Tag: cbi

cbi

  • Recruitment Scam: পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথম রাজ্যের ‘হেভিওয়েট’ মন্ত্রীকে তলব সিবিআই-এর

    Recruitment Scam: পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথম রাজ্যের ‘হেভিওয়েট’ মন্ত্রীকে তলব সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরনিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (municipality recruitment scam) এবার রাজ্যের এক মন্ত্রীকে তলব করল সিবিআই। ইতিমধ্যেই তাঁর কাছে তলবের চিঠি স্পিড পোস্ট করে দেওয়া হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর,আগামী ৩১ অগাস্ট জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। 

    কেন মন্ত্রীকে তলব

    পুর নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আস্তে আস্তে জাল গোটাচ্ছেন তদন্তকারীরা। হাইকোর্টের আইনি জটিলতা কেটে যাওয়ার পরই আরও তৎপর সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, নিজাম প্যালেস থেকে বুধবারই স্পিড পোস্টে নোটিস পাঠানো হল রাজ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে। যাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে তিনি একজন হেভিওয়েট মন্ত্রী। তিনি দুর্নীতির সময় পুরসভার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের কীভাবে পরিচয়, দুর্নীতি কাণ্ডে তাঁর ভূমিকাই বা কী ছিল, কীভাবে এবং কবে এই দুর্নীতির শুরু, তা জানতেই ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। 

    আরও পড়ুন: ল্যান্ডারের ‘সফট ল্যান্ডিং’ নয়, বিজ্ঞানীদের চিন্তায় রেখেছে চাঁদের ধুলো! কেন?

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    প্রসঙ্গত, অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথম পুর নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। এই মামলায় সিবিআই-কে তদন্ত করার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে হাইকোর্টে এই মামলার বেঞ্চ বদল হয়। ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখে। এরপর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। কিন্তু সেখানেও কার্যত ধাক্কা খায় রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত চালিয়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই-এর পক্ষে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এ এস ভি রাজু সওয়াল করেছিলেন, দুটি মামলা অর্থাৎ স্কুল ও পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতির ক্ষেত্রে এক সাধারণ অভিযুক্ত রয়েছেন। এই সওয়ালকে মান্যতা দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ পরই প্রথম রাজ্যের কোনও মন্ত্রীকে তলব করলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Case: রাজ্যের আর্জি খারিজ, পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তে সায় সুপ্রিম কোর্টেরও

    Recruitment Case: রাজ্যের আর্জি খারিজ, পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তে সায় সুপ্রিম কোর্টেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল রাজ্যের! পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় (Recruitment Case) রাজ্যের আর্জি খারিজ দেশের শীর্ষ আদালতে। যার অর্থ, এই মামলায় সিবিআই তদন্তের যে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছিল, তা বহাল থাকছে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ রাজ্যের আর্জি খারিজ করে দেয়। প্রসঙ্গত, পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার।

    সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ

    সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, পুরসভার নিয়োগ কেলেঙ্কারির সূত্র খুঁজে পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি। ঘুষের টাকা কার কার মধ্যে হাতবদল হয়ে কোথায় পৌঁছেছে, সেই সন্ধানও পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। পুরসভার নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Case) সংক্রান্ত যে অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছিল, তদন্ত করে হাইকোর্টে তার রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা করেছেন তদন্তকারীরা। পুরো বিষয়টিতে শীর্ষ আদালত সন্তুষ্ট। এর পরেই রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেয় আদলত।

    ইডি-সিবিআইয়ের আইনজীবীর দাবি

    সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি চলাকালীন ইডি-সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ঘুষের টাকা হাতবদল হয়ে কার কার কাছে পৌঁছেছে, তা অনেকটাই স্পষ্ট হয়েছে তদন্তকারীদের কাছে। তদন্তকারীরা হাতে পেয়েছেন এ সংক্রান্ত প্রমাণও। যদিও তদন্তের স্বার্থে সেই নথি এখনই আদালতে পেশ করা সম্ভব নয়। তদন্ত শেষে দায়ের করা হবে চার্জশিট।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় (Recruitment Case) ১৯ মার্চ ইডি গ্রেফতার করে অয়ন শীলকে। ইডির দাবি, অয়নের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্যের একাধিক পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট মিলেছে। ইডি সূত্রে খবর, জেরায় অয়ন জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে তিনি তুলেছিলেন ২০০ কোটি টাকা।

    আরও পড়ুুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি, দাবি এনআইএ তদন্তের

    প্রসঙ্গত, পুর নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের একশোজনেরও বেশি আধিকারিক, ১৪টি টিম একই সঙ্গে রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল। নিউ ব্যারাকপুর, দক্ষিণ দমদম, পানিহাটি, কামারহাটি, চুঁচুড়া ও দমদম সহ বিভিন্ন পুরসভায় (Recruitment Case) হামলা চালায় তারা। সেই সময়ই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি হাতে আসে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Primary Posting Scam: বদলিতে কারচুপি! ৫০ জন প্রাথমিক শিক্ষককে নিজামে তলব সিবিআই-এর

    Primary Posting Scam: বদলিতে কারচুপি! ৫০ জন প্রাথমিক শিক্ষককে নিজামে তলব সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলি বা পোস্টিং ‘দুর্নীতি’ মামলায় ৫০ জন প্রাথমিক শিক্ষককে তলব করল সিবিআই। সোমবার নিজাম প্যালেসে তাঁদের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, পোস্টিং দুর্নীতি মামলায় চলতি সপ্তাহে মোট ৪০০ জন শিক্ষককে ধাপে ধাপে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরপর হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই।  

    সিবিআই দফতরে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

    সোমবার নিজাম প্যালেসে ৫০ জন শিক্ষককে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। এদিন সকাল থেকে একের পর এক শিক্ষক নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) সিবিআই দফতরে পৌঁছতে শুরু করেছেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এঁদের সবার জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে। সিবিআই সূত্রে বলা হচ্ছে, আদালতের নির্দেশে এবার বদলি দুর্নীতির তদন্তও শুরু করতে চলেছেন তাঁরা। তাঁদের কাছে চারশ জন শিক্ষকের তালিকা রয়েছে। যাঁরা টাকা দিয়ে পছন্দমতো জেলা বা মহকুমায় বদলি নিয়েছেন বলে অভিযোগ। সিবিআই সূত্রে বলা হচ্ছে, শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রেও কোনও চক্র কাজ করছিল কিনা, কারা মিডলম্যান ছিল তা খতিয়ে দেখা হবে। সেই চক্রের বিস্তার দফতরের মন্ত্রী পর্যন্ত ছিল কিনা তাও তদন্ত করে দেখবে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: পুলওয়ামায় সেনার হাতে নিহত লস্কর কমান্ডার সহ ২ জঙ্গি

    আদালতের নির্দেশেই জিজ্ঞাসাবাদ 

    কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই পোস্টিংয়ের মামলায় সিবিআইকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর আগে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে পোস্টিং ‘দুর্নীতি’ মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। সেই জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিয়ো রেকর্ড আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান মানিক। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তাঁর ভিডিয়ো ফুটেজ পেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত। কিন্তু তদন্তে বাধা দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। তাই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। পোস্টিং দুর্নীতিতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গিয়েছিল ডিজাইনড কোরাপশনের কথা। এর পর সেই মামলায় ইডিকেও যুক্ত করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি। প্রযোজনে যে শিক্ষকদের পোস্টিং নিয়ম মেনে হয়নি বলে অভিযোগ, সেই শিক্ষকদেরও ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে জানিয়ে দেয় আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Municipality Recruitment Scam: ‘‘পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে মিলেছে ‘মানি ট্রেল’-এর সন্ধান’’! সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই

    Municipality Recruitment Scam: ‘‘পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে মিলেছে ‘মানি ট্রেল’-এর সন্ধান’’! সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি (Municipality Recruitment Scam) মামলায় মানি ট্রেল অর্থাৎ ঘুষের টাকা কোন হাত ঘুরে কার হাতে পৌঁছেছে, তার হদিশ পেয়েছে সিবিআই। শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্টে এ কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়েই পুর নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। এরপর আদালতের নির্দেশে তদন্তভার নেয় সিবিআই। 

    তদন্তের স্বার্থে এখনই নথি প্রকাশ্যে নয়

    স্কুলের পাশাপাশি পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতেও (Municipality Recruitment Scam) সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই তদন্তের বিরোধিতা করে নতুন করে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। সিবিআই, ইডি অবশ্য ইতিমধ্যেই পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে আইনজীবী এসভি রাজু জানিয়েছেন, এই দুর্নীতিতেও ঘুষের টাকা হাতবদল হয়ে কার কার কাছে পৌঁছেছে (মানি ট্রেল), তদন্তে তা স্পষ্ট হয়েছে। তদন্তকারীরা এই সংক্রান্ত প্রামান্য নথিও হাতে পেয়েছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে সেই নথি এখনই আদালতে পেশ করা সম্ভব নয়। তদন্ত শেষ হলেই চার্জশিট দায়ের করা হবে।  সোমবার ফের এই মামলার শুনানি হবে।

    আরও পড়ুন: কলকাতার বুকে বুলডোজার চালিয়ে ভাঙা হল বিজেপি নেতার বাড়ি, অভিযুক্ত শাসক দল

    পুর নিয়োগে প্রায় ২০০ কোটির দুর্নীতির (Municipality Recruitment Scam)  অভিযোগ ওঠে। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া প্রোমোটার অয়ন শীলের বাড়িতে তল্লাশির সময়ে পুরসভার নিয়োগে অনিয়ম সংক্রান্ত নথি উদ্ধার হয়েছে বলে ইডি জানিয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে ইডি-র দাবি ছিল, ১০০ কোটি টাকারও বেশি লেনদেনের তথ্য মিলেছে। অয়নের সংস্থাকে দিয়ে পুরসভায় ‘গ্রুপ ডি’ পদে বহু বেআইনি নিয়োগ হয়েছিল, বলে অভিযোগ। রাজ্যের তরফে এই মামলায় শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেন কপিল সিব্বল। তিনি দাবি করেন, শিক্ষা থেকে পুরসভা সব দুর্নীতির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্বতঃ প্রণোদিত তদন্ত করার প্রবণতা ঠিক নয়। দুর্নীতি হলে রাজ্যের পুলিশ সেটা খতিয়ে দেখতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: মণিপুর হিংসায় আরও ন’টি মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে, সব মিলিয়ে কত জানেন?

    Manipur Violence: মণিপুর হিংসায় আরও ন’টি মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে, সব মিলিয়ে কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর হিংসায় (Manipur Violence) আরও ন’টি মামলার তদন্তভার বর্তাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে। সিবিআইয়ের আধিকারিকরা জানান, সব মিলিয়ে ১৭টি মামলার তদন্তভার পেল সিবিআই। তবে এই ১৭টি মামলায়ই সীমাবদ্ধ থাকবে না সিবিআই, আরও বেশ কয়েকটি মামলার তদন্তভারও পেতে পারে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা। মহিলাদের প্রতি অপরাধ এবং যৌন নির্যাতনের ঘটনার তদন্তভারও দেওয়া হতে পারে সিবিআইকে। মণিপুরে সিবিআইয়ের হাতে যে আটটি মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে দুটি মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। আধিকারিকরা জানান, এর ওপর আরও ন’টি মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে তাঁদের। তাঁরা জানান, চূড়াচাঁদপুর জেলায় যৌন নির্যাতনের যে ঘটনা ঘটেছে, সেই ঘটনার তদন্তভারও দেওয়া হতে পারে তাঁদের হাতে।

    চিত্রাঙ্গদার দেশে সিবিআই

    মণিপুরে (Manipur Violence) ঘটনার তদন্ত করাটা সিবিআইয়ের আধিকারিকদের কাছে খুবই জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ চিত্রাঙ্গদার দেশে যে হিংসার ঘটনা ঘটছে, তার শেকড় মূলত দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের গভীরে। তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে যাতে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ না ওঠে, তাই তদন্ত করতে গিয়ে আধিকারিকদের পা ফেলতে হচ্ছে সাবধানে। তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা যেসব নমুনা সংগ্রহ করেছে, পরীক্ষার জন্য সেগুলি পাঠানো হবে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। মহিলা সংক্রান্ত যেসব মামলার তদন্তে নেমেছে সিবিআই, সেগুলিতে মহিলা আধিকারিকদের কাজে লাগানো হয়েছে। নির্যাতিত মহিলাদের বয়ান রেকর্ড এবং প্রশ্ন করার জন্যও কাজে লাগানো হচ্ছে ওই মহিলা আধিকারিকদের।

    আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা

    ৩ মে হিংসা শুরু হয় মণিপুরে (Manipur Violence)। মেইতেই এবং কুকিদের সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয় উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি এই রাজ্য। হিংসায় মৃত্যু হয়েছে ১৬০ জনের। জখমও হয়েছেন কয়েকশো। দীর্ঘদিন ধরে তফশিলি জাতির দাবি জানিয়ে আসছেন মেইতেইরা। এই নিয়েই শুরু হয় সংঘর্ষ। এদিকে, দোরগোড়ায় স্বাধীনতা দিবস। তার আগে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হল মণিপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, উপদ্রুত অঞ্চলে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র এবং গোলা-বারুদ। স্বাধীনতা দিবসে বনধের ডাক দিয়েছে উপত্যকার কয়েকটি সংগঠন। এক আধিকারিক বলেন, শনিবার চূড়াচাঁদপুরে পিস গ্রাউন্ডে স্বাধীনতা দিবসের রিহার্সাল হয়েছে। অংশ নিয়েছিল বিএসএফ, পুলিশ এবং অসম রাইফেলস।

    আরও পড়ুুন: কানাডায় ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা খালিস্তানপন্থীদের, দেওয়ালে ভারত-বিরোধী পোস্টার

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Recruitment Scam: সুপ্রিম নির্দেশ, হাইকোর্টই শুনবে নিয়োগ মামলা! আরও দু’মাস জেল হেফাজত পার্থর

    Recruitment Scam: সুপ্রিম নির্দেশ, হাইকোর্টই শুনবে নিয়োগ মামলা! আরও দু’মাস জেল হেফাজত পার্থর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্ট থেকে নিয়োগ মামলা সরিয়ে শীর্ষ আদালতে নিয়ে যাওয়ার আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (Recruitment Scam Case) শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টেই (Calcutta High Court)। নিয়োগ দুর্নীতির যাবতীয় মামলা একযোগে সুপ্রিম কোর্টে শোনার আর্জি জানানো হয়। শুক্রবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি হয়। এদিনের শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, হাইকোর্টকে এড়িয়ে সরাসরি কোনও মামলার শুনানি সম্ভব নয়।

    সুপ্রিম পর্যবেক্ষণ

    প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চের নির্দেশে অনেক শিক্ষকের চাকরি প্রশ্নের মুখে পড়েছে। সেই সব শিক্ষকদের একটি অংশ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। আর্জি ছিল, নিয়োগ দুর্নীতির অন্যান্য মামলাগুলি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে রাজ্যের বাইরের কোনও হাইকোর্টে যাতে স্থানান্তর করে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই আর্জি ধোপে টিকল না শীর্ষ আদালতে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পরে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে নিয়োগ মামলার শুনানিতে কোনও বাধা রইল না। হাইকোর্টে যেমন শুনানি চলছে তেমনই চলবে।

    আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে মোদির বড় চমক, আজ সন্ত রবিদাসের ১০০ কোটির মন্দিরের শিলান্যাস

    পার্থর জেল হেফাজত

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, অয়ন শীল, শান্তনু মুখোপাধ্যায়, সৌভিক ভট্টাচার্য এবং কুন্তল ঘোষকে আরও দু’মাসের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। বিচারকের নির্দেশ, আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই রাখতে হবে পার্থদের। তাঁদের কোনও আইনজীবীই শুক্রবার জামিনের জন্য আবেদন করেননি। শুক্রবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের শুনানিতে পার্থ, অর্পিতা, সৌভিক এবং কুন্তলকে ভার্চুয়ালি হাজির করানো হয়েছিল। শান্তনু এবং অয়নকে সশরীরে আদালতে হাজির করানো হয়। মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য আদালতে হাজির হতে পারেননি। তিনি আদালতকে তা আগে থেকে জানিয়ে দিয়েছিলেন। ইডির তরফ থেকে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি, অভিজিৎ ভদ্র এবং ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: এবার শিলিগুড়ির ২২ শিক্ষককে তলব, জিজ্ঞাসাবাদে কী জানতে চাইছে সিবিআই?

    Recruitment Scam: এবার শিলিগুড়ির ২২ শিক্ষককে তলব, জিজ্ঞাসাবাদে কী জানতে চাইছে সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষকদের ভয় ধরাচ্ছে সিবিআই (CBI) তলব! নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় প্রথমে গ্রেফতার করা হয় মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের চার শিক্ষককে। এঁরা মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে চাকরি কিনেছিলেন বলে অভিযোগ। তার পর থেকে ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পাওয়া একের পর এক শিক্ষককে নিজাম প্যালেসে তলব করছে সিবিআই। এতেই থরহরি কম্পমান ওই পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের একাংশের। কার, কখন ডাক পড়ে, সেই আশঙ্কায় কাঁটা তাঁরা। এবার নিজাম প্যালেসে সিবিআই তলব করেছে শিলিগুড়ির ২২জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে।

    একের পর এক শিক্ষককে তলব

    মুর্শিদাবাদের চার শিক্ষককে গ্রেফতারের পরের দিনই তলব করা হয়েছিল বাঁকুড়ার সাত শিক্ষককে। তাঁদের নথিপত্র সংগ্রহ করে বয়ান রেকর্ড করেছেন (Recruitment Scam) সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার ডেকে পাঠানো হয়েছিল কোচবিহারের ৩০ জন প্রাথমিক শিক্ষককে। মাধ্যমিক সহ বিভিন্ন পরীক্ষার যাবতীয় নথিপত্র নিয়ে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে তাঁদের। শুক্রবার তলব করা হল শিলিগুড়ির ২২ জন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষককে।

    আড়াই ঘণ্টা ধরে জেরা 

    জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন কোচবিহারের শিক্ষকদের। টেটের নথি সহ বিভিন্ন পরীক্ষার মার্কশিট সহ যাবতীয় নথিপত্র খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। তাঁরা কীভাবে চাকরি পেয়েছিলেন, সে প্রশ্নও করা হয়। ওই শিক্ষকদের বয়ানও রেকর্ড করে সিবিআই। প্রয়োজনে তাঁদের ফের তলব করা হতে পারে বলে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জানিয়ে দেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুুন: শিক্ষক পোস্টিং মামলায় তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    সোমবার আলিপুর সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত ৩১৯ নম্বর ধারায় নোটিশ দিয়ে তলব করেছিল নবগ্রামের চার শিক্ষককে (Recruitment Scam)। পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। ২১ তারিখ পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। সিবিআই সূত্রে খবর, শিলিগুড়ির যে ২২ জন শিক্ষককে নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছে, তাঁরা যে অভিযুক্ত, তা নয়। তবে ২০১৪ সালের টেট দিয়ে ২০২১ সালে কাজে যোগ দিয়েছিলেন এঁরা। এঁদের নিয়োগের পদ্ধতিগত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে চাইছে সিবিআই। সেই কারণেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে শিলিগুড়ির ওই ২২ জন শিক্ষককে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: শিক্ষক পোস্টিং মামলায় তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Calcutta High Court: শিক্ষক পোস্টিং মামলায় তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত সিবিআই করছে, এর পাশাপাশি এবার পোস্টিং দুর্নীতি মামলাতেও তদন্ত চালাবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষকদের পোস্টিং নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, এদিন সেই মামলার শুনানি চলছিল তখনই এই নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court)। বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন যে পোস্টিং দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েকজন শিক্ষকের চাকরি পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাই তাঁদের এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে সিবিআই।  

    দিনকয়েক আগেই মানিককে জেলে গিয়ে জেরা করে সিবিআই

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে পোস্টিং দুর্নীতি মামলায় প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার ভিডিও আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। জিজ্ঞাসাবাদ ও ভিডিও ফুটেজ পেশের এই মামলায় শেষ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এদিনের পর্যবেক্ষণ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে বেশ কিছু নিয়োগ হয়েছিল, সেই সময়ে কোন স্কুলে কার পোস্টিং হবে সে নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলে মামলা করেন কয়েকজন শিক্ষক। চলতি বছরের ২৫ জুলাই এ বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court)। 

    বিচারপতির রায়ে ঘুম উড়েছে অনেকের

    অন্যদিকে, মানিক ভট্টাচার্যের ভিডিও ফুটেজ আদালতে পেশ সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্ট যে স্থগিতাদেশ দিয়েছে, তা নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ প্রকাশ করতে দেখা যায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। বিচারপতির এই নির্দেশের পর অনেক আইনজীবী (Calcutta High Court) তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং তাঁদের মতামত হল যে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় অনেকের মনে ভয় ধরাতে পেরেছে। তাদের ঘুম উড়ে গিয়েছে। এ কথা শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের সঙ্গে কেউ দুষ্টুমি করলে তাকে তিনি রেয়াত করবেন না।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ‘‘দম থাকলে টাকা নিতে এসো’’! জীবনকৃষ্ণের মোবাইলে মিলল বিস্ফোরক তথ্য

    Recruitment Scam: ‘‘দম থাকলে টাকা নিতে এসো’’! জীবনকৃষ্ণের মোবাইলে মিলল বিস্ফোরক তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) মোবাইল ফোন থেকে মিলল বিস্ফোরক তথ্য।  পুকুরে উদ্ধার হওয়া সেই মোবাইলের তথ্য ঘেঁটে অবাক সিবিআই-এর গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে (CBI) দাবি করা হয়েছে, ২০২২ সালের অক্টোবরে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ঘেঁটে দেখা গিয়েছে, টাকা দিয়েও হয়নি কাজ, ফেরত চাওয়ায় চাকরিপ্রার্থীকে হুমকি দিয়েছেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। জানা গিয়েছে, টাকা ফেরত চাইলে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করানোর হুমকি দেন বড়ঞার বিধায়ক। টাকা ফেরত পেতে অনুরোধ জানালেই চাকরিপ্রার্থীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে।

    কীভাবে মিলল মোবাইল

    চলতি বছরের ১৭ই এপ্রিল, মুর্শিদাবাদের বড়ঞার আন্দিতে, নিজের বাড়ি থেকে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার (Recruitment Scam) করে সিবিআই। সেই সময়ই প্রমাণ লোপাটের জন্য়, নিজের ২টি মোবাইলই তিনি বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। পাম্পের সাহায্য জল ছেঁচে টানা প্রায় তিনদিনের চেষ্টায় পুকুরের কাদা পাঁক থেকে জীবনকৃষ্ণের মোবাইল দুটি উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারীরা। টানা প্রায় তিনদিন জলের তলায় থাকা এই মোবাইল দুটি থেকে আদৌ কোনও তথ্য উদ্ধার করা যাবে কী না, তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন তদন্তকারীরা। তবে সূত্রের খবর, জীবনকৃষ্ণর দুটি মোবাইল থেকে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত একাধিক তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। 

    আরও পড়ুন: বাংলার গ্রামোন্নয়নে মোদি সরকারের বরাদ্দ ১ হাজার ৬০০ কোটি, ১০ দিনে টাকা পাবে রাজ্য

    কী রয়েছে চ্যাটে

    তদন্তকারী সংস্থার দাবি, চাকরি দেওয়ার জন্য টাকা নিয়েও শেষ পর্যন্ত যাদের চাকরি দিতে পারেননি সেই সব চাকরিপ্রার্থীদের (Recruitment Scam) সঙ্গে জীবনকৃষ্ণের কথোপকথনের একাধিক তথ্য রয়েছে ওই চ্যাটে। সেখানে টাকা ফেরতের অনুরোধ করেছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। পাল্টা হিসেবে বিধায়কের তরফে কখনও ‘অর্ধেক টাকা ফেরৎ দেওয়ার আশ্বাস’, কখনও বা ‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে এক পয়সা না দেওয়ার হুঁশিয়ারি’ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, চাকরি দেওয়ার জন্য কারও কাছ থেকে ১২ লক্ষ, কারও কাছে ১৮ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বিধায়ক। এক গোয়েন্দা কর্তার কথায়, “এতদিন যা ছিল অভিযোগ, এবার সেটাই বলছে খোদ বিধায়কের মোবাইলের চ্যাট হিস্ট্রি!” সিবিআই সূত্রে পাওয়া এই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট অনুযায়ী, চাকরিপ্রার্থী বলছেন, ‘‘স্য়র, আমার টাকার দরকার। চারদিক থেকে খুব চাপ আসছে।’’ উত্তরে জীবনকৃষ্ণ সাহা, বলছেন, ‘‘আমি অর্ধেক টাকা দিয়েছি। বাকি টাকার জন্য় ধৈর্য ধরতে হবে। বারবার ফোন করলে কিন্তু গ্রেফতার হতে হবে।’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: মুর্শিদাবাদের পর এবার বাঁকুড়া, সাত শিক্ষককে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    Recruitment Scam: মুর্শিদাবাদের পর এবার বাঁকুড়া, সাত শিক্ষককে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের পর এবার বাঁকুড়া। সোমবার তলব করা হয়েছিল মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের প্রাইমারি স্কুলের চার শিক্ষককে। টাকা দিয়ে চাকরি কেনার (Recruitment Scam) অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। এবার তলব করা হল বাঁকুড়ার প্রাইমারি স্কুলের সাত শিক্ষককে। বুধবার নিজাম প্যালেসে তাঁদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই।

    হাজিরায় আসতে হবে নথি নিয়ে 

    বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে খবর, জেলার এই সাত শিক্ষককে তাঁদের চাকরি সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার যাবতীয় নথি নিয়ে হাজিরা দিতে বলেছে সিবিআই। এই শিক্ষকদের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড, মার্কশিট, জাতিগত শংসাপত্র সহ বিভিন্ন নথি নিয়ে সিবিআই দফতরে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছেও ওই সাত শিক্ষকের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই শিক্ষকদের নথিগুলি মিলিয়ে দেখতে চাইছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    চাকরি পেয়েছিলেন ২০১৪ টেটে

    জানা গিয়েছে, যে সাত শিক্ষককে বুধবার নিজাম প্যালেসে তলব (Recruitment Scam) করেছে সিবিআই, তাঁরা প্রত্যেকেই চাকরি পেয়েছিলেন ২০১৪ সালের টেট পাশ করে। সিবিআই সূত্রে খবর, এঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। সিবিআই সাত শিক্ষককে তলব করেছে খবর ছড়িয়ে পড়তেই হইচই জেলায়। সিবিআই কাকে, কখন তলব করবে, সেই আশঙ্কায় কাঁটা ২০১৪ সালের টেট পাশ করে চাকরি পাওয়া প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের একটা অংশ। প্রসঙ্গত, সোমবার যে চার শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা হলেন জাহিরউদ্দিন শেখ, সায়গর হোসেন, সীমার হোসেন এবং সৌগত মণ্ডল।

    আরও পড়ুুন: আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়োগ দুর্নীতি, দিনভর অবস্থানে কোভিড যোদ্ধারা

    এদিকে, নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় ধৃত প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ ও তাপস মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের চার্জশিটে। ২৪ পাতার ওই চার্জশিটে বলা হয়েছে, চাকরি বিক্রির এজেন্ট ও চাকরি প্রার্থী মিলিয়ে মোট ১৪১ জনের কাছ থেকে তাপস নেন ৪ কোটি ১২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা। আর চাকরি বেচে ৭১ জনের কাছ থেকে কুন্তল নিয়েছিলেন ৩ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা। চাকরি করে দিয়ে মুর্শিদাবাদের পাঁচ শিক্ষকের কাছ থেকে তাপস মোট ২৩ লক্ষ টাকা নেন বলেও অভিযোগ। এর মধ্যে ধৃত সায়গর দিয়েছিলেন ছ’ লক্ষ টাকা। জহিরউদ্দিন ও সৌগত দেন সাড়ে পাঁচ লক্ষ করে টাকা। সীমার দিয়েছিলেন পাঁচ লক্ষ টাকা। ওই চার্জশিটের প্রথমেই নাম রয়েছে আশিক আহমেদের। তিনি অবশ্য এখনও অধরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share