Tag: BRICS

BRICS

  • PM Modi: ট্রাম্পের শুল্ক-যুদ্ধে বদলাচ্ছে ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ, ঘনিষ্ঠ হচ্ছে চিন ও ভারত!

    PM Modi: ট্রাম্পের শুল্ক-যুদ্ধে বদলাচ্ছে ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ, ঘনিষ্ঠ হচ্ছে চিন ও ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলাচ্ছে বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ! অন্তত এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতীয় পণ্যের ওপর প্রথমে এক দফা ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ান তেল কেনার জন্যই এই পরিমাণ শুল্ক আরোপ করা হয়। ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া গিয়েছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। তিনি ফিরে এলেই, চলতি মাসের মাঝামাঝি মস্কো সফরে যাবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এরই মধ্যে, ফের ভারতীয় পণ্যের ওপর (SCO Summit) আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বুধবার ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের এই কড়া শুল্ক-পদক্ষেপের আবহে চলতি মাসেই চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে অংশ নিতেই চিন যাত্রা করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের গালওয়ান উপত্যকায় প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর এটাই হতে চলেছে তাঁর প্রথম চিন সফর।

    এসসিও সম্মেলন (PM Modi)

    তিয়ানজিনের উত্তরের বন্দর শহরে আগামী ৩১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হবে এসসিও সম্মেলন। সেই কারণেই চিন সফরে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর চিন সফরটি এমন একটা সময়ে হতে যাচ্ছে যখন ভারত একদিকে যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরোপিত কঠোর নতুন বাণিজ্য শুল্কের প্রভাবের মোকাবিলা করছে, তেমনি অন্যদিকে রাশিয়া থেকে তেলের আমদানির কারণে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের মুখোমুখিও হয়েছে। এসসিও সম্মেলনে মোদির উপস্থিতিকে অনেকেই ভারতের কৌশলগত অবস্থান পুনর্বিবেচনার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন, বিশেষ করে যখন পশ্চিমী বিশ্বের সঙ্গে উত্তেজনা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বেজিংয়ের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উন্নতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।

    চিন সফরে মোদি

    ২০১৯ সালে শেষবারের মতো চিন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপর লাদাখের গালওয়ানে ভারত ও চিন সংঘর্ষের পর থেকে দু’দেশের সম্পর্কে অবনতি ঘটেছে। অবশ্য গত বছরে রাশিয়ার কাজানে আন্তর্জাতিক জোট ব্রিকসের পার্শ্ববৈঠকে সাক্ষাৎ করেন মোদি ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তারপর থেকে ফের স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ভারত-চিনের সম্পর্ক (SCO Summit)।

    ট্রাম্পের শুল্ক-হুমকি

    সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক-হুমকির জেরে কাছাকাছি আসতে শুরু করেছে পড়শি এই দুই (PM Modi) দেশ। বেজিংও আপ্রাণ চেষ্টা করছে নয়াদিল্লির সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও নিবিড় করতে। ভারত ও চিনের শক্তির কথা বলতে গিয়ে তারা ব্যবহার করছে যথাক্রমে ‘হাতি’ ও ‘ড্রাগনে’র উপমা। চিনের সাফ কথা, ‘ড্রাগন ও হাতির মধ্যে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। ড্রাগন আর হাতিকে একসঙ্গে নাচিয়ে দিতে হবে। একে অপরের বিরুদ্ধে কথা না বলে পরস্পরকে সাহায্য করতে হবে। তাতেই লাভ হবে দুই দেশের। যদি এশিয়ার বৃহত্তম দুই অর্থনীতি একজোট হয়, তবে তা লাভজনক হবে সমগ্র বিশ্বের পক্ষেই।’ এহেন আবহে মোদির চিন সফরের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে তামাম বিশ্ব।

    চিন ঘুরে এসেছেন রাজনাথ-জয়শঙ্কর

    মোদির চিন সফরের আগে এসসিওর প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের আলাদা সম্মেলন হয়ে গিয়েছে। প্রথমে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং পরে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর উভয়েই সেই উপলক্ষে চিন সফরে গিয়েছিলেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের নাম না (SCO Summit) নিয়েই তাকে আক্রমণ করেন রাজনাথ। সাফ জানিয়ে দেন (PM Modi), সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত কোনও দু’মুখো আচরণ বরদাস্ত করবে না। এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ মুহম্মদ। তাঁর সামনেই ভারতের এই অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এবার চিনে হবে এসসিওর শীর্ষ সম্মেলন। সেই সম্মলেন উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রধানরা। থাকার কথা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফেরও। তাই শরিফের উপস্থিতিতে ভারত কী বলে, তা শুনতেও মুখিয়ে রয়েছেন বিশ্ববাসী।

    চিনের বিবৃতি

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার প্রেক্ষিতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। সেই সময় পাকিস্তানের দিকে যারা ঝুঁকেছিল, তাদের মধ্যে ছিল চিনও। অপারেশন সিঁদুর নিয়ে চিনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আজ ভোরে ভারত যে সেনা অভিযান চালিয়েছে, তা দুঃখজনক (PM Modi)। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। ভারত ও পাকিস্তান চিরকাল পরস্পরের প্রতিবেশী হিসেবেই বিরাজ করবে। তারাও চিনের প্রতিবেশী। চিন সব ধরনের সন্ত্রাসের বিরোধী। দুপক্ষের কাছেই আবেদন, বৃহত্তর স্বার্থে, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সংযত থাকুন। এমন কিছু করবেন না, যাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে (SCO Summit)।’

    পরে অবশ্য আর একটি বিবৃতিতে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, “চিন সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের কঠোর বিরোধিতা করে এবং ২২ এপ্রিল সংঘটিত জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করে। চিন আঞ্চলিক দেশগুলিকে সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা জোরদার করার এবং যৌথভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার আহ্বান জানায় (PM Modi)।”

  • Trump’s Tariff on India: বিকল্প পথের সন্ধানে দিল্লি, ট্রাম্পের শুল্ক-বাণ নিয়ে চিন্তিত নয় ভারত

    Trump’s Tariff on India: বিকল্প পথের সন্ধানে দিল্লি, ট্রাম্পের শুল্ক-বাণ নিয়ে চিন্তিত নয় ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ২৫% শুল্ক (Trump’s Tariff on India) এবং অতিরিক্ত শাস্তিমূলক ট্যারিফ ভারতীয় রফতানির উপর অগাস্টের প্রথম দিন থেকে কার্যকর হলেও, ভারত সরকার বিষয়টিকে হালকাভাবে নিচ্ছে এবং জানিয়েছে যে তারা কোনও প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পরিবর্তে, সরকার আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথে হাঁটবে বলেই স্থির করেছে। সরকারি সূত্রে খবর, ২৫ শতাংশ শুল্ক যে খুব একটা চিন্তার বিষয় এমনটা নয়। কারণ, চারপাশে তাকিয়ে দেখলে লক্ষ্য করা যাবে চিনের উপর শুল্ক চাপানো ৩০ শতাংশ। বাংলাদেশের উপর ৩৫ শতাংশ। ইন্দোনেশিয়ায় চাপানো ১৯ শতাংশ। বাকি সব দেশেও গড়ে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ। যে গোষ্ঠীতে এখন ভারতও ‘এন্ট্রি’ নিয়েছে।

    ট্রাম্পের ঘোষণা

    ট্রাম্প বুধবার জানিয়েছেন, ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক (Trump’s Tariff on India) আরোপ করা হবে, এর পাশাপাশি আরও কিছু আর্থিক শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হবে। ট্রাম্প ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পিছনে ব্রিকসকে (BRICS) অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, “আমরা এখনও আলোচনায় আছি। এর মধ্যে ব্রিকসের বিষয়টিও রয়েছে। এটি আমেরিকা বিরোধী দেশগুলির একটি দল এবং ভারত এর সদস্য। এটি ডলারের উপর আক্রমণ করতে চায় এবং আমরা কাউকে ডলারের উপর আঘাত হানতে দেব না।”

    উদ্বিগ্ন নয় ভারত

    সরকারি সূত্রে খবর, ট্রাম্প শুল্ক (Trump’s Tariff on India) চাপালেও ভারত এই বিষয়ে কোনও প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ করছে না। বৃহস্পতিবার এক উচ্চ পদস্থ সরকারি আধিকারিক এই বিষয়ে বলেন, “নীরবতাই সবচেয়ে বড় উত্তর। আমরা যা করব, আলোচনার টেবিলেই করব। দেশের জন্য যা ভালো তাই করবে মোদি সরকার। অন্য দেশের কথা শুনে ভারতের বিদেশনীতি ঠিক হবে না। আর দেশের কৃষক ও ছোট ব্যবসাদারদের কোনও ক্ষতি হতে দেবে না সরকার।” বুধবার সমাজমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ একটি পোস্ট করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, ভারত এবং রাশিয়া, দুই দেশের অর্থনীতিই মৃত। চাইলে এই দুই দেশ আরও অর্থনৈতিক অধোগতির পথে হাঁটতে পারে বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত কয়েক মাস ধরে একটি বানিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। ট্রাম্প বহুবারই মার্কিন পণ্যের জন্য ভারতের বাজারে আরও প্রবেশাধিকার চেয়েছেন।

    কী বলছেন দেশের অর্থনীতিকরা

    এই শুল্ক (Trump’s Tariff on India) পদক্ষেপ নিয়ে যখন কিছু অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, তখন ভারত সরকার একে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না। এক সরকারি আধিকারিক বলেন, “যখন আমরা পরমাণু পরীক্ষা করেছিলাম, অনেক নিষেধাজ্ঞা এসেছিল। তখন আমরা ছোট অর্থনীতি ছিলাম। আজ আমরা আত্মনির্ভরশীল শক্তিশালী অর্থনীতি। এখন ভয়ের কিছু নেই।” ১৯৯৮ সালে পোখরান-২ পারমাণবিক পরীক্ষার সময় বিল ক্লিনটন প্রশাসন ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিলেও তৎকালীন বাজপেয়ী সরকার পিছিয়ে যায়নি।

    কী বলছেন বাণিজ্যমন্ত্রী

    বৃহস্পতিবার সংসদে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানান, আমেরিকার এই ট্যারিফ (Trump’s Tariff on India) সিদ্ধান্ত ভারতের রফতানিকারকদের এবং সামগ্রিক অর্থনীতিতে কী প্রভাব ফেলতে পারে, তা বিশ্লেষণ করছে সরকার। তিনি জানান, বাণিজ্য মন্ত্রক বর্তমানে বিভিন্ন রফতানিকারক, শিল্পপতি, এমএসএমই এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। কৃষক, শ্রমিক, উদ্যোগপতি, ছোট-মাঝারি শিল্প এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই সরকার গ্রহণ করবে।

    বিকল্প পথের সন্ধান

    ওয়াকিবহাল মহল বলছে, বর্তমান পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য ভারতের কাছে একাধিক পথ খোলা আছে। সম্ভাব্য একটা পথ হল ট্রাম্পের সঙ্গে আবার দর-কষাকষিতে গিয়ে ওই শুল্ক (Trump’s Tariff on India) কমানো। আলাপ-আলোচনা অবশ্যই হবে, কিন্তু কতটা কমবে সেটা দেখার। দ্বিতীয় পথ হলো অন্য বিকল্প খোঁজা। জাপান ও ফ্রান্সের সঙ্গে তো বাণিজ্যিক দিক থেকে সম্পর্ক ভালো ছিল, এখন যুক্তরাজ্যের সঙ্গেও ভারতের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো। সেটাও কাজে লাগাতে চেষ্টা করবে ভারত। বাণিজ্যক্ষেত্রে যে ডেফিসিটটা (ঘাটতি) যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হবে সেটাকে অন্য দেশে পরিচালিত করাই এখন ভারতের মূল উদ্দেশ্য। অনেকে বলছেন, বিদেশ নীতির দিক থেকে ভারতের বাণিজ্যের জন্য অন্য দেশের প্রতি এতটা নির্ভরশীল হওয়ার দরকার নেই, অভ্যন্তরীণ দিক থেকে একটা ভারসাম্য বজায় রাখা দরকার। ম্যানুফ্যাকচারিং এবং প্রোডাকশন সেক্টরের ওপর জোর দিয়ে ভারত যদি নিজেদের উৎপাদন হাব হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। তাহলে যে কোনও দেশ ভারত থেকে পণ্য কিনতে বাধ্য হবে। যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আত্মনির্ভর ভারতের মূল লক্ষ্য।

  • India: ১৮তম ব্রিকস সম্মেলন হবে ভারতে, রাষ্ট্রসংঘে ভারতের অন্তর্ভুক্তিতে জোরালো সওয়াল

    India: ১৮তম ব্রিকস সম্মেলন হবে ভারতে, রাষ্ট্রসংঘে ভারতের অন্তর্ভুক্তিতে জোরালো সওয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টাদশতম ব্রিকস সম্মেলন হবে ভারতে (India)। ব্রাজিলে সপ্তদশতম ব্রিকস সম্মেলনেই (BRICS Summit) এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। রিও ডি জেনেইরোয় রবিবার ব্রিকস সম্মেলনের শেষে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে এই খবর জানানো হয়েছে। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মজবুত শাসনের জন্য গ্লোবাল সাউথ সহযোগিতা জোরদার করা শীর্ষক এই বিবৃততে ২০২৮ সালে ৩৩তম রাষ্ট্রসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন আয়োজনের জন্য ভারতের আয়োজনের উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে। ভারতের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ব্রিকস নেতারা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের পক্ষে ফের সওয়াল করেন। যৌথবিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালের বেইজিং এবং ২০২৩ সালের জোহানেসবার্গ-২ সম্মেলনের ঘোষণাপত্র স্মরণ করে চিন ও রাশিয়া, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে, রাষ্ট্রসংঘ-সহ নিরাপত্তা পরিষদে বৃহত্তর ভূমিকা রাখার জন্য ব্রাজিল ও ভারতের আকাঙ্ক্ষার প্রতি তাঁদের সমর্থন জোরালো করেছে।”

    ভারতের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি (India)

    ভারতের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নেতৃত্বকেও জোরালোভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ব্রিকস নেতারা ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ব্রিকস স্টার্টআপ ফোরামের সূচনা এবং একটি ব্রিকস স্টার্টআপ নলেজ হাব প্রতিষ্ঠার প্রশংসা করেন। এই উদ্যোগগুলির লক্ষ্য হল সদস্য দেশগুলির মধ্যে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে সহযোগিতা আরও গভীর করা (India)। বিবৃতিতে ডিজিটাল রূপান্তর বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি অধিবেশনের আয়োজনের জন্য ভারতের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সাইড ইভেন্ট হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়। শুধু তাই নয় ব্রিকসজুড়ে এই ধরনের উদ্যোগ আরও উৎসাহিত করার আহ্বানও জানানো হয়েছে।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    পরিবেশ, সিওপি ৩০ ও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য বিষয়ে এক অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “ভারতের ব্রিকস সভাপতিত্বে আমরা ব্রিকসকে একটি নতুন রূপ দিতে কাজ করব।” তিনি বলেন, “ব্রিকসের অর্থ হবে বিল্ডিং রেসিলিয়েন্স অ্যান্ড ইননোভেশন ফর কো-অপারেশন অ্যান্ড সাসটেনেবিলিটি। যেমন করে আমরা জি২০-এর সভাপতিত্বের সময় গ্লোবাল সাউথের বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলাম, তেমনি ব্রিকসের সভাপতিত্বেও আমরা এই ফোরামকে এগিয়ে নিয়ে যাব।” পরিবেশ (BRICS Summit) সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ব্রিকস ভারত সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেছে, বিশেষ করে বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি সংরক্ষণের লক্ষ্যে গঠিত ইন্টারন্যাশনাল বিগ ক্যাটস অ্যালায়েন্সের প্রতিষ্ঠাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ব্রিকস নেতারা বাঘ-সহ বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং যৌথ প্রচেষ্টার ওপর জোর দিয়েছেন (India)।

  • PM Modi: আট দিনে ৫ দেশ সফর করবেন মোদি, কেন জানেন?

    PM Modi: আট দিনে ৫ দেশ সফর করবেন মোদি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময় মাত্র আট দিন। তার মধ্যেই পাঁচটি দেশ সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জুলাই মাসের এই বিদেশ সফরের তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশ। এবার ব্রিকস (BRICS Summit) সম্মেলন হচ্ছে ব্রাজিলে। সেই সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে যাওয়ার পথে তিন দেশ এবং আসার পথে একটি দেশ ঘুরে ভারতে ফিরবেন তিনি। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি।

    যাওয়ার পথে কোন কোন ৩ দেশ (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, আগামী ২ জুলাই রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রথমে যাবেন পশ্চিম আফ্রিকার ঘানায়। ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী গত তিন দশকে ঘানায় পা রাখেননি। এই সময়সীমায় মোদিই প্রথম। ২-৩ জুলাই তিনি থাকবেন ঘানায়। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের লক্ষ্য হল ঘানার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বন্ধন জোরদার করা, অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত সহযোগিতা নিশ্চিত করা। ঘানা থেকে তিনি উড়ে যাবেন ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ত্রিনিদাদ ও টোবাগোয়। ৩-৪ জুলাই এই দেশে থাকবেন তিনি। ১৯৯৯ সালের পর এই প্রথম সে দেশে পা রাখবেন কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। সে দেশের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন কার্লা কাংগালু এবং প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিশ্বেশ্বরের সঙ্গে বৈঠক করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ওই দেশের সংসদে যৌথ সমাবেশে বক্তৃতাও দেবেন তিনি। এখান থেকে প্রধানমন্ত্রী যাবেন দক্ষিণ আমেরিকার আর্জেন্টিনায়। সেখানে থাকবেন ৪-৫ জুলাই।

    ব্রিকস শেষে যাবেন কোন দেশে

    সে দেশের প্রেসিডেন্ট জেভিয়ার মিলেইয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিরক্ষা, কৃষি, খনি, তেল ও গ্যাস, বাণিজ্য, বিনিয়োগের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ভারত ও আর্জেন্টিনার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এই সফর। আর্জেন্টিনা থেকে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) যাবেন ব্রাজিলে, ১৭তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে। সেখানে তিনি গ্রহণ করবেন প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভারের আতিথ্য। ৫-৮ তারিখ পর্যন্ত তিনি থাকবেন ব্রাজিলে। এখানেই কয়েকটি দেশের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর। আলাদা করে ব্রাসিলিয়া শহরে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা মোদির। ব্রাজিল থেকে ফেরার পথে প্রধানমন্ত্রী যাবেন দক্ষিণ আফ্রিকারই নামিবিয়ায় (BRICS Summit)। সেখানে তিনি বৈঠক করবেন প্রেসিডেন্ট নেটুম্বো ন্যান্ডি নাইতওয়ার সঙ্গে। তারপর ফিরবেন নয়াদিল্লি (PM Modi)।

  • Xi Jinping: ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় ভোজে আমন্ত্রণ ব্রাজিলের, তাই কি ব্রিকস সম্মেলন এড়াচ্ছেন জিনপিং?

    Xi Jinping: ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় ভোজে আমন্ত্রণ ব্রাজিলের, তাই কি ব্রিকস সম্মেলন এড়াচ্ছেন জিনপিং?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রথম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। আগামী সপ্তাহে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে হবে ব্রিকস সম্মেলন (BRICS Summit)। এই সম্মলেনেই যোগ দিচ্ছেন না চিনা প্রেসিডেন্ট। ব্রাজিলে এবার হবে সপ্তদশ ব্রিকস সম্মেলন। দু’দিনের এই সম্মেলন শুরু হবে ৬ জুলাই। তবে প্রেসিডেন্ট যোগ না দিলেও, চিনের তরফে ওই সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং।

    ব্রিকসে থাকছেন না চিনা প্রেসিডেন্ট (Xi Jinping)

    জানা গিয়েছে, বেজিংয়ের (চিনের রাজধানী) তরফে ব্রাজিল সরকারকে জানানো হয়েছে অন্য কর্মসূচি থাকায় এবার ব্রিকস সম্মলেন উপস্থিত থাকতে পারবেন না স্বয়ং চিনা প্রেসিডেন্ট। তাঁর বদলে ওই সম্মেলনে যোগ দেবেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে জি-২০ সম্মেলনের আয়োজক দেশ ছিল ভারত। সেবারও প্রেসিডেন্টের পরিবর্তে ভারতে এসেছিলেন চিনের প্রধানমন্ত্রী। মাস সাতেকের মধ্যেই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গে দু’বার বৈঠক হয়েছে চিনা প্রেসিডেন্টের। একবার গত নভেম্বরে ব্রাসিলিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফরের সময় এবং চলতি বছরের মে মাসে ফের বেজিংয়ে চায়না-সেলাক ফোরামের সময়। সূত্রের খবর, ব্রিকস সম্মলেন চিনা প্রেসিডেন্টের যোগ না দেওয়ার এটাও একটা কারণ। প্রসঙ্গত, করোনা অতিমারি পর্বে ২০২০ এবং ২০২১ সালে ব্রিকস সম্মেলনে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়েছিলেন শি জিনপিং। এ ছাড়া আরও কোনও ব্রিকস সম্মেলনে অনুপস্থিত থাকেননি তিনি।

    চিনের বক্তব্য

    চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন ব্রাজিলের সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার (Xi Jinping) দিতে গিয়ে বলেন, “শি জিনপিংয়ের সম্মেলনে অংশগ্রহণ সংক্রান্ত তথ্য উপযুক্ত সময়ে প্রকাশ করা হবে। চিন ব্রাজিলের ব্রিকস সম্মেলনের সভাপতিত্বকে সমর্থন করে এবং সদস্য দেশগুলির মধ্যে আরও গভীর সহযোগিতা বজায় রাখতে চায়।” তবে চিনা প্রেসিডেন্ট সম্মেলনে থকছেন না জেনে ক্ষুব্ধ ব্রাজিল প্রশাসনের কর্তারা। সে দেশের একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা মে মাসে বেজিং সফর করেছিলেন সদিচ্ছা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে। তিনি আশা করেছিলেন শি-ও পাল্টা সফরে আসবেন।

    মোদিকে ভোজে আমন্ত্রণ জানানোয় গোঁসা চিনের!

    সূত্রের খবর (BRICS Summit), ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের পর রাষ্ট্রীয় ভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। অনেকের ধারণা, এতে চিনা প্রেসিডেন্টের গুরুত্ব কিছুটা খাটো হতে পারে। সেই কারণেই তিনি নিজে না গিয়ে ব্রিকস সম্মেলনে পাঠাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীকে। ব্রাজিলে আয়োজিত ব্রিকস সম্মেলনে চিনা প্রেসিডেন্ট যে যোগ দেবেন না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল সেই ফেব্রুয়ারি মাসেই। যখন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলার শীর্ষ বিদেশনীতি উপদেষ্টা সেলসো আমোরিম বেজিংয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে (Xi Jinping) বৈঠকে এই বিষয়টি উত্থাপন করেন। সেই সময় আমোরিম চিনা প্রেসিডেন্টের উপস্থিতির গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং ওয়াং ই-কে মনে করিয়ে দেন যে, চিনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও নিজের দেশে বড় ধরনের ভূমিকম্প সত্ত্বেও ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত প্রথম ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। আমোরিম বলেন, “বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে শি জিনপিংয়ের অংশগ্রহণ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (BRICS Summit) প্যারিস চুক্তি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মতো আন্তর্জাতিক নিয়ম ভঙ্গের ঘটনা ঘটছে।”

    যোগ দিচ্ছেন না পুতিনও!

    কেবল চিনা প্রেসিডেন্ট নন, ব্রিকস সম্মেলনে সশরীরে যোগ দিচ্ছেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। এর নেপথ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানার ঝুঁকি। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে পুতিনের অবস্থান বরাবরই আগ্রাসী (Xi Jinping) ও দৃঢ়। যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে ইজরায়েল-ইরাকও। বিশ্বজুড়ে এই টানাপোড়েনের মধ্যেই আয়োজিত হচ্ছে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যে সম্মেলনের গুরুত্ব অপরিসীম। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক আদালত। অভিযোগ, ইউক্রেন আগ্রাসনের সময় সেখানকার শিশুদের অবৈধভাবে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই অভিযোগেই আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে ব্রাজিলের দায়িত্ব পুতিন (BRICS Summit) সে দেশে পা রাখলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। সেই কারণেই ব্রিকস সম্মেলনে ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট (Xi Jinping)।

    ব্রিকস হল একটি আন্তঃসরকারি সংস্থা। এটি গঠিত হয়েছে পাঁচটি প্রধান উদীয়মান অর্থনীতির দেশ নিয়ে। এর সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই গোষ্ঠীর লক্ষ্য হল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্র-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার সদস্যদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কলেবরে বেড়েছে (BRICS Summit) ব্রিকস। নয়া সদস্য হয়েছে ইরান, মিশর, ইথিওপিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (Xi Jinping)।

  • BRICS: চাপ বাড়ল পাকিস্তানের! পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করল ‘বন্ধু’ চিন, ইরান

    BRICS: চাপ বাড়ল পাকিস্তানের! পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করল ‘বন্ধু’ চিন, ইরান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসের মদতদাতা পাকিস্তানের মুখোশ বিশ্বের দরবারে খুলে দিতে ঘুরছে ভারতের প্রতিনিধি দল (BRICS)। এই আবহে বিশ্বমঞ্চে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ল পাকিস্তান। ব্রিকসের অন্তর্ভুক্ত ১০টি দেশেরই সংসদীয় ফোরাম পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করল। একইসঙ্গে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স নীতিতে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর কথাও বলা হল। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ১০ দেশের এই সংসদীয় ফোরামে পাকিস্তানের বন্ধু দেশ চিন ও ইরানও রয়েছে।

    কোন কোন দেশ রয়েছে (BRICS)?

    প্রসঙ্গত, ব্রাজিলের (BRICS) ব্রাসিলিয়ায় ৪ ও ৫ জুন ব্রিকস অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির বার্ষিক সংসদীয় ফোরামের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। যোগ দেয় ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়া, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, মিশর, ইথিওপিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া। সম্মেলনের প্রতিনিধিরা ২ দিন ধরে নানা ইস্যুতে আলোচনা করেন। ভারতের তরফে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার নেতৃত্বে একটি সংসদীয় দল এই সম্মেলনে যোগদান করে। ব্রিকসের এই সম্মেলনে ভারতীয় দলের নেতৃত্বে ছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।

    নিজের বক্তব্যে কী বললেন ওম বিড়লা

    ওম বিড়লা তাঁর ভাষণে বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদ আজ একটি বিশ্বব্যাপী সঙ্কটে পরিণত হয়েছে, যা কেবল আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমেই মোকাবিলা করা যেতে পারে।’’ সন্ত্রাস ইস্যুতে তিনি চারটি বড় পদক্ষেপের কথা বলেছেন নিজের বক্তব্যে। এর মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর অর্থায়ন বন্ধ করা, গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও মসৃণ করা, প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ করা এবং তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা বাড়ানো (BRICS)।

    ১০ দেশের সংসদের প্রতিনিধিরা একটি যৌথ বিবৃতি দেন

    সম্মেলনের একেবারে শেষে ১০ দেশের সংসদের প্রতিনিধিরা একটি যৌথ বিবৃতি দেন। সেখানেই পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করা হয়। লোকসভা সচিবালয় এনিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে। সেখানে জানানো হয়েছে সম্মেলনের যৌথ ঘোষণায় ভারতের পহেলগাঁও হামলার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে এবং ব্রিকসভুক্ত সব দেশের সংসদগুলিও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়েছে (Pahalgam Terror Attack)। ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ ছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিশ্ব বাণিজ্য, আন্তঃসংসদীয় সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার মতো বিষয় নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।

  • India China Relationship: “পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, সংবেদনশীলতাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি”, জিনপিংকে মোদি

    India China Relationship: “পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, সংবেদনশীলতাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি”, জিনপিংকে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পারিস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতাই দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নয়া দিশা দেখাবে।” চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক (India China Relationship) শেষে একথাই জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চলতি সপ্তাহেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় প্রহরা দেওয়া নিয়ে চুক্তি হয়েছে ভারত চিনের মধ্যে। তার পরেই রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস সম্মেলনে (BRICS Summit) মুখোমুখি হয়েছেন মোদি ও জিনপিং।

    পার্শ্ববৈঠক (India China Relationship)

    বুধবার পড়শি এই দুই রাষ্ট্রনেতার পার্শ্ববৈঠকও হয়েছে। সেই বৈঠকের পরেই এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “কাজানে ব্রিকস সম্মেলনে ফাঁকে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হল। ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ আমাদের দেশের মানুষের জন্য। পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বিশ্বে শান্তি এবং স্থিরতা আনতে দু’দেশের সম্পর্ক উল্লেখযোগ্য।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    জিনপিংয়ের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, ভারত-চিন সম্পর্ক কেবল আমাদের জনগণের জন্য নয়, আন্তর্জাতিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পথনির্দেশিকা স্থির করবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত (India China Relationship) চার বছরে আন্তর্জাতিক সীমান্তে যে ইস্যুগুলি নিয়ে মতানৈক্য তৈরি হয়েছিল, সে বিষয়ে একমত হতে পেরেছে দু’টি দেশ। এই বিষয়টিকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। সীমান্ত এলাকায় শান্তি, স্থিরতা বজায় রাখাই আমাদের কাছে অগ্রাধিকার।” 

    চিনা প্রেসিডেন্ট বলেন, “চিন ও ভারত উভয়ই প্রাচীন সভ্যতা, প্রধান উন্নয়নশীল দেশ এবং গ্লোবাল সাউথের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। দু’দেশের উন্নয়নের স্বার্থেই আমাদের মধ্যে মতবিরোধের ক্ষেত্রগুলি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।”

    আরও পড়ুন: “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দ্বৈত মাপকাঠি থাকতে পারে না”, চিনকে খোঁচা মোদির

    প্রসঙ্গত, প্রায় পাঁচ বছর পরে ফের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসলেন মোদি ও জিনপিং। এর আগে একাধিকবার সাক্ষাৎ হয়েছে এই দুই রাষ্ট্রনেতার। উনিশে তামিলনাড়ুর মহাবলিপূরমে দেখা হয়েছিল মোদি-জিনপিংয়ের। ২০২২ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি২০ সম্মেলনেও মুখোমুখি হয়েছিলেন তাঁরা। ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গেও দেখা হয়েছিল এই দুই রাষ্ট্রনেতার। তবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হল (BRICS Summit) এই প্রথম।

    এখন দেখার, ভারত-চিন সম্পর্কের (India China Relationship) বরফ গলে কিনা!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BRICS Summit: “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দ্বৈত মাপকাঠি থাকতে পারে না”, চিনকে খোঁচা মোদির

    BRICS Summit: “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দ্বৈত মাপকাঠি থাকতে পারে না”, চিনকে খোঁচা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সার দিয়ে বসে রয়েছেন ৩৬ জন রাষ্ট্রনেতা। এঁদের মধ্যে যেমন রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তেমনি রয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও। ব্রিকসের (BRICS Summit) এই হাটেই হাঁড়িটা ভাঙলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নাম না করে নিশানা করলেন চিনকে। বললেন, “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সদিচ্ছা নির্ধারণের কোনও দ্বৈত মাপকাঠি থাকতে পারে না। দ্বিচারিতা চলতে পারে না।”

    চিনকে খোঁচা! (BRICS Summit)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, প্রধানমন্ত্রীর এই বাক্যবাণের নিশানায় যে চিন-ই, তা জলের মতো স্পষ্ট। কারণ, গত গত কয়েক বছরে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বেশ কয়েকজন পাক জঙ্গির বিরুদ্ধে ভারত প্রস্তাব আনলেও, ভেটো প্রয়োগ করে স্থায়ী সদস্য চিন। তাই পাশ হয়নি সেই প্রস্তাব। সেই ‘শোধ’ তুলতেই প্রধানমন্ত্রী এদিন বেছে নিলেন ব্রিকসের সম্মেলন মঞ্চ। যে মঞ্চে হাজির চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-ও।

    প্রধানমন্ত্রীর সাফ কথা

    ব্রিকসের ষোড়শ শীর্ষ সম্মেলন হচ্ছে রাশিয়ার কাজানে। সেই সম্মেলনে যোগ দিতেই মঙ্গলবার রাশিয়ায় পা রেখেছন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বুধবার বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি সোচ্চার হন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের মোকাবিলায় আমাদের সংকল্প নিতে হবে। এক সঙ্গে ঐক্যের সঙ্গে কাজ করতে হবে।” এর পরেই তিনি বলেন, “এমন গুরুতর বিষয়ে দ্বিমুখী মানদণ্ডের কোনও জায়গা নেই।”

    আরও পড়ুন: ফের লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন, এবার শিলিগুড়িতে

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশের যুবসমাজের মধ্যে চরমপন্থা প্রতিরোধের জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে। রাষ্ট্রসংঘে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের ব্যাপারে একটি পূর্ণাঙ্গ সম্মেলন নিয়ে যে বিষয়টি এখনও অমীমাংসিত, তা সমাধানের জন্য আমাদের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।” তিনি বলেন (BRICS Summit), “ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে আমাদের নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।” মুদ্রাস্ফীতি রোধ এবং খাদ্য, শক্তি, জল এবং স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়েও বিশ্বের সব দেশকে উদ্যোগী হতে হবে বলেও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মতো গ্লোবাল প্রতিষ্ঠানগুলির সংস্কার সাধন প্রয়োজন বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি (BRICS Summit)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi-Xi Jinping Meeting: গালওয়ান সংঘর্ষের পর প্রথম, আজ চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি 

    PM Modi-Xi Jinping Meeting: গালওয়ান সংঘর্ষের পর প্রথম, আজ চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত সীমান্তরেখায় নজরদারি নিয়ে ভারত-চিন ঐক্যমতে পৌঁছানোর পর প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (PM Modi-Xi Jinping Meeting)। আজ, বুধবার ব্রিকস সম্মেলনের (BRICS Summit) ফাঁকে আলোচনায় বসবেন দুই দেশের রাষ্ট্রনেতা। বিদেশসচিব বিক্রম মিসরি একথা জানিয়েছেন। গত পাঁচ বছরের মধ্য়ে প্রথমবার, ব্রিকস সামিটের সাইডলাইনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এই মিটিং হবে বলে খবর। 

    গালওয়ান সংঘর্ষের পর ফের সাক্ষাত

    ২০২০ গালওয়ান সংঘর্ষের পর আর মুখোমুখি হননি দু’জন। গত কয়েক বছর ধরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর টহল ব্যবস্থার বিষয়ে একাধিকবার ওঠা-নামার সম্মুখীন হয়েছে দুই দেশের সম্পর্ক। এই পরিস্থিতিতে মোদি-জিনপিং বৈঠক (PM Modi-Xi Jinping Meeting) ভারত-চিন সম্পর্কে নতুন দিশা দেখাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২০-র গালওয়ান সংঘর্ষের পর একবারই সাধারণ সাক্ষাৎ হয়েছিল মোদি ও জিনপিংয়ের মধ্যে। সেটা ২০২৩ সালের অগাস্ট মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনের সাইডলাইনে। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি২০ সম্মেলন চলাকালীনও সাক্ষাত হয় তাঁদের মধ্যে। কিন্তু কখনওই একান্ত আলোচনা সারেননি দুই রাষ্ট্রনেতা।

    আরও পড়ুন: “ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে আগ্রহী ভারত”, বললেন মোদি

    গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক

    দুই রাষ্ট্রনায়কই এখন ব্রিকস সম্মেলনে (BRICS Summit) যোগ দিতে রাশিয়ার কাজানে রয়েছেন। যেখানে সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ব্রাজিলের লুলা ডা সিলভা ও দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিল রামাফোসা। ইতিমধ্যেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ২০২০ সালের মে মাসের আগে যেমন দুই দেশের সেনা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় নজরদারি চালাত, সেই অবস্থা ফিরছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, দেপসাং সমতল এলাকা এবং দেমচকে নজরদারি চালানো নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছে ভারত ও চিন। দুই দেশের সেনাই সেখানে টহল দেবে। দুই দেশের এই ঐক্যমতের ফলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় দুই দেশের সেনার মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এরপরই আলোচনায় বসতে চলেছেন মোদি-জিনপিং (PM Modi-Xi Jinping Meeting)। সেখানে সীমান্ত নিয়ে কোনও আলোচনা হয় কি না, তার দিকে নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের। দুই রাষ্ট্রনেতার এই বৈঠকের নির্যাস কী হবে, তার উপর নির্ভর করছে ভারত-চিন আগামী সম্পর্ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে আগ্রহী ভারত”, বললেন মোদি

    PM Modi: “ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে আগ্রহী ভারত”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে আগ্রহী ভারত।” রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Putin) সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিয়ে এই বার্তাই দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবারই ১৬তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ার কাজানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই পার্শ্ববৈঠকে যোগ দেন মোদি-পুতিন।

    সমস্যা মেটাতে প্রস্তুত ভারত

    বিশ্বশান্তি বজায় রাখতে ভারত যে দায়বদ্ধ, তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের স্থায়ী উত্তর যে শান্তিপূর্ণ সমাধান, তাঁর সংক্ষিপ্ত ভাষণে তারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধের বিষয়ে আমি নিরন্তর খোঁজখবর নিয়ে চলেছি। শান্তিপূর্ণ উপায়েই যে সমস্যার সমাধান করা উচিত, আমি তা আগেও বলেছি। আগে যে দুই দেশের মধ্যে শান্তি এবং স্থায়িত্ব ছিল, আমরা তাকে সমর্থন করি। আমরা মানবতাকে সব সময় প্রায়োরিটি দিই। সময় এলে সমস্যার সমাধানে ভারত সম্ভাব্য সমস্ত রকম সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “গত তিন মাসে আমি দু’বার রাশিয়া সফরে এলাম। এটা প্রমাণ করে আমাদের গভীর বন্ধুত্ব এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা। জুলাই মাসে আমাদের যে অ্যানুয়াল সামিট হয়েছিল, তাতে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতার বন্ধন নিবিড় হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত ১৫ বছরের মধ্যে ব্রিকস একটা স্পেশাল আইডেনটিটি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। তাই বিশ্বের অনেক দেশই এর সদস্য হতে উন্মুখ হয়ে রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: কৃষ্ণ ভজন গেয়ে রাশিয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানালেন রুশরা

    দু’দিনের ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবারই রাশিয়ার ৯০০ কিলোমিটার দূরের শহর কাজানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। ১৬তম ব্রিকস সম্মেলনে আয়োজক দেশ এবার রাশিয়া। ব্রিকসের সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। গত বছরই ব্রিকসে যোগ (Putin) দিয়েছে মিশর, ইথিওপিয়া, ইরান এবং সংযুক্ত আরব আমির শাহি (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share