Tag: BJP West Bengal

BJP West Bengal

  • Dilip Ghosh: “কামারের ঘা ওরা দেখেনি, সিধে হয়ে যাবে সব”, স্বভাবসিদ্ধ হুঁশিয়ারি দিলীপের

    Dilip Ghosh: “কামারের ঘা ওরা দেখেনি, সিধে হয়ে যাবে সব”, স্বভাবসিদ্ধ হুঁশিয়ারি দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এখনও দাদাগিরি শুরুই করিনি। ওরা এখন ঠুকঠাক করছে। যেদিন একটা ঘাম মারব না। কামারের ঘা ওরা দেখেনি সিধে হয়ে যাবে সব।”  বক্তা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। দিলীপবাবুর নয়া মন্তব্যের জেরে শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক তরজাও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে তাঁর মন্তব্যে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। এখনও সেই রেশ কাটেনি। সেই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁর নিজের দল এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে শো কজও করা হয়েছিল। দিন কয়েক আগে তার জবাব দিয়েছেন বর্ধমান-দুর্গাপুর (Bardhaman Durgapur) কেন্দ্রের প্রার্থী। পুনরায় দিলীপ ঘোষের ‘দাদাগিরি’ মন্তব্যের জেরে ফের জলঘোলা হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।

    সমর্থন বহু কর্মী ও ভোটারের

    তাঁর এই ধরনের মন্তব্যে দলের কর্মীরা অবশ্য বেজায় খুশি। তৃণমূলের অত্যাচারে মানুষ যেখানে সহ্যের শেষ সীমায় পৌঁছে গিয়েছেন, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে দিলীপবাবুর এমন সোজাসাপ্টা কথাবার্তায় ভোটারদেরও অনেকে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের সাফ কথা, বুনো ওলের জন্য এমন বাঘা তেঁতুলেরই প্রয়োজন। দিলীপবাবু অবশ্য ভোটার এবং দলের কর্মীদের এই পালস বুঝেই ভোটের ময়দানে সোজা ব্যাটে খেলা শুরু করেছেন।

    দিনভর বর্ধমানের কুড়মুন গ্রামে প্রচার চালান দিলীপ ঘোষ

    জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দিনভর বর্ধমানের কুড়মুন গ্রামে প্রচার চালান দিলীপ ঘোষ। কুড়মুন (Kurmun) গ্রামে প্রচার চলাকালীন মন্দিরে গিয়ে পুজোও দিয়েছিলেন তিনি। তারপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর এই দাদাগিরি মন্তব্য করে বসেন দিলীপবাবু (Dilip Ghosh)। দাদাগিরি মন্তব্যে বিতর্ক হচ্ছে জানানোয় দিলীপবাবু বলেন, “আমি মাঠে নেমে কাজ করি। ওদের মত খালি ভাষণবাজি করি না। আমার শিরোনামে আসার প্রয়োজন নেই। যাদের কাজ নেই তাঁরা এসব নিয়ে বেশি আলোচনা করছেন।”

     

    আরও পড়ুন: ‘দলের কোনও দিশা নেই, সনাতন ধর্ম বিরোধী’, ইস্তফা দিলেন কংগ্রেস মুখপাত্র গৌরব বল্লভ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত সুকান্ত, ভাবছেন এখন মার্জিন নিয়ে

    Balurghat: জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত সুকান্ত, ভাবছেন এখন মার্জিন নিয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভা আসনে বিজেপির (BJP) মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার আগে বালুরঘাট শহরে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করেন সুকান্ত মজুমদার এবং তার সঙ্গে ছিলেন ত্রিপুরার (Tripura) মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (Manik Saha)।

    সুকান্তর মনোনয়নপত্র জমা (Balurghat)

    এছাড়াও উপস্থিত বিজেপির গঙ্গারামপুর, তপন, বালুরঘাট বিধানসভা বিধায়করা। বালুরঘাট শহরের বিজেপি মোড় এলাকা থেকে মিছিল করে বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার সহ অন্যান্য নেতৃত্ব জেলা শাসকের দপ্তরে এসে পৌঁছান। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা সহ বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্ব। বিজেপি পার্টির সূত্রের খবর আজকের এই মিছিলে অন্তত ১৫ হাজার মানুষের জমায়েত হয়েছিল। বিশাল মিছিল ও কর্মী সমর্থকদের ভিড়ে স্পষ্টতই খুশি বিজেপি জেলা নেতৃত্ব।

    কী বললেন সুকান্ত?

    মনোনয়ন পত্র জমা করে বাইরে বেরিয়ে এসেই সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আগেরবারের তুলনায় এবারে ভোটের ফলাফল আরও ভালো হবে এবং বালুরঘাটের আসনে বিজেপির জয়লাভ করবে। উন্নয়নের মিছিলে যেভাবে মানুষের উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে তাতে এটাই প্রমাণ করে যে এবারেও এই আসলে বিজেপিরই জয় সুনিশ্চিত।” এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা এই আসনে বিপুল ভোটে জিতব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমরা এই আসন উপহার দেব আজকে মানুষের উচ্ছাস দেখে বোঝায় যাচ্ছে এই সিটটা কে দখল করবে। আজকে আমার সঙ্গে মনোনয়ন জমাতে উপস্থিত ছিল ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। তিনিও আমাদের সাথে এই রোদের মধ্যে প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটেছে।” প্রসঙ্গত লোকসভার সেরা সাংসদের পুরষ্কার পেয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। কেন্দ্র সরকারের বহু প্রকল্প বালুরঘাটকে উপহার দিয়েছেন সুকান্ত বাবু। সেই কারণে তার জয়ের ব্যাপারে সন্দেহ নেই বালুরঘাটবাসীর।
     
     
     
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: কার্টুনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে প্রাণ নাশের হুমকি! তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মালব্য

    PM Modi: কার্টুনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে প্রাণ নাশের হুমকি! তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মালব্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস একটি কার্টুন প্রকাশ করেছে। যাতে দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) লাথি মেরে মই থেকে ফেলে দিচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। তৃণমূলকে কার্টুন ইস্যুতে কড়া আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির এ রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অমিত মালব্য। তাঁর মতে, এ ধরনের কার্টুন সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রাণনাশের হুমকি। এর পাশাপাশি অমিত মালব্য নির্বাচন কমিশনের কাছে এই ঘটনার তদন্ত চেয়ে আর্জিও জানিয়েছেন, নিজের এক্স হ্যান্ডেলের মাধ্যমে। এনিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় একজন মুখ্যমন্ত্রী কিভাবে দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লাথি মারতে পারে!

    অমিত মালব্যর ট্যুইট

    অমিত মালব্য লেখেন, ‘‘কোনও শব্দই খুঁজে পাচ্ছিনা, এই ধরনের কার্টুনের নিন্দা করার জন্য। যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস সরাসরি প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) সমেত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলা বিজেপির নেতাদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।’’

    তৃণমূলের পতন হচ্ছেই!

    প্রসঙ্গত, একাধিক দুর্নীতি, সন্ত্রাস প্রভৃতি ইস্যুতে লোকসভা ভোটের আগে বেশ কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। একাধিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে তাদের লোকসভা ভোটে ভরাডুবির খবর। ইতিমধ্যে একদা তাদের রাজনৈতিক রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোরও তৃণমূলের পতনের পূর্বাভাস দিয়েছেন নিজের এক সাক্ষাৎকারে। এমতাবস্থায়, যত ভোট এগিয়ে আসছে তত বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য ভেসে আসছে তৃণমূল নেতাদের তরফ থেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Firhad Hakim: আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গ করেছেন ফিরহাদ হাকিম, কমিশনে নালিশ বিজেপির

    Firhad Hakim: আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গ করেছেন ফিরহাদ হাকিম, কমিশনে নালিশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ। কমিশনের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি। জানা গিয়েছে, ফিরহাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠিও দিয়েছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, রবিবার মধ্যরাতে গার্ডেনরিচে বেআইনি নির্মাণ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। মারা যান ৯ জন। আহতও হন বহু। যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটে তা, মেয়রের খাস তালুক বলেই পরিচিত। ঘটনার পরে সোমবারই গার্ডেনরিচকাণ্ডে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। বিজেপির অভিযোগ, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করে আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন মেয়র।

    বিজেপির চিঠি

    মেয়র ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করার পর পরেই বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত  সিইওকে চিঠি লেখেন। সেখানে শিশির লেখেন, ‘‘কলকাতা বন্দর এলাকার বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম আদর্শ আচরণ বিধি অমান্য করেছেন। কলকাতা পুরনিগমের ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ড মেটিয়াবুরুজে একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট বা আদর্শ আচরণবিধি চালু হওয়ার ৪৮ ঘন্টাও অতিবাহিত না হতেই, ১৮৫এসি কলকাতা বন্দরের টিএমসি বিধায়ক (Firhad Hakim), পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী এবং কেএমসির মেয়র ফিরহাদ হাকিম আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।’’ বিজেপি ওই চিঠিতে আরও জানিয়েছে, মেটিয়াবুরুজের কেএমসি ১৩৪ ওয়ার্ডে একটি বেআইনি ভবন ধসে পড়ে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। ফিরহাদ হাকিম দুর্ঘটনায় নিহতদের জন্য ৫ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন। এতে বিজেপির কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু রাজ্য সরকারের যেকোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করতেই পারতেন। কিন্তু টিএমসির একজন রাজনৈতিক নেতা যিনি স্থানীয় বিধায়কও, তিনি কীভাবে এই ঘোষণা করছেন? এমন প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির।

    কমিশনের ব্যাখা

    বিজেপির অভিযোগ যে অযৌক্তিক নয়, তা কমিশনের ব্যাখাতেই পরিষ্কার। কমিশনের ব্যাখা হল, আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি চালু হওয়ার পর কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করতে পারেন না। অর্থাৎ জনপ্রতিনিধিরা কোনও ধরনের ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করতে পারেন না। প্রয়োজন পড়লে মুখ্যসচিব বা কোনও অফিসারকে এই ঘোষণা করতে হয়। কিন্তু এই কাজ আধিকারিকদের বদলে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) নিজে করলেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Justice Ganguly: মোদির সভায় যোগদান? বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রার্থী হচ্ছেন তমলুকে?

    Justice Ganguly: মোদির সভায় যোগদান? বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রার্থী হচ্ছেন তমলুকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতির পদ ছাড়ছেন তিনি, আসছেন রাজনীতিতেও একথা রবিবারই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Ganguly)। কিন্তু কোন দলে যাচ্ছেন তিনি? তা জানাননি। তবে তৃণমূলে যে একেবারেই নয়, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। প্রার্থী হতে পারেন তমলুক লোকসভা আসনে। চলতি সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভায় তিনি যোগ দিতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে। তবে এই জল্পনায় এখনও সিলমোহর দেয়নি গেরুয়া শিবির। এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বিবৃতি আসেনি রাজ্য বিজেপির তরফে।

    কী বলছে গেরুয়া শিবির?

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Ganguly) ইস্তফা গৃহীত হলে তবেই তিনি প্রতিক্রিয়া দেবেন। অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “রাজনীতিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো নিষ্ঠাবান মানুষকে দরকার, সে তিনি যে দলেই যোগ দিন না কেন।” সেই সঙ্গে তাঁর মত, ‘‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজেপিই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্বাভাবিক পছন্দ হওয়া উচিত।’’

    গতকাল কী বলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় রবিবার বলেন, “আমি বিচারপতি পদ থেকে মঙ্গলবার পদত্যাগ করব। আগামিকাল (সোমবার) বিচারপতি হিসেবে আমার শেষ দিন। আমি সেদিন কোনও বিচারের কাজ করব না। কতগুলি মামলা অর্ধেক হয়ে রয়েছে, সেগুলি আমার লিস্ট থেকে রিলিজ করতে হবে। এরপর আমাদের হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে মৌখিকভাবে জানাব। মঙ্গলবার আমাদের রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে জানিয়ে দেব। যে মুহূর্তে আমি চিঠিটা পোস্ট করব, সেই মুহূর্ত থেকে আমার রেজিগনেশন কার্যকর হবে। এটাই কনস্টিটিউশন ও কনস্টিটিউশন ল’ এর প্রবিশন। সেটা মঙ্গলবার হবে। এরপর আপনাদের সব প্রশ্নের উত্তর দেব।” গতকাল তিনি আরও বলেন, “মঙ্গলবার দেড়টার সময় কোর্টে মাস্টারদা সূর্যসেন মূর্তির নীচে আমি আসব, সব প্রশ্নের উত্তর দেব। মাথা আমি এখনও নত করিনি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Modi In Bengal: সন্দেশখালিকাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য, এক সপ্তাহে বাংলায় ৩টি জনসভা মোদির

    Modi In Bengal: সন্দেশখালিকাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য, এক সপ্তাহে বাংলায় ৩টি জনসভা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে উত্তাল সারা রাজ্য। আন্দোলনের ঢেউ পৌঁছেছে রাইসিনা হিলস থেকে বিজেপির জাতীয় সম্মেলনে। এই আবহে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi In Bengal)। তাও আবার ১ সপ্তাহের মধ্যেই করবেন ৩টি জনসভা। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগেই রাজ্যে ভোটের দামামা বাজাতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে প্রচারে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছেন মোদি। ব্যতিক্রম যে পশ্চিমবঙ্গ নয় তা প্রধানমন্ত্রীর (Modi In Bengal) জনসভার সূচিতেই পরিষ্কার।

    কোথায় কোথায় জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী?   

    বিজেপি সূত্রে খবর, লোকসভা ভোটের আগে আরামবাগেই তাঁর প্রথম সভা হতে চলেছে। আগামী ১ মার্চ রাজ্যে আসার কথা নরেন্দ্র মোদির (Modi In Bengal)। সেদিনই তিনি জনসভা করবেন আরামবাগে। এরপর ২ মার্চ নদিয়ার কৃষ্ণনগরে সভা করার কথা রয়েছে। তৃতীয় জনসভার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়েছে আগামী ৬ মার্চ বারাসতে। রাজনৈতি পর্যবেক্ষকদের মতে, কৃষ্ণনগর লোকসভা আসনে বিজেপির বরাবরই নিজস্ব ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। এই আসন থেকেই পরপর দু বার জয়ী হয়েছিলেন সত্য়ব্রত মুখার্জি ওরফে জুলু বাবু। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে খুব অল্প ব্য়বধানে কৃষ্ণনগর আসনে পরাস্ত হন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। এবার তাই কৃষ্ণনগর আসনটিতে বিশেষ নজর দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব (Modi In Bengal)। অন্যদিকে গত নির্বাচনে ১২০০ ভোটের ব্যবধানে আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্র হাতছাড়া হয় বিজেপির। সেটিও লক্ষ্য রেখেছে গেরুয়া শিবির। তাই এই হাইভোল্টেজ সভা।

    সন্দেশখালির নির্যাতিতারা মুখ ঢেকে হাজির থাকবেন বারাসাতের সভায়!

    আগেই জানা গিয়েছিল, ৬ মার্চ উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বারাসাত থেকে বসিরহাট কাছেই। সন্দেশখালির আবহে মোদির বারাসত সফরকে আলাদা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, অত্যাচারিত মহিলাদের হাজির করানো হবে প্রধানমন্ত্রীর (Modi In Bengal) সভায়। রাজ্য বিজেপির পরিকল্পনা, বারাসাতের সভায় সন্দেশখালির ‘নির্যাতিতা’-দের  আলাদা মঞ্চ করে বসানো হবে। সেখানে মুখ ঢেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হবেন তাঁরা।

    কী বলছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এখনও অবধি যে সম্ভাবনা তাতে আগামী ১ মার্চ ও ২ মার্চ উনি আসতে পারেন। দু’টি জায়গায় সভা করতে পারেন তিনি। ৬ মার্চ বারাসতেও তিনি আসবেন। সন্দেশখালির মহিলাদেরও আমরা নিয়ে আসব। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করাব। প্রধানমন্ত্রীর সভাতে ওনারা থাকবেন। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন ওনারা। বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর (Modi In Bengal) সঙ্গে দেখা করতে চান। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা ওনাদের কথা পৌঁছে দেব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বারাকপুরকাণ্ডে মমতার পুলিশকে ‘হিংস্র নেকড়ে’-র সঙ্গে তুলনা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বারাকপুরকাণ্ডে মমতার পুলিশকে ‘হিংস্র নেকড়ে’-র সঙ্গে তুলনা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুরে বিজেপির আইন অমান্যকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা দেখা গেল। সোমবার বিজেপি কর্মীদের আন্দোলনকে দমন করতে পুলিশ ইটবৃষ্টি, জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের শেল, লাঠিচার্জ সবকিছুই করে। বিজেপি কর্মীদের দিকে তেড়ে গিয়ে পুলিশ চড়-থাপ্পড়, লাথিও মারতে থাকে। ইতিমধ্যে পুলিশের এহেন আচরণকে কাঠগড়ায় তুলেছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এনিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পুলিশের ভূমিকাকে ‘হিংস্র নেকড়ে’-র সঙ্গে তুলনা করছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর আরও  অভিযোগ, ‘‘এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে খুঁজে খুঁজে, বেছে বেছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের পেটানো হয়েছে। তৃণমূলের উদ্দেশে শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘‘আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে এই ঘটনাগুলি ঘটানো হয়েছে। বিজেপি এর শেষ দেখে ছাড়বে।”

    কী বললেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘এই কর্মসূচিতে যা যা ঘটেছে, তা ইতিমধ্যে আপনারা দেখেছেন। কোনও প্ররোচনা ছাড়াই হিংস্র নেকড়ের মতো পুলিশ শুধু জলকামান ব্যবহার করেই ক্ষান্ত হয়নি। জলকামানের পরে আমাদের কর্মী-সমর্থকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়, তখন এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে খুঁজে খুঁজে, বেছে বেছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের পেটানো হয়েছে। ২৫-৩০ জন আহত হয়েছেন। ৬ জনকে বারাকপুর হাসপাতাল থেকে কল্যাণী এইমসে স্থানান্তর করা হচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বারাকপুর বিজেপির ১৫ জন একনিষ্ঠ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি পুলিশের এই আচরণের নিন্দা করছি। যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি।’’

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে ১৫ নম্বর রেল গেটের সামনে থেকে মিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো কর্মী-সমর্থকরা জমায়েত হন। সেখানে সুতলি বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে, পুলিশ এসে বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সুকান্তর নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়। মিছিল আটকাতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি ব্যারিকেড করা হয়েছিল। রাস্তায় রাখা ছিল জলকামানও। প্রতিটি ব্যারিকেডে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। প্রথম ব্যারিকেড পেরিয়ে বিজেপি কর্মীরা দ্বিতীয় ব্যারিকেডে জমায়েত হন। বিজেপি কর্মীরা দ্বিতীয় ব্যারিকেড পার হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এরপরই বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে পুলিশ ইট ছোড়ে বলে অভিযোগ। ব্যারিকেড পার হওয়ার চেষ্টা করতেই পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। বহু মহিলা কর্মীর ওপর লাঠিপেটা করা হয়। মিছিলের ওপর জলকামান চালানো হয়। সুকান্ত মজুমদারও জল কামানের জলে সম্পূর্ণ ভিজে যান। পুলিশি হামলা বিজেপি কর্মীরা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এরপর মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। বিজেপি-র কর্মসূচিকে পুলিশ বানচাল করে দেয় বলে বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP West Bengal: লক্ষ্য চব্বিশের লোকসভা, সাংগঠনিক ঘোষণা বঙ্গ বিজেপির, যুবমোর্চার ইনচার্জ হিরণ

    BJP West Bengal: লক্ষ্য চব্বিশের লোকসভা, সাংগঠনিক ঘোষণা বঙ্গ বিজেপির, যুবমোর্চার ইনচার্জ হিরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য বিজেপিতে (BJP West Bengal) বেশ কিছু নতুন সাংগঠনিক ঘোষণা হয় শুক্রবার। তাতে যুব মোর্চার সংগঠন দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অভিনেতা তথা খড়্গপুর সদরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে। প্রসঙ্গত, যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি রয়েছেন ইন্দ্রনীল খান। এর পাশাপাশি ইনচার্জ হিসেবে গোটা যুব সংগঠনকে দেখাশোনা করবেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়।

    উত্তরবঙ্গের দায়িত্বে দীপক বর্মণ

    বিজেপির সাংগঠনিক (BJP West Bengal) কাজ চলে পশ্চিমবঙ্গকে কতগুলি জোনে ভাগ করে। সেই সমস্ত জোনের কনভেনারদের নামও ঘোষণা করা হয় শুক্রবার। জোনের অধীনে থাকে বিভাগ। বিভাগ কনভেনারদের নামও ঘোষণা করা হয় এদিন। উত্তরবঙ্গে বিজেপির সংগঠন বেশ শক্তিশালী। বিগত নির্বাচনগুলিতে তার প্রমাণ মিলেছে। উত্তরবঙ্গ জোন কনভেনারের পদে থেকে গেলেন ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মণ। প্রসঙ্গত, দীপকবাবু রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকও বটে। অন্যদিকে মহিলা মোর্চার কাজ এবার থেকে দেখাশোনা করবেন পারমিতা দত্ত। তাঁকে মহিলা মোর্চার ইনচার্জ করা হয়েছে। বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সভাপতি পদে রয়েছেন চার্লস নন্দী। সংখ্যালঘু মোর্চার কাজ দেখাশোনা করতে ইনচার্জ পদে বসানো হয়েছে মাফুজা খাতুনকে। মিডিয়া বিভাগের ইনচার্জ তুষারকান্তি ঘোষ রয়েছেন। সেই সঙ্গে রাজ্য বিজেপির (BJP West Bengal) অন্যতম মুখপাত্র কেয়া ঘোষকে জোন ইনচার্জ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে, দলের বিধায়ককেই গ্রেফতারের দাবি অর্জুন অনুগামীদের!

    দক্ষিণবঙ্গের দায়িত্বে কারা?

    বিজেপির কলকাতা জোনের কাজ দেখাশোনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলকে। অন্যদিকে কো-কনভেনার হিসেবে কাজ করবেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। দুজনেই রাজ্য বিজেপির (BJP West Bengal) সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন। রাঢ়বঙ্গের জোনের দায়িত্বে থেকে গিয়েছেন দলের সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনিও রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক। নবদ্বীপ জোনের দায়িত্বে নিয়ে আসা হয়েছে সঞ্জয় সিংকে। হাওড়া-হুগলি-মেদিনীপুর জোনের দায়িত্বে রয়ে গেলেন দলের সাংসদ তথা রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: আজ বিজেপির সভায় প্রথম বক্তা তফশিলি মুখ চন্দনা বাউড়ি, শেষে ভাষণ দেবেন অমিত শাহ

    BJP: আজ বিজেপির সভায় প্রথম বক্তা তফশিলি মুখ চন্দনা বাউড়ি, শেষে ভাষণ দেবেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলায় আজ বিজেপির ‘শাহি সভা’। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি দেখতে গত কাল রাতেই মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কিছু পরে সেখানে হাজির হন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীও। বুধবার ঠিক দুপুর দুটোর সময় বিজেপির সভাতে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের।

    তফশিলি সমাজের প্রতিনিধি চন্দনা বাউড়ি

    বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর, মঞ্চে প্রথম বক্তা হিসেবে দেখা যাবে শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউরিকে। সাধারণ নিম্নবিত্ত পরিবারের চন্দনাকে গত বিধানসভা নির্বাচনে শালতোড়ার টিকিট দেয় বিজেপি। তিনি জিতেও আসেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে একাধিকবার রাজ্যে প্রচারে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সে সময় প্রধানমন্ত্রীকেও বলতে শোনা যায় চন্দনার কথা। তফশিলি সমাজের এই মুখকে রাজ্য বিজেপি প্রথম বক্তা হিসেবে রেখেছে।

    বক্তব্য রাখার সময়সীমা

    জানা গিয়েছে, একেবারে শেষে বক্তব্য রাখবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মাঝখানে প্রত্যেক বিজেপি (BJP) নেতা, সাংসদ এবং বিধায়কদের বক্তব্য রাখতে দেখা যাবে। তবে প্রত্যেকেরই বক্তব্য রাখার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। বক্তাদের তালিকায় নাম রয়েছে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষেরও। উত্তরবঙ্গের কর্মীদের ট্রেনে চাপার ভিডিও ট্যুইট করেছেন বিজেপি নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী।

    অমিত শাহকে স্বাগত জানাবেন সুকান্ত-শুভেন্দু

    সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারীকে প্রথম থেকেই মঞ্চে দেখা যাবে না। তার কারণ তাঁরা দুজনেই কলকাতা বিমানবন্দরে অমিত শাহকে স্বাগত জানাতে হাজির থাকবেন। কলকাতা বিমানবন্দরে অমিত শাহ নামবেন ঠিক বেলা ১টার সময়। জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে তাঁর বিশেষ বিমান রওনা দেবে ১১ টা ৫ মিনিটে। কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পরে তিনি হেলিকপ্টারে আসবেন রেসকোর্সের মাঠে। সেখান থেকে সড়কপথে অমিত শাহের কনভয় ঠিক দুপুর দুটোর সময় যাবে সভার স্থলে। বিমানবন্দর থেকে সভাস্থল পর্যন্ত অমিত শাহের সঙ্গী হিসেবেই দেখা যাবে সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারীকে। বেলা দুটোর সময় অমিত শাহ মঞ্চে আসার পরে বক্তব্য রাখবেন সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারী। ঠিক দুপুর আড়াইটার সময় মঞ্চে বক্তব্য রাখবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর জনসভা থেকে ফের রেসকোর্সের দিকে তিনি রওনা দেবেন বিকাল সওয়া তিনটে নাগাদ।

    সকাল ১০টা থেকে শুরু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান 

    কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বঞ্চিত উপভোক্তাদের নিয়ে বিজেপির সভা অবশ্য কাল ১০টা থেকেই শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দলের বিধায়ক তথা খ্যাতনামা কবিয়াল অসীম সরকার গান গাইবেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিজেপির (BJP) কালচারাল সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত পদাধিকারী তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ কবিতা আবৃত্তি করবেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ হলে রাজ্য নেতারা (BJP) বক্তব্য রাখতে শুরু করবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: ‘‘বাংলাকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’’, তোপ জেপি নাড্ডার

    JP Nadda: ‘‘বাংলাকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’’, তোপ জেপি নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংগঠনিক বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। এদিন শাখা সংগঠনগুলির এক বৈঠক আয়োজিত হয় কলকাতায়, যার পোশাকি নাম ছিল সংযুক্ত মোর্চা সম্মেলন। সেখানেই মমতার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। তার আগে সকালে দক্ষিণশ্বরে তিনি পুজোও দেন।

    মমতাকে তোপ বিজেপি সভাপতির

    জেপি নাড্ডা (JP Nadda) এদিন বলেন, ‘‘গতকালও বলেছি আজকেও বলছি, কয়েকটি সংবাদপত্রে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন দুর্নীতি কোথায়! আমি জানতে চাই পার্থ চট্টোপাধ্যায় আজ কোথায়? কোথায় আজ অনুব্রত মন্ডলের মেয়ে? তৃণমূলের নেতারা বহু কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত! তবু আপনি প্রমাণ চাইছেন মমতা দিদি?’’
     
     এদিন বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসার কথা উঠে আসে জেপি নাড্ডার ভাষণে (JP Nadda)। তিনি বলেন, ‘‘২০২১ সালে ভোট পরবর্তী হিংসার জন্য ১২ হাজার মামলা দায়ের করা হয়েছে। বহু মানুষ এখনও পর্যন্ত ঘরছাড়া। এমনকি সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত ভোটে যে হিংসা হয়েছে তা সবাই দেখেছে। আর মমতা দিদি আপনি দেশের গণতন্ত্রের কথা বলছেন! আগে আপনি বাংলার দিকে তাকান।’’  

      অন্যদিকে মোদি সরকারের উন্নয়নের গতিকেও রোধ করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমন অভিযোগও তোলেন নাড্ডা (JP Nadda)। তিনি বলেন, ‘‘বাংলায় কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালুতে সরকারিভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ২১ লক্ষ পরিবারকে স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনতে চেয়েছিল, আয়ুষ্মান যোজনার মাধ্যমে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাতে বাধা দেয়।’’ জেপি নাড্ডার (JP Nadda) আরও সংযোজন, ‘‘বিগত ৪০-৫০ বছরে বাংলায় কংগ্রেস শাসন হোক বা কমিউনিস্ট শাসন হোক বা তৃণমূল শাসন হোক কেউই বাংলাকে পিছিয়ে নিয়ে যেতে কোনও কিছু বাকি রাখেনি। যে বাংলা বিশ্বকে একসময় পথ দেখিয়েছিল, সেই বাংলা আজ মমতা সরকারের অধীনে এসেছে। দুর্ভাগ্যবশত গত চার পাঁচ দশকে পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন হয়নি।’’

     প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপি যে ভালো ফল করবে তাও এদিন জেপি নাড্ডার (JP Nadda) ভাষণে উঠে আসে এবং তিনি বলেন, ‘‘সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য আপনারা একটা প্রধান ভূমিকা পালন করতে পারেন। আসুন আমাদের সংগঠনের সংখ্যালঘু এবং আদিবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করি। আমি এখানে যে উপস্থিতি এবং উদ্দীপনা দেখছি তাতে আমি নিশ্চিত যে বাংলায় পরিবর্তন খুব তাড়াতাড়ি আসবে।’’ এই সময় সভাগৃহ করতালিতে ফেটে পড়ে, সেটার উল্লেখ করে জেপি নাড্ডা (JP Nadda) বলেন, ‘‘করতালির বজ্রধ্বনি বলছে আপনারা অঙ্গীকার নিয়েছেন যে আপনারা দলকে সফল করবেন এবং বাংলায় পদ্ম ফোটাবেন।’’

    সকালে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দেন নাড্ডা (JP Nadda)

    বিজেপির দু’দিনের পূর্বাঞ্চলীয় পঞ্চায়েতি রাজ পরিষদের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শনিবারই রাজ্যে পা রেখেছেন জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। রবিবার সকালে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিলেন বিজেপি নেতা। মন্দির থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘এই মন্দির স্বামী বিবেকানন্দের জায়গা, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের জায়গা। এখানে এসে দলের মঙ্গল চাইলাম, দেশের ভাল চাইলাম।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে ভগবানের আর্শীবাদ চাইলাম, যাতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নত ভারত গঠিত হয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share