Tag: cbi

cbi

  • Anubrata Mondal: নেটওয়ার্ক খারাপ! তিহাড় বন্দি কেষ্টর শুনানি হলনা আসানসোল আদালতে

    Anubrata Mondal: নেটওয়ার্ক খারাপ! তিহাড় বন্দি কেষ্টর শুনানি হলনা আসানসোল আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এবং তাঁর একদা দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে এই শুনানি ছিল। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতর আইনজীবীরা এদিন আদালতে উপস্থিতও ছিলেন। কিন্তু বাধা খারাপ নেটওয়ার্ক। কোনওভাবেই তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগই করা গেল না। বারবার সংযোগ করতে চেয়েও এদিন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় আসানসোল আদালতের। শুক্রবার তাই শুনানি সত্ত্বেও জামিনের কোনও আবেদন করতে পারলেন না, কেষ্টর আইনজীবীরা।

    নিয়োগ দুর্নীতিতেও কেষ্ট?

    গরু পাচার মামলায় ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। জানা গিয়েছে, এবার আরও এক দুর্নীতিতে জড়িয়েছে কেষ্টর নাম।  সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতেও এবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে। সূত্রের খবর এনিয়ে উদ্যোগ নিতেও শুরু করেছে ইডি আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, একধাপ এগিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের বয়ান রেকর্ড করার জন্য ইতিমধ্যেই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে বিশেষ আবেদন জানিয়েছে ইডি। আগামী ২০ জুলাই বিচারক রঘুবীর সিং-এর বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি রয়েছে বলে খবর ইডি সূত্রে। ইডি-র আর্জি আদালতে মঞ্জুর হলে তারা তিহাড় জেলে গিয়ে কেষ্টকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাতে পারবে। 

    সুকন্যার নামে পেট্রল পাম্পের হদিশ

    সিবিআই তদন্তে উঠে এল নতুন তথ্য। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আদালতকে জানিয়েছে, বীরভূমে একটি পেট্রল পাম্প অনুব্রতের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল এবং তৃণমূল (Anubrata Mondal) নেতার ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎ বরণ গায়েনের নামে রয়েছে। সিবিআই এর আরও অভিযোগ, খন্দকার কনস্ট্রাকশন নামে একটি কোম্পানিতে বিপুল পরিমাণে নগদ টাকা জমা হয়েছে। সিবিআই এর দাবি,  ওই কোম্পানির মালিক সায়গলের সম্পর্কে শ্যালক। প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, অনুব্রতের নামে চারটি পেট্রল পাম্প থাকার কথা এর আগে আদালতকে জানিয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি, নতুন একটি চালকলের খোঁজও পেয়েছে সিবিআই। এই চালকলের সঙ্গে কেষ্টর প্রত্যক্ষ আর্থিক লেনদেন হতো বলে খবর। অন্যদিকে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) জমি কেনা বেচা নিয়েও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। সিবিআই আদালতে বিচারককে জানিয়েছে, কেষ্টর জমিগুলোর রেজিস্ট্রি হয়েছ নগদ টাকায়। প্রায় এক কোটি টাকারও বেশি নগদ অর্থে জমির রেজিস্ট্রি হয়েছে, কিন্তু তা নিয়ে রেজিস্ট্রি অফিস কোনও প্রশ্নই নাকি তোলেনি। এতেই বোঝা যায়, কেষ্ট কতটা প্রবাবশালী, মত ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Forced Conversion: ‘অপহরণ করে ইসলামে ধর্মান্তকরণ’! হাইকোর্টের নির্দেশে এফআইআর সিবিআই-এর

    Forced Conversion: ‘অপহরণ করে ইসলামে ধর্মান্তকরণ’! হাইকোর্টের নির্দেশে এফআইআর সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল সিবিআই। কালিয়াচকের ওই সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দোর করে দুই ব্যক্তিকে হিন্দু থেকে মুসলমান ধর্মে (Forced Conversion) ধর্মান্তকরণ করেছে তারা। জানা গিয়েছে, মালদার মোথাবাড়ি ও কালিয়াচকের ৬ জায়গায় বৃহস্পতিবার অভিযান চালায় সিবিআই। সাত অভিযুক্তের বাড়ি থেকে মোবাইল সহ বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ২০২১ সালে মালদার মালদার কালিয়াচকের ঘটে এই ঘটনা। দুই বোনের অভিযোগ ছিল, তাঁদের স্বামী বুদ্ধ মণ্ডল এবং গৌরাঙ্গ মণ্ডল বিজেপির সমর্থক হওয়ার কারণে ভোট পরবর্তী সময়ে তাদের জোর করে ইসলামে ধর্মান্তকরণ করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পরাস্ত হয়। তাঁরা কোর্টের কাছে আরও জানান, ২৪ নভেম্বর ২০২১ সাল থেকে তাদের স্বামীরা নিঁখোজ। পুলিশকে এব্যাপারে জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তারা। হাইকোর্টের কাছে রাজ্য অবশ্য রিপোর্ট দেয়, ওই দুই ব্যক্তি স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন এবং পারিবারিক বিবাদের কারণে তারা বাড়ি ছেড়েছে। যদিও পরিবারের দাবির সঙ্গে কোনওভাবেই মিলছে না রাজ্যের রিপোর্ট। এবিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত করে সিবিআই রিপোর্ট জমা দেয় গত ২০ ফেব্রুয়ারি, যার ভিত্তিতে চলতি বছরের ৬ জুন হাইকোর্ট এফআইআর করতে নির্দেশ দেয়। সেই মতো এফআইআর করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। নাম রয়েছে, খুরশেদ সেখ, রবিউল সেখ, মুক্তাবুল সেখ, তিনু সেখ, নজু সেখ, বরকতি সেখ এবং হাবিব সেখের। জানা গিয়েছে প্রত্যেকেরই বাড়ি মালদায়।

    তদন্তে কী উঠে এল?

    জানা গিয়েছে পেশায় রাজমিস্ত্রি দুই ভাই বুদ্ধ মণ্ডল এবং গৌরাঙ্গ মণ্ডল ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর কাজে যান। গৌরাঙ্গ মণ্ডল যান রবিউল সেখের বাড়ি এবং বুদ্ধ মণ্ডল যান হাবিব সেখের বাড়ি। এরপর সেদিন দুপুর দুটোর সময় তাঁরা বাড়িতেও ফেরেন মধ্যাহ্নভোজ সারতে। তারপর আবার বেরিয়ে যান। পরে রাতে আর বাড়ি ফেরেন নি। এরপর নিঁখোজ দুইজনের স্ত্রী (বু্দ্ধ মণ্ডলের স্ত্রী পার্বতী মণ্ডল এবং গৌরাঙ্গ মণ্ডলের স্ত্রী কলাবতী মণ্ডল) জানতে পারেন তাঁদের স্বামীদের ইসলামে ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে এবং নমাজ পড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। পুলিশ এরপর বুদ্ধ মণ্ডল ও গৌরাঙ্গ মণ্ডলের সন্ধান পায় একটি মুসলিম বাড়িতে। মামলাকারীদের পুলিশ জানায়, বুদ্ধ মণ্ডল এবং গৌরাঙ্গ মণ্ডলকে কোর্টে তোলা হবে ২৮ নভেম্বর ২০২১। পরিবারের দাবি, কোর্টে তোলার দিন তাঁরা সকাল থেকেই আদালত চত্বরে হাজির ছিলেন, কিন্তু গোটা দিন উপস্থিত থাকার পরেও যখন বু্দ্ধ এবং গৌরাঙ্গকে কোর্টে তোলা হল না তখন কলাবতীদেবী এবং পার্বতীদেবী বাড়ি ফিরে আসেন। এরপর বিকালের পরে বুদ্ধ এবং গৌরাঙ্গকে এসডিও এর সামনে হাজির করানো হয়, সেসময় প্রচুর পরিমাণে মুসলিমদের ভিড় সেখানে ছিল। তারা বুদ্ধ এবং গৌরাঙ্গকে ছাড়িয়ে নিয়ে চলে যায়, পরিবারের লোকের অনুপস্থিতিতে। এরপর ২০২২ সালের সালের ৪ জানুয়ারি স্থানীয় ধরলা গ্রামে বুদ্ধ এবং গৌরাঙ্গকে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। খবর পেয়ে তখনই গ্রামে পৌঁছান পার্বতী দেবী ও কলাবতী দেবী। তাঁদের ছাড়িয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হলে স্থানীয় মুসলিমরা হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ। এরপর গৌরাঙ্গ কোনওভাবে মুসলিম সম্প্রদায়ের খপ্পর থেকে পালিয়ে আসতে সমর্থ হয়। এবং কলাবতীকে সঙ্গে করে সে একটি গোপন আস্তানায় থাকতে শুরু করে। অভিযোগ, অপহরণকারীদের চাপে কলাবতী ও গৌরাঙ্গর নামে এফআইআর করে বুদ্ধ। এরপর গৌরাঙ্গকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে চলে যায় অপহরণকারীরা। কলাবতী জামিনে মুক্ত হন। পরিবারের অভিযোগ, দুইভাই ফোনে জানিয়েছে, তাদের জোরপূর্বক মাদকের নেশা করানো হচ্ছে এবং পশু হত্যা করার প্রশিক্ষণও দিচ্ছে মুসলিমরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: বারাকপুরে চিকিৎসক প্রজ্ঞার রহস্যমৃত্যুকাণ্ডে সিবিআিই তদন্তের দাবি পরিবারের

    CBI: বারাকপুরে চিকিৎসক প্রজ্ঞার রহস্যমৃত্যুকাণ্ডে সিবিআিই তদন্তের দাবি পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশি তদন্তে খুশি নয় পরিবার। তাই, এই খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানাল পরিবারের লোকজন। প্রজ্ঞাদীপার পক্ষের আইনজীবী বৃহস্পতিবার লিটন মৈত্র বলেন, পুলিশি তদন্তে আমরা খুশি নয়। এই খুনের ঘটনার আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। সোমবারই হাইকোর্টে এই মর্মে আবেদন জানানো হবে। ফলে, এই খুনের তদন্তের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত হলে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে বলে পরিবারের লোকজনের দাবি। তাঁদের বক্তব্য, তদন্তে নানাভাবে প্রভবিত করা হয়েছে। ফলে, সঠিক তদন্ত হচ্ছে না। সিবিআই (CBI) তদন্ত একমাত্র পথ।

    আটদিনের পুলিশ হেফাজত সেনা চিকিৎসকের

    এদিনই প্রজ্ঞাকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া সেনা চিকিৎসক কৌশিক সর্বাধিকারীকে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে বিচারক ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিন প্রথম প্রজ্ঞাদীপার পরিবারের পক্ষ থেকে আইনজীবীকে আদালতে দাঁড় করানো হয়। মূলত, এই ঘটনায় পুলিশ ৩০৬ ধারা দিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল। এবার প্রজ্ঞার আইনজীবী আদালতে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে ৩০২ ধারা যুক্ত করার আবেদন জানান। কৌশিকের আইনজীবী সুদীপ মৈত্র পাল্টা বলেন, প্রজ্ঞা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে কেউ মারধর করেনি। তিনি নিজেই শরীরে আঘাত করেছেন। দুই পক্ষের কথা শুনে বিচারক ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। প্রজ্ঞার আইনজীবী এদিন বলেন, যে চিকিৎসক প্রজ্ঞার ময়না তদন্ত করেছিলেন, তাঁকে সেনার এক আধিকারিক ফোন করেছিলেন। ফলে, প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়েছে তা প্রমাণ। সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানাল পরিবারের লোকজন। অন্যদিকে, কৌশিকের বিরুদ্ধে সেনা দফতরের পক্ষ থেকে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তকারী অফিসারের মতে, কর্নেল কৌশিক সর্বাধিকারী এবং প্রজ্ঞা লিভ- ইন  করলেও তাঁদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়ে ছিল। তাই, প্রজ্ঞার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রহস্য ক্রমশ্য ঘনীভূত হচ্ছে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল কৌশিক সর্বাধিকারীর ঘরের ভিতর থেকে প্রজ্ঞার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তিনি প্রজ্ঞার সঙ্গে লিভ-ইনে থাকতেন। এই ঘটনার পর সুইসাইড নোটে নাম থাকায় সেনা চিকিৎসক কৌশিক সর্বাধিকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: নথি বিকৃতি মামলার তদন্তে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    Panchayat Vote: নথি বিকৃতি মামলার তদন্তে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Vote) মনোনয়নে নথি বিকৃতির অভিযোগে ওঠে উলুবেড়িয়া ১ ব্লকের বিডিও নীলাদ্রি শেখর দে-র বিরুদ্ধে। এনিয়ে জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সোমবার বিচারপতি সিনহার সেই নির্দেশ খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এই মামলায় সিবিআই তদন্তের মতো উপাদান নেই।

    আরও পড়ুন: লোকসভা, বিধানসভার পর এবার লক্ষ্য জেলা পরিষদ দখল, আলিপুরদুয়ারে ঝাঁপাল বিজেপি

    ঠিক কী হয়েছিল?

    ৯ জুন থেকে ১৫ জুন পঞ্চায়েতে (Panchayat Vote) মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন ছিল। ওই কয়েক দিনে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ অভিযোগ ওঠে। এরই মধ্যে নথি বিকৃত করার অভিযোগ করেন সিপিএমের দুই প্রার্থী কাশ্মীরা বেগম খান এবং তনুজা বেগম মল্লিক। উলুবেড়িয়া-১ নম্বর ব্লকের বহিরা-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’টি আলাদা আসনে সিপিএম প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, মনোনয়ন পেশের সময় তাঁরা চেকলিস্ট জমা করেন। তাতে তাঁরা জাতিগত প্রমাণপত্র জমা দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছিলেন। এর পর জানা যায়, মনোনয়নপত্রে তাঁদের উল্লেখ করা অংশ কলম দিয়ে কেউ কেটে দিয়েছে।

    তদন্ত কীভাবে হবে?

    হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন নির্দেশ দেয়, ‘‘অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবীপ্রসাদ দে-র নজরদারিতে এই মামলার তদন্ত করবে রাজ্য পুলিশ। এক সদস্যের এই কমিশনকে সব রকম সাহায্য করতে হবে রাজ্যকে।’’ পাশাপাশি তিন সপ্তাহের মধ্যে নথি বিকৃতির অভিযোগের তদন্ত রিপোর্ট বিচারপতি অমৃতা সিনহার কাছে জমা করতে হবে বলেও জানিয়েছে হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই একের পর এক মামলায় হাইকোর্টে মুখ পুড়েছে রাজ্যের। এদিন সিবিআই খারিজ হলেও মনোনয়ন বিকৃতির মামলাতে একই ধারা অব্যাহত থাকল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raju Jha Murder: শক্তিগড়ে রাজু ঝা খুনের তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দিল হাইকোর্ট

    Raju Jha Murder: শক্তিগড়ে রাজু ঝা খুনের তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শক্তিগড়ে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা’কে গাড়ির মধ্যেই খুন (Raju Jha Murder) করা হয়। এবার এই খুনের ঘটনায় সিবিআই-কে তদন্তভার দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ৪ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে বলেও সময়সীমা এদিন বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার মামলায় রাজু ঝাও ছিলেন ইডির রেডারে। বীরভূমের আবদুল লতিফ নামে ওই গাড়িতে থাকা আর এক জনের নাম ইতিমধ্যেই মিলেছে গরু পাচার মামলার চার্জশিটে। কয়লা পাচার মামলা এবং এই খুনের ঘটনায় যোগসূত্র থাকতে পারে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। বিচারপতি তাই হয়তো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকেই তদন্তভার তুলে দিলেন। রাজ্যকে ইতিমধ্যে কেস ডায়েরি সহ যাবতীয় নথি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, খুনের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে না গেলে ধাক্কা খাবে কয়লা পাচার তদন্ত।

    ইডি দফতরে হাজিরার ২ দিন আগেই খুন হন রাজু (Raju Jha Murder)

    প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত রাজু ঝা-র চলতি বছরের ৩ এপ্রিল ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। তার ঠিক একদিন আগে  ১ এপ্রিল সন্ধ্যায় তিনি কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন। রাত পৌনে আটটা নাগাদ রাজুর সাদা গাড়ি শক্তিগড়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায়। গাড়ির চালকের পাশের সিটে বসে ছিলেন রাজু ঝা। পিছনের আসনে বসে ছিলেন রাজু ঝার সহযোগী ব্রতীন মুখোপাধ্যায় ও গরু পাচার মামলায় ফেরার অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ। গাড়ি দাঁড়ানোর কিছু সময়ের মধ্যেই সেখানে এসে দাঁড়ায় নীল রঙের একটি চারচাকা গাড়ি। অভিযোগ, ওই গাড়ি থেকে নেমেই দুই শার্পশুটার পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পর পর গুলি চালিয়ে রাজু ঝার শরীর ঝাঁঝরা করে দিয়ে পালিয়ে যায়। রাজুর পিছনের সিটে বসে থাকা ব্রতীন মুখোপাধ্যায়ের হাতেও গুলি লাগে। এই হামলার সময়েই বেপাত্তা হয়ে যান আব্দুল লতিফ।

    তদন্তের গতিপ্রকৃতি

    রাজু ঝার গাড়ির চালক নূর হোসেন খুনের (Raju Jha Murder) পর পরই শক্তিগড় থানায় এফআইআর দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে খুনের ধারায় মামলা রুজু করে ও ‘সিট’ গঠন করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনার ১৯ দিন পরে পুলিশ গ্রেফতার করে অভিজিৎ মণ্ডল নামে এক অভিযুক্তকে। অভিজিৎ দুর্গাপুর-আসানসোলের এক কুখ্যাত কয়লা মাফিয়ার গাড়ির চালক বলে জানা যায়। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন অভিজিৎ মণ্ডল ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হলে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, খুনের জন্য ব্যবহৃত গাড়িটি সরবরাহ করেছিল ইন্দ্রজিৎ গিরি ও লালবাবু কুমার নামের দুই ব্যক্তি। এর পরে মে মাসের ৩ তারিখে রাঁচি থেকে ইন্দ্রজিৎ ও লালবাবুকে গ্রেফতার করে সিট। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও একজনের নাম পায় পুলিশ। জুন মাসের ১৪ তারিখে ঘটনার তদন্তভার গেল সিবিআই-এর হাতে।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: ফের অশান্ত মণিপুর! জঙ্গি হামলার বলি ৩, সিট গঠন সিবিআই-এর

    Manipur: ফের অশান্ত মণিপুর! জঙ্গি হামলার বলি ৩, সিট গঠন সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্ত মণিপুর (Manipur)। জানা গিয়েছে কাংপোকপি এবং ইম্ফল পশ্চিম জেলার সীমানায় খোকেন গ্রামে ৩ জনকে খুন করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছেন। অভিযোগ, মায়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গিরাই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে সেখানে। অমিত শাহের সফর এবং ১০১ কোটি টাকার কেন্দ্রীয় প্যাকেজ ঘোষণার পরে ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছিল মণিপুর। কিন্তু ফের অশান্তির আশঙ্কার দিন গুনছেন সেখানকার মানুষ। অশান্তির পিছনে বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা তা তদন্ত করছে সিবিআই।

    সিট গঠন করল সিবিআই

    মণিপুরে কুকি-মেইতেই গোষ্ঠীহিংসার নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের সন্ধান পেতে শুক্রবার বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গড়েছে সিবিআই। জানা গিয়েছে, ১০ সদস্যের সিট-এর নেতৃত্বে রয়েছেন ডিআইজি পদমর্যাদার এক আধিকারিক। মণিপুর (Manipur) হিংসায় দায়ের হওয়া মোট এফআইআর সংখ্যা ৩,৭০০ হলেও সিবিআইয়ের তরফে শুক্রবার ৬টি এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মণিপুর পুলিশের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর ঘনশ্যাম উপাধ্যায় ইম্ফল যাচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মণিপুর সফরে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সিবিআই তদন্তের ঘোষণা করেছিলেন। উভয় গোষ্ঠীর নেতাদের শান্তি রাখতে আবেদনও জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    মেইতেই-কুকি বিবাদ ৩ মে থেকে চরম আকার ধারণ করে

     হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষ শুরু হয় ৩ মে থেকে। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠলে আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব নেয় কেন্দ্র। নামানো হয় সেনা এবং অসম রাইফেলস বাহিনীকে। সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকির ভার দেওয়া হয় সিআরপিএফের প্রাক্তন প্রধান কুলদীপ সিংহকে। তাঁর অধীনে এডিজিপি (ইন্টেলিজেন্স) আশুতোষ সিংহকে সমগ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপারেশনাল কমান্ডার-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু ১ মাস কেটে গেলেও হিংসা থামেনি।

     

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: আদালত নির্দেশ দিলে অভিষেককে কান ধরে নিয়ে যাবে ইডি, বললেন সুকান্ত

    Abhishek Banerjee: আদালত নির্দেশ দিলে অভিষেককে কান ধরে নিয়ে যাবে ইডি, বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) তলব করল ইডি। ১৩ জুন ইডি অফিসে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের জনজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক প্রথমে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে রোড শো করেন। পরে, ধুবুলিয়াতে দলীয় কর্মসূচিতে তিনি যোগ দেন। সেখান থেকে নদিয়ার নাকাশিপাড়া, পলাশীপাড়া সহ কালীগঞ্জে একাধিক কর্মসূচিতে তিনি যোগদান করেন। সেখানেই ইডি-র নোটিশের বিষয়ে তিনি জানতে পারেন।

    ইডিতে হাজিরা নিয়ে কী বললেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)?

    ইডির নোটিশ প্রসঙ্গে অভিষেক (Abhishek Banerjee) বলেন, “এর আগে যখন আমাকে সিবিআই প্রায় আট ঘণ্টা অফিসে বসিয়ে রেখেছিল, আমি তদন্তে সম্পূর্ণ সাহায্য করেছি। এর পাশাপাশি অনুরোধ করেছিলাম, তৃণমূলের যে নবজোয়ার কর্মসূচি চলছে, তার মধ্যে যেন আমাকে না ডাকা হয়। কিন্তু, দেখা গেল, আমার স্ত্রীকে ডেকেও দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হল। স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়ার পনেরো মিনিট পরই আমাকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক চক্রান্ত। তৃণমূলের নবজোয়ার কার্যত জনজোয়ারে পরিণত হয়েছে। আর তা দেখেই বিজেপি ভয় পেয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আমি তাদের সম্পর্কে কোনও খারাপ মন্তব্য করব না এবং দোষও দেব না। বিজেপি রাজনৈতিকভাবে আমার সঙ্গে পেরে না উঠে এই চক্রান্ত চালাচ্ছে। তবে যে কদিন জনজোয়ার কর্মসূচি রয়েছে, সেই কদিন আমার অন্য কোথাও যাওয়ার মতো সময় নেই। তারপর সামনে ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে আট ঘণ্টা কোথাও গিয়ে নষ্ট করার মতো সময় আমার হাতে নেই। ভোট মিটে যাওয়ার পর আমাকে যেদিন ডাকবেন, আমি সেদিনই যাব। তার আগে আমার পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়।”

    অভিষেক (Abhishek Banerjee) প্রসঙ্গে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কুকুরের লেজ তো সহজে সোজা হয় না। তাই, ইডি ডাকলে তো তিনি (Abhishek Banerjee) যাবেন না, এটাই স্বাভাবিক বিষয়। ইডির হাত থেকে বাঁচতে এত কিছু হচ্ছে। যাত্রা হচ্ছে, নবজোয়ারের নাটক হচ্ছে, পঞ্চায়েত ভোট হচ্ছে। ইডি এবার আদালতকে বিষয়টি জানাবে। আদালত কান ধরে নিয়ে আসার নির্দেশ দেবে। ইডি তখন কান ধরে নিয়ে আসবে। তখন দেখবেন ঠিক হাজির হয়ে যাবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: সাতদিনের মধ্যে পানিহাটি পুরসভার কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠাল সিবিআই

    CBI: সাতদিনের মধ্যে পানিহাটি পুরসভার কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাতদিনের মধ্যেই নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সিবিআই (CBI) অফিসে জমা দেওয়ার জন্য পানিহাটি পুর কর্তৃপক্ষকে বলা হল। জানা গিয়েছে, পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের বাড়ি থেকে একটি নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছিল, যা ছিল পানিহাটি পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত। আর তার পরিপ্রেক্ষিতে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করতে সিবিআই এই পুরসভায় হানা দিয়েছিল। বুধবার সিবিআই দিনভর সেখানে তল্লাশি চালায়। শুক্রবারই রয়েছে সিআইসি বৈঠক। এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সেখানে আলোচনা হতে পারে জানা গিয়েছে।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পুরসভায় ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই ১০২ জন কর্মীর নিয়োগের জন্য ৪০ হাজার জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। অয়নের সংস্থার মাধ্যমে সেই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। রহস্যজনকভাবে পরীক্ষা নেওয়ার পরও কাউকে নিয়োগ করা হয়নি। কেন নিয়োগ হয়নি, সেই বিষয়ে পুরসভার কেউ মুখ খোলেননি। কামারহাটি, হালিশহর, টিটাগড় এবং বরানগর পুরসভায় অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ হলেও পানিহাটি পুরসভায় কোনও নিয়োগ হয়নি। ফলে, পুরসভার কর্মকর্তাদের আশা ছিল, এখানে সিবিআই হানা হবে না। কিন্তু, বুধবার দিনভর সিবিআই তল্লাশি চালানোয় চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। পুর আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশপাশি আলমারি খুলে নথি দেখা হয়। তবে, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাইয়ের নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও নথি পুরসভায় সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা পাননি। পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় রায় বলেন, যে সময়ের ঘটনা, আমি তখন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলাম। আর নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে আমি ছিলাম না। এই পুরসভায় শেষ ২০১৪ সালে নিয়োগ হয়েছিল। তারপর আর কোনও নিয়োগ হয়নি। ফলে, দুর্নীতির কোনও প্রশ্নই আসে না। তবু, সিবিআই (CBI) যে তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে, তা দেওয়ার জন্য আমরা সব রকম চেষ্টা করব। সিবিআইকে আমরা সমস্তরকম ভাবে সহযোগিতা করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra: না জানিয়ে হানা দিলে সিবিআই, ইডিকে রাস্তায় আটকে রাখা হবে, হুমকি মদনের

    Madan Mitra: না জানিয়ে হানা দিলে সিবিআই, ইডিকে রাস্তায় আটকে রাখা হবে, হুমকি মদনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েকের মধ্যে এ রাজ্যে কি কোনও বড়মাপের চমকপ্রদ ঘটনা ঘটতে চলেছে? সম্প্রতি দিল্লি থেকে আগত পদস্থ সরকারি কর্তাদের কলকাতায় আনাগোনা দেখে তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিকমহল। তাহলে কি এ রাজ্যে দুর্নীতির মাথার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে? এসব নিয়ে যখন রাজ্যজুড়ে চর্চা চলছে তখন ইডি, সিবিআইকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বুধবার রাজ্যজুড়ে একাধিক পুরসভায় সিবিআই হানা দেয়, আর সেদিনই বরানগরে দলীয় সভায় যোগ দিয়ে মদনের সিবিআই, ইডিকে কড়া বার্তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন কামারহাটির বিধায়ক (Madan Mitra)?

    পিজি হাসপাতালের ঘটনার পর মদনকে সেভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছিল না। এমনকী কয়েকদিন আগেই ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা অফিসের বৈঠকে অধিকাংশ বিধায়ক, মন্ত্রী হাজির থাকলেও মদন (Madan Mitra) গরহাজির ছিলেন। যা নিয়ে দলের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। কারণ, পিজি হাসপাতালের ঘটনার পর তিনি সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তাঁদের ভূমিকা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। যা নিয়ে দলের অন্দরে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। দলের সঙ্গে মদনের দূরত্ব বাড়়ছে বলেও গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। যদিও সে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বরানগরে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন মদন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইডি, সিবিআইকে নিশানা করেন তিনি। তিনি বলেন, “কোথায় যাচ্ছেন, তৃণমূলকে আগে থেকে না জানালে রাস্তায় আটকে যেতে পারেন। এমন সভা হবে ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স পাবে না ইডি, সিবিআই। তাপসকে (বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়) বলব সিজিও কমপ্লেক্স, ইডি অফিসে একটি চিঠি দিয়ে দিতে। অভিষেকের বাড়িতে একটি অফিস রয়েছে।” সিবিআই, ইডি আধিকারিকদের উদ্দেশে বলেন,” কোথায় যাচ্ছেন তা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেবেন। নাহলে এমন সভা করব যে যাওয়ার রাস্তা পাবেন না। কাকে ভয় দেখাচ্ছেন? আমাকে ২৩ মাস আটকে রেখেছিলেন। আমার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনলেন, বাহুবলী, প্রভাবশালী, ক্ষমতাশালী। এসব উপমা তো হনুমানকে দেওয়া হয়। এরপর অভিষেকের নবজোয়ারের প্রশংসা করে তিনি বলেন, নবজোয়ার কার্যত জনজোয়ারে পরিণত হয়ে গিয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: এবার অনুব্রতর পরিচারক বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে হাজির সিবিআই

    CBI: এবার অনুব্রতর পরিচারক বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে হাজির সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের পরিচারক হিসাবে পরিচিত বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই (CBI)। বৃহস্পতিবার সাত সকালেই বোলপুরের কালিকাপুর এলাকায় সিবিআই আধিকারিকরা তাঁর বাড়িতে হাজির হন। বাড়িতে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বেশ কিছু নথি চাওয়া হয়। সামান্য বেতনের একজন চাকরিজীবী হয়ে অট্টালিকার মতো বাড়ি তৈরির পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উৎস জানার চেষ্টা করেন সিবিআই আধিকারিকরা।

    কে এই বিদ্যুৎবরণ?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর পুরসভার গ্রুপ ডি কর্মী বিদ্যুৎবরণ। ২০০৮ সালে তিনি এই চাকরি পেয়েছিলেন। ২০১২ সালে তিনি পুরসভার স্থায়ী কর্মী নিযুক্ত হন। এক সময় তিনি গাড়ির খালাসির কাজ করতেন। পরে, পদোন্নতি হয়ে গাড়ির চালক হন। বুধবার রাজ্যের একাধিক পুরসভায় সিবিআই হানা দেয়। বীরভূমের শান্তিনিকেতনে অস্থায়ী শিবির করে সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা রয়েছেন। মূলত অনুব্রতর জাল কতদূর পর্যন্ত রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করতেই এদিন সিবিআই হানা হয়। জানা গিয়েছে, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিদ্যুৎবরণ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। তাঁর বাড়িতে পরিচারকের কাজ করতেন। অনুব্রতর ক্ষমতা বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরও প্রতিপত্তি বাড়তে শুরু করে। অনুব্রতর সঙ্গে তাঁকে সব সময় দেখা যেত। তিনি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের কোম্পানির ডিরেক্টর হিসেবে যুক্ত ছিলেন। এর আগে ২০২২ সালের আগস্ট মাসে তাঁর বাড়িতে সিবিআই (CBI) হানা দিয়েছিল। পরে, তাঁকে একাধিকবার নোটিশ পাঠানো হলেও তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা দেননি। এবার সিবিআই আর তাঁকে সময় দেয়নি। এদিন তাঁর বাড়িতে দুজন সিবিআই আধিকারিক হানা দেন। জানা গিয়েছে, সিবিআই আধিকারিকরা জেলার কয়েকটি ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের অস্থায়ী ক্যাম্পে তলব করেছেন। ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। মূলত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেন হয়েছে। সেই লেনেদেনের পিছনে কারা রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share