Tag: cbi

cbi

  • RG Kar Incident: আরজি করে হামলা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পুলিশ, সন্দীপকে কড়া ধমক হাইকোর্টের

    RG Kar Incident: আরজি করে হামলা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পুলিশ, সন্দীপকে কড়া ধমক হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতাল (RG Kar Incident) নিরাপদ নয়, এটা বন্ধ করে রোগীদের অন্য কোথাও পাঠিয়ে দেওয়া ভালো, এমনই অভিমত হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। আরজি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য পুলিশ৷ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম৷ পরবর্তী শুনানিতে হলফনামা দিয়ে তাদের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে বলেছেন তিনি৷ আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি৷

    পুলিশকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    আরজি করে (RG Kar Incident) পড়ুয়া চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় যখন ফুঁসছে গোটা দেশ, তারই মধ্যে বুধবার রাতে হামলা। ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হয়েছে আরজি করের ইমার্জেন্সি বিভাগ। ভেঙে দেওয়া হয়েছে আন্দোলনকারীদের মঞ্চ। পুলিশ কার্যত দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে বলেই অভিযোগ। সেই ঘটনার পর এবার কড়া পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। এই ঘটনায় শুক্রবার একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানির সময়, রাজ্য তথা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কার্যত বিরক্ত প্রকাশ করলেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।

    আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা কোথায়?

    এদিন শুনানির শুরু থেকেই প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা কোথায়? এভাবে কি আদৌ হাসপাতাল চালানো সম্ভব। এদিন প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট বলে দেন, আরজি করের (RG Kar Incident) ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিন্দনীয়। তিনি বলেন, “হাসপাতাল বন্ধ করে দিন, আমরা রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তর করতে বলছি৷” এদিন  আদালত প্রশ্ন তুলেছে, ১০০ জন লোক জড় হলেও পুলিশের কাছে খবর থাকা জরুরি, তাহলে ৭০০০ লোকের উপস্থিতি কেন বোঝা গেল না? পুলিশের ইনটেলিজেন্সের কাছে কোনও খবর ছিল না ? এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।

    আরও পড়ুন: আরজি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি শুভেন্দু-সুকান্তর, চিঠি গেল শাহ-মন্ত্রকে

    সন্দীপ ঘোষকে ধমক

    শুক্রবার পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের (RG Kar Incident) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এদিনই দ্রুত শুনানি চেয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আবেদনও জানান সন্দীপবাবু। সেই শুনানি চলাকালীন অধ্যক্ষের আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “সবটাই আমাদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ। আপনি চিন্তা করবেন না। আপনি খুবই ক্ষমতাশালী। আপনি আমাদের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করছেন। বাড়িতে শান্তিতে থাকুন। না হলে বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেব।”

    “রাজ্যের গালে থাপ্পড়”

    বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ এই পর্যবেক্ষণ প্রসঙ্গে বলেন, “আদালত জানে যে আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতাল বন্ধ করা যাবে না, কিন্তু পরিস্থিতি বিচার করেই এ কথা বলেছেন প্রধান বিচারপতি। এটা রাজ্যের গালে থাপ্পড় বলতে পারেন। আমরা রাজ্যের কাছে আর কিছু আশা করছি না। মানুষ এবার এই সরকার পরিবর্তন করুক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: সিবিআই দফতরে আরজি করের প্রাক্তন সুপার, নথি নিয়ে হাজির টালা থানার ওসিও

    CBI: সিবিআই দফতরে আরজি করের প্রাক্তন সুপার, নথি নিয়ে হাজির টালা থানার ওসিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে (CBI) দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তার আগে তদন্ত করছিল পুলিশ। এরপরই আদালতের নির্দেশ পেতেই তেড়েফুঁড়ে ময়দানে নামল সিবিআই। তিনজনকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের একটি দল নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে যান। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।

    কাদের তলব করা হল (CBI)

    আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালের পদত্যাগী এমএসভিপি সঞ্জয় বশিষ্ঠকে তলব করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, সঞ্জয় বশিষ্ঠ ছাড়াও তালিকায় রয়েছেন দুজন চিকিৎসক। তাঁরা হলেন চেস্ট বিভাগের প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরী ও ফরেন্সিক বিভাগের চিকিৎসক এবং ময়নাতদন্তের সঙ্গে যুক্ত মলি বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনজনেই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়েছেন। সিবিআই দফতরে পৌঁছেছেন টালা থানার অফিসার ইন-চার্জ। তদন্তের কিছু নথি কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তুলে দিতে গিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, আরজি কর হাসপাতালের বেশ কয়েক জন আধিকারিককে বৃহস্পতিবার তলব করেছিল সিবিআই। ডাকা হয়েছিল কয়েক জন চিকিৎসক-পড়ুয়াকেও। তলব অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁরা হাজির হয়েছেন। সূত্রের খবর, মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সম্বন্ধে তাঁরা কে কী জানেন, কী ভাবে ঘটনার খবর পেলেন, ঘটনার দিন কে কোথায় ছিলেন, সেই সংক্রান্ত বয়ান রেকর্ড করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ফরেন্সিক বিভাগের অধ্যাপক সিবিআই তলব প্রসঙ্গে বলেন, আমাকে ডাকা হয়েছিল। তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছি। যা যা জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, জানিয়েছি।

    আরও পড়ুন: একটানা ৯৮ মিনিট! স্বাধীনতা দিবসের দীর্ঘতম ভাষণ দিয়ে রেকর্ড গড়লেন মোদি

    ২০ সদস্যের সিবিআই টিম

    গত মঙ্গলবারই টালা থানা থেকে ঘটনার এফআইআরের সার্টিফায়েড কপি নেন সিবিআইয়ের (CBI) আধিকারিকেরা। এরপর রাতেই দায়ের হয় এফআইআর। বুধবার সকালেই দিল্লি থেকে কলকাতায় চলে আসে সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল। সঙ্গে মেডিক্যাল ও ফরেন্সিক টিম। সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইকে। তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষাও করা হয়। জানা গিয়েছে, আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে ২০ সদস্যের একটি সিবিআই দল কাজ করবে। জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার অফিসার রয়েছে এই টিমে। রয়েছেন ডিআইজি পদ মর্যাদার অফিসারও।

    সিবিআই প্রসঙ্গে নিহত পরিবারের সদস্য কী বললেন?

    নিহত চিকিৎসকের পরিবারের এক সদস্য বলেন, সিবিআই আধিকারিকরা আমাদের যা জিজ্ঞাসা করেছেন, তা আমরা জানিয়েছি। এই তদন্তের ভার সিবিআই নেওয়ায় আমরা খুশি। আমরা চাই, দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

    প্রসঙ্গত, সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘তিলোত্তমা’ কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, দিল্লি এসি (AC-1) শাখায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ‘তিলোত্তমাকে’ ন্যায় বিচার পাইয়ে দিতে একটি দল গঠন করে সিবিআই। সেখানে রয়েছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ, ডাক্তার ও তদন্তকারী আধিকারিকরা। তদন্তের মূল দায়িত্বে রয়েছেন দিল্লির অফিসাররা। সাহায্য করবে কলকাতার স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। এবার এক মহিলা অফিসারকে তদন্তকারী অফিসার হিসেবে নিয়োগ করেছে সিবিআই। তিনি একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার অফিসার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়ার পরেই ভাঙা হল হাসপাতালের দেওয়াল! ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা? 

    RG Kar: সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়ার পরেই ভাঙা হল হাসপাতালের দেওয়াল! ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিতর্ক থামছে না। একের পর এক অভিযোগে উত্তাল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাস (RG Kar)! কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের প্রশাসনের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠল। প্রতিবাদে সামিল রাজ্যের চিকিৎসক মহল। বুধবার তাই রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালের বহির্বিভাগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসক এবং জুনিয়র চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠন। বিশিষ্ট মহলের একাংশ জানাচ্ছে, আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর পরে রাজ্য প্রশাসনের একের পর এক পদক্ষেপ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলছে।

    আদালতের নির্দেশের পরেই কী ঘটেছিল? (RG Kar)

    মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর তদন্তের নির্দেশ সিবিআইকে দেন।‌ প্রধান বিচারপতি কলকাতা পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একাধিক পদক্ষেপ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আদালতের নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের দেওয়াল ভাঙা শুরু হয়। হাসপাতালের সেমিনার হল, যেখানে ওই মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেই সেমিনার হলের আশপাশের দেওয়াল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভাঙার কাজ শুরু হয়। হঠাৎ কর্তৃপক্ষের দেওয়াল ভাঙার সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসতেই চিকিৎসক মহলের বিক্ষোভ শুরু হয়। জুনিয়র চিকিৎসকেরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। আর তারপরেই তড়িঘড়ি কাজ বন্ধ হয়ে‌ যায়।

    প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ কেন উঠছে?

    চিকিৎসক মহলের একাংশ‌ জানাচ্ছে, ওই মহিলা চিকিৎসক চেস্ট মেডিসিন বিভাগের (RG Kar) স্নাতকোত্তর ট্রেনি ছিলেন। সেমিনার হলের আশপাশের জায়গায় অপরাধীদের হাতের স্পর্শ কিংবা অন্য কোনও প্রমাণ থাকতে পারে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ সেই দেওয়াল থেকেও একাধিক প্রমাণ জোগাড় করতে পারতেন। ঘটনাস্থল সিবিআই (CBI) কর্তারা দেখলে স্পষ্ট হত, আর কেউ বৃহস্পতিবার রাত্রে সেমিনার হলে ছিলেন কিনা, কিংবা কতজনের যাতায়াত হয়েছিল। কিন্তু সেই সব প্রশ্নের স্পষ্ট কিনারা হওয়ার আগেই দেওয়াল ভাঙার কাজ শেষ করে দেওয়া হল। একাধিক মার্বেল টাইলস ভেঙে দেওয়া হল। হাসপাতালের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে কেন এই ঘটনা ঘটল, সেটাও স্পষ্ট নয় বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কলকাতা পুলিশ প্রথমেই ঘটনাকে আত্মহত্যার তকমা দিতে চেয়েছিল। এ নিয়ে হাইকোর্টও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তাছাড়া, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ময়নাতদন্ত থেকে যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়ায় সব সময় টালবাহানা করেছে। মৃতার বাবা-মাকেও মৃতদেহ দেখতে দেওয়া হচ্ছিল না, এমন অভিযোগ উঠছে। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ হাসপাতালের (RG Kar) দেওয়াল ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত একাধিক প্রশ্ন তুলছে বলেই মনে করছে সব মহল। চিকিৎসকেরা এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বহির্বিভাগে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

    কী বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ?

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, যেসব দেওয়াল (RG Kar) ভাঙা হয়েছে, সেগুলো‌ বহু আগেই পরিকল্পনা করা ছিল। চিকিৎসকদের জন্য ভালো রেস্ট রুম তৈরির পরিকল্পনা ছিল। তাই ওখানে দেওয়াল ভেঙে রেস্ট রুম তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। তবে, স্বাস্থ্য সচিব দেওয়াল ভাঙা ও নতুন পরিকাঠামো তৈরির কাজ আপাতত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই এখন আপাতত কাজ বন্ধ আছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Medical College: ঘরে-বাইরে চাপ! তাই কি আরজি করে ধর্ষণ-খুনকাণ্ডে সিবিআই-তে রাজি মমতা?

    RG Kar Medical College: ঘরে-বাইরে চাপ! তাই কি আরজি করে ধর্ষণ-খুনকাণ্ডে সিবিআই-তে রাজি মমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজিকরে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় কাঠগড়ায় রাজ্য প্রশাসন। সরকারি হাসপাতালে নাইট ডিউটির সময় কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসকের এ হেন পরিণতিতে বিস্মিত দেশ। এই ঘটনাকে দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডের থেকেও নৃশংস বলে দাবি করেছেন অনেকে। মহিলা চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ পরিবেশের দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। দিল্লির এইমস সহ দেশের বিভিন্ন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী সংগঠনের চাপে অবশেষে গাফিলতি মেনে নিয়েছে প্রশাসন। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তেও রাজ্যের আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    বিজেপির চাপ

    যেভাবে হাসপাতালের মধ্যে অর্থাৎ নিজের কর্মস্থলে এক ডাক্তারি পড়ুয়ার নৃশংস মৃত্যু হয়েছে তাতে নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে এবং অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মবিরতিতে নেমেছেন একাংশ ডাক্তারি পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকৎসকরা। নির্ভয়া কাণ্ডের চেয়েও ভয়াবহ বলে নিন্দায় সরব হয়েছে চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠন। এই ঘটনায় সরব হয়েছে বিজেপি। রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা কোথায়, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আরএসএস-পন্থী চিকিৎসক সংগঠন ন্যাশনাল মেডিক্যাল অর্গানাইজেশন, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এই বিষয়ে চিঠি লিখেছে। তারা চিকিৎসকদের জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আইনের দাবি জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডাকে চিঠি দিয়েছে বিজেপি যুব মোর্চাও।

    সিবিআই তদন্তে রাজি মমতা

    রাজ্যজুড়ে চিকিৎসকদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদ, ঘরে-বাইরে প্রবল চাপে পড়ে বাধ্য হয়েই সব দাবি মানছে রাজ্য। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় যে কোনও এজেন্সি তদন্ত করলে রাজ্য সরকারের কোনও আপত্তি নেই, বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর  কথায়, ‘‘আমাদের (রাজ্য সরকারের) উপর আস্থা না থাকলে আন্দোলনরত পড়ুয়ারা যে কোনও এজেন্সির কাছে যেতে পারেন। আমাদের কোনও আপত্তি নেই।’’

    পড়ুয়াদের ক্ষোভ সঙ্গত

    পড়ুয়াদের ক্ষোভকেও সঙ্গত বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। আশপাশে সিসি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে ঘটনা ঘটল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী এ-ও বলেছেন, হাসপাতালের ভিতরের বিষয় দেখভালের জন্য সুপার, প্রিন্সিপালদেরও দায়িত্ব রয়েছে। সে ক্ষেত্রে কোনও ফাঁকফোকর ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “ফাঁসির পক্ষে আমি নই। তবে কোনও কোনও ঘটনায় শিক্ষা দেওয়ার জন্য এরকম শাস্তি দরকার, যাতে আর কেউ করার সাহস না পায়। আমি নির্দেশ দিয়েছি, ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে মামলা নিয়ে গিয়ে, দরকার হলে ফাঁসির আবেদন জানানো হোক। যে কালপ্রিট এটা করেছে, তার কোনও ক্ষমা নেই।”

    কী বললেন পুলিশ কমিশনার

    আরজিকরে ডাক্তারি পড়ুয়াকে খুনের ঘটনায় অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা্ করা হবে বলে আশ্বাস দিলেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও। আরজি কর-কাণ্ডে ইতিমধ্যেই এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল আরও বলেন, ‘‘সারা রাত তদন্ত চালানো হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ-সহ বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে একজনে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, পরিবার অন্য কোনও এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করতে চাইলে আপত্তি নেই। আমরা সহযোগিতা করব।’’

    চিকিৎসকদের বিক্ষোভ

    আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জরুরি পরিষেবা ব্যতীত চিকিৎসকরা একের পর এক হাসপাতালে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে। কর্মবিরতি সিএন‌এমসি, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এন‌আর‌এস, এস‌এসকেএম‌ও। কর্মবিরতি জেলার হাসাপাতালেও। আরজি করের ঘটনার প্রকৃত তদন্তের দাবিতে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে এমার্জেন্সি পরিষেবা সচল রেখে বাকি পরিষেবার ক্ষেত্রে কর্মবিরতি ও অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন জুনিয়ার চিকিৎসকরা। অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররাও। হাসপাতালের সুপার অফিসের সামনেই অবস্থান বিক্ষোভে বসেন তাঁরা। 

    আরও পড়ুন: তদন্ত কমিটিতে ইন্টার্ন! আরজি করে ছাত্রী খুনের ঘটনায় সিবিআই দাবি শুভেন্দুর

    জল গড়িয়েছে দিল্লিতেও

    দেশের সব ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশনকে এই ঘটনার প্রতিবাদে নামার আবেদন জানিয়েছে এইমস আরডিএ। ইতিমধ্যেই তাদের তরফে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও এই ঘটনা খতিয়ে দেখার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালের ডাক্তাররা। পিজিআই চণ্ডীগড়ের রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনও উদ্বেগপ্রকাশ করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে। তাদের দাবি, এই ঘটনাকে যারা ধামাচাপা দিতে চেয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত এবং মহিলা চিকিৎসকদের শুধুমাত্র দিনের বেলায় ডিউটি দিতে হবে। পেডিয়াট্রিক সার্জারি অ্যাসোসিয়েশন এই ঘটনাকে নির্ভয়াকাণ্ডের থেকেও নৃশংস বলে দাবি করে মহিলা চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ পরিবেশের দাবি জানিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে হাসপাতালে বিক্ষোভ বাড়ছে, সার্বিক ভাবে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে তা প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • TET Case: ‘টেটের শংসাপত্র দিন’, পর্ষদ-সিবিআইকে নির্দেশ আদালতের

    TET Case: ‘টেটের শংসাপত্র দিন’, পর্ষদ-সিবিআইকে নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবিলম্বে যাতে আবেদনকারীরা টেটের (TET Case) শংসাপত্র পান, তা নিশ্চিত করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। সোমবার টেট মামলায় এমনই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পাশাপাশি সিবিআইকেও একই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। প্রাইমারি টেটে উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী শংসাপত্র না পেয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের। তাঁদের অভিযোগ, ২০১৪ সালের টেটের শংসাপত্র পাননি তাঁরা। সিবিআই ও পর্ষদের দ্বন্দ্বের কারণে আটকে ছিল বিষয়টি। সেই দ্বন্দ্বের গেরোই কাটল এদিন, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে।

    পর্ষদের বক্তব্য (TET Case)

    প্রাইমারি টেট মামলার শুনানিতে পর্ষদের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল আদালত। পর্ষদ জানায়, টেটের কোনও শংসাপত্র তাদের কাছে নেই। এই শংসাপত্র মূল্যায়নের দায়িত্বে ছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সব নথি বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। সিবিআই অবশ্য গত সপ্তাহেই আদালতে জানিয়ে দিয়েছে, সব নথিই পর্ষদকে দেওয়া হয়েছে।

    আদালতের প্রশ্ন

    এদিন আদালতের প্রশ্ন, এরা পাশ করেছে, আর বোর্ডের কাছে কোনও তথ্য নেই! বোর্ড কী করে বুঝতে পারছে যে এরাই পরীক্ষার্থী? এদিন নির্দেশে বিচারপতি সিনহা আদালতকে জানান, সিবিআইকে অবিলম্বে ওই সব শংসাপত্র পর্ষদের হাতে তুলে দিতে হবে। তিন সপ্তাহের মধ্যে তারা সেই সব শংসাপত্র তুলে দেবে আবেদনকারীদের হাতে। বিচারপতির নির্দেশ, ২০১৪ সালের টেটের ১ লাখ ২৬ হাজারের শংসাপত্র পর্ষদকে ফের দিতে হবে সিবিআইকে।

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে হাঁড়ির হাল কর্নাটকের অর্থনীতির?

    এক সপ্তাহের মধ্যে এই কাজ (TET Case) শেষ করতে হবে সিবিআইকে। তার পর দুসপ্তাহের মধ্যে আবেদনকারীদের সব শংসাপত্র দেওয়ার কাজ শুরু করতে হবে পর্ষদকে। পর্ষদ জানিয়েছে, তাদের কাছে কিছু তথ্য রয়েছে। সেই তথ্য থেকেই সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এদিকে, সিবিআই জানিয়েছে, ওরিজিনাল কপি দিলে (Calcutta High Court) তদন্ত বাধা পেতে পারে। তাই ওয়ার্কিং কপি দেওয়া হবে (TET Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: জোড়া খুনে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল নেতার! পুলিশে আস্থা হারিয়ে সিবিআই চাইছে পরিবার

    South 24 Parganas: জোড়া খুনে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল নেতার! পুলিশে আস্থা হারিয়ে সিবিআই চাইছে পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি নিয়ে বিবাদের জেরে দুই বোনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ঢোলাহাট থানার গুরুদাসপুরে। তিন মাস আগের সেই খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় তৃণমূল নেতা গৌরহরি মাল সহ কয়েকজনের। মৃতের পরিবারের লোকজন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে বাদ দিয়ে লোকদেখানো দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। দুজনেই আবার মৃতের আত্মীয়। পুলিশ তদন্তে অসহযোগিতা করছে অভিযোগ তুলে সরব হলেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।

    সিবিআই তদন্তের দাবি! (South 24 Parganas)

    মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঢোলাহাট থানার (South 24 Parganas) গুরুদাসপুরে মৃত দুই বোনের নামে জমি রয়েছে। সেই সম্পত্তি জোর করে দখল করে রেখেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা গৌরহরি মাল। সেই জায়গা তিনি ছাড়তে চাইছেন না। গত মে মাসে খুনের ঘটনার দুদিন আগে তৃণমূল নেতা গৌড়হরি মাল জোরপূর্বক তাঁদের জায়গার একটি গাছ কেটে নেয়। আর তা নিয়ে ওই দুই বোনের সঙ্গে বচসা হয়েছিল। সেই সময় তৃণমূল নেতা ওই দুই বোনকে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলেন। এই খুনের পিছনে ওই তৃণমূল নেতার বড় হাত রয়েছে বলে দাবি পরিবারের। পুলিশ ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেনি। মৃতের এক আত্মীয় প্রসেন মণ্ডল বলেন, তৃণমূল নেতার নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাই, পুলিশের ওপর আমাদের আস্থা নেই। প্রকৃত অভিযুক্ত (Trinamool Congress) এখন বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই, খুনের ঘটনার সিবিআই তদন্তের জন্য আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।

    আরও পড়ুন: গীতার গুরুত্ব বুঝিয়েছিলেন বিবেকানন্দ, সেই শিকাগোতে হল ১০ হাজার কণ্ঠে গীতাপাঠ

    তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    অভিযুক্ত তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা গৌরহরি মাল বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। যে জমি নিয়ে বিবাদের কথা বলা হচ্ছে, মৃত দুই বোনের বাবা বেঁচে থাকতে আমি এই জায়গা কিনেছি। কাগজে সমস্ত কিছু লেখা আছে, তবে রেজিস্ট্রি করা হয়নি। দীর্ঘ বহু বছর ধরে আমি তা দখলে রেখেছি। তাই, ওই জমি আমার নামে লিখে দেওয়া উচিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NEET-UG: নিট প্রশ্ন ফাঁসের ‘মাস্টারমাইন্ড’ শশী সহ আরও দুই ‘সলভার’ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে

    NEET-UG: নিট প্রশ্ন ফাঁসের ‘মাস্টারমাইন্ড’ শশী সহ আরও দুই ‘সলভার’ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিট (NEET-UG) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসকাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে এবার মাস্টারমাইন্ড। গতকাল শনিবার সিবিআই (CBI) এক বিটেক উত্তীর্ণ এবং দুই এমবিবিএস পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত হল প্রথম জন এবং বাকি দ্বিতীয়রা নিটের প্রশ্ন ফাঁসের ক্ষেত্রে সমাধানকারী বা সলভার হিসেবে ভূমিকা পালন করেছিল। সম্প্রতি ডাক্তারি প্রবেশিকার সর্ব ভারতীয় পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের কেলেঙ্কারিতে গোটা দেশ উত্তাল হয়ে গিয়েছিল।

    মাস্টার মাইন্ড শশী (NEET-UG)!

    সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ডাক্তারি পড়ুয়াদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা রাজস্থানের ভরত মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র। ধৃতরা হল কুমার মঙ্গলম বিষ্ণোই এবং দীপেন্দুর কুমার। টেকনিক্যাল সার্ভেল্যান্স টিম হাজারিবাগে ঘটনার দিন তাদের উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের (NEET-UG) মাস্টারমাইন্ড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বিটেক ছাত্র শশী কুমার পাসওয়ানকে। গোটা প্রশ্নপত্র ফাঁসকাণ্ডের কিংপিন হিসেবে অভিযুক্ত এই পড়ুয়া। ধৃত এই যুবক জামশেদপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে পড়াশুনা করত। এই শশী সম্পূর্ণ দুর্নীতিকাণ্ডের প্রধানচক্রী। ইতিমধ্যে তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসবাদ শুরু করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তদন্তকারী সংস্থা মোট গ্রেফতার করেছে ২১ জন অভিযুক্তকে।

    আরও পড়ুনঃ অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, নিরাপদে থাকতে ভারতে আসছেন বহু বাংলাদেশি

    ৫ মে হয়েছিল নিট পরীক্ষা

    ৫ মে সারা দেশে নিট ইজি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখে হাজারীবাগে দুই সলভার উপস্থিত থাকার প্রমাণ মিলেছে। জামশেদপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে বি টেক (ইলেক্ট্রিক্যাল) পাসআউট কুমার এবং রকির সঙ্গে এই শশীর কার্যকলাপের বিষয়ে যোগসূত্র উঠে এসেছে। তবে বিহার পুলিশ এই মামলার তদন্ত সিবিআইকে (CBI) হস্তান্তর করার পর গ্রেফতারি আরও বেড়েছে। সিবিআই আগেই পঙ্কজ কুমারকে গ্রেফতার করে ছিল, যিনি প্রশ্ন ফাঁসে করেছিলেন এবং রাজু সিং  নামক ব্যক্তি প্রক্রিয়ায় তাকে সাহায্য করেছিল। রকিকে অবশ্য আগেই এজেন্সি গ্রেফতার করেছে।

    নিট ইউজি, এনটিএ-এর মাধ্যমে এমবিবিএস, বিডিএস, এবং আয়ুষ অন্যান্য সম্পর্কিত কোর্সে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য প্রবেশিকার পরীক্ষা নিয়ে থাকে। এ বছর ৫ মে ৫৭১টি শহরের ৪ হাজার ৭৫০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা (NEET-UG) অনুষ্ঠিত হয়। ২৩ লাখেরও বেশি প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NEET-UG Paper Leak: নিটের প্রশ্নফাঁসের প্রভাব কতটা? প্রমাণ মিললে তবেই রি-টেস্ট, জানাল শীর্ষ আদালত

    NEET-UG Paper Leak: নিটের প্রশ্নফাঁসের প্রভাব কতটা? প্রমাণ মিললে তবেই রি-টেস্ট, জানাল শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে সংবাদ শিরোনামে রয়েছে নিটের প্রশ্ন ফাঁস (NEET-UG Paper Leak) দুর্নীতি। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় স্পষ্ট করে দিলেন যে, নিট পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের কারণে ব্যাপক পরিসরে প্রভাব পড়েছে বলে যদি কোনও পোক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়, একমাত্র সে ক্ষেত্রেই পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে।

    নিটকাণ্ডে সুপ্রিম রায় (Supreme Court) 

    ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস (NEET-UG Paper Leak) বিতর্কে পুনরায় পরীক্ষার দাবিতে ৪০টিরও বেশি আবেদন জমা পড়েছিল শীর্ষ আদালতে। যদিও প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি এনটিএ অস্বীকার করেছে ইতিমধ্যেই। তাঁদের দাবি, কোথাও কোনও প্রশ্নপত্র চুরি হয়নি। যদিও সিবিআই তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর ইতিমধ্যেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে একাধিকজনকে গ্রেফতার করেছে। সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে এক ইঞ্জিনিয়ারকেও। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সি শীর্ষ আদালতে দাবি করেছিল, প্রশ্নপত্র ফাঁস হলেও তা স্থানীয় এলাকাতেই ফাঁস হয়েছে। বড় পরিসরে ফাঁস হয়নি। আর সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) কার্যত এই বিষয়টিকেই গুরুত্ব দিয়েছে। 
    এ প্রসঙ্গে এদিন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “শুধুমাত্র ২৩ লাখ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ পরীক্ষার্থী ভর্তি হবেন, এই কারণে আমরা পুনরায় পরীক্ষার (NEET-UG Paper Leak) নির্দেশ দিতে পারি না। পুনরায় পরীক্ষা যদি নিতে হয়, তবে তার জন্য পোক্ত প্রমাণ থাকতে হবে যে, গোটা পরীক্ষা ব্যবস্থাতেই এর প্রভাব পড়েছে।”

    আরও পড়ুন: ফের ভূস্বর্গে গুলির লড়াই! জঙ্গি সংঘর্ষে ডোডায় আহত দুই সেনা

    নিটকাণ্ডে পটনার তিন চিকিৎসক আটক 

    অন্যদিকে নিটের প্রশ্ন ফাঁসের (NEET-UG Paper Leak) তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার ভোরে পটনা এমস হাসপাতালের তিন জন চিকিৎসককে আটক করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, তিন জনেই ২০২১ সালে চিকিৎসক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। পটনা এমসে এই তিন জনের ঘর সিল করে দিয়েছে সিবিআই। তাঁদের ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • Arvind Kejriwal: অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ, জানাল ইডি

    Arvind Kejriwal: অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ, জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও সংবাদ শিরোনামে আবগারি দুর্নীতি মামলা। এবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) এবং আম আদমি পার্টির (APP) বিরুদ্ধে আবগারি দুর্নীতি মামলা সংক্রান্ত তদন্ত সমাপ্ত করল ইডি। যদিও কেন্দ্রীয় সংস্থা এই তদন্ত সম্পূর্ণ হওয়ার কথা এখনও জানায়নি। ২২ মাস ধরে চলা এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ইডি (ED) মাত্র ২৪৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। একইসঙ্গে এই মামলায় যুক্ত ১৮ জন গ্রেফতার হয়েছে, এবং ৪০ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৮টি চার্জশিট এবং ৪ ডজনেরও বেশি অভিযান হয়েছে৷ 

    কী জানিয়েছে ইডি? (ED) 

    এ প্রসঙ্গে ইডির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) এবং আপের বিরুদ্ধে ৩৭ এবং ৩৮ অভিযুক্ত নম্বরের বিষয়ে আমাদের তদন্ত সম্পূর্ণ হয়েছে। আদালত আমাদের দাখিল করা আটটি চার্জশিটের সবকটি গ্রহন করেছে এবং সেই চার্জশিটের বেশিরভাগ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জামিন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।” যদিও এ বিষয়ে কেজরিওয়াল এবং আপ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং একইসঙ্গে এই গোটা ঘটনাকে তারা কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক তখনকার “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা” বলে অভিহিত করেছে।  

    আগে কী ঘটেছিল? (Arvind Kejriwal) 

    গত ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এর পর লোকসভা ভোটের সময়ে তাঁকে কিছু দিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার মেয়াদ শেষ হলে ২ জুন আবার তিহাড় জেলে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন কেজরি। এর মঝেই আবার আবগারি দুর্নীতিতে ইডি ১৭ মে কেজরিওয়াল এবং আপের বিরুদ্ধে দায়ের করা চার্জশিটে দাবি করেছে যে মুখ্যমন্ত্রী, তার তৎকালীন ডেপুটি মনীশ সিসোদিয়া এবং দলের প্রাক্তন মিডিয়া ইনচার্জ বিজয় নায়ার কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকার ঘুষ চেয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন: যোগী আদিত্যনাথের অধীনে উত্তরপ্রদেশ উন্নয়নের নতুন গল্প লিখছে, বললেন জেপি নাড্ডা

    এর পরে গত ২৫ জুন তিহাড়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পরে জেলবন্দি কেজরিকে (Arvind Kejriwal) রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের অনুমোদনে হেফাজতে নেয় আবগারি মামলার আর এক তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। ঘটনাচক্রে, সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে শুক্রবার। সিবিআই হেফাজতকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কেজরি রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে আবেদন জানালেও তা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। তারপর দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। এরপর অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ গত শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে। যদিও কেজরি এখন সিবিআই হেফাজতে থাকায় সেই মামলায় পৃথক ভাবে জামিন নিতে হবে তাঁকে। আগামী ১৭ জুলাই সেই মামলার শুনানি হবে দিল্লি হাই কোর্টে। তার আগে তিহাড় থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না কেজরি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jiban Krishna Saha: জামিনের পরেই বিপাকে তৃণমূল বিধায়ক! সিবিআইয়ের পরে এবার ইডির জালে জীবনকৃষ্ণ?

    Jiban Krishna Saha: জামিনের পরেই বিপাকে তৃণমূল বিধায়ক! সিবিআইয়ের পরে এবার ইডির জালে জীবনকৃষ্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও সংবাদ শিরোনামে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা (Recruitment Case)। সম্প্রতি জামিন পেয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত বড়ঞাঁর তৃণমূল বিধায়ক  জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। কিন্তু সিবিআই হেফাজত থেকে বেরতে না বেরতেই ফের কি ইডির জালে ফাঁসলেন তিনি? বর্তমানে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে। কারণ, জানা গিয়েছে, এ বার ‘বেআইনি আর্থিক লেনদেনে’র অভিযোগে ইডির ‘নিশানা’ হতে চলেছেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর স্ত্রীকে তলব করে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে একটি সূত্রের দাবি। তার পরেই দানা বেঁধেছে এই জল্পনা।

    ঠিক কী জানা গিয়েছে? (Jiban Krishna Saha)

    এ প্রসঙ্গে ইডির একটি সূত্র জানিয়েছে, জীবনকৃষ্ণের স্ত্রী টগরির সম্পত্তি নিয়ে ‘খোঁজখবরের’ সূত্রেই তাঁকে জি়জ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। ওই সূত্রের দাবি, এরপর জীবনকৃষ্ণকেও সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হতে পারে। জীবনকৃষ্ণের ‘পুকুরে ছুড়ে ফেলা মোবাইল’ থেকে যে তথ্য পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল বলে দাবি, তাতে ‘টাকা ফেরতের’ প্রসঙ্গ রয়েছে বলে জানিয়েছিল সিবিআই। সে ক্ষেত্রে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Case) টাকা লেনদেনের বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারে ইডি।

    আরও পড়ুন: চেয়েছিলেন পুত্রসন্তান, হল যমজ কন্যাসন্তান, দু’জনকেই খুন করে গ্রেফতার ‘কীর্তিমান’ পিতা

    এর আগে কী ঘটেছিল? (Recruitment Case)

    নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তদন্তে নেমে গত বছরের ১৪ এপ্রিল জীবনকৃষ্ণের (Jiban Krishna Saha) কান্দির বাড়িতে টানা তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। এরপর ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সেই থেকেই প্রায় ১৩ মাস জেলে কেটেছে তাঁর। অভিযোগ, গ্রেফতারের সময় নিজের দুটি মোবাইল বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ। এরপর বহু কষ্টে জল ছেঁচে সেই ফোন উদ্ধার করেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। 
    মোবাইল দু’টি থেকে বিভিন্ন তথ্য পুনরুদ্ধার করা হয় বলে পরে জানায় সিবিআই। যদিও জীবনকৃষ্ণ (Jiban Krishna Saha) মোবাইল পুকুরে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ স্বীকার করেননি। এবার সেই মোবাইল থেকে উদ্ধার হওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ফের ইডির নজরে পড়লেন জীবনকৃষ্ণ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share