড়ে দেওয়া হোক উত্তর-পূর্বের সঙ্গে’, মোদিকে আবেদন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য ভাগ না করে উত্তরবঙ্গকে (North Bengal) উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন মন্ত্রকের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব রাখলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mazumder)। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তাঁর আবেদন  উত্তরবঙ্গের আট জেলাকে উত্তর-পূর্বের সঙ্গে যুক্ত করা হোক। এই নিয়ে রাজ্য সরকারের কোনও আপত্তি থাকবে না বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। বালুরঘাটের সাংসদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে পদক্ষেপ করলে উত্তরবঙ্গ আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা পাবে।

    সুকান্তর আর্জি

    বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে সুকান্ত (Sukanta Mazumder) উত্তরবঙ্গ (North Bengal) সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব জমা দেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে দেখিয়েছেন, কোন কোন ক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের মিল আছে। সুকান্ত জানান, উত্তরের ৮ জেলা পশ্চিমবঙ্গের অংশ হিসেবে থাকলেও উত্তর-পূর্বের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া সম্ভব কি না, তা জানতে চেয়েছেন। তিনি মনে করেন, উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্বের অংশ হিসেবে ধরা হলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধাগুলি পেতে সুবিধা হবে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে বলেও মনে করেন তিনি।  সুকান্ত বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন এত দিন ঠিক ভাবে হয়নি বলেই বারংবার বিভিন্ন দাবি ওঠে। এখন প্রধানমন্ত্রী উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। সে জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দও রয়েছে। ফলে উত্তরবঙ্গকে নতুন মর্যাদা দিলে উন্নয়নে গতি আসবে।’’ সুকান্তের এটাও দাবি যে, ‘‘এর ফলে রাজ্য সরকারের কোনও আপত্তি থাকবে না বলেই মনে করি। কারণ, আদতে রাজ্যেরই উন্নতি হবে।’’

    আরও পড়ুন: নন-স্টিক কুকওয়্যারে রান্না করেন! আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়ছে ‘টেফলন ফ্লু’, কী এটা?

    কেন এই আবেদন

    রাজনৈতিক মহলের অনুমান, সুকান্ত শিক্ষা মন্ত্রকের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন মন্ত্রকেরও প্রতিমন্ত্রী। এই মন্ত্রকের পূর্ণমন্ত্রী জ্য়োতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তবে মোদির কাছে প্রস্তাব নিয়ে একা সুকান্তই গিয়েছিলেন। এ থেকেই মনে করা হচ্ছে নিজের দফতরের এলাকা বাড়ানোর লক্ষ্যেই সুকান্তের (Sukanta Mazumder) এই উদ্যোগ। তাঁর লোকসভা এলাকা বালুরঘাটও উত্তরবঙ্গে (North Bengal)। সেই দিক থেকে তাঁর মন্ত্রকের অধীনে উত্তরবঙ্গকে আনতে পারলে নিজের এলাকার উন্নয়নেও কাজ করতে পারবেন সুকান্ত। বুধবার প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সুকান্তের একান্ত বৈঠকে বাংলার বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share