Tag: BJP West Bengal

BJP West Bengal

  • Suvendu Slams Mamata: “বৃথা চেষ্টা, একটা বিগ জিরো…”, মমতার দিল্লি সফরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর 

    Suvendu Slams Mamata: “বৃথা চেষ্টা, একটা বিগ জিরো…”, মমতার দিল্লি সফরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Election) ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরোধীদের একজোট করার প্রচেষ্টায় বৈঠককে অপ্রাসঙ্গিক বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিরোধী দলনেতা, মুখ্য সচেতকসহ সাত বিজেপি বিধায়ককে সাসপন্ড করেছেন। সেই কারণে বিধানসভার বাইরে ধর্না দেন বিজেপি বিধায়করা। সেখানেই শুভেন্দু বলেন, “ওই বৈঠকের কোনও গুরুত্ব নেই। জগনমোহন রেড্ডি, কে চন্দ্রশেখর রাও এবং নবীন পট্টনায়েকের মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতারা বৈঠকে যাচ্ছেন না।”

    রাজ্য থেকে বিজেপির মনোনীত প্রার্থীই বেশি ভোট পাবেন বলে নিশ্চিত শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “গতবার বিজেপির ৩ বিধায়ক থাকলেও এই রাজ্য থেকে রামনাথ কোবিন্দ ১৩ জনের ভোট পেয়েছিলেন। এবার বিজেপির ৭০ জন বিধায়ক। গতবার ২ সাংসদ রাজ্য থেকে এনডিএ প্রার্থীকে ভোট দিয়েছিলেন, এবার অন্তত ১৮ জনের ভোট ঝুলিতে আসবে। সংখ্যাটা ১৮-র বেশিও হতে পারে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের গণনার দিন সবাইকে লাড্ডু খাওয়াব।”

    আরও পড়ুন: ‘ছাপ্পাশ্রী’ পুরস্কার দেওয়া হোক, আচার্য বিল নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    তৃণমূলনেত্রীর প্রচেষ্টাকে ‘বিগ জিরো’ বলেও এদিন কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা।  বলেন,”উনি ১০ বছর ধরে দেশের নেত্রী হওয়ার বৃথা চেষ্টা করছেন।”  

    কেন্দ্রের প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করা নিয়েও এদিন মমতাকে একহাত নেন শুভেন্দু। প্রশ্ন করেন “স্টিকার লাগানোর ব্যবসা কতদিন চালাবেন?”
    হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আগে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ লিখতে হবে, তারপরেই কেন্দ্রীয় সাহায্য পাওয়া যাবে। আগে লিখতে হবে ‘জলজীবন মিশন’, তারপর পুলক রায় টাকা পাবেন। রাজ্যের দেওয়া নাম ‘জলস্বপ্ন’-এ টাকা দেওয়া হবে না।” 

    আরও পড়ুন: বিরোধীহীন অধিবেশন চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    এছাড়া এদিন আর্থিক তছ্রুপের অভিযোগে রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তোলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন,”রাজ্য সরকার তিন বছর ধরে কেন্দ্রের পাঠানো টাকার হিসেব দেয়নি। পশ্চিমবঙ্গ বনদপ্তর একটা নারকেল গাছ কেনে ৪২ টাকা দিয়ে। আর কিষাণ কল্যাণী ফার্ম আড়াইশো টাকা করে ৩২ কোটি টাকার নারকেল গাছ সরবরাহ করেছে এমজিএনআরইজিএ প্রকল্পে। এ ব্যাপারে বিভাগীয় তদন্ত হচ্ছে। পরে আর্থিক  তছরুপের তদন্ত হবে।”     

     

  • Suvendu Adhikari in Deucha: নন্দীগ্রামের থেকেও বড় আন্দোলন হবে, দেউচায় হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর

    Suvendu Adhikari in Deucha: নন্দীগ্রামের থেকেও বড় আন্দোলন হবে, দেউচায় হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই বাড়ছে দেউচা-পাঁচামি (Deucha Pachami) জমি রক্ষা প্রতিরোধ আন্দোলন। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের (BGBS 2022) শুরুর দিনেই রাজ্য বিজেপির (BJP) জোড়া কর্মসূচির দিকে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। সম্মেলনের সূচনার দিনে একদিকে হুগলির সিঙ্গুর (Singur) এবং অন্যদিকে বীরভূমের ডেউচায় (Deucha) একযোগে কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের মতে, শিল্পপতিদের কাছে রাজ্যে শিল্পের পরিবেশের প্রকৃত ছবি তুলে ধরতেই বিজেপির এই চেষ্টা। 

    কলকাতায় যখন সম্মেলনে উদ্বোধন করছে রাজ্য প্রশাসন, ঠিক সেই সময়ে বীরভূমের দেউচায় দাঁড়িয়ে বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সিন্ডিকেট ইস্যুতে রাজ্য প্রশাসনকে তুলোধনা করার পাশাপাশি রাজ্যে শিল্প বিমুখতা নিয়েও সরব ছিলেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, ‘এই রাজ্যে শুধুমাত্র চপ শিল্পই হবেই।’ এখানেই শেষ করেননি শুভেন্দু, তিনি আরও বলেন, ‘তবে চপ ব্যবসায়ীরাও তিন দিনের বেশি দোকান খুলতে পারবে না। কারণ তাঁদের তৃণমূলের সম্মেলনে যেতে হবে।’

    দেউচা-পাঁচামি (Deucha-Pachami) কয়লা খনি (coal mine)  প্রকল্প নিয়ে ক্রমশই জটিলতা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় আদিবাসীরা কোনও মূল্যেই কয়লা খনির জন্য জমি দিতে নারাজ। পাল্টা তাঁরা বনভূমি রক্ষার কথা বলছেন। এই এলাকার আদিবাসী মানুষ অরাজনৈতিক মঞ্চ তৈরি করে আন্দোলনে নেমেছে। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও। শুভেন্দুবাবুর অভিযোগ, দেউচায় আদিবাসীদের বেআইনিভাবে উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে নষ্ট করার জন্য এটা পুলিশ এবং তৃণমূলের চাল। কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদীর শক্তি নেই এখানে। স্থানীয় মানুষ আন্দোলন করছেন। তাঁরা কোথাও মঞ্চ বেঁধে করছে। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ব্যানারে তাঁরা আন্দোলন করছেন ৷

    তবে, যেখানে কয়লাখনি প্রকল্প হওয়ার কথা সেখানে যাননি শুভেন্দুবাবু। বদলে কাছেই জামবনি এলাকায় গিয়ে আদিবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। গ্রামবাসীদের সঙ্গে বসে তাঁদের সব অভিযোগ তিনি শোনেন ৷ তিনি জানান, অরাজনৈতিক আন্দোলন মঞ্চে রাজনীতির রং লাগুক তা চাননা তিনি। আন্দোলনকারীরা তাঁদের মতো অরাজনৈতিক মঞ্চে আন্দোলন করছেন। বিজেপি তাদের মতো নিজেদের মঞ্চে আন্দোলন করছে। 

    শুভেন্দুবাবু মনে করিয়ে দিলেন, পাঁচামি এলাকার ভূমি রক্ষা আন্দোলনকারীদের জন্য তাঁর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আন্দোলনকারীদের পাশে বিজেপি আছে, পরেও থাকবে ৷ আন্দোলনকারীরা যদি ডাকেন তাহলে তিনি নিশ্চিয় যাবেন। দেউচা প্রকল্প যে কোনওভাবেই হওয়ার নয়, তা বুঝিয়ে দেন বিরোধী দলনেতা। বললেন, “কোনও উচ্ছেদ করা চলবে না। ক্লোজড চ্য়াপ্টার, ক্লোজড চ্য়াপ্টার, ক্লোজড চ্য়াপ্টার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মাথা থেকে দেউচা ঝেড়ে ফেলে দিক।”

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই এলাকায় কমপক্ষে ২০টি গ্রামে ৪৩১৪টি বাড়িতে ২১ হাজারেরও বেশি মানুষের বাস। এই অঞ্চলে অধিকাংশ গ্রাম আদিবাসী প্রভাবিত। তাই জমি অধিগ্রহণের জন্য রাজ্য প্রশাসন প্যাকেজ ঘোষণা করলেও আদিবাসীদের একটা বড় অংশ জমি দিতে নারাজ। ইতিমধ্য়ে প্রতিবাদে নেমেছেন সেখানকার আদিবাসীরা। তাঁদের দাবি, “খোলামুখ কয়লা খনি প্রকল্প চাই না।” হাতে তীর-ধনুক নিয়ে জেলা শাসককে এলাকায় ঢুকতে বাঁধা দেন আদিবাসীরা।  সরকারি পাট্টা ও চেক বিতরণ করে জমি অধিগ্রহণের জন্য গিয়েছিলেন বীরভূম জেলাশাসক, পুলিশ সুপার-সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা। তবে সে কাজ সারা যায়নি। কারণ তাঁরা আদিবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। ফলে ফিরে আসতে হয় তাঁদের।  

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাশনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দুবাবু জানিয়ে রাখলেন, দেউচায় নীল বিদ্রোহের মতো স্ফুলিঙ্গ ইতিমধ্যেই তিনি দেখেছেন। তিনি জানান, দেউচায় নন্দীগ্রামের থেকেও বড় আন্দোলন হবে। তিনি প্রতিমাসে সেখানে দুবার করে যাবেন। পাশাপাশি ৮ মে-র পরে সেখানে উচ্ছেদ বিরোধী পদযাত্রা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আগামী ১২ মে ডেউচা-পাঁচামি এলাকায় ৫ কিলোমিটার মিছিল করবেন তিনি। মিছিলে থাকবে ২০ হাজার লোক। 

    রাজ্য রাজনীতির ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম আন্দোলন। সিঙ্গুর বা নন্দীগ্রামের ক্ষেত্রেও আন্দোলনের শুরুটা ছিল অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকেই। পরে গিয়ে সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিভন্ন রাজনৈতিক দল দাঁড়িয়েছিল। সিঙ্গুরের ক্ষেত্রে ছিল কৃষি জমি রক্ষা কমিটি আর নন্দীগ্রামে ছিল ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। দেউচাতেও, দেখা যাচ্ছে সেই একই ধারা। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনের ফলে রাজ্যে বাম জমানার ভিত নড়িয়ে দিয়েছিল। পতন হয়েছিল বাম সরকারের। দেউচার আন্দোলনের ধারা কোন দিকে গড়ায়, তা অবশ্য সময়ই বলবে।

     

     

LinkedIn
Share