Tag: BSF

BSF

  • BSF: অশান্ত বাংলাদেশ, সীমান্তে মানবিক বিএসএফ, ভিডিও শেয়ার করলেন শিবসেনা নেতা

    BSF: অশান্ত বাংলাদেশ, সীমান্তে মানবিক বিএসএফ, ভিডিও শেয়ার করলেন শিবসেনা নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ। গত জুলাই মাস থেকে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি দেশজুড়ে। হাসিনা পদত্যাগ করার পর লাগামছাড়া অত্যাচার শুরু হয়েছে হিন্দুদের ওপর। আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীরা আতঙ্কিত। এই আবহের মধ্যে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) ছেড়ে ভারতে আশ্রয় চেয়ে সীমান্তে জড়ো হচ্ছেন শয়ে শয়ে মানুষ। অসহায় মানুষদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করতে দেখা গেল এক বিএসএফ আধিকারিকের। শিবসেনা নেতা মিলিন্দ দেওরা বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্তে বিএসএফ কর্মকর্তাদের ভিডিও শেয়ার করেছেন। একজন বিএসএফ (BSF) কর্তা কীভাবে শান্তভাবে অসহায় বাংলাদেশিদের বোঝাচ্ছেন তা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে। আর সেই ভিডিও মনজয় করেছে নেটিজেনদের।

    বাংলাদেশিদের বিএসএফের কর্মকর্তা ঠিক কী বলেছেন? (BSF)

    কোচবিহারের শীতলখুচির পাঠানটুলি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। এই পাশে ডাকুয়াটারির খর্ব নদীর পারে জমায়েত হন ওই বাংলাদেশিরা। সেখানেই বিএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন। বাংলাদেশিরা যখন নদী পেরিয়ে ভারতে আসার চেষ্টা করেন, সেই সময় এক বিএসএফ (BSF) আধিকারিক বলেন,  “আমার কথা শুনুন, আমি যা বলছি তা শুনুন। আপনারা যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তা সারা বিশ্ব জানে। এর জন্য আলোচনার প্রয়োজন আছে। আমরা এমনভাবে সমস্যার সমাধান করতে পারি না। আমরা চাইলেও আপনাকে সীমান্ত পার হতে দিতে পারি না।” এরপরও কয়েকজন বাংলাদেশি চিৎকার করে ভারতে ঢুকতে দেওয়ার আর্জি জানান। তখন এই বিএসএফ আধিকারিক বলেন, “দয়া করে আমার কথা শুনুন, চিৎকার করে কিছুই বের হবে না। গোটা বিশ্ব এই সমস্যার কথা জানে। তবে এখনও এটি নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। একবার সেই আলোচনাগুলি হয়ে গেলে, আমরা আপনার স্থিতি এবং সুরক্ষা সম্পর্কে কী করতে হবে তা নির্ধারণ করতে পারব।” এরমধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশি বলেন, “দয়া করে আমাদের ভারতের ভিতরে যেতে দিন, আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে ফেলবে এবং আমাদের নির্যাতন করবে।” এরপরই বিএসএফের এক কর্মকর্তা তখন শরণার্থীদের বলেন, “সিনিয়র অফিসারদের সঙ্গে আমাদের বাংলাদেশের প্রতিপক্ষের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যারা ভারতে প্রবেশ করতে চায় তাদের অভিযোগ শোনা হবে।”

    আরও পড়ুন: আরজি কর থেকে ভাতার! মমতা প্রশাসনের মদতেই কি সিভিক ভলান্টিয়ারদের দাপট?

    শিবসেনা নেতা ভিডিও শেয়ার করে কী বললেন?

    শিবসেনা নেতা মিলিন্দ দেওরা একটি ভিডিও শেয়ার করে এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, “এই পরিস্থিতির মধ্যে বিএসএফের (BSF) ওই আধিকারিক নিজেদের কর্তব্যে অবিচল থেকে অসহায় বাংলাদেশিদের বুঝিয়েছেন তা প্রশংসার যোগ্য।

    বিএসএফের মুখপাত্র কী বললেন?

    বিএসএফের (BSF) মুখপাত্র বলেন, বিএসএফ এডিজি (পূর্ব কমান্ড) রবি গান্ধী ১০ অগাস্ট বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) সীমান্তে নিরাপত্তা পর্যালোচনা করার জন্য একটি বৈঠক করেন। বৈঠকের একদিন পরে ভিডিওটি প্রকাশ পেয়েছে। সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা আরও বাড়ানোর জন্য বিশদ আলোচনা হয়েছে। এছাড়াও, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ভারতীয় নাগরিক এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর নৃশংস অত্যাচার প্রতিরোধের জন্য ভালো সাড়া দিচ্ছে। সম্প্রতি হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সমস্যাগুলি খতিয়ে দেখতে এডিজি-র অধীনে একটি কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh border: বাংলাদেশ সীমান্তে বাড়ছে ভিড়, ফাঁকা জায়গায় কাঁটাতার বসাতে তৎপর বিএসএফ

    Bangladesh border: বাংলাদেশ সীমান্তে বাড়ছে ভিড়, ফাঁকা জায়গায় কাঁটাতার বসাতে তৎপর বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশে ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুরা। মৌলবাদী দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে মানুষের জীবন বিপন্ন। জামাত এবং বিএনপি সমর্থক গুন্ডাদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (Bangladesh border) বাংলাদেশি হিন্দুদের ক্রমশ ভিড় বাড়ছে। এই ভিড়ের বেশির ভাগ মানুষ ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার। তাঁরা শরণার্থী হিসাবে হয়তো আশ্রয় চান ভারতে। একই ভাবে সেই দেশের জঙ্গিরাও অবৈধ অনুপ্রবেশ করে নাশকতা মূলক ঘটনা ঘটাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে ভারতের সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী বিএসএফ (BSF), এতদিন পর্যন্ত খোলা পড়ে থাকা বর্ডারগুলিতে কাঁটাতারের বেড়া দিতে অত্যন্ত তৎপর হয়ে উঠেছে। প্রশাসন এবং বিএসএফ দ্রুত কদমে কাজ শুরু করেছে।

    ২২৪ কিমি সীমান্তে কাঁটাতার বসাতে তোরজোড় (Bangladesh border)  

    সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ২২০০ কিলোমিটার জুড়ে আন্তর্জাতিক সীমান্ত (Bangladesh border) রয়েছে। তাঁর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৬০০ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার বসেছে। বাকি যেখানে এখনও তার বসেনি, তার একটা বড় অংশ আবার নদী দিয়ে ঘেরা। এখন ২২৪ কিলোমিটার সীমান্তে কাঁটাতার বসানোর তোরজোড় চলছে। জমির বন্দোবস্ত করার চেষ্টাও চলছে জোরকদমে। ইতিমধ্যে ৪৩ কিমি এলাকায় জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে। আবার মমতার মন্ত্রিসভা ২৬৭ কিমি জমি কেনার বিষয়ে ছাড়পত্র দিয়েছে। অপরদিকে, ১১২.৩ কিমি জমি কিনতে রাজ্যকে ২২১ কোটি টাকা সাহায্য পাঠিয়েছে কেন্দ্র। আরও ১৫৪ কিমি জমি কেনার হিসেব কেন্দ্রকে দিয়েছে রাজ্য। ফলে সীমান্তকে সুরক্ষিত করা বিএসএফের কাছে প্রাথমিক বিষয়। বাংলাদেশের অশান্ত এবং উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে প্রচুর জেলবন্দি দুষ্কৃতীরা ছাড়া পেয়েছে। ফলে জেএমবি বা আল-কায়েদা জঙ্গিরা যাতে অবাধে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেই দিকের কথা মাথায় রেখে বিএসএফ (BSF) এই কোচবহার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার বিষয়ে বিশেষ নজর দিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘বাংলাদেশের পর এবার ভারতের পালা’’! হুমকি দিয়ে যুবক গ্রেফতার, মিলল জঙ্গি-যোগ

    হিন্দুদের সুরক্ষার বার্তা অন্তর্বর্তী সরকারকে

    বাংলাদেশে গঠন হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। মোট ১৭ সদস্যের একটি নতুন মন্ত্রীসভা গঠন করা হয়েছে। প্রধান করা হয়েছে নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূসকে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তেই সেই দেশে সংখ্যালঘু হিন্দু-বৌদ্ধদের টার্গেট করেছে মৌলবাদী দুষ্কৃতীরা। আওয়ামি লিগের অবশ্য দাবি, সবটাই ছাত্র আন্দোলনের নামে জামাত শিবির এবং বিএনপির ষড়যন্ত্র। দেশে হিন্দুদের ধর্মীয়স্থল মন্দির, মঠে আগুন দিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। একাধিক জেলায় মসজিদের মাইকে ঘোষণা করে হিন্দুদের বাড়ি-ঘর, দোকানপাট, ব্যবসার কেন্দ্রে ব্যাপক ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। হিন্দু মহিলাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগও উঠেছে। সামাজিক মাধ্যমে একাধিক জায়গার অত্যচার-আর্তনাদের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে হিন্দুদের জীবন-সম্পত্তি সুরক্ষা করার বার্তা পাঠিয়েছেন। এই অবস্থায় বাংলাদেশ সীমান্তকে (Bangladesh border) আরও সুরক্ষিত করতে ময়দানে নেমে পড়েছে বিএসএফ (BSF)।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন চালু থাকলেও দিল্লিতে ফিরলেন বহু কর্মী, কেন?

    Bangladesh Crisis: ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন চালু থাকলেও দিল্লিতে ফিরলেন বহু কর্মী, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকেই রাজনৈতিক সংকটে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ধারাবাহিক হিংসার ঘটনায় বাংলাদেশে ২৩২ জন নিহত হয়েছেন। এমত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হল বাংলাদেশের ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলি। অন্যদিকে, এবার বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় হাইকমিশনের (Indian High Commission) অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের দেশে ফিরিয়ে আনল ভারত। জানা গিয়েছে, এই অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের বাণিজ্যিক ফ্লাইটের মাধ্যমে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। 

    ঢাকা থেকে দিল্লি এলেন ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মচারীরা 

    বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের (Bangladesh Crisis) পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন ঘিরে রাজনৈতিক ডামাডোল চলছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন থেকে নিজেদের কর্মীদের একাংশকে ফিরিয়ে এনেছে ভারত। ভারতীয় হাইকমিশন (Indian High Commission) সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে বর্তমানে একান্ত জরুরি নয় এমন কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঢাকা থেকে দিল্লি এসে পৌঁছেছেন সকলে। তবে কূটনীতিকরা বাংলাদেশেই থাকছেন। হাইকমিশনের স্বাভাবিক কাজকর্ম চালু আছে। এ প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ”বর্তমানে বাংলাদেশে আনুমানিক ১৯,০০০ ভারতীয় নাগরিক রয়েছে যার মধ্যে প্রায় ৯০০০ জন ছাত্র। তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই, আমরা আমাদের কূটনীতিকদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছি।” 

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভাঙা পড়েছে বঙ্গবন্ধুর মূর্তি, ‘মানা যায় না’, বলছে ভাষা-শহিদের পরিবার

    বন্ধ বাংলাদেশের ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলি

    এখনও স্বাভাবিক নয় বাংলাদেশের পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis)। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তগুলিতে সতর্ক ভাবে পাহারায় রয়েছে বিএসএফ। এমত পরিস্থিতিতে এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হল বাংলাদেশের ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলি। বুধবার ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশিকা না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থিত সব ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলি বন্ধ থাকবে। ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ওয়েবসাইটে আরও বলা হয়েছে, পরবর্তী কবে ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে, তা এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। 

    উল্লেখ্য, হাসিনার দেশ ছাড়ার পর বৃহস্পতিবার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়ার কথা। আপাতত ১৫ সদস্যের সরকার গঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ‘‘বাঁচান, আশ্রয় দিন…’’! ভারত-সীমান্তে ভিড় বাংলাদেশি শরণার্থীদের, রুখল বিএসএফ

    Bangladesh Crisis: ‘‘বাঁচান, আশ্রয় দিন…’’! ভারত-সীমান্তে ভিড় বাংলাদেশি শরণার্থীদের, রুখল বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। প্রতিবেশী দেশটিতে হিংসার শিকার হচ্ছেন বহু সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুরা। বাংলাদেশের এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যেই বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ প্রায় ৩০০ বাংলাদেশি ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করেন। তবে কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার আগেই তাদের আটকে দিতে সক্ষম হয় বিএসএফ (BSF on Bangladesh Border)। যদিও এর জন্য নিরাপত্তাবাহিনীকে কোনও রকম কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়নি। গুলি চালানোরও কোনও দরকার পড়েনি। 

    পরিস্থিতি মোকাবিলায় সজাগ ও তৎপর বিএসএফ (Bangladesh Crisis)

    বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যেই শয়ে শয়ে শরণার্থীরা কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসতে চাইছেন। বুধবার দুপুর থেকেই দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের সীমান্তে ভিড় করেছেন বহু বাংলাদেশি। কার্যত কাঁটাতারহীন সীমান্ত পেরিয়ে প্রবেশ করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। কোচবিহার ও জলপাইগুড়ির সীমান্তে দেখা গিয়েছে, কাতারে কাতারে মানুষ ভারতে প্রবেশ করার জন্য দাঁড়িয়ে আছেন। 

    তবে, এমন ঘটনা (Bangladesh Crisis) যে ঘটতে পারে তার আন্দাজ আগে থেকেই পেয়েছিল বিএসএফ। তাই সোমবারের পর থেকেই সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। বুধবার কিছু মানুষ আসা পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু শরণার্থীদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় বিএসএফ (BSF on Bangladesh Border) সীমান্তেও বাহিনী সংখ্যা বাড়ায়। শরণার্থীদের নিজেদের দেশে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন সকলে। বিএসএফের দাবি, এই বাংলাদেশিরা মূলত সানসেরপুরা, ধামেরঘাট, চিরাকুটি, লাখিপাড়া, বোনাগ্রাম, কাঠুমারি, পানিডুবি ও বানিয়াপাড়ার বাসিন্দা। এই গ্রামগুলি সীমান্ত থেকে মাত্র ২-৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। 

    আরও পড়ুন: ‘‘হিন্দুদের ওপর, মন্দিরে হামলায় উদ্বিগ্ন’’, বাংলাদেশ নিয়ে প্রতিক্রিয়া ইজরায়েলের

    শরণার্থীদের দাবি (Bangladesh Crisis) 

    বিএসএফ জানায়, প্রায় ৩০০ জন বাংলাদেশি নাগরিক যারা মূলত হিন্দু তারা এসে জমায়েত করেন জলপাইগুড়ি জেলার মানিকগঞ্জের সাতকুড়া সীমান্তে। প্রত্যেক শরণার্থীদের দাবি ছিল, বিএসএফ পারলে গুলি করে তাঁদের মেরে দিক, কিন্তু তাঁরা দেশে ফিরে যাবেন না। এ প্রসঙ্গে, হলদিবাড়ি ছিটমহলের বাসিন্দা জয়প্রকাশ রায় বলেন, ‘‘মহিলারা আর্তনাদ করছেন। বাঁচান বাঁচান বলে চিৎকার করছেন। একটু আশ্রয় চাইছেন। এ দৃশ্য দেখা যায় না!’’ তবে বিএসএফ সূত্রে খবর, উপরতলায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। সেখান থেকে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত শরণার্থীদের কোনও পরিস্থিতিতেই এ পারে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: অশান্ত বাংলাদেশ, অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা প্রবল! জল-স্থল সীমান্তে সতর্ক বিএসএফ

    Bangladesh Crisis: অশান্ত বাংলাদেশ, অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা প্রবল! জল-স্থল সীমান্তে সতর্ক বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। চারিদিকে শুধুই হাহাকার আর কান্নার রোল। অন্যদিকে, একদলের উন্মত্ত উল্লাস। সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার সীমাহীন। সোনার বাংলা ভূলুণ্ঠিত। শুধু সংখ্যালঘুরাই নয়, আক্রান্ত হচ্ছেন আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীরাও। প্রাণভয়ে অনেকে পালিয়ে আসছেন সীমান্তপারে। বাংলাদেশের এই চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষিতে তাই ভারতীয় সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিল বিএসএফ। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জলসীমানা অনেকটা। তাই কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে জলসীমায়। বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর ডাঙাতেও হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বিএসএফের (BSF) পক্ষ থেকে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। কাঁটাতার ঘেরা সীমান্তে রাত-টহলের জন্য নাইট ভিশন ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বেড়েছে জওয়ানের সংখ্যাও।

    সুন্দরবনে জলসীমায় কড়া পাহাড়া

    বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) বর্তমান পরিস্থিতিতে সুন্দরবনের ভারত-বাংলাদেশ জলসীমানায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুন্দরবনের নদী ও সমুদ্রে হাই অ্যলার্ট জারি করা হয়েছে। এখন বাংলাদেশ ও ভারতের জলসীমানায় ২৪ ঘণ্টা টহল দিচ্ছে জলে-স্থলে চলতে পারা ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হোভারক্রাফ্ট। এদিন বেলায় ফ্রেজারগঞ্জ ঘাঁটিতে পৌঁছে গিয়েছে বিশেষ এই হোভারক্রাফ্ট। উপকূলরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা হোভারক্রাফ্টে চেপে বঙ্গোপসাগরে ভারত-বাংলাদেশ জলসীমানায় টহলদারি শুরু করেছেন। অনেক সময়ে বাংলাদেশ থেকে জলদস্যু বা মৎস্যজীবীরা জলসীমানা পেরিয়ে চলে আসে এ পারে‌। ট্রলারে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ আটকাতে এই হোভারক্রাফ্ট অনেকটাই কাজে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। উপকূলরক্ষী বাহিনীর পাশাপাশি সুন্দরবনের উপকূল এলাকার প্রতিটি থানাই জলপথে পেট্রোলিং চালাচ্ছে। এ দিন সকাল থেকে ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার স্পিডবোট এবং এফআইবি বোট নদী এবং সমুদ্রে টহল দিয়েছে।

    গ্রামবাসীদের দল

    সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ রুখতে এবার একজোট হলেন গ্রামবাসীরাও। গ্রামে গ্রামে টিম করে সচেতনতা প্রচার চালাচ্ছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স। জেল ভাঙা জামাত জঙ্গিরা যে কোনও সময় সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকতে পারে, এমন প্রচারও চালাচ্ছে বিএসএফ (BSF)। মূলত বাংলাদেশের এই পরিস্থিতির মধ্যে যাতে কোনও ভাবে অনুপ্রবেশ না ঘটে সেই বিষয়ে গুরুত্ব দিতেই, নদিয়া,  জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের সীমান্তবর্তী এলাকায় গ্রামবাসীদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএসএফ। গেদে ৩২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের উদ্যোগে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে নদিয়ায় বৈঠকে বসেন পঞ্চায়েত প্রধান সদস্য-সহ অন্যান্য প্রতিনিধিরা। কোনও অপরিচিত মানুষ দেখলে গ্রামবাসীদের কী কর্তব্য সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছে সেনা-আধিকারিকরা।

    গ্রামবাসীদের করণীয়

    বুধবার সীমান্তবর্তী একাধিক গ্রামে গিয়ে অনুপ্রবেশ (Bangladesh Crisis) রুখতে গ্রামবাসীদের কী করণীয় তা বুঝিয়ে বলেন বিএসএফ (BSF) আধিকারিকরা। গ্রামবাসীদের তাঁরা বলেন, ‘‘অচেনা কাউকে গ্রামে দেখলে বিএসএফ বা পুলিশকে জানাবেন। রাতে খুব দরকার না হলে বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। আর বেরোলেও সীমান্তের কাটাতারের দিকে যাবেন না।’’ তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতির কোনও প্রভাব সীমান্তের এপারে পড়ার সম্ভাবনা দেখছেন না গ্রামগুলির বাসিন্দারা। তাঁরা জানিয়েছেন, বিএসএফ ও পুলিশের পাহারায় নিরাপদে রয়েছেন তাঁরা।

    উত্তরবঙ্গে সতর্কতা

    উত্তরবঙ্গের ফুলবাড়ি সীমান্তে সরদারপাড়া, ধদাগছ, লক্ষ্মীস্থান, নারায়ণজোতসহ প্রায় ১২টি সীমান্তবর্তী গ্রাম রয়েছে। সেখান থেকে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করছে বিএসএফ (BSF)। এব্যাপারে গ্রামবাসীদের সতর্ক করেছেন বিএসএফ আধিকারিকরা। বুধবার গ্রামে গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। বিএসএফের নর্থবেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি সুর্যকান্ত শর্মা বলেন, “সম্প্রতি বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। অনুপ্রবেশ, অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকাতেও গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হচ্ছে যাতে কোনও সন্দেহজনক কাওকে বা অপরিচিত কাউকে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বা পুলিশকে জানানো হয়।” দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে কোচবিহার পর্যন্ত উত্তরের পাঁচ জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় চার হাজার কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ৯৩৬ কিলোমিটার নর্থবেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের অধীনে। সীমান্তে নজরদারির জন্য চারটি সেক্টরে মোট ১৮টি বিএসএফ ব্যাটেলিয়ন মোতায়েন করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, ভারতের উদ্বেগের একাধিক কারণ

    সীমান্তের কাছেই সেনা

    বিএসএফ (BSF) সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গে ১০৯ কিলোমিটার খোলা সীমান্ত রয়েছে। সেই ফাঁকা সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করছেন এলাকার বাসিন্দাদের অনেকে। বিএসএফের তরফে ফাঁকা সীমান্তে জওয়ানদের নজরদারি দ্বিগুণ করা হয়েছে। চ্যাংরাবান্ধা এবং ফুলবাড়ির মতো সীমান্ত থেকে এক দেড় কিলোমিটার দূরে রাখা হয়েছে সেনাবাহিনীকে। সীমান্ত পরিস্থিতির অবনতি হলে তড়িঘড়ি যাতে সেনাকে কাজে লাগানো যেতে পারে, সেজন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে বিএসএফের উত্তরবঙ্গের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক (পিআরও) অমিত ত্যাগী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘নিয়ম মেনে অনেকেই ওপার বাংলা থেকে ভারতে আসছেন। অনিয়মে কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকেও নামানো হবে। তবে কাঁটাতারহীন কিছু এলাকায় জওয়ানদের তরফেই অস্থায়ী বেড়া দেওয়া রয়েছে।’’

    সতর্ক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    সোমবার বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে চূড়ান্ত নৈরাজ্য শুরু হয়েছে সীমান্তের ওপারে। বিদায়ী শাসকদল আওয়ামি লিগ নেতা ও হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর পাশবিক অত্যাচার চলছে সীমান্তের ওপারে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সীমান্ত পাহারায় মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি বিএসএফ জওয়ান। তবে তাতেও জল – জঙ্গলে ভরা সীমান্তে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। টহলদারির পাশাপাশি সীমান্তে নজরদারির জন্য ড্রোন ওড়াচ্ছে বিএসএফ (BSF)। অনুপ্রবেশ রুখতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সেনা জওয়ান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: নিরাপত্তায় মোড়া বাংলা-সীমান্ত, নাইট গগলসে নজরদারি, পরিদর্শনে বিএসএফ ডিজি

    Bangladesh Crisis: নিরাপত্তায় মোড়া বাংলা-সীমান্ত, নাইট গগলসে নজরদারি, পরিদর্শনে বিএসএফ ডিজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে সোমবার থেকেই সীমান্তে নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। রাতেই বেশ কয়েকটি সীমান্তে লাগানো হয় নাইট ভিশন ক্যামেরা। মঙ্গলবার বিএসএফের ডিজি দলজিত সিং চৌধুরী পেট্রাপোল সীমান্তের নিরাপত্তার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে সীমানা রয়েছে এমন অন্য রাজ্যেও বুধবার পরিদর্শন করবেন বিএসএফের (BSF) ডিজি। 

    কোনওভাবেই অনুপ্রবেশ যাতে না হয় সেদিকে সতর্ক (Bangladesh Crisis) থাকছে বিএসএফ

    সোমবার শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়ার পরপরই কলকাতায় এসে হাজির হয়েছিলেন দলজিত সিং। বিমান থেকে নামা মাত্রই বিএসএফের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। জানা গিয়েছে, এই বেঠকে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। এরপর মঙ্গলবার সকালেই ডিজি হাজির হলেন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। এখানেও বিএসএফের (BSF) দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন দলজিত, তারপর ঘুরে দেখেন সীমান্ত। প্রসঙ্গত, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এমন রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে চিন্তিত রয়েছে ভারতও। এই সময়ে যাতে কোনওভাবেই অনুপ্রবেশ না হয় সেদিকে সতর্ক থাকছে বিএসএফ।

    কাঁটাতারহীন সীমান্ত (Bangladesh Crisis) নিয়েই বেশি চিন্তিত বিএসএফ

    সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার (Bangladesh Crisis) করতে নাইট ভিশন ক্যামেরা নিয়ে সোমবারে রাতভর পাহারা দিয়েছে বিএসএফ। অশান্তির আগুনে এখনও জ্বলছে বাংলাদেশ। থানা এবং কারাগারগুলিতেও চলছে হামলা। সেখানকার একাধিক বন্দিকে এভাবেই মুক্ত করে দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। জানা গিয়েছে যে সমস্ত এলাকাতে কাঁটাতারের সীমান্ত নেই, সেই এলাকাগুলিতেই নাইট ভিশন ক্যামেরা লাগানো হয়েছে, যেমন দক্ষিণবঙ্গের ঘোজাডাঙ্গা, পেট্রাপোল ইত্যাদি। এর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের হিলি, ফুলবাড়ি চ্যাংড়াবান্ধায় বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে বিএসএফ। সূত্রের খবর, দক্ষিণবঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ ৫৩৮ কিলোমিটার অংশ জুড়ে নেই কোনও কাঁটাতার। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের ৩৭৫ কিমি অংশে কাঁটাতার নেই, কাঁটাতারহীন এই অংশ নিয়েই চিন্তিত বিএসএফ।

    ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট খোলা হয়েছে 

    তবে এরই মাঝে মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট খোলা হয়েছে বলে খবর মিলেছে। সকাল থেকেই দু’দেশের বাসিন্দাদের মধ্যে যাতায়াত শুরু হয়েছে। ভারত থেকে ২০০-এর বেশি পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে গিয়েছিল, সেই ট্রাকগুলিকে ফিরিয়ে আনার জন্য চালকেরা বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) গিয়েছেন। তবে পেট্রাপোল সীমান্তে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমদানি-রফতানি প্রক্রিয়া ও যাত্রী যাতায়াত বন্ধ রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sheikh Hasina: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, দেশ ছেড়েছেন হাসিনা, সীমান্তে নজরদারি বাড়াল ভারত

    Sheikh Hasina: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, দেশ ছেড়েছেন হাসিনা, সীমান্তে নজরদারি বাড়াল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। বাংলাদেশ এখন অগ্নিগর্ভ। সারা দেশের আন্দোলন এখন হিংসাত্মক এবং সাম্প্রদায়িক রূপ নিয়েছে। ঢাকার গণভবনে চলছে ব্যাপক লুটপাট। একাধিক জায়গায় ভাঙা হয়েছে শেখ মজিবুর রহমানের মূর্তি, হামলা করা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতেও। আওয়ামী লিগের অবশ্য দাবি, সবটাই জামাত-এ-ইসলামির ইন্ধনে হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান ঘোষণা করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে দেশ চালানো হবে। তাই এই আবহে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। ভারতের পূর্বাঞ্চলের সীমান্তে ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। কলকাতা থেকে এডিজি ইস্টার্ন কমান্ড বাহিনীকে সবরকম প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সীমান্তে। বিএসএফের ডিজি ইতিমধ্যে কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছেন।

    হাসিনার সুরক্ষার দায়িত্ব নেবে বিএসএফ (Sheikh Hasina)

    সূত্রের খরব, শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) ভারতের আগরতলায় অবতরণ করে সেখান থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন বলে খবর। ভারতে শেখ হাসিনা পদার্পণ করা পর্যন্ত তাঁর যাবতীয় নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার দায়িত্ব নেয় বিএসএফ। ভারতীয় সেনা সবটা দেখলেও মূল পরিচালনার কাজ করবে বিএসএফ। হাসিনা এবং তাঁর পরিজনরা যাতে ভারতে সুরক্ষিত ভাবে প্রবেশ করতে পারেন, সেই দিকে নজর রাখা হয়েছে। একই ভাবে আন্দোলনকারীরা যাতে ভারতে প্রবেশ করে অশান্তি না করতে পারে, সেই দিকেও খেয়াল রাখছে বিএসএফ।

    আরও পড়ুনঃ নেতার পর এবার সাংবাদিক! অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে হিন্দু নিধন হয়েই চলছে

    ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সম্পূর্ণ দখল নিয়েছে বিএসএফ

    উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার বিষয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এখনও কোনও সরকারি বিবৃতি প্রকাশ করেনি। কারণ বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি (Sheikh Hasina) একটি আভ্যন্তরীণ বিষয়। তাই আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই বিষয়ে ভারত মন্তব্য করেনি। কিন্তু সে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি তীব্র সঙ্কটে। যার প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং ত্রিপুরায়। এই জন্য সীমান্তে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বিএসএফ। জারি করা হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা। এদিকে, বাংলাদেশের এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে দিল্লির নর্থ ব্লক এবং সাউথ ব্লকে চরম তৎপরতা দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, বিদেশমন্ত্রক, প্রতিরক্ষামন্ত্রক, প্রধানমন্ত্রীর দফতর সবগুলিই এই এলাকায়। তবে কী ধরনের তৎপরতা রয়েছে তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট হয়নি। সীমান্তে যদি বাংলাদেশিরা প্রবেশ করতে চায় তাহলে কী ব্যবস্থা গ্রহণ হতে পারে, তা ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের পরই জানা যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Infiltration: মাত্র ৫ হাজার টাকায় ভারত-বাংলাদেশে সীমান্তে মুসলমান অনুপ্রবেশ! কীভাবে হয় জানেন 

    Infiltration: মাত্র ৫ হাজার টাকায় ভারত-বাংলাদেশে সীমান্তে মুসলমান অনুপ্রবেশ! কীভাবে হয় জানেন 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কোনও মুসলিম ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ (Infiltration) করতে পারে মাত্র ৫ হাজার টাকার  বিনিময়ে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের (India-Bangladesh border) পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলা হল চোরা পথের প্রধান প্রবেশ দ্বার, এই তথ্য স্বীকার করেছে খোদ এক অনুপ্রবেশকারী। এই ব্যক্তি বেঙ্গালুরু থেকে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে। ধৃতের নাম মহম্মদ হাফিজুল। বাংলাদেশি মুসলমান অনুপ্রবেশকারীদের মুক্তাঞ্চল যে পশ্চিমবঙ্গ, তা বারবার সংসদ এবং বিধানসভায় বিজেপির সাংসদ-বিধায়করা প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন। তাহলে এই রাজ্যের তৃণমূল শাসক কী কিরছে? অবশ্য লোকসভার ভোটের আগে হাবড়ার এক তৃণমূল নেত্রী অনুপ্রবেশকারীদের প্রকাশ্যে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। ফলে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকাগুলি কতটা সুরক্ষিত, তা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন।

    অনুপ্রবেশকারী যুবকের বক্তব্য (Infiltration)

    অনুপ্রবেশকারী (Infiltration) মুসলমান যুবক মহম্মদ হাফিজুল পুলিশের কাছে ধরা পড়ে অনর্গল হিন্দিতে বলছে, “বাংলাদেশের খুলনায় আমার বাড়ি। টাকা দিলে ওপার থেকে এপারে (India-Bangladesh border) আসা যায়। জনপ্রতি ভারতীয় টাকায় ৫ হাজার দিলে পশ্চিমবঙ্গে খুব সহজেই ঢোকা যায়। পুলিশ, বিএসএফ কেউ ধরেও না, কিছু জিজ্ঞেসাও করে না। তবে আমি চোর নই।”

    অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় পশ্চিমবঙ্গ

    বাংলাদেশ থেকে মুসলিম অনুপ্রবেশকারীরা (Infiltration) দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গ হয়ে সারা ভারতে যাচ্ছে। এই বিষয় নিয়ে অনেক বার রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। সীমান্তের বিএসএফ এবং পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এজেন্টরা সক্রিয় রয়েছে। তাদের চোরাকারবার এবং অনুপ্রবেশ করানো নিত্যদিনের ব্যবসা। একই সঙ্গে শুধু সীমান্তে অনুপ্রবেশ করানো নয়, তাদের আশ্রয় দিয়ে প্রয়োজনীয় ভোটার কার্ড, আধার কার্ডও টাকার বিনিময়ে করে দেওয়া হয়। আর এই কাজে সাহায্য করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। বাংলাদেশের অনুপ্রেবশকারীদের অধিকাংশের জাল প্রমাণপত্রের সূত্র সন্ধানে এই রাজ্যের নাম বার বার উঠে আসে। এমন দৃষ্টান্ত ছিল ২০১৪ সালের খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড। ওই অভিযুক্তিও অনুপ্রবেশকারী ছিল। এইরকম অবৈধ পাচারচক্র একই ভাবে অসম, ত্রিপুরা প্রদেশের সীমান্ত বরাবরও সক্রিয় বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: জমা জলে প্লাবিত কলকাতা বিমানবন্দর! আগামী ১২ ঘণ্টায় আরও ভারী বৃষ্টির ইঙ্গিত

    সীমান্ত কতটা সুরক্ষিত?

    সম্প্রতি সংসদে ঝাড়খণ্ডের সাংসদ নিশিকান্ত দুবে, পশ্চিমবঙ্গের মালদা, মুর্শিদাবাদ, বিহারের পূর্ণিয়া, কিষানগঞ্জ এবং ঝাড়খণ্ডের পাকুর সহ একাধিক অঞ্চলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী (Infiltration) মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে আঞ্চলিক জনবিন্যাস ও ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারকে পূর্ব ও উত্তরপূর্বের সীমান্ত এলাকায় সুরক্ষা এবং জনবিন্যাস বদলে যাওয়া নিয়ে সমীক্ষা করে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছেন। একই ভাবে রাজ্যের মুর্শিদবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার অত্যন্ত আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশি মুসলমান অনুপ্রবেশ নিয়ে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Union Home Ministry: কেন্দ্রের ঘোষণা, সেনা-গোয়েন্দাদের তথ্য দিলে মিলবে ৩ হাজার, আগে ছিল ৫০ টাকা

    Union Home Ministry: কেন্দ্রের ঘোষণা, সেনা-গোয়েন্দাদের তথ্য দিলে মিলবে ৩ হাজার, আগে ছিল ৫০ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধা সামরিক বাহিনী, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কার্যক্ষেত্রগুলিতে তথ্যদাতাদের (Informers) পুরস্কারের আর্থিক মূল্য অনেকটাই বাড়াল কেন্দ্র সরকার (Union Home Ministry)। স্থানীয়রা এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে আরও উৎসাহিত হবেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। একবারের জন্য তথ্য দিলেই মিলবে ৩ হাজার টাকা, আগে যা ছিল ৫০ টাকা। কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (সিএপিএফ), অসম রাইফেলস, ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডস (এনএসজি), ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি), ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) এবং ন্যাশনাল পুলিশ একাডেমি (এনপিএ)-এর আধিকারিকদের তথ্যদাতাদের পুরস্কার মূল্য বাড়ানোর (Union Home Ministry) ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।

    জুন মাসেই এই মর্মে একটি আদেশনামা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার (Union Home Ministry)

    চলতি বছরের জুন মাসেই এই মর্মে একটি আদেশনামা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং সেখানে বলা হয়েছে যে এতদিন পর্যন্ত তথ্যদাতাদের (Informers) পুরস্কার দেওয়া হত একবারের জন্য ৫০ টাকা এবং এক বছরের জন্য ৫০০ টাকা। এই সীমা বাড়িয়ে একবার যাঁরা তথ্য দেবেন তাঁদের জন্য পুরস্কার মূল্য করা হয়েছে ৩,০০০ টাকা এবং বার্ষিক এই পরিমাণ করা হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। প্রসঙ্গত, এই আদেশনামা সংশোধিত হয়েছিল শেষবারের মতো ২০০২ সালে, অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ২২ বছর আগে।

    দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তথ্যদাতারা

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালেই কেন্দ্রীয় সরকার পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমের আন্তর্জাতিক সীমানার (Union Home Ministry) ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত নিজেদের আওতায় নেয়। আগে এই সীমা ছিল ১৫ কিমি। এই বৃত্তের মধ্যে বিএসএফ যে কোনও ব্যক্তিকে তল্লাশি চালাতে পারবে অথবা গ্রেফতারও করতে পারবে। প্রসঙ্গত, পুলিশের কাছ থেকে এই ক্ষমতা নিয়ে নেয় বিএসএফ। দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তথ্যদাতারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা বজায় রাখতে তাঁরা সেনাবাহিনী সমেত গোয়েন্দাদের সাহায্য করেন। ২২ বছর পরে তাঁদের পুরস্কার মূল্য বাড়া, অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF Chief: জঙ্গি অনুপ্রবেশের জের! বিএসএফের প্রধান এবং উপপ্রধানকে অপসারণ করল কেন্দ্র

    BSF Chief: জঙ্গি অনুপ্রবেশের জের! বিএসএফের প্রধান এবং উপপ্রধানকে অপসারণ করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএসএফ-এর ডিরেক্টর জেনারেল (BSF Chief) নিতীন আগরওয়াল এবং তাঁর ডেপুটি স্পেশাল ডিজি (পশ্চিম) ওয়াই বি খুরানিয়াকে শুক্রবার পদ থেকে অপসারণ করল কেন্দ্র। পদস্থ এই দুই অফিসারকে অবিলম্বে তাদের রাজ্য ক্যাডারে ফেরত পাঠানোর নির্দেশও জারি করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জম্মু ও কাশ্মীরের আন্তর্জাতিক সীমানা (Border Security Force) পেরিয়ে বার বার জঙ্গি অনুপ্রবেশ এবং উপত্যকায় অশান্তির কারণে এই পদক্ষেপ হতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। আবার অনেকের অনুমান বাহিনীর মধ্যে বোঝাপড়া ঘটাতে ব্যর্থ এই দুই অফিসার। সামনেই স্বাধীনতা দিবস। দেশের নিরাপত্তা জোরদার করতে তাই এই পদক্ষেপ করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

    কেন অপসারণ (Border Security Force) 

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, বিএসএফ প্রধানের (BSF Chief) বিরুদ্ধে সমন্বয়ের অভাব সহ গুরুতর বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ক্রমাগত অনুপ্রবেশ এবং একের পর এক জঙ্গি হামলার জেরে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ। মন্ত্রকের এক অফিসারের কথায়,”বাহিনীর মধ্যে নিয়ন্ত্রণের অভাব এবং অন্যান্য সহযোগী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের অভাবের কারণেই ওই দুই অফিসারকে পদ খোয়াতে হল।” বিএসএফের প্রায় ২.৬৫ লাখ কর্মী রয়েছেন যাঁরা পশ্চিমে পাকিস্তান এবং পূর্বে বাংলাদেশের সীমান্ত পাহারা দেয়। কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে সীমান্তে (Border Security Force) একের পর এক জঙ্গি হামলার জেরে বাহিনীর কার্যকারিতা নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন। এবার বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র।  

    আরও পড়ুন: বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে রাহুল গান্ধী

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা

    বিএসএফের ডিজির (BSF Chief) পদে ছিলেন নীতিন আগরওয়াল। তিনি গত বছরের জুন মাসে ওই পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। সময়ের আগেই তাঁকে অপসারিত করে রাজ্য স্তরের ক্যাডারে ফেরত পাঠানো হল। অন্য দিকে, স্পেশাল ডিজি (পশ্চিম) পদে এত দিন ছিলেন ওয়াইবি খুরানিয়া। তাঁকেও রাজ্যে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ১৯৮৯ সালের কেরল ক্যাডারের আধিকারিক ছিলেন নীতিন। খুরানিয়া ছিলেন ১৯৯০ সালের ওড়িশা ক্যাডারে। দু’জনকেই সময় শেষ হওয়ার আগেই পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। শুক্রবার পৃথক ভাবে দু’টি বিজ্ঞপ্তিতে সেই নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। দ্রুত এই নির্দেশ কার্যকর করতেও বলা হয়েছে। তবে ওই দুই পদের দায়িত্বে কাদের আনা হচ্ছে তা এখনও স্পষ্ট করেনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share