Tag: BSF

BSF

  • Nadia: চ্যালেঞ্জ করতেই হাঁসুয়া নিয়ে আক্রমণ, বিএসএফের গুলিতে ঝাঁঝরা বাংলাদেশি চোরাচালানকারী

    Nadia: চ্যালেঞ্জ করতেই হাঁসুয়া নিয়ে আক্রমণ, বিএসএফের গুলিতে ঝাঁঝরা বাংলাদেশি চোরাচালানকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হল বাংলাদেশি এক চোরাচালানকারীর। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার মধ্য রাতে নদিয়ার (Nadia) ভীমপুর থানার অন্তর্গত রাঙিয়াপোতা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। মৃতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। বিএসএফ রাতেই গুলিবিদ্ধ দেহটি কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    বাধা পেয়েই গুলি (Nadia)

    সূত্রের খবর, বুধবার রাতে একদল বাংলাদেশি এদেশে ভীমপুর থানার (Nadia) রানিয়াপোতা বিওপি’র অধীনস্থ এলাকা দিয়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছিল। তখন ওই এলাকায় কর্মরত এক বিএসএফ কর্মী বাধা দিতে গেলে তাকে ঘিরে ফেলে এবং ধারালো হাসুয়া দিয়ে তার ওপর আক্রমণ চালাতে যায়। এরপর ওই বিএসএফ কর্মী গুলি চালাতে শুরু করে। পালাবার সময় গুলিতে জখম হয় একজন। পরে আরও বিএসএফ কর্মী ঘটনাস্থলে জমায়েত হয়ে ওই এলাকায় তল্লাশি করার সময় একটি ঝোপের মধ্যে ওই ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে বিএসএফ কর্মীরা এবং সেখানে তল্লাশি করার সময় উদ্ধার হয় এক বস্তা নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ। তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় জেলা হাসপাতালে। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে জানান। গুলি তার পায়ে লাগে। তার পর মৃতদেহ পুলিশমর্গে রাখা হয় ময়নাতদন্ত জন্য। বিএসএফের পক্ষ থেকে ভীমপুর থানায় সীমান্ত দিয়ে নিষিদ্ধ মাদক পাচারকারী হিসেবে একটি মামলা রুজু করা হয়। ওই ব্যক্তির পরিচয় কী এবং সঙ্গে কারা কারা ছিল, সমস্তটা জানার চেষ্টা করছে ভীমপুর থানা পুলিশ।

    একের পর এক ঘটনা

    উল্লেখ্য, সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা বারবার রুখে দিয়েছে বিএসএফ। কয়েকদিন আগেও বিএসএফের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক পাচারকারীর। ঘটনাটি ঘটেছিল নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ বর্ডার এলাকার (Nadia)। গভীর রাতে নোনাগঞ্জ বর্ডার এলাকায় এক পাচারকারী সীমান্তে থাকা কাঁটাতার কাটছিল। তখন বিএসএফের তরফ থেকে তাকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়। অভিযোগ, ঠিক তখনই ওই পাচারকারী বিএসএফকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর বিএসএফের তরফ থেকেও তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। ওই পাচারকারীর গায়ে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। যদিও পরবর্তীকালে তাকে উদ্ধার করে কৃষ্ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    তারও আগে ধানতলা থানার (Nadia) দত্তপুলিয়ায় ফেন্সিং না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইছামতী নদীর ব্রিজের নিচ দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে ৬ থেকে ১০ টি গরু পাচার করার চেষ্টা করেছিল পাচারকারীরা। অভিযোগ, বিএসফের জওয়ানরা গরু পাচারকারীদের আটকাতে গেলে পাচারকারীরা বিএসএফকে লক্ষ্য করে পাথর ও বোমা ছোড়ে। পরে বিএসএফ কাউন্টার ফায়ার করলে বেশ কয়েকজন গরু পাচারকারী আহত হয়। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশ পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে যায় এক গরু পাচারকারী। তাকে পরবর্তীকাল ধানতলা পুলিসের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ।

    পিছনে বড় বড় গাং

    বিএসএফের পাচারকারীদের এটা কোনও প্রথম ঘটনা নয়। গরু পাচার থেকে শুরু করে সোনার বিস্কুট সহ একাধিক জিনিস কখনও বাংলাদেশ থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে (Nadia), আবার কখনও ভারতের বর্ডার পার করে বাংলাদেশে পাচার হয়। বড় বড় গ্যাং কাজ করে এইসব পাচার চক্রের পিছনে। এর আগেও বিএসএফের তরফ থেকে পাচার চক্র রোধে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা চালানো হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BSF: নিজের ঘরে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী বিএসএফ আধিকারিক, চাঞ্চল্য

    BSF: নিজের ঘরে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী বিএসএফ আধিকারিক, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী  হলেন এক বিএসএফ (BSF) আধিকারিক। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি সীমান্তের চকগোপাল বিওপিতে ঘটেছে। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিএসএফের ওই ক্যাম্পে। মৃত বিএসএফ আধিকারিকের নাম ওমপ্রকাশ মীনা (৪৮)। তাঁর বাড়ি রাজস্থানে। বিএসএফের ১৩৭ নম্বর ব্যাটেলিয়ের সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। পারিবারিক অশান্তি ছিল না কি না তা জানতে তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলা হবে। সম্পর্কের কোনও টানাপোড়েন রয়েছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, কাজের জায়গায় কোনও সমস্যা ছিল না কি না সেই বিষয়টিও নজরে রাখছে পুলিশ। তবে, এখনও পর্যন্ত ওই বিএসএফ আধিকারিক কেন আত্মহত্যা করলেন, সে ব্যাপারে ধোঁয়াশা রয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BSF)

    বিএসএফ সূত্রে খবর, বর্তমানে বিএসএফের (BSF) আধিকারিক চকগোপাল বিওপিতে ছিলেন। এমনিতেই তিনি নিয়ম করে তিনি ডিউটি করতেন। শনিবার সন্ধ্যায় নিজের ঘরেই আত্মঘাতী হন ওই বিএসএফ আধিকারিক। নিজের রিভলবার দিয়ে পর পর চার রাউন্ড গুলি চালান ওই বিএসএফ জওয়ান। সব কটি গুলি নিজের বুক লক্ষ্য করে চালিয়েছিলেন ওই জওয়ান। গুলির আওয়াজ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তাঁর সহকর্মীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে তাঁকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে আসে বালুরঘাট থানার আধিকারিক, বিএসএফের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা। কী কারণে ওই বিএসএফ আধিকারিক আত্মঘাতী হল তা নিয়ে ধন্দে বিএসএফের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা। রবিবার মৃত ওই বিএসএফ জওয়ানের দেহের ময়না তদন্ত করা হয়।  তারপর তাঁর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

    সহকর্মীরা কী বললেন?

    সহকর্মীদের বক্তব্য, আচমকা ঘরের ভিতর থেকে পর পর গুলির আওয়াজ শুনে আমরা চমকে উঠি। প্রথমে বাইরের কেউ হামলা করল কি না  ভেবে আমরা ছুটে যাই। ঘরের ভিতর রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখি। এভাবে নিজে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হবেন তা আমি ভাবতে পারিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: বাইকে করে পাচারের চেষ্টা রুখে দিল বিএসএফ, মিলল ২৩ কেজি সোনা

    North 24 Parganas: বাইকে করে পাচারের চেষ্টা রুখে দিল বিএসএফ, মিলল ২৩ কেজি সোনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় মাপের সোনা পাচারের রহস্য ফাঁস করল সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বাগদায় ১৪ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার করল বিএসএফ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ২৩ কেজি বিদেশি সোনা আটক করেছে বিএসএফ। সেই সঙ্গে একজন পাচারকারীকেও আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র শোরগোল পড়েছে। চোরাচালান আটকাতে বিএসএফ ভীষণ তৎপর বলে মনে করছেন এলাকার মানুষ। 

    কীভাবে ধরা পড়ল সোনা পাচারকারী (North 24 Parganas)?

    ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) রণঘাট এলাকায়, বিএসএফ সোনা পাচারের প্রচেষ্টাকে আটকে দিল। সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে পাচারকারীরা বাইকের এয়ার ফিল্টারের মধ্যে লুকিয়ে সোনা নিয়ে যাচ্ছিল। ৫০টি সোনার বিস্কুট এবং ১৬ টি সোনার বার সহ একজন চোরাকারবারিকে ধরা হয়েছে। মোট উদ্ধারকৃত সোনার পরিমাণ হল ২৩ কেজি। যার বাজারমূল্য হল ১৪ কোটি টাকা। ধৃতের কাছ থেকে জানা গেছে, অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছিল এই সোনা। এই অভিযুক্তকে ধরার পর সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী্র বাগদা কাস্টম অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।

    গোপন সূত্রে মিলেছিল খবর

    গোপন সূত্রে বিএসএফ খবর পায়, ভ্যান মোড় (North 24 Parganas) দিয়ে সোনা পাচার হবে। এরপর কমান্ডোদের নেতৃত্বে শুরু হয় নজরদারি। ইতিমধ্যে এক বাইক আরোহীকে সন্দেহ হলে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে তারা। কিন্তু আরোহী ভয় পেয়ে বাইক ফেলে পালিয়ে যেতে চাইলে, তাকে ধরে ফেলে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী। এরপর তাকে ধরে সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে গিয়ে তল্লাশি শুরু হলে, বাইকের এয়ার ফিল্টার থেকে সোনা উদ্ধার হয়। ধৃত ব্যক্তির নাম ইন্দ্রজিৎ পাত্র। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার কুলিয়াতে। ইন্দ্রজিতের দাদার সোনার দোকান রয়েছে। রণঘাট থেকে সোনা বনগাঁয় পৌঁছে দেওয়ার জন্য ১৫ হাজার টাকা চুক্তি হয়েছিল বলে জানা গেছে। এই কাজ করতে গিয়েই সে ধরা পড়ে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: সীমান্তে কাঁটাতার কেটে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, বিএসফের গুলিতে হত পাচারকারী

    Nadia: সীমান্তে কাঁটাতার কেটে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, বিএসফের গুলিতে হত পাচারকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএসএফের সঙ্গে পাচারকারীর গুলির লড়াই! বিএসএফের (Nadia) গুলিতে মৃত্যু এক পাচারকারীর। ঘটনাটি নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ বর্ডার এলাকার। জানা যায়, গতকাল গভীর রাতে নোনাগঞ্জ বর্ডার এলাকায় এক পাচারকারী সীমান্তে থাকা কাঁটাতার কাটছিল। তখন বিএসএফের তরফ থেকে তাকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়। অভিযোগ, ঠিক তখনই ওই পাচারকারী বিএসএফকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর বিএসএফের তরফ থেকেও তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। ওই পাচারকারীর গায়ে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। যদিও পরবর্তীকালে তাকে উদ্ধার করে কৃষ্ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    পরিচয় জানার চেষ্টা

    তবে মৃত ওই পাচারকারীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। বিএসএফ এবং কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশের যৌথ উদ্যোগে ওই ব্যক্তির পরিচয় এবং ঠিকানা জানার চেষ্টা চলছে। মূলত ওই ব্যক্তি কী পাচার করত এবং কোন গ্যাঙের সঙ্গে যুক্ত, তাও জানার চেষ্টা করছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (Nadia)। অন্যদিকে ওই পাচারকারীর মৃতদেহ আজ ময়নার তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।

    আগেও একই ধরনের ঘটনা

    প্রসঙ্গত এর আগেও ধানতলা থানার (Nadia) দত্তপুলিয়ায় ফেন্সিং না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইছামতী নদীর ব্রিজের নিচ দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে ৬ থেকে ১০ টি গরু পাচার করার চেষ্টা করেছিল পাচারকারীরা। অভিযোগ, বিএসফের জওয়ানরা গরু পাচারকারীদের আটকাতে গেলে পাচারকারীরা বিএসএফকে লক্ষ্য করে পাথর ও বোমা ছোড়ে। পরে বিএসএফ কাউন্টার ফায়ার করলে বেশ কয়েকজন গরু পাচারকারী আহত হয়। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশ পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে যায় এক গরু পাচারকারী। তাকে পরবর্তীকাল ধানতলা পুলিসের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ।

    পিছনে বড় বড় গাং

    বিএসএফের পাচারকারীদের এটা কোনও প্রথম ঘটনা নয়। গরু পাচার থেকে শুরু করে সোনার বিস্কুট সহ একাধিক জিনিস কখনও বাংলাদেশ থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে (Nadia), আবার কখনও ভারতের বর্ডার পার করে বাংলাদেশে পাচার হয়। বড় বড় গ্যাং কাজ করে এইসব পাচার চক্রের পিছনে। এর আগেও বিএসএফের তরফ থেকে পাচার চক্র রোধে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা চালানো হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Drug seizure chart: বিএসএফের রিপোর্টে মাদক পাচারে শীর্ষে পঞ্জাব, রাজস্থান, ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গ

    Drug seizure chart: বিএসএফের রিপোর্টে মাদক পাচারে শীর্ষে পঞ্জাব, রাজস্থান, ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদক পাচারে (Drug seizure chart) বিএসএফ (BSF) চার রাজ্যের নাম সবার শীর্ষে রেখেছে। এরা হল পঞ্জাব, রাজস্থান, ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গ। উল্লেখ্য, চার রাজ্যের মধ্যে একমাত্র বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরা। বাকি পঞ্জাবে আপ সরকার, রাজস্থানে কংগ্রেস সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকার। সব মিলিয়ে এই চার রাজ্যে মাদক চোরাচালানের বিষয়ে সীমা সুরক্ষা বলের এই প্রতিবেদনে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রতিবেদন রাজ্যসভায় পেশ করেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে উদ্ধার হওয়া গাঁজার পরিমাণ হল ২০২০ সালে ৬০৮২ কেজি ১৩১ গ্রাম, ২০২১ সালে ৫৭০৫ কেজি ৯৯৫ গ্রাম, ২০২২ সালে ৯০৯৬ কেজি এবং ২০২৩ সালে ৩৬৬৫ কেজি ৫৪৩ গ্রাম। 

    স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কী বললেন রাজ্যসভায় (Drug seizure chart)?

    রাজ্যসভায় গত ৯ই অগাস্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বিশেষ প্রশ্নের জবাবী ভাষণ মাদক (Drug seizure chart) উদ্ধার বিষয়ে বলেন, ২০২০ সালে পঞ্জাব থেকে ৫০২ কেজি ২৪১ গ্রাম হেরোইন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এর আগে ২০২১ সালে ৪৮৫ কেজি ৫৮১ গ্রাম, ২০২২ সালে ৩২০ কেজি ৮৮৪ গ্রাম এবং ২০২৩ সালে ২৪৮ কেজি ১০৩ গ্রাম করে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, ভারতীয় সীমা সুরক্ষা বল পঞ্জাব, রাজস্থান, ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে সবথেকে বেশি গাঁজা উদ্ধার করেছে এই বছর। এছাড়াও জম্মু-কাশ্মীরেও বিএসএফ হেরোইন উদ্ধার করেছে ২০২০ সালে ৬১ কেজি, ২০২১ সালে ৩৭ কেজি ৯৪৫ গ্রাম, ২০২০ সালে ৪৯ কেজি ৪০০ গ্রাম। গুজরাট থেকে ৬৯ কেজি চরস উদ্ধার করা হয়েছে এই বছর। ত্রিপুরা থেকে ২০২৩ সালে ১১৩৩২ কেজি ৮১০ গ্রাম গাঁজা, আসাম থেকে এই বছর ১৮১ কেজি ৩৯৫ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার হয়েছে।

    রাজস্থানে কত মদক উদ্ধার

    প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেন, রাজস্থান থেকে বিএসএফ ২০২০ সালে ৮ কেজি ৯৬০ গ্রাম, ২০২১ সালে ৬৪কেজি  ৬৪০ গ্রাম, ২০২২ সালে ২৩ কেজি ৯৭৮ গ্রাম, ২০২৩ সালে ৪৪ কেজি ৫৯৪ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করেছে। এর পাশাপাশি আফিম উদ্ধার (Drug seizure chart) হয়েছে ২০২০ সালে ৭০ কেজি, ২০২১ সালে ২৩ কেজি, ২০২২ সালে ১০৬ কেজি। এই উদ্ধার কৃত মাদক রাজ্য পুলিশ, মাদক দমন শাখা (নারকোটিক্স কন্ট্রোল বিউরো) দের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে।

    কোন আইনে মাদক দমন কার্যকর

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানান, বিএসএফ, এসএসবি, অসম রাইফেলস এবং ভারতীয় কোস্ট গার্ডকে স্থল ও সমুদ্র সীমান্তে মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ করার জন্য নারকোটিক্স ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস (এনডিপিএস) আইন ১৯৮৫ দ্বারা মাদক (Drug seizure chart)  নিয়ন্ত্রণে  বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: জলঙ্গির ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ-গরু পাচারকারীদের গুলির সংঘর্ষ, মৃত এক

    Murshidabad: জলঙ্গির ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ-গরু পাচারকারীদের গুলির সংঘর্ষ, মৃত এক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জলঙ্গিতে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে গরু পাচারকারীদের সঙ্গে বোমা-গুলির লড়াইয়ে নিহত এক পাচারকারী। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তরেখার কাছেই। মৃতের নাম মমিনুল ইসলাম। জলঙ্গিতেই এই পাচারকারীর বাড়ি। এলাকায় বিএসএফ-পাচারকারীদের সংঘর্ষে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে ।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Murshidabad)?

    জলঙ্গির (Murshidabad) সীমান্ত ঘেঁষা সরকারপাড়া এলাকায় গতকাল রাতে সংঘর্ষ হয় বলে জানা গেছে। রাতের বেলায় আচমকাই গ্রামবাসীরা বোমাবাজির শব্দ শুনতে পান। তারপর খবর হয়, পাচারকারীদের সঙ্গে সীমান্ত বাহিনীর লড়াই বেধেছে। বিএসএফ সূত্রের খবরে জানা যায়, সীমান্তের কাঁটাতারকে টপকে চলছিল অবৈধভাবে গরু পাচার। প্রথমে বিএসএফ বাধা দিলেও, কোনও বক্তব্য শোনেনি পাচারকারীরা। এরপর সতর্ক করে রবার বুলেট ছোড়া হয় কিন্তু পাল্টা বিএসএফকেই লক্ষ্য করে পাচারকারীরা বোমা এবং গুলিবর্ষণ শুরু করে। কিন্তু এরপর বিএসএফের গুলির জবাবে এক পাচারকারী গুলির আঘাতে আহত হয়। উল্লেখ্য বিএসএফ খুব স্পষ্ট করে জানায় যে তাদের আত্মরক্ষার জন্যই গুলি করতে হয়েছে। এরপর আহত মমিনুলকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে জানা যায়। মৃতদেহ এরপর জলঙ্গি থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। 

    পরিবারের বক্তব্য

    পরিবারের (Murshidabad) পক্ষ থেকে জানা যায়, রাজ্যে কোনও কাজ নেই, তাই মমিনুল নিজে বাইরের রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করত। ঈদের সময় বাড়িতে এসেছেন, তারপর আর ভিন রাজ্যে যায়নি। এলাকার গরু পাচারকারীদের সঙ্গে ৫০০ টাকার বিনিময়ে কাজ করতে যেত সে। গত দু’ দিন আগে বাড়ি থেকে গেলেও, ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না তাকে। তার মূলত কাজ ছিল, গরুকে বাংলাদেশের সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া। মমিনুলের স্ত্রী মিনা বিবি জানান, গরু পাচার কাজের জন্য মূলত গরুগুলিকে দেখেশুনে নিয়ে যাওয়ার কাজ করত সে। সকালে পুলিশের কাছে খবর পাই, বিএসএফের গুলিতে মারা গিয়েছে ও।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Central Force: কমিশনের অসহযোগিতাতেই বাহিনী নিয়ে জটিলতা, পাল্টা তোপ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

    Central Force: কমিশনের অসহযোগিতাতেই বাহিনী নিয়ে জটিলতা, পাল্টা তোপ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার যাবতীয় দায় শনিবার দুপুরেই রাজীব সিনহা কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) ঘাড়ে চাপিয়েছিলেন। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দেখা গেল রাজীবের তত্ত্ব মিথ্যা। অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সাফ জানিয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন সাহায্য করেনি বলেই বাহিনী যথা সময়ে আসতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গে। সহযোগিতা পেলে ভোটের আগে ৮২৫ কোম্পানি বাহিনী হাজির হত বাংলায়।

    রাজ্য জুড়ে হিংসা ও রাজীবের সাংবাদিক সম্মেলন

    ভোটের সকাল থেকেই জেলায় জেলায় হিংসা, বোমাবাজি, মৃত্যুর খবর আসতে থাকে। নিজেদের দায় ঝেড়ে ফেলতে তড়িঘড়ি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে রাজীব সাংবাদিক বৈঠক করেন দুপুর ২ টো নাগাদ। তিনি বলেন, ‘‘নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। শনিবার পর্যন্ত ৬৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে এসে পৌঁছতে পেরেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর আসতে এত দেরি হল কেন? আমরা তো বাহিনী চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম ২২ জুন। তারপর মনেও করিয়েছিলাম বেশ কয়েক বার। তা সত্ত্বেও ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী দিতে জুলাই মাসের ৩ তারিখ হয়ে গেল! আমার মনে হয় আরও কিছু আগে বাহিনী এলে সুবিধা হত।’’

    অমিত শাহের মন্ত্রকের পাল্টা উত্তর

    রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, যে সমস্ত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) ছিল, সেখানে কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। বরং কোনও বুথ দখলের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা দেখলেই কড়া হাতে দমন করেছে বাহিনী। কিন্তু কোন বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে আর কোন বুথে থাকবে না, সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জেলাশাসক। স্পর্শকাতর বুথগুলিকে চিহ্নিত করে সেখানে আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার কথা ছিল কমিশনের কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা হয়নি বলেই জানিয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রক। এই ইস্যুতে একাধিক অভিযোগ কমিশনের বিরুদ্ধে এনেছে স্বরাষ্ট মন্ত্রক। মন্ত্রকের মতে, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য অনেক দেরিতে অনুরোধ করেছে কমিশন। রাতারাতি বাহিনী পাঠনো যায় না, তাদের প্রশিক্ষণ সমেত অন্যান্য ব্যবস্থা করতে সময় লাগে। অমিত শাহের মন্ত্রক আরও জানাচ্ছে, বাহিনীকে কোথায় নামতে হবে, কোথায় তাদের থাকার ব্যবস্থা হবে, এনিয়ে আলোচনা এড়িয়ে গিয়েছে কমিশন। তারা বার বার দায় সেরেছে একটা কথাতেই, ‘জেলাশাসক’ নির্দেশ দেবেন এব্যাপারে। এছাড়া কমিশনের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, কিছু বাহিনী শনিবার সন্ধ্যায় নামে, এই বাহিনীকে স্ট্রংরুমের পাহারার কাজে লাগানো যেত। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি কমিশন।

    অশান্তির ঘটনার সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) সম্পর্ক নেই, দাবি বিএসএফের

    প্রথম দিন থেকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বাহিনী মোতায়েনের তালিকা ও স্পর্শকাতর বুথের তালিকা চেয়েও পাননি বিএসএফ এবং সিআরপিএফ কর্তারা। অন্য দিকে তাঁরা জানাচ্ছেন, শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেখানে যেখানে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে, তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ ওই জায়গায় রাজ্য পুলিশ মোতায়েন ছিল।

     

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে অবাধ ছাপ্পা, হিংসা, প্রতিবাদে ‘ঠুঁটো’ নির্বাচন কমিশনের দফতরে তালা শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: কমিশন নিজের মতো বাহিনী মোতায়েন করেছে, বিস্ফোরক বিএসএফ কর্তা

    Panchayat Election 2023: কমিশন নিজের মতো বাহিনী মোতায়েন করেছে, বিস্ফোরক বিএসএফ কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএসএফ আগেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছিল স্পর্শকাতর বুথের তালিকা। অভিযোগ, দিচ্ছি দেবো করে বার বার এড়িয়ে গিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। শুক্রবার রাতেও অনেক বার আমরা চেয়েছিলাম স্পর্শকাতর বুথের তালিকা (Panchayat Election 2023)। কিন্তু কমিশন এবং কমিশনার সেই তালিকা দেয়নি। যার ফলে বাহিনী এলেও তাকে কোথায় কীভাবে মোতায়েন করা হবে, তা কিছুই জানাতে পারেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। দশম পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএসএফের পক্ষ থেকে এমনই দাবি করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, কমিশন তার নিজের মতো করে বাহিনীকে মোতায়েন করেছে। শনিবার রাজ্যে যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে এবং তাতে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী কোন অংশেই দায়ী নয় বলে বিএসএফের পক্ষ থেকে ট্যুইট করা হয়েছে।

    বাহিনী পাঠাতেও দেরি করেছে কমিশন (Panchayat Election 2023)

    এমনকী বিএসএফ এটাও জানায়, দূর দূরান্ত থেকে যে বাহিনী এসেছে, তাদের সবাইকেই প্রথমে আনা হয়েছে কলকাতায়। তারপর ফের পাঠানো হয়েছে দূর দূরান্তের সব জেলায়। আর এখানেই দেখা দিয়েছে যত বিপত্তি। তার কারণ রাজ্যে বাহিনী এসে পৌঁছালেও তাদের সঠিক জায়গায় পাঠাতে অনেক দেরি করেছে কমিশন। কমিশনের এই চূড়ান্ত অব্যবস্থার কথা জানিয়ে শনিবার বিএসএফের আইজি এস সি বুধাকোটি কমিশনার রাজীব সিনহাকে চিঠি দিয়েছেন, যা নিয়ে কমিশনার (Panchayat Election 2023) মুখে কুলুপ এঁটেছেন। অর্থাৎ গাফিলতিতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিকভাবে মোতায়েন করতে যে কমিশন চূড়ান্ত ভাবে ব্যর্থ হয়েছে, সে কথা বিএসএফের আইজি এস সি বুধাকোটি স্পষ্ট করে দিয়েছেন।

    অশান্তির (Panchayat Election 2023) ঘটনার সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সম্পর্ক নেই, দাবি বিএসএফের

    প্রথম দিন থেকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বাহিনী মোতায়েনের তালিকা ও স্পর্শকাতর বুথের তালিকা চেয়েও পাননি বিএসএফ এবং সিআরপিএফ কর্তারা। অন্য দিকে তাঁরা জানাচ্ছেন, শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেখানে যেখানে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে, তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ ওই জায়গায় রাজ্য পুলিশ মোতায়েন ছিল। এ ক্ষেত্রে তাঁদের কোনও গাফিলতি নেই বলে দাবি করেন বুধাকোটি। বেলা গড়াতেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার (Panchayat Election 2023) রাজীব সিনহা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বাহিনী দিতে যদি এত দেরি না করত, তাহলে রাজ্যে এই হিংসার ঘটনা ঘটত না। আর এখান থেকেই বিএসএফের সঙ্গে কমিশনের ফের টক্কর শুরু হয়েছে। একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপাতে গিয়ে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সকাল থেকেই একের পর এক নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে গিয়েছে। চলে গিয়েছে বারোটি প্রাণ ,চলেছে গুলি, ফেটেছে বোমা, ঝরেছে রক্ত, অশান্ত হয়েছে বাংলা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: হিংসার ঘটনা এত বেশি কেন? বিএসএফের সঙ্গে বৈঠকে প্রশ্ন রাজ্যপালের

    Cooch Behar: হিংসার ঘটনা এত বেশি কেন? বিএসএফের সঙ্গে বৈঠকে প্রশ্ন রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকায় হিংসার ঘটনা এত বেশি কেন? এই প্রশ্ন তুলে কোচবিহারের (Cooch Behar) সীমান্তবর্তী এলাকায় সীমা সুরক্ষা বল অর্থাৎ বিএসএফের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সকাল ১১ টায় সিতাইয়ে যাওয়ার সময় ৭৫ নম্বর বিএসএফ বিওপিতে বিশেষ বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে সীমান্তের চোরাচালান, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সমস্যা এবং আন্তর্জাতিক দুষ্কৃতীদের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে।

    কেন গেলেন রাজ্যপাল (Cooch Behar)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই দক্ষিণের জেলাগুলির মতো উত্তরের জেলাগুলিতেও ভোটের মনোনয়ন, মনোনয়ন প্রত্যাহার এবং নির্বাচনী প্রচারকে ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষের কথা উঠে আসে। ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গের চোপড়া এবং দিনহাটাতে শাসকচ-বিরোধীদের সংঘর্ষে প্রাণ গেছে বেশ কিছু বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের। এখনও পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Cooch Behar) সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গ্যাংওয়ারেই এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশের পরিচয়পত্র অনুযায়ী মৃতের নাম ছিল মহঃ আব্দুর রহমান। ফলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, চোরাকারবারীদের বিষয় এবং পঞ্চায়েত ভোটের বিষয় নিয়ে হিংসামুক্ত, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে তৎপর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই রাজ্যে নির্বাচনের আগে গণতন্ত্রের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শনও করছেন রাজ্যের রাজ্যপাল।

    ভোট নিয়ে রাজ্যপালের অবস্থান

    শাসক দলের নেতারা বার বার অভিযোগ তুলেছেন, রাজ্যপাল কেবল মাত্র বিরোধীদের বাড়িতে যাচ্ছেন! কিন্তু রাজ্যপাল গীতালদহের জারি ধরলা গ্রামে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। এমনকী হাসপাতালেও গিয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল কোচবিহার (Cooch Behar) সার্কিট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলন করে স্পষ্ট করে বলেছিলেন, হিংসার সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে আইনের শাসন কার্যকর করার কথা বলেন। হাইকোর্টের আদেশকে অক্ষরে অক্ষরে পালনের কথা বলেন রাজ্যপাল। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোর কথাও বলেছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: ভোট এলেই প্রতিশ্রুতির বন্যা, জীবনের আঁধার আজও কাটল না!

    Dakshin Dinajpur: ভোট এলেই প্রতিশ্রুতির বন্যা, জীবনের আঁধার আজও কাটল না!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের পর ভোট আসে, আসেন নেতারাও। তারপর ভোট যায়, আর দেখা পাওয়া যায় না তাঁদের। বছরের পর বছর সেই আঁধারেই থেকে যান সীমান্ত অঞ্চলের বাসিন্দারা। কাঁটাতারে আটকে গিয়েছে তাঁদের স্বাধীনতাও। ভারতীয় ভূখণ্ডে বাস করেও ভারতীয় হওয়ার স্বাদ নিতে পারেন না তাঁরা। সমস্যার সুরাহা হওয়ার প্রতিশ্রুতি মেলে, কিন্তু সুরাহা মেলে না বলেই আক্ষেপ স্থানীয় বাসিন্দাদের। আবারও ভোট আসছে। প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে আশ্বাস দিচ্ছেন। তবে এবার আর নিছক আশ্বস্ত হয়ে থামতে চান না তাঁরা। সীমান্তবর্তী এই এলাকার সমস্যার পুরোপুরি সমাধান চাইছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানা এলাকার ওই সব গ্রামের বাসিন্দারা। দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার তিন দিকে রয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত। দৈর্ঘ্যে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার সেই সীমান্ত। তার মধ্যে এখনও ৩০ কিলোমিটার এলাকায় নেই কাঁটাতার। আর অন্যদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানা এলাকাতেই বেশ কয়েকটি গ্রাম রয়েছে, যা কাঁটাতারের ওপারে। ভারতীয় হলেও গ্রামগুলির বাসিন্দারা দিনের পর দিন এক অদ্ভূত সঙ্কটে কাটাচ্ছেন। ফলে ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হলেও এখনও স্বাধীনতার স্বাদ অধরা তাঁদের কাছে।

    কী অভিযোগ গ্রামবাসীদের (Dakshin Dinajpur)?

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সীমান্তে ওই এলাকায় বাস করার কারণে তাঁরা সাধারণ ভারতীয়ের মতো সুযোগ পান না। বঞ্চিত হন অনেক সুবিধা থেকেও। স্বাধীনভাবে চলাচল করার সুযোগ পর্যন্ত তাঁদের নেই। গ্রামবাসীরা (Dakshin Dinajpur) জানান, বিএসএফ-এর তল্লাশির সময় তাঁদের হয়রানির মুখে পড়তে হয়। পানীয় জল বা রাস্তা, সব ক্ষেত্রে বেহাল অবস্থা। সরকারি প্রকল্পের সুযোগসুবিধা ঠিকমতো মেলে না বলেও অভিযোগ। বিশেষত পড়ুয়াদের অবস্থা আরও খারাপ। একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর গ্রামে প্রবেশ করতেও তাঁদের বাধা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এ নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে রয়েছে ক্ষোভ।

    কী বলছেন বিজেপি এবং তৃণমূল নেতৃত্ব (Dakshin Dinajpur)?

    বিজেপি বিধায়ক বুধরাই টুডু এই প্রসঙ্গে বলেন, সীমান্ত (Dakshin Dinajpur) এলাকায় চলাচলের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম আছে, যেগুলো সবাইকেই মেনে চলতে হয়। তিনি জানিয়েছেন, সীমান্তে নতুন করে কাঁটাতার দেওয়া হবে, আর সেগুলি থাকবে গ্রামগুলির পিছন দিয়ে। তাহলে সমস্যা মিটবে বলেই মনে করেন তিনি। তবে তৃণমূলের দাবি, ভোটের সময় নয়, সারা বছরই খোঁজখবর করা হয়। হিলির তৃণমূল ব্লক সভাপতি মিহির সরকার বলেন, “ভোটের আগে এবং পরে আমরা নিয়মিত যাই গ্রামে। এবার গ্রামকে বাঁচিয়ে নতুন করে কাঁটাতারের বেড়া তৈরি হবে। তবে সীমান্তের বিষয়টি মূলত কেন্দ্রের অধীন। সেখানে রাজ্যের কিছু করার থাকে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share