Tag: cbi

cbi

  • Santiago Martin: নির্বাচনী বন্ডে সব চেয়ে বেশি টাকা দিয়েছেন সান্তিয়াগো, তিনি কে জানেন?

    Santiago Martin: নির্বাচনী বন্ডে সব চেয়ে বেশি টাকা দিয়েছেন সান্তিয়াগো, তিনি কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়শি দেশ মায়ানমারে তিনি গিয়েছিলেন শ্রমিকের কাজে। সেখান থেকেই তিনি হয়েছেন লটারি কিং। সেই সান্তিয়াগো মার্টিনের (Santiago Martin) সংস্থাই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে সব চেয়ে বেশি টাকা দান করেছে। ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে সান্তিয়াগোর সংস্থা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে দিয়েছে ১ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার এই তথ্য নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে লটারি কিংয়ের কেরামতি!

    কে এই সান্তিয়াগো? (Santiago Martin)

    সান্তিয়াগো (Santiago Martin) একটি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট চালান। এই ট্রাস্টের ওয়েবসাইট থেকে জানা গিয়েছে, মায়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গনে শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। ভারতে ফেরেন ১৯৮৮ সালে। শ্রমিকের কাজ করে যে টাকা জমিয়েছিলেন, তা দিয়ে তামিলনাড়ুতে শুরু করেন লটারি ব্যবসা। পরে তাঁর এই ব্যবসা ছড়িয়ে পড়ে কেরল, কর্নাটক এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে। পরে নেপাল ও ভুটানেও ছড়িয়ে পড়ে তাঁর লটারি ব্যবসা। উত্তর-পূর্বে সরকারি লটারি স্কিমগুলি পরিচালনার ভারও নিয়েছিলেন সান্তিয়াগো। লটারি ব্যবসার টাকা তিনি বিনিয়োগ করেন নির্মাণ শিল্প, রিয়েল এস্টেট, বস্ত্র এবং হোটেল ব্যবসায়। অল ইন্ডিয়া ফেডারেশন অফ লটারি ট্রেড অ্যান্ড অ্যালায়েড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্টও তিনি। তাঁরই প্রচেষ্টায় ওয়ার্ল্ড লটারি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হয়েছে ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড। এটাই তাঁর সংস্থার নাম।

    সান্তিয়াগোর (Santiago Martin) সংস্থায় তল্লাশি!

    যে ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসকে ‘দাতা’র ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে, সেই সংস্থার বিরুদ্ধেই তহবিল তছরুপ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৯ সালে এই অভিযোগের তদন্তে নামে ইডি। তার আগে সংস্থার বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছিল সিবিআই। চার্জশিটে বলা হয়েছিল, সান্তিয়াগো মার্টিন (Santiago Martin) ও তাঁর সংস্থা ২০০৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০১০ সালের অগাস্ট পর্যন্ত পুরস্কার বিজয়ীর টিকিটের সংখ্যা বাড়িয়ে ৯১০ কোটি টাকা ক্ষতি করেছে সিকিম সরকারের। সিবিআই চার্জশিট পেশ করার পরেই তদন্ত শুরু করে ইডি। গত মে মাসে সংস্থার কোয়েম্বত্তুর ও চেন্নাইয়ের অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়। ৯৬৬ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছে হায়দরাবাদের মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার। এই তালিকায় রয়েছে ভারতী এয়ারটেল, ইন্ডিগো, আইটিসি সহ একাধিক সংস্থা।

    আরও পড়ুুন: ‘‘গলাকাটা দামে বিক্রি হয়েছে চাকরি’’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পর্যবেক্ষণ বিচারপতি সিনহার

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: রাজ্যের সব দুর্নীতির মধ্যে যোগ সূত্র রয়েছে! হাইকোর্টে বিস্ফোরক দাবি সিবিআই-এর

    Recruitment Scam: রাজ্যের সব দুর্নীতির মধ্যে যোগ সূত্র রয়েছে! হাইকোর্টে বিস্ফোরক দাবি সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি সুতোর জট ছাড়াতে গেলে অন্যটিতে টান পড়ছে। একটা দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে আর একটা দুর্নীতি বেরিয়ে আসছে। বুধবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়ে এমনটাই দাবি করেছে সিবিআই এবং ইডি। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্ত দ্রুত শেষ হবে কি না, তা আদালতকে জানাতে গিয়েই এই দাবি করে সিবিআই। এসএসসি থেকে প্রাথমিক এবং পুর নিয়োগ দুর্নীতি একে অপরের সঙ্গে জড়িত, বলে জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    প্যান্ডোরার বাক্স

    বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে সিবিআই এবং ইডি প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে। বিচারপতি সিবিআইয়ের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, টাকার উৎস নিয়ে কিছু জানা গেল কি না। আইনজীবী বলেন, “কখনওই শেষ না হওয়ার মতো উৎস। আমরা ইতিমধ্যে অনেক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছি। আসলে এটা প্যান্ডোরার বাক্স। একটা দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে আরেকটা দুর্নীতি উঠে আসছে। গোটাটাই একটা দুর্নীতির চক্র। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। গত জানুয়ারিতে আচমকাই একদিন জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেই কণ্ঠ স্বরের নমুনার রিপোর্ট সম্পর্কেও বুধবার জানতে চায় আদালত। সিবিআই জানায়, সেই রিপোর্ট এখনও আসেনি তাঁদের হাতে। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। ২ মাস হয়ে গেছে। ওটা ব্যবহার না করতে পারলে তদন্তে কি সহযোগিতা হবে? প্রশ্ন করেন তিনি।  

    আরও পড়ুন: অরুণাচল সীমান্তে নয়া সড়কপথের পরিকল্পনা, ভারতের প্রয়াসে ভয় পাচ্ছে চিন?

     এসএসসিতে দুর্নীতি

    এদিকে এসএসসির দুর্নীতি মামলায় এদিন বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) প্রমাণিত হলে নিয়োগ সম্পূর্ণ বাতিল হয়ে যেতে পারে কিংবা গোটা নিয়োগের অংশ বিশেষ বাতিল হতে পারে। এই দুটি বিকল্পই আমাদের কাছে রয়েছে। যদিও এটা একেবারে প্রাথমিক পর্যায়। এখনও অনেক কিছু আদালত খতিয়ে দেখবে। সবটা বেআইনি হলে পরিণতি যা হওয়ার তাই হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: মিলল না আগাম জামিন, শাহজাহানের আর্জি খারিজ করে দিল হাইকোর্ট

    Sheikh Shahjahan: মিলল না আগাম জামিন, শাহজাহানের আর্জি খারিজ করে দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বিপাকে সন্দেশালিকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। মঙ্গলবার তাঁর আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর্থিক তছরুপের মামলায় ইডির হাত থেকে রেহাই পেতে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন শেখ শাহজাহান। কিন্তু এদিন বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ইডির হেফাজতে অন্য এক অভিযুক্তের মারফত শাহজাহানের নাম উঠে এসেছে। বর্তমানে সেই ঘটনার তদন্ত চলছে। এই প্রেক্ষিতে আগাম জামিন দেওয়া সম্ভব নয়। 

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। তাঁকে দফায় দফায় জেরা করে সন্দেশখালিতে হামলার দিনের ঘটনার বিভিন্ন তথ্য জানার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরই মাঝে ইডির হাত থেকে রেহাই পেতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা। উল্লেখ্য, এর আগে বসিরহাটের পিএমএলএ কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া ওই নেতা। সেখানেও তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এদিন শাহজাহানের আইনজীবী সব্যসাচী ব্যানার্জী বলেন, “শাজাহানের বিরুদ্ধ সরাসরি কোনো অভিযোগ নেই । তাঁকে ইডি অফিসারদের হামলায় মদত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাই ইডি কিসের ভিত্তিতে তাঁকে হেফাজতে নেবে? এই বক্তব্যকে খারিজ করে ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী আদালতে জানান, রেশন দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করা হয়। সেখান থেকে শাহজাহানের নাম উঠে আসে। ফৌজদারি অপরাধে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এর মামলায় তাঁকে এখনও গ্রেফতার করেনি ইডি। 

    আরও পড়ুন: ‘অস্বস্তিকর প্রশ্ন করলেই এসএসসি চুপ থাকে’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের কটাক্ষ

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    দুপক্ষের সওয়াল জবাবের পর শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। ইডি জানায়, শাহজাহান প্রবল প্রভাবশালী। তাকে রক্ষা করতে উঠেপড়ে লেগেছিল রাজ্য সরকার। এমনকী আদালতের নির্দেশের পরেও তাকে গ্রেফতার করেনি রাজ্য পুলিশ। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। যার জাল বাংলাদেশ পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে। তাকে আগাম জামিন মঞ্জুর করলে তদন্তে প্রভাব পড়বে। ইডির ওপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে সিবিআই হেফাজতে রয়েছে শেখ শাহজাহান। বৃহস্পতিবার ফের তাকে আদালতে পেশ করবেন তদন্তকারীরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ ফুরোলেই শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারে ইডি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ সিরাজের গ্রেফতারের দাবিতে ফের অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি

    Sandeshkhali: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ সিরাজের গ্রেফতারের দাবিতে ফের অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও উত্তপ্ত সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। এবার ফের রাস্তায় নেমে গ্রামের মহিলারা ক্ষোভে ফুঁসে উঠলেন। এলাকার মানুষের বক্তব্য, শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার যেমন করা হয়েছে, একই ভাবে তাঁর ঘনিষ্ঠ সিরাজউদ্দিনকেও গ্রেফতার করতে হবে। সিরাজ এবং তাঁর অনুগামীরা এলাকায় মানুষের চাষের জমি জোর করে দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে আরও নানা অত্যাচারের অভিযোগ রয়েছে। গতকাল এলাকার বেড়মজুরের ঝুপখালিতে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার মহিলারা।

    তৃণমূল প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর উত্তপ্ত (Sandeshkhali)

    ১০ মার্চ ব্রিগেডে মমতার জনগর্জন সভা থেকে তৃণমূলের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন হাজি নুরুল ইসলাম। ঠিক পরের দিন সোমবার থেকেই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শুরু হয়েছে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ। বেড়মজুর এলাকার ঝুপখালিতে নিপীড়িত মহিলারা রাস্তায় নেমে টায়ার, গাছের ডালপালা পুড়িয়ে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এলাকার মানুষের দাবি, “শেখ শাহজাহানের ভাই সিরাজউদ্দিন এবং আলমগিরকে গ্রেফতার করতে হবে। সিরাজ এবং আলমগির উভয়েই এলাকার মানুষের জমি দখল করে মাছের ভেড়ি তৈরি করেছে। বাড়ির মহিলাদের জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে শারীরিক নির্যাতন করেছে। তাই তাঁদের শাস্তি চাই আমরা।”

    দুই মাস ধরে ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)

    শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারের পর এলাকার মানুষ তাঁর অনুগামীদের গ্রেফতার করার জন্য ফের একবার বিক্ষোভের পথে। অপর দিকে গতকাল এই তৃণমূল নেতার ডান হাত জিয়াউদ্দিন মোল্লা সহ আরও বেশ কয়েকজনকে সিবিআই নিজেম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করেছে। গত দুই মাস ধরে কার্যত ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে গোটা সন্দেশখালি। এলাকার মহিলাদের অভিযোগ ছিল বেছে বেছে হিন্দু ঘরের মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিসে রাতভর গণধর্ষণ করত এই শাহজাহানেরা। ইতিমধ্যে এই তৃণমূল নেতাদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রাজ্য তথা সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় দেখা গিয়েছে। রাজ্যের শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) গেলে বিক্ষোভের মধ্যে পড়তে হয়। ইতিমধ্যে বারাসতে মোদির সভায় নির্যাতিতা মহিলাদের একটা অংশের মানুষ নিজেদের উপর ঘটা অত্যাচারের কথা বলেন। মূল অভিযুক্ত শাহজাহানের সঙ্গে এখন তার অনুগামীদের গ্রেফতারের দাবিতে ফের একবার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দ্রুত বিচার শুরু করার কথা বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দ্রুত বিচার শুরু করার কথা বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শুরুর বন্দোবস্ত করার জন্য সিবিআইকে (CBI) নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। যাঁরা দুর্নীতিগ্রস্ত, তাঁদের দ্রুত সাজা দেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে বিচারব্যবস্থা অর্থহীন হয়ে পড়বে, সোমবার এমনই মত প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। নিয়োগ মামলার শুনানিতে সিবিআইকে তিন সপ্তাহের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথাও বলেন বিচারপতি।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    নিয়োগ মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ এবং নীলাদ্রি সাহার জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল সোমবার। হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এদিন তাঁদের জামিনের আর্জি মঞ্জুর করা হয়নি। ওই সংক্রান্ত রিপোর্ট সিবিআইয়ের কাছ থেকে চেয়েছে আদালত। হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, তিন সপ্তাহ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। তার মধ্যে সিবিআইকে ওই দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্তের রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। নিয়োগ (Recruitment Scam) মামলার বিচার প্রক্রিয়া এখনও শুরু করা যায়নি বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে উচ্চ আদালত। বিচারপতি বাগচী মন্তব্য করেছেন, বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে অভিযুক্তদের সাজা না দিলে পুরো বিষয়টি হাস্যকর হয়ে যাবে। মানুষের মন থেকে ওই দুর্নীতি আবছা হয়ে যাবে। এই প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টা কোনও কাজে লাগবে না। 

    আরও পড়ুুন: “রাশিয়ার যুদ্ধে ফেঁসে গিয়েছি, বাঁচান”, ভারতের কাছে কাতর আর্জি ৪ নেপালির

    সিবিআইকে প্রশ্ন আদালতের

    সিবিআই নিয়োগ মামলার (Recruitment Scam) চার্জশিট পেশ করেছে। তবে আরও কিছু তদন্ত বাকি আছে বলে জানিয়েছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। এতেই বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি। সিবিআইয়ের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, ‘‘কেন আপনারা দ্রুত ট্রায়াল শুরু করছেন না? সাজা ঘোষণা না হলে একটি দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে। জাপান, সিঙ্গাপুর অনেক উন্নত দেশ। তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে দ্রুত সাজা ঘোষণা করে। এ ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিষ্ঠিত হলে কেন ট্রায়ালই শুরু করা যাচ্ছে না?’’ বিচারপতির প্রশ্নের মুখে সিবিআইয়ের আইনজীবী অমাজিৎ দে জানান, চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। অতিরিক্ত চার্জশিটও দেওয়া হয়েছে। তদন্তের সামান্য কিছু অংশ বাকি রয়েছে। সেটি দ্রুত সম্পূর্ণ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: শাহজাহানের ফোনের তথ্য নষ্ট করেছে রাজ্য পুলিশ, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: শাহজাহানের ফোনের তথ্য নষ্ট করেছে রাজ্য পুলিশ, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হদিশ মিলছে না শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) দুটি মোবাইল ফোনের। সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে নেওয়ার পর থেকেই তাঁর মোবাইলের খোঁজ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গোয়েন্দা কর্তারা মনে করছেন এই দুটি ফোন মিললেই শাহজাহানের অজ্ঞাতবাস সম্পর্কিত একাধিক প্রশ্নের জবাব মিলবে। এরই মধ্যে বিরোধী দলনেতা  শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দাবি করলেন, শাহজাহানের ফোনের তথ্য নষ্ট করেনি তো রাজ্য পুলিশ।

    শুভেন্দুর দাবি

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন এক্স হ্যান্ডেলে করা পোস্টে বলেছেন, শেখ শাহজাহান যখন মমতার পুলিশের শেল্টারে ছিলেন, তার কথাকথিত গ্রেফতার হওয়ার আগে আমিনুল নামে একজন অফিসার তার আইফোন থ্রি অনুষ্ঠানিকভাবে বাজেয়াপ্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন। শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁর নির্ভরযোগ্য সূত্র ফোনটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত নয় কেউ। সেটি কি পুলিশের হেফাজতে আছে, নাকি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে সিবিআইকে ট্যাগ করে বলেছেন, এই বিষয়টি যেন খতিয়ে দেখা হয়। ওই ফোনে যে নম্বরটি ব্যবহারকরা হত তাও তিনি উল্লেখ করেছেন। শুভেন্দুর দাবি, শেখ শাহজাহান এই ফোনটি ব্যবহার করত তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য।

    ফোনের খোঁজ নেই

    গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে যায় ইডি। সেখানেই শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) লোকজন ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ফোনে উস্কানি দিয়েই যে সেদিন শাহজাহান আক্রমণ সংগঠিত করেছিল তা গোয়েন্দাদের কাছে স্পষ্ট। এমনকি ফোনের টাওয়ার দেখেই ইডি আধিকারিকরা নিশ্চিত হন যে সেই সময় বাড়িতেই ছিল শাহজাহান।

    আরও পড়ুন: হাতির পিঠে জঙ্গল পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী, কাজিরাঙায় জিপ সাফারিও করলেন মোদি

    তারপরেই বেপাত্তা হয়ে যায় সে। ৫৬ দিন পর তাকে ধরা গেলেও দুটি মোবাইল ফোনের কোনও হদিশ মেলেনি। ফোন মিললেই সন্দেশখালির কোন কোন নেতার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবে সিবিআই। তাই এই দুটি ফোনের খোঁজ পেতে এখন মরিয়া হয়ে উঠেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালি মামলার সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক সিবিআই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Sandeshkhali: সন্দেশখালি মামলার সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক সিবিআই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনায় এবার সাক্ষীদের নিরাপত্তা দেওয়ার আর্জি জানানো হল কলকাতা হাইকোর্টে। সিবিআই নাকি পুলিশ, কে দেবে নিরপত্তা? এব্যাপারে হাইকোর্ট ভরসা রাখল সিবিআই-এর ওপরেই। তাদেরই নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি দেখতে বলল হাইকোর্ট। শুনানির শুরুতেই পুলিশের ওপর সন্দেশখালির মহিলাদের ভরসা না থাকার বিষয়টি তুলে ধরে উচ্চ আদালত। হাইকোর্ট এদিন প্রশ্ন তোলে, ‘‘রাজ্য পুলিশে আস্থা নেই সন্দেশখালির মহিলাদের। তাহলে তাঁদের নিরাপত্তা কে দেবে?’’ এছাড়াও মামলা বর্তমানে সিবিআইয়ের হাতে, তাই এই মামলার সঙ্গে জড়িত সাক্ষীদের নিরাপত্তার দিকটিও সিবিআইয়ের-ই দেখা উচিত বলেই মনে করেছে কোর্ট। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    সিবিআই দেবে নিরাপত্তা

    কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবারই জানিয়েছে, বিশেষত যাঁরা সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) থাকেন, তাঁদের জীবন-জীবিকার নিরাপত্তার প্রয়োজন। যেহেতু সিবিআইয়ের হাতে এখন তদন্ত হস্তান্তর করা হয়েছে, তাই সিবিআইকেই এই মামলায় যাঁরা সাক্ষী হিসাবে কোনও বয়ান দিয়েছেন বা কথা বলেছেন, তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে নির্দিষ্ট আইন ও নির্দেশিকা মেনে।

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি?

    এদিন আদালতে আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল জানিয়েছেন, সন্দেশখালির (Sandeshkhali)  প্রায় ৮০ জন আক্রান্ত মহিলা বয়ান দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে লিখিত আবেদন জমা করার নির্দেশ দেন। আদালতবান্ধব জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জমি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে।  কিন্তু বিডিও কীভাবে সেই জমি ফেরত দিচ্ছেন?’’ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে শুরু করে জমি কেড়ে নেওয়া সংক্রান্ত যে সমস্ত অভিযোগ আসছে সমস্ত কিছু শোনা হবে। কিন্তু তার আগে সব পক্ষকে তাদের বক্তব্য হলফনামা আকারে জানাতে হবে।’’ জানা গিয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানি  ৪ এপ্রিল। এদিন ইডির কৌঁসুলি হাইকোর্টে জানান, রাজ্যকে অনুরোধ করা হচ্ছে বাকি এফআইআর তাদের হস্তান্তর করা হোক। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এখন সন্দেশখালিতে কেউ না গেলেই ভালো হবে।’’

     

    আরও পড়ুুন: “আরও ১০ বছরও প্রধানমন্ত্রী থাকবেন মোদি”, সাফ জানালেন শাহ

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED Raids: পার্থ ঘনিষ্ঠ পার্শ্ব শিক্ষকের বাড়ি সহ শহরের ৩ জায়গায় হানা ইডির, এবার কোন মামলায়?

    ED Raids: পার্থ ঘনিষ্ঠ পার্শ্ব শিক্ষকের বাড়ি সহ শহরের ৩ জায়গায় হানা ইডির, এবার কোন মামলায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সকাল থেকে ইডি হানা (ED Raids) চলছে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলায়। এদিন পার্থ ঘনিষ্ঠ এক পার্শ্ব শিক্ষকের বাড়িতেও হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এদিন ইডি আধিকারিকরা পৌঁছে যান রাজারহাটের কাশীনাথপুরের চন্দন চট্টোপাধ্যায় নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে। সেখানে শুরু হয়েছে তল্লাশি (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩ জায়গায় তল্লাশি চলছে)। প্রসঙ্গত বলে রাখা প্রয়োজন, প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় দুই তদন্তকারী সংস্থা, সিবিআই এবং ইডি।

    রাজারহাটে তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা

    জানা গিয়েছে, রাজারহাটে যাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি (ED Raids), সেই চন্দন চট্টোপাধ্যায় জমি বাড়ির দালালি সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে এদিন মহিলা জওয়ানদেরও দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত মধ্যস্থতাকারী প্রসন্ন রায়ের সঙ্গে চন্দন চট্টোপাধ্যায় কোনও যোগাযোগ থাকতে পারে জেনেই এই তল্লাশি চলছে।

    আরও পড়ুন: ফের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়াল মোদি সরকার, রাজ্যের সঙ্গে ফারাক বেড়ে ৪০ শতাংশ

    নাগেরবাজারে চলছে তল্লাশি

    এর পাশাপাশি, তল্লাশি অভিযান চলছে নাগেরবাজারের ডায়মন্ড সিটি নর্থের একটি ফ্ল্যাটে। সেখানে কমল আগরওয়াল নামের এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিবেশীরা বলছেন, যাঁর বাড়িতে তল্লাশি (ED Raids) চালানো হচ্ছে, তিনি অনেক দিন আগেই কমপ্লেক্স ছেড়ে চলে গিয়েছেন।

    পার্শ্ব শিক্ষকের বাড়িতে হানা ইডির 

    নিউটাউনের পাথরঘাটা এলাকায় আবদুল আমিন নামের এক পার্শ্বশিক্ষকের বাড়িতেও এদিন সকালে হানা দিয়েছেন ইডির পাঁচ আধিকারিক। সূত্রের খবর, এই শিক্ষক রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। ইডির (ED Raids) পাঁচ সদস্যের তদন্তকারী দল বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে, রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    আরও পড়ুন: চাকরির টোপ দিয়ে ‘মানব’ পাচার রাশিয়ায়, চক্রের খোঁজে ভারতজুড়ে সিবিআই তল্লাশি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: চাকরির টোপ দিয়ে ‘মানব’ পাচার রাশিয়ায়, চক্রের খোঁজে ভারতজুড়ে সিবিআই তল্লাশি

    CBI: চাকরির টোপ দিয়ে ‘মানব’ পাচার রাশিয়ায়, চক্রের খোঁজে ভারতজুড়ে সিবিআই তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোটা মাইনের লোভ দেখিয়ে ভারতীয় তরুণদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রাশিয়ায়। পরে তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে, ক্ষেপণাস্ত্রের খাদ্য হতে। এ ব্যাপারে একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যের আসার পর শুক্রবার সাত সকালে দেশের ১৩টি জায়গায় তল্লাশি চালাল সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৩৫ জনকে এভাবে পাচার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছেন তদন্তকারীরা। এখনও কত তরুণ না জেনেই জড়িয়ে গিয়েছেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে, তা জানতে জোর কদমে চলছে তল্লাশি।

    দেশজুড়ে সিবিআই তল্লাশি (CBI)

    এদিন দিল্লি, মুম্বই, তিরুবনন্তপূরম, অম্বালা, চণ্ডীগড়, মাদুরাই এবং চেন্নাইয়ে তল্লাশি চালিয়ে সিবিআই নগদ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা, সন্দেহজনক নথিপত্র, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, মোবাইল ফোন এবং সিসিটিভি ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (CBI) দাবি, মানব পাচারকারীদের একটি সুসংহত চক্র কাজ করছে একাধিক রাজ্যজুড়ে।

    চাকরির টোপ দিয়ে ধরা হচ্ছে ‘ছেলে’

    ইউটিউব চ্যানেল ও সমাজমাধ্যমে যেমন রাশিয়ায় চাকরির টোপ দেওয়া হচ্ছে, তেমনি স্থানীয় এজেন্টরাও সক্রিয় ‘ছেলে’ ধরতে। টোপ গিলে নেওয়ার পর ওই তরুণদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন রণক্ষেত্রে। রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ান সেনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করছেন ভারতীয় তরুণরা। রণাঙ্গনে গিয়ে জখমও হয়েছেন অনেকে। চাকরির টোপ গিলে সমরভূমে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন হায়দরাবাদের মহম্মদ আফসান বা সুরাটের হামিল মাঙ্গুকিয়ার মতো তরুণরা। রাশিয়ায় বেড়াতে যাওয়া সাত ভারতীয়কেও জোর করে বহাল করা হয়েছে রাশিয়ান সেনাবাহিনীতে।

    আরও পড়ুুন: “আরও ১০ বছরও প্রধানমন্ত্রী থাকবেন মোদি”, সাফ জানালেন শাহ

    সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে চার যুবক দাবি করেছেন, চাকরি দেওয়ার নামে তাঁদের রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছিল। পরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ইউক্রেনের রণাঙ্গনে। ভাইরাল হওয়া ১৫০ সেকেন্ডের আরও একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, একটি ছোট্ট ঘরের ভিতরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কয়েকজন যুবক। তাঁদেরও অভিযোগ, তাঁদের ভুল বুঝিয়ে যোগ দেওয়ানো হয়েছে রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে।

    তদন্ত করতে গিয়ে জনৈক ফয়সল খানের নাম জানতে পেরেছেন সিবিআইয়ের (CBI) তদন্তকারীরা। তাঁরা জেনেছেন, জোর করে রাশিয়া পাঠানোর যে অভিযোগ বিভিন্ন পরিবার করছে, তারা প্রত্যেকেই পুলিশকে জানিয়েছে ফয়সলের কথা। এই ব্যক্তিই সিকিউরিটি গার্ড বা শ্রমিকের চাকরি দেওয়ার নামে অনেক যুবককে রাশিয়ায় পাঠিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মলয় পিটকে জেরা সিবিআইয়ের

    Anubrata Mondal: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মলয় পিটকে জেরা সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) ফের সক্রিয় হল সিবিআই। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বুধবার সিবিআই দফতরে আসেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ী মলয় পিট (Malay Pith)। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর আগেও একাধিক বার বোলপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার মলয়কে ডাকা হলেও তিনি হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। 

    কেন জিজ্ঞাসাবাদ মলয়কে

    সিবিআই সূত্রে খবর, বুধবার সকাল ১১টার নাগাদ নিজাম প্যালেসে আসেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ী মলয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় মিডলম্যানের কাজ করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বুধবার মলয়কে তলব করা হয়েছিল। মলয় একাধিক বিএড কলেজের সঙ্গে যুক্ত। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য পেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। সেই সব তথ্য সামনে রেখেই বুধবার মলয়কে জেরা করে সিবিআই। সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার গোয়েন্দারা তাঁকে নিজাম প্যালেসের ১৩ তলায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন। 

    আরও পড়ুন: জনসভায় মোদিকে ব্যক্তিগত আক্রমণ, রাহুলকে ফের সতর্ক করল নির্বাচন কমিশন

    অনুব্রতর (Anubrata Mondal) সঙ্গে যোগ

    অতীতে গরুপাচার মামলাতেও নাম জড়িয়েছিল ব্যবসায়ী মলয় পিটের। তখন সিবিআইয়ের (CBI) জেরার সম্মুখীন হয়েছিলেন। তবে শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam)  মামলায় এই প্রথম কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হলেন। বর্তমানে জেলবন্দি বীরভূমের জেলা তৃণমূল (TMC) সভাপতি অনুব্রত ওরফে কেষ্টর সঙ্গে মলয়ের ঘনিষ্ঠতার কথা অনেকেই জানেন। শোনা যায়, অনুব্রত (Anubrata Mondal) যে গাড়িতে চেপে ঘুরতেন, সেটিও এই ব্যবসায়ীর নামেই ছিল। প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলার বড় ব্যবসায়ী হিসেবে বেশ নামডাক আছে মলয়ের। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত ১০ বছরে উল্কার গতিতে উত্থান হয়েছে তাঁর। রাজ্যে প্রচুর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরির পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবসাতেও প্রতিপত্তি বেড়েছে মলয়ের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share