Tag: BRS

BRS

  • K Kavitha: সাসপেন্ড হয়েই পদত্যাগ! কবিতা-কাণ্ডে বেআইনি সম্পদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, দাবি তেলঙ্গানা বিজেপির

    K Kavitha: সাসপেন্ড হয়েই পদত্যাগ! কবিতা-কাণ্ডে বেআইনি সম্পদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, দাবি তেলঙ্গানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য মেয়ে কে কবিতাকে (K Kavitha) সাসপেন্ড করেছেন বিআরএস সুপ্রিমো কে চন্দ্রশেখর রাও। মঙ্গলবার ভারত রাষ্ট্র সমিতির পক্ষ থেকে সোশাল মিডিয়ায় জানিয়ে দেওয়া হয়, “দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য এমএলসি কবিতাকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেসিআর। এই মুহূর্ত থেকে এই সাসপেনশন কার্যকর হবে।” এরপরই বুধবার, দলের প্রাথমিক সদস্যপদ এবং তেলঙ্গানা বিধান পরিষদের এমএলসি পদ থেকে পদত্যাগের কথা জানিয়ে দেন কে কবিতা। একইসঙ্গে তাঁর খুড়তুতো ভাই এবং প্রাক্তন মন্ত্রী টি হরিশ রাও এবং প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ জে সন্তোষ কুমারের সমালোচনা করেছেন কবিতা।

    বিআরএস-এ অন্তর্দ্বন্দ্ব

    কবিতা (K Kavitha) বুধবার হায়দ্রাবাদে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর পদত্যাগের ঘোষণা করেন এবং দলের ভিতরে তাঁর বিরুদ্ধে চলা ষড়যন্ত্রের জন্য হরিশ রাও এবং সন্তোষ কুমারকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, “আমি এমএলসি পদ এবং দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করছি। আমি আমার পদত্যাগপত্র বিধানসভার স্পিকার এবং কেসিআর-এর কাছে পাঠাচ্ছি।” কবিতা আরও অভিযোগ করেছেন যে, তাঁর ভাই এবং বিআরএস-এর কার্যকরী সভাপতি কেটি রামা রাও (কেটিআর) তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারের সময় তাঁকে সমর্থন করেননি। তিনি বলেন, “যখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালানো হয়েছিল, তখন আমার ভাই রামা রাও আমাকে সমর্থন করেননি। আমার সাসপেনশন দলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য একটি ষড়যন্ত্রের অংশ।” তিনি তাঁর বাবা কেসিআর-কে তাঁর চারপাশে ঘটে চলা ঘটনাগুলি পর্যবেক্ষণ করার আহ্বান জানান এবং বলেন, “হরিশ রাও এবং সন্তোষ আমাদের পরিবারের কল্যাণকামী নন।”

    বিজেপি’র দাবিই সত্য!

    তেলঙ্গানা বিজেপি সভাপতি এন রামচন্দ্র রাও মঙ্গলবার অভিযোগ করেছেন, বিআরএস (BRS) এমএলসি কে কবিতার সাম্প্রতিক মন্তব্য তাঁর নিজের দলের বিরুদ্ধেই ছিল এবং তা স্পষ্টভাবে কেসিআর (KCR) পরিবারে কেলেশ্বরম প্রকল্পের “অবৈধ সম্পদের ভাগবাটোয়ারা” নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্বকে প্রকাশ করে। রাও আরও অভিযোগ করেন, কংগ্রেস সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে সিবিআই তদন্তে বিলম্ব করে বিআরএসকে রক্ষা করছে। প্রায় ২০ মাস ধরে তদন্ত সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর না করে তারা প্রমাণ লোপাটের সুযোগ করে দিয়েছে।

    তিনটি ভাগে বিভক্ত বিআরএস

    রামচন্দ্র রাও বলেন, “বিজেপি প্রথম থেকেই কেলেশ্বরম দুর্নীতির তদন্ত দাবি করে এসেছে। কে কবিতার (K Kavitha) এই বিস্ফোরক মন্তব্যে বোঝাই যাচ্ছে, পরিবারেরই কেউ দুর্নীতিতে জড়িত। এটি আমাদের অভিযোগেরই প্রমাণ।” তিনি আরও বলেন, কবিতার বহিষ্কার বিআরএস-এর অভ্যন্তরীণ বিষয়, তাতে বিজেপির কিছু বলার নেই। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা এ রেভন্ত রেড্ডিকে নিশানা করে রাও বলেন, “বিরোধীদলে থাকাকালীন রেভন্ত কেলেশ্বরম দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। কিন্তু এখন ক্ষমতায় এসে গত ২০ মাসে একটিও পদক্ষেপ করেননি। কেলেশ্বরম প্রকল্পের জলের স্রোতের সঙ্গেই প্রমাণও বোধহয় ধুয়ে গিয়েছে।” বিজেপি সাংসদ লক্ষ্মণ বিআরএস-এর তুলনা করেছেন ধসে পড়া কেলেশ্বরম প্রকল্পের স্তম্ভের সঙ্গে। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “যেমন কেলেশ্বরম প্রকল্প ভেঙে পড়েছে, তেমনি বিআরএস দলও এখন তিনটি ভাগে ভেঙে গিয়েছে।”

  • Delhi Liquor Scam: আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির চার্জশিটে বিপদ বাড়ল বিআরএস নেত্রী কে কবিতার

    Delhi Liquor Scam: আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির চার্জশিটে বিপদ বাড়ল বিআরএস নেত্রী কে কবিতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে উঠে এলে মারাত্মক অভিযোগ। বিআরএস (BRS) নেত্রী কে কবিতা ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার (Delhi Liquor Scam) নয়ছয়ে যুক্ত বলে চার্জশিটে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ। ইডির আইনজীবীর তরফে বিচারক কাবেরী বেওয়েজার কাছে এই চার্জশিট জমা দেওয়া হয়, যিনি সোমবার কবিতার বিচারবিভাগীয় হেফাজত ৩ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছিলেন।

    সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে মারাত্মক অভিযোগ (Delhi Liquor Scam)

    তেলঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর)-এর কন্যা কে কবিতার বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করার আদেশের অনুসরণে আদালতে হাজির করার পর বিচারক তাঁর জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন। ২৯ মে এই মামলায় বিআরএস নেত্রীর (K Kavitha) বিরুদ্ধে চার্জশিট আসার পর আদালত এই জেল হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি করে। আদালত তিন সহ-অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রিন্স, দামোদর এবং অরবিন্দ সিংকেও ইতিমধ্যে জামিন দিয়েছে। ইডি (Delhi Liquor Scam) তদন্তের সময় গ্রেপ্তার না করেই ওই তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছিল। “এখন পর্যন্ত তদন্ত অনুসারে, চিহ্নিত অপরাধের ১,১০০ কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে যার মধ্যে , যার মধ্যে ২৯২.৮ কোটির সরাসরি নয়ছয়ের সঙ্গে যুক্ত কবিতা। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কার্যকলাপের মাধ্যমে যেমন কবিতা, চমপ্রীত সিং, প্রিন্স কুমার, দামোদর শর্মা এবং অরবিন্দ সিং, অপরাধের বিপুল অর্থ উপার্জন করা হয়েছে, “চার্জশিটে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়েছে যে কবিতা ২৯২.৮ কোটির নয়ছয়েতে জড়িত ছিল। যার মধ্যে কতিপয় নেতাদের ১০০ কোটির কিকব্যাক দেওয়া হয়েছিল। “কবিতা সাউথ গ্রুপের সদস্যদের সঙ্গে এবং কতিপয় নেতাদের সাথে মিলে অভিযুক্ত বিজয় নায়ারের মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকা কিকব্যাক দিতে এবং অযাচিত সুবিধা পাওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল,” চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে।

    তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও সাক্ষীদের প্রভাবিত করার অভিযোগ কবিতার বিরুদ্ধে

    কবিতা, তাদের মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে সরকারী কর্মকর্তাদের কিকব্যাক প্রদান করে, ১০০ কোটি টাকার প্রুফ অফ কন্সেপ্ট তৈরিতে অংশ নিয়েছে, চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে যে তিনি তারপরে সরকারী কর্মকর্তাদের কাছে এই পিওসি স্থানান্তরে অংশ নিয়েছিলেন। কবিতার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তিনি তাঁর মোবাইল ফোনের সমস্ত প্রমাণ মুছে ফেলেছেন। তিনি পরীক্ষার জন্য নয়টি ফোন উপস্থাপন করেছিলেন, যেগুলি ফরম্যাট করা হয়েছিল এবং ফোনে কিছু ছিল না। তিনি ফোন কেন ফর্ম্যাট করা হয়েছিল তাঁর কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।

    আরও পড়ুন: বিজেপি ফের চারে-চার! হিমাচল প্রদেশে দাগ কাটতে পারল না কংগ্রেস

    ইডি আরও অভিযোগ করেছে যে, কবিতা সাক্ষীদের প্রভাবিত করার কাজেও জড়িত ছিল। কথিত (Delhi Liquor Scam) কেলেঙ্কারিতে ইডি এবং সিবিআই দায়ের করা দুটি মামলায় ৪৬ বছর বয়সি বিআরএস নেত্রী বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। “কেলেঙ্কারি” ২০২১-২২ এর জন্য দিল্লি সরকারের আবগারি নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে কথিত দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের সাথে সম্পর্কিত যা পরে বাতিল করা হয়েছিল। ১৫ মার্চ কবিতাকে হায়দরাবাদের বানজারা হিলসের বাড়ি থেকে ইডি গ্রেফতার করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Telangana: কারণ অজানা! গভীর রাতে গ্রেফতার তেলঙ্গানার রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা সাংসদ বান্দি সঞ্জয় কুমার

    Telangana: কারণ অজানা! গভীর রাতে গ্রেফতার তেলঙ্গানার রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা সাংসদ বান্দি সঞ্জয় কুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গভীর রাতে গ্রেফতার করা হল তেলঙ্গানার (Telangana) রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা সাংসদ বান্দি সঞ্জয় কুমারকে (Bandi Sanjay Kumar)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের আগে এই ঘটনা তোলপাড় ফেলেছে রাজনৈতিক মহলে। ঠিক কী কারণে তেলঙ্গানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে সঞ্জয় কুমারকে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে অভিযোগ যাই হোক, রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে পুলিশ ভ্যানে তোলার ভিডিও সামনে আসায় নিন্দার ঝড় বইছে সর্বত্র।

    বান্দি সঞ্জয় কুমারের দাবি

    বান্দি সঞ্জয় কুমারের অভিযোগ, ‘প্রথমে আমি সাংবাদিক সম্মেলন করতে চেয়েছিলাম, সেটা পুলিশ করতে দেয়নি। এখন জোর করে আমাকে আটক করেছে। আমার দোষ একটাই যে, আমি বিআরএস সরকারের দোষগুলো সামনে তুলে ধরেছি। আসলে নৈরাজ্য চলছে। যেখানে সরকারের অপকর্ম নিয়ে মুখ খুললেই জেলে পুরে দেওয়া হচ্ছে। আমি ভীত নই। এই লড়াই জারি থাকবে। জয় শ্রীরাম, ভারত মাতা কী জয়, জয় তেলঙ্গানা (Telangana)।’ এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে।

    ঘটনার সূত্রপাত গত মঙ্গলবার। তেলঙ্গানার (Telangana) মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কাছে তাঁর পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রির সার্টিফিকেট সর্বসমক্ষে আনার দাবি তুলেছিলেন বান্দি সঞ্জয় কুমার। আর সেটা ভালোভাবে নেননি মুখ্যমন্ত্রী। সেই কারণেই বিজেপি সাংসদকে রাতের অন্ধকারে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের মিথ্যে অভিযোগেও মামলা রুজু হয়েছে সঞ্জয় কুমারের বিরুদ্ধে। যদিও পুলিশের এই দাবি তিনি উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তেলঙ্গানা সফরে আসছেন। সেই কারণেই ভয় পেয়েছে রাজ্য সরকার। আমার মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এভাবে বিজেপিকে থামানো যাবে না।’

    বিজেপিকে থামানোর প্রয়াস

    দু’দিন পরেই তেলঙ্গানা (Telangana) সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একটি সভাও রয়েছে তাঁর। তারপর তিনি যাবেন হায়দরাবাদে। যেখানে রয়েছে বিধানসভার ভোট। আর দক্ষিণের এই রাজ্যগুলিতে বিজেপির উত্থানে ভয় পেয়েছে শাসক দল। এমনই দাবি বিজেপি কর্মকর্তাদের। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য ট্যুইটারে লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাওয়ের এই সিদ্ধান্ত সুখের হবে না। অর্থাৎ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে বিষয়টিকে মোটেও ভালোভাবে নিচ্ছেন না, তা স্পষ্ট।

    আরও পড়ুুন: ‘‘রিষড়া জ্বলছে, আর রাজ্য প্রশাসন দিঘায় ছুটি কাটাচ্ছে’’! ট্যুইটে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার তেলঙ্গানার স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা ছিল। প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়। সেই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার মধ্যে একজন সঞ্জয় ঘনিষ্ঠ বলে দাবি পুলিশের। তবে তা মানতে রাজি নয় রাজ্য বিজেপি। তাদের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর তেলঙ্গানা সফর ভেস্তে দিতেই মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও এই চক্রান্ত করেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share