Tag: cbi

cbi

  • Recruitment Scam: ৪ ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের থেকে কত টাকা নিয়েছিলেন তাপস-কুন্তলরা? বিরাট দাবি সিবিআইয়ের

    Recruitment Scam: ৪ ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের থেকে কত টাকা নিয়েছিলেন তাপস-কুন্তলরা? বিরাট দাবি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি-বিক্রির এজেন্ট ও চাকরিপ্রার্থী মিলিয়ে মোট ১৪১ জনের কাছ থেকে ৪ কোটি ১২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন তাপস মণ্ডল। অন্যদিকে, চাকরি বিক্রি করে ৭১ জনের কাছ থেকে মোট ৩ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh), তাপস মণ্ডলের (Tapas Mondal) বিরুদ্ধে সিবিআই-এর (CBI) ২৪ পাতার চার্জশিটে বিস্ফোরক তথ্য।

    গ্রেফতার চার শিক্ষক

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবারই গ্রেফতার করা হয়েছে টাকা দিয়ে চাকরি কেনা চার শিক্ষককে (Teacher recruitment scam)। আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালত চার শিক্ষককে গ্রেফতারির নির্দেশ দেয়। তাঁদের ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সিবিআই তার নথিতে উল্লেখ করেছে, গ্রেফতার হওয়া ওই চার শিক্ষক ঘুষের টাকা দেন তাপস মণ্ডলকে। সিবিআই আগেই দাবি করছিল যে, একাধিক প্রার্থীর বয়ান থেকে তাপসের টাকার লেনদেন প্রকাশ্যে এসেছে। তবে কে কাকে টাকা দিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছিল। এদিন আদালতে সিবিআই তদন্তকারীরা যে নথি পেশ করেন, তাতে ওই চার শিক্ষকের নাম ছিল এবং নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে ওই চার শিক্ষক টাকা দিয়ে চাকরি কেনেন।

    আরও পড়ুন: মোদির মুখে ‘কুইট ইন্ডিয়া’! জাতীয় হ্যান্ডলুম দিবসের মঞ্চে বিরোধীদের তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    কার থেকে কত টাকা

    সিবিআই চার্জশিটে উল্লেখ, চাকরি বিক্রি করে মুর্শিদাবাদের ৫ শিক্ষকের কাছ থেকে মোট ২৩ লক্ষ টাকা নেন তাপস মণ্ডল। এর মধ্যে ধৃত সায়গর হোসেন দিয়েছিলেন ৬ লক্ষ টাকা। ধৃত জাহিরুদ্দিন শেখ, সৌগত মণ্ডল দিয়েছিলেন সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা করে এবং ধৃত সীমার হোসেন চাকরি কিনতে ৫ লক্ষ টাকা দেন তাপস মণ্ডলকে। চার্জশিটের ১ নম্বরে নাম থাকা আশিক আহমেদকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি সিবিআই। ঘুষ দিয়ে চাকরি কেনার অভিযোগে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ জন অযোগ্য শিক্ষককে। সোমবার সমন করে, এই ৪ শিক্ষককে আদালতে তলব করা হয়। তারপর আদালত কক্ষ থেকেই গ্রেফতার করে ৪ জনকে জেলে পাঠান আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। ২১ অগাস্ট পর্যন্ত তাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ মামলায় (Recruitment Scam) বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতা থেকে শুরু করে মন্ত্রী, একাধিক গ্রেফতারির ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনও শিক্ষককে এর আগে গ্রেফতার হয়নি। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jagdish Tytler: শিখদের হত্যা করতে বলেছিলেন জগদীশ টাইটলার! চার্জশিটে দাবি সিবিআইয়ের

    Jagdish Tytler: শিখদের হত্যা করতে বলেছিলেন জগদীশ টাইটলার! চার্জশিটে দাবি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি পদবি বিতর্কে সাময়িক স্বস্তি মিলেছে কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীর। তবে ফের অস্বস্তিতে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। এবার শিখ-নিধনের অভিযোগে খুনের মামলা দায়ের হল প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জগদীশ টাইটলারের (Jagdish Tytler) বিরুদ্ধে। চার্জশিটে সিবিআই জানিয়েছে, ১৯৮৪ সালে শিখ বিরোধী মামলায় জগদীশ শিখদের হত্যা করার জন্য জনতাকে প্ররোচিত করেছিলেন।

    প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান

    চার্জশিটে যে প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, সেখানে তাঁর দাবি, জগদীশ প্রথমে শিখদের হত্যা করতে জনতাকে বলেছিলেন। পরে বলেছিলেন, তাঁদের দোকান এবং মূল্যবান সামগ্রী লুট করতে। চার্জশিটে এও দাবি করা হয়েছে, কংগ্রেস নেতা দাঙ্গাকারীদের এই বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না। তাঁর (Jagdish Tytler) সংসদ ক্ষেত্রে অন্য কংগ্রেস সাংসদের আসনের তুলনায় বেশি শিখকে হত্যা করা হয়েছে কিনা, তাও তুলনা করে দেখছিলেন ওই কংগ্রেস নেতা। তিনি তাঁর অনুগামীদের আরও শিখকে আক্রমণ করতে বলেছিলেন।

    হত্যায় প্ররোচনা 

    চার্জশিটে প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, সেদিন জগদীশ একটি সাদা অ্যাম্বাসাডরে করে এসেছিলেন এবং জনতাকে প্ররোচিত করছিলেন। ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর দুই শিখ দেহরক্ষীর গুলিতে খুন হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তার পরেই দেশের বিভিন্ন অংশে শুরু হয় শিখদের ওপর অত্যাচার। চার্জশিটে বলা হয়েছে, ১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর টাইটলার জনতাকে শিখদের হত্যা করতে প্ররোচিত করেছিলেন। যার জেরে দিল্লির পল বাঙ্গাস গুরুদ্বারে আগুন লাগানো হয় এবং শিখ সম্প্রদায়ের তিনজনকে হত্যা করা হয়। জনতাকে প্ররোচিত করার পর ঘটনাস্থল থেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় টাইটলারকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ব্যালটের পর ইভিএম খেতে তৈরি তৃণমূল’’, নন্দীগ্রামে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    দাঙ্গায় পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে তাঁর দোকান। এমন এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানও দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের চার্জশিটে। ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “তিনি (টাইটলার) (Jagdish Tytler) একটি গাড়িতে করে এলেন এবং জনতাকে বললেন প্রথমে শিখদের হত্যা কর, পরে লুট কর তাদের দোকান।” চার্জশিটে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে আরও এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান। সেখানে তিনি বলেছেন, “আমি (টাইটলার) তোমাদের আশ্বস্ত করছি, তোমাদের কিছুই হবে না। তোমরা শুধু শিখদের হত্যা কর।” সিবিআইয়ের দাবি, দাঙ্গায় যে জগদীশ টাইটলার জড়িত ছিলেন, সে ব্যাপারে যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anurag Thakur: ‘‘মমতার নির্দেশে গুন্ডামি করছে তৃণমূল কর্মীরা’’, রাজ্যে এসে বললেন অনুরাগ

    Anurag Thakur: ‘‘মমতার নির্দেশে গুন্ডামি করছে তৃণমূল কর্মীরা’’, রাজ্যে এসে বললেন অনুরাগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) দুই তরুণীকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ঘটনায় এফআইআর দায়ের করল সিবিআই (CBI)। বৃহস্পতিবারই সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দিয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রক। তার পরেই দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। শনিবার রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি তিনি নিশানা করেন টিম ইন্ডিয়াকেও।

    ভোট-সন্ত্রাস নিয়ে নিশানা মমতাকে 

    শনিবার রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। প্রথমে কামারপুকুরে রামকৃষ্ণ মঠে যাওয়ার কথা রয়েছে অনুরাগের। তারপর খানাকুলে পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়ার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। এসেই পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং তৎপরবর্তী হিংসা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তোলেন। তিনি বলেন,  কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গুন্ডামি করছে তৃণমূল কর্মীরা। মমতার নির্দেশে বাংলায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। রাজনৈতিক লাভের জন্য ৮-৯ বছর ধরে সমাজবিরোধী ও অপরাধীদের আশ্রয় দিচ্ছেন তিনি। এর জবাব মানুষ ভোটের মাধ্যমে দিয়েছে। বিজেপির আসন প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।”

    অনুরাগের নিশানায় ‘ইন্ডিয়া’, অধীর

    এদিন রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। বিমানবন্দরে নেমেই নিশানা করেন ‘ইন্ডিয়া’কে। তিনি বলেন, “ইন্ডিয়া জোটের সাংসদদের মণিপুরে যাওয়া লোক দেখানো ছাড়া আর কিছুই নয়।” অধীরের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের ওপর অত্যাচার হয়েছে, নির্বাচনে মানুষের রক্ত ঝরেছে, মৃত্যুও হয়েছে। কংগ্রেস ও অন্য বিরোধী দলগুলির নেতারা কি পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি দেখতে আসবেন? কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভায় তাদের নেতার উদ্দেশে আমার এই প্রশ্ন। নিজের রাজ্যেও কি আপনাদের জোটের বাকি সাংসদদের নিয়ে আসবেন আপনি? যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁদের বাড়িতেও নিয়ে যাবেন তো?”

    মণিপুরে ‘ইন্ডিয়া’

    এদিকে, শনিবারই মণিপুরে গিয়েছে টিম ‘ইন্ডিয়া’। ‘ইন্ডিয়া’র ২১ সাংসদের এক প্রতিনিধি দল গিয়েছে মণিপুরে। এই দলে রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী, রাজ্যসভার সাংসদ তৃণমূলের সু্স্মিতা দেবও। রাজ্যে তৃণমূলের ঘোর শত্রু কংগ্রেস। তৃণমূলের সুস্মিতা দেবের সঙ্গে সেই কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরী মণিপুর যাওয়ায় উঠছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, বছর দুয়েক আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সন্তোষমোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা। 

    “সভ্য সমাজের লজ্জা”

    ৪ মে মণিপুরের কঙ্গপোকপি জেলায় দুই তরুণীকে বিবস্ত্র করে এলাকায় ঘোরানো হয়। গণধর্ষণও করা হয় বলে অভিযোগ। দিন কয়েক আগে এই ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়। যদিও ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। ঘটনাটি জানাজানি হতেই দেশজুড়ে শুরু হয় হইচই। বয়ে যায় নিন্দার ঝড়। অভিযুক্তদের পাশাপাশি যিনি ভিডিও করেছিলেন, তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর ফোন। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। তিনি বলেন, “এই ঘটনা যে কোনও সভ্য সমাজের লজ্জা।” এই ঘটনায় শুরু হয়েছে সিবিআই তদন্ত। 

    আরও পড়ুুন: প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে ৫০ শতাংশ আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা মোদির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manik Bhattacharya: “কাউকে চিনি না”! সিবিআই জেরায় দাবি মানিকের, কাকে বাঁচানোর চেষ্টা?

    Manik Bhattacharya: “কাউকে চিনি না”! সিবিআই জেরায় দাবি মানিকের, কাকে বাঁচানোর চেষ্টা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। এমতাবস্থায়ও তৃণমূল কর্মীদের একাংশকে তিনি বাঁচাতে চাইছেন বলে অভিযোগ। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, গ্রেফতার হওয়ার পরেও মানিককে ছেঁটে ফেলেনি দল। তারই প্রতিদান দিতে সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকদের সাফ জানালেন, “কাউকে চিনি না!”

    নিয়োগ কেলেঙ্কারির ‘মাস্টারমাইন্ড’

    কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত দু দফায় ঘণ্টা সাতেক ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় নিয়োগ কেলেঙ্কারির ‘মাস্টারমাইন্ড’কে (Manik Bhattacharya)। এই জিজ্ঞাসাবাদ-পর্বে তিনি পূর্ণ সহযোগিতা করছেন না বলে দাবি সিবিআইয়ের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, মানিক অনেক কিছুই বলেছেন। আবার কিছু ক্ষেত্রে বলেছেন, “অনেক কিছুই মনে নেই।” জেরার সময় কয়েকজনের নাম বলা হলে মানিক সাফ জানান, “চিনি না কাউকে।”

    সিবিআইয়ের অস্ত্র

    মানিককে জেরা করার আগে রীতিমতো তৈরিই হয়ে গিয়েছিল সিবিআই। আস্তিনে ছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচির বয়ান। সেই বয়ানের ভিত্তিতেই প্রশ্ন করা হয় মানিককে। মানিক, তাঁর স্ত্রী, পুত্র এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি সম্পর্কেও জানতে চান তদন্তকারীরা। যেহেতু মানিক (Manik Bhattacharya) তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করছেন না বলে অভিযোগ, তাই দাওয়াই বাতলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মানিকের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ওঁর ইমিডিয়েট পলিগ্রাফ টেস্ট করানো উচিত।”

    এদিকে, নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে মানিক ও তাঁর পরিবারের ৬১টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে বলে ইডি সূত্রে খবর। মানিকের এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে পাওয়া আট কোটির কাছাকাছি টাকাও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে চার্জশিটে দাবি ইডির। চার্জশিটে ইডির দাবি, জেরায় ৬১টি অ্যাকাউন্টের মধ্যে মাত্র ২৫টির কথা স্বীকার করেছিলেন পলাশিপাড়ার তৃণমূলের বিধায়ক মানিক। ওই চার্জশিটেই জানা গিয়েছে, ৩২টি কোম্পানিতে মানিকের ছেলে সৌভিকের ৩ লক্ষ ৪ হাজার টাকার শেয়ার রয়েছে। মানিকের স্ত্রী-ছেলের সঙ্গে পরিবারের বাইরের লোকের ১০টি অ্যাকাউন্টেরও হদিশ মিলেছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় এগুলির তথ্য তাঁরা লুকিয়েছিলেন।  

    আরও পড়ুুন: ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষ পরিত্রাণ পাবেন’’! কাকে নিশানা করে এ কথা বললেন শুভেন্দু?

    রীতিমতো ফ্লো-চার্ট করে চার্জশিটে ইডি দেখিয়েছে, কীভাবে টাকা সরানো হয়েছে অন্যের অ্যাকাউন্টে। মে মাসে আদালতে ইডি দাবি করেছিল, ২০১৪ সালের টেটে ৩২৫ জনকে পাশ করিয়ে দিতে মানিক (Manik Bhattacharya) নিয়েছিলেন ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। সেই সময়ই তাঁর ৩০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছিল। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের কয়েক ঘণ্টা পর বুধবার সিবিআই মানিকের বিরুদ্ধে নতুন করে একটি এফআইআর দায়ের করে আলিপুর আদালতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ভারতীয় সেনায় পাক নাগরিকের চাকরির মামলায় এফআইআর করতে চায় সিবিআই

    Calcutta High Court: ভারতীয় সেনায় পাক নাগরিকের চাকরির মামলায় এফআইআর করতে চায় সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাল নথি নিয়ে ভারতীয় সেনায় চাকরি করছেন দুই পাক নাগরিক। এ সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এই মামলায়ই এবার এফআইআর দায়ের করতে চায় সিবিআই। বুধবার মামলার শুনানি হয় বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। সেখানেই একথা জানায় সিবিআই। তদন্তকারী এই সংস্থার তরফে এও জানানো হয়েছে, হাইকোর্টের আগের নির্দেশ মতো এই ঘটনার অনুসন্ধান করছে সিবিআই। প্রসঙ্গত, সোমবারই সিবিআইকে তাদের অনুসন্ধান রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।

    জাল নথি দিয়ে নিয়োগ

    কেবল সেনাবাহিনীতেই নয়, আধা সামরিক বাহিনীতেও জাল নথি দাখিল করে নিয়োগের হদিশ দিয়েছিল সিআইডি। তবে কোনও পাক নাগরিকের জাল নথি নিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকরি করার কোনও নজির (Calcutta High Court) তারা পায়নি বলে হাইকোর্টে জানিয়েছিল রাজ্য। ২৩ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেছিলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। এর সঙ্গে দেশের নিরাপত্তাও জড়িয়ে রয়েছে। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সব সমস্যাকে সমন্বয় রেখে এই ঘটনার তদন্ত করতে হবে। এই মামলারই শুনানি হয়েছে বুধবার।

    সেনায় পাক চর!

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় সেনার ব্যারাকপুর ছাউনিতে দুই পাক নাগরিক জাল নথি দিয়ে চাকরি করছেন বলে হাইকোর্টে মামলা করেন বিষ্ণু চৌধুরী নামে হুগলির এক বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ, পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই মারফত চর ঢোকানো হচ্ছে ভারতীয় সেনায়। তাঁর দাবি, ব্যারাকপুর সেনা ছাউনিতে জয়কান্ত কমার ও প্রদ্যুম্ন কুমার নামে দুই পাক নাগরিক চাকরি করছেন। সেনা বাহিনী, রাজ্য পুলিশ, ভিন রাজ্যের পুলিশ ও প্রভাবশালীদের মারফত তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। জাল নথি দাখিল করে তাঁরা চাকরি পেয়েছেন বলেও অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: ভোট-হিংসায় সিবিআই, বিস্ফোরণে এনআইএ চাই, রিপোর্ট পেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের

    এই মামলার শুনানির পর প্রাথমিক অনুসন্ধানের জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা (Calcutta High Court)। ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের জিওসি এবং মিলিটারি পুলিশকে এই মামলার শরিক করার নির্দেশও দেওয়া হয়। সিআইডির কাছেও এই মামলার প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসন্ধান করে সিবিআই। এদিকে, এদিন আদালতে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিষ্ণু। তিনি জানান, তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর পরেই আদালত তাঁকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে হুগলি জেলার পুলিশ সুপারের কাছে নিরাপত্তার আবেদন করার নির্দেশ দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: ভোট-হিংসায় সিবিআই, বিস্ফোরণে এনআইএ চাই, রিপোর্ট পেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের  

    Panchayat Election 2023: ভোট-হিংসায় সিবিআই, বিস্ফোরণে এনআইএ চাই, রিপোর্ট পেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) ব্যাপক অশান্তি হয়েছে রাজ্যে। এই নির্বাচনের আগে-পরে যত হিংসার ঘটনা ঘটেছে, সেসব ক্ষেত্রেই সিবিআই তদন্ত দাবি করল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। কেবল তাই নয়, বিজেপির দাবি, তদন্ত হতে হবে কলকাতা হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে। নির্বাচন-পর্বে রাজ্যের যেসব জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে, সব ক্ষেত্রেই এনআইএ তদন্ত দাবি করেছে ওই টিম।

    রাজ্যের সমালোচনা

    বুধবার বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার হাতে ভোট-হিংসা নিয়ে রিপোর্টও জমা দিয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বাধীন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। দাবি করেছে সিবিআই, এনআইএ তদন্তের। নাড্ডার কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য সরকারের নিন্দা করেন রবিশঙ্কর। সমালোচনা করেন তৃণমূলের ‘খেলা হবে’ স্লোগানেরও। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে (Panchayat Election 2023) ঘিরে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটে রাজ্যে। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরেই শুরু হয়ে যায় খুনখারাপি। চলতে থাকে নির্বাচনের ফল বেরনোর পরেও বেশ কয়েকদিন ধরে। সব মিলিয়ে এই পর্বে রাজনৈতিক হিংসার বলি হন ৫২ জন। এঁরা যে সবাই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থক তা নয়, এঁদের মধ্যে রয়েছেন ভোটারও।

    রক্তের হোলি খেলা

    এই হিংসায় কোথাও খুন হয়েছেন বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকরা, কোথাও আবার রাজনীতি করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরেছেন তৃণমূলেরই কোনও কর্মী-সমর্থক। তিনি অবশ্য বলি হয়েছেন গোষ্ঠীকোন্দলের। রাজ্যে ভোট-হিংসার প্রকৃত চিত্র দেখতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম গঠন করেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। টিমের মাথায় রাখায় হয় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে। ১২-১৪ জুলাই তাঁরা (Panchayat Election 2023) ঘুরে দেখেন রাজ্যের বিভিন্ন হিংসা প্রবণ এলাকা। এই সময় তাঁরা যেসব তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন, সেই সব তথ্যই এদিন দিল্লিতে তুলে দেওয়া হয় নাড্ডার হাতে।

    আরও পড়ুুন: ভোট ‘সন্ত্রাসের শিকার’! আক্রান্ত মহিলাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেল বিজেপির পরিষদীয় দল

    ২৬ পাতার ওই রিপোর্টে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলায় গেলেও, স্পর্শকাতর বুথের তথ্য দেয়নি কমিশন। বাংলার গ্রামাঞ্চলে বিজেপি কর্মীরা যে ভয়ে ভয়ে রয়েছেন, তাও জানানো হয়েছে রিপোর্টে। এর পাশাপাশি সব হিংসার ক্ষেত্রে সিবিআই এবং সব বিস্ফোরণের ক্ষেত্রে এনআইএ তদন্ত দাবি করা হয়েছে। রবিশঙ্কর বলেন, নির্বাচনের আগে আদালত অন্তত পাঁচবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেছিল। স্পর্শকাতর জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল। যদিও সরকার কেন্দ্রীয় বাহিনীর অপব্যবহার করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manik Bhattacharya: টানা ছ’ ঘণ্টা জেরা, মানিকের বিরুদ্ধে ১০০ পাতার নয়া এফআইআর সিবিআইয়ের  

    Manik Bhattacharya: টানা ছ’ ঘণ্টা জেরা, মানিকের বিরুদ্ধে ১০০ পাতার নয়া এফআইআর সিবিআইয়ের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) ঘণ্টা ছয়েক ধরে জেরা করে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে বেরলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। মঙ্গলবার রাতেই মানিকের বিরুদ্ধে প্রায় ১০০ পাতার এফআইআর দায়ের করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, নকল নথি বানানো, নথি জাল করা, জালিয়াতি সহ কয়েকটি ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মানিক ছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের নামেও দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। তবে জেরায় তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে মানিক সহযোগিতা করছেন না বলেই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর।

    মানিকের বিরুদ্ধে এফআইআর

    বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআয়ের তরফে জানানো হয়, মানিকের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। এদিন মানিককে দীর্ঘক্ষণ জেরাও করা হয়েছে। মামলাটি নিয়ে অনেক কিছু বলেছেন তিনি। সব কিছু ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছে। এর পরেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই ভিডিও ফুটেজ আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টও সিবিআইকে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

    প্রেসিডেন্সি জেলে সিবিআই

    এদিন সকালে ফের একবার মানিককে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছান তদন্তকারীরা। প্রাথমিকে নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে মানিককে জেরা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মতো মঙ্গলবার রাতেই ঘণ্টা দুয়েক ধরে জেরা করা হয় তাঁকে। ওই রাতেই দায়ের হয় এফআইআর। এদিকে, এদিন সিবিআইয়ের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমাদের সরকারি আধিকারিকরা অত্যন্ত দক্ষ। ভাল কাজের জন্য ধন্যবাদ।”

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে কাউন্সেলিং পর্বে ডিজাইনড কোরাপশন (Manik Bhattacharya) হয়েছে বলে মঙ্গলবারই বলেছিল আদালত। তার পরেই আদালত চেয়েছিল, সিবিআই নতুন করে এফআইআর রুজু করে তদন্ত করুক। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, এদিনই জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করুক সিবিআই। তিনি বলেছিলেন, “২০২০ প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এটা নতুন ধরনের দুর্নীতি। আজই মানিক ভট্টাচার্যকে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন সিবিআইয়ের দক্ষ দুই অফিসার।” সন্ধে ৬টার মধ্যে মামলাকারীদের আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে আজই প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।

    আরও পড়ুুন: ভোট ‘সন্ত্রাসের শিকার’! আক্রান্ত মহিলাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেল বিজেপির পরিষদীয় দল

    ২০২০ সালের প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে হয়েছিল কাউন্সেলিং। পরের বছর জুলাই মাসে কাউন্সেলিংয়ের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ। সেখানে চতুরতার সঙ্গে ড্রাফট লেখা হয়েছিল। হোম ডিস্ট্রিক্ট ফাঁকা না দেখিয়ে, প্রেফার্ড ডিস্ট্রিক্টকে পছন্দ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। কাউন্সেলিং পর্বে প্রার্থীদের বলা হয় ‘লাস্ট চান্স’। যদিও সেবারই তাঁরা প্রথম সুযোগ পাচ্ছিলেন। এখানেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে, পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Justice Abhijit Ganguly: ছক কষেই দুর্নীতি! জেলে গিয়ে মানিককে জেরা করার নির্দেশ সিবিআই-ইডিকে

    Justice Abhijit Ganguly: ছক কষেই দুর্নীতি! জেলে গিয়ে মানিককে জেরা করার নির্দেশ সিবিআই-ইডিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় মঙ্গলবার সিবিআইয়ের (CBI) সমালোচনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। তাঁর প্রশ্ন, “কতবার মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই?” সিবিআইয়ের সিটের প্রধান অশ্বিনী শেনভিকে ভার্চুয়ালি তলবও করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পর্ষদের ‘ডিজাইনড কোরাপশনে’র উল্লেখও করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    ‘নতুন ধরনের দুর্নীতি’

    ২০২০ সালে কাউন্সেলিং পর্বে হয়েছে এই ডিজাইনড কোরাপশন। আদালত চায়, সিবিআই নতুন করে এফআইআর রুজু করে তদন্ত করুক। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, এদিনই জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করুক সিবিআই। তিনি (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “২০২০ প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এটা নতুন ধরনের দুর্নীতি। আজই মানিক ভট্টাচার্যকে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন সিবিআইয়ের দক্ষ দুই অফিসার। সন্ধে ৬টার মধ্যে মামলাকারীদের আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে আজই প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।

    ‘ডিজাইনড কোরাপশন’

    প্রশ্ন হল, ডিজাইন কোরাপশন কী? জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে হয়েছিল কাউন্সেলিং। পরের বছর জুলাই মাসে কাউন্সেলিংয়ের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ। সেখানে চতুরতার সঙ্গে ড্রাফট লেখা হয়েছিল। হোম ডিস্ট্রিক্ট ফাঁকা না দেখিয়ে, প্রেফার্ড ডিস্ট্রিক্টকে পছন্দ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। কাউন্সেলিং পর্বে প্রার্থীদের বলা হয় ‘লাস্ট চান্স’। যদিও সেবারই তাঁরা প্রথম সুযোগ পাচ্ছিলেন। এখানেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে, পর্যবেক্ষণ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly)। তিনি জানান, যে মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ পেয়েছেন মানিক, সেই মামলার সঙ্গে এই নতুন মামলার কোনও যোগ নেই। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, তদন্ত চালিয়ে গেলেও, মানিকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই।

    আরও পড়ুুন: প্রসঙ্গ মণিপুর, বিধানসভায় রাজ্যের অস্ত্রেই সরকারকে ঘায়েল করবেন শুভেন্দু!

    ইডির উদ্দেশে এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, এই মামলায় কোনও আর্থিক তছরুপ হয়ে থাকলে তদন্ত করতে পারবে তারা। প্রয়োজনে মানিককে হেফাজতেও নিতে পারবে। আজ, মঙ্গলবার থেকেই তদন্ত শুরু করতে পারবে ইডি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, যে ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রসঙ্গত, বীরভূম, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ ও হুগলিতে ডিজাইন কোরাপশনের অভিযোগ উঠেছে।

    মঙ্গলবার প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। মামলাটি ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এজলাসে। ওই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিকের নিয়োগে পরিকল্পিত দুর্নীতি হয়েছে। যার নেপথ্যে রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। মানিক-ই ছক কষে ডিজাইনড কোরাপশন করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Recruitment Scam Case: নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উপদেষ্টা কমিটি কেন? গঠনই বা করল কে? উত্তর খুঁজছে সিবিআই

    Recruitment Scam Case: নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উপদেষ্টা কমিটি কেন? গঠনই বা করল কে? উত্তর খুঁজছে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার (Recruitment Scam Case) জন্য উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছিল ২০১৮ সালে। পরে এই উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশেই নিয়োগ হয়। দু বছর আগের নিয়োগ প্রক্রিয়ার দায়িত্ব কেন দু বছর পরে উপদেষ্টা কমিটিকে দেওয়া হল, তা নিয়েই প্রশ্ন সিবিআইয়ের। তাহলে কী কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যেই গড়া হয়েছিল উপদেষ্টা কমিটি? এসব প্রশ্নের উত্তর পেতেই বোর্ডের সেক্রেটারি, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান এবং শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে চিঠি পাঠাল সিবিআই।

    গুচ্ছ প্রশ্ন

    কে বা কারা নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার দু বছর পর উপদেষ্টা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিলেন, কার নির্দেশে এই কমিটি তৈরি হয়েছে, কমিটিতে কাদেরই বা নেওয়া হয়েছিল, এসবও শিক্ষা দফতরের কাছে জানতে চেয়েছে তদন্তকারী ওই সংস্থা। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের নথিপত্র ঠিক আছে কিনা, নিয়োগপত্র কোথা থেকে দেওয়া হয়েছিল, এসব সংক্রান্ত যাবতীয় নথিও চেয়ে পাঠিয়েছিলেন গোয়েন্দারা।

    সিবিআইয়ের চিঠি  

    সরকারি স্কুলগুলিতে প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বেআইনি নিয়োগের (Recruitment Scam Case) যে অভিযোগ উঠেছে, হাইকোর্টের নির্দেশে তার তদন্ত করছে সিবিআই। সেই তদন্ত করতে গিয়েই এক সঙ্গে তিনটি দফতরকে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই চিঠির জবাবও এসে গিয়েছে নিজাম প্যালেসে। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার তদন্তে যেসব স্কুলে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ, তার একটি জেলা ভিত্তিক তালিকাও তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই তালিকায় থাকা কাটোয়ার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকেও নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ফের তড়িঘড়ি দিল্লি গেলেন শুভেন্দু, আবার কী হল?

    এরই কিছুদিন আগে প্রাক্তন শিক্ষা সচিব দুষ্মন্ত নারিয়ালাকে ঘণ্টা পাঁচেক ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে দুষ্মন্তের নাম। তার পরেই তলব (Recruitment Scam Case) করা হয় তাঁকে। ২০১৬ থেকে ২০১৮-র জুন মাস পর্যন্ত স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিব পদে ছিলেন দুষ্মন্ত। ওই সময় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দুষ্মন্ত যখন শিক্ষা সচিব ছিলেন, তখনই নিয়োগ হয় গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি এবং একাদশ-দ্বাদশে। তাই জেরা করা হয়েছে দুষ্মন্তকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Recruitment Scam: নিয়োগে অনিয়ম! সিবিআই প্রশ্নের মুখে কাটোয়া গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা

    Recruitment Scam: নিয়োগে অনিয়ম! সিবিআই প্রশ্নের মুখে কাটোয়া গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) এবার বর্ধমানের কাটোয়া গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই (CBI)। অভিযোগ, ওই স্কুলে অনিয়মের কারণে এক শিক্ষিকা কাজে যোগ দিতে পারেননি। সে কারণে সোমবার কাটোয়া দুর্গাদাসী চৌধুরানি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কবিতা সরকারকে তলব করা হয়। তাঁর বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে না পারায় এদিন সন্ধ্যায় স্কুলের কর্মী বিজন সাহাকেও ডেকে পাঠান গোয়েন্দারা। বিজন আবার কাটোয়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরও। 

    কেন তলব

    সিবিআই সূত্রে খবর, ২০২১ সালে এক শিক্ষিকার নিয়োগে অনিয়মের কারণে ওই স্কুলটি গোয়েন্দাদের নজরে আসে। অভিযোগ, মৌমিতা চক্রবর্তী নামে একজনের নিয়োগের চিঠি স্কুলে এসেছিল। কিন্তু তিনি ওই স্কুলে যোগ দিতে পারেননি নানা কারণে। কেন এমনটা হয়েছিল, তা জানতেই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে তলবের পাশাপাশি নথিপত্র পাঠাতে বলেন গোয়েন্দারা। ওই স্কুলটিতে বেআইনি পদ্ধতিতে একাধিক শিক্ষিকার নিয়োগ হয়েছে বলেও অভিযোগ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর,  কাটোয়া গার্লস স্কুলে বেআইনি ভাবে বেশ কয়েকজনের চাকরির অভিযোগ। কাদের সুপারিশে চাকরি, মেল মারফত কোনও চিঠি এসেছিল, নাকি হাতে কেউ দিয়ে গিয়েছিল ? জানতে প্রধান শিক্ষিকাকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

    আরও পড়ুন: প্রবীণ আরএসএস নেতা মদন দাস দেবীর জীবনাবসান, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    নিয়োগ মামলার তদন্তে নেমে জেলা ধরে ধরে রাজ্যের এমন বেশ কিছু স্কুলের নামের তালিকা সিবিআই তৈরি করেছে, যেখানে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ। তার মধ্যে অন্যতম কাটোয়ার ওই স্কুল। স্কুলটি কেন্দ্রীয় সংস্থার আতশকাচের নীচে রয়েছে।সিবিআই সূত্রে খবর, এই স্কুলে কী ভাবে নিয়োগ হয়েছে, কোন শিক্ষিকা কবে, কিসের ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছেন, তা জানার জন্য প্রধান শিক্ষিকাকে ডাকা হয়েছে। স্কুলে কর্মরত শিক্ষিকারা চাকরিতে যোগদানের সময় কী কী নথি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছেন, নথিপত্র সব ঠিকঠাক ছিল কি না, তা-ও জানতে চায় সিবিআই। অভিযোগ, বেআইনি পদ্ধতিতে চাকরি পাওয়া কয়েক জন অযোগ্য প্রার্থী ওই স্কুলে চাকরি করছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share