Tag: CAA

CAA

  • CAA: “নাগরিকত্বের কাগজ হাতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে, মাথা উঁচু করে বাঁচব”, বললেন নদিয়ার বিকাশ

    CAA: “নাগরিকত্বের কাগজ হাতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে, মাথা উঁচু করে বাঁচব”, বললেন নদিয়ার বিকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেলেন বিকাশ মণ্ডল নামে নদিয়ার এক যুবক। লোকসভা ভোটের আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিল পাশ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। আর তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্য সভায় বাংলায় সিএএ (CAA) হতে দেব না বলে বার বার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। সব কিছুকে ফুৎকারে উড়়িয়ে দিয়ে অবশেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে নির্দেশ মতো বুধবার থেকেই বাংলায় সিএএ চালু হয়ে গেল। রাজ্যের ৮ জন নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পেয়েছেন।

    মোদিজিকে কুর্ণিশ জানান মণ্ডল পরিবার (CAA)

    বেশ কিছুদিন আগে নদিয়ার বিকাশ মণ্ডল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। বুধবারই নাগরিকত্বের শংসাপত্র তিনি হাতে পেয়েছেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ থেকে নদিয়া কৃষ্ণনগরের ভীমপুর আশাননগর এলাকায় পরিবার নিয়ে চলে আসেন বিকাশবাবু। এরপরে যখন নাগরিকত্ব আইন পাস হল তারপর থেকেই তিনি চেষ্টায় ছিলেন এ দেশের নাগরিকত্বের শংসাপত্র পাওয়ার জন্য। এরপর তিনি এপ্রিল মাসে অনলাইনে আবেদন করেন। ২৭ মে তাঁকে ভেরিফিকেশনের জন্য কৃষ্ণনগর পোস্টাল সুপারিনটেনডেন্ট অফিসে তাঁকে ডাকা হয়। এরপর তিনি সমস্ত কাগজপত্র জমা করার পর বৃহস্পতিবার নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পান। মোদিজিকে কুর্ণিশ জানান মণ্ডল পরিবারের সদস্যরা।

    রাতের অন্ধকারে পরিবার নিয়ে চোরা পথে ভারতে চলে আসি

    এই বিষয়ে বিকাশ মণ্ডল বলেন, বাংলাদেশে সাইবার ক্যাফে ছিল আমার। সেখানে হিন্দুদের কোনও গুরুত্ব নেই। ওরা অত্যাচার করত। অল্প জমি ছিল। জলের দরে জমি বিক্রি করি দিই। মুসলিমদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে রাতের অন্ধকারে পরিবার নিয়ে কাঁটাতার পেরিয়ে চোরা পথে আমরা এই দেশে চলে আসি। নাগরিকত্ব কাগজ হাতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে। মাথা উঁচু করে বাঁচব। আর এটুকু বলতে পারি, সিএএ (CAA) নিয়ে ভয়ের কিছু নেই, আবেদন করলে সবাই নাগরিকত্ব পাবে। আর কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের ভারতবর্ষে থাকার সুযোগ করে দিয়েছে। তাই, মোদিজিকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

    হিন্দু মেয়েরা মন খুলে ঘুরতে পারে না, বসবাস করা যায় না বাংলাদেশে

    বিকাশবাবুর স্ত্রী সাথী বিশ্বাস বলেন, বাংলাদেশ মুসলিমরা হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করে। সেখানে হিন্দু মেয়েরা মন খুলে ঘুরতে পারে না, সেখানে বসবাস করা যায় না। বাইরে বের হলে অভিভাবকদের সঙ্গে যেতে হত। সবসময় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতাম। আর অত্যাচার তো ছিলই। সেই অত্যাচার থেকে বাঁচতেই ২০১২ সালে সপরিবারে আমরা নদিয়ায় চলে আসি। এই দেশে আসার পর নাগরিকত্ব পাওয়া নিয়ে অধীর আগ্রহে ছিলাম। অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকারের পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করে সার্টিফিকেট পেয়ে খুশি আমরা। মোদিজির প্রতি ভরসা আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAA: “মোদিজিকে শতকোটি প্রণাম”, নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে বললেন নিউ বারাকপুরের দেবপ্রসাদ

    CAA: “মোদিজিকে শতকোটি প্রণাম”, নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে বললেন নিউ বারাকপুরের দেবপ্রসাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ দফা ভোটের আগেই রাজ্যে চালু হয়ে গেল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে বুধবার থেকে নাগরিকত্ব (CAA) শংসাপত্র দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবারও অনেকে নাগরিকত্বের কাগজ হাতে পেয়েছেন। যাঁরা শংসাপত্র পেয়েছেন, তাঁরা মূলত নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা।

    রাজ্যে প্রথম দফায় ৮ জন নাগরিকত্ব পেয়েছেন (CAA)

    শেষ দফায় বারাসত, বসিরহাট, দমদম, জয়নগরের মতো আসনে ভোটগ্রহণ রয়েছে। এই সব কেন্দ্রে মতুয়া পরিবারের বসবাস রয়েছে। যাদের একটি বড় অংশ বিভিন্ন সময়ে ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। বুধবার এক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি প্রথম দফার যোগ্য আবেদনকারীদের নাগরিকত্বের আবেদন মঞ্জুর করেছে। যোগ্যদের শংসাপত্র দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফায় মোট ৮ জন নাগরিকত্ব (CAA) পেলেন। তারমধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ৭ জন রয়েছেন। আর নদিয়া জেলায় একজন রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: কেরলে ঢুকে পড়ল বর্ষা, কয়েক দিনেই পৌঁছবে উত্তর-পূর্ব ভারতে

    প্রথম দফায় কারা পেলেন নাগরিকত্ব

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনায় মোট ৭ জন রয়েছেন। এরমধ্যে মৃণালকান্তি দাস ও তাঁর স্ত্রী শর্বরী দাস রয়েছেন। তাঁদের বাড়ি উত্তর দমদম পুরসভার বিরাটি। অনলাইনে কিছুদিন আগেই তিনি আবেদন করেছিলেন। বুধবারই নাগরিকত্ব পাওয়ার কাগজ তাঁরা হাতে পান। নিউ বারাকপুর লেলিনগড় এলাকার বাসিন্দা দেবপ্রসাদ গায়েনও বুধবার নাগরিকত্বের কাগজ হাতে পেয়েছেন। গাইঘাটা থানার ঠাকুরনগর কেষ্টনগরের বাসিন্দা শান্তিলতা বিশ্বাস বৃহস্পতিবার নাগরিকত্বের কাগজ হাতে পান। এছাড়া নাগরিকত্ব পাওয়ার তালিকায় রয়েছেন অনির্বাণ নন্দী, নিলয় ঘোষ এবং অর্ণব ঘোষ। প্রত্যেকের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। আর নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরের ভীমপুর আশানগরের বাসিন্দা বিকাশ মণ্ডলও বুধবার নাগরিকত্বের (CAA) কাগজ হাতে পেয়েছেন।

    মোদিজিকে শতকোটি প্রণাম জানালেন সকলেই

    দেবপ্রসাদ গায়েন নামে এক যুবক বলেন, ১৫ দিন আগে আমি অনলাইনে আবেদন করেছিলাম। বুধবার আমি কাগজপত্র হাতে পেয়েছি। এতদিন পর এই দেশের নাগরিক (CAA) হতে পেরে আমরা চরম খুশি। মোদিজি যে গ্যারান্টি দেন, তা রাখেন। আমাদের নাগরিকত্ব পাওয়ার ঘটনা তাঁর জ্বলন্ত উদাহরণ। মোদিজিকে শতকোটি প্রণাম জানাই। আমি সকলকেই বলতে চাই, যাঁরা এখনও সিএএ নিয়ে ভাবছেন, তাঁরা অনলাইনে আবেদন করুন। মোদিজির ওপর ভরসা রাখুন, হতাশ হবেন না। ঠাকুরনগরের বাসিন্দা তারক বিশ্বাস বলেন, আমরা স্বামী-স্ত্রী মিলে আবেদন করেছিলাম। স্ত্রী কাগজ হাতে পেয়ে গিয়েছে। আমি খুব শীঘ্রই পেয়ে যাব। শান্তনু ঠাকুর আর নরেন্দ্র মোদিকে হাজার কোটি প্রণাম জানাই। তাঁদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব আমরা।

    মমতাকে আক্রমণ করলেন সুকান্ত

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্যে কবে থেকে নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু হবে, তা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন ছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সেই ধোঁয়াশা কাটিয়ে দিয়েছে। এর থেকে স্পষ্ট সিএএ (CAA) রূপায়ণ হতে দেব না বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যতই দাবি করুন না কেন, তিনি যে এ বিষয়ে কিছু করতে পারবেন না তা স্পষ্ট হয়ে গেল। এক-এক করে যারা আবেদন করেছেন তাঁরা সকলেই নাগরিকত্ব পাবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAA: সিএএ শংসাপত্র বিলির কাজ শুরু বাংলায়, বড় ঘোষণা শাহের মন্ত্রকের

    CAA: সিএএ শংসাপত্র বিলির কাজ শুরু বাংলায়, বড় ঘোষণা শাহের মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, সংক্ষেপে সিএএ (CAA) অনুযায়ী শংসাপত্র বিলির স্থান-কাল জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আপাতত এই শংসাপত্র বিলি হবে পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা এবং উত্তরাখণ্ডে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বুধবার থেকে সিএএ আইন অনুযায়ী শংসাপত্র বিলির কাজ শুরু করেছে সিএএ সংক্রান্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি। প্রসঙ্গত, গত ১৫ মে প্রথমবার তিনশো জন আবেদনকারীকে সিএএ-র শংসাপত্র বিলি করেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। দিল্লিতে ১৪ জন আবেদনকারীর হাতে এই শংসাপত্র তুলে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয়কুমার ভাল্লা স্বয়ং।

    সিএএ শংসাপত্র বিলি শুরু (CAA)

    বুধ-সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA), ২০২৪ এর আওতায় পশ্চিমবঙ্গে নাগরিকত্ব শংসাপত্র মঞ্জুরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ প্রথম দফার আবেদনকারীদের নাগরিকত্ব প্রদান করেছে পশ্চিমবঙ্গের এমপাওয়ার্ড কমিটি। একইভাবে হরিয়ানা এবং উত্তরাখণ্ডেও বুধবার থেকে প্রথম দফার আবেদনপত্রগুলির ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদান শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের এমপাওয়ার্ড কমিটি।

    সিএএ

    গত ১১ মার্চ, দেশজুড়ে লাগু হয় সিএএ। যদিও ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সিএএ পাশ করিয়েছিল মোদি সরকার। সংসদের দুই কক্ষেই বিলটি পাশ হওয়ার পর পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। বিলটিতে স্বাক্ষর করেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এই আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মতো দেশ থেকে যে সব অ-মুসলিম মানুষ ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে এ দেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন এবং অন্তত পাঁচ বছর ভারতে বাস করছেন, তাঁরা নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেতে সিএএতে আবেদন করতে পারেন বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র।

    আর পড়ুন: ইভিএম পরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন ‘হেরো’ প্রার্থীরা, বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের

    সিএএ আইনের ব্যাখ্যায় যাঁরা পাঁচ নম্বরের অন্তর্ভুক্ত, তাঁদেরও আবেদনের কথা ভাবতে হতে পারে। এই ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ২০০৪ সালের ৩ ডিসেম্বর কিংবা তার পরে যাঁদের ভারতে জন্ম, তাঁদের বাবা-মা দুজনেই ভারতীয় হলে, তিনিও এ দেশের নাগরিক। কিন্তু বাবা-মায়ের মধ্যে অন্তত একজন ভারতীয় নাগরিক না হলে প্রশ্নের মুখে পড়বে তাঁদের সন্তানের নাগরিকত্ব (CAA)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Pak Refugees in Delhi: ‘‘এখন থেকে আমরা ভারতীয়’’, নাগরিকত্ব পেয়ে মোদিকে ধন্যবাদ পাক শরণার্থীদের

    Pak Refugees in Delhi: ‘‘এখন থেকে আমরা ভারতীয়’’, নাগরিকত্ব পেয়ে মোদিকে ধন্যবাদ পাক শরণার্থীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখন থেকে ভারতীয় শরনার্থীদের (Pak Refugees in Delhi) আর পাকিস্তানি বলা যাবে না। অর্থাৎ পাকিস্তান থেকে আসা দিল্লিতে বসবাসকারী শরণার্থীরা এখন থেকে ভারতের নাগরিক। সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্বের শংসাপত্রের প্রথম সেট জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই পাকিস্তান থেকে আসা শরণার্থীরা বৃহস্পতিবার নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের মাধ্যমে তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ-র অধীনে নিয়মগুলি ঘোষণা করার পর দুই মাসের মধ্যে নাগরিকত্বের শংসাপত্রের এই প্রথম সেট জারি করেছে। 

    শরণার্থীদের বক্তব্য 

    এই প্রসঙ্গে শরণার্থীরা (Pak refugees in Delhi) বলেছেন, “আমরা ৫ অক্টোবর ২০১৩ সালে পাকিস্তান থেকে দিল্লিতে আসি। যখন সিএএ বিল পাস হয়েছিল তখন আমরা খুব খুশি হয়েছিলাম। এরপরে আমরা নাগরিকত্ব পাওয়ার চেষ্টা করেছি যাতে আমরা কিছু কাজও শুরু করতে পারি। আমরা একমাস আগে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলাম এবং আমরা তা ১৫ মে পেয়েছি। এখন আমাদের ভবিষ্যতও উজ্জ্বল হবে। তাই আমরা ভারত সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।” একই সঙ্গে আরও এক শরণার্থী বলেন, “আমরা যখন ১০ বছর আগে এখানে এসেছি, তখন আমাদের নাগরিকত্ব ছিল না। নাগরিকত্ব পেয়ে আমরা খুব খুশি। আগে আমাদের সন্তানদের স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হতাম। কিন্তু এখন আমাদের শিশুরা সঠিক শিক্ষা পাবে এবং তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। এতদিন ধরে আমাদের পাকিস্তানি বলা হতো। এখন থেকে আমরা ভারতীয়।” 

    আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীর ভাইরাল বক্তৃতার জবাব মোদির

    অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন 

    জানা গিয়েছে, সিনিয়র সুপারেনটেন্ডেন্টদের সভাপতিত্বে জেলা স্তরের কমিটিগুলি নথিগুলির সঠিক যাচাই করে আবেদনকারীদের নাগরিকত্বের (Pak refugees in Delhi) শংসাপত্রের প্রথম সেট জারি করেছে। নিয়ম অনুযায়ী, যাচাই এর পরে আবেদন গুলি ডিরেক্টরের নেতৃত্বে রাজ্য স্তরের ক্ষমতা প্রাপ্ত কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। এই আবেদনের প্রক্রিয়াকরণ সম্পূর্ণভাবে অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAA: ভোটের মধ্যেই সিএএ-র অধীনে প্রথমবার নাগরিকত্ব পেলেন ১৪ আবেদনকারী

    CAA: ভোটের মধ্যেই সিএএ-র অধীনে প্রথমবার নাগরিকত্ব পেলেন ১৪ আবেদনকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনেরের অধীনে আবেদনকারীদের হাতে প্রথমবার সিএএ শংসাপত্র তুলে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। লোকসভা ভোট চলাকালীনই বুধবার, ১৫ মে ১৪ জনের হাতে নাগরিকত্বের শংসাপত্র তুলে দেওয়া হল। এদিন, নয়াদিল্লিতে এই ১৪ জন আবেদনকারীর হাতে নাগরিকত্বের শংসাপত্র তুলে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব, অজয় কুমার ভাল্লা। উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার জেনারেল অব ইন্ডিয়া, ডাক বিভাগের সচিব, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর ডিরেক্টর-সহ পদস্থ কর্তারা।

    কারা আবেদন করতে পারবেন

    নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের বিধি জারি করার প্রায় দুই মাস পর, এদিন এই আইনের অধীনে প্রথমবারের জন্য ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসা পেলেন ১৪ জন। নয়া আইনে, নাগরিকত্বের আবেদনের যোগ্যতার জন্য ভারতে থাকার সময়কাল ১১ বছর থেকে কমিয়ে ৫ বছর করা হয়েছে। ২০১৪-র ৩১ ডিসেম্বরের আগে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে যে সকল অমুসলিম উদ্বাস্তু ভারতে এসেছিলেন, তাঁরাই এই আইনের অধীনে নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারেন। এই সকল শর্ত মেনেই এই ১৪ জন ভারতীয় নাগরিকত্বের আবেদন করেছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বারবার স্পষ্ট করেছেন,  সিএএ-র ফলে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না। বরং, প্রতিবেশী দেশগুলিতে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হওয়া অমুসলিম সংখ্যালঘু ব্যক্তিরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    আরও পড়ুন: আইএমএফ-এর কাছে ঋণ চায় পাকিস্তান, দুবাইয়ে বিপুল সম্পত্তি দেশের মন্ত্রী-আমলাদের

    তৈরি হল ইতিহাস

    ২০২৪-এর ক্যালেন্ডারে এই দিনটি ইতিহাস তৈরি করল। বহু লড়াই ও আবেদনের পর ভারতীয় নাগরিকত্ব লাভ করলেন এই ১৪ জন। সরকারি মুখপাত্রের কথায়, “এই নিয়মগুলি অনুসরণ করে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের কাছ থেকে আবেদন গৃহীত হয়েছে, যারা ধর্ম বা এই ধরনের নিপীড়নের কারণে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে প্রবেশ করেছেন৷” ওই মুথপাত্র জানান, যাচাই-বাছাইয়ের পর, সেন্সাস অপারেশনের ডিরেক্টরের নেতৃত্বাধীন কমিটি, এই ১৪ জন আবেদনকারীকে সিএএ-র অধীনে নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “চ্যালেঞ্জ করছি কারও ক্ষমতা থাকলে সিএএ-তে হাত লাগিয়ে দেখুক”, হুঁশিয়ারি দিলেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “চ্যালেঞ্জ করছি কারও ক্ষমতা থাকলে সিএএ-তে হাত লাগিয়ে দেখুক”, হুঁশিয়ারি দিলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভোটের জন্য সিএএ করতে দিচ্ছেন না মমতা। বিরোধিতা করছেন। চ্যালেঞ্জ করছি কারও ক্ষমতা থাকলে সিএএ-তে হাত লাগিয়ে দেখুক।” শুক্রবার অমিত শাহ (Amit Shah) রানাঘাটের প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের হয়ে প্রচারে এই ভাষাতেই তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহের প্রশ্ন, “সিএএ এই দেশে আসা উচিত কি না! বহু মানুষ আজ নাগরিকত্ব পাননি। অনুপ্রবেশকারীদের ঠাঁই দিচ্ছে মমতার সরকার। কিন্তু মতুয়াদের নাগরিকত্বের বিরোধিতা করছে।আমরা সকলকে নাগরিকত্ব দেব।”

    মোদিকে প্রধানমন্ত্রী করতে বিজেপিকে ভোট দিন (Amit Shah)

    রানাঘাটের মাজদিয়া রেল বাজার হাই স্কুলের মাঠে সভা বিজেপি। সেখানে বক্তৃতা করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রানাঘাটে তৃণমূলের প্রার্থী বিজেপি ছেড়ে আসা মুকুটমণি অধিকারী। বক্তৃতায় তাঁকে বার বার কটাক্ষ করলেন সুকান্ত। জানালেন, এই ভোট হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে সামনে রেখে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। নদিয়াবাসীর পক্ষ থেকে অমিত শাহকে স্বাগত জানালেন দলীয় কর্মীরা। তার পরেই মঞ্চে উঠলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে বলুন, ‘ভারত মাতার জয়’। ‘জয় শ্রীরাম’।”এর পর একে একে মঞ্চে উপস্থিত বিজেপি নেতা, কর্মীদের নাম নেন শাহ (Amit Shah)। উপস্থিত সকলকে নমস্কার জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনাদের উৎসাহের জন্য প্রণাম জানাই। এখানে এক ইঞ্চিও জায়গা রাখেননি। জগন্নাথজিকে জয়ী করানোর জন্য সকলে এসেছেন। জগন্নাথকে কমল চিহ্নে দেওয়া প্রতি ভোট নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী করবে। জগন্নাথকে দেওয়া ভোট মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেবে।”

    আরও পড়ুন: গরমে ২৪ দিন নির্জলা থাকবে শিলিগুড়ি! দুর্ভোগে পুরবাসী, তৃণমূলকে দায়ী করল বিজেপি

    দুর্নীতিতে এক নম্বরে মমতার সরকার

    অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “রামমন্দির আগেই হওয়া উচিত ছিল কি না! এই কংগ্রেস, তৃণমূল, কমিউনিস্টেরা আটকে রেখেছিল এত বছর। দ্বিতীয় বার আপনারা প্রধানমন্ত্রী করেছেন। মামলা জিতে, ভূমিপুজো করে রামমন্দির করেছেন মোদি। আজ বলতে চাই, মোদিজি ১০ বছরে ৮০ কোটি গরিবের জন্য অনেক কাজ করেছেন। প্রতি মাসে যে ৫ কেজি চাল আসে, তা মোদি দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন। সন্দেশখালির প্রসঙ্গে শাহ বলেন, “মমতা একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর উপস্থিতিতে মহিলাদের শোষণ করা হয়েছে ধর্মের ভিত্তিতে। করেছেন ওঁর নেতারা। ওঁর লজ্জা করা উচিত। সিবিআই তদন্ত করছে। বাংলার মা, বোনদের চিন্তার দরকার নেই। আমরা সন্দেশখালি অপরাধীদের উল্টো ঝোলাব। শাহ জানান, দুর্নীতিতে ‘এক নম্বরে মমতার সরকার। শিক্ষক, পুরনিয়োগ থেকে রেশন, কয়লা সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি করেছে মমতার সরকার।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে, ভয় পাবেন না

    শাহ (Amit Shah) বলেন, “মমতার মন্ত্রীর ঘর থেকে ৫০ কোটি টাকা মিলেছে। এই সভায় কেউ এত টাকা দেখেছেন? এই টাকা কার? এই টাকা রানাঘাটের গরিব যুবকদের। এই মমতা এবং তৃণমূল এই কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করছে। যাঁরা দুর্নীতি করেছেন, তাঁদের ভয় পাবেন না।” তিনি আরও বলেন, “রাজ্যে এই যে বিস্ফোরণ হচ্ছে, সকলকে ভয় দেখানোর জন্য করাচ্ছেন মমতা। রানাঘাটবাসীকে বলছি, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছি আমরা। ভয় পাবেন না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAA: “সিএএ-তে ১০ হাজার মতুয়া আবেদন করেছেন”, বললেন শান্তনু ঠাকুর

    CAA: “সিএএ-তে ১০ হাজার মতুয়া আবেদন করেছেন”, বললেন শান্তনু ঠাকুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে লাগু হয়েছে সিএএ (CAA)। লাগু হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে ক্রমশই বাড়ছে তরজা। একদিকে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের প্রত্যেকটা সভা থেকে মন্তব্য করছেন সিএএ তে আবেদন করলে নাগরিকত্ব চলে যাবে। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে মতুয়ারা পাত্তা দিচ্ছে না। বরং, হাজার হাজার মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ সিএএ-তে আবেদন করছেন। এমনই দাবি বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের। ভোটের আগে বিজেপির কাছে এটা বাড়তি অক্সিজেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    ১০ হাজার মতুয়া আবেদন করেছে (CAA)

    এমনিতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্য সফরে এসে সিএএ (CAA) নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেছেন, সিএএ নাগরিক দেওয়ার আইন। নাগরিক কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। তৃণমূল মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।  এবার সিএএ নিয়ে বিজেপি প্রার্থী নতুন তথ্য দিলেন। সোমবার সকালে দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে গাইঘাটা বাজারে প্রচারে বেরিয়েছিলেন শান্তনু ঠাকুর। প্রচার শেষে তিনি বলেন, “সিএএ মানুষের অধিকার। যারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছেন তাঁরা বাংলাদেশের নাগরিক। তারা ভারতবর্ষে নাগরিক নয় তাদের অবশ্যই নাগরিকত্ব নিতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকার কি বলছে না বলছে তাতে কোনও যায় আসে না। আমরা মতুয়া মহা সংঘের কার্ড করিয়ে দিচ্ছিলাম, যাতে এই মানুষগুলোর কোনও অসুবিধা না হয়। এই মুহূর্তে আমাদের ৫ লক্ষ সদস্য আছে যারা কার্ড হোল্ডার। এদের আমরা সিএএ জন্য আবেদন করাচ্ছি। ইতিমধ্যেই দশ হাজার জন আবেদন করেছেন। এরপর যারা নতুন করে আসবে, তাদের জন্য আমরা শিবিরের আয়োজন করব। ফলে, মুখ্যমন্ত্রীর কথা যে কেউ বিশ্বাস করছে তা বোঝাই যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: শাহজাহানের জমি দখলের টাকা নিয়েছেন রাজ্যের আরও ২ মন্ত্রীও, বিস্ফোরক দাবি ইডির

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি প্রার্থী শান্তনুর মন্তব্য নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। তিনি বলেন, “শান্তুনু শুধু মিথ্যা কথা বলে। এই পাঁচ বছরে এই একটাই কাজ শিখেছে মিথ্যে কথা বলা। একজন মতুয়াও সিএএ -তে (CAA) আবেদন করেননি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “সিএএ নিয়ে মমতা ভুল বোঝাচ্ছে, আবেদন করলে নাম বাদ যাবে না”, আশ্বাস অমিত শাহের

    Amit Shah: “সিএএ নিয়ে মমতা ভুল বোঝাচ্ছে, আবেদন করলে নাম বাদ যাবে না”, আশ্বাস অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিএএ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে বিভ্রান্ত করছেন। বলছেন সিএএ-তে আবেদন জানালেই নাগরিকত্ব হারাবেন আপনি। তিনি সকলকে ভুল বোঝাচ্ছেন।” বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বংশিহারিতে সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে জনসভায় যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এই মন্তব্য করেন। তিনি তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে নজিরবিহীন ভাষায় আক্রমণ করেন।

    সিএএ নিয়ে মমতাকে তোপ (Amit Shah)

    এদিন সিএএ ইস্যুতে মমতাকে তুলোধনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) । তিনি বলেন, “আমি বলছি, বাংলার শরণার্থীরা নির্ভয়ে আবেদন করুন। বাংলার শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে কেন্দ্র। মমতা সিএএ নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। বরং, আবেদন করলে শরনার্থীরা এদেশের নাগরিক হয়ে যাবেন। এই দেশের নাগরিকের যা অধিকার, সেই অধিকার আপনিও পেয়ে যাবেন। আর সেটা নিয়ে মমতা রাজনীতি করছে। আর এসব চলবে না। আসলে অনুপ্রবেশকারীরাই মমতার ভোটব্যাঙ্ক। তুষ্টিকরণ করা এই তৃণমূল দল কিচ্ছু করতে পারবে না। কেন্দ্রের স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্প আটকে রেখেছেন মমতা। উন্নয়ন করতে পারে একমাত্র বিজেপি।” এরপর তিনি বলেন, “হাতজোড় করে বাংলার জনতাকে বলতে চাই, মমতা দিদি বাংলার লোকেদের বোকা বানাচ্ছেন। আমি বলতে চাই, ভয় না পেয়ে যত শরণার্থী এসেছেন, তাঁরা যেন নাগরিকত্বের আবেদন করেন। কারও নাম বাদ যাবে না।”

    আরও পড়ুন: “রাজ্যে চালু হবে সংগ্রামী ভাতা”, ঘোষণা শুভেন্দুর, কারা পাবেন?

    ৩০ আসন পেলেই বন্ধ হবে অনুপ্রবেশ

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এদিন বলেন, বিজেপি অসমে অনুপ্রবেশ খতম করেছে। বাংলায় লোকসভা ভোটে ৩০ আসন পেলে এখানে সীমান্ত টপকে কোনও ‘পরিন্দা’ও ঢুকতে পারবে না। ২০১৪-য় দু’টি আসন দিয়েছিলেন, ২০১৯-এ দিলেন ১৮টি আসন। ২০২৪ সালে ১৮ থেকে বাড়িয়ে ৩০ করতে হবে। যাতে বিজেপির ৩৭০ আসন নিশ্চিত হয়। কী ভাবে ভোট দেবেন, বলে দিলেন তিনি। তিনি বলেন, “স্নান করে, শিবের পুজো করে ১৯ তারিখে পদ্ম প্রতীকে বোতাম টিপতে হবে। মমতা দিদিকে জবাব দিতে হবে। বাংলায় ৩০ আসন পার করবে বিজেপি। সোনার বাংলা দুর্নীতিতে ভরে গেছে। বাংলায় কাটমানি সংস্কৃতি। অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে। বাংলায় কাটমানি করতে দেওয়া হবে না, গরু পাচার করতে দেওয়া হবে না। বাংলায় বিজেপি সরকার গড়তে হবে। বাংলা থেকে তৃণমূলের অপশাসন ঘটান।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Santanu Thakur: হুডখোলা জিপে রাজকীয় প্রচারে শান্তনু ঠাকুর, শঙ্খধ্বনি ও ফুলের মালায় বরণ

    Santanu Thakur: হুডখোলা জিপে রাজকীয় প্রচারে শান্তনু ঠাকুর, শঙ্খধ্বনি ও ফুলের মালায় বরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বনগাঁয় (bangaon) হুডখোলা জিপে ভোট প্রচার বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের(Santanu thakur)। সঙ্গে রয়েছেন জেলা সভাপতি দেবদাস মন্ডল। লোকসভা ভোটের(lok sabha election 2024) বাকি আর কয়েকটি দিন। শাসক হোক বা বিরোধী সব রাজনৈতিক দলগুলিরই প্রস্তুতি একেবারে তুঙ্গে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ। রোজই চলছে ভোট প্রচার। এবারের লোকসভা ভোটে, পশ্চিমবঙ্গের ওপর বিশেষ নজর রেখেছে বিজেপি। তাই ভোট প্রচারে ও কোনও অংশে পিছিয়ে নেই বিজেপি প্রার্থীরা। এবার জনসংযোগ বাড়াতে ভোট প্রচারে(election campaign) বেরিয়ে পড়েছেন শান্তনু ঠাকুরও। 

    শান্তনুর ভোট প্রচার

    ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী(BJP candidate) শান্তনু ঠাকুর (Santanu thakur), এদিন বনগাঁ মতিগঞ্জ থেকে একটি বাইক মিছিলের মাধ্যমে প্রচার শুরু করেন বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। মাথায় পাগড়ি পরে জিপের সামনের সিটে বসেন শান্তনু। অন্যদিকে স্টিয়ারিং হাতে গাড়ি চালাচ্ছেন বনগাঁ জেলার বিজেপি সভাপতি দেবদাস মন্ডল (Debashis Mondal)। আর গাড়ির পিছনে কয়েশো বাইক নিয়ে কর্মী সমর্থকরা। মতিগঞ্জ থেকে বাগদা পর্যন্ত এই প্রচার মিছিল হবে।

    শঙ্খ বাজিয়ে বরণ শান্তনু ঠাকুরকে

    এদিন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের প্রচারে আসার খবর পেয়ে বনগাঁ পাইকপাড়ায় মহিলারা তাঁকে স্বাগত জানাতে হাতে ফুলের থালা ও মালি নিয়ে দাড়িয়েছিলেন। এরপর পাইকপাড়ায় শান্তনুর মিছিল পৌছাতেই শঙ্খ বাজিয়ে পুষ্প বৃষ্টি শুরু হয়ে। মহিলারা মালা পড়িয়ে বরন করেন শান্তনুকে। এদিন প্রচারের(election campaign) সময় শান্তনু ঠাকুর বলেন, “জেতার ব্যাপারে ২০০ শতাংশ আশাবাদী।”

    বনগাঁয় ২০ মে পঞ্চম দফার ভোট

    প্রসঙ্গত, কোচবিহারে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী গতকালই বলেছেন, বাংলার সব পরিবারের নাগরিকত্ব মোদির গ্যারান্টি! কিন্তু সিএএ (CAA) নিয়ে উলটো সুর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের গলায়।  
    উল্লেখ্য, এবারের লোকসভা ভোটে বনগাঁ কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস (Biswajit das), অর্থাৎ বিশ্বজিৎ দাসের প্রতিপক্ষ হয়েই এবারের লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ে নামবেন বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। শান্তনু ঠাকুরের পাশাপাশি প্রচারের ময়দানে পিছিয়ে নেই কিন্তু বিশ্বজিৎ দাসও। ভোটের শেষ মুহূর্তে প্রচার চালাচ্ছেন তিনিও। বনগাঁয় ২০ মে পঞ্চম দফার ভোট। আর ৪ জুন ভোটের ফল (election result) প্রকাশের পরেই জানা যাবে জিত কার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAA: পাক হিন্দু উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব প্রদানে সাহায্য করছে ‘সীমাজন কল্যাণ সমিতি’, মরুরাজ্যে শুরু শিবির

    CAA: পাক হিন্দু উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব প্রদানে সাহায্য করছে ‘সীমাজন কল্যাণ সমিতি’, মরুরাজ্যে শুরু শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মার্চ মাসেই লাগু হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (২০১৯)। এই আইনের বলে, পাকিস্তান বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় ভাবে (CAA) অত্যাচারিত হয়ে আসা ৬ সম্প্রদায়কে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। নাগরিকত্ব আইন লাগু হওয়ার পর থেকেই রাজস্থানে ক্যাম্প বসাতে শুরু করে ‘সীমাজন কল্যাণ সমিতি’। নাগরিকত্বের আবেদন করতে উদ্বাস্তুদের সাহায্য করছে সঙ্ঘের ভাবধারাবাহী এই সংগঠন। বর্তমানে এই সমিতি মরুরাজ্যে পাকিস্তান সীমান্তে ৩০০-র থেকে বেশি ক্যাম্প (CAA) চালাচ্ছে।

    যোধপুর জয়সলমীরে চলছে ক্যাম্প

    যে ক্যাম্পগুলি তৈরি করা হয়েছে যোধপুর, জয়সলমীর প্রভৃতি জায়গায়। প্রত্যেক ব্যক্তিকে নাগরিক আইন সংক্রান্ত বিভিন্ন রকমের তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। তাঁদেরকে সাহায্য করা হচ্ছে নাগরিকত্ব পোর্টালে (CAA) নথি আপলোড করার কাজে। যা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক চালু করেছে। বিক্রম সিং রাজ পুরোহিত একজন আইনজীবী সংবাদমাধ্যমের সামনে ব্যাখা করেছেন, উদ্বাস্তুদের স্বার্থে কীভাবে দিনের পর দিন কাজ করে চলেছে এই সমিতি।

     মরু রাজ্যে ৪০০-রও বেশি বিভিন্ন স্থানে রয়েছেন উদ্বাস্তুরা

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তান থেকে ধর্মীয়ভাবে অত্যাচারিত হয়ে আসা শরণার্থীরা রাজস্থানে ৪০০-রও বেশি বিভিন্ন স্থানে এসে বসতি স্থাপন করে। মনে করা হচ্ছে, দু’লাখেরও বেশি পাকিস্তানি হিন্দু, বিভিন্ন সময়ে এসেছেন মরু রাজ্যে উদ্বাস্তু হয়ে। এটা উল্লেখ করা প্রয়োজন, প্রত্যেক উদ্বাস্তু (CAA) ভারতে আইনি ভাবেই প্রবেশ করেছেন। হয় তাঁরা পর্যটক ভিসার মাধ্যমে এসেছেন অথবা তীর্থযাত্রী হয়ে। এঁরা প্রত্যেকেই ভারতের নাগরিক হওয়ার যোগ্য।

    ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস হয় সংসদে

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস হয় সংসদে। তারপর থেকে করোনা মহামারী চলতে থাকায় লাগু করা যায়নি আইন। অবশেষে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে (CAA) তা লাগু করা হয়। এই আইন অনুযায়ী হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসিক এবং খ্রিস্টান এই ছয় সম্প্রদায়ের অত্যাচারিত মানুষদেরকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যাঁরা পাকিস্তান বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে অত্যাচারিত হয়ে এসেছেন ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share