Tag: cbi

cbi

  • CBI Consent Case: সিবিআই একটি স্বাধীন, স্বতন্ত্র সংস্থা, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    CBI Consent Case: সিবিআই একটি স্বাধীন, স্বতন্ত্র সংস্থা, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই একটি স্বাধীন, স্বতন্ত্র সংস্থা, কেন্দ্রীয় সরকারের অঙ্গ নয়। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে সাফ জানিয়ে দিল কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গে সিবিআই (CBI Consent Case) তদন্তের জেনারেল কনসেন্ট প্রত্যাহার করে নিয়েছে রাজ্য সরকার। তার পরেও রাজ্যের অনুমতি ছাড়া একের পর এক মামলায় এফআইআর করতে শুরু করে সিবিআই। এর পরেই সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার।

    সলিসিটর জেনারেলের যুক্তি

    এদিন শুনানির জন্য মামলাটি ওঠে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গবই ও বিচারপতি অরবিন্দ কুমারের বেঞ্চে। কেন্দ্রের হয়ে শুনানি করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। সেখানেই তিনি জানিয়ে দেন, সিবিআই স্বাধীন ও স্বতন্ত্র একটি সংস্থা। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের করা মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল। শীর্ষ আদালতে তিনি জানান, সিবিআইয়ের (CBI Consent Case) তদন্তের ধরন বা এফআইআর করার সিদ্ধান্তে নাক গলায় না কেন্দ্র। তাই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা যায় না। কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল এও জানান, যেসব ঘটনায় সিবিআইয়ের তদন্ত বা এফআইআরের বিরুদ্ধে আপত্তি তুলেছে রাজ্য সরকার, সেই তদন্ত সিবিআই শুরু করেছে কলকাতা হাইকোর্ট কিংবা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। তাই রাজ্য সরকারের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন কেন হবে?

    ‘সিবিআই আর কেন্দ্রীয় সরকার এক নয়’

    তিনি বলেন, “সিবিআই আর কেন্দ্রীয় সরকার এক নয়। যদি সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, তাহলে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধেই মামলা করতে হবে। এই সংস্থার ওপর আমাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। এটি একটি স্বাধীন সংস্থা।” সলিসিটর জেনারেল বলেন, “ভারতীয় সংবিধানের ১৩১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কেন্দ্র ও রাজ্যের মতপার্থক্য হলে তবেই অরিজিনাল সিভিল স্যুট দায়ের করা যায়। এ ক্ষেত্রে যেহেতু অভিযোগটা সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নয়, তাই এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রের কোনও ভূমিকাই নেই।”

    আরও পড়ুুন: সংসদের শীতকালীন অধিবেশন বসবে ৪ ডিসেম্বর, পেশ হবে মহুয়াকে বহিষ্কারের সুপারিশ!

    তাঁর অভিযোগ, সিবিআই পশ্চিমবঙ্গে রেলের জমি থেকে ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ডসের কয়লা পাচারের তদন্ত শুরু করেছিল। সেই তদন্তে বিশেষ একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করার উদ্যোগ নিতেই এই মামলা করেছে রাজ্য সরকার।” বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, তদন্তের বিষয়টা বুঝতে পারছি। সিবিআই স্বাধীনভাবেই কাজ করবে। তবে প্রশাসনিক দিক থেকে সিবিআই কেন্দ্রেরই অধীন। এই মামলার (CBI Consent Case) পরবর্তী শুনানি হবে ২৩ নভেম্বর।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Primary Recruitment Scam: গৌতম পালের রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, জেরা করতে পারবে সিবিআই?

    Primary Recruitment Scam: গৌতম পালের রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, জেরা করতে পারবে সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি সুপ্রিম কোর্টে পেলেন না রক্ষাকবচ। এবার শিক্ষক দুর্নীতি (Primary Recruitment Scam) নিয়োগের তদন্তে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে হবে সভাপতিকে। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল এবং উপ সচিব পার্থ কর্মকার। সোমবার তাঁদের আবেদন খারিজ হয়। এবার কি হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা?

    খারিজ হল পর্ষদ সভাপতির রক্ষাকবচ

    প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Primary Recruitment Scam) গত ১৮ অক্টোবর পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালকে (Gautam Pal) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাবাদ করার কথাও বলেছিলেন বিচারপতি। আর হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিশেষ রক্ষাকবচ চেয়ে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করেছিলেন গৌতম পাল। কিন্তু আজ এই আবেদনকে খারিজ করে দেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস এবং বেলা এম ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চ। পরবর্তী শুনানি হবে আগামী শুক্রবার।

    পর্ষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী

    সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার উত্তরপত্র স্বরূপ ওএমআরশিট দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে’। ইতিমধ্যে সংস্থার কর্ণধার কৌশিক মাজিকে নিজাম প্যালেসে ডেকে দুর্নীতি (Primary Recruitment Scam) তদন্তের জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। এরপর মামলাকারীর আইনজীবী জানান, উত্তরপত্র শিটের ডিজিটাল ফরম্যাটের তথ্যে অনেক ভুল রয়েছে। আদালতে যে নথি উত্তরপত্রের শিট বলে জমা করেছে পর্ষদ, তা আদতে ত্রুটিপূর্ণ। ওএমআর শিট রূপে যা দেখানো হয়েছে, তা কার্যত ডিজিটাল ফরম্যাট নয়, হাতে টাইপ করা শিট। আর এতেই দুর্নীতির বিষয়কে অনুমান করা হচ্ছে। এরপরেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে টেটে পরীক্ষার উত্তরপত্রের রিপোর্ট জমা করে পর্ষদ।

    পর্ষদ আইনজীবীর বক্তব্য

    পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের (Gautam Pal) আইনজীবীর বক্তব্য, “২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল সময় পর্বের নিয়োগ প্রক্রিয়ার তদন্ত চলছে। কিন্তু বর্তমান পর্ষদ সভাপতির কাজ কী?”  এই প্রেক্ষিতে, সিবিআইয়ের বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিস পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে, গৌতম পালের রক্ষাকবচের আবেদন গ্রাহ্য করেনি বেঞ্চ। আদালতের পর্যবেক্ষণ, যদি তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করা হয় তাহলে গ্রেফতারের আশঙ্কা কেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC Minister: মন্ত্রী-বিধায়ক থেকে রাঘব-বোয়াল, গত ১ বছরে চুরির অভিযোগে জেলে তৃণমূলের ৭ নেতা-মন্ত্রী

    TMC Minister: মন্ত্রী-বিধায়ক থেকে রাঘব-বোয়াল, গত ১ বছরে চুরির অভিযোগে জেলে তৃণমূলের ৭ নেতা-মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির অভিযোগে (TMC Minister) তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের জেলযাত্রা শুরু হয়েছিল ২০২২ সালের ২৩ জুলাই থেকে। সেসময় গ্রেফতার হন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিগত এক বছরে এভাবেই রাজ্যের শাসকদলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা, বিধায়ক, মন্ত্রীসহ একাধিক রাঘব বোয়াল গ্রেফতার হয়েছেন চাকরি চুরি, গরু চুরির অভিযোগে। শুক্রবার রেশনের চাল চুরির অভিযোগের গ্রেফতার হলেন মমতা মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

    আমরা এক নজরে দেখে নেব বিগত এক বছরে গ্রেফতার হওয়া নেতাদের তালিকা

    গ্রেফতার মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

    ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় (TMC Minister) ইডির হাতে গ্রেফতার হন তিনি। রেশন বন্টন মামলায় চুরির অভিযোগে পুজোর আগেই গ্রেফতার হন বাকিবুর রহমান। তাঁর সূত্র ধরে উঠে আসে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম।

    গতবছরের জুলাইতে গ্রেফতার মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়

    ২০২২ সালে ২৩ জুলাই গ্রেফতার করা হয় মমতা মন্ত্রিসভার (TMC Minister) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থর সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয় তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে।

    ২০২২ সালের অগাস্টে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা  অনুব্রত

    ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট গরু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। তার আগে অবশ্য একাধিকবার অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে সিবিআই। তবে তিনি হাজিরা দেননি। অবশেষে বাড়ি গিয়ে তাঁকে জেরা করা হয় এবং গ্রেফতার করা হয়।

    ২০২২ সালের অক্টোবরে গ্রেফতার বিধায়ক মানিক

    ঠিক এক বছর আগে ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে।প্রসঙ্গত, মানিক ভট্টাচার্য ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। অভিযোগ সেসময়ই নিজের ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে নানা রকমের দুর্নীতি করেছিলেনতিনি। এমনকি টেটে সাদা খাতা জমা দিয়ে অনেকে চাকরিও পেয়েছিলেন মানিকের বদান্যতায়।

    ২০২৩ সালের এপ্রিলে গ্রেফতার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ

    ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল সিবিআই গ্রেফতার করে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে টানা ৬৫ ঘণ্টা তল্লাশি শেষে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের এই বিধায়ককে। 

    ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে গ্রেফতার যুব নেতা কুন্তল ঘোষ

    চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার। বেসরকারি বিএড কলেজের ব্যবসা চালাতেন তাপস মণ্ডল নামে জনৈক ব্যক্তি। তাপস মণ্ডলের সূত্র ধরেই উঠে আসে নিয়োগ দুর্নীতিতে (TMC Minister) কুন্তলের নাম।

    ২০২৩ সালের মার্চে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা শান্তনু

    ২০২৩ সালের ১১ মার্চ ইডির হাতে গ্রেফতার করা হয় কুন্তল ঘোষ ঘনিষ্ঠ শান্তনু বন্দোপাধ্যায়কে। হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনুর বিরুদ্ধে ওঠে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Enforcement Directorate: এসএসকেএমকে চিঠি দিল ইডি, চাইল সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা

    Enforcement Directorate: এসএসকেএমকে চিঠি দিল ইডি, চাইল সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দিল ইডির (Enforcement Directorate) বিশেষ আদলত। এসএসকেএমের মেডিক্যাল টিম জানিয়েছে, কালীঘাটের কাকুর শারীরিক অবস্থা অনেকটাই এখন ঠিক। আর তাই এবার অভিযুক্ত কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা দেওয়ার কথা বলে এসএসকেএমকে চিঠি দিল ইডি। ঘটনায় তদন্তের গতি অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে বিরোধী শিবির।

    চিঠি দিল ইডি (Enforcement Directorate)

    প্রেসিডেন্সি জেলেও চিঠি পাঠিয়েছে ইডি (Enforcement Directorate)। জেলে থাকার সময় কালীঘাটের কাকুর শারীরিক অবস্থা কেমন ছিল, তা জানতে চেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। সেই সঙ্গে প্রশ্ন তোলা হয়, কাকু বিচারাধীন বন্দি, কেন এতদিন ধরে এসএসকেএমে রেখে দেওয়া হয়েছে? সম্প্রতি সবটা জানতে জেলেও যায় ইডি। ইতিমধ্যে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর নামে চার্জশিটও পেশ করেছে ইডি। আরও জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ২০ কোটির লেনদেনের সঙ্গে কাকুর আরও ৩ কোটির যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। তাই ফের তদন্তকে আরও গতি দিতে সুজয়কৃষ্ণর কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার কথা বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে ইডি। 

    ইডির দাবি

    ইডি (Enforcement Directorate) সূত্রের খবর, সোমবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পাঠানো চিঠিতে সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করার কথা জানানো হয়েছে। উল্লখ্য, এসএসকেএমের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্যের ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির কর্তাদেরকে কালীঘাটের কাকুর গলার স্বরের টেস্টের জন্য ইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা বিচার ভবনের সিবিআই আদালতের বিচারক। ইডির এক কর্তার দাবি, কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য একটি কাচের ঘরের প্রয়োজন। ঘর এমন হবে যাতে ঘরের বাইরে থেকে ভিতরে এবং ভিতর থেকে বাইরে কোনও শব্দ যাবে না। একজন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের উপস্থিতিতে এই নমুনা সংগ্রহ করতে হবে। আর তাই এসএসকেএমকে এই ঘরের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।

    দুই মাস ধরে এসএসকেএমে কাকু

    স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির (Enforcement Directorate) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। কিন্তু গ্রেফতারের পর থেকেই অসুস্থতার দাবি করেছেন বারবার। ইতিমধ্যে আকস্মিক তাঁর স্ত্রীর মৃত্যুতে জেল থেকে প্যারোলে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে এসেছিলেন। ঠিক পর পরই আবার অসুস্থ হয়ে এসএসকেএমে বুকে ব্যথা নিয়ে ভর্তি হন। এরপর অস্ত্রোপচার করার পর বর্তমানে সব মিলিয়ে দুই মাস অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, তৃণমূলের অনেক বড় বড় নেতা, ইডি কিংবা সিবিআইয়ের হাতে আটক হলেই বার বার এসএসকেএমে ভর্তি হয়েছেন। উল্লেখ্য মদন মিত্র, অনুব্রত মণ্ডল, ববি হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের কাছে এই হাসপাতাল ছিল আশ্রয়ের প্রধান কেন্দ্র। অবশ্য বিজেপির বক্তব্য, তৃণমূলের নেতারা দুর্নীতির তদন্তে গ্রেফতার হলেই এসএসকেএমকে নিরাপদ জায়গা মনে করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: মণিপুরে ২ মহিলাকে গণধর্ষণ ও বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ঘটনায় চার্জশিট দিল সিবিআই

    Manipur Violence: মণিপুরে ২ মহিলাকে গণধর্ষণ ও বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ঘটনায় চার্জশিট দিল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ৩ মে থেকে হিংসা (Manipur Violence) ছড়ায় মণিপুরে। ঠিক তার পরের দিন ৪ মে অভিযোগ ওঠে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে দুই কুকির জনজাতি মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর। আরও অভিযোগ তাঁদেরকে গণধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই, সোমবারই চার্জশিট জমা দিল। জানা গিয়েছে, চার্জশিটে মোট ৭ জন অভিযুক্তের নাম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন নাবালকও রয়েছে। এই ঘটনার ২৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বেশ কয়েকদিন আগে সারা দেশ জুড়ে ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে মধ্যযুগীয় বর্বরতা দেখে চমকে ওঠে সারা দেশ।

    নির্যাতিতা কী বললেন?

    ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই দুই নির্যাতিতার (Manipur Violence) মধ্যে একজন সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছিলেন। ওই নির্যাতিতার দাবি, খুনের ভয় দেখিয়ে দুষ্কৃতীরা জনসমক্ষে সেদিন তাঁকে বিবস্ত্র করেছিল। ওই ঘটনার পরে স্থানীয় থানাতে ১৮ মে এফআইআরও করেন নির্যাতিতা। ওই নির্যাতিতার আরও দাবি, ৪ মে তাঁর বাবা এবং ভাইকেও খুন করেছিল বিক্ষোভকারীরা। অভিযুক্তরা কেউই গ্রেফতার হয়নি বলে জানিয়েছেন ওই মহিলা। চলতি বছরের ২৭ জুলাই মণিপুরের সরকার এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত নির্দেশ চায় এবং সেই মতো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তা অনুমোদনও করে। ২৯ জুলাই থেকে এই মামলার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। সোমবারই জমা পড়ল তার চার্জশিট।

    মে মাস থেকেই অশান্ত মণিপুর

    প্রসঙ্গত চলতি বছরের মে মাস থেকেই উত্তপ্ত হয় মণিপুর। ৩ মে একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে গোষ্ঠী সংঘর্ষ (Manipur Violence) ছড়ায় কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে। লুট, অগ্নিসংযোগ, হত্যা, গণধর্ষণ এ সমস্ত নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে ওঠে। এখনও পর্যন্ত ২০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন হিংসার ঘটনায়।  হিংসা ঠেকাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও যান মণিপুর সফর করেন বেশ কয়েকমাস আগে। ১০১ কোটি টাকার কেন্দ্রীয় প্যাকেজও ঘোষণা করেন অমিত শাহ। দুপক্ষের অর্থাৎ কুকি এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের কাছে শান্তির আবেদনও জানান অমিত শাহ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Fake Passport: পাকিস্তানের আইএসআইয়ের জন্যও তৈরি হত জাল পাসপোর্ট! খতিয়ে দেখছে সিবিআই

    Fake Passport: পাকিস্তানের আইএসআইয়ের জন্যও তৈরি হত জাল পাসপোর্ট! খতিয়ে দেখছে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাল পাসপোর্টকাণ্ডের তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য সিবিআইয়ের হাতে! কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জেনেছেন, জাল পাসপোর্ট (Fake Passport) তৈরির একটি চক্র রয়েছে। এই চক্রই জাল পাসপোর্ট তৈরির বরাত পায়। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইও এদের বরাত দেয়।

    পাসপোর্ট যেত আইএসআইয়ের হাতে

    বাংলাদেশের কোনও নাগরিকের নামে তৈরি হওয়া পাসপোর্ট চলে যায় আইএসআইয়ের হাতে। জঙ্গিরা যাতে ভায়া বাংলাদেশ ভারতে ঢুকতে পারে, তাই এমনতর ব্যবস্থা। এদের পাশাপাশি জাল পাসপোর্ট তৈরি করত জেএমবি এবং আকিসের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলির স্লিপার সেলের সদস্যরাও। এই চক্রের পান্ডারা গত কয়েক মাসে বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জেনেছেন গোয়েন্দারা। সিবিআই জেনেছে, মূলত দুটি রুট দিয়ে ভারতে ঢোকে জাল পাসপোর্টধারী জঙ্গিরা। এক, বাংলাদেশ হয়ে হিলি সীমান্ত টপকে এবং দুই, উত্তরবঙ্গ দিয়ে।

    জাল পাসপোর্ট চক্রের জাল 

    সিবিআইয়ের দাবি, এই জাল পাসপোর্ট চক্রের শিকড় ছড়িয়ে রয়েছে শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা পর্যন্ত। গ্যাংটকের পাসপোর্ট অফিসের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফিসার গৌতম সাহাকে গ্রেফতারের পর এবার তদন্তকারীদের নজরে রয়েছেন কলকাতার রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসের এক কর্তাও। শনিবার দিনভর (Fake Passport) অভিযান চালিয়ে গৌতমের সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছিল দীপু ছেত্রী নামে এক এজেন্টকে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল মিডলম্যান বরুণজিৎ সিং রাঠোরকে। গভীর রাতে গ্রেফতার করা হয় তাকেও। জাল পাসপোর্ট তৈরি করে অনুপ্রবেশ করার মামলায় কলকাতা সহ রাজ্যের নানা প্রান্ত এবং গ্যাংটকের পাসপোর্ট অফিসের ২৫ জন কর্তা, একাধিক কর্মী ও এজেন্টের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে সিবিআই। কলকাতা, উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমের ৫০টি জায়গায় তল্লাশি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: শিশু-কিশোরীদের ধর্ষণ-খুন করে মাংস ভক্ষণ! নিঠারিকাণ্ডে দুই আসামিরই ফাঁসি রদ

    ভুয়ো পাসপোর্ট (Fake Passport) চক্রের জাল অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। নেপালের একাধিক বাসিন্দার জন্মের শংসাপত্র সহ বিভিন্ন জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে তাঁদের ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই জাল পাসপোর্ট তৈরির কাজে দার্জিলিংয়ের এক অফিসার যুক্ত বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এক এজেন্ট প্রথমে ১৮টি ও পরে আরও ৯টি পাসপোর্ট তৈরির জন্য অফিসারদের ঘুষ দিয়েছিল বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। এই ঘুষ নেওয়া আধিকারিকদের নামের তালিকাও তৈরি করছেন গোয়েন্দারা। উদ্ধার হওয়া ফোনের কললিস্ট থেকে গোয়েন্দারা জেনেছেন বিপুল অর্থ লেনদেন হয়েছে। ওই টাকা কোথায় গিয়েছে, তাও জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • CBI: পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রের পর্দাফাঁস সিবিআইয়ের, একযোগে দেশের ৫০ শহরে হানা

    CBI: পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রের পর্দাফাঁস সিবিআইয়ের, একযোগে দেশের ৫০ শহরে হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাসপোর্ট জালিয়াতিচক্রের পর্দা ফাঁস করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এদিন পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমের প্রায় ৫০টি জায়গায় হানা দেয় বলে সূত্রের খবর। অভিযানে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে সিবিআই (CBI)। ধৃতদের মধ্যে একজন পাসপোর্ট অফিসের শীর্ষকর্তাও রয়েছেন বলে খবর। ওই শীর্ষকর্তার নাম জানা গিয়েছে গৌতম কুমার সাহা। অন্যদিকে একজন হোটেল কর্মীকেও ১ লাখ ৯০ হাজার টাকার নগদসহ গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, এই হোটেল কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরে পাসপোর্ট জালিয়াতিচক্রের সঙ্গে জড়িত ছিল। সূত্রের খবর এই দিনের তল্লাশি অভিযানে মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা রজু করেছে সিবিআই। এই ২৪ জনের মধ্যে ১৬ জন পাসপোর্ট অফিসের আধিকারিকের নাম রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যাঁরা জাল নথির বদলে আসল পাসপোর্ট ইস্যু করে দিতেন। এর সবটাই চলত মোটা টাকা ঘুষের লেনদেনের উপরে।

    শনিবার ভোরে হাওড়ার উলুবেরিয়ায় হানা দেয় সিবিআই (CBI) 

    শনিবারই ভোরে হাওড়ার উলুবেরিয়া বাসিন্দা শেখ শাহানুরের বাড়িতে আচমকাই হানা দেয় সিবিআইয়ের (CBI) ৬ সদস্যের একটি তদন্তকারী দল। ৬ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় শাহানুরকে। এরপর শাহানুরকে গাড়িতে করে নিয়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। ঠিক একই সময়ে রুবি এলাকায় পাসপোর্ট অফিসে সিবিআইয়ের অন্য একটি দল হানা দেয় সাতসকালে।

    পাসপোর্ট ইস্যু খুব গুরুত্বপূর্ণ, দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা স্বার্থে

    জানা গিয়েছে দীর্ঘদিন ধরে জাল নথির উপর ভিত্তি করে আসল পাসপোর্ট ইস্যু করার অভিযোগ ছিল সিবিআইয়ের কাছে। সেই মতো তারা জালিয়াতিচক্রের সন্ধান শুরু করে। শনিবার ওই জালিয়াতিচক্রকে ধরতে কলকাতা, শিলিগুড়ি গ্যাংটকের একাধিক জায়গায় হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পাসপোর্ট ইস্যু খুব গুরুত্বপূর্ণ। দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা স্বার্থে (CBI)। ভুয়ো নথির সাহায্যে পাসপোর্ট ইস্যু যেকোনও বিদেশিও যেমন ভারতে এসে পাসপোর্ট পেয়ে যাবে, তেমনই অনায়াসেই ভুয়ো পাসপোর্টের দৌলতে ভারত থেকে যে কোনও অপরাধী অন্য দেশেও চলে যেতে পারে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Newsclick: জেল হেফাজতে নিউজক্লিকের প্রবীর-অমিত, ফের সিবিআই হানা প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদকের বাড়ি, অফিসে  

    Newsclick: জেল হেফাজতে নিউজক্লিকের প্রবীর-অমিত, ফের সিবিআই হানা প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদকের বাড়ি, অফিসে  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ দিনের জেল হেফাজত নিউজক্লিকের (Newsclick) প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থর। ওই নিউজ পোর্টালের এইচআর অমিত চক্রবর্তীকেও পাঠানো হয়েছে ১০ দিনের জেল হেফাজতে। মঙ্গলবার দিল্লির একটি আদালত প্রবীর ও অমিতকে জেল হেফাজতে পাঠায়। প্রসঙ্গত, ৩ অক্টোবর দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের হাতে গ্রেফতার হন প্রবীর এবং অমিত। পরের দিন অতিরিক্ত সেশন কোর্ট তাঁদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠায়।

    নিউজক্লিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার ফের আদালতে তোলা হলে পাঠানো হয় জেল হেফাজতে। এদিনই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রবীর-অমিত। আদালতে প্রবীরের হয়ে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি বলেন, “সব অভিযোগ মিথ্যে। চিন থেকে একটি পয়সাও আসেনি।” প্রসঙ্গত, নিউজক্লিকের (Newsclick) বিরুদ্ধে অভিযোগ, চিনপন্থী মার্কিন ধনকুবেরের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে জম্মু-কাশ্মীর ও অরুণাচল প্রদেশকে ‘বিতর্কিত’ এলাকা হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এর পরেই দিল্লিতে ৩০ জন সাংবাদিকের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। পরে গ্রেফতার করা হয় প্রবীর এবং অমিতকে।

    দিল্লি পুলিশের অভিযোগ

    এদিকে, বুধবারও প্রবীরের অফিস এবং বাসভবনে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। দায়ের হয়েছে এফসিআরএ মামলা। ইউএপিএ আইনে গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রবীর ও অমিতকে। ২০২১ সাল থেকে নিউজক্লিকের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। প্রবীরের সম্পত্তিও অ্যাটাচ করেছে তারা। দিল্লি পুলিশের দায়ের করা এফআইআরে বলা হয়েছে, এই নিউজ পোর্টালের (Newsclick) মোটা টাকা এসেছে চিন থেকে। ভারতের সার্বভৌমত্বকে ভাঙার জন্য এই চক্রান্ত। পিএডিএস নামে একটি গ্রুপের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রবীর এসব করতেন বলে অভিযোগ। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে অন্তর্ঘাত করার ছকও কষা হয়েছিল।

    আরও পড়ুুন: হাতে নয়া তথ্য, দাবি সিবিআইয়ের, তাই কি ফের খারিজ পার্থর জামিনের আর্জি?

    দিল্লি পুলিশ আগেই জানিয়েছিল, নিউজক্লিক প্রায় ৩৮ কোটি টাকা পেয়েছে চিনের সূত্র থেকে। চিনের পক্ষে খবর করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল ওয়েবসাইটটি। তারা যে ৩৮ কোটি টাকা পেয়েছিল, তার মধ্যে ২৯ কোটি টাকা পেয়েছিল এক্সপোর্ট সার্ভিস হিসেবে, এফডিআই হিসেবে পেয়েছিল ৯ কোটি টাকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: হাতে নয়া তথ্য, দাবি সিবিআইয়ের, তাই কি ফের খারিজ পার্থর জামিনের আর্জি?

    Recruitment Scam: হাতে নয়া তথ্য, দাবি সিবিআইয়ের, তাই কি ফের খারিজ পার্থর জামিনের আর্জি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পুজোটাও জেলের ঘুপচি সেলেই কাটাতে হবে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের তৎকালীন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। বুধবার আদালতে সিবিআই দাবি করে, নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় নতুন তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। সেগুলি যাচাই করতে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন পার্থকে। পার্থর জামিনের বিরোধিতাও করেছে তারা। এর পরেই খারিজ হয়ে যায় পার্থর জামিনের আবেদন। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে তাঁকে। পার্থ জানান, এ পর্যন্ত তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন তিনি। আগামিদিনেও করবেন। তবে গোয়েন্দারা নতুন কী তথ্য পেয়েছেন, তা জানা নেই।

    ‘নতুন নতুন তথ্য’

    তদন্তের অগ্রগতি (Recruitment Scam) নিয়ে নিম্ন আদালত এবং হাইকোর্টে ভর্ৎসিত হতে হয়েছে সিবিআইকে। অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে একাধিকবার ধমক খেতে হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থাকে। এদিন বিচারক শুভ্রসোম ঘোষালের এজলাসে সুর চড়াল সিবিআই। তদন্তকারী এই সংস্থার আইনজীবী আদালতে বলেন, “প্রতিদিন আমাদের তদন্তের অগ্রগতি হচ্ছে। নতুন নতুন তথ্য উঠে এসেছে। সেটা যাচাই করতে আমরা জেলে গিয়ে জেরা করতে চাইছি। আমরা হাইকোর্টকে রিপোর্ট দিচ্ছি। আমাদের তদন্তকারী অফিসার ঘুমিয়ে নেই।”

    পুজো কাটবে জেলেই!

    প্রসঙ্গত, সদ্য বদল হয়েছে সিবিআই বিশেষ আদালতে। এর আগে বিচারক ছিলেন অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন বিচারক ঘোষাল। নয়া এই বিচারকের এজলাসেই এদিন শুনানি হয়েছে পার্থর জামিনের। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে (Recruitment Scam) নাম জড়িয়েছিল পার্থর। তাঁকে জেরা করে ইডি গ্রেফতার করে পার্থকে। পরে গ্রেফতার করা হয় পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা। তার পর থেকে জেলে বন্দি রয়েছেন পার্থ-অর্পিতা। জামিন না মেলায় গত বছরও বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থর পুজো কেটেছিল গারদে। এবারও তাঁর পুজো কাটবে জেলেই।

    আরও পড়ুুন: টেট পাশের নথি দেখাতে পারেননি! ৯৪ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

    পার্থ জামিনের আবেদন করেছেন একাধিকবার। প্রতি বারই হতাশ হতে হয়েছে তাঁকে। সম্প্রতি পূর্ণ সময়ের একজন সহায়ক চেয়ে আবেদন করেছিলেন জেল কর্তৃপক্ষের কাছে। সেই আবেদনও খারিজ হয়ে গিয়েছে। এদিনও ফের বাড়ল তাঁর জেল হেফাজতের মেয়াদ (Recruitment Scam)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: ফের মুখ পুড়ল পার্থর! সহায়ক নিয়োগের আবদার খারিজ করে দিলেন জেল কর্তৃপক্ষ

    Partha Chatterjee: ফের মুখ পুড়ল পার্থর! সহায়ক নিয়োগের আবদার খারিজ করে দিলেন জেল কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এর আগে জামিন চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিশেষ সিবিআই আদালতের। প্রত্যাখাত হয়েছিলেন। এবার একজন পূর্ণ সময়ের সহায়ক চেয়ে আবেদন করেছিলেন নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। পার্থর সেই আবেদনেও সাড়া দিলেন না প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ। জেল সূত্রে খবর, পার্থর অনুরোধ মঞ্জুর হয়নি।

    খারিজ জামিনের আবেদন

    শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে পার্থ গ্রেফতার হন ২০২২ সালের ২২ জুলাই। তার পর থেকে তিনি রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে একাধিকবার জামিনের আবেদন করেছেন তিনি। দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিশেষ সিবিআই আদালতের। সর্বত্রই প্রত্যাখাত হয়েছেন পার্থ।

    খারিজ সহায়কের আবদারও 

    জানা গিয়েছে, সম্প্রতি চলতে-ফিরতে উঠতে-বসতে অসুবিধা হচ্ছে জানিয়ে পূর্ণ সময়ের একজন সহায়কের আবদার করেন পার্থ (Partha Chatterjee)। এ নিয়ে তিনি চিঠি দেন জেল কর্তৃপক্ষকে। তাঁরা আবার যোগাযোগ করেন এসএসকেএম হাসপাতালের সঙ্গে। সেখানে চিকিৎসকরা পার্থকে পরীক্ষা করে বেশ কিছু ওষুধ দিলেও, তাঁর সহায়কের প্রয়োজন নেই বলেই জানিয়ে দেন। কেবল পার্থ যখন ব্যায়াম করবেন, তখন একজন সহায়ক দেওয়া যেতে পারে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন জেল কর্তৃপক্ষকে। এর পরেই নাকচ হয়ে যায় পার্থর আবেদন।

    আরও পড়ুুন: নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াই! কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যায় জড়িত ২ লস্কর জঙ্গি খতম

    সেপ্টেম্বর মাসে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন পার্থ (Partha Chatterjee)। সে যাত্রায় তা খারিজও হয়ে গিয়েছিল। পার্থর আইনজীবীর যুক্তি ছিল, পার্থর গ্রেফতারির পর প্রায় দেড় বছর পেরিয়ে গিয়েছে। সিবিআই শুধু বলছে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বয়সজনিত সমস্যার পাশাপাশি নানা রকম শারীরিক অসুস্থতার কথাও জানিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। তার পরেও মেলেনি জামিন। সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছিল, পার্থর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, মামলায় অনেকে যুক্ত। ১৭ অক্টোবর পার্থর জামিনের আবেদনের শুনানি রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে তদন্তে নেমে পার্থর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা খানাতল্লাশি চালায় পার্থর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়া ও টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে। সেখানে প্রচুর পরিমাণ নগদ টাকা ও সোনার গয়না উদ্ধার করা হয়। রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে থাকা পার্থ (Partha Chatterjee) ও অর্পিতার বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশও মিলেছে বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share