Tag: Bloomberg report

Bloomberg report

  • China: অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানকে স্যাটেলাইট তথ্য দিয়ে সাহায্য করে চিন, বলছে রিপোর্ট

    China: অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানকে স্যাটেলাইট তথ্য দিয়ে সাহায্য করে চিন, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে চিন (China) সরাসরি পাকিস্তানকে সাহায্য করেছে। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত-পাক যুদ্ধে পাকিস্তানকে কৃত্রিম উপগ্রহের নজরদারির মারফত সহায়তা প্রদান করেছে বেজিং। রেডার পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রেও ইসলামাবাদকে বেজিং সাহায্য করেছে বলে অভিযোগ।

    রাজস্থানের আন্তর্জাতিক সীমান্তের উপর বেজিঙের উপগ্রহকে পাক খেতে দেখা গিয়েছে

    ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সীমান্তে ভারতীয় সেনার (India Pakistan War) গতিবিধির ওপর নজর রাখতে একাধিক ‘গুপ্তচর’ উপগ্রহকে কাজে লাগায় চিন (China)। এভাবেই তারা সেই তথ্য পাঠিয়ে দিতে থাকে রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দফতরে। তবে চিনের এত সাহায্য়ের পরেও শেষ রক্ষা হয়নি। সাফল্যের সঙ্গে প্রত্যাঘাত চালায় দিল্লি। এদিকে একাধিক পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ভারতীয় সেনার গতিবিধির ওপর নজরদারি শুরু করে চিনা উপগ্রহ। কীভাবে সামনে এল বিষয়টি? প্রথম বার এটি নজরে আসে ওপেন-সোর্স ইনটেলিজেন্স বা ও এসআইএনটির গোয়েন্দাদের। তাঁরাই জানিয়েছেন, অপারেশন সিঁদুরের আবহে বহু বার রাজস্থানের আন্তর্জাতিক সীমান্তের উপর বেজিঙের উপগ্রহকে পাক খেতে দেখা গিয়েছে।

    ভারতের ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ দূর্দান্ত কাজ করায় ব্যর্থ হয় পাকিস্তান

    আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হল, পাকিস্তানের ফৌজ যখন (India Pakistan War) রাজস্থানে ড্রোন দিয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছিল, তখনই ওই এলাকার ওপর নজরদারি চালায় চিনের উপগ্রহ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেজিঙের সাহায্য নিয়ে ওই হামলা পরিচালনা করছিলেন রাওয়ালপিন্ডির পাক সেনা অফিসাররা। তবে ভারতের ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) দুর্দান্তভাবে কাজ করায় সেগুলি শূন্যেই ধ্বংস হয়ে যায়।

    ইসলামাবাদকে সুবিধা করে দিতেই মাঠে নামে চিন

    বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে চিনের ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’ বা পিএলএর কাছে রয়েছে নজরদারি এবং অনুসন্ধানমূলক কাজ ভালো ভাবে করতে সক্ষম একগুচ্ছ কৃত্রিম উপগ্রহ। সূত্রের খবর মিলেছে, ভারত-পাক যুদ্ধে ইসলামাবাদকে সুবিধা করে দিতেই সেগুলির বড় অংশকে কাজে লাগায় চিন। এক কথায় ভারতের বিরুদ্ধে ছায়া যুদ্ধ চালায় বেজিং। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতীয় সেনা বাহিনীর যুদ্ধকৌশল, এয়ার ডিফেন্স সার্ভিস ব্যবহারের পদ্ধতি ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহই ছিল চিনা উপগ্রহগুলির মূল উদ্দেশ্য।

    নিজেদের উপগ্রহগুলিকে আরও উন্নত করার প্রতিশ্রুতি পাকিস্তানকে দিয়েছে চিন

    পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমগুলি তাদের প্রতিবেদনে আরও দাবি করেছে, ‘পাকিস্তান রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট-১’ (পিআরএসএস-১) এবং পাকস্যাট-এমএম১ নামের আরও দুটি কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্য় পাচ্ছিল পাকিস্তান। এগুলির নিয়ন্ত্রণও রয়েছে চিনের হাতেই। সূত্রের খবর, ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্সকে ধ্বংস করতে ভবিষ্যতে এই ধরনের উপগ্রহগুলিকে আরও উন্নত করার প্রতিশ্রুতি পাকিস্তানকে দিয়েছে চিন।

    পাকিস্তানকে উপগ্রহভিত্তিক যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে চিন

    আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য এই যে পশ্চিম সীমান্তে ভারতকে ব্যস্ত রাখতে ইতিমধ্যেই পাক ফৌজকে উপগ্রহভিত্তিক যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে চিন। সূত্রের খবর, পহেলগাঁওয়ের হামলার সময় নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলতে ভারতে নিষিদ্ধ চিনা অ্যাপগুলি ব্যবহার করেছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় চিনের সঙ্গে সংঘাতের সময় সংশ্লিষ্ট অ্যাপগুলিকে নিষিদ্ধ করে নয়াদিল্লি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই অ্যাপগুলিতে তথ্য গোপনের পন্থা (এনক্রিপশন) অনেক বেশি শক্তিশালী এবং আধুনিক। এগুলিকে হ্যাক করা খুবই কঠিন।

    কেন পাকিস্তানকে সাহায্য করছে চিন

    পাকিস্তানকে সাহায্য করার পিছনে জড়িয়ে রয়েছে চিনের নিজস্ব স্বার্থ। বেজিং আশঙ্কা করছে, অরুণাচল প্রদেশ বা লাদাখের সীমান্ত সংঘাতকে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ের ময়দানে নামতে হবে তাদেরকেও। তাই পাকিস্তানের সঙ্গে এই ‘যুদ্ধে’ ব্যবহার হওয়া নয়াদিল্লি আক্রমণ পদ্ধতি বুঝে নিতেই নিজেদের ‘গুপ্তচর’ উপগ্রহগুলিকে কাজে লাগায় তারা। একইসঙ্গে এই যুদ্ধে ইসলামাবাদকে বিক্রি করা অস্ত্রগুলির শক্তি পরীক্ষার ওপরেও নজর রেখেছিল বেজিং (China)। তবে সেখানে অবশ্য় একেবারে ফেল করেছে চিন। চিনা হাতিয়ার ‘ডাহা ফেল’ করায় পাকিস্তানের সামনেও মুখ পুড়েছে চিনের।

    চিনের বিক্রি করা অস্ত্রের ৬০ শতাংশই পাকিস্তান কিনেছে

    চিনের বিক্রি করা অস্ত্রের ৬০ শতাংশই পাকিস্তান কিনেছে বলে জানা গিয়েছে। সংঘাত চলাকালীন ড্রোন হামলা চালিয়ে পাক পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোরের ‘এয়ার ডিফেন্স’কে উড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। এখানেই মোতায়েন ছিল চিনের তৈরি ‘এইচকিউ-৯পি’ নামের একটি এয়ার ডিফেন্স। এ ছাড়াও চিনের জেএফ-১৭ নামের দু’টি লড়াকু জেটকে ধ্বংস করে নয়াদিল্লি।

    চিনের সংবাদমাধ্যমে ভুয়ো খবর ছাপা হয় রাফাল নিয়ে

    ভারতীয় বিমানবাহিনীর রাফাল লড়াকু জেটকে ইসলামাবাদ ধ্বংস করেছে বলে খবর প্রকাশ করে চিন (China)। সেদেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’- এ প্রকাশিত হয় এই খবর। এর পরেই ‘গ্লোবাল টাইমস’কে সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য ‘ফ্যাক্ট চেক’ পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো বা পিআইবি। তখন বাধ্য হয়ে ভুল খবর প্রকাশ করার কথা স্বীকার করে নেয় চিনের এই সরকারি সংবাদমাধ্যম। এই আবহে রাফালকে ধ্বংস করতে বেজিঙের জে-১০সি লড়াকু জেট ব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তাঁর বক্তব্য খারিজ করে দেয় চিন।

  • Assembly election 2023: ৩ রাজ্যে বিজেপির জয়, বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলির শিরোনামে মোদি

    Assembly election 2023: ৩ রাজ্যে বিজেপির জয়, বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলির শিরোনামে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন রাজ্যে গতকালই (Assembly election 2023) বড় জয় পেয়েছে বিজেপি। মোদি ঝড়ে সম্পূর্ণভাবে ধূলিসাৎ হয়েছে কংগ্রেস। উত্তর ভারতের অধিকাংশ রাজ্যই এখন বিজেপির দখলে। মোদির এই সাফল্যের প্রতিবেদন দেখা গেল আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও। আন্তর্জাতিক মিডিয়া তিন রাজ্যে বিজেপির জয়কে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জনগণের মনোভাবের প্রতিফলন হিসেবেই দেখতে চাইছে। ইতিমধ্যে বিদেশি মিডিয়াগুলি প্রচারও শুরু করে দিয়েছে, ২০২৪ সালে তৃতীয়বারের জন্য, অপ্রতিরোধ্যভাবে (Assembly election 2023) প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি।

    কী লিখল ‘নিউইয়র্ক টাইমস’?

    বহুল প্রচারিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিক ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড় এবং রাজস্থানের এই বিপুল জয়ের কারণে লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদিকে এগিয়ে রেখেছে। তাদের প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে, ‘‘প্রধান বিরোধী দল ক্রমশই দুর্ভাগ্যজনক জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে। তিন রাজ্যে মোদির জয় হয়েছে। আগামী ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপিকে বড় অ্যাডভান্টেজ দিতে চলেছে এই জয়।’’ আগামী মাসেই উদ্বোধন হতে চলেছেন রামমন্দিরের। সে কথা উল্লেখ করে ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ লিখেছে, ‘‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২৪-এর জানুয়ারিতে রামমন্দিরের উদ্বোধন করবেন। রামমন্দিরের উদ্বোধনও বিজেপিকে লোকসভা ভোটে ভালো মাইলেজ দেবে।’’ পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রশংসাও শোনা গিয়েছে ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর ওই প্রতিবেদনে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘ভারতের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এবং সমাজের উন্নয়নের কাজে বিভিন্ন প্রকল্পকে সামনে এনেছেন মোদি।’’

    কী লিখল ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’?

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অপর একটি উল্লেখযোগ্য সংবাদপত্র  ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোটে বিজেপির জয়কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আখ্যা দিয়েছে। এবং সেখানেও একই ভাবে বলা হয়েছে যে নরেন্দ্র মোদির তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হতে, এই জয় অনুঘটকের কাজ করবে। ‘আল জাজিরা’ সংবাদমাধ্যমের মতে, ‘‘ভারতের বিজেপি চারটির মধ্যে তিনটি রাজ্য দখল (Assembly election 2023) করেছে, যা আগামী বছরে দেশের সাধারণ নির্বাচনে বিজেপিকে জিততে সাহায্য করবে।’’ বিজেপির এই জয়কে ঐতিহাসিকও আখ্যা দেওয়া হয়েছে ‘আল জাজিরা’তে।

    ‘রয়টার্স’-এর রিপোর্ট

    অন্যদিকে বহুল প্রচারিত সংবাদপত্র ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘‘তিন রাজ্যের জয়ে (Assembly election 2023) নরেন্দ্র মোদি অনেকটাই এগিয়ে গেলেন। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস ক্রমশই পিছিয়ে পড়ছে।’’ নিউজ এজেন্সি ‘রয়টার্স’ জানিয়েছে, ক্ষমতায় আসার দশ বছর পরেও নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা এতটুকু কমেনি এবং এই তিন রাজ্যের জয়ে বোঝা যাচ্ছে যে আগামী দিনে তাঁর হাতেই ক্ষমতা থাকতে চলেছে। ‘ফাইনান্সিয়াল টাইমস’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী কংগ্রেস পার্টি ক্রমশই দুর্বল হচ্ছে এবং ভারতের রাজনীতিতে ২০১৪ সালের পর থেকে নরেন্দ্র মোদির আধিপত্য দেখা যাচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share