Tag: CAA

CAA

  • Sukanta Majumdar: “হিন্দুর নাম বাদ গেলে আমরা সরকারেই থাকতে পারব না”, অভয় বার্তা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “হিন্দুর নাম বাদ গেলে আমরা সরকারেই থাকতে পারব না”, অভয় বার্তা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার সিএএ ক্যাম্পে গিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে হিন্দু বিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি মমতাকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, “নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ নিয়ে চক্রান্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।” প্রসঙ্গত এই রাজ্যে এসআইআর-এর (SIR) বিরোধিতা করতে গিয়ে বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, সিএএ-তে কেউ যেন আবেদন না করে। তৃণমূলের দাবি, যদি আবেদন করেন তাহলে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাবে বিজেপি। বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন সিএএ। কোনও ভাবেই নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। তাই তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্যকে সম্পূর্ণ ভাবে খারিজ করে দেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ।

    শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করব: সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    নদিয়ার তাহেরপুরে অনুষ্ঠিত সিএএ ক্যাম্প পরিদর্শনের জন্য যান কেন্দ্রীয়মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “এসআইআরকে (SIR) ইস্যু করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বড় ধরনের চক্রান্ত করছেন। নির্বাচন কমিশন রাজ্যের প্রশাসনের মাধ্যমে এসআইআরকে বাস্তবায়নের কাজ করছে। কমিশন সরাসরি নিয়ন্ত্রণ না করলেও রাজ্য সরকারের কর্মচারী, বিডিওরাই কাজ করছেন। কেউ কেউ আবার ইআরও হিসেবে কাজ করছেন।”

    একই ভাবে সুকান্ত সিএএ-এর বিভ্রান্তি নিয়ে বলেন, “ভয় পাওয়ার কিছু নেই, বিজেপি আপনাদের সঙ্গে আছে। আমরা শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করব। আপনাদের যাতে ভোটার লিস্টে নাম থাকে তার জন্য যা যা করার বিজেপি তা তা করবে। নরেন্দ্র মোদি সরকারও তাই তাই করবেন। অনেকে আপানাদের উল্টো পাল্টা বোঝাবে। বিজেপি ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাবে বলে উসকাবে। বিজেপি কালিদাস নাকি? বিজেপিকে কারা ভোট দেয় সকলে জানে। যাদের গলায় কাঠের মালা, মাথায় সিঁদুর। যারা ভোট দেয় তাঁদের কি বিজেপি ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাবে? যদি তাই হয় আমরাই তো সরকারে থাকতে পারব না। আমি তো বগুড়া থেকে এসেছি। আমাদের জমি ওপারে কম ছিল না। আমার ঠাকুদা এসছিলেন যাতে ঠাকুমা রাতের বেলায় তুলসীতলায় প্রদীপ জ্বালাতে পারেন। তাই ভয়ের কিছু নেই।”

    প্রতি বুথে ১০-১৫ জন হিন্দুর নাম কেটে বাদ

    এদিন তৃণমূলের আইপ্যাকের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছেন সুকান্ত। তিনি বলেন, “তৃণমূলের আই-প্যাক টিমের মাধ্যমে ভোটার তালিকা তৈরি হচ্ছে, যেখানে বেছে বেছে প্রতিটি বুথ থেকে প্রায় দশজন করে হিন্দু ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। যাদের নাম এসআইআরে নেই, তারা যেন সিএএ-র আওতায় আবেদন করেন। আজকের অনুষ্ঠান ক্যাম্পে সকলে সিএএ-র আওতায় আবেদন করুণ। তাদের রীতিমতো টার্গেট দেওয়া হয়েছে প্রতিবুথে যেন ১০-১৫ জন হিন্দুর নাম কেটে বাদ দেওয়া হয়। এমনিই বাদ দিয়ে দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশন যেহেতু এদের দিয়ে কাজ করাচ্ছে তাই সুযোগকে ব্যবহার করবে। ফলে বিজেপির কর্মীদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। একজন হিন্দুর যেন নাম বাদ না যায়। ভারতে যদি হিন্দুদের নাম বাদ যায় তাহলে কাদের নাম থাকবে। ভারতবর্ষ আর ভারতবর্ষ থাকবে না। হিন্দুদের মহাপুণ্যভূমি এই ভারতবর্ষ তাই হিন্দু রক্ষার নামই হল ভারতবর্ষ রক্ষা। তাই ভারতকে রক্ষা করতে হিন্দুদের এক থাকতে হবে।”

    নাগরিকত্ব তুলে দেন সুকান্ত

    এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি আগে সিএএ আবেদন করেছিলেন এমন ব্যক্তিদের হাতে সার্টিফিকেটও তুলে দেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বিজেপি মণ্ডলস্তর পর্যন্ত সকল জায়গায় হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্যাম্প শুরু করেছে। আবেদনও পড়ছে ব্যাপক পরিমাণে। উল্লেখ্য নবদ্বীপ রাস পূর্ণিমার অনুষ্ঠানে যোগদান করতে গিয়ে গিয়ে একদল দুষ্কৃতীরা তাঁর গাড়িতে হামলা চালায়। ঘটনার কথা সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে গত কয়েকমাসের মধ্যে সাংসদ খগেন মুর্মু, বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, সাংসদ রাজ্য বিস্তা-সহ একাধিক নেতাদের উপর আক্রমণের ঘটনা রাজ্য রাজনীতির পারদ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছে। বিরোধীদের যদি ভোটের আগেই এতো টার্গেট করা হয় ভোটের সময় কি হবে? তা নিয়েই চিন্তিত রাজনীতির একাংশ।

  • BJP: সিএএ নিয়ে তৎপর বিজেপি, জনতার পাশে দাঁড়াতে বাংলায় হচ্ছে ৭০০ ক্যাম্প

    BJP: সিএএ নিয়ে তৎপর বিজেপি, জনতার পাশে দাঁড়াতে বাংলায় হচ্ছে ৭০০ ক্যাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হয়েছে দেশজুড়ে। তবে পশ্চিমবঙ্গের আমজনতা এ ব্যাপারে বিশেষ সচেতন নন। কেন আবেদন করবেন, কীভাবেই (CAA) বা করবেন, কোথায় আবেদন করবেন, অনেকেই তা জানেন না। মাস সাতেক পরে এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এবার এই বিষয়টি নিয়েই তৎপর হলেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। বুধবার সিএএ নিয়ে বিশেষ বৈঠক তথা কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএল সন্তোষ, অমিত মালব্যের মতো কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা। ছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন পদ্ম সাংসদ, বিধায়ক এবং পদস্থ নেতৃত্ব। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুনীল বনশলও, ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়-সহ অনেকেই।

    কী বললেন সন্তোষ? (BJP)

    বৈঠকে কেবল এসআইআর নয়, সিএএ-র ওপরও যাতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়, সেই বিষয়েও রাজ্য নেতৃত্বকে সচেতন করেন কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা। যত দ্রুত এবং যত বেশি সম্ভব আবেদনপত্র যাতে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, এদিন বিজেপি নেতৃত্বকে সে কথাই জানিয়েছেন সন্তোষ। জানা গিয়েছে, এদিন বিজেপির সল্টলেকের কার্যালয়ে বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল। পদ্ম শিবিরের ওই বৈঠক হয়েছে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে। সেখানে রাজ্যের ১৭টি জেলায় বিধানসভা ভিত্তিক সিএএ সহায়তা ক্যাম্প খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মতুয়া, উদ্বাস্তু মানুষদের ভিড় রয়েছে, যেমন, বনগাঁ, নদিয়া, এমন জেলাগুলির ওপর আলাদা নজরদারির কথা বলা হয়েছে। ওই বিধানসভাগুলির অধীনে থাকা প্রত্যেক মণ্ডলে তিনটি করে ক্যাম্প খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাঁদের ওপর এই দায়িত্ব বর্তেছে, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে তাঁদের এ সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। কারা এই কাজের দায়িত্ব পাচ্ছেন, কারা দায়িত্ব পাবেন, তার তালিকাও দিতে হবে।

    শমীকের বক্তব্য

    এ প্রসঙ্গে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “দেশ ভাগের সময় বা তার পরে যে পাপ করেছে কংগ্রেস, সেই পাপমুক্তি বা প্রায়শ্চিত্ত করছে বিজেপি। আমরা বাংলাদেশি উদ্বাস্তু হিন্দুদের পক্ষে। এটা আমাদের ঘোষিত অবস্থান। সেই জন্য আমরা ক্যাম্প করব, অর্থ সাহায্য করব। বিজেপি যতক্ষণ আছে, ততক্ষণ একজন উদ্বাস্তু হিন্দুর কেশাগ্রও কেউ স্পর্শ করতে পারবে না।”

    ৭০০-এরও বেশি সিএএ ক্যাম্প

    জানা গিয়েছে, রাজ্যজুড়ে ৭০০-এরও বেশি সিএএ ক্যাম্প করতে চাইছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, সবে মাত্র হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বুধবারই বাড়ি ফিরেছেন শমীক (BJP)। চিকিৎসকদের পরামর্শে আরও কিছু দিন বিশ্রাম নিতে হবে তাঁকে। তাই তাঁর বাড়িই এখন তাঁর অফিসের পাশাপাশি দলেরও পার্টি অফিসও (CAA)। ফোন এবং অনলাইনে দফায় দফায় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। রাজ্যের পুরানো কর্মী, জেলা সভাপতি এবং বুথস্তরের এজেন্টদের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে থাকা নেতাদের সম্প্রতি এক ভার্চুয়াল বৈঠকে শমীক এসআইআর নিয়ে সাফ জানিয়ে দেন, রাজ্যে এসআইআর চালু হয়ে গেলে এই কাজে দলের নেতা-কর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। এ সংক্রান্ত কোনও কাজে কোনওরকম ঢিলেমি করা চলবে না। কর্মীরা যেন এসআইআরকে একেবারে ‘ডু অর ডাই’ মিশন হিসেবে বিবেচনা করেন। কারণ এই কাজে কর্মীদের গাফিলতি হলে রাজ্যে সংগঠনের ভিত নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে।

    শমীকের বার্তা

    বিজেপির জন্য এ রাজ্যে এসআইআর সফলভাবে সম্পন্ন হওয়াটা যে ঠিক কতটা জরুরি, সেটা বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, “এ রাজ্যে এসআইআরের কাজ ঠিক মতো এগোচ্ছে কিনা, সেটা যদি নিশ্চিত করা না যায়, তাহলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর এবং সুসজ্জিত পার্টি অফিস আর থাকবে না। বিহারের পর এবার দেশজুড়ে যে কোনও দিন চালু হয়ে যেতে পারে এসআইআর।” ইতিমধ্যেই এসআইআর নিয়ে প্রাথমিক কাজ সেরে রাখছে রাজ্যগুলি। উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের প্রায় ২৩ বছর পর (CAA) আবারও দেশে স্পেশাল ইনটেনশিভ রিভিশন করা হতে চলেছে (BJP)।

    সিএএ ক্যাম্প

    এদিনের বৈঠকে সিএএ ক্যাম্প কীভাবে পরিচালিত হবে, লোকেশন নির্বাচন, স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় কীভাবে করা হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়। নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট পেতে যেসব সমস্যা দেখা দিচ্ছে, যেমন, নথিপত্র ঘাটতি, ফর্ম ফিলাপে অসুবিধা, আবেদন প্রক্রিয়ায় জট, এগুলির সমাধানে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয় বলে খবর। রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির অগ্রগতি এবং সেগুলিকে জনমানসে তুলে ধরার রণকৌশল নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে বলে খবর (BJP)।

  • Amit Shah: “জন্মহার নয়, অনুপ্রবেশই জনবিন্যাসে বদল ঘটাচ্ছে”, দেশে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে স্পষ্ট বার্তা শাহের

    Amit Shah: “জন্মহার নয়, অনুপ্রবেশই জনবিন্যাসে বদল ঘটাচ্ছে”, দেশে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে স্পষ্ট বার্তা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যা পরিবর্তন নিয়ে বিস্ফোরক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। দিল্লিতে জনসংখ্যা ও জনবিন্যাস বিষয়ক এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, দেশে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ শুধু জন্মহার নয়, বরং পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ব্যাপক অনুপ্রবেশই তার মূল কারণ। ভারতে হিন্দু জনসংখ্যা (Hindu Population) উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। অন্যদিকে, লক্ষণীয় বৃদ্ধি ঘটেছে মুসলিমদের (Muslim Population)। শাহের দাবি, এই অনুপ্রবেশ দেশের সংস্কৃতি, ভাষা ও স্বাধীনতার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে।

    পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য, মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ জন্মহার নয়। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ (Inflitartors from Pakistan, Bnagladesh) থেকে অনুপ্রবেশের ফলে মুসলিম জনসংখ্যা ভারতে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তাঁর কথায়, অনুপ্রবেশ, জনসংখ্যাগত পরিবর্তন এবং গণতন্ত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যতদিন না দেশের প্রতিটি নাগরিক, বিশেষ করে যুব সমাজ এই বিষয়গুলোর গুরুত্ব অনুধাবন করবে এবং এর থেকে উদ্ভূত সমস্যাগুলি সম্পর্কে সচেতন হবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা আমাদের দেশ, সংস্কৃতি, ভাষা এবং স্বাধীনতার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারব না।

    উল্লেখযোগ্য ও উদ্বেগজনক পরিবর্তন

    অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, ১৯৫১, ১৯৭১, ১৯৯১ ও ২০১১ সালে ভারতে জন গণনায় ধর্ম ভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ১৯৫১ সালে যখন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখন তাঁর দল বিজেপি ছিল না। তাঁর কথায়, যদি দেশভাগ না হতো, তাহলে হয়তো ধর্মের ভিত্তিতে জনগণনার দরকার হতো না। কিন্তু যেহেতু দেশভাগ ধর্মের ভিত্তিতে হয়েছিল, সে কারণে তৎকালীন শাসকদলের নেতারা ১৯৫১ সালের জনগণনায় ধর্মের উল্লেখকে যথোপযুক্ত মনে করেছিলেন। তিনি জানান, ১৯৫১ সালে দেশে হিন্দুদের সংখ্যা ছিল ৮৪ শতাংশ, মুসলিমদের ৯.৮ শতাংশ। ২০১১ সালে হিন্দুদের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৭৯ শতাংশে, আর মুসলিমদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৪.২ শতাংশে। এই পরিসংখ্যানকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন বলে চিহ্নিত করে শাহ বলেন, এটা অনুপ্রবেশের কারণে হয়েছে। এই পরিবর্তনকে ‘উল্লেখযোগ্য ও উদ্বেগজনক’ বলে ব্যাখ্যা করে শাহ বলেন, “এটা জন্মহারের ফল নয়, এটা অনুপ্রবেশের ফল।”

    রাজ্য সরকারগুলোকেও দায়িত্ব নিতে হবে

    শাহ স্পষ্ট ভাবে বলেন, ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা ২৪.৬ শতাংশ হারে বেড়েছে, যেখানে হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে ৪.৫ শতাংশ হারে। তাঁর দাবি, এই পার্থক্যের মূলে রয়েছে অবৈধ অনুপ্রবেশ, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah) দাবি, অসমে ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ২৯.৬ শতাংশ, যা অনুপ্রবেশ ছাড়া অসম্ভব। পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে এই হার ৪০ শতাংশেরও বেশি, কোথাও কোথাও ৭০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে। ঝাড়খণ্ডে আদিবাসী জনসংখ্যা কমার পেছনেও অনুপ্রবেশকেই তিনি দায়ী করেন। শাহ বলেন, “এই সমস্যার সমাধান শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়, রাজ্য সরকারগুলোকেও দায়িত্ব নিতে হবে। কিছু রাজ্য সরকার অনুপ্রবেশে সহায়তা করছে।”

    অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করতেই হবে

    ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রসঙ্গে শাহ বলেন, এটি কোনও রাজনৈতিক নয়, জাতীয় ইস্যু। “যদি প্রশাসন অনুপ্রবেশকারীকে চিনতেই না পারে, তবে অনুপ্রবেশ বন্ধ হবে কীভাবে?” তিনি অভিযোগ করেন, কিছু রাজনৈতিক দল অনুপ্রবেশকারীদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করছে। এই প্রসঙ্গে শাহ সতর্ক করে বলেন, “যদি অনুপ্রবেশকারীরা ভোটার তালিকায় ঢুকে যায়, তারা দেশের নীতি নির্ধারণে অংশ নেবে যা গণতন্ত্রের জন্য হানিকর।” তিনি বলেন, ভারত একটি ভূ-সাংস্কৃতিক জাতি। ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ ছিল এক ঐতিহাসিক ভুল। তিনি বলেন, সরকার অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করবে, ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেবে এবং তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য কাজ করবে। কারণ অনুপ্রবেশকারীরা সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে আইনশৃঙ্খলা এবং শহরে দরিদ্র শ্রমিকদের অধিকার হরণ করছে।

  • Amit Shah: ‘‘এদেশের মাটিতে আমার অধিকারের সমান অধিকার পাক-বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদেরও’’, সিএএ নিয়ে অমিত শাহ

    Amit Shah: ‘‘এদেশের মাটিতে আমার অধিকারের সমান অধিকার পাক-বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদেরও’’, সিএএ নিয়ে অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, বরং নির্যাতিতদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য‌ করা হয়েছে। দিল্লিতে জনসংখ্যা ও জনবিন্যাস সংক্রান্ত এক আলোচনা সভায় এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বিতাড়িত হিন্দুরা নিজেদের নামে বাড়ি কিনতে পারেননি। তারা সরকারি চাকরি পাননি, রেশন কার্ড পাননি, এমনকি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাও হয়নি। তাদের অধিকার দেওয়ার জন্যই সিএএ।”

    কাদের জন্য নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগের সিদ্ধান্ত সংসদ নয়, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি নিয়েছিল। সেই ভুল সিদ্ধান্তের জন্য এই মানুষগুলোর চার প্রজন্ম নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এখন তারা কি সস্তায় রেশন, বছরে ৫ লাখ টাকার স্বাস্থ্যবিমার চিকিৎসা, ভোটাধিকার এবং সম্পত্তি কেনার অধিকার পাবে না?” এ প্রসঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলির তুলনা টেনে শাহ জানান, পাকিস্তানে ১৯৫১ সালে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ১৩ শতাংশ, বর্তমানে তা কমে মাত্র ১.৭৩ শতাংশে। বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা ২২ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ৭.৯ শতাংশে। আফগানিস্তানে হিন্দু-শিখ মিলিয়ে একসময় ছিল ২.২ লক্ষ, এখন মাত্র ১৫০ জন। শাহের বক্তব্য, এই হ্রাস ধর্মান্তরের কারণে নয়, বরং নির্যাতনের ফলে তারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি জানান, “যারা ধর্মরক্ষার জন্য ভারতে এসেছে, তারা উদ্বাস্তু। কিন্তু যারা অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক স্বার্থে অবৈধভাবে ঢুকেছে, তারা অনুপ্রবেশকারী।” অমিত শাহের দাবি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) আনার মাধ্যমে এই অবহেলিত মানুষদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শাহ বলেন, “ভারতের মাটিতে কারা প্রকৃত শরণার্থী আর কারা অনুপ্রবেশকারী, সেই সীমারেখা স্পষ্টভাবে টানা জরুরি। যাঁরা ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে এই দেশে আশ্রয় খুঁজেছেন, তাঁদের নৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার। যতটা অধিকার আমার এই দেশের মাটিতে, ঠিক ততটাই অধিকার পাকিস্তান ও বাংলাদেশের হিন্দুদেরও এই মাটিতে।”

    নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে অপপ্রচার

    নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে শাহ (Amit Shah) বলেন, সিএএ নিয়ে অন্যায়ভাবে অপপ্রচার চালানো হয়েছে এবং অযথা প্রতিবাদ হয়েছে। তাঁর কথায়, “এই আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, বরং নির্যাতিতদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য।” তাঁর দাবি, ১৯৫১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে যে ঐতিহাসিক ভুলগুলো হয়েছে, মোদি সরকার তা সংশোধন করেছে। শাহ আরও বলেন, “যারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে তারা উদ্বাস্তু। কিন্তু অবৈধভাবে ঢোকা মানে অনুপ্রবেশ। উদ্বাস্তুদের আমরা নাগরিকত্ব দিচ্ছি, অনুপ্রবেশকারীদের নয়। কারণ, যদি সবাইকে ঢুকতে দেওয়া হয়, তবে ভারত একদিন ধর্মশালা হয়ে যাবে।”

  • Danish Kaneria: ‘ভারতই আমার মাতৃভূমি!’ নাগরিকত্ব বিতর্কে বড় মন্তব্য, সিএএ নিয়ে সওয়াল প্রাক্তন পাক স্পিনার কানেরিয়ার

    Danish Kaneria: ‘ভারতই আমার মাতৃভূমি!’ নাগরিকত্ব বিতর্কে বড় মন্তব্য, সিএএ নিয়ে সওয়াল প্রাক্তন পাক স্পিনার কানেরিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভারত ও ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি নিজের গভীর আনুগত্য প্রকাশ করলেন প্রাক্তন পাক লেগ স্পিনার দানিশ কানেরিয়ায় (Danish Kaneria)। তিনি জানান, পাকিস্তান তাঁর জন্মভূমি হতে পারে, কিন্তু ভারত তাঁর মাতৃভূমি। তাঁর কাছে ভারত একটি মন্দিরের মতো। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেননি। এই মুহূর্তে তাঁর তেমন কোনও পরিকল্পনাও নেই। তবে ভবিষ্যতে কখনও তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব নিতে চাইলে তার জন্য সিএএ (CAA) মানে ২০১৯ সালে গৃহীত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন রয়েছে।

    ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রসঙ্গে কানেরিয়া

    দানিশ কানেরিয়া স্পষ্ট ভাষায় জানান, পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ভালোবাসা পেলেও, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB) এবং অন্যান্য কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তিনি বারবার বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। বলেন, “পাকিস্তান আমার জন্মভূমি হতে পারে, কিন্তু ভারত আমার মাতৃভূমি। আমার কাছে ভারত একটি মন্দিরের মতো।” বারবার তাঁকে ভারতীয় নাগরিকত্ব (Danish Kaneria on CAA) নিয়ে মন্তব্য করতে বলায় তিনি বলেন, “অনেকেই প্রশ্ন করছেন কেন আমি পাকিস্তান নিয়ে কথা বলি না, কেন ভারতীয় বিষয় নিয়ে মন্তব্য করি। কেউ কেউ বলেন আমি শুধু ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য এটা করছি। তাই আমি চাই সত্যিটা পরিষ্কার করতে।” তিনি জানান, বর্তমানে তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে ভবিষ্যতে যদি তিনি বা তাঁর মতো পাকিস্তান, বাংলাদেশ কিংবা আফগানিস্তানে নিপীড়িত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কেউ ভারতের নাগরিকত্ব চাইতে চান, তাহলে ২০১৯ সালে গৃহীত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) তাঁদের জন্যই সহায়ক।

    ধর্ম ও সংস্কৃতির প্রতি অটল থাকার প্রতিশ্রুতি

    দানিশ কানেরিয়া বলেন, নাগরিকত্ব না থাকলেও তিনি তাঁর ধর্ম ও সংস্কৃতি রক্ষায় অটল থাকবেন। তিনি আরও বলেন, “আমি এমন কোনও স্বার্থে ভারতীয় মূল্যবোধকে সমর্থন করি না। আমি আমার ধর্ম রক্ষা করব, দেশবিরোধীদের ও ভণ্ড ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের বিরুদ্ধে দাঁড়াব।” নিজের দীর্ঘ পোস্টের শেষে দানিশ কানেরিয়া লেখেন, “আমার নিরাপত্তা নিয়ে যারা উদ্বিগ্ন, তাঁদের জানাতে চাই— প্রভু শ্রী রামের আশীর্বাদে আমি ও আমার পরিবার নিরাপদ ও সুখে আছি। আমার ভাগ্য শ্রী রামের হাতে।”

    আরএসএস-এর প্রশংসা

    সম্প্রতি, আরএসএস-এর শতবর্ষ উপলক্ষে দানিশ কানেরিয়া শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, “বিশ্বের আরও অনেক সংগঠন থাকা উচিত আরএসএস-এর মতো, যারা স্বীকৃতি ছাড়াই সামাজিক সেবায় নিয়োজিত। আমি তাঁদের কাজ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দেখেছি— কোনও জাত, ধর্ম বা সীমানা নেই, শুধু নিঃস্বার্থ সেবা।” দানিশ কানেরিয়ার এই সাহসী ও স্পষ্ট বক্তব্য বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁর ভারতীয় শিকড়ের প্রতি গর্ব এবং প্রকাশ্যে সেটি নিয়ে কথা বলার সাহস অনেকের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

    বৈষম্যের শিকার, সিএএ-র হয়ে সওয়াল

    কানেরিয়ার এই বক্তব্যের পর তাঁকে ঘিরে পাকিস্তানে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তবে ভারতে অনেকে তাঁর সাহসের প্রশংসাও করছেন। কানেরিয়া একটি দীর্ঘ পোস্টে (X-এ) লিখেছেন, তিনি পাকিস্তানের মানুষের কাছ থেকে প্রাপ্ত ভালবাসার জন্য কৃতজ্ঞ। তবে তিনি নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারে বারবার বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। বরাবর সে দেশে তিনি নানা ধরনের অস্বস্তির সম্মুখীন হয়েছেন। এই ধরনের আচরণে তাঁর আত্মবিশ্বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বলেও দাবি করেন। পাকিস্তানের জাতীয় দলের হয়ে মাত্র দুইজন হিন্দু ক্রিকেটার এখনও পর্যন্ত প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এঁদের মধ্যে একজন দানিশ কানেরিয়া (Danish Kaneria)। পাকিস্তানি এই ক্রিকেটার ৬১টি টেস্ট এবং ১৮টি ওয়ান ডে ম্য়াচ খেলেছেন। প্রায় এক দশক দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। কানেরিয়া জানান, খেলোয়াড় জীবনে বারংবার তাঁর ধর্ম বদল করার প্রচেষ্টা করা হয়েছে।

    দেশকে সম্মান করেছি

    উল্লেখ্য, সিএএ-এর অধীনে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে আসা নির্যাতিত সংখ্যালঘুরা (হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান) ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য হতে পারেন। সম্প্রতি, সরকার ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতে আসা এই ব্যক্তিদের পাসপোর্ট এবং ভিসার প্রয়োজনীয়তা নেই বলে জানিয়েছে। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত গায়ক আদনান সামিকে ২০১৬ সালে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছিল। এই বছর তাকে পদ্মশ্রীও দেওয়া হয়েছে। কানেরিয়ার কথায়, ‘আমি সবসময় আমার দেশকে সম্মান করেছি। কিন্তু কিছু অভিজ্ঞতা গভীরভাবে আহত করেছে।’ স্বভাবতই, তাঁর এই পোস্ট মুহূর্তে ভাইরাল। অনেকে প্রশংসা করেছেন নির্ভীক অবস্থানকে, আবার কেউ কেউ ছুড়ে দিয়েছেন কটাক্ষ। তবে কানেরিয়া হঠকারী সিদ্ধান্ত নিতে নারাজ। ঠান্ডা ভাষায়, সংযত মেজাজে বলেছেন—‘আমি কোনও দেশের বিরুদ্ধে নই। শুধু সত্যিটা বলেছি

  • Suvendu Adhikari: বাংলাদেশি মুসলিমরা অনুপ্রবেশকারী, সিএএ-তে তাদের স্থান নেই, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বাংলাদেশি মুসলিমরা অনুপ্রবেশকারী, সিএএ-তে তাদের স্থান নেই, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি (Bangladeshi) মুসলিমদের সিএএ-তে কোনও স্থান নেই, তাঁরা ‘অনুপ্রবেশকারী’ – বিধানসভা ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে ফের একবার এমনটাই স্পষ্ট করে জানালেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, সিএএ-র আওতায় কারা পড়েন এবং কারা পড়েন না, তা কেন্দ্র আগে থেকেই নির্ধারণ করে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নির্যাতিত হয়ে আসা অমুসলিম শরণার্থীরাই এই আইনের অন্তর্ভুক্ত।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) ভাষায়, “হিন্দু, শিখ, খ্রীষ্টান, জৈন, বুদ্ধিস্ট সকলেরই স্থান রয়েছে। তবে বাংলাদেশি মুসলিম নয়, পরিষ্কার করে বলা হয়েছে। তাঁরা অনুপ্রবেশকারী। তাঁরা ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকবে। আর সব হিন্দু, যাঁরা বাংলাদেশ থেকে এসেছে, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ , তাঁরা সবাই শরণার্থী, তাঁদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত সরকার। হিন্দুরা আসবে, নিরাপদে থাকবে।”

    এই আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়

    এই আইনের আওতায় হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে শর্ত অনুযায়ী, তাঁদের ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে প্রবেশ করা আবশ্যক ছিল। তবে এবার নাগরিকত্বের আবেদন জানানো যাবে আরও ১০ বছর পর্যন্ত, অর্থাৎ ২০২৫-এর মধ্যে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে যাঁরা এসেছেন, তাঁরাও এই আইনের সুযোগ নিতে পারবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের এনিয়ে জানিয়েছে, এই আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, বরং নির্যাতিত শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রণীত। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আইন ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হওয়া অমুসলিম শরণার্থীদের জন্য একটি মানবিক পদক্ষেপ।ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) কার্যকর করার সিদ্ধান্তে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন,”সেকুলারিজম (ধর্মনিরপেক্ষতা), প্লুরালিজম (বহুত্ববাদ), এবং কমিউনিজম (সমাজতন্ত্র) — এই মূল্যবোধগুলো বজায় থাকবে ততক্ষণই, যতক্ষণ ভারত একটি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে টিকে থাকবে।”

  • Modi Govt: ভিসা পেলেন না ভারত-বিরোধী ক্ষমা, জাতীয় ঐক্যে আপস নয়, বুঝিয়ে দিল মোদি সরকার

    Modi Govt: ভিসা পেলেন না ভারত-বিরোধী ক্ষমা, জাতীয় ঐক্যে আপস নয়, বুঝিয়ে দিল মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ-বিরোধী কোনও কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না, তা আবারও বুঝিয়ে দিল মোদি সরকার। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন রাজনীতিবিদ ক্ষমা সাওয়ান্তের ভিসা প্রত্যাখ্যান করল কেন্দ্র। প্রাক্তন সিয়াটল সিটি কাউন্সিলর ক্ষমা, সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভ সহ বেশ কয়েকটি বিতর্কিত ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। তাঁর এই অবস্থানের জন্যই তাঁকে ভিসা দিতে অস্বীকার করল ভারত, এমনই অভিমত কূটনীতিকদের। এই ঘটনা বিশ্বের কাছে কেন্দ্রের জিরো-টলারেন্স বা আপসহীন নীতিকে শক্তিশালী করল।

    কেন ক্ষমা সাওয়ান্তের ভিসা প্রত্যাখ্যান?

    ক্ষমা সাওয়ান্ত একজন ফায়ারব্র্যান্ড সমাজকর্মী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শহর সিয়াটেলের প্রাক্তন কাউন্সিলর, প্রায়ই ভারত সরকারের সমালোচনা করতেন তিনি। সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভের প্রতি তাঁর সমর্থন, ভারতের রাজনৈতিক আবহাওয়ার সমালোচনা এবং দূর-বাম মতাদর্শের সঙ্গে সারিবদ্ধতা তাঁকে একটি মেরুকরণকারী ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। যদিও দিল্লির তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিসা প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে মন্তব্য করা হয়নি। তবে, কূটনৈতিক মহলের অনুমান বিদেশি প্রভাব থেকে ভারতকে রক্ষা করার জন্য মোদি সরকার এই পদক্ষেপ করেছে। সাওয়ান্তকে ভিসা দিতে মোদি সরকারের প্রত্যাখ্যান, জাতীয় ঐক্যকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা রুখবে বলেই অভিমত বিশেষজ্ঞদের। সর্বোপরি, কেন ভারত তাঁদের আতিথেয়তা বাড়াবে যাঁরা আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে ভারতের নীতিকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ জানায়।

    ভারত-বিরোধী কাজ

    ক্ষমা সাওয়ান্তের ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে মোদি সরকার দেশ বিরোধীদের একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠিয়েছে। সরকারের তরফে বার্তা, দেশ-বিরোধী কার্যকলাপকে সমর্থন করলে, আপনাকে স্বাগত জানানো হবে না। শুধু সিএএ নয়, সিয়াটেল সিটি কাউন্সিলে থাকাকালীন, ক্ষমা ভারতের নীতির বিরুদ্ধে একাধিক প্রস্তাব পেশ করেছিলেন। ২০২৩ সালে তিনি একটি প্রস্তাব পেশ করেন, যেখানে হিন্দু ধর্মকে অতিরিক্ত আইনি নিরীক্ষণের আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছিল। এই ঘটনা হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এই আবহে কেন্দ্র ক্ষমার ভিসা মঞ্জুর না করে বুঝিয়ে দিয়েছে, ভারতের জাতীয় ঐক্যের ক্ষতি করতে পারে এমন প্রচেষ্টা মেনে নেবে না মোদি সরকার।

  • Gujarat: সিএএ-এর মাধ্যমে ৫৬ জন পাকিস্তানি হিন্দুকে নাগরিকত্ব দিল গুজরাট সরকার

    Gujarat: সিএএ-এর মাধ্যমে ৫৬ জন পাকিস্তানি হিন্দুকে নাগরিকত্ব দিল গুজরাট সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দুই দশক ধরে গুজরাটে (Gujarat) বসবাসকারী ৫৬ জন পাকিস্তানি হিন্দুকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হল। ১১ ডিসেম্বর আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে গুজরাটের  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হাতে নাগরিকত্বের শংসাপত্র তুলে দেন। প্রাপকদের অভিনন্দন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আপনারা হাসুন, এখন থেকে আপনারা ভারতের নাগরিক।” আর হাতে শংসাপত্র পেয়ে তাঁরাও স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন। এই দিনটার জন্য তাঁরা বছরের পর বছর অপেক্ষা করছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রী- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানালেন হিশা কুমারী (Gujarat)

    জানা গিয়েছে, এই ৫৬ জনের মধ্যে হিশা কুমারী নামে একজনের নাগরিকত্ব পাওয়ার ঘটনা অন্যতম। ১৯৯৮ সালে পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেন হিশা। উন্নত ভবিষ্যত এবং নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য ২০১৩ সালে তাঁর পরিবারের সঙ্গে ভারতে চলে আসেন তিনি। পাকিস্তানে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পরার পর ভারতে এসে তিনি ফের পড়াশুনা শুরু করেন। ২০১৭ সালে আজমিরের একটি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। তিনি এখন একজন ডাক্তার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছেন। এদিন তাঁর হাতেও নাগরিকত্বের (Gujarat) শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। নাগরিকত্ব পাওয়ার পর উচ্ছ্বসিত হয়ে হিশা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “আমার পরিচয় পুনরুদ্ধার করার জন্য আমি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে কৃতজ্ঞ। এই নাগরিকত্ব পাওয়ার পরে, আমি যে কোনও জায়গায় আবেদন করতে পারি।” তিনি গর্বভরে তাঁর নাগরিকত্বের শংসাপত্র প্রদর্শন করে বলেছিলেন।

    আরও পড়ুন: চালিয়ে খেলছে শীত! কলকাতায় ১৩ ডিগ্রির ঘরে পারদ, বঙ্গে তাপমাত্রা নামল ১০-এর নিচে

    রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কী বললেন?

    রাজ্যের (Gujarat) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আগে, এই ব্যক্তিদের দিল্লিতে একটি দীর্ঘ এবং কঠিন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। এখন, আমরা নিশ্চিত করেছি যে তাদের সমস্যাগুলি স্থানীয় পর্যায়ে সমাধান করা হবে। ” ২০১৭ সাল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত মোট ১১৬৭ জন পাকিস্তানি নাগরিক ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। এই ৫৬ জনকে অন্তর্ভুক্ত করায়, সংখ্যাটি এখন ১২২২-এ দাঁড়িয়েছে। শুধুমাত্র গুজরাতেই, ৫০ টিরও বেশি পাকিস্তানি হিন্দু গত ছয় মাসে তাদের নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়েছে। এই ৫৬ জনের জন্য ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান এবং তাদের জীবনে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। এটি তাদের শুধুমাত্র আইনি স্বীকৃতিই দেয় না বরং ভারতীয় সমাজে সম্পূর্ণরূপে একীভূত হওয়ার এবং তাদের স্বপ্নগুলিপূরণ করার সুযোগও দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UNHRC: সিএএ-র পক্ষে জোরালো সওয়াল মুসলিম মহিলার, কী বললেন জানেন?

    UNHRC: সিএএ-র পক্ষে জোরালো সওয়াল মুসলিম মহিলার, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটব্যাঙ্কে ধস নামার ভয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, সংক্ষেপে সিএএ-র (CAA) বিরোধিতা করেছিল এ দেশের বেশ কিছু রাজনৈতিক দল। এদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি সুর চড়িয়েছিল কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস। কার্যত তাদের মুখেই ঝামা ঘষে দিলেন রাজস্থানের জয়পুরের এক মুসলিম মহিলা ফাইজা রিফাত। জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের (UNHRC) ৫৭তম অধিবেশনে বক্তৃতা দেন তিনি। সেখানেই জোরালো সওয়াল করেন সিএএ-র পক্ষে।

    সিএএ (UNHRC)

    প্রসঙ্গত, সিএএ-র মাধ্যমে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান-সহ ছটি অমুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়। রিফাত বলেন, “যারা ঐতিহাসিকভাবে তাদের নিজ দেশে নিপীড়নের সম্মুখীন হয়েছে, তাদের আশ্রয় ও আইনি মর্যাদা প্রদান করে সিএএ।” বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যে নৃশংস অত্যাচার হচ্ছে, সে প্রসঙ্গ তুলে ধরে রিফাত বলেন, “সিএএ-র বাস্তবায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুরা চলমান নিপীড়ন ও নির্বাচনী হিংসার মুখোমুখি হচ্ছে। এই ব্যক্তিদের নিরাপদ পরিবেশে অভিবাসনের জন্য সিএএ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প প্রদান করে এবং তাঁদের মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে দেয়।”

    আরও পড়ুন: “পুজো কমিটিগুলোকে কম করে ১০ লাখ টাকা দিন”, রাজ্যকে কটাক্ষ আদালতের

    কী বলছেন রিফাত

    তিনি বলেন, “সিএএ নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা প্রকৃত উদ্বাস্তু ও অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে পার্থক্য করতে সাহায্য করে। যার ফলে অবৈধ অভিবাসন রোধ করার সময় বৈধ আশ্রয়ের দাবিদারদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়।” রিফাতের যুক্তি (UNHRC), এই পার্থক্যের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ এতে মাদক পাচারে যারা যুক্ত কিংবা অন্য কোনও অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাদের চিহ্নিত করতে সাহায্য করে। বিশেষত, সীমান্ত এলাকায়। রিফাত বলেন, “সিএএ (CAA) দুর্বল সংখ্যালঘুদের জন্য একটা সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা। এই আইন তাদের শোষণ থেকে রক্ষা করে। ভারতীয় সীমানায় তাদের সুরক্ষাও নিশ্চিত করে (UNHRC)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • V Muraleedharan: “সিএএ-র প্রাসঙ্গিকতা মনে করাল বাংলাদেশের ঘটনা”, বললেন মুরলীধরণ

    V Muraleedharan: “সিএএ-র প্রাসঙ্গিকতা মনে করাল বাংলাদেশের ঘটনা”, বললেন মুরলীধরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিএএ-র (CAA) তাৎপর্য ও প্রাসঙ্গিকতা মনে করিয়ে দিল বাংলাদেশের হিংসার ঘটনা।” কথাগুলি বললেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা ভি মুরলীধরণ (V Muraleedharan)। সম্প্রতি বাংলাদেশে ব্যাপক হিংসার সাক্ষী তামাম বিশ্ব। সেখানে নির্বিচারে চালানো হয় হিন্দু নিধন যজ্ঞ। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই সিএএ-র প্রসঙ্গ তোলেন বিজেপি নেতা মুরলীধরণ। ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে প্রতিবেশী মুসলিম দেশ থেকে আসা সংখ্যালঘুদের আশ্রয় ও নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য সিএএ এনেছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার।

    সিএএ (V Muraleedharan)

    ২০১৯ সালে সিএএ বিল সংসদে পাশ হলেও, লাগু হয়নি। সেই সময় বিলের ব্যাপক বিরোধিতা করেছিল কংগ্রেস এবং সিপিএম। এদিন তিরুবনন্তপুরমে ‘বাংলাদেশ বার্নিং’ শীর্ষক একটি সেমিনারে যোগ দেন মুরলীধরণ। সেখানেই আরও একবার সিএএ-র সপক্ষে সওয়াল করেন এই বিজেপি নেতা। অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল বিজেপির বুদ্ধিজীবী সেল। মুরলীধরণের মতে, ভারতেও বাংলাদেশের মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে যেসব মন্তব্য করা হচ্ছে, সেই সব মন্তব্যে ভারতের শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে। এই পদ্ম নেতা বলেন, “ভারত সব সময় একটা নীতি নিয়ে চলে। তার একটা লক্ষ্যও রয়েছে। রয়েছে স্থায়ী প্রশাসন, সরকার। ভারত কল্যাণকামী দেশ। সব সময় দেশবাসীর কল্যাণ কামনা করে।” তিনি বলেন, “ভারত কখনও কোনও দেশের অনৈক্যকে প্রশ্রয় দেয় না। কোনও দেশের শান্তি আমরা কখনওই বিঘ্নিত করিনি।”

    আরও পড়ুন: “বাংলা অনাচার ও নৈরাজ্যের ঘাঁটি”, আরজি করকাণ্ডে মমতার মুন্ডুপাত বিজেপির

    রাহুল, পিনরাইকে নিশানা

    তিনি বলেন, “দেশে যদি হিন্দুরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়েন, তাহলে রাহুল গান্ধী এবং পিনরাই বিজয়ন মৌনীবাবা হয়ে পড়বেন।” মুরলীধরণের (V Muraleedharan) প্রশ্ন, “সিপিএম এবং কংগ্রেস বিশ্বাস করে হিন্দুদের কোথাও কোনও সংখ্যালঘুর অধিকার নেই।” প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “ভারত সব সময় চায় প্রতিবেশী দেশেও স্থায়ী গণতান্ত্রিক সরকার থাকুক। কিন্তু জামাত-ই-ইসলামি, যারা বাংলাদেশে হিন্দু-বিরোধী হিংসা চালিয়েছিল, তাদের না আছে বাংলার প্রতি কোনও সেন্টিমেন্ট, না আছে গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা। তাদের কেবল রয়েছে ধর্মীয় আবেগ। হিন্দুদের ওপর যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তাকে যারা উপেক্ষা করে, জনগণ তাদের হিপোক্রেসি ধরে ফেলবে।”

    তিনি বলেন, “দালাই লামা, শেখ হাসিনা এ দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। সনাতন ধর্মের পাঠ অনুসরণ করে আমরা তাঁদের আশ্রয় দিয়েছি।” মুরলীধরণ বলেন, “কোনও ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ নষ্ট করতে পারেনি (CAA) আমাদের বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যকে (V Muraleedharan)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share