Tag: cbi

cbi

  • Sandeshkhali: ‘‘আমরা পুলিশকে বলিনি যে, গ্রেফতার করা যাবে না’’, শাহজাহান ইস্যুতে জানাল হাইকোর্ট

    Sandeshkhali: ‘‘আমরা পুলিশকে বলিনি যে, গ্রেফতার করা যাবে না’’, শাহজাহান ইস্যুতে জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারবে রাজ্য পুলিশ। কোনও স্থগিতাদেশ তাতে দেওয়া হয়নি। সোমবারই এ কথা জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। প্রধান বিচারপতির এদিনের মন্তব্য এটাও সামনে আনল যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারি সম্পর্কে এতদিন যা বলেছিলেন, তা একেবারেই মিথ্যা। প্রধান বিচারপতির নিজের ভাষায়, ‘‘স্পষ্টভাবে বলছি, পুলিশকে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ইডির মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। আমরা পুলিশকে বলিনি যে, গ্রেফতার করা যাবে না।’’

    নোটিশ জারি হবে শাহজাহানের নামে

    সোমবারই প্রধান বিচারপতি শাহজাহানকে মামলায় যুক্ত করে নোটিশ জারি করার নির্দেশ দিয়েছেন। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে এবিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই নির্দেশ (Sandeshkhali) অনুযায়ী, সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা এবং ইংরেজি সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে নোটিশ জারি করতে হবে। পাশাপাশি ইডি, সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশকেও মামলায় যুক্ত করতে বলা হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৪ মার্চ।

    মিথ্যা প্রমাণিত অভিষেকের দাবি

    গত বুধবারই তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, শাহজাহানের (Sandeshkhali) গ্রেফতারির ক্ষেত্রে অন্তরায় আদালত। কোর্টই পুলিশের হাত-পা বেঁধে দিয়েছে। অভিষেক বলেন, ‘‘শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে রাজ্য সরকার। ইডি তাঁকে ধরতে পারেনি। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গিয়ে রাজ্য পুলিশের ওই এফআইআরের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ পেয়েছে। ফলে পুলিশের হাত-পা বেঁধে দিয়েছে আদালতই।’’ অভিষেকের এই দাবি যে সম্পূর্ণ মিথ্যা, তারই প্রতিফলন ধরা পড়ল আদালতের এদিনের নির্দেশে।

    আইনি সহায়তা কেন্দ্রে অভিযোগ জানাতে পারবেন নির্যাতিতারা

    প্রসঙ্গত, সোমবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে সন্দেশখালির একাধিক মামলা ওঠে। শুনানিতে বিজেপির আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিব্রেওয়াল অভিযোগ জানিয়েছেন, পুলিশ সন্দেশখালির নির্যাতিতা মহিলাদের অভিযোগ (Sandeshkhali) শুনছে না। উল্টে অভিযুক্তদের আড়াল করছ। এভাবে চলতে থাকলে নির্যাতিতারা কোনও দিনই বিচার পাবেন না। এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট জানিয়েছে, নির্যাতিতা যদি চান জেলার আইনি সহায়তা কেন্দ্রে অভিযোগ জানাতে পারেন। সেক্ষেত্রে আইনি সহায়তা কেন্দ্রে যাঁরা অভিযোগ জানাবেন, তাঁদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। পরের শুনানিতে সেই সব অভিযোগের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে।

     

    আরও পড়ুন: ৩৭০ ধারা বিলোপের কারণে জম্মু-কাশ্মীরে ৩০ বছর পরে পালিত হয়েছিল জন্মাষ্টমী, জানালেন অমিত শাহ

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Prasanna Roy: দিনভর জেরা ইডির, গ্রেফতার নিয়োগ-দুর্নীতির ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন

    Prasanna Roy: দিনভর জেরা ইডির, গ্রেফতার নিয়োগ-দুর্নীতির ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হলেন ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায় (Prasanna Roy)। গতকাল সোমবার রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রসঙ্গত, এসএসসি নিয়োগ-দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রসন্ন রায় (Prasanna Roy)। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত ছিলেন। নভেম্বর মাসেই তাঁকে জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে প্রসন্নকে জামিন দিলেও, শীর্ষ আদালত তখন জানিয়েছিল নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্ত একইভাবে চলবে। প্রসন্ন রায়ের জামিনের আগে গত নভেম্বরে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় জামিন দেওয়া হয়েছিল মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য ও নীলাদ্রি ঘোষকে। সিবিআইয়ের হেফাজত থেকে সুপ্রিম নির্দেশে মুক্তি পেলেও, এবার ইডির জালে পড়লেন প্রসন্ন। এদিন দিনভর জেরার পরে তাঁকে গ্রেফতার করল ইডি।

    জানুয়ারি মাসেই প্রচুর নথি উদ্ধার হয় প্রসন্নর বাড়ি থেকে

    ইডির সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাসেই প্রসন্নর (Prasanna Roy) ফ্ল্যাট, অফিস-সহ মোট সাত জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেসময় প্রচুর নথিপত্র উদ্ধার করা হয়। সেই নথির ভিত্তিতে প্রসন্নকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করে ইডি। তবে জানুয়ারি মাসে তিনি ইডি দফতরে হাজিরা দেননি। সোমবার ফের তাঁকে তলব করেছিল ইডি।

    আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তানের মতো অবস্থা বাংলার মহিলাদের’, সন্দেশখালি নিয়ে মমতাকে আক্রমণ লকেটের

    নামে-বেনামে ৮০টির উপর সংস্থা

    ইডি এবং সিবিআই সূত্রে খবর, নামে-বেনামে কমপক্ষে ৮০টিরও বেশি সংস্থা রয়েছে প্রসন্নর (Prasanna Roy)। আরও জানা যাচ্ছে, প্রসন্নর স্ত্রী এবং নিজের নামে রয়েছে বিপুল সম্পত্তি। এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিনহার ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেই পরিচিত ছিলেন প্রসন্ন। সিবিআইয়ের দাবি, প্রসন্ন একজন ‘মিডলম্যান’। তাঁর হাত ধরেই টাকা পৌঁছাত। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল বলে জানা গিয়েছিল। বিধাননগর, নিউটাউন সমেত একাধিক জায়গায় প্রসন্নর সম্পত্তি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ‘কেষ্ট’র নাকি শনির দশা চলছে! ৫০ কেজি ঘি দিয়ে বিরাট হোম-যজ্ঞের আয়োজন বোলপুরে

    Birbhum: ‘কেষ্ট’র নাকি শনির দশা চলছে! ৫০ কেজি ঘি দিয়ে বিরাট হোম-যজ্ঞের আয়োজন বোলপুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনির দশা কাটাতে শনিবারে কেষ্টর নামে বিরাট যজ্ঞের আয়োজন। এই যজ্ঞ মহোৎসবের মহাপ্রসাদ খাবেন ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে বীরভূমের (Birbhum) জেলা তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার এবং কয়লা পাচার মামলায় দিল্লির তেহার জেলে বন্দি রয়েছেন। তৃণমূলের অবশ্য বক্তব্য, কেষ্ট বিহনে জেলা তৃণমূল কার্যত অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। আর তাই তাঁর অনুগামীরা মঙ্গল কামনায় বিশেষ হোম-যজ্ঞের আয়োজন করেছেন। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারিতে হবে এই মহাযজ্ঞ। জেলায় এই নিয়ে তীব্র শোরগোল।

    কোথায় অনুষ্ঠিত হবে যজ্ঞ (Birbhum)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের (Birbhum) বোলপুর রেলওয়ে ময়দানে সর্বজনীন দুর্গামন্দিরে করা হবে এই মহাযজ্ঞ। তাকে ঘিরেই এখন জেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি, সেই সঙ্গে চলছে বিশাল আয়োজন। দুর্গামন্দিরের সামনে যে পোস্টার দেওয়া হয়েছে তাতে স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে, অনুব্রত মণ্ডল হলেন বীরভূমের রূপকার। তাঁর মঙ্গল কামনা করে দীর্ঘায়ুর জন্য শুভাকাঙ্খীগণ এই যজ্ঞের আয়োজন করেছেন। তাই সকলকে বিশেষ ভাবে আমন্ত্রণ।

    আয়োজকদের বক্তব্য

    বোলপুরের (Birbhum) স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুনীল সিংহ এই মহাযজ্ঞ সম্পর্কে জানিয়েছেন, “৫০ কেজি ঘি, ৫ কুইন্টাল বেলকাঠ প্রজ্বলন করে যজ্ঞ করা হবে। সকাল ৯ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত চলবে এই যজ্ঞ। এরপর শুরু হবে মহাপ্রসাদ বিতরণ। প্রথমে ভেবেছিলাম ৫ থেকে ৬ হাজার লোকসমাগম হবে। কিন্তু দাদার ভক্তদের প্রবল উৎসাহে মনে হচ্ছে সংখ্যাটা ১০ হাজারের বেশি হবে।” তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, “আমরা দাদার অন্ধভক্ত, তিনি আমাদের অভিভাবক। মিথ্যা মামলায় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। এজেন্সি জোর করে তাঁকে ধরে রেখেছে। কেষ্টদার মঙ্গল কামনায় আমরা মা দুর্গার কাছে যজ্ঞের আয়োজন করেছি। আমরা আশা করছি তিনি যেন দ্রুত আমাদের কাছে ফিরে আসেন।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: কীভাবে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হত, হাইকোর্টে হলফনামায় জানাল সিবিআই

    Recruitment Scam: কীভাবে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হত, হাইকোর্টে হলফনামায় জানাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে নিজেদের হলফনামায় বড়সড় দাবি করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মতে, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া হার্ডডিক্সের তথ্য অবিকৃত এবং তা আসল। প্রসঙ্গত সোমবারই নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে সিবিআই-এর হলফনামা এদিন জমা দেন কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটার জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য।

    দুর্নীতির ব্যাখ্যা রয়েছে

    জানা গিয়েছে, ওই হলফনামাতে ব্যাখা (Recruitment Scam)  করা হয়েছে হার্ডডিক্সে কী তথ্য রয়েছে এবং সেই তথ্য যে আসল তাও ব্যাখ্যা করা হয়েছে সেখানে। এর পাশাপাশি কীভাবে উত্তরপত্র স্ক্যান করার পরে সেই তথ্য বিকৃত করে বেশ কিছু পরীক্ষার্থীর নম্বর বাড়ানো হতো তারও ব্যাখ্যাও রয়েছে। জানা গিয়েছে, উত্তরপত্র স্ক্যান এবং সফল পরীক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি দায়িত্বে থাকা সংস্থা নাইসার একাধিক কর্মী এই দুর্নীতিতে যুক্ত হয়েছিলেন। সেই ব্যাখা ওই রিপোর্টে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের একই রকম দুর্নীতির ব্যাখা ওখানে দেওয়া হয়েছে।

    কীভাবে চলত দুর্নীতি

    শুনানিতে এদিন আদালত এও জানিয়েছে, সিবিআই উত্তরপত্র সংক্রান্ত যে তথ্য পেয়েছে তা পরীক্ষার্থীরা দেখতে পাবেন বিকাল চারটার মধ্যে। এ বিষয়ে সিবিআই-এর কাছে আবেদন করতে হবে। জানা গিয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। কী ভাবে চলত দুর্নীতি (Recruitment Scam) , তাও জানা গিয়েছে। নাইসার আধিকারিকদের কাছে তালিকা চলে যেত কোন কোন প্রার্থীর ওএমআর শিট এর নম্বর বাড়াতে হবে এব সেই মতো চলত দুর্নীতির কাজ। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ২০২২ সালের জুলাই মাসে ইডির হাতে গ্রেফতার হন তৎকালীন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সেই শুরু, তারপর শাসক দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক গিয়েছেন গারদের পিছনে। বিগত ২ বছর ধরে তদন্ত করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দুর্নীতির জাল অনেকটাই গুটিয়ে আনতে পেরেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: জাল তফশিলি শংসাপত্র! বসিরহাটে সরকারি কর্মীর বাড়িতে সিবিআই হানা

    CBI: জাল তফশিলি শংসাপত্র! বসিরহাটে সরকারি কর্মীর বাড়িতে সিবিআই হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য জুড়ে সিবিআই-ইডি হানার ঘটনা বার বার হচ্ছে। বিশেষ করে পুর-নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের একাধিক পুরসভায় হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার বসিরহাটে সরকারি এক কর্মী রজত মণ্ডলের বাড়িতে সিবিআই (CBI) হানা দেয়। শনিবারই দিনভর তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

    কেন সিবিআই হানা? (CBI)

    এমনিতেই  সরকারি এই কর্মীর বাড়িতে সিবিআই (CBI) হানা হতেই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরকারি কর্মীর জড়িত থাকা নিয়ে চর্চা হয়। যদিও পরে জানা যায়, জাল শংসাপত্র সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্তে সিবিআই হানা দিয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, এসসিএসটি-ওবিসি শংসাপত্র জাল করা- সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রজতের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। উল্লেখ্য, গত পুরসভা নির্বাচনের পরে বসিরহাট পুরসভার এক জনপ্রতিনিধির ভুয়ো পরিচয়পত্র নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে। শাসকদলের ওই জনপ্রতিনিধির পরিচয়পত্র – প্রভাব খাটিয়ে রজত মণ্ডল বের – করেন বলে অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হওয়ায় বসিরহাট থেকে বারাসত সদরে তাঁকে বদলি করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এদিন তাঁর বাড়িতে তদন্তে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা।

    সরকারি কর্মী কী সাফাই দিলেন?

    সিবিআই আধিকারিকরা চলে যাওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রজত। সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা তদন্তের বিষয়ে তাঁকে কিছুই জানাননি বলে তিনি দাবি করেন। রজত বলেন, ‘আমার কাছে যা জানতে চেয়েছিল, আমি সে বিষয়ে আগেই উত্তর জানিয়ে দিয়েছি। এদিন কী বিষয়ে সিবিআই  তদন্তে এসেছিল, তা বলতে পারব না।’

    প্রসঙ্গত, তফসিলি জাতি উপজাতি শংসাপত্র জাল করার একাধিক অভিযোগ এর আগে উঠেছে। মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে ছাত্র ভর্তির অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে রাজ্যে এখন চরম শোরগোল। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলার দায়িত্ব সিবিআই-কে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ তা খারিজ করে দেন। তা নিয়ে দুই বিচারপতির দ্বন্দ্ব এমন পর্যায়ে পৌঁছয়, তাতে হস্তক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট। বর্তমানে এই মামলা শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন। এর মধ্যেই ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র তৈরির অভিযোগে মহকুমা অফিসের এক কর্মীর বাড়িতে তল্লাশি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে বলব, চম্পাই ব্যানার্জি খুঁজে রাখতে’’, মমতাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে বলব, চম্পাই ব্যানার্জি খুঁজে রাখতে’’, মমতাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার রাতেই গ্রেফতার হন হেমন্ত সোরেন। বাড়িতে টানা ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। গ্রেফতারির ঠিক আগে মুখ্যমন্ত্রী পদে তিনি ইস্তফা দেন রাজভবনে গিয়ে। নতুন মুখ্যমন্ত্রী হন চম্পাই সোরেন। ঝাড়খণ্ডের রাজনীতির এমন পট পরিবর্তনের সময়ে, বৃহস্পতিবার সুর চড়ালেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এনিয়ে সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কটাক্ষ, ‘‘সেই জন্য আমিও বলব পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে, চম্পাই ব্যানার্জি খুঁজে রাখতে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারি আশা করি কিছু লোকের চোখ খুলে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হয়েও একজন গ্রেফতার হতে পারেন।’’ প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তিপুরের সভা থেকে মন্তব্য করেন তাঁকে গ্রেফতার করলে জেল ফুটো করে বেরিয়ে আসবেন তিনি।

    মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের একাধিক সদস্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রেডারে

    প্রসঙ্গত, হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারির আশঙ্কা তখন সেদিন থেকেই শুরু হয়, যেদিন ইডি আধিকারিকরা তাঁর বহুমূল্যের গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেন। দিল্লিতে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালানো হয় হেমন্তর বাড়িতে। সেসময় বেপাত্তা হয়ে যান হেমন্ত। তখন থেকেই জল্পনা রটে নতুন মুখ্যমন্ত্রী অন্য কেউ হবেন ঝাড়খণ্ডে। জল্পনা পরবর্তীকালে সত্যিও হয়। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর মতোই একাধিক দুর্নীতিতে  বর্তমানে নাম জড়িয়েছে কালীঘাটের বন্দ্য়োপাধ্যায় পরিবারেরও। ইতিমধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের পরিচালক হিসাবে ইডি তলব পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই ও বৌদি। আবার তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রীও বারবার ডাক পেয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। এখন দেখার পশ্চিমবঙ্গের তদন্ত আগামী দিনে কোন পথে যায়।

    বিরসা মুণ্ডা সেন্ট্রাল জেলে হেমন্ত

    প্রসঙ্গত, টানা (Hemant Soren) সাত ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয় হেমন্তকে। তার আগে দলীয় বিধায়ক ও নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন হেমন্ত। গ্রেফতারির আঁচ পেয়েই ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রী পদে। হেমন্তকে পাঠানো হয়েছে বিরসা মুণ্ডা সেন্ট্রাল জেলে। আদালত থেকে যখন তাঁকে জেলে নিয়ে যাওয়া হয় তখন হেমন্ত সোরেন জিন্দাবাদ স্লোগান দিতে থাকেন তাঁর অনুগামীরা। হেমন্ত ছিলেন মহাগটবন্ধন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি গ্রেফতার হতেই হেমন্তের দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়কদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হল হায়দরাবাদে। এদিন রাতেই তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে হায়দরাবাদে। ঘোড়া কেনাবেচা রুখতেই এই ব্যবস্থা বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lalu Yadav: রবিতে নীতীশের শিবির বদল, সোমবার দুর্নীতি মামলায় ইডি দফতরে হাজিরা লালুপ্রসাদের

    Lalu Yadav: রবিতে নীতীশের শিবির বদল, সোমবার দুর্নীতি মামলায় ইডি দফতরে হাজিরা লালুপ্রসাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনডিএ জোটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নীতীশ কুমার শপথ নিয়েছেন তার ২৪ ঘণ্টার বার হয়নি, এরই মধ্যে সোমবার সকালে পাটনায় ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Yadav)। জমির বিনিময়ে চাকরির দুর্নীতি অভিযোগে এই মামলায় তিনি হাজিরা দেন। তাঁর সঙ্গে এদিন ছিলেন কন্যা মিসা ভারতীও। প্রসঙ্গত, লালুপ্রসাদ যাদব তার স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়িদেবী, কন্যা মিসা এবং হেমা, পুত্র তেজস্বী যাদবও এই মামলায় অভিযুক্ত। জমির বিনিময়ে চাকরি দুর্নীতি মামলায় সিবিআই এবং ইডি একসঙ্গে তদন্ত করছে।

    রাবড়ি দেবীকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ৯ ফেব্রুয়ারি

     জানা গিয়েছে, রবিবার বিকালেই দিল্লি থেকে ইডি আধিকারিকরা পাটনায় আসেন লালুপ্রসাদ যাদবকে (Lalu Yadav) জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। চলতি মাসের ১৯ তারিখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা লালুপ্রসাদ যাদব এবং তাঁর ছেলে তেজস্বী যাদবকে সমন পাঠিয়েছিল হাজিরা দেওয়ার জন্য। ২৯ জানুয়ারি এবং ৩০ জানুয়ারি লালুপ্রসাদ যাদব ও তাঁর পুত্র তেজস্বী যাদবকে হাজিরা দিতে বলা হয়। জানা গিয়েছে, রাবড়ি দেবী এবং তাঁর মেয়ে হেমা যাদবকে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পাটনার ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে, এই মর্মে তাঁদের কাছে কোর্টের সমন এসে পৌঁছায় গত ২৭ জানুয়ারি।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    প্রসঙ্গত, প্রথম ইউপিএ আমলে রেলমন্ত্রী ছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। অভিযোগ ওঠে, ২০০৪ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এই ৫ বছরের মধ্য লালু প্রসাদ যাদব তাঁর ঘনিষ্ঠদের বেআইনিভাবে গ্রুপ ডি পদে প্রচুর জনকে রেলে চাকরি দিয়েছেন। জমির বদলে অনেককে এই চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এর পাশাপাশি রেলের সম্পত্তিও আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠে লালু প্রসাদের বিরুদ্ধে। ইডি (ED Summons) সূত্রে খবর, এই মামলায় লালু প্রসাদ যাদব ও তাঁর পরিবার সহ আরও ১৪ জনের নাম রয়েছে। এই মামলায় নাম জড়িয়েছে একটি সংস্থার নামও। যার নাম একে ইনফোসিস প্রাইভেট লিমিটেড।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: বগটুই কাণ্ড! তিন ফেরার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রামে হুলিয়া জারি করল সিবিআই

    CBI: বগটুই কাণ্ড! তিন ফেরার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রামে হুলিয়া জারি করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুইকাণ্ডে তিন অভিযুক্তকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য হুলিয়া জারি করল সিবিআই (CBI)। তিন জনের নাম দিয়ে বীরভূমের বগটুই গ্রামে নোটিশ সাঁটিয়ে দিয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

    ৩০ জানুয়ারি হাজিরার নির্দেশ (CBI)

    স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার বগটুইতে গিয়ে নোটিশ সাঁটিয়ে দিয়ে যান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা(CBI)। নোটিশে তিন অভিযুক্তের নাম রয়েছে— রোহন শেখ, মারফত শেখ এবং খুশিল শেখ। এঁদের মধ্যে রোহন বগটুইকাণ্ডে ধৃত এবং সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হওয়া লালন শেখের ছেলে। মারফত শেখ বগটুইয়ের ঘটনার দিন নিহত ভাদু শেখের বাবা। বগটুইয়ের ঘটনার পর থেকেই খুশিল শেখের এলাকা ছেড়ে চলে যায়। ওই নোটিশে জানানো হয়েছে, আগামী ৩০ জানুয়ারি রামপুরহাট মহকুমা আদালতের এসিজেএমের এজলাসে তিন জনকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল।

    তিন অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি উঠল

    ২০২২ সালের ২১ মার্চ সন্ধ্যায় বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে বোমার আঘাত এবং গুলি লেগে খুন হন বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের উপ প্রধান ভাদু শেখ। তার অব্যবহিত পর সেই রাতেই অশান্ত হয়ে ওঠে গোটা বগটুই গ্রাম। গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। শিশু এবং মহিলা-সহ ১০ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর বীরভূমে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পুলিশকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারের তরফে সাহায্য প্রদান করা হয়। ঘটনাক্রমে বগটুইকাণ্ড নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। এরপর আদালতের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিবিআই (CBI)। স্থানীয় বাসিন্দা মিহিলাল শেখ বলেন, বগটুই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তিন অভিযুক্ত বগটুইকাণ্ডে বর্বরতার সঙ্গে সরাসরি জড়িত রয়েছে। তাদের আমরা ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। আর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: ভুয়ো কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিক পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি!

    Burdwan: ভুয়ো কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিক পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যজুড়ে দাপিয়ে বেড়়াচ্ছে ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা। এবার ভুয়ো কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিক পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি করার অভিযোগ উঠল এক প্রতারকের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান (Burdwan) সহ আশপাশের এলাকায়। অনেক ব্যবসায়ী তার খপ্পরে পড়ে টাকাও দিয়েছেন। তবে, এক ব্যবসায়ী প্রতারকের আচরণ দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেন। ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত প্রতারককে গ্রেফতার করেছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, প্রতারকের সঙ্গে আর কেউ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কত জন ব্যবসায়ীর থেকে ওই প্রতারক টাকা হাতিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Burdwan)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত প্রতারকের নাম রঞ্জিত বসু। তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার নোনাচন্দনপুকুর এলাকায়। অভিযোগ, রঞ্জিত নিজেকে সেন্ট্রাল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দিতেন। যদিও কেন্দ্রের এই ধরনের কোনও সংস্থা নেই। গত কয়েক দিন ধরে এই ভুয়ো পরিচয়ে রঞ্জিত বর্ধমানের (Burdwan) বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে টাকা তুলছিলেন বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত এক ব্যবসায়ীর উপস্থিত বুদ্ধির জোরে অভিযুক্তকে পাকড়াও করে বর্ধমানের পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবারও ওই প্রতারক জামালপুরের আধাপুর এলাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে হানা দেন।

    ব্যবসায়ীর বুদ্ধিতেই গ্রেফতার প্রতারক

    শেখ আবদুল কাশেম নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা দাবি করেন রঞ্জিত। আবদুল কাশেম বলেন, ওই ব্যবসায়ী কেন্দ্রীয় সংস্থার নাম করে আমাকে হুমকি দিতে থাকে। প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। পরে, তাঁর আচরণ দেখে  সন্দেহ হওয়ায় প্রতারককে বসিয়ে রেখে থানায় ফোন করি। এরপরই জামালপুর থানার পুলিশ এসে রঞ্জিতকে পাকড়াও করে। যদিও পুলিশকেও নিজের ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, লাভ হয়নি। রঞ্জিতকে গ্রেফতার করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jagannath Chatterjee: শতাব্দীর সাংসদ তহবিলের ইডি, সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

    Jagannath Chatterjee: শতাব্দীর সাংসদ তহবিলের ইডি, সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমে তৃণমূলের সাংসদ শতাব্দী রায়ের সাংসদ তহবিলের টাকা ভুয়ো টেন্ডার দেখিয়ে হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ। সোমবার তথ্য প্রমাণ দেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় (Jagannath Chatterjee) । একইসঙ্গে সোমবার বীরভূমের সিউড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে সাংসদ শতাব্দী রায়ের ১৫ বছরের সাংসদ উন্নয়ন তহবিলের টাকার খরচের ইডি, সিবিআই দিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন তিনি।

    ভুয়ো টেন্ডার করে এমপি ল্যাডের টাকা হাতানোর চেষ্টা! (Jagannath Chatterjee)

    বীরভূমের সিউড়ি পুরসভা এলাকায় বৈদ্যুতিক বাতিস্তম্ভ বসানো হবে। সাংসদ তহবিলের ৬০ লক্ষ টাকা খরচ করে এই কাজ করা হবে। এই কাজের ভুয়ো টেন্ডারের কাগজ তুলে ধরে রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক দুর্নীতি প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন। তিনি (Jagannath Chatterjee) বলেন, সিউড়ি পুরসভার এই ভুয়ো টেন্ডারের কাগজপত্রই প্রমাণ করে সাংসদ তহবিলের টাকা এইভাবে নয়ছয় করার চেষ্টা হয়েছে। সাংসদ উন্নয়ন তহবিলের ১০০ শতাংশ টাকা কেন্দ্রীয় সরকার বরাদ্দ করে। সুতরাং এই টাকা আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কেএমডিএ তিনজন ইঞ্জিনিয়র সই করে ভেটিং করেছেন। কিন্তু, বাস্তবে একজন ই়ঞ্জিনিয়র বহুদিন আগে অবসর গ্রহণ করেছেন। দুজন ইঞ্জিনিয়রের কোনও অস্তিত্ব নেই। ফলে, সেই কাগজপত্র পুজো জাল। এই ভুয়ো কাগজপত্র দেখিয়ে সিউড়ি পুরসভা ৬০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ছক কষেছিল। এই ঘটনার সঙ্গে সাংসদ, জেলাশাসক, সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান জড়িত। আর বিষয়টি সামনে আসতেই সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান তড়িঘড়ি টেন্ডার বাতিল করে দেন। টেন্ডার বাতিল করলেও আমরা এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

    ১৫ বছরের সাংসদ তহবিলের টাকার তদন্তের দাবি

    জগন্নাথবাবু (Jagannath Chatterjee) বলেন, সিউড়ি পুরসভার বাতিস্তম্ভ কেলেঙ্কারির মতো গত ১৫ বছর ধরে সাংসদ তহবিলের টাকা ভুয়ো টেন্ডার করে নয়ছয় করেছে শতাব্দী রায়। তাই, আমরা গত ১৫ বছরে ৭৫ কোটি টাকার যা কাজ হয়েছে তার তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকেও জানাব। ইডি, সিবিআই দিয়ে তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share