Tag: cbi

cbi

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: সিবিআই সিটের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপ নয়! বিচারককে বদলির নির্দেশ আদালতের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: সিবিআই সিটের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপ নয়! বিচারককে বদলির নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়কে আগামী ৪ অক্টোবরের মধ্যে বদলির নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। একই সঙ্গে তাঁর নির্দেশ, ইডি এবং সিবিআইয়ের সিটের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ পুলিশ যেন না করে। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) প্রধান অশ্বিন শেণভির কথা শোনার পরই এই নির্দেশ দেন বিচারপতি। 

    সিবিআই-এর দাবি

    বুধবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হাজিরা দিলেন সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) প্রধান অশ্বিন শেণভি। তাঁকে তদন্তে দেরি নিয়ে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। তখনই শেণভি জানান, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি কুন্তল ঘোষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আধিকারিকদের ‘পুলিশি হেনস্থা’র মুখে পড়তে হচ্ছে।  নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত কুন্তলের করা অভিযোগের ভিত্তিতে যে মামলা হয়, তাতে পুলিশকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই বিশেষ আদালত। আর সেই মামলায় সিবিআই অফিসারদের বারবার নোটিস দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এরপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জোড়া নির্দেশ দেন।

    বিচারককে বদলি করতে হবে

    এদিন নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “আমি জানতে পেরেছি, সিবিআই স্পেশাল কোর্টের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় জেলে থাকা এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশকে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। সিবিআই বিচারকের কোনও ভাবেই হাইকোর্টের অর্ডারে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। এটি তাঁর এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ। শুনেছি, বিচারক অপর্ণ চট্টোপাধ্যায়ের বদলির নির্দেশ হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তাঁর মাথায় কারও হাত রয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থাকছে।”  তাঁর নির্দেশ, আগামী ৪ অক্টোবরের মধ্যে বিচারককে বদলি করাতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। তাঁর এই নির্দেশ পালন হল কি না, তা জানিয়ে রিপোর্টও দিতে হবে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে। বিচারপতি বলেন, ‘‘ওই পদটি এখন ফাঁকা রয়েছে। ওই বিচারক অন্তর্বর্তী দায়িত্বে রয়েছেন। তাই ওই পদটিতে ৪ অক্টোবরের মধ্যে নতুন বিচারককে বসাতে হবে। আমি নির্দেশ দিচ্ছি, বিচারক চট্টোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতির আর কোনও মামলা শুনতে পারবে না।’’

    আরও পড়ুুন: নিজ্জর খুনে আরও গাড্ডায় ট্রুডো, পাশে পেলেন না ‘ফাইভ আইজ’ অ্যালায়েন্সকেও

    পুলিশকে কড়া নির্দেশ

    সিটের আধিকারিকদের ‘পুলিশি হেনস্থা’ মুখে পড়ার অভিযোগ শুনে বিচারপতির (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশ, সিটের কোনও আধিকারিককে আর হয়রানি করতে পারবে না কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ। রাজ্যের মুখ্যসচিবের মাধ্যমে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরেও আনতে চান বিচারপতি। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ওঁদের (সিবিআই সিটের আধিকারিকদের) যেন টাচ (ছোঁয়া) না করা হয়। দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপোস নয়।’’ কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের উদ্দেশে তাঁর নির্দেশ, তারা সিটের কোনও আধিকারিককে আর হয়রানি করতে পারবে না। আদালতের এই নির্দেশ না মানলে পুলিশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হতে পারে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: হাই-অ্যালার্ট মণিপুরে! দুই পড়ুয়াকে খুনের জের, ফের পাঁচ দিন বন্ধ ইন্টারনেট

    Manipur Violence: হাই-অ্যালার্ট মণিপুরে! দুই পড়ুয়াকে খুনের জের, ফের পাঁচ দিন বন্ধ ইন্টারনেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও অশান্ত মণিপুর (Manipur Violence)। এক নাবালক ও নাবালিকার মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল রাজধানী ইম্ফল(Imphal)। হিংসা  আটকানোর জন্য আগামী পাঁচদিন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। দুই কিশোর-কিশোরীর হত্য়ার তদন্ত সিবিআই(CBI)-র হাতে তুলে দিয়েছে মণিপুর সরকার। বুধবারই বিশেষ বিমানে ইম্ফলে যাচ্ছে সিবিআইয়ের দল। থাকবেন সিবিআইয়ের স্পেশাল ডিরেক্টর অজয় ভাটনগরও।

    রাজ্য জুড়ে হাই-অ্যালার্ট 

    গত জুলাই মাস থেকে এক কিশোর ও কিশোরী নিখোঁজ ছিল। সম্প্রতিই ওই দুইজনকে নৃশংসভাবে খুন করার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এরপরই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। প্রায় শতাধিক পড়ুয়া বিক্ষোভ দেখাতে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের বাড়ির দিকে রওনা দেয়। মৃত দুই পড়ুয়াই মেইতেই সম্প্রদায়ের বলে জানা গিয়েছে। এরপরেই নতুন করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে মণিপুর (Manipur Violence) জুড়ে। সে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনকে হাই-অ্যালার্টে থাকতে বলা হয়েছে। অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে উত্তপ্ত বেশ কয়েকটি জায়গায়। 

    বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা

    প্রায় দু’মাস বন্ধ থাকার পরে গত ২৫ জুলাই গোষ্ঠীহিংসা দীর্ণ মণিপুরে (Manipur Violence) আংশিক ভাবে ফিরেছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। প্রাথমিক ভাবে যাঁদের স্থায়ী ব্রডব্র্যান্ড সংযোগ রয়েছে, তাঁদেরই কেবল ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফের উত্তেজনা ছড়ানোয় রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব টি রঞ্জিত সিংহ এক নির্দেশিকায় জানিয়েছিলেন, ‘আপৎকালীন পরিস্থিতি এবং জননিরাপত্তা আইন’ মেনে সাময়িক ভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার প্রস্তাবে অনুমোদন মিলেছে। মঙ্গলবার থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কার্যকর হল ইন্টারনেট পরিষেবা স্তব্ধ রাখার সেই সিদ্ধান্ত। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মণিপুরে মোবাইল ইন্টারনেট ডেটা পরিষেবার উপর সাময়িক বিধিনিষেধ পরবর্তী পাঁচ দিন চলবে। আগামী ১ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত বহাল থাকবে নিষেধাজ্ঞা। তার পর বিষয়টি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে।

    মণিপুরে সিবিআই

    মঙ্গলবার রাতেই মণিপুরের (Manipur Violence) মুখ্য়মন্ত্রী এন বীরেন সিং জানান, ওই দুই নাবালিকার মৃত্যুর তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং ঘটনার সমস্ত আপডেট জানানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এরপরই জানা যায় যে বুধবারই বিশেষ বিমানে মণিপুরে যাচ্ছে সিবিআইয়ের দল। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের দলে থাকবেন সিবিআইয়েরর সেকেন্ড-ইন কম্য়ান্ড অজয় ভাটনগর। ইতিমধ্যেই মণিপুরে উপস্থিত রয়েছেন সিবিআইয়ের যুগ্ন ডিরেক্টর ঘনশ্যাম উপাধ্যায়। এছাড়াও তদন্তকারী দলে স্পেশাল ক্রাইমের একাধিক শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত থাকবেন, যারা ঘটনাস্থল পুনর্নিমাণ, জেরা ও টেকনিক্যাল সার্ভেল্যান্সে পারদর্শী। সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরির আধিকারিকরাও যাচ্ছেন মণিপুরে।

    আরও পড়ুন: ভারতের পাশেই শ্রীলঙ্কা, বন্দরে নোঙর করতে দিল না চিনা জাহাজ

    মণিপুরে শান্তি ফেরাতে সক্রিয় সরকার

    গত চার মাস ধরে হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুর (Manipur Violence)। পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। যদিও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছিল মণিপুর। শিথিল করা হয়েছিল সে রাজ্যের একাধিক জেলায় জারি থাকা কার্ফু। মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে মণিপুর প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, মণিপুরে সমস্যা বহুদিন ধরেই।  রাজ্য এমনকি দেশের বাইরে থেকেও মণিপুরে ঢোকেন বহু মানুষ। অশান্তির পিছনে এটি একটি বড় কারণ। সঙ্গে জাতিগত সমস্যাও রয়েছে। তবে, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলে মণিপুরে শান্তি ফেরাতে সক্রিয়। খুব শীঘ্রই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে স্থিতাবস্থা ফিরবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • CBI: একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলে রেখেছিলেন তৃণমূলের পার্থও! কী বলছে সিবিআই?

    CBI: একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলে রেখেছিলেন তৃণমূলের পার্থও! কী বলছে সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোমা ফাটাল সিবিআই! নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ৩৫টি ভুয়ো সংস্থার হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলে রেখেছিলেন। আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, প্রতিটি ভুয়ো সংস্থার অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দিল্লিতে সিবিআইয়ের ফরেন্সিক বিভাগের সহযোগিতায় অ্যাকাউন্টগুলির অডিট চলছে। অডিট শেষ হলে আসল সুবিধাভোগীদের নাম সামনে আসবে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা।

    সিবিআইয়ের স্ক্যানারে কারা?

    জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের স্ক্যানারে রয়েছে ‘অনন্ত টেক্স ফ্যাব’ থেকে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সহ একাধিক সংস্থা। পার্থর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে ছিল এই কোম্পানি। ওই সংস্থার ডিরেক্টরের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের তথ্যও চলে এসেছে সিবিআইয়ের হাতে (CBI)। নিয়োগ কেলেঙ্কারির টাকা সেখানেও খেটেছে বলে অনুমান সিবিআইয়ের।

    কালো টাকা সাদা করতে ভুয়ো সংস্থা!

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ভুয়ো সংস্থাগুলি তৈরি করা হয় বিভিন্ন সময়। ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমে লেনদেন হয় কোটি কোটি টাকা। কালো টাকা সাদা করতে এই অ্যাকাউন্টগুলিই ব্যবহার করা হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছে সিবিআই। ফরেন্সিক অডিটের রিপোর্ট হাতে পেলেই মাথারা সামনে চলে আসবে বলে অনুমান সিবিআইয়ের। এই ভুয়ো সংস্থাগুলির মাধ্যমে কোথায়, কীভাবে এবং কাদের কাছে টাকা গিয়েছে, সেই মানি ট্রেল রাখা এবং পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করার জন্যই ফরেন্সিক অডিট করানোর সিদ্ধান্ত সিবিআইয়ের। এর পাশাপাশি ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কাছেও সাহায্য চেয়েছে সিবিআই (CBI)। যেসব সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সেসবই চলে আসবে এই অডিটের আওতায়।

    আরও পড়ুুন: চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল যাবে অভিষেকের অফিসের সামনে দিয়েই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    এদিকে, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায়ও তৎপর হয়েছে সিবিআই। এই নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিট পরীক্ষা করেছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। এই কোম্পানিরই বিভিন্ন ঠিকানায় চলছে তল্লাশি। হাওড়ার দাশনগর ও জগাছায় এদিন তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। সংস্থার দুই অংশীদার পার্থ সেন ও কৌশিক মাজির বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই।

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে ভর্ৎসিত হন ইডি-সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহাও। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই রাতারাতি তৎপর হয়ে উঠেছে সিবিআই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • TET Scam: টেটে ফেল করেও চাকরি মেনে নিল পর্ষদ! ওএমআর রহস্যে একসঙ্গে কাজ করবে সিবিআই-ইডি নির্দেশ হাইকোর্টের

    TET Scam: টেটে ফেল করেও চাকরি মেনে নিল পর্ষদ! ওএমআর রহস্যে একসঙ্গে কাজ করবে সিবিআই-ইডি নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরিপ্রার্থীদের উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) ডিজিটাইজড করার সিদ্ধান্ত কে নিয়েছেন? কেন নিয়েছেন? কোন প্রক্রিয়ায় ডিজিটাইজড করা হয়েছে? উত্তর খুঁজতে এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে গিয়ে তদন্ত করবে সিবিআই ও ইডি। ওএমআর শিট মামলায় বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার আদালতে ফের প্রশ্নের মুখে পড়ে পর্ষদ। আগামী ১০ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    পর্ষদকে প্রশ্ন বিচারপতির

    এদিন শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানান, দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে খতিয়ে দেখতে হবে চাকরিপ্রার্থীদের উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) ডিজিটাইজড করার সিদ্ধান্ত কে নিয়েছেন। তদন্তকারী সংস্থাকে সব রকম সাহায্য করতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দেন তিনি। ২০২০ সালে প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ার পর ২০২১ সালে একটি মেধাতালিকা প্রকাশ করে পর্ষদ। কিন্তু মেধাতালিকা প্রকাশের কিছু সময় পরেই সেটি তুলে নেওয়া হয়। এর কারণ হিসাবে পর্ষদের তরফে বলা হয়, ওয়েবসাইটটি হ্যাক করা হয়েছিল। এই নিয়ে থানায় অভিযোগও জানানো হয় পর্ষদের তরফে। 

    আরও পড়ুন: বকেয়া নিয়ে উদাসীন রাজ্য! বর্ধিত বেতন ডিএ আন্দোলনকারীদের দেওয়ার ঘোষণা শুভেন্দুর

    সিবিআই-এর কথা মানল পর্ষদ

    টেট (TET) ফেল করেও চাকরি পেয়েছিল আরও ৯৬ জন! হাইকোর্টে পেশ করা সিবিআইয়ের রিপোর্ট এদিন কার্যত মেনে নেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এদিন এই বিষযে পর্ষদের তরফে আদালতে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। যা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি সিনহা। তিনি পর্ষদের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, “ওএমআর শিটের (recruitment case) আসল প্রতিলিপি কোথায়?” বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘কারা বেআইনি ভাবে নিয়োগ পেয়েছে, আপনারা জানলেন কী ভাবে? যাচাই করলেন কী করে? যেখানে আসল উত্তরপত্র নেই বলে জানিয়েছেন আপনারাই।’’ এদিন আদালতে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “কে পাশ করেছে, কে কত নম্বর পেয়েছে, কীভাবে বিকৃত করা হয়েছে, পর্ষদের রিপোর্টে তো সেগুলো স্পষ্ট নয়।” এমনকী পর্ষদের তরফে জমা দেওয়া ডিজিটাইজড রিপোর্টও এডিট করা সম্ভব বলে এদিন মন্তব্য করেন বিচারপতি। আদালতে তিনি বলেন, “আসল ওএমআর শিট না থাকাতেই সমস্যার সূত্রপাত।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: পার্থর বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন রাজ্যপালের, ক্রমেই শক্ত হচ্ছে প্রাক্তন মন্ত্রীর দুর্নীতির ফাঁস!

    Partha Chatterjee: পার্থর বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন রাজ্যপালের, ক্রমেই শক্ত হচ্ছে প্রাক্তন মন্ত্রীর দুর্নীতির ফাঁস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই প্রথম সিবিআই মামলায় পার্থর নামে এল চার্জশিটের অনুমোদন। গ্রুপ সি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় পার্থর নামে চার্জশিটের অনুমতি দিলেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার আদালতে এ কথা জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।

    মন্ত্রীর ক্ষেত্রে চার্জশিট দেওয়ার নিয়ম

    এতদিন পর্যন্ত রাজ্যপালের অনুমোদন না থাকায় চার্জশিট গ্রহণ করেনি আদালত। উল্লেখ্য, রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন পার্থ। মন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল। তাই কোনও মন্ত্রীকে গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে কিংবা চার্জশিটে নাম দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় রাজ্যপালের অনুমতির। গ্রুপ সি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ওই চার্জশিটে শান্তিপ্রসাদ সিনহা সহ কয়েকজন প্রাক্তন আধিকারিকের নাম রয়েছে। তাঁদের জন্য প্রয়োজন রাজ্য সরকারের অনুমোদন। সেই অনুমোদন চাওয়াও হয়েছে। যদিও মেলেনি। তাই ওই চার্জশিট আদালত গ্রহণ করবে কিনা, সে প্রশ্নও উঠছে।

    নেপথ্য কাহিনি

    প্রসঙ্গত, গত বছর ২২ জুলাই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বাড়িতে হানা দেয় ইডি। পরের দিন গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ইডির গ্রেফতারির মাস কয়েক পরে পার্থকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করার পর বিচার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও প্রয়োজন ছিল রাজ্যপালের অনুমোদনের। সেটা আগেই দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। এবার দিলেন চার্জশিটে নাম দেওয়ার প্রয়োজনীয় অনুমোদনও।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর প্রথম যে হেভিওয়েট গ্রেফতার হন, তিনি হলেন পার্থ। তাঁর বাড়ির পাশাপাশি পার্থর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জোড়া ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি। উদ্ধার হয় নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় সবান্ধব পার্থকে। প্রেসিডেন্সি জেলের আলাদা আলাদা সেলে রয়েছেন পার্থ ও অর্পিতা।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ডাউনলোড হওয়া ১৬টি ফাইল নিয়ে পুলিশের এত আগ্রহ কীসের?’’ প্রশ্ন আদালতের

    কিছু দিন আগেই আদালতে সিবিআই জানিয়েছিল, পার্থর (Partha Chatterjee) বাড়িতেই ছিল চাকরি বিক্রির অফিস। তাঁর নাকতলার বাড়ির গ্রাউন্ড ফ্লোরে একটি অফিস ছিল। সেখানে অবাধে যাতায়াত করতেন দালালরা। গ্রুপ সি-র নিয়োগ তালিকা তৈরি হত সেখানেই। পরে তা চলে যেত এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের কাছে। যাঁরা টাকা দিতেন, তালিকাভুক্ত হত তাঁদের নাম।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manik Bhattacharya: “মানিক ভট্টাচার্যের কিছু অনুগামী গন্ডগোল করছেন”! শুনানিতে পর্যবেক্ষণ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Manik Bhattacharya: “মানিক ভট্টাচার্যের কিছু অনুগামী গন্ডগোল করছেন”! শুনানিতে পর্যবেক্ষণ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানিক ভট্টাচার্যর কয়েকজন অনুগামী এখনও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাজে গন্ডগোল পাকাচ্ছেন, বলে অভিমত প্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। মঙ্গলবার ওএমআর শিট দুর্নীতি নিয়ে একটি মামলা চলাকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “একসময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Recruitment Scam) মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) জমিদারি ছিল। তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পরে এখনও তাঁর অনুগামীরা হস্তক্ষেপ করছেন। ” তাঁরা সিবিআই-ইডির নজরদারিতে আছে বলে মত বিচারপতির।

    সিবিআইকে বিচারপতির প্রশ্ন

    এখনও ওএমআর শিট দুর্নীতির কেস ডায়েরি আনতে পারেনি সিবিআই। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে আবারও সময় চায় তারা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন তদন্তকারীদের কাছে কেস ডায়েরি চান। কীভাবে ওএমআরশিট ডিজিটালাইজেশন হয় এ সম্পর্কে রিপোর্ট চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি তদন্তকারীদের কাছে এটাও জানতে চান, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে তিন বার যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তার ফল কী? মানিক ভট্টাচার্যের কথা রেকর্ড রাখা হয়েছে কি না, তাও জানতে চায় আদালত।

    আরও পড়ুন: ‘‘অভিযোগ অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন’’! খালিস্তানি জঙ্গির মৃত্যু নিয়ে কানাডার দাবি খারিজ ভারতের

    সময় চায় সিবিআই

    উত্তরে কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসেটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য জানান, মানিক ভট্টাচার্যকে তিন বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কেন্দ্রের আইনজীবী বলেন, “যেহেতু এই মামলায় ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতের নির্দেশে অন্য বিচারপতির (বিচারপতি অমৃতা সিনহা) এজলাসে চলে গিয়েছে।” তাই কেস ডায়েরি তারা কীভাবে দেবেন জানতে চায় সিবিআই। প্রসঙ্গত, নিয়োগ-দুর্নীতির মূল মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অন্য এজলাসে বিচারাধীন।  ওএমআর শিট সংক্রান্ত এই মামলায় কেস ডায়রি দেখতে সুপ্রিম কোর্ট তো বারণ করেনি, মন্তব্য করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির সব মামলাই এফআইআর নম্বর আরসি সিক্সের অন্তর্ভুক্ত, জানায় সিবিআই। তখন বিচারপতি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট নতুন নির্দেশ দিতে পারে। সিবিআই-এর এই দুশ্চিন্তা হতে পারে। কিন্তু এই সংক্রান্ত মামলায় তো কোন নির্দেশ নেই। তাহলে কেন এই মামলার কেস ডায়েরি তৈরি নেই?” এরপরই সিবিআই আদালতের কাছে একটু সময় চায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
     

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: “মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ আছে”, মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: “মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ আছে”, মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমার তো মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ আছে।” সোমবার এই ভাষায়ই সিবিআইকে ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা মানিক ভট্টাচার্য বন্দি রয়েছেন জেলে। জেলে গিয়েই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ না করায় সিবিআইকে ভর্ৎসনা করেন তিনি।

    সিবিআইকে ভর্ৎসনা

    সিবিআইকে তিনি বলেন, “ওএমআর শিট নষ্ট করা নিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন? সুপ্রিম কোর্ট কড়া পদক্ষেপ করতে বারণ করেছে, জিজ্ঞাসাবাদ করতে তো বারণ করেনি।” বিচারপতি বলেন, “আমার নির্দেশের পরেও সিবিআই মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেননি। দীর্ঘদিন ছেড়ে রেখে দিয়েছিলেন, আমার তো মনে হয় যোগসাজশ আছে। আমার তো মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ রয়েছে।”

    মানিককে সিবিআই আধিকারিকরাই বুদ্ধি দিয়েছিলেন!

    তিনি (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “আমার তো মনে হয় মানিককে সিবিআই আধিকারিকরাই বুদ্ধি দিয়েছিলেন। মনে হয়, সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ আনার বুদ্ধি দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরাই। সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ নিয়ে আসুন, তাহলে গ্রেফতার করব না বলে বুদ্ধি দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরাই।” কেন মানিকের বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না, এদিন সেই প্রশ্নও করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার পরেই তিনি (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরে কি পদক্ষেপ করবেন? আপনারা মুখে বলছেন আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চলছে। কিন্তু আদতে আদালতকেই কাঁচকলা দেখাচ্ছেন।”

    আরও পড়ুুন: “বিজেপির হয়ে খুব পোস্ট করছিস” বলেই নেতার মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ

    সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী জানান, একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও, মানিক সহযোগিতা করছেন না। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “সিবিআই মানিককে গ্রেফতার করতে পারবে না, এই নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন? মানিক ভট্টাচার্য যদি সহযোগিতা না করেন, তাহলে সুপ্রিম কোর্টে আগের রক্ষাকবচ প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করছেন না কেন? ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্ট মানিক ভট্টাচার্যকে রক্ষা কবচ দিয়েছিল। এখন ২০২৩ সাল। এক বছর হয়ে গিয়েছে, কেন সুপ্রিম কোর্টে আবেদনপত্র দাখিল করেননি?”  বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “সবাই শুধু অপেক্ষা করে আছে, আমি কবে অবসর নেব। আমি অবসরে যাব না। মাঝে মাঝে ভাবছি, একটা পদযাত্রা শুরু করব। সুন্দরবন চলে যাব। কিছু বলব না, শুধু হেঁটে যাব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: গরু পাচারকাণ্ডে তৃণমূল নেতা অনুব্রতর জামিনের মামলায় সিবিআইকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

    Anubrata Mondal: গরু পাচারকাণ্ডে তৃণমূল নেতা অনুব্রতর জামিনের মামলায় সিবিআইকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জামিনের আবেদনের মামলায় সিবিআইকে নোটিশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ ওই নোটিশ দেয়। তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা জানতেই সিবিআইকে নোটিশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।  

    অনুব্রতর আইনজীবীর বক্তব্য

    অনুব্রতর আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন, “এই মামলায় জড়িত অনেকেই ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন। পাঁচটি চার্জশিট ফাইল হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল একমাত্র জেলে রয়েছেন। ১৪ মাস ধরে জেলে রয়েছেন উনি। এই মামলায় ‘কিংপিন’ জামিন পেয়ে গিয়েছেন। তাই অনুব্রতকে জামিন দেওয়া হোক।” গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায় কলকাতা হাইকোর্টে। উচ্চতর আদালতের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রত।

    সিবিআইকে নোটিশ আদালতের

    এদিন সেই মামলারই শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি বসু জানান, আদালত সিবিআইকে নোটিশ জারি করার নির্দেশ দিচ্ছে। তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা জানা দরকার। তার পরেই বিবেচনা করা হবে জামিনের আবেদন। হাইকোর্টে সিবিআই জানিয়েছিল, অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) জামিন দিলে ব্যাহত হতে পারে তদন্ত। সিবিআইয়ের দাবি, অনুব্রত বছরের পর বছর বীরভূমের জেলা সভাপতি পদে থেকেছেন। সেই জেলায় চলছে তাঁর একচ্ছত্র অধিকার। সেই প্রভাব কাজে লাগিয়েই গরু পাচারের মতো ঘটনায় যোগ রয়েছে তাঁর।

    গরু পাচার মামলায় গত বছর অগাস্ট মাসে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। তাঁকে পাঠানো হয় আসানসোল জেলে। পরে এই মামলায়ই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয় ইডি। গরু পাচার মামলায় দিল্লিতে ইডি নিজেদের হেফাজতে তাঁকে রেখে দু’ সপ্তাহ জিজ্ঞাসাবাদের পর তিহাড় োজেলেই রয়েছেন অনুব্রত। এখানেই বন্দি রয়েছেন অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল এবং হিসাবরক্ষক মনীশ কোঠারিও।

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত মামলায় কমিশনের বিরুদ্ধে কি রুল জারি করবে আদালত? জানা যাবে বৃহস্পতিবার

    প্রসঙ্গত, গরু পাচারকাণ্ডে বীরভূমের এক চালকল মালিক রবিন টিব্রেওয়ালকে মার্চ মাসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। গরু পাচারকাণ্ডের কিংপিন এনামুল হকের ‘হক ইন্ডাস্ট্রি’র সঙ্গে টাকার যে লেনদেন হয়েছে, তার বিস্তারিত হিসেব চেয়েছে সিবিআই। কোনও ব্যবসায়িক চুক্তি হয়েছে কিনা, তাও জানাতে (Anubrata Mondal) বলা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, এনামুল গ্রেফতার হওয়ার পরেও হয়েছে আর্থিক লেনদেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Partha Chatterjee: “আদালতে কাউকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে না”, পার্থ প্রসঙ্গে সাফ জানালেন বিচারক

    Partha Chatterjee: “আদালতে কাউকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে না”, পার্থ প্রসঙ্গে সাফ জানালেন বিচারক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কারও জন্য আদালতে বিশেষ কোনও সুবিধা দেওয়া হবে না। শুক্রবার সাফ জানিয়ে দিলেন বিচারক। নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি রয়েছেন জেলে। তাঁরই জামিনের শুনানির জন্য তারিখ চেয়ে আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন পার্থর আইনজীবী। তখনই বিচারক জানিয়ে দেন, কারও জন্য আদালতে বিশেষ কোনও সুবিধা দেওয়া হবে না। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৭ সেপ্টেম্বর।

    বিশেষ সুবিধা নয়

    আলিপুরে বিশেষ আদালতে নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডের শুনানি ছিল। এদিন ফের একবার পার্থর জামিনের আবেদন করা হয়। তখনই বিচারক বলেন, “আদালতে কাউকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে না। যে রকম যা তারিখ নির্ধারিত রয়েছে, সে রকম হবে।” উল্লেখ্য, এর আগে ৮ সেপ্টেম্বরও একবার পার্থর জামিনের আর্জি জানানো হয়েছিল। এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন পার্থ। হাজির করানো হয়েছিল নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ধৃত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা অশোক সাহা, এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, এজেন্ট চন্দন মণ্ডলকে। ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহাও।

    ফের জেল হেফাজত

    বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আদালতের কাছে সবাই সমান। কাউকে বিশেষ কোনও সুবিধা দেওয়া আদালতের পক্ষে সম্ভব নয়। এর পর যেদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করা হবে, সেদিনই জামিনের আবেদনের শুনানি হবে।” এদিন পার্থ (Partha Chatterjee) সহ বাকি অভিযুক্তদেরও জামিনের শুনানি হয়। কেউ অসুস্থতা, কেউ বয়সের কারণ দেখিয়ে জামিন চেয়েছিলেন। তবে তাতে কর্ণপাত করেননি বিচারক। প্রত্যেককেই ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিয়েছে আদালত।

    আরও পড়ুুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই, এবার জানিয়ে দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও

    প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার অত্যন্ত প্রভাবশালী একজন ব্যক্তি তত্ত্বে খারিজ হয়ে যায় পার্থর জামিনের আবেদন। তবে তিনি যে নির্দোষ, তা একাধিকবার বলতে শোনা গিয়েছে পার্থকে। ২৪ জুলাই আদালতে ঢোকার সময় তিনি (Partha Chatterjee) তো বলেইছিলেন, “আমি নির্দোষ। আমি নিয়োগ কর্তা নই, আমি সুপারিশ কর্তাও নই। আমি কোনও ব্যাপারের সঙ্গে ছিলাম না।” তাঁকে বিনা বিচারে এক বছর ধরে জেলে আটকে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Recruitment Case: ট্যুইন টাওয়ারের পর এবার হাইকোর্টে উঠে এল বুর্জ খলিফা প্রসঙ্গ, কেন জানেন?

    Recruitment Case: ট্যুইন টাওয়ারের পর এবার হাইকোর্টে উঠে এল বুর্জ খলিফা প্রসঙ্গ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির (Recruitment Case) পরিমাণ বোঝাতে আগেই তুলনা টানা হয়েছিল ট্যুইন টাওয়ারের সঙ্গে। এবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta high court) উপমা দিতে গিয়ে সিবিআই তুলল দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা প্রসঙ্গও।

    উঠে এল বুর্জ খলিফা প্রসঙ্গ

    বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই সময় সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “নিয়োগ কেলেঙ্কারির বিস্তৃতি যেন আমেরিকার ট্যুইন টাওয়ারের মতো। এর একটি স্তম্ভ যদি স্কুল সার্ভিস কমিশন হয়, তাহলে অন্যটি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।” এই সময়ই ওঠে পুরসভা নিয়োগ কেলেঙ্কারির অভিযোগের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “পুর নিয়োগ দুর্নীতিকে বুর্জ খলিফা বললেও ভুল হবে না।”

    ‘দুর্নীতি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া উচিত’ 

    গত সপ্তাহেই টেট সংক্রান্ত মামলায় রিপোর্ট তলব করেছিলেন বিচারপতি (Recruitment Case) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ১১ সেপ্টেম্বর রিপোর্ট পেশ করার কথা বলেছিলেন তিনি। সেই সময়ই সিবিআইয়ের আইনজীবী দুর্নীতর সঙ্গে তুলনা টানেন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের। প্রসঙ্গত, ১১ সেপ্টেম্বর জঙ্গি হানায় ভেঙে পড়েছিল আমেরিকার নিউইয়র্কের ওই যমজ টাওয়ার। শুনানির দিন বিচারপতি বলেছিলেন, “দুর্নীতি যদি আকাশছোঁয়া বহুতলের মতো হয়, তাহলে তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুুন: মোদিই ‘বিশ্বনেতা’, লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের সুর বেঁধে দিল বিজেপি?

    প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ। এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলে রয়েছেন তিনি। গ্রেফতার হয়েছে প্রায় গোটা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদই। এঁদের মধ্যে অনেকে আবার তৃণমূল নেতা হিসেবেও পরিচিত। দুর্নীতির তদন্ত করতে নেমে তদন্তকারীরা জেনেছিলেন, কীভাবে জেলায় জেলায় এজেন্ট নিয়োগ করে দুর্নীতি করা হয়েছিল। বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে চাকরি ‘কিনেছিলেন’ অনেকেই। পাহাড় প্রমাণ এই (Recruitment Case) দুর্নীতির অভিযোগ ঢাকতে এবং বেআইনিভাবে চাকরিতে যোগ দেওয়া চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি বাঁচাতে রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ। আকাশচুম্বি এই দুর্নীতির শেকড়ে পৌঁছতে চাইছেন তদন্তকারীরা। দুর্নীতির নেপথ্যের কুশীলবদের মুখোশ খুলে দেওয়াও তাঁদের লক্ষ্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share