Tag: CAA

CAA

  • India At UN: সিএএ কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়! রাষ্ট্রপুঞ্জে সওয়াল ভারতের

    India At UN: সিএএ কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়! রাষ্ট্রপুঞ্জে সওয়াল ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেনেভায় হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের সভায় নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ওঠা প্রশ্নের কড়া জবাব দিল ভারত। জেনেভায় শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের বৈঠক। সেখানে আলোচনায় উঠেছে ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন  (CAA Issue in United Nation Human Right Council Meeting) এবং ঘৃণা ভাষণ প্রসঙ্গ।

    ভারত যা বলল

    জেনেভায় হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের সভায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা (Tushar Mehta)। ওই অধিবেশনে কয়েকটি দেশ ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আই নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এর উত্তরে সলিসিটার জেনারেল বলেন, সিএএ (CAA) কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য করা হয়নি। ওই আইনের প্রকৃত উদ্দেশ্য, প্রতিবেশী দেশে বসবাসকারী নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের ভারতে (India) বসবাসের সুযোগ দেওয়া। সেই উদ্দেশে তাদের নাগরিকত্ব প্রদানে এই আইন তৈরি করা হয়েছে। আর বাক স্বাধীনতা নিয়ে তিনি জানান,  ভারতের সংবিধানের মৌলিক ভিত্তিই হল কথা বলার অধিকার। কিন্তু অধিকার প্রয়োগে নাগরিকদেরও কিছু কর্তব্যসাধন জরুরি। ঘৃণা ভাষণ প্রতিরোধে ভারতে আইনি বিধান রয়েছে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে সুপ্রিম কোর্ট ঘৃণা ভাষণ নিয়ে সরব হয়। সাম্প্রতিককালে ঘৃণা ভাষণের বেশ কিছু ঘটনায় উদ্বেগ ছড়ায় দেশ জুড়ে।

    আরও পড়ুন: দেশবিরোধী কাজে যুক্ত থাকলেই পদক্ষেপ! আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পরিষদের সভায় ভারত

    সিএএ কী

    ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে CAA-র কোনও সম্পর্ক নেই। এদেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের উল্লেখ রয়েছে ভারতীয় সংবিধানে। CAA বা এই সম্পর্কিত কোনও আইন তা খর্ব করতে পারে না। এই সম্পর্কিত ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। মুসলিম-সহ ভারতীয় নাগরিকদের উপর CAA-র কোনও প্রভাব পড়বে না। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর ধর্মীয় কারণে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে বিতাড়িত হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের জন্য CAA। ওই তিন দেশ বা অন্য কোনও দেশ থেকে আসা মুসলিম-সহ অন্য কোনও বিদেশি শরণার্থীদের জন্য CAA লাগু হবে না।  তবে, এর মানে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের মুসলিমরা কখনই ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবে না, তা নয়। এমন কোনও লক্ষ্যে CAA গঠন করা হয়নি। বিগত বছরগুলিতে ওই দেশগুলি থেকে শতাধিক মুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও যোগ্যতার বিচারে নাগরকিত্ব পাবেন তাঁরা। ধর্মের বিচারে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। 

     

  • Citizenship Act: ৯ রাজ্যে অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু!

    Citizenship Act: ৯ রাজ্যে অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ-মুসলিম (Non Muslims) শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে গুজরাটে (Gujarat)। এবার ওই কাজ জোর কদমে শুরু হয়ে গেল দেশের অন্যত্রও। জানা গিয়েছে, দেশের নটি রাজ্যের ৩১ জেলার জেলাশাসক ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে নাগরিকত্বের শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA)। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে (Citizenship Act) ওই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। নাগরিকত্ব পাবেন পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানরা।

    সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বার্ষিক রিপোর্ট ২০২১-২২। এই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১ হাজার ৪১৪ জন শরণার্থী এসেছেন ভারতে। এঁদের প্রত্যেককে নাগরিকত্ব আইনে (Citizenship Act) ইতিমধ্যেই নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।  

    দেশের মধ্যে গুজরাটেই প্রথম শুরু হয়েছে এভাবে নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ। দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে গুজরাটে আসা অ-মুসলিমদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Act), ১৯৫৫ অনুযায়ী এই নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই তিন দেশ থেকে আসা যেসব শরণার্থী গুজরাটের মেহসানা ও আনন্দ জেলায় বসবাস করছেন, তাঁদেরই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: গুজরাটে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় চমক, কে কে লড়ছেন জানেন?

    সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনেও (Citizenship Act) পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা অ-মুসলিম এই সমস্ত শরণার্থীদের দেওয়া যায়। তবে যেহেতু তা নিয়ে বিতর্ক চলছে, এবং সরকার এখনও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তৈরি করে উঠতে পারেনি, এই আইনের আওতায় এখনও নাগরিকত্ব দেওয়া যায়নি কাউকেই।

    কোন কোন রাজ্য পেয়েছে ক্ষমতা?

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৯ জেলার কালেক্টর এবং নটি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এঁরা উল্লিখিত শরণার্থীদের শংসাপত্র দিতে পারবেন। যে রাজ্যগুলিকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল, গুজরাট, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, দিল্লি এবং মহারাষ্ট্র। বিষয়টি সংবেদনশীল হওয়ায় আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গকে এই ক্ষমতা এখনও দেওয়া হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Citizenship Ammendment Act: সিএএ মামলার শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে, কবে থেকে জানেন?

    Citizenship Ammendment Act: সিএএ মামলার শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে, কবে থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship Ammendment Act), সংক্ষেপে সিএএ (CAA) মামলার শুনানি হবে ৬ ডিসেম্বর। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত (UU Lalit)। তিনি অবসর নেবেন ৮ নভেম্বর। তার ঠিক দু দিন আগেই শুরু হবে শুনানি। সিএএ-র বিরুদ্ধে আবেদনপত্র জমা পড়েছে ২৫০টি। এর মধ্যে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে ২৩২টি। এই আবেদন নিয়ে কেন্দ্র, অসম, ত্রিপুরা সরকার ও আবেদনকারীদের অবস্থান জানাতে তিন সপ্তাহ সময়ও দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে। যেহেতু ললিত অবসর নেবেন ৮ তারিখে, তাই শুনানি হবে অন্য বেঞ্চে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এবং বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চে জানান, সিএএ ক্ষতিকর নয় বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। তবে সময় চাওয়া হয়েছে রাজ্যগুলির স্বার্থে।

    ২০১৯ সালে তৈরি হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship Ammendment Act)। এই আইনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন এবং পার্শি সম্প্রদায়ের মানুষকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই তালিকায় রাখা হয়নি মুসলমানদের। তার জেরেই শুরু হয় সমালোচনা।

    এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে মূল আবেদন হিসেবে ধরা হয়েছে ইন্ডিয়ান মুসলিম লিগের আবেদনপত্রটি। তাদের দাবি, আইনটি সমতার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে। ধর্মের ভিত্তিতে অবৈধভাবে আসা নাগরিকদের একটি অংশকে নাগরিকত্ব দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এর পর দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়, চার সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানাতে। হাইকোর্টগুলিকেও নির্দেশ দিয়েছিল সেখানে চলা এ সংক্রান্ত শুনানি স্থগিত রাখতে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে শীঘ্রই চালু হবে সিএএ! নাগরিক সংশোধনী বিল নিয়ে আশার আলো দেখালেন শুভেন্দু

    মুসলিম লিগের পাশাপাশি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (Citizenship Ammendment Act) বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মনোজ ঝা, তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র, এআইএমআইএমের আসাদউদ্দিন ওয়াইসিও। আবেদন করেছিল জমিয়ত-উলেমা-ই-হিন্দ, অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, পিস পার্টি, সিবিআই, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রিহাই মঞ্চের মতো কয়েকটি সংগঠনও। আইনজীবী এমএল শর্মা এবং আইনের বেশ কিছু পড়ুয়াও আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে।

    প্রসঙ্গত, সোমবারই গুজরাটের দুই জেলায় বসবাসকারী তিন দেশের সংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এদিন এই মর্মে জারি হয়েছে নির্দেশিকাও। তবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর না হওয়ায় ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের আওতায় এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Citizenship Ammendment Act: পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ প্রয়োগ হবে, সুবিধা পাবেন মতুয়ারাও, ঘোষণা শুভেন্দুর

    Citizenship Ammendment Act: পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ প্রয়োগ হবে, সুবিধা পাবেন মতুয়ারাও, ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক যাত্রায় পৃথক ফল হবে না। গুজরাটের পর পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ (Citizenship Ammendment Act) প্রয়োগ হবে। এতে নমঃশুদ্রদের সুবিধা হবে। মঙ্গলবার এ কথা বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    গুজরাটের (Gujarat) মেহসানা ও আনন্দ জেলায় বসবাসকারী পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্শি ও খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জেলা আধিকারিকদের এই মর্মে শংসাপত্র দেওয়ার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে এ দেশে অন্তত পাঁচ বছর বসবাস করতে হয়। এ ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না। গুজরাটের এই খবরেই যারপরনাই উচ্ছ্বসিত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship Ammendment Act) নিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, এটা তো সিএএ-র অংশ। সিএএ-র বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেল। ভারতবর্ষের অংশ পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গেও হয়ে যাবে। সিএএ আইন দুটো সংসদেই পাশ করা আছে। আমরা অপেক্ষা করছিলাম। নিশ্চয় রুল হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, এই একই রুলে পশ্চিমবঙ্গে মতুয়া সমাজ, নমঃশুদ্র সমাজ তাঁরা ভিসা করতে গেলে, পারমিট করতে গেলে, চাকরির ক্লিয়ারেন্স নিতে গেলে বলা হয়, ৭১এর আগের দলিল আনো, সেই সমস্যা আর থাকল না। শুভেন্দু বলেন, এক যাত্রায় পৃথক ফল হয় না। গুজরাটে যখন বাস্তবায়ন হয়ে গিয়েছে, নিশ্চয় রুল ফ্রেম করে ফেলেছে ভারত সরকার।

    আরও পড়ুন: তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Ammendment Act) প্রয়োগ করা হবে বলে বারংবার বলেছে কেন্দ্র। উনিশের ভোটের আগে সিএএ প্রয়োগের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল বিজেপি। তার পুরস্কারও পেয়েছিল পদ্ম শিবির। মতুয়াদের একটা বিরাট অংশের সমর্থন গিয়ে পড়েছিল গেরুয়া ঝুলিতে। ভোট পর্ব চুকে যাওয়ার পরেও সিএএ কেন লাগু হয়নি, সে প্রশ্নও ওঠে। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বনগাঁর সাংসদ বিজেপির শান্তনু ঠাকুর। শান্তনু কেন্দ্রের মন্ত্রীও। পরে সিএএ প্রয়োগ করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে। শান্ত হন শান্তনু। প্রসঙ্গত, ৬ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে শুরু হবে সিএএ শুনানি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • RSS: ঋষি সুনকের নিয়োগ নিয়ে মুফতির মন্তব্য হতাশার জের, বলছে আরএসএস

    RSS: ঋষি সুনকের নিয়োগ নিয়ে মুফতির মন্তব্য হতাশার জের, বলছে আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের (UK) প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। আদ্যন্ত হিন্দু (Hindu) এক ব্যক্তিকে ব্রিটেনের শীর্ষ পদে দেখে যারপরনাই খুশি তামাম ভারত (India)। ঋষির প্রসঙ্গ টেনে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি বলেন, ব্রিটেন একজন জাতিগতভাবে সংখ্যালঘুকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিলেও, আমরা এখনও এনআরসি (NRC) এবং সিএএ (CAA) -র মতো বিভাজনকারী ও বৈষম্যমূলক আইনে শেকলবন্দি হয়ে রয়েছি। মুফতির ওই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আরএসএস (RSS)। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ মেম্বার তথা মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের প্যাট্রন ইন্দ্রেশ কুমার বলেন, হতাশা থেকেই মুফতি এমন মন্তব্য করেছেন।

    ঋষি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনীত হওয়ার পরেই ট্যুইট করেন পিডিপি নেত্রী মুফতি। ট্যুইটবার্তায় তিনি লেখেন, এটা গর্ব করার মতো মুহূর্ত যে প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী পাবে ব্রিটেন। গোটা ভারত তা উদযাপন করছে। তবে ব্রিটেন একজন জাতিগতভাবে সংখ্যালঘুকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিলেও, আমরা এখনও এনআরসি এবং সিএএ-র মতো বিভাজনকারী ও বৈষম্যমূলক আইনে শেকলবন্দি হয়ে রয়েছি।

    আরও পড়ুন: বর্ণ ও জাতিভেদ প্রথা লুপ্ত হোক, চান আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    এর পরেই মুফতিকে একহাত নেন প্রবীণ আরএসএস (RSS) নেতা ইন্দ্রেশ কুমার। তাঁর মতে, মুফতি এবং কংগ্রেস নেতারা এ কথা বলছেন হতাশা থেকে। দেশ তাঁদের প্রত্যাখান করেছে। ইন্দ্রেশ কুমার বলেন, আসল সত্য হল, ভারতে অনেক রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি বলেন, ভারতই একমাত্র দেশ যেখানে দেশের সর্বোচ্চ পদে রয়েছেন একজন উপজাতি সমজের মহিলা। এদেশেই রাষ্ট্রপতি ছিলেন আবদুল কালাম, যিনি একটি জেলে পরিবারে জন্মেছিলেন। খবরের কাগজ বিক্রি করতেন। প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। যিনি এক সময় চা বিক্রি করতেন। আরএসএসের এই নেতা বলেন, এ দেশেই রাষ্ট্রপতি ছিলেন রামনাথ কোবিন্দ। তিনি তপশিলি জাতির প্রতিনিধি। তাই তাঁদের এহেন মন্তব্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশাপাশি মানবতার প্রতি অপমান। এজন্য তাঁদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।

    আরএসএসের (RSS) এই নেতা বলেন, আসল সত্য হল তামাম ভারতে কাশ্মীরিরা নিরাপদ। কিন্তু একজন হিন্দু, পণ্ডিত, বিহারি, ওড়িয়া অথবা অন্য কোনও ব্যক্তি যিনি কাশ্মীরে বসবাস করছেন, তিনি নিরাপদ নন। কাশ্মীরে বহিরাগতদের বাঁচার অধিকার হুমকির মুখে বলেও দাবি ইন্দ্রেশের।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যে শীঘ্রই চালু হবে সিএএ! নাগরিক সংশোধনী বিল নিয়ে আশার আলো দেখালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: রাজ্যে শীঘ্রই চালু হবে সিএএ! নাগরিক সংশোধনী বিল নিয়ে আশার আলো দেখালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘নিশ্চিত থাকুন, খুবই শীঘ্রই আপনাদের স্বপ্নপূরণ হবে।’ বনগায় বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নাগরিক সংশোধনী বিল (CAA) নিয়ে আশার আলো দেখালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগেই দিল্লি গিয়েছিলাম। জানতে চেয়েছিলাম, কবে আমাদের রাজ্যে CAA চালু হবে। ইতিবাচক উত্তর পেয়েছি। আমার বিশ্বাস, সেই সময় খুব দেরি নেই।’ পাঞ্চায়েত ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যে বেজায় খুশি বনগাবাসী। কারণ, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস করা নিয়ে দীর্ঘদিন তারা আন্দোলন করেছেন।

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীতে হাজির করাতে হবে অনুদান পাওয়া ক্লাবগুলিকে, সরকারি নির্দেশে সরব শুভেন্দু

    যদিও এই আইন নিয়ে অতীতে কম বিতর্ক হয়নি। অনেকেরই মনে হচ্ছিল, ব্যাপারটি হয়তো লাল ফিতের ফাঁসে আটকে পড়েছে। কিন্তু রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কথা শুনে ফের আশায় বুক বেঁধেছেন অনেকেই। ঠাকুর নগরে এক জনসভায় খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) রাজ্যে সিএএ চালুর ব্যাপারে জোর সওয়াল করেছিলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, ‘আজ না হয় কাল সিএএ আইন রাজ্যে লাঘু হবেই। কেউ আটকাতে পারবে না। কারণ, কথা দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ। তাঁরা যখন কথা দেন, তা রাখেন। আমি মনে করি, শুধু  সিএএ নয়, অবিলম্ব রাজ্যে এনআরসিও চালু হওয়া দরকার। এমনকী, জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইন খুবই প্রয়োজন। তবে সবার আগে সিএএ চালুর ব্যবস্থা করছি আমরা। কারণ, এটা শান্তনু ঠাকুরের লড়াই, এই লড়াই বিধায়ক স্বপন মজুমদার, অশোক কীর্তনীয়া, সুব্রত ঠাকুর, অম্বিকায় রায়, অসীম সরকারদের। যা কোনওভাবইে বিফলে যাবে না। আমরা জয়ী হবই।’

    আরও পড়ুন: তিস্তায় রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার, ভিডিও শেয়ার করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    লোকসভা ও রাজ্যসভায় সিএএ আইন পাস হয়েছে। এবার সেটা প্রয়োগ হবে, বলে জানান শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘আমাদের রাজ্যে দিনের পর দিন অনুপ্রবেশ বাড়ছে। কাঁটা তারের বেড়া টপকে এসে অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের রেশন খাচ্ছে, জমি ছিনিয়ে নিচ্ছে, ভাগ বসাচ্ছে একশো দিনের কাজেও। আর বঞ্চিত হচ্ছে আমাদের ঘরের ছেলে-মেয়েরা। ভারতভূমিকে রক্ষা করার জন্য, পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষা করার জন্য নাগরিক পঞ্জি তৈরি ভীষণই জরুরি।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • HC on Shaheen Bagh: শাহিনবাগের নেপথ্যে ছিল পিএফআই-এসডিপিআই! আদালতকে জানাল দিল্লি পুলিশ 

    HC on Shaheen Bagh: শাহিনবাগের নেপথ্যে ছিল পিএফআই-এসডিপিআই! আদালতকে জানাল দিল্লি পুলিশ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিত্ব আইনের (CAA) প্রতিবাদে শাহিনবাগে (Shaheen Bagh) যে আন্দোলন হয়েছিল তা কোনও স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন ছিল না। ছিল সংগঠিত। নিরপেক্ষ আন্দোলনও ছিল না। তার নেপথ্যে ছিল বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টকে (Delhi High Court) পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI) ও সোশ্যাল ডেমক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া (SDPI)। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টকে একথাই জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। পুলিশ এও জানিয়েছে, শাহিনবাগ এবং স্থানীয় লোকজনও ওই আন্দোলন সমর্থন করেননি। পুলিশ এও জানিয়েছে, প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত করতে বিভিন্ন এলাকায় লোকজনও পাঠানো হয়েছিল।

    নাগরিকত্ব আইন লাগু হবে এই আশঙ্কায় প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে দিল্লির শাহিনবাগ এলাকা। ওই মামলায় নাম জড়ায় দিল্লির জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উমর খলিদের। ওই মামলায় আপাতত বন্দি রয়েছেন উমর। তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা হয়েছে। উমরের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করতে গিয়ে পুলিশ আদালতে বেশ কিছু নথিপত্র জমা দিয়েছে। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন এদিন হাইকোর্টকে একথা জানায় দিল্লি পুলিশ।

    আরও পড়ুন : সিএএ কবে থেকে লাগু হবে জানেন? কী বললেন অমিত শাহ?

    বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুল ও রজনীশ ভাটনগরের বেঞ্চে চলছে ওই মামলার শুনানি। এদিন সেখানেই স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অমিত প্রসাদ বলেন, শাহিনবাগে যা হয়েছিল, তাকে সংগঠিত প্রতিবাদী আন্দোলন হিসেবে দেখানো হয়েছিল। তবে এটা তা ছিল না। এটা এমন পরিস্থিতি ছিল না, যখন আচমকাই লোকজন শাহিনবাগে চলে আসে…এই প্রতিবাদী ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছিল। পুলিশ এও জানিয়েছে, শাহিনবাগের অন্যতম প্রতিবাদী দাদিও ছিলেন না এর পিছনে। শাহিনবাগের নেপথ্যে ছিলে বিভিন্ন মানুষ এবং সংগঠনের অ্যালায়েন্স। শাহিনবাগের আন্দোলন কোনও নিরপেক্ষ আন্দোলন ছিল না।

    স্পেশাল প্রসিকিউটর এদিন আদালতে চ্যাট মেসেজ দেখান। আন্দোলন চলাকালীন ওই মেসেজ চালাচালি হয়েছিল। এর মধ্যে অভিযুক্তরাও রয়েছে। তারাই খেপিয়েছিল জনতাকে। জড়ো করেছিল লোকজনকে। তাদের সমর্থন জানিয়েছিল। তিনি জানান, শাহিনবাগের আন্দোলনের পিছনে ছিল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া এবং সোশ্যাল ডেমক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া। আমি প্রথম দিনই বলেছিলাম, এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। মূল চক্রীরা দৃশ্যমান এবং অদৃশ্যমান দুই ছিল। একটি দৃশ্যমান উপকরণ হল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৫ অগাস্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Delhi High Court: উমর খলিদের জামিনের আবেদনের বিরোধিতায় উঠল সার্জিল ইমাম প্রসঙ্গ

    Delhi High Court: উমর খলিদের জামিনের আবেদনের বিরোধিতায় উঠল সার্জিল ইমাম প্রসঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উমর খলিদের (Umar Khalid) জামিনের (Bail) আবেদনের বিরোধিতা করতে গিয়ে সার্জিল ইমামের (Sharjeel Imam) বক্তৃতার প্রসঙ্গ টানল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। সার্জিল আসানসোল (Asansole), আলিগড় ও গয়ায় সিএএ (CAA) এবং এনআরসির (NRC) বিরুদ্ধে বক্তৃতা দিয়েছিলেন।

    উমর খলিদের জামিনের আবেদনের শুনানি হচ্ছিল দিল্লি হাইকোর্টে। ২০২০ সালে উত্তর-পূর্ব দিল্লি হিংসা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত উমর। বুধবার নিম্ন আদালত তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। বিচারক সিদ্ধার্থ মৃদুল ও রাজনীশ ভাটনগরের ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হচ্ছিল। এদিন সওয়াল জবাবে অংশ নিয়েছিলেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অমিত প্রসাদ। আগামী মঙ্গলবার ফের শুনানি হবে এই মামলার।

    আরও পড়ুন : খয়রাতি নয়, মর্যাদার সঙ্গে রোজগার করাই বেশি পছন্দ ভোটারদের, মত সুপ্রিম কোর্টের

    এদিন সওয়াল করতে গিয়ে সার্জিল ইমামের প্রসঙ্গ টানেন অমিত প্রসাদ। বলেন, সার্জিল ইমাম মুসলিমরা বিপদের মধ্যে রয়েছেন, বাবরি মসজিদ, তিন তালাক, মুসলিম দমন, সিএএ-এনআরসি এবং কাশ্মীর নিয়ে ভাষণ দিয়েছেন বিভিন্ন জায়গায়। আসানসোল, আসাম, উত্তর প্রদেশের আলিগড় এবং গয়ায় ওই ভাষণ দিয়েছেন তিনি। আদালতের বিচারে তাঁর ভাষণ “প্রকৃতিগতভাবে জ্বালাময়ী”। তিনি মুসলিমদের উসকানি দিয়েছিলেন। ইমামের একটি বক্তব্যে বলা হয়েছিল, ১৯৪৭ সালের পর থেকে এখনও মুসলমানেরা স্বাধীনতা পায়নি। তিনি রাস্তা অবরোধ ও চাক্কা জ্যাম করতে মুসলিমদের উসকানিও দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এই মামলার আগের শুনানি হয়েছে ১ অগাস্ট। সেদিন সরকার পক্ষের আইনজীবী বলেছিলেন, উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসা একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ফল। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল মুসলিমদের মনে ভয়ের আবহ সৃষ্টি করা। এভাবে গোটা শহর অচল করে দেওয়ার পরিকল্পনাও ছিল। বাবরি মসজিদ, তিন তালাক, মুসলিম দমন, সিএএ-এনআরসি এবং কাশ্মীর ইস্যুতে জড়ো করা হয়েছিল বিক্ষোভকারীদের। এদিকে, উমর খলিদের আইনজীবী এদিন আদালতে জানান, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে অতিরঞ্জিত অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রকৃত অভিযুক্তদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হয়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Amit Shah on CAA: সিএএ কবে থেকে লাগু হবে জানেন? কী বললেন অমিত শাহ?

    Amit Shah on CAA: সিএএ কবে থেকে লাগু হবে জানেন? কী বললেন অমিত শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিএএ (CAA) কবে লাগু হবে? প্রশ্ন গোটা দেশেই। এবার তার উত্তর দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মঙ্গলবার তিনি জানান, দেশে কোভিড-১৯ (Covid-19) টিকাকরণ (Vaccination) শেষ হলেই লাগু হবে নাগরিকত্ব আইন। পাকিস্তান (Pakistan), বাংলাদেশ (Bangladesh) ও আফগানিস্তানের (Afghanistan) নিপীড়িত অ-মুসলিম সংখ্যালঘু বাসিন্দা যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের স্বীকৃতি দিতেই ওই আইন লাগু হবে।

    এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পার্লামেন্ট হাউসে তিনি শাহের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেই তাঁকে এই আশ্বাস দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। বঙ্গ বিজেপির নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে দিল্লি গিয়েছেন শুভেন্দু। মঙ্গলবার দেখা করেন শাহের সঙ্গে। তখনই সিএএ নিয়ে এই আশ্বাস পান।

    আরও পড়ুন :২০২৪-এ প্রধানমন্ত্রী মোদি-ই! জানুন কী বললেন অমিত শাহ

    করোনার কারণে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে টিকাকরণ। নিখরচায় দেশবাসীকে টিকা দিয়েছে মোদি সরকার। প্রথম দুটি ডোজ দেওয়া হয়ে গিয়েছিল আগেই। বাকি ছিল বুস্টার ডোজ। করোনার ভ্রুকুটি দেখা দিতেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বুস্টার ডোজ প্রদানও। এটিও মিলছে মুফতে। এই বুস্টার ডোজ প্রদান শেষ হলেই সিএএ লাগু হবে।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর শুভেন্দু জানান, করোনার টিকাকরণ চলছে। এই কাজ শেষ হলেই শুরু হবে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সিএএ লাগুর কাজ। তিনি জানান, টিকাকরণ শুরু হয়েছে এপ্রিলে। শেষ হতে মাস নয়েক লাগবে। সিএএ লাগু করতে সরকার যে পিছপা হবে না, তা নিউ জলপাইগুড়ির একটি অনুষ্ঠানে চলতি বছরের মে মাসেই জানিয়ে দিয়েছিলেন শাহ। সেদিনও তিনি জানিয়েছিলেন, করোনা টিকাকরণ শেষ হলেই সিএএ লাগুর দিকে পদক্ষেপ করা হবে। প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপির হারের পর এটাই ছিল শাহের প্রথম বাংলা সফর।

    সিএএর মূল লক্ষ্যই হল পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানে নিপীড়িত সংখ্যালঘু হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্শি এবং খ্রিস্টান যাঁরা এদেশে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এদেশে এসেছেন, তাঁদের নাগরিত্ব দেওয়া। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে পাশ হয়েছে সিএএ। যার জেরে দেশজুড়ে হয়েছে বিক্ষোভও। তার পরেও সরকার যে সিএএ লাগু করতে চায়, এদিন শাহের কথায় ফের মিলল তার প্রমাণ।

    আরও পড়ুন : “তৃণমূলের ১০০ জনের নাম তুলে দিয়েছি…”, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর শুভেন্দু

     

  • CAA: নাগরিকত্বের স্বীকৃতি ছাড়া যে কোনও মুহূর্তেই উদ্বাস্তুরা হারাতে পারেন তাঁদের সারা জীবনের অর্জন

    CAA: নাগরিকত্বের স্বীকৃতি ছাড়া যে কোনও মুহূর্তেই উদ্বাস্তুরা হারাতে পারেন তাঁদের সারা জীবনের অর্জন

     

    মোহিত রায়

     

    যাঁরা নিত্য বিপদসংকুল জীবনযাপনে বাধ্য হন, তাঁরা ক্রমশঃ সেই বিপদের সম্ভাব্যতা ও ভয়াবহতা সম্পর্কে উদাসীন হয়ে যান। যে নির্মাণ শ্রমিক বাঁশের নড়বড়ে মাচায় কোনও নিরাপত্তার বন্দোবস্ত ছাড়াই রোজ কাজ করে যান তাঁর কাছে কোনও তথ্য পৌঁছয় না যে প্রতি বছরে কতজন এরকম নির্মাণ শ্রমিক দুর্ঘটনায় সম্মুখীন হন। কোনও বিপদ, সত্যি বা মিথ্যে, নিয়ে অনেক আলোচনা হলে মানুষ ভয় পায়। অর্থাৎ যে কোনও বিপদ সম্পর্কে, তার সম্ভাব্যতা বা ভয়াবহতা যাই হোক না কেন, মানুষের ভয় উদ্রেকের জন্য দরকার তা নিয়ে যথেষ্ট হৈচৈ করা। ভয় = বিপদ + হৈচৈ। যে সব ঘটনা বেশ হৈ চৈ ফেলে, টিভিতে চোখের সামনে আতঙ্ক ছড়ায় – খুন, জখম, আগুন – এসব খবর নিয়ে সংবাদমাধ্যম বেশ হৈচৈ করে। কিন্তু যে বিপদ নীরবে আসে যেমন সর্পাঘাতে মৃত্যু (ভারতে বছরে গড়ে ৫৮০০০ জন, প্রতিদিন প্রায় ১৬০ জন) তা নিয়ে খুব একটা কথাবার্তা হয় না। পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশ থেকে আসা নাগরিকত্বহীন লক্ষ লক্ষ মানুষ যে কোনও দিন আইনের নীরব সর্পাঘাতের অপেক্ষায় আছেন। বেশিরভাগ সেটা জেনেও ওই বাঁশের মাঁচার নির্মাণ শ্রমিকটির মতন ভবিতব্যের হাতে সব ছেড়ে বসে থাকেন। 

    নাগরিক না হলে কি হয়? ভারতের নাগরিকত্ব না থাকলে বা বিদেশ থেকে এসে এখানে থাকার উপযুক্ত কাগজপত্র না থাকলে আপনি দেশের ফরেনার্স অ্যাক্ট (বিদেশি আইন) ১৯৪৬ অনুযায়ী আপনি বিদেশি বলে গণ্য হবেন। এই অপরাধের জন্য সাজা পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাবাস হতে পারে এবং তারপর আপনি যে দেশের নাগরিক সেই দেশে আপনাকে ফেরত পাঠানো হতে পারে। কিন্তু এসবের থেকেও বড় কথা এতদিন ধরে আপনার অর্জিত অর্থে সঞ্চিত ব্যাঙ্কের টাকা, আপনার বাড়ি, গাড়ি – সবই বেআইনি বলে প্রশ্নের মুখে পড়বে। আপনি শুধু নন, ১৯৮৭-র ১ জুলাইয়ের পর আপনার ছেলেমেয়ের জন্ম হলে তারাও বেআইনি বিদেশি। সুতরাং মেয়ে বিদেশে পড়তে যাবে বলে যে পাসপোর্ট করিয়েছিলেন সেটার আর কোনও দাম নেই। আপনি সরকারি চাকরি করেন, আপনার ছেলেও কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি সবে পেয়েছে – এই সবই আপনি ও আপনার পুত্র হারাতে পারেন। অর্থাৎ আপনার অস্তিত্ব – আর্থিক, সাংসারিক সবই নির্ভর করছে নাগরিকত্বের উপর।

    আপনি বলবেন – আমার আধার কার্ড আছে, ভোটার কার্ড আছে, প্যান কার্ড আছে, রেশন কার্ড আছে।  এ সবই কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের দেওয়া পরিচয়পত্র। আর কি চাই। অনেক ছোটবড় নেতারাও তাই বলে বেড়াচ্ছেন। শ্রীমতী আলোরানি সরকার ভারতের নির্বাচন কমিশনের ছাড়পত্র নিয়ে ২০১৬ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে ও ২০২১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ২০২১-এর নির্বাচনের পর কলকাতা হাইকোর্টে নির্বাচন সংক্রান্ত একটি মামলায় (GA 4 of 2022 EP/2/2021) আলোরানি সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি নাগরিকত্বের অভিযোগ আসে। আলোরানি সরকার নিজেকে ভারতীয় নাগরিক বলে দাবি করেন। গত ২০ মে বিচারক বিবেক চৌধুরী তাঁর রায়ে আলোরানি সরকারকে ভারতীয় নাগরিক মানতে অস্বীকার করেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে আলোরানি সরকার ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেছেন। এই নিবন্ধে আমরা আদালতে থাকা এই মামলার বিষয়ে আলোচনা কেবলমাত্র নাগরিকত্বের বিষয়ে সীমাবদ্ধ রাখব, মামলার অন্যান্য বিষয়ে নয়।
     
    আলোরানি সরকারের কিন্তু আধার কার্ড ইত্যাদি সবই ছিল কিন্তু হাইকোর্টের রায়ে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে “এটা বলা নিষ্প্রয়োজন যে পাসপোর্ট, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, আধার কার্ড ভারতের নাগরিকত্বের কোনও প্রমাণ নয়।” আলোরানি সরকারের দাবি ছিল যে তিনি জন্মসূত্রে ভারতীয় কারণ তিনি ১৯৬৯ সালে বৈদ্যবাটিতে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু আদালত দেখেছে যে তাঁর বাবা-মা থাকেন বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের) পিরোজপুর জেলায়। ছোটবেলায় আলোরানি তাঁর কাকার বাড়ি বৈদ্যবাটি চলে আসেন। ফলে তিনি ভারতে জন্মগ্রহণ করেননি। তিনি ১৯৫৫-এর নাগরিকত্ব আইনের বিভিন্ন ধারায় নাগরিকত্বের আবেদন করার সুযোগ থাকলেও তা তিনি করেননি।

    আলোরানি এসেছিলেন পূর্ব পাকিস্তান থেকে ফলে তিনি ১৯৫৫-র নাগরিকত্ব আইন বিভিন্ন ধারায় নাগরিকত্বের আবেদন করার যোগ্য ছিলেন। কিন্তু ১৯৭২ সালের পর বাংলাদেশ থেকে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবার জন্য আবেদনের কোনও ব্যবস্থাই এতকাল ছিল না। সুতরাং এদেশে তাঁরা বেআইনি বিদেশি। এর প্রতিকারে ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে বলা হয়েছে যে, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালের আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে অথবা আশঙ্কায় যেসব ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন ও পার্শি সম্প্রদায়ের মানুষ ভারতে এসেছেন, যাঁদের ১৯২০ সালের পাসপোর্ট আইন ও ১৯৪৬ সালের বিদেশি আইন থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে – তাঁরা বেআইনি অনুপ্রবেশকারী বলে গণ্য হবেন না। 

    কিন্তু এই আইনের রুলস বা বিধি না চালু হওয়ার দরুণ উদ্বাস্তুরা আইন হওয়া সত্ত্বেও নাগরিক হতে পারছেন না। বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু উদ্বাস্তুদের উপর পুলিশ তাদের প্রয়োজন মতো নাগরিকত্বহীনতার অভিযোগ এনে, ফরেনার্স অ্যাক্ট (বিদেশি আইন) দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের বিভিন্ন ধরণের সমস্যায় ফেলছে – ভয় দেখিয়ে উৎকোচ নেওয়া থেকে শুরু করে কারাবাস। উদ্বাস্তু আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত মানুষরা এরকম অনেক ঘটনা জানেন, কিন্তু বাংলাদেশ থেকে আগত প্রায় দুই কোটি হিন্দু-মুসলমানের এই ভীষণ সমস্যা সাম্প্রতিক কয়েক বছর বাদ দিলে গত ৪০ বছরে সংবাদমাধ্যমে বা মানবাধিকার চর্চায় কখনও স্থান পায়নি। নীরব সর্পাঘাত কিন্তু ঘটেই চলেছে।

    ২০০৬ সালে একটি রাজনৈতিক দলের অভিযোগে হুগলির বলাগড়ের ৩৫ জন উদ্বাস্তুকে পুলিশ ফরেনার্স অ্যাক্টে গ্রেফতার করে দীর্ঘদিন জেলবন্দি রাখে। এঁরা সবাই গৃহস্থ মানুষ কোনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নন। ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, জমির দলিল সব থাকা সত্ত্বেও আদালত তার কোনও মূল্য দেয়নি। ২০২০ সালে গোবরডাঙ্গা পুলিশ স্থানীয় সাংবাদিক রাজু দেবনাথকে গ্রেফতার করে কয়েকটি অপরাধ সংক্রান্ত মামলার সঙ্গে ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা দেয়। রাজু দেবনাথের দাবি, গোবরডাঙ্গা থানার পুলিশ আধিকারিকদের কিছু অপরাধমূলক কাজ জনসমক্ষে আনায় তাঁর বিরুদ্ধে এইসব মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য যে রাজু দেবনাথের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, রেশন কার্ড, প্যান কার্ড দিয়ে নাগরিকত্ব প্রমাণ করা যায়নি। সম্প্রতি রাজু দেবনাথ জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।

    তাহলে বলাগড়ের উদ্বাস্তুরা, আলোরানি সরকার বা রাজু দেবনাথ – ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, রেশন কার্ড, প্যান কার্ড – কোনটাই তাঁদের নাগরিকত্ব দেয়নি। সুতরাং অনেক দলের নেতারা গলা ফাটিয়ে, চটি প্রচার পুস্তিকায় অনেক যুক্তিতর্ক লিখলেও, এইসব কার্ড যে আদালতে মূল্যহীন তা বারবার প্রমাণিত। আরও মনে রাখবেন, সব ক্ষেত্রে আপনার বিরুদ্ধে কেউ মামলা করলে সাক্ষ্যপ্রমাণের দায়িত্ব – যে অভিযোগ করেছে তাঁর। কিন্তু একমাত্র ফরেনার্স অ্যাক্ট (বিদেশি আইন) ১৯৪৬-এ মামলা হলে প্রমাণের দায়িত্ব অভিযোগকারীর নয়, আপনার। সুতরাং আপনার ও পরিবারের ভবিষ্যৎ, অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা – সব নির্ভর করছে আপনার আইনি নাগরিকত্বের প্রমাণে। আর এই নাগরিকত্বহীনতার সর্পাঘাতে বিদ্ধ হতে পারেন শুধু সাধারণ উদ্বাস্তুরা নন, বিদ্ধ হতে পারেন গোপন উদ্বাস্তু পশ্চিমবঙ্গের অনেক জনপ্রতিনিধি, বিধায়ক, সাংসদ, রাজ্য ও কেন্দ্রের মন্ত্রী। এখনই সচেষ্ট না হলে নীরবে সর্পাঘাতের জন্য তৈরি থাকুন। 

LinkedIn
Share