Tag: cbi

cbi

  • Kalighater Kaku: ভোর রাতে জেল থেকে হাসপাতাল হয়ে নিজাম প্যালেসে ‘কালীঘাটের কাকু’, এবার চলবে জেরা

    Kalighater Kaku: ভোর রাতে জেল থেকে হাসপাতাল হয়ে নিজাম প্যালেসে ‘কালীঘাটের কাকু’, এবার চলবে জেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হল কালীঘাটের কাকুকে। এবার জেরার জন্য প্রস্তুত সিবিআই (CBI)। শিক্ষক নিয়োগ মামলায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত হেলন এই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Kalighater Kaku)। তবে যেহেতু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল, তাই চিকিৎসকদের যাবতীয় পরামর্শ মেনেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

    ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে থাকবেন সুজয় (Kalighater Kaku)

    জানা গিয়েছে, বুধবার ভোর রাতে নিয়মমতো খাবার এবং ওষুধ খেয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে গায়ে কালো রঙের সাল চাপিয়ে হুইল চেয়ারে বসে নিজাম প্যালেসে ঢুকেছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Kalighater Kaku)। এদিন সকালে ফের একবার তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় নিয়ম মেনে। অপর দিকে কালীঘাটের কাকুকে জেরা করার জন্য নথিপত্র নিয়ে পৌঁছে গিয়েছে সিবিআইয়ের অফিসাররা। আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সিবিআই (CBI) হেফাজতে থাকবেন সুজয়। যেহেতু হাতে সময় কম, তাই তড়িঘড়ি করে তদন্তে নেমে পড়েছে তদন্তকারী দল। শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত নানা প্রশ্ন এবং তথ্য জানার ছিল। এখনও অনেক প্রশ্ন বাকি রয়ে গিয়েছে। এবার সিবিআই সেই প্রশ্ন জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিল গেল যৌথ কমিটিতে, ৯০ দিনে সিদ্ধান্ত নেবেন ৩১ সাংসদ

    সিবিআই কী কী জিজ্ঞাসাবাদ করবে?

    সিবিআই (CBI) অফিসাররা যা জানতে চাইতে পারেন, তা হল, প্রাথমিক মামলায় যে কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে, কোন কোন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ওই টাকা পৌঁছেছে? মোট কতজন এজেন্ট টাকা তুলেছেন? তাঁদের কারা নিয়োগ করেছেন। কোন কোন জায়গা থেকে টাকা তোলা হয়েছে? তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গজুড়ে অযোগ্যদের কাছ থেকে টাকা তুলেছেন এজেন্টরা। আর সেই টাকা পৌঁছে দেওয়া হতো কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) কাছেই। তবে এখনও জানা যায়নি কালীঘাটের কাকুর কাছে যে টাকা আসত তা তিনি কোথায় দিতেন।

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক অজানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। তাই মঙ্গলবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকেই গ্রেফতার করা হয় কালীঘাটের কাকুকে। এরপর এই জেল থেকেই ভার্চুয়াল ভাবে আদলাতে পেশ করা হয়। বুধবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ তাঁকে জোকা ইএসআই হাসপাতাল থেকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: বিপদ বাড়ল ‘কালীঘাটের কাকু’র! সিবিআই মামলায় আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল হাইকোর্ট

    CBI: বিপদ বাড়ল ‘কালীঘাটের কাকু’র! সিবিআই মামলায় আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকুর’ আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সম্প্রতি ইডির মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। এরই মধ্যে সিবিআই (CBI) তাঁকে হেফাজতে নিতে চাইছে। এই অবস্থায় নতুন করে গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কায় হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানান সুজয়কৃষ্ণ। সোমবার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্টের বিচারক জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ।

    সিবিআইয়ের আইনজীবী কী বললেন?(CBI)

    নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইডি এবং সিবিআই (CBI) উভয় কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত চালাচ্ছে। প্রাথমিকের নিয়োগ মামলায় ইডিই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। সোমবার নিম্ন আদালতে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত ইডির মামলার শুনানি হয়েছে। সিবিআইয়ের মামলায় আগে অসুস্থতার কারণে সুজয়কৃষ্ণ আদালতে উপস্থিত না থাকলেও, ইডির মামলায় ভার্চুয়ালি হাজিরা দেন। জেল হাসপাতালের বিছানা থেকে লাল কম্বল গায়ে, মাথায় মাফলার জড়িয়ে ভার্চুয়াল হাজিরা দেন তিনি। সিবিআইয়ের আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে নিম্ন আদালত থেকে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে। যার অর্থ, তাঁকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফলে তাঁকে যে কোনও মুহূর্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে।

    কেন সুজয়কৃষ্ণকে হেফাজতে নেওয়া হয়নি? প্রশ্ন বিচারপতির

    বিচারপতি বাগচি জানান, সিবিআই (CBI) গ্রেফতার করলে অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করতে হবে। তা কেন সম্ভব হয়নি, জানতে চান বিচারপতি। গ্রেফতারের জন্য যে আইনি কাজগুলি করা দরকার, সেগুলি করা হয়েছে কি না, সে বিষয়েও আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন তিনি। সিবিআইয়ের আইনজীবীকে বিচারপতির প্রশ্ন, কেন অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়া হয়নি। বিচারপতি বাগচির মন্তব্য, যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়, তবে জামিন পাওয়ার অধিকার থাকবে। সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, সুজয়কৃষ্ণ হাসপাতালে ছিলেন বলে তাঁকে গ্রেফতার করা যায়নি। জেল সুপার তাঁদের জানিয়েছিলেন, অভিযুক্ত সেই অবস্থায় নেই। বর্তমানে যেহেতু প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি হয়ে গিয়েছে এবং অভিযুক্তকে যে কোনও মুহূর্তে হেফাজতে নেওয়া যায়, তাই আগাম জামিনের আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী। সে ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে জামিনের আবেদন করা প্রয়োজন বলে মত তাঁর।

    সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী কী বললেন?

    সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায় জানান, ওই প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট এখনও কার্যকর হয়নি। তাই আগাম জামিনের আবেদন করা যেতেই পারে। হেফাজতে নেওয়ার জন্য শুধু নোটিশ জারি করা হয়েছে। তবে গ্রেফতার করা হয়নি বলেই জানান আইনজীবী। তবে শেষ পর্যন্ত ওই আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: কয়লা কাণ্ডে চার্জ গঠন, সিবিআই আদালতে হাজির মূল অভিযুক্ত লালা সহ ৪৮

    CBI: কয়লা কাণ্ডে চার্জ গঠন, সিবিআই আদালতে হাজির মূল অভিযুক্ত লালা সহ ৪৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নানা কারণে বেশ কয়েকবার পিছিয়ে যাওয়ার পরে, শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার আসানসোল সিবিআই (CBI) আদালতে কয়লা পাচার (Coal Smuggling) মামলার চার্জ গঠন হল। মঙ্গলবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে অনুপ মাজি ওরফে লালা-সহ মোট ৪৮ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়। গত ২৫ নভেম্বর বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই মতো এই মামলায় চার্জশিটে নাম থাকা সব অভিযুক্তই এদিন সশরীরে আদালতে হাজির ছিলেন। জেলে থাকা বিকাশ মিশ্র ভার্চুয়ালি হাজিরা দেন। এছাড়াও আরও দুজন এদিন ভার্চুয়ালি শুনানিতে অংশ নেন।

    কী হল আদালতে? (CBI)

    কয়লা পাচার মামলায় সিবিআই (CBI) মোট তিনটি চার্জশিট আসানসোল সিবিআই আদালতে জমা দিয়েছে। তাতে ৫০ জনের নাম আছে। তার মধ্যে অন্যতম অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র এখনও ফেরার। তাঁকে সিবিআই ধরতে না পারায়, চার্জশিটে পলাতক দেখানো হয়েছে। শুনানি চলাকালীন একজন মারা গিয়েছেন। যে কারণে সিবিআইয়ের মোট ৪৮ জনের নামে চার্জ গঠন করার কথা। ইতিমধ্যেই চার্জ গঠনের প্রক্রিয়ায় কার বিরুদ্ধে কোন ধারা দেওয়া হয়েছে তা আদালতে জানিয়েছে সিবিআই। এই ৪৮ জনের মধ্যে ব্যক্তিগত বা ইনডিভিজুয়াল তিনজনের নামে চার্জ গঠনের কথা বলা হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল এই বিকাশ মিশ্র। বাকি দুজন হল অনুপ মাজি ওরফে লালা ও রত্নেশ্বর ভার্মা ওরফে রত্নেশ।

    পরবর্তী শুনানি কবে?

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, চার্জ গঠনের (CBI) প্রক্রিয়াকে মোট পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটিতে রয়েছে লালা, রত্নেশ ভার্মা এবং বিকাশের নাম। এই তিন জনের বিচারপ্রক্রিয়া আলাদা ভাবে হবে। কারণ, কয়লা পাচার মামলায় যত অভিযোগ উঠেছে, তার সব ক’টিতেই ওই তিন জনের যোগ রয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের মধ্যে কেউ কোলিয়ারির ম্যানেজার, কেউ নিরাপত্তারক্ষী, কেউ বা আবার স্থানীয় দোকানদার। চার্জশিটে সিবিআই দাবি করে যে, অভিযুক্তরা প্রায় ৩১ লক্ষ মেট্রিক টন কয়লা চুরি এবং পাচার করেন। এর ফলে সরকারের ১৩৪০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয় বলে জানানো হয়। ২০১৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এই চুরি এবং পাচারের ঘটনা ঘটে বলে জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন সওয়াল-জবাব শেষে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী জানিয়ে দেন এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২০২৫ সালের ২১ জানুয়ারি। সেদিন থেকে এই মামলার ট্রায়াল শুরু হবে। ওইদিন সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য দুই সাক্ষীকে সিবিআই আদালতে ডাকা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: মোহভঙ্গ! ‘ইন্ডি জোট’-কে না অরবিন্দ কেজরিওয়ালের, বিধানসভায় একক ভাবে লড়বে আপ

    Arvind Kejriwal: মোহভঙ্গ! ‘ইন্ডি জোট’-কে না অরবিন্দ কেজরিওয়ালের, বিধানসভায় একক ভাবে লড়বে আপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ইন্ডি জোট’-কে না করে দিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত একাই লড়বে তাঁর দল আম আদমি পার্টি (APP)। উল্লেখ্য ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নির্বাচনে লড়াই করেছিল আরবিন্দের দল। কিন্তু একটি আসনেও জয় পায়নি এই ‘ইন্ডি জোট’। তাই এবার বিধানসভা নির্বাচনে একাই সব আসনে প্রার্থী দিয়ে ভোটে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ফলে দিল্লিতে যে মোদি বিরোধী ‘ইন্ডি জোট’ নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা খেয়েছে, তা বলা বাহুল্য।

    “আপ কোনও জোটে থাকবে না” (Arvind Kejriwal)

    আগামী বছরের শুরুতেই হবে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। মনে করা হচ্ছে ফেব্রুয়ারির আগেই ভোটগ্রহণ হতে পারে। এখন দিল্লিতে রাজনৈতিক শোরগোল। একাধিক দলের নেতাদের দল বদলের পালা শুরু হয়ে গিয়েছে। ঠিক এর মধ্যেই রবিবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে আপ কোনও জোটে থাকবে না। একা লড়াই করবে।” উল্লেখ্য পঞ্জাব, হরিয়ানা, গুজরাট বিধানসভায় একক ভাবে নির্বাচনে লড়াই করতে দেখা গিয়েছিল আপকে (APP)।

    আরও পড়ুনঃ সর্বকনিষ্ঠ সভাপতি হিসেবে আইসিসি-র চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন জয় শাহ

    দুর্নীতিগ্রস্থ আরবিন্দ!

    উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। কিন্তু তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেননি। পদে থাকাকালীন এভাবে গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা বেনজির। দীর্ঘদিন ছিলেন জেলে। জুন মাসে তাঁকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ করেছিল সিবিআই। পরবর্তী সময়ে দুই মামলা থেকে জামিন পেয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট জামিনের সময় স্পষ্ট করে বলেছিল, কোনও ভাবেই সরকারি দফতরে যেতে পারবেন না, সরকারি কাগজেও সই করতে পারবেন না। বেগতিক বুঝে ইস্তফা দেন। নতুন মুখ্যমন্ত্রী হন অতিশী। তবে আগামী নির্বাচনে কংগ্রেস-ইন্ডি জোটের হয়ে লড়াই করবেন না বলে এদিন জানিয়েছে আপ (APP)। ২০২০ সালে দিল্লির বিধানসভা ভোটে ৭০টি আসনের মধ্যে ৬২টিতে জয়ী হয় আপ। কংগ্রেস ১টি আসনও পায়নি। বিজেপির আসন ছিল মাত্র ৮টি। ২০২৫-এর ভোটে সেই সাফল্য ধরে রাখাই আপ-এর এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।এ 

  • NIA: লস্কর জঙ্গি সলমন রহমনকে আফ্রিকা থেকে ভারতে ফেরাল এনআইএ, রয়েছে পাকিস্তান যোগ

    NIA: লস্কর জঙ্গি সলমন রহমনকে আফ্রিকা থেকে ভারতে ফেরাল এনআইএ, রয়েছে পাকিস্তান যোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সলমন রহমন খানকে ভারতে ফেরাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা বজায় রেখে তাকে আফ্রিকার রোয়ান্ডা থেকে ভারতে আনা হয়েছে। যৌথভাবে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেছে ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA) এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। এ কাজে সাহায্য করে ইন্টারপোলও।

    ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে? (NIA)

    পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈবার মদতে বেঙ্গালুরুতে নাশকতার কাজে যুক্ত ছিল সলমন। বেঙ্গালুরুতে (NIA) বিশাল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের পর তার নাম উঠে আসে। তদন্তে নেমে জানা যায়, টি নাসির নামে এক লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি, যে যাবজ্জীবনের সাজা কাটার জন্য ওই সংশোধনাগারে বন্দি, সে-ই আবাসিকদের মধ্যে জঙ্গি প্রচার চালানোর ষড়যন্ত্র করেছিল। এনআইএ-র দাবি, একটি পকসো মামলায় বেঙ্গালুরু কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি ছিল সলমন রহমান খানও। সেখানে সে নাসিরের সংস্পর্শ আসে। পরে নাসিরের নির্দেশে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য বিস্ফোরক ও অস্ত্র হামলাকারীদের মধ্যে বিতরণের দায়িত্ব নেয়। বেঙ্গালুরুতে অস্ত্র সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত ছিল সে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর সংশোধনাগারে মৌলবাদী ভাবধারা প্রচার এবং মৌলবাদীদের নিয়োগের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ রয়েছে। পারাপ্পানা অগ্রহর সেন্ট্রাল প্রিজন অর্থাৎ জেল থেকে সাতটি পিস্তল, চারটি হ্যান্ড গ্রেনেড, একটি ম্যাগাজিন ও ৪৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছিল। চারটি ওয়াকিটকিও উদ্ধার হয় সেসময়। তারপরই অস্ত্র সরবরাহ-সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালে এনআইএ-র অপরাধী তালিকায় যুক্ত হয় তার নাম। অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়। তার খোঁজে তল্লাশি চলছিলই।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র, আজ সংসদে বিবৃতি দেবেন জয়শঙ্কর

    এনআইএ কী জানাল?

    এই ইস্যুতে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনআইএ-এর (NIA) তরফে জানানো হয়েছে – ‘‘বেঙ্গালুরু কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে সন্ত্রাসী মৌলবাদী ভাবধারার প্রচার এবং সন্ত্রাস চালানোর জন্য পরবর্তীতে মৌলবাদীদের নিয়োগ সংক্রান্ত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত সলমনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে এনআইএ। এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করেছে রোয়ান্ডা ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (আরআইবি), ইন্টারপোল এবং ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)। ওই ব্যক্তিকে ২৭ নভেম্বর হেফাজতে নেওয়া হয় এবং পরে তাকে ভারতে নিয়ে আসা হয়।’’ এনআইএ-র তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ‘‘২০২০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও না কোনও গুরুতর মামলায় যুক্ত মোট ১৭ জন অভিযুক্ত সন্ত্রাসবাদীকে অন্য কোনও দেশ থেকে ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে।’’

    জঙ্গি গ্রেফতার প্রসঙ্গে কী বলল সিবিআই?

    সিবিআই-এর পক্ষ থেকেও আলাদা একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, ‘‘এনআইএ-র অনুরোধ অনুসারে গত ২ অগাস্ট সিবিআই-এর পক্ষ থেকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে সলমন খানের (Militant) নামে একটি রেড নোটিশ জারি করা হয়। ওই ওয়ান্টেড অপরাধীকে শনাক্ত করতে সারা বিশ্বের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলিকে সেই অ্যালার্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শেষমেশ রোয়ান্ডায় সলমন রহমান খানের হদিশ পাওয়া যায়। এরপরই সিবিআই-এর তরফ থেকে রোয়ান্ডার রাজধানী এবং সবথেকে বড় শহর কিগালিতে অবস্থিত ইন্টারপোল-এর ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর কাছে সলমন খানকে ধরার জন্য সাহায্য চাওয়া হয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi Citizenship Row: রাহুল গান্ধী ব্রিটিশ নাগরিক! ভারতীয় নাগরিকত্ব খারিজের দাবি, তদন্তে সিবিআই

    Rahul Gandhi Citizenship Row: রাহুল গান্ধী ব্রিটিশ নাগরিক! ভারতীয় নাগরিকত্ব খারিজের দাবি, তদন্তে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী ব্রিটিশ নাগরিক (Rahul Gandhi Citizenship Row)! আজ্ঞে হ্যাঁ। এমনই দাবি করেছেন কর্নাটকের বাসিন্দা এস ভিগনেশ শিশির। তাঁর দাবি, রাহুলের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব রয়েছে। এলাহাবাদ হাইকোর্টে তিনি রাহুলের নাগরিকত্ব বাতিলের দাবিতে পিটিশনও দাখিল করেছেন। এই পিটিশনের ভিত্তিতেই আদালতের (Delhi HC) তরফে সরকারের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    সিবিআই তদন্ত শুরু (Rahul Gandhi Citizenship Row)

    এদিকে, রাহুলের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। মামলাটি এলাহাবাদ হাইকোর্টে বিচারাধীন একটি জনস্বার্থ মামলা (PIL) থেকে উদ্ভূত। প্রধান বিচারপতি মনমোহন ও বিচারপতি তুষার রাও গেদেলার সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ জানিয়েছে, তারা পরস্পরবিরোধী নির্দেশ দেওয়া এড়াতে চান। একই বিষয়ে দুটি সমান্তরাল আবেদন থাকা উচিত নয় বলেও মনে করেন তাঁরা। বেঞ্চ শিশিরকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে তাঁর জনস্বার্থ মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে একটি হলফনামা দাখিল করার অনুমতি দিয়েছে।

    ভারতীয় নাগরিকত্ব বাতিলের দাবি

    দিল্লি হাইকোর্টে বিচারাধীন মামলাটি বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর একটি আবেদন সংক্রান্ত। এই আবেদনে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে তাঁর প্রতিনিধিত্বের জবাব দিতে অনুরোধ করেছেন। রাহুল গান্ধীর ভারতীয় নাগরিকত্ব (Rahul Gandhi Citizenship Row) বাতিলের দাবিও জানানো হয়েছে। স্বামী তাঁর অভিযোগের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছ থেকে একটি স্ট্যাটাস রিপোর্টও চেয়েছেন। প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধী লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা।

    আরও পড়ুন: হিন্দুদের প্রতিবাদ সভায় হামলা পুলিশের, রণক্ষেত্র বাংলাদেশ

    সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর দাবি, এলাহাবাদ হাইকোর্টে বিচারাধীন মামলাটি তাঁর আবেদনের থেকে আলাদা। কারণ বিষয়বস্তু ভিন্ন। যদিও শিশির এই দাবি অস্বীকার করে বলেন, “স্বামীর আবেদনটি ডুপ্লিকেটিভ এবং প্যারালাল প্রোসিডিংস।” শিশির বলেন, “আমি এলাহাবাদ হাইকোর্ট মামলার আবেদনকারী। মামলার শুনানি হয়েছে ২৪ অক্টোবর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আমার রিপ্রেজেন্টেশনের বিষয়ে নির্দেশ পেয়েছে। আমি সিবিআইয়ের সামনে হাজির হয়ে গোপনীয় প্রমাণ জমা দিয়েছি। আমি দিল্লি হাইকোর্টেও আমার আপত্তিগুলি জানিয়েছি।”

    আবেদনকারীর দাবি, একই সঙ্গে দুই দেশের নাগরিকত্ব রাখতে পারেন না রাহুল। তাঁর কাছে তথ্য রয়েছে (Delhi HC), ব্রিটেনের নাগরিকত্বের রেকর্ডে রাহুলের নাম রয়েছে। ব্রিটিশ সরকারও তা নিশ্চিত করেছে। যাবতীয় তথ্য এলাহাবাদ হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে (Rahul Gandhi Citizenship Row)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ সন্তুকে গ্রেফতার করল সিবিআই, তলব সুজয়কৃষ্ণ-শান্তনুকে

    CBI: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ সন্তুকে গ্রেফতার করল সিবিআই, তলব সুজয়কৃষ্ণ-শান্তনুকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করল সিবিআই। বিভিন্ন সময়ে এই সন্তুর কাছেই নাকি জমা পড়েছে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) কোটি কোটি টাকা! তিনি এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। অন্যদিকে, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে আদালতে হাজির করানোর জন্য আবেদন করল সিবিআই (CBI)। একই সঙ্গে হুগলির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আদালতে হাজির করানোর আবেদন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সিবিআই বিশেষ আদালতে তাঁদের হাজির করানো হবে।

    কে এই সন্তু? (CBI)

    সন্তু (CBI) রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থর বিধানসভা এলাকা বেহালার বাসিন্দা। একটা সময়ে তৃণমূলের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। অভিযোগ, সন্তুর সঙ্গে হুগলির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নিয়োগকাণ্ডে অভিযুক্ত হুগলির ব্যবসায়ী অয়ন শীলদেরও যোগাযোগ ছিল। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে একাধিক বার সন্তুর নাম উঠে এসেছে। তল্লাশি চালানো হয়েছে তাঁর বাড়িতেও। জেরায় ইডির কাছে অয়ন স্বীকার করেন, পার্থের ঘনিষ্ঠ সন্তুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর। অয়ন আরও জানান, ২০১২ এবং ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়োগের জন্য ৪৫ কোটি টাকা তাঁকে দিয়েছিলেন বিভিন্ন জেলার এজেন্টরা। এর মধ্যে ২৬ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা অয়ন দিয়েছিলেন বেহালার সন্তুকে। কুন্তলই তাঁকে বলেছিলেন ওই টাকা সন্তুকে দিতে। জেরায় ইডিকে একই কথা জানান শান্তনুও। শুধু তা-ই নয়, শান্তনু এ-ও দাবি করেন, বেহালার সন্তু এবং হুগলির কুন্তল- দু’জনেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। অয়ন এবং পার্থর মধ্যে তাঁরা সেতু হিসেবে কাজ করতেন। পৌঁছে দিতেন চাকরি প্রার্থীদের অর্থ।

    আরও পড়ুন: চিটফান্ডকাণ্ডে ফের সক্রিয় ইডি, কলকাতার নিউ আলিপুর, জোকায় চলছে অভিযান

    সুজয়কৃষ্ণ-শান্তনুকে তলব

    চলতি বছরের এপ্রিল মাসে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি সুজয়কৃষ্ণকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েছিল সিবিআইয়ের (CBI) একটি দল। কাকু ছাড়াও নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়া শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। সোমবার আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের দাবি, নিয়োগকাণ্ডের তদন্ত এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিয়েছে। তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে, কাকু এবং শান্তনুকে জেরা করে এই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সূত্র পাওয়া যেতে পারে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যই হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে সিবিআই। সোমবার সেই আবেদন গৃহীত হয়েছে সিবিআই বিশেষ আদালতে। সেই মতো কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে এবং হুগলির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আদালতে হাজির করানোর আবেদন করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bikash Mishra: পকসো মামলায় গ্রেফতার বিকাশ মিশ্র, কয়লাকাণ্ডে চার্জ গঠন ‘বেলাইন’ করতেই কি?

    Bikash Mishra: পকসো মামলায় গ্রেফতার বিকাশ মিশ্র, কয়লাকাণ্ডে চার্জ গঠন ‘বেলাইন’ করতেই কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা ও গরু পাচার মামলায় (Coal Smuggling Case) সিবিআই গ্রেফতার করেছিল বিকাশ মিশ্রকে (Bikash Mishra)। পরে, জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি। প্রতি সপ্তাহে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন। এরই মধ্যে এবার এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে বিকাশ মিশ্রর বিরুদ্ধে। এরপরই কালীঘাট থানার পুলিশ গ্রেফতার করে তাঁকে। বিকাশের গ্রেফতারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। মূলত, সোমবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতে কয়লা পাচার মামলায় চার্জ গঠন হওয়ার কথা। সেই মামলার চার্জ গঠন বেলাইন করতেই কি বিকাশকে গ্রেফতার করার কৌশল মমতার পুলিশের? জোর চর্চা শুরু রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। 

    কে এই বিকাশ মিশ্র? (Bikash Mishra)

    কয়লা পাচার কাণ্ডের (Coal Smuggling Case) অন্যতম পাণ্ডা হিসেবে অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র। তাঁরই ভাই বিকাশ মিশ্র (Bikash Mishra)। বিনয় এখন দেশ থেকে পলাতক। শোনা যায়, সম্ভবত মধ্যপ্রাচেয়র কোনও দেশে আছেন তিনি। এদিকে বিকাশকে কয়লা ও গরু পাচারের দুই মামলাতে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। দীর্ঘদিন আসানসোল সংশোধনাগারে ছিলেন। পরে জামিন পেলেও প্রতি সপ্তাহে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে যেতে হয় তাঁকে। আসানসোলে কয়লা পাচার চক্রের অন্যতম মাথা মনে করা হয় বিকাশকে।

    আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে ৬৫ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত আসনে লক্ষাধিক ভোটে জয়ী বিজেপির হিন্দু প্রার্থী

    কেন গ্রেফতার?

    বিকাশের (Bikash Mishra) বিরুদ্ধে তাঁর দাদার নাবালিকা মেয়েকে যৌন হেনস্থা সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে। আর সেই অভিযোগ করেছেন তাঁর বউদি তথা বিনয় মিশ্রর স্ত্রী। তবে, এটা প্রকাশ্যে আসলেও পুলিশের অতি সক্রিয় হয়ে তাঁকে গ্রেফতার করার পিছনে অন্য কারণ রয়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। সোমবারই আসানসোলের বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতে কয়লা পাচার মামলায় (Coal Smuggling Case) চার্জ গঠন হওয়ার কথা। কিন্তু, রবিবার পকসো মামলায় কলকাতা পুলিশের হাতে কয়লাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্র গ্রেফতার হওয়ার পর এদিন চার্জ গঠন হবে কিনা সে নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গত ১৮ নভেম্বর এই মামলায় শেষ সওয়াল জবাব হওয়ার পর বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী ২৫ নভেম্বর চার্জ গঠনের দিন নির্ধারণ করেন। কয়লা মামলার অভিযুক্ত লালা (অনুপ মাজি) জয়দেব মণ্ডলসহ সকলকে এই দিনে সশরীরে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন। তার আগে, রবিবার বিকাশ মিশ্রর (Bikash Mishra) গ্রেফতারিতে চার্জ গঠন নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। 

    বিকাশের হাজিরা নিয়ে কী নির্দেশ দিল সিবিআই আদালত

    বিকাশ মিশ্র গ্রেফতার হওয়ায় সোমবার কয়লা পাচার মামলায় (Coal Smuggling Case) তাঁকে এদিন ভার্চুয়ালি পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালত। জেল বা থানা, বিকাশ যেখানেই থাকুন, সেখান থেকে ভার্চুয়ালি হাজিরা দিতে হবে বলে নির্দেশ দিলেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। আসানসোল সিবিআই আদালত থেকে বিকাশের ভার্চুয়াল হাজিরার জন্য প্রেসিডেন্সি জেলে মেল পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    ‘মুখ খুললে সরকার পড়ে যাবে

    বিনয় মিশ্রকে এ দিন আলিপুর আদালতে তোলা হয়। আদালত থেকে বেরনোর সময় প্রিজন ভ্যানে উঠতে-উঠতে বিকাশ বলেন, ‘‘আমাকে মারার চক্রান্ত হচ্ছে। আমি মুখ খুললে সরকার পড়ে যাবে।’’ বিকাশের আইনজীবী জানিয়েছেন, পুলিশের হেফাজতে থাকলে আমার মক্কেলের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে সরকারি তরফের আইনজীবীর দাবি, বিকাশ বাইরেই ছিল। তার কোথাও নিরাপত্তার বিঘ্ন হয়নি।

    এখানেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিরোধীরা। তাঁঁদের আরও আশঙ্কা, বিকাশ (Bikash Mishra) শাসক দলের এমন কিছু তথ্য জানে যা প্রকাশ্যে আসলে সরকারকে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে। সিবিআই (CBI) দফতরে তাঁকে হাজিরা দিতে হয়। সেটা আটকাতে এই কৌশল কি না তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। অতীতে, অনুব্রত মণ্ডলের সময়েও পুলিশ এরকম সক্রিয় হয়েছিল। তাছাড়া সিবিআইয়ের (Coal Smuggling Case) কাছে তিনি সব তথ্য ফাঁস করে দিলেন কি না তা তার নজরদারি করতেই হয়ত এই গ্রেফতার, মনে করছে বিরোধী-মহল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra Bitcoin Scam: ‘জড়িত’ পাওয়ার-কন্যা! মহারাষ্ট্রে বিটকয়েন কেলেঙ্কারি মামলার তদন্ত শুরু সিবিআইয়ের

    Maharashtra Bitcoin Scam: ‘জড়িত’ পাওয়ার-কন্যা! মহারাষ্ট্রে বিটকয়েন কেলেঙ্কারি মামলার তদন্ত শুরু সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে বিটকয়েন কেলেঙ্কারি (Maharashtra Bitcoin Scam) মামলার তদন্ত শুরু করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, অমিত ভরদ্বাজ ও আমন ভরদ্বাজ-সহ ছ’জন অভিযুক্তের নামে বুধবার দায়ের হয়েছে এফআইআর। তার ভিত্তিতেই শুরু হয়েছে তদন্ত।

    নাম জড়িয়েছে পাওয়ার-কন্যার (Maharashtra Bitcoin Scam)

    রবীন্দ্রনাথ পাটিল নামে অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ অফিসারের অভিযোগ, এনসিপি প্রতিষ্ঠাতা শরদ পাওয়ারের মেয়ে সাংসদ সুপ্রিয়া সুলের সঙ্গে ২০১৮ সালের ক্রিপ্টোকারেন্সি সংক্রান্ত ওই কেলেঙ্কারিতে জড়িত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলে। ওই কেলেঙ্কারিতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথকে। যদিও সুপ্রিয়া এবং নানা দুজনেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

    ছ’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

    জানা গিয়েছে, দুই ভরদ্বাজ-সহ মোট ছ’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে সিবিআই। অভিযোগ, তারা ৮০ হাজার বিটকয়েন সংগ্রহ করেছে। বিদেশে সম্পত্তি কেনার জন্য ৬ হাজার ৬০৬ কোটি টাকার তহবিল সরিয়ে নিয়েছে ন’টি বিদেশি সংস্থার মাধ্যমে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আগেই মৃত্যু হয়েছে অমিতের। অজয় পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে একাধিক সংস্থা। গৌরব মেহতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে (Maharashtra Bitcoin Scam) সিবিআই।

    এফআইআর দায়ের হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বিটকয়েন লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় রায়পুরে গৌরব মেহতার বাসভবনে তল্লাশিও চালিয়েছে। উল্লেখ্য, অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনের আওতায় হচ্ছে তদন্ত।

    আরও পড়ুন: নিজ্জর হত্যা নিয়ে ‘মানহানিকর প্রচার’, কানাডাকে কড়া জবাব ভারতের

    অভিযোগ অনুযায়ী, অভিযুক্তরা মাল্টি-লেভেল-মার্কেটিং (MLM) স্কিম চালিয়ে ২০১৭ সালে প্রায় ৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বিটকয়েনের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছিল। তারা মাসিক ১০ শতাংশ লাভের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করেছিল। বিটকয়েন একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি। এটি স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয়। বিশ্বব্যাপী কোনও কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয় এটি।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই এ সংক্রান্ত একটি টেলিফোনিক কনভার্সেশন ছড়িয়ে পড়েছে। বিজেপির অভিযোগ, তাতে সুপ্রিয়া ও পাটোলের গলা শোনা যাচ্ছে। যদিও সুলে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সিবিআই সূত্রে খবর, বিটকয়েন সংক্রান্ত ওই মামলায় যোগ থাকার তথ্য রয়েছে একটি সংস্থার বিরুদ্ধে। ওই সংস্থার আধিকারিক গৌরব মেহতাকে তলব করা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য (Maharashtra Bitcoin Scam)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • CBI: কয়লা পাচার মামলার চার্জ গঠন ২৫ তারিখ, প্রক্রিয়া শুরু হল আসানসোল সিবিআই আদালতে

    CBI: কয়লা পাচার মামলার চার্জ গঠন ২৫ তারিখ, প্রক্রিয়া শুরু হল আসানসোল সিবিআই আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার (Coal Smuggling) মামলায় চার্জ গঠনের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার সিবিআই (CBI) আদালতে চার্জ গঠনের প্রস্তাব দিলেন সিবিআই আইনজীবী রাকেশ কুমার। নির্দিষ্ট মামলা ও ধারা সহ প্রস্তাব গ্রহণ করেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। এর আগে গত ৩ জুলাই কয়লা পাচার মামলার চার্জ গঠনের দিন ধার্য হয়েছিল। অভিযুক্ত ও একাধিক সাক্ষী আদালতে অনুপস্থিত থাকায় ওইদিন চার্জ গঠন হয়নি। তারপরেই বিচারক ৯ অগাস্ট দিন ধার্য করেছিলেন। সেবার আদালতে কর্মবিরতি থাকায় চার্জ গঠন হয়নি। এরপর ৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য হয়। সেদিন দুটি সংস্থার বা কোম্পানির জটিলতা থাকায় চার্জ গঠন হয়নি। তারপরেই ১৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেন সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। ১৪ নভেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার শুরু হয় চার্জ গঠনের (Coal Smuggling) প্রাথমিক প্রক্রিয়া।

    আদালতে কী হল? (CBI)

    এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ শুনানি শুরু হয় আসানসোল সিবিআই আদালতে। সেখানে সিবিআইয়ের আইনজীবি রাকেশ কুমার চার্জ গঠনের আবেদন জানান। বিচারপতি রাজেশ চক্রবর্তী সিবিআইয়ের আইনজীবির কাছে জানতে চান কোন কোন ধারায় কাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। তখন রাকেশ কুমার বলেন, পাবলিক সারভেন্ট বা সরকারের ১২ জন ইসিএল কর্মী, কোম্পানির ১০ ও ইনডিভিজুয়াল বা ব্যক্তিগত ভাবে ২৭ জনের নামে মোট তিনটি ভাগে বিভিন্ন ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। যদিও বেশ কয়েকটি ধারাকে চ্যালেঞ্জ করেন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা। তাঁরা তাঁদের স্বপক্ষে বক্তব্য রাখার জন্য সময় চাইলে বিচারক আগামী সোমবার ১৮ নভেম্বর তাঁদের বক্তব্য রাখার দিন ধার্য করেন। আশা করা হচ্ছে, সেই (Coal Smuggling) শুনানির পরে কয়লা পাচার মামলায় বহু চর্চিত চার্জ গঠনের অন্য একটি দিন ঠিক করা হবে। বিচারক জানিয়েছেন, আগামী ২৫ তারিখ চার্জ গঠন করা হবে।

    আরও পড়ুন: প্ররোচনা দিয়ে করা হয়েছিল খ্রিস্টান, ফের সনাতন ধর্মে ফিরলেন প্রায় ১৫০ হিন্দু

    তিনটি চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই

    কয়লা পাচার মামলায় মূল কিংপিন অনুপ মাজি ওরফে লালা, রত্নেশ ভর্মা ও বিকাশ মিশ্রর বিরুদ্ধে আলাদা করে বিশেষ কিছু ধারা যোগ করা মামলায় চার্জ দেওয়া হয়। সিবিআইয়ের (CBI) এই মামলায় ৩৯৬ জন সাক্ষী রয়েছেন। মামলায় অভিযুক্ত ৫০ জন। প্রত্যেকের জন্য রয়েছে ২৫ হাজার পাতার নথি। রয়েছে ১১৪৯ পাতার তথ্যপ্রমাণ। এই মামলায় সিবিআই মোট তিনটি চার্জশিট জমা দিয়েছে। এই মামলায় মোট ৫০ জন অভিযুক্ত রয়েছেন। এর মধ্যে বিনয় মিশ্র ফেরার। এক ইসিএল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ ৪৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হবে। এদিন ৪৮ জনের মধ্যে ৪৬ জন উপস্থিত ছিলেন।

    অভিযুক্তদের আইনজীবী কী বললেন?

    অভিযুক্তদের তরফে তিন আইনজীবী শেখর কুণ্ডু, সোমনাথ চট্টরাজ ও অভিষেক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আগামী সোমবার আমরা আমাদের বক্তব্য রাখব। সিবিআইয়ের (CBI) তরফে বেশ কিছু ধারা দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে আমাদের আপত্তি আছে। আমরা সেটাই বলব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share