Tag: CAA

CAA

  • CAA: “সিএএকে স্বাগত জানানো উচিত ভারতীয় মুসলমানদের”, বললেন জামাত প্রেসিডেন্ট

    CAA: “সিএএকে স্বাগত জানানো উচিত ভারতীয় মুসলমানদের”, বললেন জামাত প্রেসিডেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিএএকে (CAA) স্বাগত জানানো উচিত ভারতীয় মুসলমানদের।” নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে এই প্রতিক্রিয়াই দিলেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাত প্রেসিডেন্ট মৌলানা শাহাবউদ্দিন রাজভি বরেলভি।

    কী বলছেন জামাত প্রেসিডেন্ট (CAA)?

    তিনি বলেন, “এটা অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। এই আইন নিয়ে মুসলমানদের মনে অনেক বিভ্রান্তি রয়েছে। এর সঙ্গে মুসলমানদের কোনও সম্পর্ক নেই। পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য আগে কোনও বিধান ছিল না। সেই কারণেই এই আইন তৈরি করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “আগে সিএএ-র (CAA) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে। তার কারণ মুসলমানদের ভুল বোঝানো হয়েছে। কিছু রাজনৈতিক দল এই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।” তিনি বলেন, “দেশের প্রত্যেক মুসলমানের উচিত সিএএকে স্বাগত জানানো।”

    “এই আইন আগেই করা উচিত ছিল”

    শাহাবউদ্দিন বলেন, “ভারত সরকার সিএএ (CAA) আইন লাগু করেছে। আমি এই আইনকে স্বাগত জানাই। এটা আগেই করা উচিত ছিল। কিন্তু না হওয়ার চেয়ে দেরিতে হওয়া ভালো। এই আইনটি নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে অনেক ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে।” অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাত প্রেসিডেন্ট বলেন, “ভারতের কোটি কোটি মুসলমানের ওপর এই আইনের কোনও প্রভাব পড়বে না। ভারতের কোনও মুসলমানের নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না এই আইন। মুসলমানদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির বীজ বপন করেছেন কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।”

    আরও পড়ুুন: ঘর থেকে সরল মমতার ছবি, মজদুর ভবনে মোদি বন্দনায় অর্জুন

    “সিএএ (CAA) নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন”

    প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বলেছিলেন, “সিএএ লাগু হচ্ছে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য, কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়।” তিনি এও বলেছিলেন, “আমাদের দেশের সংখ্যালঘুরা বিশেষত মুসলমান সম্প্রদায় প্ররোচিত হচ্ছেন। সিএএ (CAA) কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে পারে না। কারণ এই আইনে এমন কোনও ব্যবস্থাই নেই। সিএএ আইন তাঁদের জন্য, যাঁরা ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে (হিন্দু-সহ ছটি সম্প্রদায়) বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে এসেছেন।”

    সোমবারই দেশজুড়ে লাগু হয়েছে সিএএ (CAA)। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের জন্য কেন্দ্রের ক্ষমতায় এসে সংসদে সিএএ বিল পাশ করে কেন্দ্র। পরে বিলটি পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য। পাশও হয়ে যায় বিলটি। কিন্তু দেশবাসীর একাংশকে ভুল বুঝিয়ে সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তোলে বিজেপি বিরোধী কয়েকটি রাজনৈতিক দল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: “সিএএ দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পক্ষে ভালো পদক্ষেপ”, বললেন রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: “সিএএ দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পক্ষে ভালো পদক্ষেপ”, বললেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিএএ দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পক্ষে ভালো পদক্ষেপ।” সোমবার দেশজুড়ে সিএএ (CAA) চালু হওয়ার পর এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। তিনি বলেন, “সংসদে পাশ হয়ে গিয়েছিল। বিধি তৈরির পর এখন কার্যকর হচ্ছে। এটা স্বাভাবিক প্রশাসনিক প্রক্রিয়া। সরকারের খুব ভালো পদক্ষেপ। দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও আইন-শৃঙ্খলার জন্য খুবই জরুরি।”

    কী বললেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)?

    রাজ্যপাল বলেন, “আইন পাশ হয়েছে। বিধিও তৈরি হয়ে গিয়েছে। প্রত্যেক সরকারের আইন মেনে কাজ করা উচিত। সিএএ (CAA) কী তা না জেনেই অনেক মন্তব্য করা হচ্ছে। আমার মনে হয়, আগে সিএএ কী তা পড়ুন, ভালো করে বুঝুন, তারপর কথা বলুন। আগে বুঝুন, তারপর বলুন। রাজ্যপালের নিশানায় যে তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা বুঝতে অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। কারণ সিএএ নিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে (CV Ananda Bose) তিনিই সব চেয়ে বেশি সুর চড়িয়েছিলেন।

    ‘আইনের শাসন বনাম শাসকের আইন’

    এদিনও সিএএ (CAA) নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ক্যা (সিএএ) দেখিয়ে এনআরসি নিয়ে এসে এখানকার কারও নাগরিকত্ব বাতিল করা হলে আমরা চুপ করে বসে থাকব না। নো এনআরসি। এনআরসি মানতেই পারি না। আর ক্যা-এর নাম করে কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে দেবে, এই চালাকিও আমরা করতে দেব না।” রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলেন, “সিএএ বিধি এখন তৈরি করা হয়েছে। তাতে প্রমাণ হয়, কেন্দ্রে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার রয়েছে। আইনের বাইরে গিয়ে কোনও কাজ করা উচিত নয়।” এর পরেই তিনি বলেন, “এটা শাসকের আইনের বদলে আইনের শাসন।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘পাক হিন্দুরা খোলা হাওয়ায় শ্বাস নিতে পারবে’’, পাক হিন্দু ক্রিকেটারের মুখে সিএএ বন্দনা

    সিএএ (CAA) কী?

    ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দিতে এই আইন চালু করেছে ভারত সরকার। এই আইনের বলে হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী যাঁরা ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দিতেই এই নয়া আইন।

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই আইন লাগু হওয়ায় সব চেয়ে বেশি উপকৃত হবেন মতুয়ারা। বাংলায় প্রায় ৭০টি আসনে মতুয়া ভোটই জয় পরাজয় নির্ণায়ক শক্তি। গোটা দেশে মতুয়ারা ফ্যাক্টর প্রায় ১৭০টি আসনে। সিএএ (CAA) লাগু হওয়ায় এই আসনের সিংহভাগই যে এবার গেরুয়া ঝুলিতে যাবে, তা বলাই বাহুল্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CAA: ‘‘পাক হিন্দুরা খোলা হাওয়ায় শ্বাস নিতে পারবে’’, পাক হিন্দু ক্রিকেটারের মুখে সিএএ বন্দনা

    CAA: ‘‘পাক হিন্দুরা খোলা হাওয়ায় শ্বাস নিতে পারবে’’, পাক হিন্দু ক্রিকেটারের মুখে সিএএ বন্দনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে সারা দেশে সিএএ (Citizenship Amendment Act) কার্যকর করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে যে সংখ্যালঘুরা ভারতে এসেছেন তাঁরা নাগরিকত্ব পাবেন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) নিয়ে ভারত সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেন পাকিস্তানের প্রাক্তন হিন্দু ক্রিকেটার দানিশ কানেরিয়া (Danish Kaneria)। তিনি ট্যুইট করে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah)।

    দানিশের (Danish Kaneria) ট্যুইট-বার্তা

    ভারত সরকারের সিএএ (CAA) চালুর প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে দানিশ কানেরিয়া এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘পাকিস্তানের হিন্দুরা এবার মুক্ত হাওয়ায় শ্বাস নিতে পারবেন।’ অপর একটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, ‘সংশোধিত নাগরিকত্ব সংশোধন বিল (Citizenship Amendment Act) পাশের জন্য নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহকে ধন্যবাদ।’ পাকিস্তানের মাটিতে হিন্দুরা সাধারণত থাকেন মজনু কা টিলা এলাকায়। সেখানেও আনন্দ করতে দেখা গিয়েছে বাসিন্দাদের। সিএএ-র জন্য আবেদন করতে একটি পোর্টাল চালু করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অমিত শাহ নিজে সেই পোর্টাল শেয়ার করেছেন। যারা সিএএ-র মধ্যে পড়বেন তাঁদের সেখানে গিয়ে আবেদন করতে হবে।

    ধর্মপ্রাণ দানিশ (Danish Kaneria)

    করাচির হিন্দু পরিবারে জন্ম দানিশের। দীর্ঘ সময়ে খেলেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলে। বেশ কিছু দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেছিলেন, পাক ক্রিকেট দলে খেলতে তাঁকে মুসলিম হওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। দানিশ ২০০০-২০১০ পর্যন্ত পাকিস্তানের জার্সিতে ৬১টি টেস্ট (২৬১ উইকেট) ও ১৮টি ওয়ানডে (১৫ উইকেট) খেলেছেন।

    আরও পড়ুন: “আমরাও এখন ভারতীয়”, সিএএ কার্যকর হওয়ার পর বললেন পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দুরা

    পাকিস্তান দলে খেলা এই হিন্দু ক্রিকেটার (Danish Kaneria) গত জানুয়ারি মাসে রাম মন্দির উদ্বোধনের সময়ও বেশ কয়েকটি ট্যুইট করেছিলেন। লিখেছিলেন, জয় জয় শ্রী রাম। শ্রী রামচন্দ্রের জন্মভূমিতে মন্দির উদ্বোধনের আগে গেরুয়া পতাকা নিয়ে ছবিও পোস্ট করেছিলেন। রামলালার মূর্তির প্রথম ছবি প্রকাশ থেকে শুরু করে রাম মন্দিরের নানা ভিডিও ও ছবি তিনি নিয়মিত পোস্ট করছিলেন। এমনকী, রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা নিয়েও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন তিনি। শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমিতে কৃষ্ণ লালা প্রতিষ্ঠার দাবিকে সমর্থনের পাশাপাশি ‘জয়তু হিন্দু রাষ্ট্রম’ বলেও ট্যুইট করেছিলেন কানেরিয়া (Danish Kaneria)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CAA: “আমরাও এখন ভারতীয়”, সিএএ কার্যকর হওয়ার পর বললেন পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দুরা

    CAA: “আমরাও এখন ভারতীয়”, সিএএ কার্যকর হওয়ার পর বললেন পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে দেশজুড়ে কার্যকর হল সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA)। শরণার্থীদের একটা বড় অংশ মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। সিএএ বা নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন পাশ হওয়ায় উচ্ছ্বসিত পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু উদ্বাস্তুরা। দিল্লি, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ এমনকী বাংলাতেও এই আইন (Citizen Amendment Act) কার্যকর হওয়ায় খুশিতে মেতে ওঠে বহু শরণার্থী পরিবার। জয়পুরের রাস্তায় বাজি ফাটাতে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্লোগানও দিতে দেখা যায় শরনার্থীদের।

    কী বলছেন পাক-হিন্দু শরণার্থীরা

    দিল্লিতে যে পাকিস্তানি হিন্দু উদ্বাস্তু সম্প্রদায় রয়েছে, তাদের নেতা ধরমবীর সোলাঙ্কি বলেন, “এই আইন কার্যকর হলে আমাদের সম্প্রদায়ের প্রায় ৫০০ জন ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। আমি এবং আমার পরিবার এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই সময়ের অপেক্ষায় ছিলাম। অবশেষে আমাদের ভারতীয় নাগরিক বলা হবে। আমরা সবাই এতে খুব খুশি। আজ মনে হচ্ছে, ভাগ্যিস ২০১৩ সালে আমি স্বদেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। মনে হচ্ছে আমাদের কাঁধ থেকে একটা বিশাল বোঝা তুলে নেওয়া হয়েছে।” সোমবার দেশজুড়ে সিএএ (CAA) আইন কার্যকর হওয়ার খবর শুনে খুশিতে মেতে ওঠে ওই সমস্ত পরিবার। সিএএ কার্যকর করার জন্য অল ইন্ডিয়া মতুয়া সমাজের তরফে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। বাংলায় এই আইনকে স্বাগত জানাতে  ঢাক-ঢোল নিয়ে পথে নামেন সাধারণ মানুষ।

    আরও পড়ুন: হিন্দু বাঙালির দ্বিতীয় স্বাধীনতা, দেশজুড়ে কার্যকর হয়ে গেল সিএএ

    সিএএ (CAA) কী?

    ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতের তিনি মুসলিম প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের জন্য এ দেশে আসা সেদেশের সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ওই দেশগুলি থেকে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি সিএএ-তে (CAA) উল্লেখ করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, ভিসা বা পাসপোর্টের মতো নথি না থাকলেও ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CAA: লাগু হল সিএএ, শুভেন্দু লিখলেন, ‘‘মোদির গ্যারান্টি মানে প্রতিশ্রুতি পূরণের গ্যারান্টি’’

    CAA: লাগু হল সিএএ, শুভেন্দু লিখলেন, ‘‘মোদির গ্যারান্টি মানে প্রতিশ্রুতি পূরণের গ্যারান্টি’’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ (CAA) কার্যকর হল গোটা দেশে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে লোকসভা নির্বাচনের আগে বাড়তি অক্সিজেন পেল রাজ্য বিজেপি। সিএএ ঘোষণা হতেই ঠাকুরনগর সমেত মতুয়া অধ্যুষিত অন্যান্য জায়গাতেও শুরু হয়ে যায় উৎসব। কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি জারির পর পরেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘মোদির গ্যারান্টি মানে প্রতিশ্রুতি পূরণের গ্যারান্টি। ১৯৪৫ সাল থেকে ধর্মীয় কারণে উৎপীড়িত জনগোষ্ঠী মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রত্যেক ব্যক্তি সমনাগরিকত্বের দাবিতে সরব হয়েছেন। আজ অপেক্ষার অবসান হল।’’

    সল্টলেক অফিসে শান্তনু, কী বললেন মতুয়া নেতা?

    বনগাঁর সাংসদ তথা মতুয়া সমাজের নেতা শান্তনু ঠাকুর সল্টলেকের বিজেপি অফিসে পৌঁছান বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই। বিজেপির রাজ্য দফতরে এসে মিষ্টিমুখ করান অন্য নেতাদের। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘একটা ইতিহাস তৈরি হল আজ। আজ থেকে ১০০ বছর পরে সরকার বদলে যেতে পারে কিন্তু কেউ উদ্বাস্তু হয়ে আসা মানুষের নাগরিকত্ব (CAA) নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না। ভবিষ্যতের জন্য বড় নিরাপত্তার গ্যারান্টি মিলল।’’

    মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া জবাব শান্তনুর

    সিএএ-এর বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ছেলের হাতে মোয়া? কাউকে নাগরিকত্ব দিতে পারবে না। জাস্ট শো অফ!’’ এর জবাব দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তুনু পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথা বলছেন কিন্তু তিনি কি এই জবাবটা দেবেন পাসপোর্ট বানানোর সময়ে তাঁর পুলিশ মতুয়া সমাজের সদস্যদের থেকে কেন ১৯৭১ সালের আগের জমির দলিল চায়?’’ এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘আজ থেকে ১০০ বছর পরে কেউ প্রশ্ন তুলবেন কি না কথা দিতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী? আজ উদ্বাস্তু পরিবারের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নাগরিকত্বের নিশ্চয়তার গ্যারান্টি দিল মোদি সরকার।’’ শান্তনু ঠাকুর আরও বলেন, ‘‘সিএএ-র (CAA) মাধ্যমে কারও নাগরিকত্ব কাড়া হবে না। এটা নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CAA: চালু সিএএ, ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে হলে কী করবেন জানেন?

    CAA: চালু সিএএ, ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে হলে কী করবেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইন (CAA) পাশ হয়েছিল বছর চারেক আগে। কার্যকর হল ১১ মার্চ, ২০২৪, সোমবার। এদিন থেকেই দেশজুড়ে চালু হয়ে গেল সিএএ আইন। এই আইনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের জন্য এ দেশে আসা শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ওই দেশগুলি থেকে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই ছয় ধর্মের মানুষ ছাড়া অন্য কোনও দেশ থেকে আসা অন্য কোনও ধর্মের শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না।

    কীভাবে আবেদন করবেন?

    প্রশ্ন হল, সিএএর (CAA) জন্য কীভাবে আবেদন করবেন? indiancitizenshiponline.nic.in এই ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, যাঁরা আবেদন করতে চান, তাঁদের জন্য রয়েছে পৃথক ফর্ম। বিভিন্ন ফর্মের জন্য নানা নথির প্রয়োজন হবে। এগুলি হল, বৈধ বিদেশি পাসপোর্ট, বাসস্থানের অনুমতিপত্র, বাবা-মায়ের জন্ম শংসাপত্র অথবা তাঁদের ভারতীয় পাসপোর্ট, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় জমা করা ৫০০ টাকার একটি ব্যাঙ্ক চালান, আবেদনকারীর স্বামী বা স্ত্রীর ভারতীয় পাসপোর্ট বা জন্মের শংসাপত্র, বিয়ের শংসাপত্র, ভারতে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশনের সার্টিফিকেট থাকতে হবে (যাঁরা অন্য দেশ থেকে আসবেন), ভারতে ব্যবহৃত যে কোনও একটি ভাষা সম্পর্কে কতটা জ্ঞান রয়েছে, তার প্রমাণ হিসেবে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শংসাপত্র থাকতে হবে অথবা আবেদনকারীর জেলায় বসবাসকারী দুজনকে মান্যতা দিতে হবে। আবেদনকারীর চরিত্র সম্পর্কেও দুজনকে দিতে হবে শংসাপত্র। অনলাইন ছাড়াও ফর্ম ফিল-আপ করে জমা দেওয়া যাবে ডিএম বা ডিসি অফিসে গিয়ে।

    ভারতীয় নাগরিক কারা?

    মনে রাখতে হবে, ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে ১৯৮৭ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত যাঁদের জন্ম হয়েছে, তাঁরা জন্মসূত্রেই ভারতীয়। এর পর থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে যাঁরা জন্মগ্রহণ করেছেন, তাঁদের জন্মের সময় বাবা-মায়ের ভারতীয় নাগরিকত্ব থাকলে তবেই তাঁরা ভারতীয় নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত হবেন। এর পর যাঁরা জন্ম গ্রহণ করেছেন, হয় তাঁর বাবা-মাকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে কিংবা দুজনের মধ্যে যে কোনও একজন ভারতীয় ও অন্যজন অনুপ্রবেশকারী নন (CAA)।

    আরও পড়ুুন: সিএএ কার্যকর হতেই ঠাকুরনগরে ঢাক-ঢোল নিয়ে উচ্ছ্বাস হিন্দু শরণার্থীদের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CAA: কথা রাখলেন মোদি, চালু সিএএ, নয়া আইন সম্পর্কে জানুন বিশদে

    CAA: কথা রাখলেন মোদি, চালু সিএএ, নয়া আইন সম্পর্কে জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের আরও এক প্রতিশ্রুতি পূরণ। কথা দিয়েছিলেন অচিরেই দেশে লাগু হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ (CAA)। সোমবারই এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিল নরেন্দ্র মোদির সরকার।

    সিএএ (CAA) নিয়ে ‘মিথ্যে’ প্রচার 

    সিএএ লাগু হলে অনেকে নাগরিকত্ব হারাবেন বলে বিরোধীরা ‘মিথ্যে’ প্রচার করছিলেন বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। দিন কয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে এই অভিযোগের জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছিলেন, “সিএএ (CAA) কোনও ব্যক্তির নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। আইনে এমন কোনও বিধান না থাকায় কোনও ভারতীয়ের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না। সিএএ হল বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে নির্যাতিত শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার একটি আইন।”

    সিএএ (CAA) কী জানেন?

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের জন্য কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরে সিএএ চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মোদি সরকার। তার পরেই শুরু হয়ে গিয়েছিল যাবতীয় প্রস্তুতি। মিথ্যে প্রচার করে বিরোধীরা দেশজুড়ে অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করে বলে অভিযোগ। তারপর বিষয়টি থিতু হলে নতুন করে আইনটি লাগু করতে উদ্যোগী হয় কেন্দ্রীয় সরকার। এই আইনে (CAA) বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের জন্য এ দেশে আসা শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ওই দেশগুলি থেকে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই ছয় ধর্মের মানুষ ছাড়া অন্য কোনও দেশ থেকে আসা অন্য কোনও ধর্মের শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না।

    সংশোধিত আইনে শিথিল শর্ত

    প্রসঙ্গত, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছিল, নাগরিকত্ব পেতে হলে টানা এক বছর ভারতে থাকতে হবে। এ ছাড়াও গত ১৪ বছরের মধ্যে ১১ বছর ভারতে থাকা বাধ্যতামূলক। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে ১১ বছরটা কমিয়ে করা হয়েছে মাত্রই ৫ বছর। আইন অনুযায়ী, ভিসা কিংবা পাসপোর্টের মতো নথি না থাকলেও, ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন ওই ছয় ধর্মের কোনও শরণার্থী।

    আরও পড়ুুন: হিন্দু বাঙালির দ্বিতীয় স্বাধীনতা, দেশজুড়ে কার্যকর হয়ে গেল সিএএ

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে যে ইস্তেহার বিজেপি প্রকাশ করেছিল, তাতেও সিএএ-র প্রতিশ্রুতি ছিল। দিন কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সেনাপতি অমিত শাহও বলেছিলেন, “লোকসভা নির্বাচনের আগেই লাগু হয়ে যাবে সিএএ।” হলও তাই। দেশে লাগু হয়ে গেল সিএএ (CAA)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

      

  • CAA: হিন্দু বাঙালির দ্বিতীয় স্বাধীনতা, দেশজুড়ে কার্যকর হয়ে গেল সিএএ

    CAA: হিন্দু বাঙালির দ্বিতীয় স্বাধীনতা, দেশজুড়ে কার্যকর হয়ে গেল সিএএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার ১১ মার্চ যেন হিন্দু বাঙালি দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেল। সোমবার থেকেই দেশজুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (২০১৯) বা সিএএ চালু করল মোদি সরকার। এদিন ঠিক সন্ধ্যে ৬টায় একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে সিএএ চালু হওয়ার কথা জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার।

    নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন সিএএ

    এই আইন (CAA) অনুযায়ী, দেশভাগের পরবর্তীকালে অত্যাচারিত হয়ে, ভিটেমাটি ছেড়ে আসা উদ্বাস্তুরা ভারতের নাগরিকত্ব পেতে চলেছেন। বলে রাখা প্রয়োজন, সিএএ হল নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। সিএএ-এর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে নাগরিকত্ব প্রদানের। এই আইনের মাধ্যমে কোনও ব্যক্তি বা কোনও গোষ্ঠীর নাগরিকত্ব (CAA) চলে যাবে না। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘‘সিএএ মানবাধিকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে এ দেশে আশ্রয় চান, তা হলে তা দেবে ভারত। 

    ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সংসদে পাশ হয় সিএএ (CAA) 

    রাষ্ট্রসঙ্ঘ ১৯৫১ সালে আন্তর্জাতিক উদ্বাস্তু সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। সেখানেও প্রতিধ্বনিত হয়েছিল উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি। কারণ অত্যাচারিত হয়ে যখন কোনও মানুষ বা গোষ্ঠী নিজের ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য হয়ে অপর দেশে আশ্রয় নেন এবং পুরনো বাসস্থানে ফেরার আর কোনও জায়গা থাকেনা, তখনই আশ্রয়দাতা দেশের কর্তব্য হয়ে ওঠে উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব প্রদান।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সংসদে পাশ হয় এই আইন। চালু হল ২০২৪ সালের ১১ মার্চ। প্রসঙ্গত, এর আগে গতবছরের শেষে কলকাতায় এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, সিএএ (CAA) প্রয়োগ করা হবেই। কোনও শক্তি সিএএ-কে ঠেকাতে পারবে না। সেই মতো কথা রাখল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।

    পশ্চিমবঙ্গের নিরিখে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ

    রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) লাগু হওয়ায় তা, আসন্ন লোকসভা ভোটে বিজেপির বড় হাতিয়ার হতে চলেছে। দেশ তো বটেই, পশ্চিমবঙ্গের নিরিখেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে চলেছে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে মতুয়া-অধ্যুষিত কেন্দ্রে যে বিজেপি বাজিমাত করেছিল, সেটার নেপথ্যে ছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। আর আগেরবার প্রতিশ্রুতি ছিল। এবার সেই আইন কার্যকর হলে বিজেপির যে বিশাল লাভ হবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই রাজনৈতিক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CAA: লোকসভা ভোটের আগেই লাগু সিএএ আইন! নোটিশ জারি কবে জানেন?

    CAA: লোকসভা ভোটের আগেই লাগু সিএএ আইন! নোটিশ জারি কবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই যে সিএএ (CAA) চালু হবে, বিভিন্ন সময় তা দাবি করেছেন বিজেপি নেতারা। মঙ্গলবার জানা গেল, লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই লাগু হয়ে যেতে পারে সিএএ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রেই এ খবর মিলেছে। লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গেলেই চালু হয়ে যাবে আদর্শ আচরণ বিধি। জানা গিয়েছে, তার আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জারি করতে পারে সিএএ নোটিফিকেশন।

    সিএএ

    সিএএ (CAA) আইনে পরিণত হয় ২০১৯ সালে। এতদিন তা লাগু হয়নি। তবে এবার লাগু হবে ওই আইন। এবং তা হবে লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগেই। নাম প্রকাশ করা হবে না এই শর্তে এক সরকারি আধিকারিক বলেন, “শীঘ্রই জারি হতে পারে সিএএ বিধিগুলি। আইনটি কার্যকরের পাশাপাশি যোগ্যদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজও শুরু করা হবে। লোকসভা নির্বাচনের আগেই তা চালু করতে চিন্তাভাবনা করছে সরকার।” তিনি বলেন, “সিএএ আইন প্রস্তুত। তৈরি অনলাইন পোর্টালও। পুরো প্রক্রিয়াটি হবে অনলাইনে।”

    কী বললেন শাহ?

    দিন কয়েক আগে সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, “সিএএ দেশের আইন। এ ব্যাপারে অবশ্যই নোটিশ জারি হবে। নোটিশ জারি হবে নির্বাচনের আগেই। এনিয়ে কোনও দোটানা থাকার কথাই নয়।”

    দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে সংসদে সিএএ পাশ করিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। পরে বিলটিতে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করায় সেটি পরিণত হয় আইনে। এই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মতো মুসলমান ধর্মাবলম্বী দেশগুলি থেকে যদি ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে সে দেশের সংখ্যালঘুরা ভারতে আশ্রয় চান, তাহলে তা দেবে নয়াদিল্লি। উনিশে পাশ হলেও, এখনও কার্যকর হয়নি সিএএ। লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই আইনই লাগু করতে নোটিফিকেশন করতে চলেছে কেন্দ্র।

    আরও পড়ুুন: “সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে হিমাচলের কংগ্রেস সরকার”, দাবি বিজেপির

    সিএএ (CAA) নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল বিস্তর। সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োতে তড়িঘড়ি আন্দোলনে নেমে পড়ে বিজেপি বিরোধী দলগুলি। বাংলায়ও ব্যাপক আন্দোলন হয়। সেসবে আমল না দিয়েই সিএএ আইন করে মোদি সরকার। যার সুফল কুড়োবেন ভারতের তিন প্রতিবেশী দেশ থেকে ধর্মীয় উৎপীড়নের জেরে ভারতে চলে আসা শরণার্থীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Amit Shah: “লোকসভা নির্বাচনের আগেই কার্যকর হবে সিএএ”, বললেন শাহ

    Amit Shah: “লোকসভা নির্বাচনের আগেই কার্যকর হবে সিএএ”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশজুড়ে কার্যকর হবে সিএএ আইন। খুব শীঘ্রই এ নিয়ে নোটিফিকেশন জারি করা হবে।” এক সংবাদ মাধ্যমের গ্লোবাল সামিট অনুষ্ঠানে একথা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ২০১৯ সালের শেষের দিকে সংসদে পাশ হয়েছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। তার পর কেটে গিয়েছে চার বছর। এখনও লাগু হয়নি ওই আইন।

    সিএএ জারির আশ্বাস

    এ সংক্রান্ত বিলটি আইনে পরিণত হাওয়ার পর অশান্তি শুরু হয় দেশজুড়ে। বাংলায় প্রতিবাদ আন্দোলনে নামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। গত বছরের শেষের দিকে সিএএ জারি হবে বলে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গ্লোবাল বিজনেস সামিট অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শাহ (Amit Shah) বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশে সিএএ নোটিফিকেশন অফিসিয়ালি জারি করা হবে। এ নিয়ে কারও কোনও বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয়। আমি স্পষ্ট করে জানাতে চাই, এই আইন কারও নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেবে না।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সিএএ এই দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন। এ নিয়ে কারও মনে কোনও বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয়। সিএএ লাগু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রেস সরকারই। দেশভাগের সময় যখন লাখ লাখ উদ্বাস্তু এ দেশে এসে উঠেছিলেন, তাঁদের দেশের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এই কংগ্রেসই। এখন তারা নিজেদের প্রতিশ্রুতি ভুলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করছে।” প্রসঙ্গত, এর আগেও বিভিন্ন সময় শাহ সাফ জানিয়েছিলেন, দেশে সিএএ কার্যকর করা হবেই। পৃথিবীর কোনও শক্তি তাকে ঠেকাতে পারবে না।

    কী বললেন সরকারি কর্তা 

    নাম প্রকাশ করা হবে না এই শর্তে এক পদস্থ সরকারি আধিকারিক জানিয়েছিলেন, সিএএ-র অধীনে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য অনলাইনেই আবেদন জানানো যেতে পারে। এজন্য অনলাইন পোর্টালও তৈরি হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়াটা অনলাইনেই করা হবে। সেখানে আবেদনকারীদের কেবল জানাতে হবে যে, কোন সালে বিনা নথিতে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন তাঁরা। তাঁদের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত কোনও নথি চাওয়া হবে না। এ নিয়ে পদক্ষেপও করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালিতে শান্তি না ফিরলে ১৪৪ ধারা ভাঙার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর ধর্মীয় কারণে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে বিতাড়িত হিন্দু, শিখ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের জন্যই এই সিএএ (Amit Shah)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share