Tag: BSF

BSF

  • BSF: উর্দির রং বদলাচ্ছে বিএসএফের, কেমন হচ্ছে নয়া পোশাক?

    BSF: উর্দির রং বদলাচ্ছে বিএসএফের, কেমন হচ্ছে নয়া পোশাক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলে যাচ্ছে বিএসএফের (BSF) উর্দি রং। দ্রুতই বিএসএফ জওয়ানদের গায়ে উঠবে নয়া ডিজিটাল ক্যামাফ্লেজ প্যাটার্নের ইউনিফর্ম। নতুন পোশাক (Uniforms) এতটাই ইউনিক হবে যে এর নকল করা প্রায় অসম্ভব। জানা গিয়েছে, সীমান্তে শত্রুদের চোখে ধুলো দিয়ে জঙ্গল এলাকায় গাছের রংয়ের সঙ্গে মিশে গিয়ে প্রায় অদৃশ্য হয়ে থাকার পাশাপাশি জঙ্গি কিংবা দুষ্কৃতীরা যাতে বিএসএফের পোশাককে নকল করতে না পারে, তাই এই নয়া ইউনিফর্ম চালুর সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের।

    বিএসএফের নকল পোশাক পরে সন্ত্রাস (BSF)

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড এবং তারও আগে একাধিকবার দেখা গিয়েছে, জঙ্গিরা বিএসএফের নকল পোশাক পরে নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে কাজ হাসিল করে সীমান্ত পেরিয়ে চলে গিয়েছে। অনেক ট্যুরিস্ট স্পটেও দেখা যায়, প্রকাশ্যেই বিকোচ্ছে বিএসএফের ইউনিফর্মের মতো নকল পোশাক। সেই প্রবণতা রুখতেই এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এমন এক পোশাক নিয়ে এল, যাতে ডিজিটাল প্রিন্টের জটিল পিক্সেল ও বহু রং ব্যবহার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাবি, নয়া এই পোশাক নকল করা দুঃসাধ্য। কারণ এতে ফ্যাব্রিক, রং, ডিজিটাল প্রিন্ট এবং গোপন কারিকুরি ব্যবহার করা হয়েছে, যা জঙ্গিদের পক্ষে জানা অসম্ভব। পোশাকটি বানিয়েছে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজি। নয়া এই উর্দি আগের চেয়ে হালকা, সবুজ ও অলিভ রংয়ের ব্যবহার চোখে পড়ার মতো। এই পোশাক পরে জওয়ানরা যাতে সব আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন, সেদিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছে।

    উর্দির কপিরাইট সেনার

    এই পোশাকের কপিরাইট নিয়ে রেখেছে সেনা। সেনার ক্যান্টিন ছাড়া অন্য কোথাও এই পোশাক মিলবে না। কোনও সংস্থা যদি বিএসএফের এই পোশাকের মতো দেখতে পোশাক বিক্রির চেষ্টা করে, তাহলে সেনা তার বিরুদ্ধে মামলা করবে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বিএসএফের প্রায় ১২ লাখ জওয়ানকে এই নয়া ইউনিফর্ম দেওয়া হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে পুরো বাহিনীর গায়ে উঠবে নয়া উর্দি (BSF)। এই উর্দিতে যে কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে, তা কেবল আরামদায়কই হবে না, হবে খুব মজবুতও। আগের উর্দিতে ৫০ শতাংশ সুতি এবং বাকি ৫০ শতাংশ পলিয়েস্টার থাকত। নয়া উর্দিতে এই অনুপাতটা হয়েছে ৮০ শতাংশ সুতি, ১৯ শতাংশ পলিয়েস্টার (Uniforms) এবং ১ শতাংশ স্প্যানডেক্স। তাই কাপড় আরও স্ট্রেচেবল হবে (BSF)। নতুন উর্দির রঙেও বৈচিত্র্য। এতে ৫০ শতাংশ খাকি, ৪৫ শতাংশ সবুজ ও ৫ শতাংশ বাদামি রং রয়েছে।

  • BSF: সুন্দরবন অঞ্চলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নজরদারিতে জোর! ডিআরডিও-র দ্বারস্থ বিএসএফ

    BSF: সুন্দরবন অঞ্চলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নজরদারিতে জোর! ডিআরডিও-র দ্বারস্থ বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) সাহায্য চাইল বিএসএফ (BSF)। অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সীমান্তপার জঙ্গি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযানের প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ করেছে বিএসএফ (DRDO)। ভারতের সুন্দরবনের সঙ্গে যুক্ত ১১৩ কিলোমিটার গুরুত্বপূর্ণ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি ব্যবস্থাপনার সাহায্য চেয়েছে বিএসএফ। এর মধ্যে রয়েছে, ড্রোন, রেডার এবং স্যালেটাইটও। অপারেশন সিঁদুরের পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নর্থ ব্লকে উচ্চ পর্যায়ের উপকূল নিরাপত্তা পর্যালোচনা বৈঠকে এ নিয়ে সবিস্তার আলোচনা হয়। এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সীমান্ত ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব।

    পহেলগাঁও হামলা (BSF)

    প্রসঙ্গত, এপ্রিল মাসে পহেলগাঁও হামলার পর অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। অপারেশন সিঁদুরের পর থেকে তাতে আরও গতি এসেছে। সরকারিভাবে না হলেও, বেসরকারিভাবে এই অভিযানের নাম অপারেশন পুশ-ব্যাক। এই অভিযানের অংশ হিসেবে বিএসএফ সীমান্তে নজরদারি জোরদার করেছে এবং এখন সংবেদনশীল এলাকা, বিশেষ করে সুন্দরবন, যা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য পরিচিত রুট, সেখানে ফাঁক পূরণের জন্য উচ্চমানের নজরদারি প্রযুক্তির ওপর আরও বেশি করে নির্ভর করার চেষ্টা করছে (BSF)।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বক্তব্য

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, “বিএসএফ প্রায় ১১৩ কিলোমিটার এলাকা প্রযুক্তিগত নজরদারির আওতায় আনার প্রস্তাব দিয়েছে। তারা ইতিমধ্যেই ইসরো এবং ডিআরডিওর সঙ্গে পরামর্শ করে একটি সম্ভাব্য সমীক্ষা পরিচালনা করেছে এবং সব চেয়ে কার্যকর সমাধানগুলি শনাক্ত করার জন্য ডিআরডিওকে মাঠ পরিদর্শন করতে বলেছে। তবে গুজরাটের খাঁড়ি এলাকায় একই ধরনের প্রকল্পের বর্তমান কাজ শেষ করার পরেই ডিআরডিও (DRDO) সুন্দরবনের জায়গাটা নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    বিএসএফ

    বর্তমানে বিএসএফ সুন্দরবন সেক্টরের প্রায় ১২৩ কিলোমিটার এলাকায় নজরদারি চালায়। এর সিংহভাগই খাল এবং ঘন ম্যানগ্রোভ বনে ভরা কঠিন ভূখণ্ড। গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের পর প্রযুক্তি নির্ভর পদ্ধতির চাহিদা বেড়েছে যে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি ভারতের নদী এবং সমুদ্র সীমানা, বিশেষ করে সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে ঢুকে পড়ার পথ খুঁজছে। প্রত্যন্ত দ্বীপপুঞ্জজুড়ে বিস্তৃত এবং জোয়ারের জলপথ দ্বারা আড়াআড়ি এই অঞ্চলটি প্রচলিত টহলদারির জন্য অনন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।

    বিএসএফের শক্তি

    বর্তমানে বিএসএফ আটটি ভাসমান সীমান্ত ফাঁড়ি এবং ৯৬চি অন্যান্য টহলদারি জাহাজের সাহায্যে নজরদারি চালায়। সাতটি নজর মিনার নির্মাণের জন্য জমি এবং আরও বন-পোস্টের সহ-অবস্থানের অনুমতি দেওয়ার জন্য এটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে। এটি এমন একটি মডেল যেখানে বিএসএফ কর্মীরা বনকর্তাদের সঙ্গে পরিকাঠামো ভাগ করে নেয় (BSF)। ইতিমধ্যেই এই ধরনের তিনটি পোস্ট রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, “অগ্রগতি কিছুই হচ্ছে না। বারবার সমীক্ষা করা সত্ত্বেও, বন ও রাজ্য রাজস্ব বিভাগের কর্তারা অংশগ্রহণ করেননি, যার ফলে প্রক্রিয়াটি স্থবির হয়ে পড়েছে।” মে মাসে বৈঠক হয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের, সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের শীর্ষ কর্তা (DRDO) দলজিৎ সিং চৌধুরীও। ওই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধিরা বলেছিলেন যে তাঁরা সাতটি জায়গা সমীক্ষা করেছেন। এর মধ্যে দুটি জায়গায় জমি দিতে রাজি হয়েছে। তিনি বলেন, “আরও তিনটি বিএসএফ পোস্টের জন্য তাঁরা অপেক্ষায় রয়েছেন বন বিভাগের ছাড়পত্রের। উভয় পক্ষকেই প্রয়োজনে বিকল্প জায়গা অনুসন্ধান ও প্রতিটি জায়গায় যৌথভাবে সম্ভাব্যতা মূল্যায়ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।”

    সুন্দরবনে নজরদারি

    সুন্দরবনে নজরদারির ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপটি এমন একটা সময়ে এসেছে যখন নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে যে জরুরি ভিত্তিতে পূর্ব সীমান্ত বন্ধ করা না হলে অবৈধ অভিবাসন এবং জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ রোধের চেষ্টা ব্যাহত হতে পারে (BSF)। বৃহত্তর সীমান্ত কৌশলের অংশ হিসেবে কেন্দ্র ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করেছে, নির্বাসন প্রচেষ্টা জোরদার করেছে এবং বিভিন্ন সংস্থায় গোয়েন্দা সমন্বয় বৃদ্ধি করেছে। বছরভর টুকটাক অনুপ্রবেশ চলতে থাকলেও, গত অগাস্টে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তেই বাংলাদেশে শুরু হয় হিন্দু নিধন যজ্ঞ। এই ডামাডোলের বাজারে প্রত্যাশিতভাবেই বাড়তে শুরু করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের প্রবণতা। এই পরিস্থিতিতে ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ। একই সঙ্গে চলছে অপারেশন পুশ-ব্যাকও। এমন আবহেই ডিআরডিওর (DRDO) কাছে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য চেয়ে বিএসএফ যে সীমান্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও পোক্ত করতে চাইছে, তা বলাই বাহুল্য (BSF)।

  • Operation Push Back: ‘অপারেশন পুশ-ব্যাকে’ ব্যাপক সাফল্য, ফেরানো হল ৭৪২ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে

    Operation Push Back: ‘অপারেশন পুশ-ব্যাকে’ ব্যাপক সাফল্য, ফেরানো হল ৭৪২ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন পুশ-ব্যাকে (Operation Push Back) ব্যাপক সাফল্য মিলল শনিবার। এদিন রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত মোট ১৭২ জন অবৈধ বাংলাদেশি (Bangladesh) অনুপ্রবেশকারীকে নিজের দেশে ফেরত পাঠাল ভারত। এটি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ভারতের করা অপারেশন পুশ-ব্যাকের অংশ। এই পুশ-ব্যাক অপারেশন করা হয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত সিলেট, মেহেরপুর এবং মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে। রবিবার সকালে ভারতের পক্ষ থেকে মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে মোট ১৯ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে ফেরত পাঠানো হয়। পরে তাদের বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) একটি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকে পড়া এই অনুপ্রবেশকারীরা হরিয়ানায় বসবাস করছিল।

    অপারেশন পুশ-ব্যাক (Operation Push Back)

    আটক করার পর এই ১৯ জন অনুপ্রবেশকারীকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে নিয়ে আসা হয়। পরে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশে। জানা গিয়েছে, মোট ১৫৩ জন অবৈধ অভিবাসীকে বিএসএফ শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে। সিলেট সীমান্ত দিয়ে পাঠানো হয়েছে ৩২ জন এবং মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে পাঠানো হয়েছে ১২১ জনকে। এরা সবাই বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের বাসিন্দা। গত কয়েক বছর ধরে ভারতে কাজ করছিল তারা। বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদি হাসান বলেন, “শনিবার কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের পর আমরা সীমান্তে নজরদারি বাড়াই। তবে বিএসএফ রাত ২টো থেকে সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে সীমান্তের পাঁচটি পয়েন্ট দিয়ে মোট ১৫৩ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে।”

    বিজিবির বক্তব্য

    তিনি বলেন, “বিএসএফ তাদের সীমান্তের অংশে থাকা আলো বন্ধ করে দেয় এবং এই মানুষগুলিকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়ে দেয়। আমরা তাদের আটক করার পর তাদের জাতীয়তা নিশ্চিত করি। জানতে পারি, বাংলাদেশি। মানবিক বিবেচনায় আমরা তাদের আটক করে পরে পুলিশের হাতে তুলে দিই।” বিজিবির তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, এই অবৈধ অভিবাসীরা ভারতের বিভিন্ন পাথর খনি এবং ইটভাটায় কাজ করছিল। এর আগেও বিএসএফ ২০২৫ সালের ১৪ মে ১৬ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছিল। বিজিবি জানিয়েছে, ভারত এখন পর্যন্ত একইভাবে বাংলাদেশের ১১টি জেলার সীমান্ত দিয়ে মোট ৬৬৪ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে ফেরত পাঠিয়েছে। এই জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে, খাগড়াছড়ি, কুড়িগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, কুমিল্লা, ফেনি এবং ঝিনাইদহ। অপারেশন পুশ-ব্যাকের আওতায় এখনও পর্যন্ত ফেরত পাঠানো হয়েছে মোট ৭৪২ জন অভিবাসীকে।

    প্রোটোকলে সমস্যা

    প্রসঙ্গত, দশকের (Operation Push Back) পর দশক ধরে ভারত প্রোটোকল অনুসরণ করে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং রোহিঙ্গাদের নিজের দেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করে আসছে। এতে ব্যয় হচ্ছিল প্রচুর সময়। ফলে পুশ-ব্যাক করতে সময় লাগছিল। কারণ বাংলাদেশ সরকার ও বিজিবি প্রায়ই তাদের দেশের নাগরিকদের স্বীকৃতি দিত না। ফলে ক্রমশই পরিস্থিতি জটিল হতে শুরু করে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ফোকর দিয়ে এজেন্ট ও দালালদের সাহায্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটেই চলেছে। যদিও তাদের ফেরত পাঠাতে গেলেই দেখা দিত যত সমস্যা।

    ভারতে ২ কোটিরও বেশি অবৈধ বাংলাদেশি

    ২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে ২ কোটিরও বেশি বাংলাদেশি অবৈধভাবে বসবাস করছে। শেখ হাসিনার গণতান্ত্রিকভাবে অপসারণ এবং ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শত্রুভাবাপন্ন মনোভাবের ফলে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে (Bangladesh) ফেরানো কঠিন হয়ে পড়ে। একপ্রকার বাধ্য হয়েই এখন এক অঘোষিত পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার (Operation Push Back)। লোকমুখে এটাই হল অপারেশন পুশব্যাক। এই অপারেশনের মাধ্যমে দেশের পূর্ব সীমান্তে হাতেনাতে ধরা পড়া বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ও দীর্ঘদিন ধরে ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদেরও দেশছাড়া করা হচ্ছে। অপারেশন পুশ-ব্যাকের মাধ্যমে নিরাপত্তা বাহিনী অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে সীমান্তের ওপারে ঠেলে দিচ্ছে। চলতি বছরের এপ্রিলে চালু হয়েছে অপারেশন পুশ-ব্যাক।

    অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “অনুপ্রবেশ একটি বড় সমস্যা। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাব না। আগে আমাদের সিদ্ধান্ত (Operation Push Back) ছিল, কাউকে গ্রেফতার করে তাকে ভারতীয় আইনি ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে। আগেও আমরা প্রতি বছর ১,০০০ থেকে ১,৫০০ বিদেশিকে গ্রেফতার করতাম। তাদের জেলে পাঠানো হত এবং পরে আদালতে পেশ করা হত। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাদের দেশের ভেতরে আনা হবে না, বরং ঠেলে (push back) দেওয়া হবে। এই ‘পুশব্যাক’ একটি নতুন ধারা। প্রতি বছর প্রায় ৫,০০০ মানুষ ভারতে ঢোকে। এই পুশব্যাক পদ্ধতির কারণে এখন সেই সংখ্যা অনেকটাই কমবে।” জানা গিয়েছে, অনুপ্রবেশকারীদের (Bangladesh) বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের ফলে এতটাই সাফল্য এসেছে যে এখন অনেক বাংলাদেশিই স্বেচ্ছায় নিজের দেশে ফিরে যাচ্ছে (Operation Push Back)।

  • Gujarat Man Arrested: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গুজরাটে গ্রেফতার স্বাস্থ্যকর্মী

    Gujarat Man Arrested: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গুজরাটে গ্রেফতার স্বাস্থ্যকর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির (Gujarat Man Arrested) অভিযোগে গ্রেফতার আরও এক। পড়শি দেশে পাকিস্তানের চরের জাল যে সর্বত্র বিছানো, তার প্রমাণ মিলল ফের। শনিবার গুজরাটের কচ্ছ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে (Pakistan) স্থানীয় যুবক সহদেব সিং গিলকে। এটিএসের (সন্ত্রাস দমন) হাতে ধৃত সহদেব পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ।

    মহিলাকে তথ্য পাচার করত ওই স্বাস্থ্যকর্মী! (Gujarat Man Arrested)

    আরও অভিযোগ, এক তরুণী চরকে বিএসএফ এবং ভারতীয় নৌসেনার গোপন তথ্য পাচার করত সে। গুজরাট এটিএসের এসপি কে সিদ্ধার্থ জানান, পাক চরকে বিএসএফ এবং ভারতীয় নৌসেনার বিষয়ে সংবেদনশীল তথ্য পাচারের জন্য ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১ মে সহদেবকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে জানিয়েছিল ২০২৩ সালের জুন-জুলাই মাস নাগাদ হোয়াটসঅ্যাপে অদিতি ভরদ্বাজ নামে এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরে সে জানতে পেরেছিল ওই মহিলা আদতে পাকিস্তানি গুপ্তচর। তার পরেও তার সঙ্গে সে যোগাযোগ রেখে চলেছিল বলে অভিযোগ।

    ৪০ হাজার টাকাও পেয়েছিল

    জেরায় সহদেব দাবি করেছে, বিএসএফ এবং নৌসেনার ঘাঁটি, অন্যান্য নির্মাণের ছবি, ভিডিও তুলে তাকে পাঠাতে বলেছিল অদিতি, বিশেষত নতুন তৈরি হওয়া বা নির্মীয়মাণ ঘাঁটির ছবি। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সে অদিতিকে ওই সব ছবি, ভিডিও পাঠাত। তদন্তকারীরা জেনেছেন, ২০২৫ সালের শুরুতে নিজের আধার কার্ডের নথি দিয়ে মোবাইলের একটি সিমকার্ড কিনেছিল সহদেব। পরে হোয়াটসঅ্যাপও চালু করেছিল (Gujarat Man Arrested)। সেই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই সে অদিতির সঙ্গে যোগাযোগ রাখত বলে অভিযোগ। পাঠাত ছবি, ভিডিও-ও। অপরিচিত একজনের কাছ থেকে এজন্য সে ৪০ হাজার টাকাও পেয়েছিল। সহদেবকে কে টাকা দিয়েছিল, তার খোঁজে তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে সহদেবের মোবাইল।

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ১১ জনকে (Pakistan)। এদের বেশিরভাগই হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। এবার সেই তালিকায় জুড়ে গেল গুজরাটের নামও (Gujarat Man Arrested)।

  • India Pakistan Conflict: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর ৫০ জঙ্গিকে জম্মু-কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে পাকিস্তান! রুখে দেয় বিএসএফ

    India Pakistan Conflict: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর ৫০ জঙ্গিকে জম্মু-কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে পাকিস্তান! রুখে দেয় বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পরই ভারতে ৫০ জন জঙ্গিকে অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর কাছে এমনই দাবি করেছেন বিএসএফের এক আধিকারিক। প্রতিদিনই সীমান্তে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। সীমান্তে গোলাগুলি চালানো আর ভারতীয় ভূখণ্ডে জঙ্গি প্রবেশ করানো পাকিস্তানের অভ্যেস। সেই মতোই ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পরই জম্মু-কাশ্মীরের সাম্বা সেক্টর দিয়ে ভারতে জঙ্গি ঢোকানোর চেষ্টা করে আইএসআই। যদিও জঙ্গি অনুপ্রবেশের সেই চেষ্টা ভেস্তে দিয়েছে বিএসএফ।

    কীভাবে হয়েছিল অনুপ্রবেশের চেষ্টা

    বিএসএফের ডিআইজি এসএস মাঁদ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, গোয়েন্দা সূত্রে তাঁদের কাছে খবর এসেছিল, আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে ৪০-৫০ জন জঙ্গির একটি দল অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারে। গত ৮ মে সীমান্তে সন্দেহজনক ভাবে বেশ কয়েক জন ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল। তার সঙ্গে সীমান্তের ও পারে পাকিস্তান থেকে ক্রমাগত গোলাগুলি চলছিল। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু জওয়ানরা জঙ্গিদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়, বোমাবর্ষণ করে। পাল্টা হামলার মুখে পড়ে জঙ্গিরা পালাতে শুরু করে।

    দ্বিমুখী লড়াইয়ের ছক ছিল পাকিস্তানের

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার জবাব দিতে গত ৭ মে পাকিস্তানের মাটিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারত। তার ঠিক পর দিন অর্থাৎ ৮ মে সাম্বা সেক্টর দিয়ে ৪০-৫০ জন জঙ্গিকে ভারতে ঢোকানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। ডিআইজি আরও জানিয়েছেন, দু’দেশের মধ্যে সামরিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে পাকিস্তান জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে বড় নাশকতার চেষ্টা করেছিল, তা বানচাল করে দিয়েছে বিএসএফ। সাম্বায় অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় নিকেশ করা হয় ৭ জঙ্গিকে। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর পাকিস্তানের মাটিতে প্রত্যাঘাত করে ভারত। তার পর জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায় সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে ক্রমাগত গোলাগুলি চালাতে থাকে পাকিস্তান। ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিমুখী লড়াইয়ের ছক ছিল পাকিস্তানের (India-Pakistan)। একদিকে হাতিয়ার সেনা, অন্যদিকে দোসর জঙ্গিরা। তবে বিএসএফ সেই চেষ্টায় জল ঢেলে দেয়।

  • BSF: ভারতের চাপে ২২ দিন পর বাংলার বাসিন্দা বিএসএফ জওয়ানকে ফেরাল পাকিস্তান

    BSF: ভারতের চাপে ২২ দিন পর বাংলার বাসিন্দা বিএসএফ জওয়ানকে ফেরাল পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের চাপের কাছে অবশেষে নতি স্বীকার করল পাকিস্তান (India Pakistan Conflict)। অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতের আরও বড় কূটনৈতিক জয়। ২২ দিন পর পাকিস্তান থেকে ছাড়া পেলেন বাংলার বাসিন্দা, বিএসএফ (BSF) জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ ওরফে পিকে সাউ। সীমান্তের ওপারে ভুলবশত চলে গিয়েছিলেন পূর্ণম সাউ (Purnam Sau)। ২৩ এপ্রিল থেকে পাকিস্তানের রেঞ্জার্সের কাস্টডিতে ছিলেন। বুধবার তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বিএসএফ জানিয়েছে, এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফিরেছেন পূর্ণম।

    ২২ দিন পর মুক্তি

    বিএসএফ (BSF) আইজি পাঞ্জাব ফ্রন্টিয়ার জানালেন, আটারি সীমান্তে বুধবার সকালে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। তারপর পাকিস্তান পূর্ণম সাউকে ভারতের হাতে তুলে দেয়। জানা গিয়েছে, শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন পূর্ণম। তবে তিনি মানসিকভাবে কিছুটা বিধ্বস্ত। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার পরদিন গত ২৩ এপ্রিল পাঞ্জাবের পাঠানকোটে কর্মরত অবস্থায় ভুল করে পাকিস্তানে ঢুকে গাছের তলায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন পূর্ণম। তখনই পাক রেঞ্জার্স তাঁকে ধরে। সীমান্তে এমন ঘটলে দু’দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে ‘ফ্ল্যাগ মিটিং’-এর পরে সংশ্লিষ্ট জওয়ানকে মুক্তি দেওয়াই দস্তুর। কিন্তু পূর্ণমকে তখন ছাড়েনি পাকিস্তান। ২২ দিন ধরে আটকে রেখেছিল।

    ভারতের কূটনৈতিক জয়

    অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) রীতিমতো পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিয়েছে ভারত। স্থগিত করা হয়েছে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি। কেবল অস্ত্রে নয়, ভারতের কূটনৈতিক চালেও পাকিস্তান বিধ্বস্ত। প্রবল চাপের মুখে শেষমেশ পূর্ণমকে ছাড়তে বাধ্য হল পাকিস্তান। পূর্ণম হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা। উত্তরপাড়ায় দলীয় কর্মসূচিতে এসে পূর্ণমকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সতীশচন্দ্র দুবে। তিনি বলেছিলেন, ‘‘অভিনন্দনের মতো (বায়ুসেনার পাইলট গ্রুপ ক্যাপ্টেন অভিনন্দন বর্তমান) পূর্ণমকেও ছাড়িয়ে আনা হবে।’’

    অবশেষে প্রত্যর্পণ

    পূর্ণম পাঞ্জাবের পঠানকোটের ফিরোজপুরে ২৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কনস্টেবল। স্বামীকে মুক্ত করার ব্যাপারে তদ্বির করতে আট বছরের ছেলে এবং আত্মীয়দের নিয়ে গত ২৮ তারিখ হিমাচল প্রদেশের কাংড়ায় বিএসএফের সদর দফতরে গিয়েছিলেন স্ত্রী রজনী সাউ। স্বামীর কর্মস্থলেও যান তিনি। তাঁরা ফিরোজপুর সীমান্তেও যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে সেখানে যাওয়ার ছাড়পত্র মেলেনি। বাড়ি ফিরে স্বামীর মুক্তির অপেক্ষায় প্রহর গুনেছেন রজনী। অবশেষে অভিনন্দনের মতো মুক্তি পেলেন তাঁর স্বামী। বুধবার বিএসএফ বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের নিরন্তর চেষ্টা, পাকিস্তান রেঞ্জার্সের সঙ্গে ‘ফ্ল্যাগ মিটিং’ এবং বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে আলোচনা সফল হয়েছে। পূর্ণমকে প্রত্যর্পণ করেছে পাকিস্তান।

    পাক রেঞ্জারও ফিরলেন দেশে

    পূর্ণমের ছাড়া পাওয়ার পরেই সৌজন্যতা বজায় রেখে রাজস্থান থেকে আটক পাক রেঞ্জারকে মুক্তি দিল ভারত। পাকিস্তানি রেঞ্জার মোহাম্মদ্দুল্লাহ্‌কেও মুক্তি দিয়েছে ভারত। দিন কয়েক আগে রাজস্থান থেকে আটক করা হয়েছিল তাঁকে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, বুধবার সকালে ওই পাক রেঞ্জারকে তাঁর দেশে ফিরিয়েছে ভারত। জানা যাচ্ছে, প্রোটোকল মেনে দুই দেশ বন্দিদের হস্তান্তর কার্যকর করল।

  • India Pakistan war: কাপুরুষোচিত হামলা, পাকিস্তানের ছোড়া গুলিতে শহিদ বিএসএফ জওয়ান

    India Pakistan war: কাপুরুষোচিত হামলা, পাকিস্তানের ছোড়া গুলিতে শহিদ বিএসএফ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারই বিকেল পাঁচটায় সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার পরই ফের নিজেদের (India Pakistan War) আসল রূপ দেখাল পাকিস্তান। ফিরে এল পাকিস্তান। কাশ্মীরের একাধিক এলাকায় লাগাতার গোলা-গুলি চালাতে থাকে তারা। সেসময় অবশ্য পাকিস্তানকে সঙ্গে সঙ্গে যোগ্য জবাবও দিতে শুরু করে বিএসএফ (BSF)। তবে বিএসএফ-এর জম্মু ডিভিশন থেকে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের গোলায় মৃত্যু হয়েছে এক বিএসএফ আধিকারিকের। বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, শনিবার জম্মুর আরএস পুরা এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্তে নির্বিচারে গোলাগুলি চালাতে শুরু করে পাকিস্তান। সেই সময়ই সামনে থেকে আধা সেনাকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন সাব-ইন্সপেক্টর এমডি ইমতিয়াজ। তখনই পাকিস্তানের (India Pakistan War) ছোড়া গুলিতে শহিদ হন তিনি।

    শনিবারও রাজস্থান-গুজরাট সহ একাধিক জায়গায় ফের সাইরেন বাজাতে শুরু করে

    অন্যদিকে শনিবারই বিকেল পাঁচটা নাগাদ বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন, দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি করা হয়েছে। আপাতত আকাশ, স্থল, জল, কোনও পথেই সেনা ‘অ্যাকশন’ চালানো হবে না বলে জানান বিক্রম মিস্রি। তবে এর ঠিক কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই দেখা গেল উধমপুর, আখনুর, নৌসেরা, পুঞ্চ, রাজৌরি, জম্মু, আরএসপুরা সহ একাধিক জায়াগায় গোলা-গুলি চালাতে (India Pakistan War) শুরু করে পাকিস্তান। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত রাজস্থান-গুজরাট সহ একাধিক জায়গায় ফের সাইরেন বাজাতে শুরু করে। জয়সালমের, বারমের, পাঠানকোট সহ একাধিক জায়গা সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট করে দেওয়া হয়।

    শুক্রবারও মৃত্যু হয়েছিল এক সরকারি আধিকারিকের

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ২০০০ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা পাহারার দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফ। জানা গিয়েছে, পাক হামলায় শুক্রবারও মৃত্যু হয়েছিল এক সরকারি আধিকারিকের। নিহত হয়েছেন রাজৌরির অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনারও। পাকিস্তানের গুলিতে মৃত্যু হয় রাজ কুমার থাপা নামের ওই আধিকারিকের। ওই হামলার ঘটনায় সেসময় আহত হয়েছিলেন তিনজন । পরে মৃত্যু হয় ওই আধিকারিকের।

  • Pakistan Ranger: সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ, রাজস্থানে আটক পাকিস্তানি সেনা

    Pakistan Ranger: সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ, রাজস্থানে আটক পাকিস্তানি সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানে ভারতীয় জওয়ানদের হাতে আটক একজন পাকিস্তানি রেঞ্জার (Pakistan Ranger)। আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করার জন্যই ওই পাক রেঞ্জারকে আটক করেছে বিএসএফ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে পাক বাহনীর হাতে আটক রয়েছেন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফের ২৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল পূর্ণম। গত ২৩ এপ্রিল অসাবধানতাবশত আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরতেই তাঁকে আটক করে পাক রেঞ্জাররা। এক সপ্তাহের বেশি হয়ে গেলেও পূর্ণমকে এখনও ছাড়েনি পাক বাহিনী। এবার পূর্ণমের পাল্টা হিসেবেই বিএসএফ আটক করল এক পাক রেঞ্জারকে (Pakistan Ranger)।

    ফোর্ট আব্বাস এলাকা থেকে গ্রেফতার (Pakistan Ranger)

    জানা গিয়েছে, রাজস্থানের সীমান্তবর্তী এলাকা ফোর্ট আব্বাস থেকে ওই পাকিস্তান রেঞ্জার্সের জওয়ানকে ধরা হয়েছে। বিএসফের অভিযোগ, এ দিন ইচ্ছা করেই ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন ওই পাক রেঞ্জার্স জওয়ান। ওই পাক জওয়ানের কোনও কুমতলব ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

    সীমান্তে উত্তেজনা

    সেনা বা সাধারণ নাগরিকরা অনেক সময়ই অসাবধানতায় সীমান্ত অতিক্রম করে ফেলেন। এই ঘটনাগুলি সাধারণত আলোচনা করেই মেটানো হয়। জড়িত ব্যক্তিদের সাধারণত আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পরে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু পহেলগাঁও হামলার পরে উত্তেজনা চলছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সীমান্তে (Pakistan Ranger)।

    গত সোমবারই পাঠানকোটে যান পূর্ণমের স্ত্রী

    প্রসঙ্গত, কনস্টেবল পূর্ণমের স্ত্রী রজনী গত সোমবারই পশ্চিমবঙ্গের রিষরার তাঁর বাড়ি থেকে পাঠানকোটে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পূর্ণমের বিষয়ে খোঁজখবর করতেই গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। জানা গিয়েছে, বিএসএফ অফিসাররা তাঁকে আশ্বস্ত করেন যে, পূর্ণমের নিরাপদ মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য ভারতীয় সেনা যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। সেনার তরফ থেকে এমন আশ্বাসের পরই, পূর্ণমের স্ত্রী অমৃতসর থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন বলে জানা গিয়েছে। বিএসএফ-ই (BSF) তাঁর ফিরোজপুর থেকে অমৃতসর যাওয়ার ব্যবস্থা করে।

  • Sukanta Majumder: ‘‘ভয় পেলে বেশি ভয় দেখাবে’’, নিহত পিতা-পুত্রের বাড়িতে বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumder: ‘‘ভয় পেলে বেশি ভয় দেখাবে’’, নিহত পিতা-পুত্রের বাড়িতে বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিংসা কবলিত সামশেরগঞ্জে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। বিজেপির (BSF) রাজ্য সভাপতি এদিন পৌঁছে যান জাফরাবাদে খুন হওয়া হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসের বাড়িতেও। নিহত পিতা-পুত্রের পরিবার সহ হিন্দু সমাজের উদ্দেশে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘ভয় পাবেন না, ভয় পেলে বেশি ভয় দেখাবে। আমরা পাশে আছি। প্রয়োজনে আবার আসব।’’ এই সময়েই জাফরাবাদে খুন হওয়া বাবা-ছেলের পরিবার দাবি করে, ‘‘বিএসএফের স্থায়ী ক্যাম্প চাই।’’ এজন্য তাঁরা নিজেরাও জমি দিতে ইচ্ছুক বলে জানান। সুকান্ত মজুমদার আশ্বাস দেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলবেন।

    পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মহিলারা

    বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে (Sukanta Majumder) কাছে পেয়ে নিগ্রহ, ঘরছাড়ারা এদিন ক্ষোভ উগরে দেন। এক মহিলা বলেন, ‘‘আমাদের কথা শুনলে শিউরে উঠবেন। সারা রাত তাণ্ডব চলেছে। ঘর বাড়ি সব শেষ কিচ্ছু নেই। কী করে বাঁচব আমরা?’’ পুলিশকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। এক মহিলা বলেন, ‘‘আমরা কেঁদে কেঁদে মরে গিয়েছি। পুলিশ সব জানে, তাও পুলিশ একটি বারের জন্যও আসেনি। আমরা যখন মারা যাব, তখন কি পুলিশ আসবে।’’

    কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের পাশে রয়েছে

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder) তাঁদের আশ্বাস দেন, কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের পাশে রয়েছে। সুকান্ত বলেন, ‘‘রিফিউজি ক্যাম্পে গিয়েছিলাম, তখন প্রত্যেকেরই দাবি ছিল, এলাকায় স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প দরকার। রাজ্য পুলিশের ওপর সাধারণ মানুষের বিশ্বাস নেই। আমি রাজ্য সরকারকে আবেদন করব, এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প করার রাজ্য যাতে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করে।’’ সংবাদমাধ্যমের সামনে সুকান্ত আরও বলেন, ‘‘চিফ সেক্রেটারিকে আমি নিজে আমার প্যাডে চিঠি লিখব, যে ৫৬ খানা দোকানের মালিককে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করা হয়। মূর্তি-বিগ্রহ ভাঙা হয়েছে। যারা অন্যের ধর্মকে সম্মান করতে পারে না, নিজের ধর্মকেও সম্মান করেনা।’’

    প্রসঙ্গ এনআইএ তদন্ত

    সাংবাদিকদের উদ্দেশে বিজেপির (BSF) রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumder) বলেন, ‘‘আমরা জনগণের দাবির সঙ্গে আছি। কিছু লোক এনআইএ তদন্তের জন্য আদালতে গিয়েছেন। আমাদের সকলের চোখ এখন আদালতের দিকে। যদি কলকাতা হাইকোর্ট এনআইএ তদন্তের অনুমতি দেয়, তাহলে সরকার তা অনুসরণ করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন যাতে তাদের (ভুক্তভোগীদের) ফেরত পাঠানোর হয়। কিন্তু তারা কোথায় যাবে? তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।’’

  • BSF: শৌচালয় না বাঙ্কার! ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে কী বানাচ্ছে পাক সেনা? সতর্ক বিএসএফ

    BSF: শৌচালয় না বাঙ্কার! ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে কী বানাচ্ছে পাক সেনা? সতর্ক বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে শৌচালয়ের নাম করে বাঙ্কার বানাচ্ছিল পাকিস্তান (Indo-Pak Border)! আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১৫০ গজের মধ্যে ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এ অবৈধ নির্মাণে লিপ্ত পাক সরকার। সম্প্রতি এমনই দাবি করেছে বিএসএফ। জানা গিয়েছে, রাজস্থানের বারমেরে ভারত-পাক সীমান্তের কাছে একটি বাঙ্কার তৈরি করছিল পাকিস্তান। এই বেআইনি নির্মাণকাজ ধরে ফেলে বিএসএফ (BSF)। এরপরই পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয় এই ভবনটি শৌচালয়ের কাজে ব্যবহার করা হবে। যদিও বিএসএফ এই দাবি মানতে নারাজ। তারা অবিলম্বে ওই ভবন ভেঙে ফেলতে জানিয়েছে পাকিস্তানকে।

    সীমান্তে বেআইনি নির্মাণ

    আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কিছু তৈরি করা আইনত নিষিদ্ধ, এটি ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’ হিসেবে গণ্য করা হয়। বারমের জেলায় (Indo-Pak Border) গাদরায় নো-ম্যানস ল্যান্ডে রবিবার রাতে অবৈধ নির্মাণ কাজ করে পাকিস্তান। দাবি ভারতীয় সেনার। বিএসএফ (BSF) জানায়, সীমান্তের সততা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। কমান্ডার কর্তৃক এই নির্মাণ নিয়ে পাকিস্তানকে প্রতিবাদ নোট পাঠানো হয়েছে। এরপরই জুনিয়র অফিসারদের একটি ফ্ল্যাগ মিটিং সম্পন্ন হয়। যেখানে ওই নির্মাণটি যে ১৫০ গজের মধ্যে ছিল এই বিষয়টি পাকিস্তান (India-Pakistan) অস্বীকার করে। এদিকে, পাকিস্তান আরও দাবি করেছিল যে, তারা সৈন্যদের জন্য একটি অস্থায়ী টয়লেট তৈরি করছে এবং এটি কোনও বাঙ্কার বা পর্যবেক্ষণ পোস্ট নয়। যদিও, এই বিষয়টি আদৌ কতটা সত্যি এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    বিএসএফ-এর হুঁশিয়ারি

    বিএসএফ-এর (BSF) এক অফিসার এ প্রসঙ্গে বলেন, “নির্মাণ কাজ এখন স্থগিত করা হয়েছে এবং মাঠে কর্তব্যরত ব্যাটালিয়ন কমান্ডাররা নির্মাণস্থলের মাপ পরিমাপ করার দাবি জানিয়েছেন। পাকিস্তান রাতে এটি তৈরি করেছে, এর মানে তারা জানত যে এটি অবৈধ। সদর দফতরে এই ঘটনা সম্পর্কে জানানো হয়েছে। সিনিয়র কর্মকর্তারা সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক চেয়েছেন। পাকিস্তান রেঞ্জার্স এখনও সাড়া দেয়নি। যদি তারা নির্মাণ অব্যাহত রাখে, তাহলে বিএসএফও তাদের সামনে একটি অনুরূপ বাঙ্কার তৈরি করবে।” এই অঞ্চলে ভারতীয় সীমান্ত রাজস্থান প্রশাসনের আওতাধীন, সীমান্ত এলাকা বিএসএফের গুজরাট ফ্রন্টিয়ারের দায়িত্বে। বিএসএফ ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের ২,২৯৬.৬৬ কিলোমিটার এবং কন্ট্রোল লাইন (LoC) এর ৪৩৫ কিলোমিটার পাহারা দেয়। তারাই বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।

LinkedIn
Share