Tag: CAA

CAA

  • CAA:“সিএএ আটকানোর ক্ষমতা নেই মমতার”, তোপ দাগলেন রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ

    CAA:“সিএএ আটকানোর ক্ষমতা নেই মমতার”, তোপ দাগলেন রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সংসদে ২০১৯ সালে আমি প্রথম উদ্বাস্তু বাঙালিদের নাগরিকত্ব দেবার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলাম। আমি খুব খুশি যে আজ সিএএ লাগু হয়েছে। সিএএ (CAA) আটকানোর ক্ষমতা নেই মমতার”, কেন্দ্র সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কার্যকর করার নির্দেশ জারি করতেই ঠিক এই ভাবে প্রতিক্রিয়া দিলেন রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। সেই সঙ্গে নির্দেশিকা জারি হওয়ার পরেই আবির খেলায় মেতে উঠলেন সাংসদ সহ বিজেপি কর্মী সমর্থক এবং মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা।

    ২০১৯ সালে পাশ হয়েছিল সিএএ আইন (CAA)

    কয়েক দশক ধরেই নাগরিকত্ব নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে তরজা চলছিল। গত ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর নরেন্দ্র মোদি সরকার সংসদে এই সিএএ (CAA) বিল পাশ করায়। এরপর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে দেশের আইনে পরিণত হয়। এরপর গতকাল কার্যকর করার নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র সরকার। যদিও নির্দেশিকা জারি হতেই বিরোধিতা করতে দেখা গেল রাজ্যে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। তবে এদিন সুবিশাল মিছিলের মধ্য দিয়ে আবির খেললেন রানাঘাটের সংসদ তথা এবারে লোকসভার প্রার্থী জগন্নাথ সরকার।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, “এর আগে যখন সিএএ বিল পাস হয়, তখন কেন্দ্র সরকারের সংস্থাগুলিতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন রেল স্টেশন ভাঙচুর করা হয়েছিল, এমনকী ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন যারা পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ করে এসেছে, তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন-বিদ্রোহ করে সিএএ আইনকে কীভাবে বাতিল করা যায়। কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি। তখনও আমি বলেছিলাম মমতার ক্ষমতা নেই ট্রেনে আগুন জ্বালিয়ে এই আইন বন্ধ করার। আমি কেন্দ্র সরকারকে স্বাগত জানাচ্ছি। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হয়ে এদেশে বসবাস করছেন এবং মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ, তাঁরা প্রত্যেকেই নাগরিকত্ব পাবেন, তার গ্যারান্টি আমি দিচ্ছি।”

    আর উদ্বাস্তু হয়ে থাকতে হবে না

    নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, “সিএএ চালু হওয়ায় হিন্দু বাঙালিদের আর উদ্বাস্তু হয়ে থাকতে হবে না। এই আইন চালু হওয়ায় আমরা সকলেই খুশি। এর আগেও কংগ্রেস কেন্দ্র সরকারে থাকাকালীন বহুবার আশ্বাস দিয়েছিল, কিন্তু কার্যকর কিছুই হয়নি। বিজেপি কথা দিয়েছিল, সেই কথা রেখেছে। আজ থেকেই সকলে নাগরিকত্ব পেতে চলেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CAA: সিএএ কার্যকর হতেই ঠাকুরনগরে ঢাক-ঢোল নিয়ে উচ্ছ্বাস হিন্দু শরণার্থীদের

    CAA: সিএএ কার্যকর হতেই ঠাকুরনগরে ঢাক-ঢোল নিয়ে উচ্ছ্বাস হিন্দু শরণার্থীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ সোমবার সিএএ (CAA) কার্যকর করার কথা ঘোষণা হয়েছে। এই ঘোষণা করছে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। উল্লেখ্য কয়েক দিন আগেই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একটি বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন খুব দ্রুত লোকসভা ভোটের আগে দেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হবে। আর আজ আইন কার্যকর হতেই ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে উচ্ছ্বাস এবং আবেগের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। একে উদ্বাস্তু হিন্দু বাঙালি সমাজের কাছে গৌরবের দিন বলে উল্লেখ করেছেন মতুয়া সমাজের মানুষ। ইতিমধ্যে এলাকার মানুষ ঢাক-ঢোল, কাঁসর নিয়ে ঠাকুর বাড়ির মন্দিরে নেমে পড়েন। সকলে মিষ্টিমুখ করেন। পুরুষ-মহিলা সকলে এই আনন্দ উচ্ছ্বাসে যোগদান করেন।

    স্থানীয় মানুষের প্রতিক্রিয়া (CAA)

    মতুয়া সমাজের ঠাকুরনগরের বাসিন্দা সুজিত বিশ্বাস সিএএ (CAA) কার্যকর হওয়ায় অত্যন্ত উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “আমরা ভীষণ খুশি, আমাদের দীর্ঘ দিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটল। প্রধানমন্ত্রী নিজে আমাদের মতো শরণার্থীদের কথা ভেবেই আইন করেছেন এবং আজ তাকে বাস্তবায়িত করলেন। আমরা নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পেয়ে অত্যন্ত গর্বিত। নাগরিকত্ব নিয়ে আমরা এখন সম্মানের সঙ্গে বসবাস করব।”

    উদ্বাস্তু হিন্দু নাগরিকের বক্তব্য

    উদ্বাস্তু হিন্দু নাগরিক দিলীপকান্তি মণ্ডল সিএএ (CAA) কার্যকর করা প্রসঙ্গে বলেন, “জয় হরি বোল, আমরা যাঁরা ওপার বাংলা থেকে ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হয়ে এই পশ্চিমবঙ্গের এসেছি তাঁদের সম্মানের সঙ্গে বাঁচার অধিকার দেবে এই নাগরিকত্ব আইন। শরণার্থী উদ্বাস্তু হিন্দুদের অধিকারকে সুরক্ষা করতে এই আইন কার্যকর করা একান্ত প্রয়োজন। আমরা ভীষণ খুশি। মতুয়া সমাজের অনেক দিনের দাবি ছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হোক। ঠাকুরবাড়ির বড়মা বীণাপাণি দেবী, প্রমথরঞ্জন ঠাকুর এবং সর্বভারতীয় মতুয়া সংগঠনের পক্ষ থেকে বার বার দাবি তোলা হয়েছে, আন্দোলন করা হয়েছে। এমনকী ঠাকুরবাড়িতে দু-দু’বার অনশন করেছি আমরা। মোদিজি এবং আমিত শাহ যে কথা দিয়েছেন, তা আজ কার্যকর হয়েছে। আমরা আজ খুব খুশি। এই আইন সারা দেশে বাস্তবায়ন হবে। অধিকার নিয়ে সম্মানের সঙ্গে বাঁচব আমরা।”         

    কী আছে সিএএ আইনে?

    এই সিএএ আইন (CAA) অনুযায়ী বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে যদি কোনও হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, পারসি এবং খ্রিষ্টান ধর্মের মানুষ যদি ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হয়ে ভারতে চলে আসেন তাহলে তাঁদের ধর্ম এবং সংস্কৃতি রক্ষায় ভারত সরকার নাগরিকত্ব প্রদান করবে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আসা হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘লোকসভার ফল বেরলেই রাজ্যে বিজেপি সরকার’, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘লোকসভার ফল বেরলেই রাজ্যে বিজেপি সরকার’, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিএএ ইস্যুকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এমনকী লোকসভা ভোটের ফল বের হওয়ার পর তৃণমূল সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে তিনি মুখ খুললেন। শুক্রবার চুঁচুড়ায় এসে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন শুভেন্দু।

    কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ফেব্রুয়ারি মাসে পশ্চিমবঙ্গের ২ কোটি বাঙালি হিন্দুর ১৯৪৫ সাল থেকে লড়াই সফল হতে চলেছে। কারণ, যে বাঙালি হিন্দুরা ধর্মীয় কারণে বাংলাদেশ থেকে উৎপীড়িত হয়ে এসেছেন, এক কাপড়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসেছেন, তাঁদের সহনাগরিকত্ব দেওয়া নরেন্দ্র মোদীর কমিটমেন্ট। অমিত শাহর তৈরি করা আইন কার্যকর হতে চলেছে। আর তাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আতঙ্কিত। তাঁর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কাছে খবর আছে, সিএএ পোর্টাল চালু হতে চলেছে। আইন তো আগেই হয়ে গিয়েছে। রুল ফ্রেম হয়ে গিয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসেই তা কার্যকরের দিকে যাচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তিনি ভাবছেন, আমার সিটগুলো সব গেল। কারণ, এখানে ৩৫টি আসন বিজেপি জেতা মানে, মমতা ধপ! তার পরের দিন বিজেপি সরকার।” সিএএ আইন যে এই মাসেই কেন্দ্রীয় সরকার কার্যকরী করতে চলেছে তা বিরোধী দলনেতা এদিন আবারও তা স্পষ্ট করে দেন। আর সিএএ কার্যকরী হলে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে জোর ধাক্কা দেওয়া যাবে বলে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

    সিএএ নিয়ে সওয়াল করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    রাম মন্দির উদ্বোধনের পর পরই লোকসভা ভোটের মুখে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে ফের বাংলার রাজনীতিতে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। ২৮ জানুয়ারি কাকদ্বীপের এক সভা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বলেছিলেন, “গ্যারান্টি দিচ্ছি, সাত দিনের মধ্যে সিএএ লাগু হবে।” ফলে, এই বিষয নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়। আর এদিন বিরোধী দলনেতা ফের সিএএ ইস্যুতে জোর সওয়াল করেছেন। ফলে, বাংলায় সিএএ কার্যকরী হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantanu Thakur: শান্তনুতেই আস্থা! সিএএ নিয়ে আশার আলো দেখছেন মতুয়ারা

    Shantanu Thakur: শান্তনুতেই আস্থা! সিএএ নিয়ে আশার আলো দেখছেন মতুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাতদিনের মধ্যে সিএএ লাগু হবে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী  শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আশ্বাসে নতুন করে আশার আলো দেখা শুরু করেছেন মতুয়ারা। খুশির হাওয়া মতুয়া গড়ে। তাঁদের বিশ্বাস, মন্ত্রী যখন বলেছেন, তখন হবেই। এত লড়াইয়ের স্বীকৃতি এবার মিলবেই।

    সিএএ লাগু হওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন অমিত-শুভেন্দু

    মতুয়ারা দীর্ঘদিন ধরে নাগরিকত্বের দাবিতে আন্দোলন করছেন। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে মতুয়া গড় ঠাকুরনগরে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে আশ্বস্ত করেছিলেন। এমনকী গত বছর নভেম্বরে কলকাতায় এসে ধর্মতলার সমাবেশ থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, সিএএ অবশ্যই কার্যকর হবে। সেদিন তৃণমূল সরকারকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে অমিত শাহকে বলতে শোনা গিয়েছিল, সিএএ গোটা দেশের আইন। বাংলার সরকার এই আইন কোনও ভাবেই রুখতে পারবে না। বাংলায় অনুপ্রবেশে মদত দিচ্ছে তৃণমূল। তাই সিএএ কার্যকর করতে চান না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এটা দিল্লির আইন। তাই চেষ্টা করলেও এটাকে রুখতে পারবেন না। এদেশে একজন হিন্দু নাগরিকের যতটা অধিকার,শরণার্থীদের অধিকারও ঠিক ততটাই। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ফেব্রুয়ারিতেই সি এএ লাগু হয়ে যাবে। একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা সিএএ কার্যকরী হওয়ার কথা বলায় মতুয়ারা নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও (Shantanu Thakur) এক সপ্তাহ সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন।

    কী বললেন মতুয়ারা?

    মতুয়াদের বক্তব্য, আমরা উচ্ছ্বসিত, আপ্লুত। অবশেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) হাত ধরে আমাদের দাবি পূরণ হতে চলেছে। কারণ, শান্তনু ঠাকুর যখন বলেছেন অবশ্যই সিএএ লাগু হবে। আমরা শুভদিনের অপেক্ষায় দিন গুনছি। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি সিএএ’র কথা বললেও তা লাগু না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছিল মতুয়াদের মধ্যে। এমনকী বিজেপি-র এক বিধায়ক সিএএ-এর পক্ষে জোর সওয়াল করেছিলেন।  ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন আগে দেশে সিএএ কার্যকরী হলে বিজেপি মাস্টারস্ট্রোক হবে বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “রাজ্যের হাতে ধরা দিলে পুলিশ শাহজাহানকে লাশ বানিয়ে দিতে পারে”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “রাজ্যের হাতে ধরা দিলে পুলিশ শাহজাহানকে লাশ বানিয়ে দিতে পারে”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দুপুর ২ টোর সময় উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা কার্তিকপুর খেলার মাঠে বিজেপির বারাসত জেলা বুথকর্মী সম্মলেনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক বিষয়ে শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। সন্দেশখালির পলাতক তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখকে ইডির কাছে আত্মসমর্পণ করার পরামর্শ দিলেন তিনি। তিনি বলেন, “শাহজাহান যদি রাজ্য পুলিশের কাছে ধরা দেয়, তবে তাঁকে লাশ করে দিতে পারে, কারণ মমতার সরকার এখন মুসলিম লাশ খুঁজছে।”

    গত শুক্রবার সন্দেশখালিতে ইডি অভিযান চালানোর সময় তাঁদের উপরে হামলার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। হামলায় ইডির বেশ কয়েকজন আধিকারিক আহত হন। আর তারপর থেকেই পলাতক শাহজাহান শেখ। ঘটনার চারদিন কেটে গেলেও পুলিশ এখনও তাঁর টিকি খুঁজে পায়নি।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “শাহজাহান কোথায় আমি জানি, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বেড়মজুর-১ থেকে ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১০০ কিলোমিটারের মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে। অথচ পুলিশ জানে না। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার শাহজাহানকে বলেছে সারেন্ডার করুন। কিন্তু আমি তাঁকে বলছি আপনি ইডি’র কাছে সারেন্ডার করুন। সব স্বীকার করুন। আপনি রাজ্য পুলিশের কাছে ধরা দিলে আপনাকে লাশ করে দিতে পারে, কারণ মমতার সরকার মুসলিম লাশ খুঁজছে।”

    মমতা জালি হিন্দু

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘আকাশ রানি’ হিসাবে কটাক্ষ করে তাঁর ধর্ম নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিজেপি বিধায়ক বলেন, “সকলেই জানে আপনি জালি হিন্দু। আপনি সংখ্যালঘুদের কিছু করেননি। আপনি পীর সাহেবের পরিবারের ছেলেকে ১৪ দিন লালবাজারে রেখেছেন, তাঁর টুপি ধরে টেনেছেন, আমডাঙায় বিস্ফোরণে মুসলিমদের উড়িয়ে দিয়েছিলেন।” এপ্রসঙ্গে শুভেন্দু আরও অভিযোগ করে বলেন, “আপনি মুসলিমদের তেজপাতা হিসেবে গণ্য করেন। তেজপাতা যেমন রান্নার কাজে লাগে অথচ খাওয়া যায় না, মুসলিমদেরও আপনি ঠিক তেমনটি ভাবেন। কিন্তু আমরা এটা করি না।”

    রোহিঙ্গাদের বসিয়েছে শাহজাহান

    এদিনের সভা থেকে সিএএ, রেশন দুর্নীতি সহ একাধিক ইস্যুতে তৃণমূলকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “মায়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের কোনও ইসলাম দেশ নেয়নি। ৫৫ টা মুসলমান রাষ্ট্র আছে, তারা বলেছে, নিজের দেশে যাও। কিন্তু এই শাহজাহানরাই জমি কেড়ে নিয়ে তাদের বসার জায়গা করে দিচ্ছে।” এদিনের সভা থেকে অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে নিশানা করে তিনি বলেন “বালু (জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক) জেলে গেছে। নারায়ণ গোস্বামী আপনি লাফালাফি করবেন না। আমার কাছে দুর্নীতির রিপোর্ট আছে। অভিজিৎ ব্যানার্জিকে সাথে নিয়ে গরু পাচার করে অনেক কামিয়েছেন আপনি। সব চোর জেলে যাবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah on CAA: ‘সিএএ হবেই দিদি, কেউ ঠেকাতে পারবে না’, বাংলায় এসে মমতাকে বার্তা শাহ-র

    Amit Shah on CAA: ‘সিএএ হবেই দিদি, কেউ ঠেকাতে পারবে না’, বাংলায় এসে মমতাকে বার্তা শাহ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সিএএ নিয়ে হুঙ্কার ছাড়লেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাংলায় এসে বিজেপির দলীয় বৈঠকে শাহের স্পষ্ট বার্তা, সিএএ দেশের আইন, তা কার্যকর হবেই। এই আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে কেউ বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না। প্রত্যেকে নাগরিকত্ব পাবে। শরণার্থীদের নাগরিকত্ব নিয়ে বারংবার ভুল বোঝানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন শাহ। 

    সিএএ প্রসঙ্গে শাহ

    বড়দিনের রাতে কলকাতায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দু-দিনের সফরে কলকাতা এসেছিলেন শাহ এবং বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এখানে দলীয় নেতাদের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক সারেন তাঁরা। বিজেপি সূত্রে খবর,মঙ্গলবার কলকাতায় দলের আইটি সেলের এক বৈঠকে সিএএ নিয়ে আলোচনা হয়। সেই সময় নাকি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে অমিত শাহ বলেন, “দিদি প্রায়ই আমাদের উদ্বাস্তু ভাইদের সিএএ নিয়ে বিভ্রান্ত করেন। আমি এটা পরিষ্কার করে দিতে চাই সিএএ হল দেশের আইন। এবং এর বাস্তবায়ন কেউ আটকাতে পারবে না। প্রত্যেকে নাগরিকত্ব পাবেন।” 

    সিএএ প্রসঙ্গে সুকান্ত

    এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও বলেন, “সিএএ ভারতের সংবিধান সম্মত আইন। যা ভারতের লোকসভা এবং রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে। এটা আইন। সিএএ লাগু হবে। এবং আমার বিশ্বাস খুব তাড়াতাড়ি লাগু হবে।” প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবর প্রথম থেকে বিরোধিতা করে এসেছেন সিএএ-র। সংসদের দু’কক্ষে (রাজ্যসভা ও লোকসভা) এই বিল পাশ হয়েছে ঠিকই, তবে চারবছর পরও রুল তৈরি না হওয়ায় উদ্বাস্তু সমাজের একাংশের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। তাই দ্রুত এই বিল লাগু করতে চাইছে সরকার।

    আরও পড়ুুন: ইন্ডি জোটে কোন্দল প্রকাশ্যে, মমতার খাড়্গে-প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান পাওয়ারের

    শাহি-বার্তা

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বিজেপির তরফ থেকে শাহের বক্তব্যের অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। তাতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘বাংলায় বিজেপি সরকার গঠনের জন্য কাজ করতে হবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে। বাংলায় বিজেপি সরকারের অর্থ হবে গরু পাচার রুখে দেওয়া, সিএএ কার্যকর করা।’ মঙ্গলবার জাতীয় গ্রন্থাগারের ভাষা ভবনে শাহ তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘‘দেশের সব রাজ্যে আমাদের ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার তৈরি হয়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু বাংলা এদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার তৈরির মানে হল হল অনুপ্রবেশকারীদের ঢোকা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং অনুপ্রবেশকারীদের ‘সিল’ করে দেওয়া।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CAA: ‘মার্চের মধ্যে সিএএ কার্যকরী হয়ে যাবে,’ ঠাকুরনগরে দাঁড়িয়ে আশ্বাস কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি-র

    CAA: ‘মার্চের মধ্যে সিএএ কার্যকরী হয়ে যাবে,’ ঠাকুরনগরে দাঁড়িয়ে আশ্বাস কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী মার্চের মধ্যে সিএএ (CAA) কার্যকরী হয়ে যাবে। রবিবার বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্ৰীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি এই মন্তব্য করেন। মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ আগেই শুরু হয়েছে। শান্তনু ঠাকুরও চেষ্টা করছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই আশ্বাসে নতুন করে চাঙা মতুয়া সম্প্রদায়ের লোকজন। তাঁদের বক্তব্য, সিএএ কবে কার্যকরী হবে তা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় ছিলাম। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আমাদের নাগরিকত্ব নিয়ে আশ্বাস দেওয়ায় ভাল লাগছে।

    মতুয়াদের কী বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    এদিন ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে রাস উৎসবে এসেছিলেন কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি। প্রথমে ঠাকুরবাড়ির হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে পুজো দেন তিনি। এরপর চলে যান নাট মন্দিরে, যেখানে রাসের অনুষ্ঠান চলছিল। সেই অনুষ্ঠান মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি বলেন, ‘মতুয়াদের নাগরিকত্বের জন্য কেন্দ্ৰীয় সরকার চেষ্টা করছে। নাগরিকত্ব নিয়ে অমিত শাহ লোকসভায় কথা বলেছিলেন। শান্তনু ঠাকুরও চেষ্টা করছেন। আসলে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার যে প্রক্রিয়া, সেটা অনেক আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে। যেসব মতুয়াদের ভারতীয় পরিচয়পত্র নেই, তাঁরা অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুরের সই করা কার্ড ব্যবহার করুন বিনা বাধায়। শান্তনু ঠাকুরের দেওয়া মতুয়া কার্ড যাঁদের কাছে থাকবে, ভারতবর্ষের কারও হিম্মত নেই যে সেই মতুয়াদের কিছু করবে।’

    সিএএ-র (CAA) জন্য কারা আবেদন করতে পারবেন, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আরও বক্তব্য, আগামী ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ সুপ্রিম কোর্টে নাগরিকত্ব নিয়ে সমস্যার সমাধান হবে। ২০১৪ সালের আগে যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাঁরা সিএএ-(CAA) এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। নিয়ম মেনেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আর ভারতীয় পরিচয়পত্র না থাকা মতুয়াধর্মীদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে, মতুয়াধর্মী মানুষদের উদ্বেগ হওয়ার কিছু নেই।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: “চব্বিশের আগে সিএএ করেই ছাড়বো” হুঙ্কার সুকান্ত মজুমদারের

    Howrah: “চব্বিশের আগে সিএএ করেই ছাড়বো” হুঙ্কার সুকান্ত মজুমদারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিএএ আজ নয় কাল হবেই। হাওড়ায় (Howrah) পঞ্চায়েতি রাজের এক অনুষ্ঠানে, প্রত্যেক দেশবাসীকে ২৪ এর লোকসভার আগে সিএএ (CAA) করে ছাড়বো বলে হুঙ্কার দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। লোকসভা ভোটের আগে ফের শোরগোল সিএএ নিয়ে।

    কোথায় বললেন সুকান্ত (Howrah)?

    হাওড়ার (Howrah) বাগনানের নাওপালায় একটি বেসরকারি পাঁচতলা হোটেলে উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্যের জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং সহকারী সভাধিপতিদের নিয়ে পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলন উপলক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা সুকান্ত মজুমদার বলেন। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জিপি নাড্ডা এবং এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    সুকান্ত কী বললেন?

    সুকান্ত মজুমদার হাওড়ায় (Howrah) বলেন, পশ্চিমবঙ্গের জন্য এটা বিরাট সম্মানের ব্যাপার এত সন্ত্রাস, এত অত্যাচারে ভোট লুট হওয়ার পরেও, এই ক্ষেত্রীয় পঞ্চায়েত পরিষদ, পঞ্চায়েত রাজ পরিষদের জন্য পশ্চিমবঙ্গকে বেছে নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বিজেপির পক্ষ থেকে। এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করবে প্রধানমন্ত্রী ও সভাপতির মার্গ দর্শন।

    প্রধানমন্ত্রীর কথা সুকান্তের কণ্ঠে

    সুকান্ত মজুমদার এইদিন প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বক্তব্যের অংশ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর মার্গ দর্শনে ভার্চুয়ালি আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। যেভাবে পশ্চিমবঙ্গে সন্ত্রাসের মোকাবিলা করে আমাদের কার্যকর্তারা প্রায় ১২ হাজার পঞ্চায়েতের সিটে জয়লাভ করেছেন, তার জন্য বিশেষ অভিবাদন জানিয়েছেন। ভারতীয় জনতা পার্টির পশ্চিমবঙ্গের কর্মীদের লড়াইকে তিনি কুর্ণিশ জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উন্নয়নের প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে সব রাজ্য এগিয়ে যাচ্ছে এবং পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৪০ লক্ষ ঘর আমরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পশ্চিমবঙ্গের অধিবাসীদের দিতে পেরেছি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভারতবর্ষ অতি গরিব যাঁদের বলা হতো সেই অতি গরীবরা এক শতাংশের নিচে চলে এসেছে। ২৩ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশের নিচে চলে এসেছে বিপিএল তালিকা ভুক্ত মানুষ। এই সাফল্যগুলোকে আরও ত্বরান্বিত করার জন্য জেলা পরিষদ থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতের স্তর পর্যন্ত সকলকে আরও সক্রিয় হতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ভাবনাকে নীচু স্তর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে সেই জন্য আমাদের কাজ করতে হবে।

    সরব বিজেপি নেতা অনুপম হাজরাও

    পাশাপাশি বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা এই সভায় (Howrah) উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেছেন যে তৃণমূলের ভোট লুটেরা যখন ভোট লুটতে এসেছে জনগণ তখন জবাব দিয়েছে। কয়েক জায়গায় দেখা গিয়েছে লাইট পোস্টে ভোট লুণ্ঠনকারীদের মারধর করা হয়েছে। এরপর আরও বলেন, আমি জনগণের কাছে আবেদন করছি, ভোট আপনাদের নিজেদের। ভোটাধিকার প্রয়োগ যদি না করতে পারেন! যদি শুনেন যে আপনাদের ভোট তৃণমূলের দাদা বা দিদিরা দিয়ে দিয়েছেন, তাহলে যে ওষুধে রোগ তাড়াতাড়ি সারে সেই ওষুধই প্রয়োগ করুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: “জন্মনিয়ন্ত্রণও করতে হবে”, মিয়াদের গুচ্ছ শর্ত অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

    Himanta Biswa Sarma: “জন্মনিয়ন্ত্রণও করতে হবে”, মিয়াদের গুচ্ছ শর্ত অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে লাগু হয়ে গিয়েছে সিএএ। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা অনেকেই প্রমাদ গুণতে শুরু করেছে। এ দেশে ঠাঁই হবে, নাকি স্বদেশে ফিরে যেতে হবে, তা নিয়ে আশঙ্কায় কাঁটা এরা। অসমে বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলমানরা ‘মিয়া’ নামে পরিচিত।

    হিমন্তের শর্ত (Himanta Biswa Sarma)

    শনিবার তাদের অসমের আদি বাসিন্দা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার গুচ্ছ শর্ত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তিনি বলেন, “মিয়া সম্প্রদায়কে অসমের আদি বাসিন্দা হিসেবে স্বীকৃতি পেতে গেলে কিছু সাংস্কৃতিক অনুশীলন ও নিয়ম অবশ্যই মেনে চলতে হবে।” পরিবার সীমাবদ্ধ রাখতে হবে দুই সন্তানের মধ্যে। বহুবিবাহ না করা, নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করার শর্তও আরোপ করা হয়েছে।

    কী বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী? 

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “মিয়ারা অসমের আদি বাসিন্দা কিনা, সেটা ভিন্ন বিষয়। আমরা বলতে চাই, তারা যদি অসমের আদি বাসিন্দা হয়ে ওঠার চেষ্টা করে, তাহলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু এজন্য তাদের ত্যাগ করতে হবে বাল্য বিবাহ ও বহু বিবাহের অনুশীলন। উৎসাহ দিতে হবে নারী শিক্ষায়। আমি সব সময় বলি, মিয়াদের অসমের আদি বাসিন্দা হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু তাদের দু’-তিনজন করে স্ত্রী থাকতে পারে না। এটা অহমিয়া সংস্কৃতি নয়। বৈষ্ণব মঠের জমি দখল করে কীভাবে কেউ অসমের আদি বাসিন্দা হওয়ার দাবি জানায়?”

    আরও পড়ুুন: “আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত”, সেনাদের সঙ্গে হোলি খেলে বললেন রাজনাথ

    মিয়াদের ছেলেমেয়েরা সচরাচর সরকারি বোর্ডে পড়াশোনা না করে মাদ্রাসা বোর্ডে শিক্ষা গ্রহণ করে। এ প্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মিয়াদের মাদ্রাসা বোর্ডে পড়াশোনা করার বদলে সরকারি বোর্ডে পড়াশোনা করা উচিত। ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো প্রয়োজন। মিয়ারা মহিলাদের শিক্ষিত করার ক্ষেত্রে জোর দিক।” পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকারও মহিলাদের পাওয়া উচিত বলে সাফ জানিয়ে দেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

    প্রসঙ্গত, অসমের মুসলমানদের মধ্যে মাত্র ৩৭ শতাংশ অহমিয়াভাষী। বাকিরা সবাই মিয়া। রাজ্যের ১২৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৩০টিতেই নির্ণায়ক শক্তি মিয়ারা। লোকসভা নির্বাচনের আগে হিমন্তের (Himanta Biswa Sarma) এহেন মন্তব্যের প্রভাব বিজেপির ঝুলিতে পড়ে কিনা, এখন তা-ই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Rohingya Muslims: অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের থাকতে দেওয়া হবে না, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    Rohingya Muslims: অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের থাকতে দেওয়া হবে না, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে লাগু হয়েছে সিএএ। পড়শি তিন মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা শরণার্থীদের (হিন্দু সহ ছ’টি ধর্মের মানুষ) ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতেই লাগু হয়েছে সিএএ। তা নিয়ে রাজনীতি করতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।

    কেন্দ্রের সাফ কথা (Rohingya Muslims) 

    এহেন আবহে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে কেন্দ্র জানিয়ে দিল, অবৈধভাবে ভারতে ঢুকে পড়া রোহিঙ্গা মুসলমানদের (Rohingya Muslims) থাকতে দেওয়া হবে না। রোহিঙ্গা মুসলমানদের অনুপ্রবেশ ও এ দেশে তাদের বসবাস জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক বলেও জানানো হয়েছে হলফনামায়। কেন্দ্র সাফ জানিয়ে দিয়েছে, রোহিঙ্গা মুসলমানদের এ দেশে বসবাসের কোনও মৌলিক অধিকার নেই। তাই স্থায়ী বসবাসের অধিকার দেওয়ার প্রশ্নও নেই। রোহিঙ্গাদের (Rohingya Muslims) উদ্বাস্তু মর্যাদা দেওয়ার জন্য আলাদা কোনও শ্রেণি গঠনের জন্য আইনবিভাগ কিংবা নীতি নির্ধারক কমিটিকে নির্দেশ দেওয়াও উচিত হবে না বলে আদালতে জানিয়েছে কেন্দ্র।

    অধিকার কেবল ভারতীয় নাগরিকদেরই

    সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন সময় দেওয়া রায়ের উল্লেখ করে কেন্দ্র দেশের শীর্ষ আদালতে জানিয়েছে, সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী একজন বিদেশি নাগরিকের জীবন ও স্বাধীনতার অধিকার থাকলেও, এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস ও পাকাপাকিভাবে থাকার অধিকার কেবল ভারতীয় নাগরিকদেরই। রোহিঙ্গা মুসলমানদের শরণার্থী কিংবা উদ্বাস্তু হিসেবে স্বীকৃতির জন্য রাষ্ট্রসংঘের যে প্রস্তাব রয়েছে, ভারত সেই নীতি মানে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।

    আরও পড়ুুন: ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলের সিলেবাসের মধ্যে রয়েছে’, বেফাঁস শতাব্দী রায়

    পশ্চিমবঙ্গ ও অসম সীমান্ত পেরিয়ে ভায়া বাংলাদেশ হয়ে প্রচুর রোহিঙ্গা মুসলমান ভারতে প্রবেশ করছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে কেন্দ্রর হলফনামায়। কেন্দ্র জানিয়েছে, রোহিঙ্গা মুসলমানদের অনুপ্রবেশ ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক। এমনতর চলতে থাকলে দেশের সুরক্ষা প্রশ্নের মুখে দাঁড়াবে বলেও জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতে পেশ করা হলফনামায়। ইতিমধ্যেই বহু রোহিঙ্গা পশ্চিমবঙ্গ ও অসম সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে ফেলেছে বলেও গোয়েন্দা সূত্রে খবর। যারা অবৈধভাবে এ দেশে ঢুকেছে, তাদের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশ দমন সংক্রান্ত আইনে মামলা করা হবে। যুক্তির স্বপক্ষে সরকার জানিয়েছে, ১৯৫১ সালের শরণার্থী সংক্রান্ত সম্মেলনে ভারত সই করেনি। তাই অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে বিচার হবে ভারতের আইনেই (Rohingya Muslims)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share