Tag: BSF

BSF

  • BSF: অমৃতসরের পাক সীমান্তে মাদকভর্তি ড্রোন! গুলি করে নামাল বিএসএফ

    BSF: অমৃতসরের পাক সীমান্তে মাদকভর্তি ড্রোন! গুলি করে নামাল বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঞ্জাবের অমৃতসরে পাকিস্তানের ড্রোন উদ্ধার করল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF)। স্থানীয় রায় গ্রামে বৃহস্পতিবার মাঝ রাতে এই মাদক ভর্তি ড্রোন উদ্ধার হয় বলে জানা গিয়েছে। পাকিস্তান সীমান্তে রাত ১ টা ৩০ নাগাদ শব্দ পেয়ে অপারেশন শুরু করে বিএসএফ। তারপর ড্রোনটি দেখামাত্র গুলি করে নামায় তারা। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

    কত হেরোইন উদ্ধার হল?

    সূত্রের খবর, ওই ড্রোনের মধ্যে ৫২৬০ গ্রাম হেরোইন ছিল। স্থানীয় প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে এই অপারেশনে নামে বিএসএফ। সবুজ দড়ি এবং হুক দিয়ে বাঁধা ছিল হলুদ প্যাকেটটি।

    আরও পড়ুন: হারানো জমি ফিরে পেতে পুরনো সঙ্গী বিজেপির হাত ধরছে দেবগৌড়ার দল?

    কী বলছেন বিএসএফ (BSF) আধিকারিক?

    বিএসএফের এক আধিকারিক বলেন, “পাকিস্তানের মদতে চলা এই ধরনের পাচারের কাজ আজ ভেস্তে দিতে সক্ষম হয়েছে বিএসএফ এবং পাঞ্জাব পুলিশ। তিনি আরও বলেন, “অপারেশনে একটি বড় প্যাকেট আমরা উদ্ধার করতে পেরেছি। তারপর তা খুলতেই পাঁচটি ছোট হেরোইনের প্যাকেট বেরিয়ে আসে। ড্রোনটিকে গুলি করে যেখানে নামানো হয়, সেটি হল একটি কৃষি ক্ষেত। পাঁচটি প্যাকেটে মোট হেরোইন পাওয়া গেছে ৫২৬০ গ্রাম।”

    আরও পড়ুন: করমণ্ডল কেড়েছে ছেলের প্রাণ, সেই ট্রেনে চড়ে দেহ আনতে গেলেন বাবা

     

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় মজবুত অর্থনীতি, বছরে ৩১ কোটি মোবাইল উৎপাদন!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • BSF: মণিপুরে গুলিতে মৃত্যু বিএসএফ জওয়ানের, শোকের ছায়া ভাটপাড়ায়

    BSF: মণিপুরে গুলিতে মৃত্যু বিএসএফ জওয়ানের, শোকের ছায়া ভাটপাড়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় দু সপ্তাহ আগে মণিপুরে গিয়েছিলেন বিএসএফ (BSF) জওয়ান রঞ্জিত যাদব। মঙ্গলবার সাত সকালেই কর্তব্যরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল তাঁর। বাড়ি ভাটপাড়া পুরসভা ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুগিয়াপাড়া এলাকায়। তাঁর শহিদ হওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই পরিবার সহ গোটা ভাড়পাড়া এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ভাটপাড়া পুরসভার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলার তাঁর বাড়িতে এসে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান।

    কী বললেন শহিদ জওয়ানের স্ত্রী?

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রঞ্জিতবাবুর বাড়িতে তাঁর স্ত্রী, সন্তান ছাড়াও বাবা, মা, ভাই, বোন রয়েছেন। বাবা বৃদ্ধ। ভাইরা ছোট। ফলে, কেউ রোজগার করেন না। বেশ কয়েক বছর আগে তিনি বিএসএফে (BSF) চাকরি পেয়েছিলেন। সরকারি চাকরি পাওয়ার পর পরিবারের লোকজন কিছুটা সুখের মুখ দেখা শুরু করেছিলেন। কারণ, রঞ্জিতবাবু ছিলেন পরিবারে একমাত্র রোজগেরে। রঞ্জিতবাবুর স্ত্রী কৌশল্যা যাদব বলেন, “২৬ মে ও মণিপুর গিয়েছিল। সোমবার রাতে ফোনে শেষ কথা হয়েছিল। খুব বেশিক্ষণ কথা হয়নি। কারণ, ও যেখানে ডিউটি করছিল, সেখানে গুলি চলছিল। ও কথা বলতে চাইলেও বেশিক্ষণ কথা বলতে পারেনি। কয়েক মিনিট কথা বলার পর আমি ফোন রেখে দিয়েছিলাম। আমাকে সাবধানে থাকতে বলেছিল। ছেলে আর পরিবারের খেয়াল রাখার কথা বলেছিল। ওটাই যে শেষ কথা হবে, তা ভাবতে পারিনি। মঙ্গলবার সকালে একটি জায়গায় ডিউটিতে যাওয়ার কথা ও বলেছিল। সকাল সাতটা পর্যন্ত ডিউটি ছিল। সেখানে ডিউটিতে যোগ দেওয়ার পরই ও গুলিবিদ্ধ হয়। পরিবারে একমাত্র রোজগেরে ছিল। এখন সন্তান আর পরিবার নিয়ে কী করে সংসার চালাব, তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি।”

    কী বললেন ভাটপাড়া পুরসভার কাউন্সিলার?

    এদিনের ঘটনার পর পরই রঞ্জিতবাবুর বাড়িতে ভাটপাড়া পুরসভার কাউন্সিলারদের এক প্রতিনিধি দল আসে। প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা কাউন্সিলার গোপাল রাউত বলেন, “বিএসএফ (BSF) জওয়ান শহিদ হয়েছেন। দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। অসহায় পরিবারের পাশে আমরা রয়েছি। তাঁদের সবরকমভাবে আমরা সাহায্য করব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BSF: কাশ্মীরে সেনা এনকাউন্টারে খতম পাক-অনুপ্রবেশকারী

    BSF: কাশ্মীরে সেনা এনকাউন্টারে খতম পাক-অনুপ্রবেশকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে বিএসএফের (BSF) ছোড়া গুলিতে খতম পাক অনুপ্রবেশকারী। জানা গেছে, জম্মু-কাশ্মীরের সাম্বা সেক্টরে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটেছে। সেনা সূত্রে খবর ওই পাক অনুপ্রবেশকারীকে বাধা দিলেও সে শোনেনি।

    ঘটনার বিবরণ…

    বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটা নাগাদ সাম্বা সেক্টরে পাকিস্তান সীমান্তে এই ঘটনা ঘটেছে বলে খবর সেনা সূত্রে। ওই সীমান্তে পাকিস্তানের দিক থেকে আসা এক ব্যক্তির সন্দেহজনক গতিবিধি নজরে পড়ে ভারতীয় সেনার। এই অনুপ্রবেশকারীকে বাধা দেয় বিএসএফ (BSF)। কিন্তু সে পাকিস্তানে ফেরত যাওয়ার চেষ্টা করে। বাধ্য হয়েই বিএসএফ (BSF) গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই পাক অনুপ্রবেশকারীর।

    আরও পড়ুন: বৈষ্ণোদেবী যাওয়ার পথে বাস খাদে পড়ে মৃত্যু ১০ পুণ্যার্থীর, আহত অন্তত ৫৭ জন 

    ভারতীয় সেনার বিবৃতি…

    সেনার তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘‘আজ রাতে (১ জুন) বিএসএফ জওয়ানরা (BSF) সাম্বা এলাকায় পাকিস্তানের দিক থেকে আন্তর্জাতিক সীমানা পেরোনো এক অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করে। তাকে থামানোর চেষ্টা করলে সে পাকিস্তানের বর্ডারের পেরিয়ে পালিয়ে যেতে থাকে। এই সময়ই ভারতীয় সেনা গুলি চালায় এবং অনুপ্রবেশকারীর মৃত্যু হয়।’’

    সোমবার রাতেই জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে নিহত হন সার্কাস কর্মী

    সোমবারই জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় এক সার্কাসকর্মীর। জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় ঘটে এই ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম দীপক কুমার। বাবার নাম মাসুক কুমার। উধমপুরের বাসিন্দা দীপক একটি সার্কাসদলে কাজ করতেন। তাঁকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। জানা গেছে, অনন্তনাগের একটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের সামনে তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়। গত মাসেই সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে বেশ কয়েকজন জওয়ানের মৃত্যু ঘটে। নিকেশ হয় বহু জঙ্গিও। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, জি২০ সম্মেলন কাশ্মীরে হওয়ার খবর সামনে আসতেই পাক মদতে বাড়তে থাকে জঙ্গি কার্যকলাপ। উদ্দেশ্য বিশ্বের মঞ্চে ভারতকে অপদস্থ করা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pakistani Drone: ফের পাঞ্জাব সীমান্তে মাদক-সহ পাকিস্তানি ড্রোনকে গুলি করে নামাল বিএসএফ

    Pakistani Drone: ফের পাঞ্জাব সীমান্তে মাদক-সহ পাকিস্তানি ড্রোনকে গুলি করে নামাল বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রচুর মাদক-সহ পাকিস্তানি ড্রোনকে (Pakistani Drone) গুলি করে নামাল বিএসএফ (BSF)। শনিবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ পাঞ্জাবের অমৃতসরে ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে ঘটনাটি ঘটে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, হেরোইন উদ্ধার হয়েছে ওই ড্রোন থেকে। অমৃতসরের খুর্দ জেলার ধনোয়ে গ্রামের কাছে মোতায়েন বিএসএফ কর্মীরা সন্দেহজনক ওই ড্রোনটিকে গুলি করে নামায়। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    মাদক ভর্তি ড্রোন

    দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে মাদক এ দেশের পাচারের চেষ্টা চলে। কিন্তু সীমান্ত প্রহরার দায়িত্বে থাকা বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-এর তৎপরতায় প্রায়শই তা ভেস্তে যায়। বাংলার সীমান্তের পাশাপাশি মাদক পাচারের জন্য পাঞ্জাব সীমান্ত ব্যবহার করে পাচারকারীরা। পঞ্জাব সীমান্তকে ব্যবহার করে পাকিস্তান থেকে মাদক পাচারের চেষ্টা চলে ভারতে। এই ড্রোন নামানো নিয়ে পাঞ্জাব বিএসএফ-এর ট্যুইটার হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, “গত কয়েকদিনে বেশ কিছু ড্রোন (Pakistani Drone) গুলি করে নামালো বিএসএফ। শনিবার একটি ড্রোন পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে। বিএসএফের সতর্ক জওয়ানরা গুলি করে ওই ড্রোন নামিয়েছে। ড্রোনের মধ্যে থেকে নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার হয়েছে।” এই ঘটনার ছবি ভিডিয়োও পোস্ট করা হয়েছে বিএসএফের ট্যুইটার হ্যান্ডলে।

    উড়তা পাঞ্জাব নামের এক বলিউড ছবিতে পাঞ্জাব সীমান্ত ব্যবহার করে মাদক পাচারের বিষয়টি উঠে এসেছিল। গত কয়েকদিনে পাঞ্জাব সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ করেছে বিএসএফ। বারবার সীমান্ত পেরিয়ে ড্রোন চলে এসেছে। তবে প্রত্যেকবারেই সফলভাবে ড্রোনগুলি নামিয়ে ফেলতে পেরেছে বিএসএফ।

    আরও পড়ুন: ৬ বছরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত! দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    বিএসএফ জানিয়েছে, ধনোয়ে গ্রামের কাছে মোতায়েন করা সৈন্যরা তিন ব্যক্তিকে গ্রামের দিকে ছুটে আসতে দেখেছে। তখনই তাদের পিছু নেওয়া হয়। তাদের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের সাড়ে তিন কেজি মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।  একটি ব্যাগ সহ একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gold Smuggling: বাংলাদেশ থেকে পাচারের সময় বিএসএফের হাতে পাকড়াও, উদ্ধার ৩৬ লাখ টাকার সোনা

    Gold Smuggling: বাংলাদেশ থেকে পাচারের সময় বিএসএফের হাতে পাকড়াও, উদ্ধার ৩৬ লাখ টাকার সোনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনা পাচারের (Gold Smuggling) সময় বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে গেল এক চোরাকারবারি। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ধৃতের নাম দেবাশিষ দেবনাথ। সে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাসিন্দা। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫৮১ গ্রাম সোনা, যার মূল্য ৩৬ লক্ষ ৩১ হাজার টাকা। বিএসএফ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তিকে পরবর্তী পদক্ষেপ করার জন্য তুলে দেওয়া হয়েছে তেঁতুলিয়া শুল্ক দফতরের হাতে। এই ব্যক্তির সঙ্গে বড় কোনও চক্র জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখাই তদন্তকারী সংস্থার মূল লক্ষ্য।

    কীভাবে ধরা পড়ল ওই যুবক?

    সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, বিএসএফের জওয়ানরা গোপন সূত্রে নির্দিষ্ট খবর পেয়ে নেমেছিলেন স্পেশাল অপারেশনে। আমুদিয়ার দিক থেকে মোটর সাইকেলে আসছিল এক ব্যক্তি। সন্দেহ হওয়ায় তার পথ আটকান জওয়ানরা। বিপদ বুঝে ওই ব্যক্তি তখন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাকে পাকড়াও করে নিয়ে আসা হয় বর্ডার পোস্ট-এ। সেখানেই তার শরীরে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় পাঁচটি সোনার বিস্কুট, যেগুলি থাইয়ে টেপ দিয়ে বাঁধা ছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, এগুলি বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার (Gold Smuggling) করা হচ্ছিল।

    জিজ্ঞাসাবাদে আরও কী জানা গেল?

    ধৃত ওই ব্যক্তি বিএসএফের জেরায় জানিয়েছে, সে বাংলাদেশের নাগরিক গোগান মন্ডলের কাছ থেকে হোয়াটস অ্যাপে একটি কল পেয়েছিল ১৫ দিন আগে। তাতে বলা হয়েছিল, তাকে পাঁচটি সোনার বিস্কুট দেওয়া হবে, যেগুলি শায়েস্তানগরের নয়ন নামে একজনের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এই কাজের (Gold Smuggling) জন্য তার পারিশ্রমিক বরাদ্দ হয়েছিল ২০০০ টাকা। টাকার লোভেই সে এই কাজে সম্মতি জানিয়েছিল। এই ঘটনা ফের পরিস্কার করে দিল, সীমান্তে চোরাকারবারিরা এখনও কতটা সক্রিয়। তাই বিএসএফ নজরদারি আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BSF: গত ৯ মাসে পাকিস্তানের ১৯১টি ড্রোন দেখা গিয়েছে ভারতীয় সীমান্তে! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চাঞ্চল্যকর তথ্য বিএসএফের

    BSF: গত ৯ মাসে পাকিস্তানের ১৯১টি ড্রোন দেখা গিয়েছে ভারতীয় সীমান্তে! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চাঞ্চল্যকর তথ্য বিএসএফের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে (LOC) শুধু জঙ্গি অনুপ্রবেশ নয়, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে নিয়মিত নজরদারি চালানো হচ্ছে ড্রোনের (pakistan drone )মাধ্যমে। গত ৯ মাসে পাকিস্তানের প্রায় ১৯১টি ড্রোন নজরে এসেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর। তার মধ্যে সাতটিকে গুলি করে নামানো হয়েছে।

    ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারকে (Central Govt) এই বিষয়ে অবগত করেছে সেনাবাহিনী (Indian Army)। কারণ, বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। ১৯১টি পাক ড্রোনের মধ্যে ১৭১টি ভারতীয় সীমানা অতিক্রম করেছিল বলে কেন্দ্রীয় সরকারকে রিপোর্ট দিয়েছে সেনাবাহিনী। যার মধ্যে অধিকাংশ পাঞ্জাবের সীমান্ত এলাকার ঘটনা। আর জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে দেখা গিয়েছে ২০টি পাকিস্তানি ড্রোন।

    সীমান্তে নজরদাবি চালানোর জন্য ইউএভি (Unnamed Aerial Vehicle) বসানো হয়েছে। তার মাধ্যেমেই চলতি বছরের ১লা জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাকিস্তানের একাধিক ড্রোনের ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রমের তথ্য ধরা পড়েছে। বিশেষ করে পাঞ্জাবের অমৃতসর, ফিরোজপুর এবং অবোহার অঞ্চলে এই ঘটনা বেশি করে লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    সূত্রের খবর, গত ১৮ জানুয়ারি অমৃতসরের হাভেলিয়ান সীমান্তের আউট পোস্টের সামনে একটি পাক ড্রোন নজরে পড়ে বিএসএফের (BSF)। সঙ্গে সঙ্গে তা গুলি করে নামানো হয়। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে ১৩ ফেব্রুয়ারি। ৭ ও ৯ মার্চ ফিরোজপুরের টিজে সিং ও অমৃতসরের হাভেলিয়ান আউট পোস্টেও দু’টি ড্রোন নামাতে সক্ষম হয় বিএসএফ।

    আরও পড়ুন: ভারতে বন্ধ পাকিস্তান সরকারের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট

    পুরো বিষয়টি ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) নজের আনা হয়েছে। কয়েকদিন আগে তিনি শ্রীনগর সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁকে বিএসএফের পক্ষ থেকে যাবতীয় নথি ও প্রমাণ তুলে দেওয়া হয়। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের ড্রোন অস্ত্র বহনে যেমন সক্ষম, তেমনি বিস্ফোরণ ঘটানোর কাজেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

    জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ কর্তাদের আশঙ্কা, ড্রোনের মাধ্যমে ভারতীয় সীমান্তে আফগানিস্তানের হেরোইনের সাপ্লাই করা হচ্ছে। একই আশঙ্কা করছে বিএসএফও। কারণ, পাঞ্জাবের সীমান্ত অঞ্চলগুলিতেই বেশি করে পাকিস্তানের ড্রোন চোখে পড়েছে। এর পিছনে হাত রয়েছে আইএসআইয়ের। পাকিস্তানের এই কার্যকলাপ বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাই জম্মু ও কাশ্মীরের পাশাপাশি পাঞ্জাব সীমান্তে আরও বেশি নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসএফ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Lok Sabha Election 2024: শুধু উত্তর ২৪ পরগনাতেই ২১ কোম্পানি, রাজ্যের কোন জেলায় রয়েছে কত বাহিনী?

    Lok Sabha Election 2024: শুধু উত্তর ২৪ পরগনাতেই ২১ কোম্পানি, রাজ্যের কোন জেলায় রয়েছে কত বাহিনী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে প্রার্থী ঘোষণার পর্ব শুরু হলেও ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) দিনক্ষণ আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। বাংলায় নির্বাচনের সময় যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, সেই অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখে এবং ভোটারদের আস্থা ফেরাতে মার্চ মাসের প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আসা হয়েছে এ রাজ্যে। 

    এই মর্মে, পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত মোট ১৫০ কোম্পানি বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে এবং বিভিন্ন জেলায় তাদের মোতায়েন করা হয়েছে (Lok Sabha Election 2024)। জেলায় জেলায় টহল শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এলাকার রাস্তা ধরে রুট মার্চ করছেন জওয়ানরা। এই বাহিনীর মধ্যে কোন কোন জেলায় কত কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছে তার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে। দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে বেশি বাহিনী মোতায়েন রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনাতে।

    উত্তর ২৪ পরগনায় কত (Lok Sabha Election 2024)?

    উত্তর ২৪ পরগনায় এখনও পর্যন্ত ২১ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শুধুমাত্র বসিরহাটেই মোতায়েন রয়েছে ৫ কোম্পানি। এছাড়া, বারাসতে ৩, বনগাঁয় ৩, বারাকপুরে ৬, বিধাননগরে ৪ কোম্পানি বাহিনী রাখা হয়েছে। এই জেলার সব জায়গায় বিএসএফ বাহিনী থাকবে। কেবলমাত্র বিধাননগরে সিআরপিএফ রাখা হবে।

    দক্ষিণবঙ্গে আর কোথায় কত?

    অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর, ডায়মন্ডহারবাড়, সুন্দরবনে মোট ৯ কোম্পানি বাহিনী রাখা হবে। একই সঙ্গে বাঁকুড়ায় ৪, বীরভূমে ৪, পূর্ব মেদিনীপুরে ৭, পশ্চিম মেদিনীপুরের ৫ কোম্পানি মোতায়েন রয়েছে। আবার নদিয়া জেলায় ৮ কোম্পানি, মুর্শিদাবাদ জেলায় ৮, পশ্চিম বর্ধমানে ৬, পূর্ব বর্ধমানে ৪, পুরুলিয়ায় ৪  এবং ঝাড়গ্রামে ৩ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

    কলকাতায় কত বাহিনী (Lok Sabha Election 2024)

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতায় মোট ১০ কোম্পানি বাহিনী রাখা হয়েছে। তার মধ্যে ৮ কোম্পানি বিএসএফ এবং দুই কোম্পানি সিআরপিএফ। হাওড়া, হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে ৯ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর মধ্যে হুগলির চন্দননগরেই রয়েছে ৫ কোম্পানি বাহিনী।

    উত্তরবঙ্গে কত (Lok Sabha Election 2024)?

    দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গেও বাহিনী মোতায়েন হয়েছে। এর মধ্যে দার্জিলিঙে ৭ কোম্পানি, কোচবিহারে ৫ কোম্পানি, আলিপুরদুয়ারে ৩ কোম্পানি, জলপাইগুড়িতে চার কোম্পানি, কালিম্পঙে ২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হবে। উত্তর-দক্ষিণ দুই দিনাজপুরে থাকবে মোট ৭ এবং ৪ কোম্পানি। মালদায় মোতায়েন করা হবে ৭ কোম্পানি বাহিনী।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BSF: মানবিক বিএসএফ! সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বাবাকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন মেয়ে

    BSF: মানবিক বিএসএফ! সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বাবাকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন মেয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম লিয়াকত মণ্ডল। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার হরিহরপুরে। বেশ কয়েকবছর আগে বাংলাদেশের এক যুবকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। মেয়ে এখন বাংলাদেশের নাগরিক। অসুস্থতার কারণে লিয়কত সাহেবের মৃত্যু হয়। বিএসএফের (BSF) সহযোগিতায় মৃত বাবাকে শেষ দেখা দেখতে পেলেন সীমান্তের ওপারে থাকা মেয়ে। সাদা কাপড়ে মোড়া বাবার দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। বিএসএফের মানবিক মুখ দেখলেন সকলে।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (BSF)

    বাবার মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে থাকা মেয়ের কাছে পৌঁছেছিল। কিন্তু, পাসপোর্ট জটে আটকে কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে আসতে পারেননি বাংলাদেশের বাসিন্দা মেয়ে। আর দ্রুত পাসপোর্ট ভিসা তৈরি করে তাঁর পক্ষে আসা সম্ভব ছিল না। বিজিবি- বিএসএফের (BSF) কাছে তাঁর কাতর আবেদন ছিল, যেন একবার বাবাকে শেষ দেখা দেখতে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কারণ, বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে মেয়ে আসতে চেয়েছিলেন পৈতৃক ভিটেতে। তাঁর ইচ্ছা ছিল, বাবার মৃতদেহ শেষবার দেখার। লিয়াকত সাহেবের পরিবারের লোকজন হরিহরপুর গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যকে বিষয়টি জানান। পঞ্চায়েত সদস্য মধুপুর ক্যাম্পের বিএসএফ কর্তাদের অনুরোধ করেন, লিয়াকত সাহেবের মেয়েকে যাতে শেষবারের মতো বাবাকে দেখতে দেওয়া হয়। এরপরই বিএসএফের পক্ষ থেকে বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বিজিবি-র মাধ্যমে মেয়েকে দু’দেশের জিরো পয়েন্টে আনার কথা বলা হয়। এরপরই সীমান্তের জিরো পয়েন্টে লিয়াকতের মৃতদেহ আনা হয়। ওপার থেকে মেয়েও আসেন। শেষমেশ বিএসএফের (BSF) সহযোগিতায় জিরো পয়েন্টে লিয়াকত সাহেবের দেহ আনা হয়। বাবাকে শেষ দেখার পাশাপাশি শেষ শ্রদ্ধাও জানান মেয়ে।

    বিএসএফ নিয়ে কী বললেন বাংলাদেশের বধূ?

    লিয়াকত সাহেবের মেয়ে বলেন, ‘বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে মন ছটফট করছিল। কিন্তু, দুদেশের আইনি জটে সীমান্ত পেড়িয়ে আসা সম্ভব হচ্ছিল না। কিন্তু, বিএসএফ (BSF) উদ্যোগী হওয়ায় বাবার সঙ্গে শেষ দেখা করতে পারলাম। বিএসএফের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cow Smuggling: অনুব্রত তিহার জেলে, তারপরেও বঙ্গে ফের শুরু গরু পাচার, শোরগোল

    Cow Smuggling: অনুব্রত তিহার জেলে, তারপরেও বঙ্গে ফের শুরু গরু পাচার, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত তিহার জেলে, তারপরেও বঙ্গে ফের শুরু গরু পাচার, শোরগোল। বেশ কয়েক বছর উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্তে গরু পাচার (Cow Smuggling) বন্ধ থাকলেও এবার ফের গরু পাচার হচ্ছে বলে এলাকায় অভিযোগ উঠেছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগদার কুলিয়া ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে এই গরু পাচার ফের শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্কের সূত্রপাত হয়েছে। অবশ্য বিএসএফের দাবি, গরু পাচার ঠেকাতে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

    বিএসএফ সূত্রে খবর (Cow Smuggling)

    উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার সীমান্ত এলাকায় গরু পাচার (Cow Smuggling) নিয়ে বিএসএফ জানিয়েছেন, পাচার আটকাতে নিরাপত্তা আরও শক্ত করা হয়েছে। তবে গরু রোজ পাচার হচ্ছে না। সীমান্তে যাঁরা গরু পোষেন তাঁদের বাড়িতে টাকা দিয়ে সাময়িক ভাবে রেখে দেওয়া হয়। তারপর সেগুলি পাচার হয়। আবার গ্রামবাসীদের বিক্রি করা গরু পাচারকারীদের কাছে চলে যাচ্ছে। সপ্তাহে এক বা দুই দিন সুযোগ বুঝে পাচারের চেষ্টা করা হয়। এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে সিসিটিভি বসানোর কথাও চলছে বলে জানা গিয়েছে।

    আগেও হয়েছে গরু পাচারের রমরমা

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জেলার বনগাঁ, বসিরহাট মহকুমার সীমান্ত দিয়ে রমরমিয়ে গরু পাচার (Cow Smuggling) হত। বেশ কিছু এলাকাকে সেফ করিডর করে পাচারের জন্য ব্যবহার করা হয়। উল্লেখ্য এখনো বেশ কিছু এলাকার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই। রাতের অন্ধকারে অন্য রাজ্য থেকে ট্রাকে করে গরু এনে ফসলের জমিতে হাঁটিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে গিয়ে পাচার করা হয়। ফলে বিঘা বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায় এই গরু পাচারের কারণে। অনেক সময় এমন অভিযোগ শোনা গিয়েছে রীতিমতো আগ্নেয় অস্ত্র হাতে নিয়ে বাংলাদেশ থেকে পাচারকারীরা ভারতে ঢুকে গরু নিয়ে যায়। পরিস্থিতির অবনতি হলে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী গরু পাচার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। একই ভাবে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এই এলাকায় এসে একই কথা বলে গিয়েছিলেন।

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    ভারত-বাংলাদেশের কুলিয়া সীমান্ত এলাকায় চাষি সুভাষ সরকার বলেন, “পাচারকারীরা রাতের অন্ধকারে চাষের জমির মধ্যে দিয়ে গরু নিয়ে যায়। ফলে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। পাচারকারীদের (Cow Smuggling) হাতে দা, কুড়ুল, ভোজালি থাকছে।” আরেক চাষি কালীপদ বিশ্বাস বলেন, “রাত তিনটে থেকে গরু পাচার হচ্ছে। আমরা চাই বিএসএফ এবং পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নেক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BSF Plans For Sundarbans: সুন্দরবন বাঁচাতে জলে নামছে সেনা! বিএসএফের তরফে নজরদারি অন্তরীক্ষেও?

    BSF Plans For Sundarbans: সুন্দরবন বাঁচাতে জলে নামছে সেনা! বিএসএফের তরফে নজরদারি অন্তরীক্ষেও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুন্দরবন বাঁচাতে গুচ্ছ পদক্ষেপ করতে চলেছে বিএসএফ (BSF Plans For Sundarbans)। জঙ্গলের নিরাপত্তায় এবার জলে নামানো হচ্ছে নৌবাহিনীর ১ হাজার ১০০ জনের একটি দলকে। জল এবং স্থলের পর অন্তরীক্ষ-পথেও চালানো হবে নজরদারি। সেজন্য নামানো হচ্ছে ৪০টি ড্রোনও। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও যাতে কাজ করতে পারে সেজন্য প্রস্তুত রাখা হচ্ছে বেশ কিছু গাড়িও। সম্প্রতি কলকাতায় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের সদর দফতরে চূড়ান্ত হয় পরিকল্পনাটি। তবে বিএসএফের এই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হবে কিনা, তা নির্ভর করছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ছাড়পত্রের ওপর।

    সুন্দরবনে চোরাচালান

    বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবন। ছোটবড় মিলিয়ে ১০০টি দ্বীপের সমষ্টি। এর একটা বড় অংশ রয়েছে ভারতে। বাকিটা বাংলাদেশের। ভারত-বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সীমান্তের একটা অংশও সুন্দরবনের মধ্যে পড়ে। এই সুন্দরবনেই রয়েছে সুন্দরী, গরান সহ বহু নামী-দামি গাছ। বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগারেরও আবাসস্থল এই সুন্দরবন। এই গহীন জঙ্গলে ঢুকে চোরাচালানকারীরা কেটে নিয়ে যায় দামী গাছ। বাঘ সহ বিভিন্ন বিপন্ন প্রাণীও পড়ে হাপিশ হয়ে যায় রাতের অন্ধকারে। এসব রুখতেই এবার কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করতে চাইছে বিএসএফ (BSF Plans For Sundarbans)। বিএসএফের এক কর্তা জানান, সুন্দরবনের নদীপথ ও ঘন জঙ্গলকে হাতিয়ার করে রমরমিয়ে চোরাচালান করে যাচ্ছে পাচারকারী ও অনুপ্রবেশকারীরা। এসব রুখতেই ব্যবস্থা হচ্ছে কড়া নজরদারির।

    গুচ্ছ পরিকল্পনা

    বর্তনামে ৫০টি স্পিড বোট দিয়ে সুন্দরবনে নজরদারি চালায় বিএসএফ। যা সুন্দরবনের আয়তনের তুলনায় সামান্যই। সেই কারণেই নামানো হচ্ছে নৌবাহিনীর ১১০০ জনের দলকে। আকাশপথে নজরদারি চালাতে নামানো হচ্ছে ৪০টি ড্রোন। এহ বাহ্য। তিনটির বেশি ভাসমান আউটপোস্টও তৈরি করা হয়েছে। সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীতে তৈরি করা হয়েছে ১৪টি জেটিও।

    আরও পড়ুুন: নাবালিকার মুখে হিন্দুস্তান-প্রশস্তি, ‘কবি-বন্ধু’র প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী

    গত ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সুন্দরবনের কোস্টাল এরিয়ায় সুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে বিএসএফের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার পর থেকেই সুন্দরবনের সুরক্ষায় আঁটসাঁট পদক্ষেপ করতে শুরু করে বিএসএফ। এবার আরও কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করতে চলেছেন সীমান্ত প্রহরীরা (BSF Plans For Sundarbans)। তবে পুরো বিষয়টিই নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ছাড়পত্রের ওপর। কারণ অর্থমন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলে এই মন্ত্রকই ঠিক করবে, এই খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা যাবে কিনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share