Tag: Bollywood

Bollywood

  • Asrani: পঞ্চভূতে বিলীন বলিউড কমেডির অন্যতম লেজেন্ড আসরানি, শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীরও

    Asrani: পঞ্চভূতে বিলীন বলিউড কমেডির অন্যতম লেজেন্ড আসরানি, শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলিতে নিভল জীবন-প্রদীপ! কমেডির অন্যতম লেজেন্ডকে (Comedy Legend) হারাল বলিউড। চুরাশি বছর বয়সে পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে গেলেন গোবর্ধন আসরানি, স্নেহভরে যাঁকে সবাই আসরানি (Asrani) বলেই ডাকতেন। হিন্দি সিনেমায় পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি ছিলেন এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। হাস্যরস, চমৎকার সংলাপ-প্রয়োগ ও নিখুঁত কমিক টাইমিংয়ের এক অমূল্য উত্তরাধিকার রেখে গিয়েছেন তিনি। আসরানির ম্যানেজার বাবু ভাই থিবা জানান, জুহুর আরোগ্য নিধি হাসপাতালে সোমবার বিকেল ৩টা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। এদিনই সন্ধ্যায় সান্তাক্রুজ শ্মশানে শেষকৃত্য হয় তাঁর।

    মধ্যবিত্ত সিন্ধি পরিবারে জন্ম (Asrani)

    ১৯৪০ সালের ১ জানুয়ারি রাজস্থানের জয়পুরে জন্ম হয় আসরানির। বেড়ে ওঠেন এক মধ্যবিত্ত সিন্ধি পরিবারে। তাঁর বাবা কার্পেট ব্যবসা করতেন। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই ব্যবসায় তেমন আগ্রহ ছিল না গোবর্ধনের। বরং অভিনয় ও শিল্পকলায় ছিল তাঁর গভীর আগ্রহ। সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের পাঠ চুকিয়ে আসরানি ভর্তি হন রাজস্থান কলেজে। সেখান থেকেই হন স্নাতক। পড়াশোনার পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহের জন্য জয়পুরে ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবেও কাজ করতেন তিনি। কলেজ জীবনেই অভিনয়ের প্রতি আসরানির আকর্ষণ গভীর হতে থাকে। ১৯৬০ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত তিনি ‘সাহিত্য কলভাই ঠাক্কার’-এর অধীনে প্রশিক্ষণ নেন। ১৯৬৪ সালে তিনি পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ায় ভর্তি হন। এই সিদ্ধান্তই বদলে দেয় তাঁর জীবনের গতিপথ।

    ‘হরে কাঁচ কি চুড়িয়ান’

    ১৯৬৭ সালে ‘হরে কাচ কি চুড়িয়ান’ ছবির মাধ্যমে রুপোলি পর্দার জগতে আত্মপ্রকাশ করেন আসরানি। এই ছবিতে তিনি অভিনেতা বিশ্বজিতের বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। আসরানি বেশ কিছু গুজরাটি চলচ্চিত্রেও প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। প্রথম ছবিতেই দর্শকদের মন জয় করে নেন তিনি। এরপর শুরু হয় এমন এক অভিনয়জীবন, যার সমকক্ষ বলিউডের ইতিহাসে খুব কমই রয়েছে। ৩৫০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন আসরানি (Comedy Legend)। রুপোলি পর্দায় কখনও তিনি ছিলেন নায়ক, কখনও আবার অভিনয় করেছেন পার্শ্বচরিত্রে। নানান চরিত্রেই তিনি ছিলেন স্বচ্ছন্দ। হাস্যরসাত্মক অভিনয়ই দর্শকদের হৃদয়ে পাকা আসন করে দেয় আসরানিকে (Asrani)। সাত থেকে নয়ের দশক পর্যন্ত আসরানি ছিলেন বড় পর্দার এক পরিচিত মুখ। রাজেশ খান্নার সঙ্গে তাঁর জুটি বলিউডের অন্যতম সফল জুটি হিসেবে বিবেচিত হয়। ১৯৭২ থেকে ১৯৯১ সালের মধ্যে তাঁরা এক সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন ২৫টিরও বেশি ছবিতে। আসরানির অসংখ্য স্মরণীয় অভিনয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘চুপকে চুপকে,’ ‘ছোটি সি বাত,’ ‘বাওয়ার্চি,’ ‘কোশিশ’ এবং ‘মেরে নিজের।’ এই ছবিগুলি আজও প্রথম মুক্তির মতোই উপভোগ্য।

    ‘ইংরেজোঁ কে জমানে কা জেলর’

    তবে যদি এমন একটি চরিত্র থাকে যা আসরানিকে অমর করে রেখেছে, তা হল রমেশ সিপ্পির শোলে’ ছবির অদ্ভুত জেলরের চরিত্র। তার চোখ, সামরিক টুপি, এবং অতিরঞ্জিত ইংরেজি উচ্চারণ “হাম ইংরেজোঁ কে জমানে কা জেলর হ্যায়ঁ!” – এই সংলাপটি ছবির চেয়েও দীর্ঘজীবী হয়ে উঠেছিল। এক সময় লোকের মুখে মুখে ফিরত আসরানির এই সংলাপ। আসরানি কখনও একটিমাত্র ধারায় নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। ‘চলা মুরারী হিরো বননে’ ছবির লেখক, পরিচালক এবং অভিনেতাও ছিলেন তিনি। ছবিটি তাঁর রসবোধ ও হৃদয়গ্রাহী উপস্থাপনার জন্য সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করেছিল। পরে তিনি পরিচালনা করেছিলেন ‘সালাম মেমসাব’। গুজরাটি সিনেমায়ও প্রশংসিত হয়েছিল তাঁর অভিনয়। কুড়িয়েছিলেন দর্শকদের ভালোবাসা (Asrani)। দশকের পর দশক ধরে আসরানি হিন্দি সিনেমার সোনালি যুগ থেকে নতুন সহস্রাব্দ পর্যন্ত অবিচলভাবে কাজ করে গিয়েছেন। ২০০০ সাল-উত্তর তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে ছিলেন তিনি। ‘হেরা ফেরি,’ ‘ভাবাগ ভাগ,’ ‘ধামাল,’ ‘ওয়েলকাম,’ এবং ‘ভুল ভুলাইয়া’র মতো ছবির মাধ্যমে আসরানি প্রমাণ করে দেন তাঁর কমেডির টাইমিং আগের মতোই ধারালো (Comedy Legend)।

    বহু সম্মান পেয়েছেন আসরানি

    আসরানির কাজ তাঁকে বহু সম্মান এনে দিয়েছে। এর মধ্যে দুটি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতার পুরস্কার অন্যতম। আসরানি দর্শকদের এমনভাবে হাসাতে পারতেন, যেখানে কোনও বিদ্বেষ বা তাচ্ছিল্য ছিল না, যা খুব কম অভিনেতাই করতে পেরেছেন। আসরানি এমন এক প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, যাঁরা সহজেই শিল্প ও বিনোদনের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারতেন এবং যাঁদের সৃষ্টি করা চরিত্রগুলি আজও স্মরণীয় হয়ে রয়েছে (Asrani)।

    শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    আসরানির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “শ্রদ্ধেয় গোবর্ধন আসরানিজির মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। তিনি ছিলেন এক প্রতিভাবান বিনোদনশিল্পী এবং সত্যিকারের বহুমুখী শিল্পী, যিনি প্রজন্মের পর প্রজন্ম দর্শকদের আনন্দ দিয়েছেন।” তিনি আরও লিখেছেন, “তাঁর অবিস্মরণীয় অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি অসংখ্য মানুষের জীবনে আনন্দ ও হাসি এনেছেন (Comedy Legend)। ভারতীয় সিনেমায় তাঁর অবদান চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয় থাকবে। তাঁর পরিবার ও ভক্তদের প্রতি আমার সমবেদনা। ওম শান্তি (Asrani)।”

  • Pankaj Dheer: প্রয়াত জনপ্রিয় অভিনেতা পঙ্কজ ধীর, শোকের ছায়া বিনোদন দুনিয়ায়

    Pankaj Dheer: প্রয়াত জনপ্রিয় অভিনেতা পঙ্কজ ধীর, শোকের ছায়া বিনোদন দুনিয়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা পঙ্কজ ধীর (Pankaj Dheer)। বিনোদন দুনিয়ায় শোকের ছায়া। ১৫ সেপ্টেম্বর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর পুরনো বন্ধু ও সহকর্মী অমিত বহেল এই খবর জানিয়েছেন। বয়স হয়েছিল ৬৮। বি আর চোপড়ার ‘মহাভারত’-এর কর্ণ চরিত্রে তাঁর অভিনয় এখনও দর্শকমনে গেঁথে রয়েছে। সূত্রের খবর, দীর্ঘ দিন ধরেই ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন পঙ্কজ।

    কর্ণ চরিত্র আজও দর্শকের মনে

    ১৯৮৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মহাভারত’ ধারাবাহিকে পঙ্কজ ধীরের (Pankaj Dheer) কর্ণ চরিত্র আজও দর্শকের মনে অমর। তাঁর অভিনয়ে একদিকে ছিল বীরত্ব, অন্যদিকে করুণ মানবিক বোধ যা তাঁকে আলাদা মাত্রা এনে দেয়। দর্শকেরা তখন থেকেই তাঁকে চেনেন ‘কর্ণ’ নামে। তাঁর সংলাপ, দৃঢ় কণ্ঠস্বর ও চোখের অভিব্যক্তি আজও ভারতীয় টেলিভিশনের ইতিহাসে ক্লাসিক হিসেবে গণ্য হয়। পঙ্কজ ধীর শুধু টেলিভিশন নয়, বলিউডেরও পরিচিত মুখ ছিলেন। তিনি অভিনয় করেছেন বহু জনপ্রিয় ছবিতে। বর্ষীয়ান অভিনেতার ঝুলিতে রয়েছে ‘সৌগন্ধ’, ‘সনম বেওফা’, ‘বিজয়পথ’, ‘তীর্যা’, ‘সদাক ২’ সহ আরও অনেক হিট ছবি। ‘সিনে অ্যান্ড টিভি আর্টিস্টস্‌ অ্যাসোসিয়েশন’-এর তরফেও শোকপ্রকাশ করে জানানো হয়েছে তাঁর মৃত্যুর কথা।

    সমাজমাধ্যমে শোকবার্তা

    বি আর চোপড়ার ‘মহাভারত’ তাঁকে বিশেষ খ্যাতি এনে দিলেও অজস্র হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেছেন পঙ্কজ। কাজ করেছেন হিন্দি ধারাবাহিক ও ওয়েব সিরিজেও। ‘সোলজার’, ‘জমিন’, ‘আন্দাজ’, ‘টারজান: দ্য ওয়ান্ডার কার’-এর মতো বহু ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তিনি দুটো ছবি পরিচালনাও করেছিলেন। প্রায় ৫৫ বছরের অভিনয়জীবন তাঁর। ২০২৪ সালেও ‘ধ্রুব তারা’ নামে এক ধারাবাহিকে অভিনয় করতেন তিনি। পঙ্কজ ধীরের ছেলে নিকিতিন ধীরও বলিউডের পরিচিত মুখ। যিনি ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’, ‘শের শাহ’ সহ বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন। একইসঙ্গে নিকিতিনের স্ত্রী অভিনেত্রী ক্রাতিক সেঙ্গরও জনপ্রিয় টেলিভিশন তারকা। প্রিয়জনের এমন মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন পরিবার ও সহকর্মীরা। অভিনেতার মৃত্যুতে পুরো ইন্ডাস্ট্রিতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ‘মহাভারত’-এর যুধিষ্ঠির তথা গজেন্দ্র চৌহান, দুর্যোধন অর্থাৎ পুনিত ইসা সমাজমাধ্যমে শোকবার্তা জানিয়েছেন। তাঁদের কথায়, “পঙ্কজ ধীর শুধু একজন অসাধারণ অভিনেতা নন, ছিলেন এক মহৎ মানুষও।”

  • Operation Sindoor: সন্ত্রাসীদের সমর্থনে ব্যাটিং পাক-অভিনেতাদের! বলিউডের তিন খান কেন নেই সেনার পাশে?

    Operation Sindoor: সন্ত্রাসীদের সমর্থনে ব্যাটিং পাক-অভিনেতাদের! বলিউডের তিন খান কেন নেই সেনার পাশে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৫ জন হিন্দু পর্যটককে বেছে বেছে খুন করা হয়। হত্যা করার আগে তাঁদের নাম জিজ্ঞাসা করা হয়। ধর্ম নিশ্চিত করা হয়। নিম্নাঙ্গের পোশাক পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছিল ধর্ম নিশ্চিত করতে। নৃশংসভাবে এই হত্যালীলা চালানোর পরেও হামলা নিয়ে টুঁ শব্দটি করেননি (Operation Sindoor) বলিউডের তিন খান। তিন খানের কাছ থেকে কোনও রকমের প্রতিবাদ না আসায় বিতর্ক দানা বেঁধেছে। হিন্দু পুরুষদের যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল পহেলগাঁওয়ে, তারপরে গর্জে উঠেছিল গোটা দেশ। সারা দেশ সহানুভূতি জানিয়েছিল। সমবেদনা জানিয়েছিল। সেই ভুক্তভোগী পরিবারগুলিকে কোনওরকমের সমবেদনা জানায়নি কিন্তু তবু এত কিছুর মাঝেও আশ্চর্যজনকভাবে চুপ থেকেছে বলিউডে (Bollywood) তিন খান। অতীতের যে কোন ইস্যুতে যাঁরা আওয়াজ তুলেছেন। গলা ফাটিয়েছেন, তাঁদের এই নীরবতাতে অনেক প্রশ্নই সামনে আসছে।

    ১৯৪৮ সালে ভারত-পাক যুদ্ধে অর্থ সংগ্রহ করে পাকিস্তান

    তবে ১৯৪৮ সালে যখন ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ বাঁধে, তখন রাজ কাপুর, আইএস জোহর, গীতা বালি, নার্গিস, কামিনী কৌশলের মতো অনেক বড় অভিনেতারা ভারতকে শক্তিশালী করার জন্য তারা অর্থ সংগ্রহ নেমেছিলেন। ১৯৬২ ও ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের কিশোর কুমার, সুনীল দত্ত, নার্গিস, লতা মঙ্গেশকর, ওয়াহিদা রেহমান এনারাও (Bollywood) ভারতের সৈন্যদলের মনোবল বাড়িয়ে ছিলেন এবং তাঁরা সেই সময় অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন সেনার জন্য।

    ১৯৭১ সালের যুদ্ধেও অর্থ সংগ্রহ করে বলিউড

    একই চিত্র সামনে এসেছিল ১৯৭১ সালের যুদ্ধেও। এই সময়ে কিশোর কুমার, শাম্মি কাপুর, লতা মঙ্গেশকর, ওয়াহিদা রহমান, কল্যাণজি-আনন্দজি, নার্গিসের মতো অভিনেতারা বাংলাদেশের জন্য ত্রাণ কমিটি গঠন করেছিলেন। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে বলিউডের তারকাদের (Operation Sindoor) মধ্যে এতটাই ক্ষোভ ছিল যে নানা পাটেকার সৈন্যদের সমর্থন করতে সরাসরি গিয়েছিলেন সেখানে।

    ২০২৫ সালে নিশ্চুপ থেকেছে বলিউড

    এবার আমরা যদি ২০২৫ সালের দিকে তাকাই তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে পহেলগাঁওয়ে ২৬ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। আহত হন আরও অনেকেই। এমন সময় ভারতবর্ষের (Operation Sindoor) বলিউডের অভিনেতারা এনিয়ে কোনও বাক্য ব্যয় করেন নি। তাঁরা নিজেদের কাজেই মনোনিবেশ করেছেন। এরাই সেই বলিউড অভিনেতা, যাঁরা ২০১৮ সালে কাঠুয়া মামলায় গলায় প্ল্যাকার্ড লাগিয়ে ছবি তুলেছিলেন কিন্তু চুপ রয়েছেন পহেলগাঁওকাণ্ডে। বলিউড অভিনেতারা দেশের জন্য দুটি লাইন লিখতে পারেননি।

    পাকিস্তানের অভিনেতারা দেশের পাশেই

    অন্যদিকে পাকিস্তানের নামী অভিনেতারা, তাঁদের দেশের পক্ষেই দাঁড়িয়েছেন। এঁদের মধ্যে অনেক অভিনেতা আবার ভারতে কাজও করেছেন। যেমন ‘সনম তেরি কসম’- এই ছবির মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়েছিলেন যাঁরা সেই ফাওয়াদ খান, হানিয়া আমির, মাহিরা খানরা ভারতকে কাপুরুষ বলেও তোপ দেগেছেন। সবথেকে আশ্চর্যজনক কথা হল, পাকিস্তানি এই অভিনেতাদের ভারতেও প্রচুর ভক্ত রয়েছেন। তার চেয়েও আশ্চর্যজনক কথা হল, বলিউডের অভিনেতারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেননি।

    ছবির প্রচারে জন্য ভারতের প্রশংসা করছে আমির খানের টিম!

    একইভাবে আমির খানও দীর্ঘদিন চুপ করে ছিলেন। কিন্তু তাঁর নতুন ছবি আসছে ‘সিতারে জামিন পর’। এই আবহে দিন কয়েক আগে তাঁর টিম ভারতের প্রশংসা করতে শুরু করে। একই পথে হেঁটেছেন তুষার কাপুরও। নিজের সিনেমার প্রচারের জন্য সাংবাদিক সম্মেলন করার সময় তাঁকে তুরস্কের বয়কট সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। তবে তা তিনি এড়িয়ে যান। তবে শুধু এটুকু বলেন যে ভারতের সঙ্গে তিনি আছেন।

    যুদ্ধ বিরতি নিয়ে পোস্ট, নেটিজেনদের ক্ষোভের মুখে পড়েন সলমন

    অন্যদিকে, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা হতেই বলিউড অভিনেতা সলমন খান অভিনন্দন জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন। এনিয়ে নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এরপরই তিনি টুইট ডিলিটও করেন। অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নিয়ে মুখে কোনও কথা না বললেও যুদ্ধ বিরতিতে সরব হন সলমন। এক্স হ্যান্ডেলে সলমন খান লেখেন, ‘‘সংঘর্ষবিরতির জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।’’ এরপরই এক্স ব্যবহারকারীদের একাংশ অভিনেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের দাবি, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন অভিনেতা। এখন সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে হঠাৎ কেন প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন? ‘‘অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নিয়ে একটাও টুইট নেই কেন?’’, ‘‘আপনি অপারেশন সিঁদুর নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটাও কথা বলেননি!’’, এমন অনেক মন্তব্য আসতে থাকে তাঁর পোস্টের কমেন্ট বক্সে।

  • Disha Salian Death: সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রাক্তন ম্যানেজারের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্ধব পুত্রের যোগ! দাবি দিশার বাবার

    Disha Salian Death: সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রাক্তন ম্যানেজারের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্ধব পুত্রের যোগ! দাবি দিশার বাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত (Sushant Singh Rajput) ও তাঁর প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের রহস্যময় মৃত্যুর (Disha Salian Death) বিষয়ে ফের আলোচনা তুঙ্গে। বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর কয়েকদিন আগেই রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের (Disha Salian)। তবে সময় যত এগিয়েছে, ততই এই তদন্ত ধামাচাপা পড়তে থাকে। তবে এবার ফের এই মামলা নিয়ে শুরু হচ্ছে তদন্ত। দিশার বাবা সম্প্রতি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য ঠাকরের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। তাঁর মতে এই মামলায় সরাসরি যোগ রয়েছে আদিত্যর। তাঁকে অবিলম্বে তলব করা উচিত। এই প্রসঙ্গে এবার দিশার বাবার হয়ে সমর্থন দেখালেন বিজেপি বিধায়ক তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নিতিশ রানে।

    আদিত্য ঠাকরেকে আক্রমণ নিতিশের

    এদিন নিতিশ বলেন, “আমি প্রথম থেকেই দাবি করেছিলাম দিশা সালিয়ানের মৃত্যুর (Disha Salian Death) পিছনে আদিত্য ঠাকরে জড়িত রয়েছেন। ফলে এটা নিছকই আত্মহত্যার ঘটনা নয়। এর পিছনে বড় চক্রান্ত রয়েছে। আমি রাজ্য় সরকারের কাছে দাবি করছি, যাতে এই ঘটনায় প্রথম থেকে যাঁদের নাম জড়িয়ে রয়েছে তাঁদের আবারও জেরা করা হোক। ঘটনার দিন আদিত্য কোথায় ছিলেন, মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখা, আবাসনে নিরাপত্তারক্ষীদের আবারও জেরা করা হোক। তাহলেই আসল সত্যি বেরিয়ে আসবে।”

    দিশা ও সুশান্তের মৃত্যু

    ২০২০-র ১৪ জুন, মুম্বইয়ের বান্দ্রায় অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতকে (Sushant Singh Rajput) নিজের ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। কয়েক দিন আগে, ৮ জুন, অভিনেতার প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানকে মৃত (Disha Salian Death) অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ জানিয়েছিল, দিশা মালাডের একটা বহুতল থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। রাজ্যের তৎকালীন বিরোধী দল অর্থাৎ বর্তমানের শাসক দল বিজেপি সেই সময় বারংবার এই ঘটনাকে খুন বলেই দাবি করে আসছিল। কিন্তু তৎকালীন শাসক দলের চাপে পুলিশ এই ঘটনা চাপা দিয়ে দেয়। পরবর্তীকালে বিজেপি ক্ষমতায় এলে আবারও এই মামলার তদন্ত শুরু করার কথা হয়। ঘটনার পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও আসল সত্যি সামনে আসেনি। সুশান্তের বাবা কে কে সিং বারবার দাবি করেন, তাঁর ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না। সুবিচারের আশায় এখনও দিন গুনছে দিশা ও সুশান্তের পরিবার।

  • Kesari Veer and Chhavaa: ‘কেশরী বীর’ থেকে ‘ছভা’, ভুলে যাওয়া হিন্দু যোদ্ধাদের পর্দায় ফেরাচ্ছে বলিউড

    Kesari Veer and Chhavaa: ‘কেশরী বীর’ থেকে ‘ছভা’, ভুলে যাওয়া হিন্দু যোদ্ধাদের পর্দায় ফেরাচ্ছে বলিউড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মারাঠি ভাষায় প্রকাশিত উপন্যাস থেকে মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে মারাঠি রাজা শিবাজি মহারাজের ছেলে সম্ভাজি মহারাজের বীরত্ব, তাঁর যুদ্ধের কাহিনি ও আত্মত্যাগ নিয়ে তৈরি “ছভা” বলিউডে পরিবর্তনের ধারা নিয়ে আসছে। এর পথ ধরে শীঘ্রই পর্দায় আসতে চলেছে আর একটি ছবি, “কেশরী বীর: লেজেন্ড অফ সোমনাথ” (Kesari Veer and Chhavaa)। এই দুই ছবিই বলিউডের ঐতিহ্যগত ইসলামিক প্রভাব থেকে এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে। এই সিনেমাগুলোর মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া হিন্দু বীরদের কাহিনি নতুন করে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

    বলিউডে নতুন গল্প বলার ধরন

    দীর্ঘদিন ধরে বলিউড, “দাউদউড” হিসেবে সমালোচিত হয়েছে তার হিন্দু-বিরোধী (Hindutva in Bollywood) মনোভাবের জন্য। সেই বলিউডই এখন বীর হিন্দু যোদ্ধাদের গল্প বলতে শুরু করেছে। “ছভা” এবং “কেশরী বীর” সিনেমাগুলোর মাধ্যমে, একেবারে নতুন ধরনের গল্প বলার এক প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলি-দুনিয়ায়। যদিও এই সিনেমাগুলি হিন্দুত্বের মূল আদর্শ অনুসরণ করে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়, তবে এগুলোর মাধ্যমে হিন্দু ইতিহাসের ভুলে যাওয়া বীরদের কাহিনি নতুন করে উন্মোচিত হওয়া এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই সিনেমাগুলি হিন্দু বীরত্বের কাহিনি তুলে ধরে, বলিউডের ঐতিহ্যগত দৃষ্টিভঙ্গির থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের গল্প বলছে। এই সিনেমাগুলোর মাধ্যমে বলিউডের সেই পুরনো ধারা ভাঙছে, যেখানে হিন্দু ইতিহাস প্রায়শই উপেক্ষিত বা বিকৃত করা হয়েছে।

    ইতিহাসে উপেক্ষিত চরিত্র

    সপ্তদশ শতকে বাবা শিবাজির পদাঙ্ক অনুসরণ করেই তরুণ সম্ভাজি মোঘলদের দাসত্ব স্বীকার না করে, মারাঠা স্বরাজের পক্ষে লড়াই করেছিলেন। দিল্লিতে তখন ঔরঙ্গজেবের রাজত্ব। সম্ভাজি সিংহাসনে বসেই বুরহানপুরে মোঘলদের সেনা ছাউনিতে আক্রমণ করে ধ্বংস করলে তৎকালীন মোঘল সম্রাট প্রতিশোধ নিতে শুরু করেন পালটা আক্রমণ করে। ওদের প্রতিটি আক্রমণ রুখে দেন সম্ভাজি তাঁর অনুগত সৈনিক এবং সেনাপতি হাম্বিররাওয়ের লড়াই কৌশলে। একেবারে যাকে বলে গেরিলা যুদ্ধ, প্রায় সেইরকম। জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে সম্ভাজির সেনারা (লক্ষ্মণ উতরেকরের নির্দেশে অ্যাকশন কোরিওগ্রাফার) আরও কতই না ভেলকি দেখিয়েছেন। তাঁরা মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে এসেছে। আখের ক্ষেতে ছদ্মবেশে আখ গাছ হয়েছে। চিত্রনাট্যে মহারাষ্ট্র ও সমগ্র মারাঠি জাতির প্রাণপুরুষ শিবাজি মহারাজ, উপস্থিত না থেকেও যেভাবে রয়েছেন, তা এক কথায় অনবদ্য। সংলাপে অনর্গলভাবে ওঁর নাম উচ্চারিত হয়েছে।

    মারাঠি মহানুভবতার পরিচয়

    সম্ভাজি ও ঔরঙ্গজেবের মধ্যে ফাইনাল যুদ্ধটি হয় পুণের কাছে ভীম নদীর পাড়ে তুলাপুর নামের একটি জায়গায়। যেখানে ঔরঙ্গজেব সম্ভাজি ও তাঁর অন্যতম অমাত্য কবি কালাশকে বন্দি করে নিয়ে যান। বন্দিদশায় কবির জিভ কেটে দেওয়া হয়। আর চোখ উপড়ে নেওয়া হয় সম্ভাজির। মৃত্যুর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত মারাঠিরাজ একা লড়ে যান শতাধিক মোঘল সৈন্যের সঙ্গে। সে লড়াই সত্যি অসম্ভব এবং অমানসিক। হিন্দুত্বের জয়গান, মারাঠি মহানুভবতার পরিচয়, এই ছবি। এক সংলাপে সম্ভাজি বলেই ফেলেন “তুমি আমার সঙ্গে যোগ দিয়ে মারাঠি হয়ে যাও, তোমাকে সেজন্য ধর্ম ত্যাগ করতে হবে না। সুখে থাকবে!” বলিউড অতীতে সাধারণত ইসলামি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামী হিন্দু বীরদের গল্প বলতে পিছপা থেকেছে, বরং ওই সময়ের আক্রমণকারীদের মঙ্গলময় রূপে উপস্থাপন করত। সম্ভাজি মহারাজের এই কাহিনী বহুদিন ধরেই ইতিহাস থেকে উপেক্ষিত ছিল, যদিও তিনি ছিলেন এক মহান যোদ্ধা।

    সোমনাথ মন্দির রক্ষার লড়াই

    সুনীল শেঠি, সুরজ পাঞ্চোলি এবং বিবেক ওবেরয় অভিনীত ঐতিহাসিক বায়োপিক, কেশরী বীর: লেজেন্ড অফ সোমনাথের বহুল প্রতীক্ষিত টিজারও সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। এই ছবিটি হামিরজি গোহিলের বীরত্বপূর্ণ কাহিনী বর্ণনা করে, যিনি একজন নির্ভীক যোদ্ধা ছিলেন। পবিত্র সোমনাথ মন্দিরে পাহারা দিতেন তিনি। শক্তিশালী তুঘলক সাম্রাজ্যের হাত থেকে হিন্দু মন্দিরকে রক্ষা করেছিলেন হামিরজি। ছবিটি গোহিলের সাহস, ত্যাগ এবং দৃঢ় সংকল্প প্রদর্শন করে। ১৪০০ শতাব্দীতে আক্রমণকারীদের হাত থেকে সোমনাথ মন্দিরকে রক্ষা করার জন্য লড়াই করা এবং জীবন উৎসর্গ করা অজ্ঞাত পরিচয় যোদ্ধাদের এক অনুপ্রেরণামূলক গল্প নিয়ে তৈরি এই ছবি। হামিরজি গোহিলের মতো হিন্দু বীরের গল্পও এখন আলোচনায় আসছে। গোহিল রাজপুত বংশের এক বীর যোদ্ধা। তিনি সোমনাথ মন্দির রক্ষার জন্য আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লড়েছিলেন, তাঁর কাহিনী দীর্ঘদিন ধরেই উপেক্ষিত ছিল।

    বলিউডে পরিবর্তন

    বহুদিন ধরে বলিউডকে তার হিন্দু-বিরোধী এবং প্রো-ইসলামিস্ট অবস্থানের জন্য সমালোচিত করা হয়েছে। তবে “ছভা” এবং “কেশরী বীর” (Kesari Veer and Chhavaa) সিনেমাগুলি সম্ভবত এই পরিবর্তনের শুরু, যা ভবিষ্যতে আরও নতুন গল্প নিয়ে আসবে। সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার এক বিশেষ প্রবণতা শুরু হয়েছে, যা কেবল আড়ালে রাখা বীরদের কাহিনী সামনে আনছে। তবে প্রশ্ন থেকেই যায়, কি বলিউড একটি বাস্তবিক সাংস্কৃতিক পরিবর্তন সাধন করছে, নাকি এটি কেবল হিন্দু অনুভূতির প্রতি বাজারের প্রতিক্রিয়া? যাই হোক, যে কথাগুলো এতদিন চাপা ছিল, সেগুলো এখন সিনেমার পর্দায় উঠে আসছে—এটা নিজেই একটি বড় পরিবর্তন।

  • Baba Siddique Murder: মুম্বইয়ে বাবা সিদ্দিকি খুনে ফের আলোচনায় বলিউড-আন্ডারওয়ার্ল্ড যোগ

    Baba Siddique Murder: মুম্বইয়ে বাবা সিদ্দিকি খুনে ফের আলোচনায় বলিউড-আন্ডারওয়ার্ল্ড যোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাউদ-উত্তর জমানায় বলিউড দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। শনিবার রাতে আততায়ীর গুলিতে খুন হন বাবা সিদ্দিকি, যার একটা ডাকেই হাজির হয়ে যেতেন বলিউডের ‘ভাইজান’। তিনি আবার কোনও সাধারণ মানুষ নন, এনসিপি নেতা। শারদ পাওয়ারের দলের অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীর নেতা বাবা সিদ্দিকি (Baba Siddique Murder) খুনের দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। শনিবার রাতে খুন হন সিদ্দিকি। পুলিশ জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ার যে পোস্টে সিদ্দিকি খুনের দায় স্বীকার করা হয়েছে, সেটা সত্যিই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, এই ঘটনায় বলিউডের সঙ্গে আন্ডারওয়ার্ল্ড যোগের (Bollywood Underworld Nexus) অভিযোগ ফের শিরোনামে চলে এসেছে।

    সিদ্দিকি খুনে গ্রেফতার ২

    সিদ্দিকি খুনের ঘটনায় রবিবারই দুই অভিযুক্ত গুরমাইল সিং ও ধরমরাজ কাশ্যপকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছিল দশেরা উৎসব। মহারাষ্ট্রের বান্দ্রার খায়ের নগরে প্রাক্তন মন্ত্রী সিদ্দিকি তাঁর ছেলে বিধায়ক জিশান সিদ্দিকির অফিসের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আচমকাই তিন দুষ্কৃতী এসে খুব কাছ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। আর্তনাদ করতে করতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সিদ্দিকি। মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মুম্বইয়ের একজন জনপ্রিয় নেতা ছিলেন সিদ্দিকি। রাজনীতির পাশাপাশি বলিউডের (Bollywood Underworld Nexus) সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল। সলমন খান, শাহরুখ খান এবং সঞ্জয় দত্তের মতো প্রথম সারির নেতাদের সঙ্গে সিদ্দিকির সম্পর্ক ভালো ছিল বলেই শোনা যায়। এহেন এক জনপ্রিয় নেতা কারা খুন করল, তা নিয়ে চলছে জল্পনা।

    বিষ্ণোই গ্যাংয়ের দাবি

    পুলিশ সূত্রে খবর, সিদ্দিকির মৃত্যুর দায় সংক্রান্ত একটি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাতে খুনের দায় স্বীকার করেছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। পোস্টটি করেছে জনৈক শুবু লোনকর নামের এক ব্যক্তি। তার দাবি, “আমি যেটা ঠিক বুঝেছি, সেটাই করেছি। বন্ধুত্বের দায়কে সম্মান জানিয়েছি। সলমন খান, আমরা এই যুদ্ধটা চাইনি। আমাদের ভাই প্রাণ হারিয়েছেন। এটা আপনি বাধ্য করেছেন। তাঁর মৃত্যুর কারণ দাউদ ও অনুজ থাপানের সঙ্গে বলিউডের যোগাযোগ, রাজনীতি এবং সম্পত্তি কেনাবেচা।” লোনকর আরও জানিয়েছে, “কারও সঙ্গে (Bollywood Underworld Nexus) আমাদের শত্রুতা নেই। কিন্তু যে সলমন খান কিংবা দাউদ গ্যাংকে সাহায্য করবে, সে যেন প্রস্তুত থাকে। আমাদের কোনও ভাইয়ের মৃত্যু হলে, আমরাও নিশ্চিতভাবে তার উত্তর দেব। আমরা কিন্তু কখনও প্রথম আঘাত হানি না।”

    কী বলছে পুলিশ

    মুম্বই পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় এ সংক্রান্ত পোস্টটা দেখেছি। এটা আদৌ সত্যি কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” সিদ্দিকি হত্যার কারণ প্রসঙ্গে এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “ভাড়াটে খুনির তত্ত্ব, ব্যবসায়িক শত্রুতা না কি বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্প, খুনের নেপথ্যের প্রতিটি সম্ভাবনাই সমান গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মুম্বইয়ের বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্পে প্রায় দু’হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলায় নাম জড়িয়েছিল সিদ্দিকিরও (Baba Siddique Murder)। ২০০০-২০০৪ সাল পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের আবাসন ও নগরোন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি সংস্থাকে বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। মামলার তদন্তে ২০১৮ সালে সিদ্দিকির ৪৬২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি।

    পুলিশের সন্দেহ

    এহেন সিদ্দিকি খুন (Baba Siddique Murder) হওয়ায় তোলপাড় মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহল। পুলিশের সন্দেহ, হামলার ঘটনায় একটা ৯ এমএম পিস্তল ব্যবহার করা হয়েছিল। সেটা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দুষ্কৃতীরা চার থেকে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল বলে দাবি পুলিশের। মহারাষ্ট্র পুলিশের তদন্তকারী দলকে সাহায্যের জন্য দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের একটা দলকে পাঠানো হচ্ছে সে রাজ্যে। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেন্সিক দল। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভির ফুটেজও। বিষ্ণোই গ্যাংয়ের তরফে জানানো হয়েছে, গত এক মাস ধরে এলাকা রেইকি করেছিল তারা। মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের সন্দেহ, অভিযুক্তদের বাবা সিদ্দিকি সম্পর্কে তথ্য জোগাচ্ছিল অন্য কেউ। মুম্বইয়ের রাজনীতি সম্পর্কে যাঁরা ওয়াকিবহাল, তাঁদের একটা অংশের মতে, সলমনের সঙ্গে সিদ্দিকির ঘনিষ্ঠতাই কাল হয়েছে কংগ্রেস ছেড়ে এনসিপির অজিত গোষ্ঠীতে যোগ দেওয়া সিদ্দিকির। দীর্ঘদিন ধরেই সলমনকে খুনের হুমকি দিচ্ছেন লরেন্স বিষ্ণোই (Bollywood Underworld Nexus)। মাস কয়েক আগে সলমনের বাড়ি গ্যালাক্সি লক্ষ্য করে দু’রাউন্ড গুলিও চালিয়েছিল জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্যরা।

    সলমনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

    ১৯৯৮ সালে একটি সিনেমার শুটিংয়ের সময় কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করেছিলেন সলমন। লুপ্তপ্রায় প্রজাতির হরিণ শিকার করায় জেলও খাটতে হয়েছিল সলমনকে। কৃষ্ণসার হরিণ বিষ্ণোই সম্প্রদায়ে পূজ্য। ওই ঘটনার পর থেকে সলমনকে একাধিকবার খুনের হুমকি দিয়েছে বিষ্ণোই গ্যাং। সলমনের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার পর বাড়ানো হয়েছে অভিনেতার নিরাপত্তা। বর্তমানে ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান সলমন। সিদ্দিকিকে (Baba Siddique Murder) অবশ্য এমন কোনও হুমকি দেওয়া হয়নি বলেই সূত্রের খবর। রাজনীতির পাশাপাশি বলিউডের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল সিদ্দিকির। তাঁর দেওয়া ইফতার পার্টিতে চাঁদের হাট বসে। তাঁর ডাকে সেই পার্টিতে হাজির হন মুম্বইয়ের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। সিদ্দিকির এই পার্টিতেই শাহরুখ খান ও সলমনের দীর্ঘ দিনের ঝামেলার অবসান হয়েছিল। এহেন জনপ্রিয় সিদ্দিকির মৃত্যুতে তাই শোকের ছায়া বলিউডে (Bollywood Underworld Nexus)।

    আরও পড়ুন: সন্দীপ ও তাঁর আত্মীয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অবৈধ লেনদেনের খোঁজ! জেরা করবে ইডি

    ৬ রাউন্ড গুলি

    মুম্বইয়ের ক্রাইম ব্রাঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, সিদ্দিকিকে (Baba Siddique Murder) তাক করে মোট ৬ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। এর মধ্যে ৩টি গুলি লাগে তাঁর শরীরে। এই ঘটনায় আরও একবার প্রকাশ্যে এল বলিউডের সঙ্গে আন্ডার ওয়ার্ল্ডের নিবিড় যোগ এবং শত্রুতার কথা। এক সময় বলিউডে শেষ কথা বলতেন করিম লালা। তাঁর মূল ব্যবসাই ছিল অপহরণ, কন্ট্রাক্ট নিয়ে কাউকে হত্যা করা। মাদক দ্রব্য পাচারও করতেন তিনি। বলিউডে কোনও রকম সমস্যা দেখা দিলে লোকজন ছুটে যেতেন করিমের কাছে। সমস্যার সমাধান করতেন তিনিই। ফি বছর ইদের সময় বলিউড তারকাদের ডাকতেন করিম। তাঁর ডাকে ওই পার্টিতে হাজির হতেন তারকারা (Bollywood Underworld Nexus)। করিমের পর বলিউডের রুপোলি দুনিয়ায় প্রবেশ করে ভরাদ্রজন মুদালিয়র। তার পরে দাপিয়ে বেড়ান হাজি মস্তান। এরপর উত্থান হয় দাউদ ইব্রাহিমের। তিনিই আন্ডার ওয়ার্ল্ডকে প্রথম কর্পোরেটাইজ করেন। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের শো করতে নিয়ে যান দুবাইয়ে।

    আন্ডারওয়ার্ল্ডে দুষ্কৃতী রাজ

    আন্ডারওয়ার্ল্ডের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে প্রথম সরব হন অভিনেত্রী প্রীতি জিন্টা। পরে মুম্বই পুলিশের দক্ষতায় ধীরে ধীরে বন্ধ হয় বলিউডকে হুমকি দেওয়া, চাপ দিয়ে টাকা আদায়। এরপর উত্থান হয় রবি পূজারির মতো দুষ্কৃতীদের (Bollywood Underworld Nexus)। আরও অনেকেই রাজ করেছে বলিউডে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন সিদ্দিকি (Baba Siddique Murder)। তিনি হয়তো দুষ্কৃতী নন, তবে তাঁর বিরুদ্ধেও অভিযোগ বিস্তর। প্রসঙ্গত, নয়ের দশকের পর থেকে মুম্বইয়ে এমন বড় মাপের রাজনৈতিক কোনও নেতা খুন হননি। ওই দশকের শুরুর দিকে বিজেপির তৎকালীন দুই বিধায়ক রামদাস নায়েক ও প্রেমকুমার শর্মাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই সময়ই খুন হয়েছিলেন শিবসেনার দুই নেতা বিঠ্ঠল চহ্বান ও রমেশ মোরে। তার পর এই খুন হলেন সিদ্দিকির (Baba Siddique Murder) মতো এমন বড় মাপের এক রাজনৈতিক নেতা (Bollywood Underworld Nexus)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Kumar: স্যান্ডউইচ বিক্রেতা থেকে ট্র্যাজেডি কিং! বলিউডের বর্ণময় চরিত্র দিলীপ কুমার

    Dilip Kumar: স্যান্ডউইচ বিক্রেতা থেকে ট্র্যাজেডি কিং! বলিউডের বর্ণময় চরিত্র দিলীপ কুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমিতাভ বচ্চন থেকে শাহরুখ খান। বলিউডের দাপুটে নায়কদের অনেকেরই শুরুর দিনগুলি সহজ ছিল না। বহু কষ্ট করে সোনালি জগতে নাম খোদাই করেছেন তাঁরা। যাঁর হাত ধরে এই যাত্রার শুরু তিনিই হলেন দিলীপ কুমার (Dilip Kumar)। জন্মসূত্রে নাম মহম্মদ ইউসুফ খান, মুসলিম পরিবারের ছেলে। ১৯২২ সালের ১১ ডিসেম্বর অধুনা পাকিস্তানের পেশোয়ারে জন্মগ্রহণ করেন দিলীপ কুমার। লালা গোলাম সারওয়ার খান এবং আয়েশা বেগমের ১২ সন্তানের মধ্যে অন্যতম দিলীপ।

    শুরুর দিনগুলো

    দিলীপ কুমারের (Dilip Kumar) বাবা ছিলেন ফলের ব্যবসায়ী। ১৯৩০ সালের শেষের দিকে, ১২ সদস্যের পরিবার নিয়ে মুম্বাইয়ে পাড়ি জমান দিলীপ কুমারের বাবা। দিলীপ কুমার নাসিকের কাছাকাছি দেওলিয়ার বার্নস স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শুরু করেন। তবে প্রথম থেকেই তাঁর বাবার সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার দরুণ এক দিন বাড়ি ছেড়েই বেরিয়ে পড়লেন কিশোর ইউসুফ। তাঁর ছোটবেলার বন্ধু ছিলেন রাজ কাপুর। যিনি পরবর্তীকালে হিন্দি ইন্ডাস্ট্রিতেও তাঁর সহ-অভিনেতা হন।  পেশোয়ারে যেখানে পৈতৃক বাড়ি দিলীপের, সেখানেই বাড়ি ছিল রাজের। বাড়ি ছাড়ার পর ইউসুফ ওরফে দিলীপ আসেন পুনেতে। সেখানে পৌঁছে আলাপ হল এক ক্যাফে মালিকের সঙ্গে। পাশে পেলেন এক অ্যাংলো ইন্ডিয়ান দম্পতিকে। তাঁদের সহায়তাতেই দিলীপ কুমার সেনাবাহিনী ক্লাবের কাছে স্যান্ডউইচের দোকান খুলে ফেলেন। তাঁর ব্যবসাও রমরমিয়ে চলতে শুরু করে দেয়। সেখানেই একদিন দেশাত্মবোধ নিয়ে কথা বলে ব্রিটিশদের বিপাগ ভাজন হন দিলীপ। এমনকী কয়েক মাস তাঁকে জেলও খাটতে হয়। 

    দিলীপের প্রথম তিন ছবি ফ্লপ

    বাবার ভয়ে বেনামে ছবি করতে শুরু করেন দিলীপ (Dilip Kumar)। অভিনেত্রী তথা প্রযোজক দেবিকা রানির পরামর্শেই আসল নাম পাল্টে দিলীপ কুমার করে নেন। তাঁর প্রথম ছবি ‘জোয়ার ভাঁটা’  সে ভাবে সাড়া ফেলেনি। দ্বিতীয়, তৃতীয় ছবিও নয়। নুর জাহানের সঙ্গে চতুর্থ ছবি ‘জুগনু’ বিরাট সাফল্য পায়। এর পর ‘শহিদ’, ‘মেলা’, ‘অন্দাজ’-এর মতো হিট ছবি উপহার দেন।পাঁচের দশকে সবচেয়ে বেশি সাফল্য পান দিলীপ কুমার। ‘যোগন’, ‘বাবুল’, ‘দীদার, ‘তরানা’, ‘দাগ’, ‘নয়া দওর’-এর মতো ছবি করেন। ব্যবসার নিরিখে দেশের অন্যতমন সফল ছবি দিলীপ কুমার অভিনীত  ‘মুঘল-ই-আজম’ দীর্ঘ ১৫ বছর সেরা সফল ছবির খেতাব ধরে রেখেছিল, ১৯৭৫ সালে যা ভেঙে দেয় ‘শোলে’। 

    আরও পড়ুন: টোকিও-র পর গীতাই ছিল আশ্রয়, খেলার সঙ্গে পড়াশোনাতেও উজ্জ্বল মনু

    নানা সম্মান

    দিলীপ কুমারই (Dilip Kumar) প্রথম অভিনেতা, যিনি ফিল্মফেয়ার পুরষ্কার জেতেন, ‘দাগ’ ছবির জন্য। ছবি পিছু ১ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নেওয়া প্রথম অভিনেতাও (Bollywood) তিনি। সুদীর্ঘ অভিনয় জীবনে একাধিক সুন্দরী নায়িকার সঙ্গে নাম জড়ায় দিলীপ কুমারের। মধুবালার সঙ্গে সাত বছরের সম্পর্ক ছিল তাঁর। ১৯৬৬ সালে বয়সে ২২ বছরের ছোট সায়রা বানুর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন দিলীপকুমার। হিন্দকো, উর্দু, হিন্দি, পশতু, পঞ্জাবি, মারাঠি, ইংরেজি, বাংলা, গুজরাতি, ফারসি, ভোজপুরি এবং অওয়ধি ভাষায় ঝরঝর করে কথা বলতে পারতেন দিলীপ কুমার। ছবির কাজ করতে গিয়ে শিখেছিলেন সেতারও। ক্রিকেট খেলতে ভালবাসতেন। পদ্ম বিভূষণ, পদ্মভূষণ, দাদাসাহেব ফালকে-সহ দেশ-বিদেশে অজস্র সম্মান পেয়েছেন দিলীপ কুমার। বছর তিনেক আগেই ৭ জুলাই, ২০২১ অনুরাগীদের কাঁদিয়ে চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন দেশের প্রথম সুপারস্টার দিলীপ কুমার (Dilip Kumar)। এখনও তাঁর জনপ্রিয়তার কাছে হার মানেন নবপ্রজন্মের তারকারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kalki 2898 AD: বক্স অফিসে নয়া রেকর্ড! ২৮ দিনে ১ হাজার ১০০ কোটি ছুঁল প্রভাসের ‘কল্কি’

    Kalki 2898 AD: বক্স অফিসে নয়া রেকর্ড! ২৮ দিনে ১ হাজার ১০০ কোটি ছুঁল প্রভাসের ‘কল্কি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে নতুন মাইলস্টোন ছুঁয়েছে প্রভাসের ছবি ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’৷ দুটো ফ্লপ সিনেমার পর এবার নতুন অধ্যায় লিখতে চলেছেন দক্ষিণী তারকা প্রভাস৷ ইতিমধ্যেই তাঁর অভিনীত কল্কি বক্স অফিসে (Box Office Collection) যে বিজয় রথ দৌড় করাচ্ছেন তা থামানো মুশকিল পঞ্চম সপ্তাহতেও৷ হিসেব বলছে, গ্লোবাল বক্স অফিসে ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ (Kalki 2898 AD) ছুঁল নতুন রেকর্ড৷ এখনও পর্যন্ত কল্কির ঝুলিতে এসেছে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা৷ ফলে সিনেমার এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত প্রযোজক-নির্মাতা সহ অনুরাগীরাও৷

    কী জানাল প্রযোজনা সংস্থা? (Kalki 2898 AD)

    নাগ অশ্বিন পরিচালিত এই ছবি ২৮ দিন ধরে টানা প্রেক্ষাগৃহে রাজত্ব করে চলেছে৷ এ নিয়ে প্রযোজনা সংস্থা বৈজন্তি মুভিসের তরফে বৃহস্পতিবার নতুন একটি পোস্টার সামনে আনা হয়েছে৷ সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, “বক্স অফিসে অসাধারণ সাফল্য প্রভাস ও দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত কল্কির৷ ১১০০ কোটি টাকা পার৷ পঞ্চম সপ্তাহেও দারুণ হচ্ছে ছবির কালেকশন৷” ‘কল্কি’র সাফল্য ভারতীয় সিনেমার জন্য গৌরবের৷

    ‘জওয়ান’-এর রেকর্ড ভেঙে ফেলবে ‘কল্কি’? (Box Office Collection) 

    ২৭ জুন দেশজুড়ে মুক্তি পায় ‘কল্কি’ (Kalki 2898 AD)৷ এমনকী, বিদেশের মাটিতেও এই ছবি দেখে মুগ্ধ হন অনুরাগীরা৷ প্রথমদিনেই ছবির ঘরে আসে ৯৫.৩ কোটি টাকা৷ কোনও প্রতিযোগিতা ছাড়াই বক্সঅফিস দখল করে নিতে সক্ষম হয় মাইথোলজিক্যাল এই ছবি৷ আর ২০ কোটি টাকা আয় হলেই শাহরুখ খানের ‘জওয়ান’-এর রেকর্ড ভেঙে ফেলবেন প্রভাস৷ নাগ অশ্বিনের মাইথোলজিক্যাল এই সাইন্স-ফিকশন ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে অমিতাভ বচ্চন, কমল হাসান, দিশা পাটানি, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে৷ তেলুগু ছাড়া ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ মুক্তি পেয়েছে তামিল, মালয়লম, কন্নড়, হিন্দি ও ইংরাজি ভাষায়৷

    আরও পড়ুন: বক্স অফিসে কল্কি-ঝড় অব্যাহত, ২৩ দিনে ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা

    উল্লেখ্য, ৬০০ কোটি টাকা বাজেট ছিল এই ছবির৷ তবে প্রযোজকের এই সিদ্ধান্তে চিন্তিত ছিলেন অভিনেতা প্রভাস৷ কারণ এর আগে আদিপুরুষ ও রাধেশ্যাম বিগ বাজেটের দুটি ছবি অসফল থাকে বক্সঅফিসে৷ ফলে এই ছবি কতটা দর্শকরা গ্রহণ করবেন, তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন অভিনেতা৷ তবে ছবি (Kalki 2898 AD) মুক্তির পর সাফল্যের ঢেউ ওঠে বক্সঅফিসে৷ মনে করা হচ্ছে, তেলেগু এবং অন্যান্য ভাষায় কম প্রতিযোগিতার কারণে ছবিটি ভারত এবং বিদেশ উভয় বক্স অফিসেই সফলতা পাচ্ছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amitabh Bachchan: শাহরুখ-সুহানার ‘কিং’-এ বড় চমক! এবার কিং খানের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হবেন অভিষেক

    Amitabh Bachchan: শাহরুখ-সুহানার ‘কিং’-এ বড় চমক! এবার কিং খানের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হবেন অভিষেক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিনেপ্রেমীদের জন্য বড় খবর। এবার শাহরুখ খান অভিনীত আসন্ন ছবি কিং-এ খলনায়কের চরিত্রে দেখা যাবে অভিষেক বচ্চনকে। সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে নিজের ছেলে সম্পর্কে এই বড় আপডেট দিলেন বিগ বি (Amitabh Bachchan)। এদিনের পোস্টে অমিতাভ বচ্চন জানালেন, শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) সঙ্গে আগামী ছবিতে দেখা যাবে জুনিয়র বচ্চনকে। 

    শাহরুখের পরবর্তী ছবিতে অভিষেক

    বলিউড তারকা অমিতাভ বচ্চন সম্প্রতি জানিয়েছেন যে তাঁর ছেলে, অভিষেক বচ্চনের পরবর্তী প্রজেক্ট শাহরুখ খানের সঙ্গে। তাঁদের একসঙ্গে নতুন ছবি ‘কিং’-এ দেখা যাবে। যদিও এই ছবি সম্পর্কে কোনওরকম কোনও ঘোষণাই এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে করা হয়নি। এদিন পোস্টে একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan) লেখেন যে, ”কিং’ ছবির কাস্টিংয়ে যোগ দেবেন অভিষেক। আরও বড় খবর, সেখানে খলনায়কের চরিত্রে দেখা যাবে অভিষেককে। শুভেচ্ছা অভিষেক… সময় এসে গিয়েছে!!!” অর্থাৎ এবার মুখোমুখি শাহরুখ ও অভিষেক।

    আদ্যোপান্ত অ্যাকশনে ঠাসা ছবি হতে চলেছে ‘কিং’

    আসন্ন সিনেমা কিং একটি আদ্যোপান্ত অ্যাকশনে ঠাসা ছবি (Bollywood New Movie) হতে চলেছে। আগেই জানা গিয়েছিল, ছবিটির পরিচালনা করবেন কাহানি ছবির পরিচালক সুজয় ঘোষ। অন্যদিকে ছবিটির প্রযোজনা করবেন পাঠান ছবির পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দ। আর এবার জানা গেল এই ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে দেখা যাবে অভিষেক বচ্চনকে। সূত্রের খবর, এই ছবিতে অভিনয় করবেন শাহরুখ কন্যা সুহানা খানও। বড়পর্দায় এই ছবির মাধ্যমে অভিষেক হতে চলেছে তাঁর। সুজয় ঘোষের এই স্পাই থ্রিলারে সুহানার চরিত্রকে আরও বলিষ্ঠ করার উদ্দেশ্যে বিশেষভাবে চরিত্রটি নির্মান করা হয়েছে। এই ছবিতে গোয়েন্দার ভূমিকায় থাকছেন সুহানা। অন্যদিকে একজন মাফিয়ার চরিত্রে দেখা যাবে শাহরুখকে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যপালকে অপমানজনক মন্তব্য নয়, মুখ্যমন্ত্রী সহ চারজনকে বিরত করল হাইকোর্ট

    ‘কিং’ ছবির খবর প্রকাশ্যে আসতেই উচ্ছ্বসিত অনুরাগীরা

    একের পর এক ওয়েব সিরিজ আর ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে নজর কেড়েছেন অভিষেক বচ্চন। নিজেকে চরিত্রের খাতিরে বারবার ভেঙেছেন তিনি। নিজের ব্যক্তিগত জীবনের গুজবে কান না দিয়ে আবারও নতুন চরিত্রের পথে এগিয়ে গিয়েছেন অভিষেক। এর আগে একসঙ্গে শাহরুখ খান ও অভিষেক বচ্চন ‘কভি অলভিদা না কহেনা’ ও ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ ছবিতে কাজ করেছেন। তবে এবার ‘কিং’ ছবির (Bollywood New Movie) খবর প্রকাশ্যে আসতেই উচ্ছ্বসিত অনুরাগীরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kalki 2898 AD: ৭ দিনে ৭০০ কোটি পার! বিশ্ব বক্স অফিসে নয়া নজির গড়ল ‘কল্কি’

    Kalki 2898 AD: ৭ দিনে ৭০০ কোটি পার! বিশ্ব বক্স অফিসে নয়া নজির গড়ল ‘কল্কি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব বক্স অফিসে রেকর্ড গড়ল বলিউডের ‘কল্কি’  (Kalki 2898 AD)। গত ২৭ জুন রিলিজ করেছে কল্কি ২৮৯৮ এডি। ভারতীয় বক্স অফিসে ছবি রিলিজের প্রথম পাঁচ দিনেই প্রায় সাড়ে তিনশো কোটির দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিল এই সিনেমার আয়। আর এবার সিনেমা রিলিজের ৭ দিনের মধ্যেই বিশ্ব বক্স অফিসে (Box Office Collection) ৭০০ কোটির ও বেশি আয় করল প্রভাস ও দীপিকা পাডুকোন অভিনীত কল্কি ২৮৯৮ এডি। জানা গিয়েছে সারা বিশ্ব জুড়ে সমস্ত ভাষা মিলিয়ে এখনও অব্দি ৭২৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে এই সিনেমা। সফল সপ্তাহান্তের পর কাজের দিনগুলিতেও আয়ের একটি স্থির গতি বজায় রেখেছে কল্কি।

    আরও পড়ুন: আরও বিপাকে অর্পিতা! নিয়োগ মামলায় ‘পার্থ ঘনিষ্ঠ’-কে জেরা করবে আয়কর দফতর

    কী জানাল সিনেমার প্রযোজক সংস্থা? (Kalki 2898 AD)

    এ প্রসঙ্গে এই সিনেমার প্রযোজক বৈজয়ন্তী মুভিজ জানিয়েছে যে, ছবিটি বিশ্বব্যাপী ৭০০ কোটির বেশি আয় (Box Office Collection) করেছে। আগুনের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাওয়া দীপিকার চরিত্রের একটি পোস্টার শেয়ার করে, তারা লিখেছেন, “স্বপ্নের দৌড় অব্যাহত রয়েছে। এর জাদুটির সাক্ষী থাকুন।” একইসঙ্গে তারা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিও শেয়ার করেছে। এই ছবির নির্মাতারা আশা করছেন কল্কি ১০০০ কোটি টাকার ব্যবসা ছাড়িয়ে যাবে।

    প্রশংসা কুড়িয়েছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ও

    উল্লেখ্য, নাগ অশ্বিন পরিচালিত কল্কি (Kalki 2898 AD) একটি সায়েন্স ফিকশন থ্রিলার। এই ছবিটি তেলুগু এবং হিন্দি ভাষা ছাড়াও তামিল, কন্নড় এবং মালায়লাম ভাষাতেও মুক্তি পেয়েছে। ভৈরবের চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রভাস। এছাড়াও অমিতাভ বচ্চন, দীপিকা পাডুকোন ও কমল হাসান যথাক্রমে অশ্বত্থামা, সুমতী এবং সুপ্রিম ইয়াসকিনের চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছেন । নেগেটিভ রোলে সবার প্রশংসা কুড়িয়েছেন বাংলার অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ও৷ ভারতে এখনও পর্যন্ত এই ছবির মোট আয় ৩৪৩ কোটি ৬০ লাখ। জানা গিয়েছে, বাহুবলী এবং সালারের পরে কল্কি প্রভাসের চতুর্থ ফিল্ম, যা বিশ্বব্যাপী ৭০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা করল৷

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share