Tag: cbi

cbi

  • CBI: কয়লা, গরু পাচার মামলার তদন্তকারী সিবিআই কর্তাকে হায়দরাবাদে বদলি

    CBI: কয়লা, গরু পাচার মামলার তদন্তকারী সিবিআই কর্তাকে হায়দরাবাদে বদলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি থেকে কয়লা-গরুপাচারের তদন্ত চালানো সিবিআই-এর (CBI) দুর্নীতি দমন শাখার প্রধান (Head Of Anti Corruption Branch Transferred) তথা জয়েন্ট ডিরেক্টর এস বেণুগোপালকে বদলি করা হল। এক বছরের মাথায় বদল করা হল তাঁকে। বেণুগোপালকে পাঠানো হয়েছে সিবিআই-এর হায়দরাবাদ শাখায়। সিবিআইয়ের কলকাতা জোনের নতুন যুগ্ম অধিকর্তা হলেন  মহারাষ্ট্র ক্যাডারের অফিসার রাজেশ প্রধান।

    নয়া যুগ্ম অধিকর্তা 

    কয়লা এবং গরু পাচার তদন্তের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এন বেণুগোপাল। তদন্তের মাঝেই সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। বেণুগোপালের পাশাপাশি যুগ্ম অধিকর্তা (নীতি) অমিত কুমারকেও বদলি করা হয়েছে। বেণুগোপালের পরিবর্তে আসা রাজেশ (Rajesh Pradhan) ২০০৩ সালের আইপিএস ক্যাডার। সিবিআইয়ের ডিআইজি পদে রয়েছেন তিনি। ডেপুটেশনের ভিত্তিতে আগামী পাঁচ বছরের জন্য তাঁকে সিবিআইয়ের কলকাতা জোনের যুগ্ম অধিকর্তা হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, ২০০৩-এর ব্যাচের অফিসার রাজেশ প্রধানকে অবিলম্বে দায়িত্ব বুঝে নিতে বলা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত-হিংসার আঁচ সংসদেও! অভিনব প্রতিবাদ বাংলার বিজেপি সাংসদদের

    কেন বদলি

    গত বছর জুন মাসে সিবিআইয়ের কলকাতা জোনের যুগ্ম অধিকর্তা পদে বসানো হয় বেণুগোপালকে। তার আগে ওই পদে ছিলেন পঙ্কজ শ্রীবাস্তব। কলকাতায় নিজাম প্যালেসে সিবিআই-এর অ্যান্টি করাপশন ব্র্যাঞ্চের যে অফিস রয়েছে, সেখান থেকেই নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার, কয়লা পাচার, পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলছে। কিন্তু তদন্তের অগ্রগতি যে সন্তোষজনক নয়, তা নিয়ে একাধিক বার সরব হয়েছে আদালত। কয়েকদিন আগে পুরসভার দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন তখনও বিচারপতি ক্ষোভপ্রকাশ করে জানান, তদন্তের কোনও রকম অগ্রগতি নেই। তার পরই দিল্লি থেকে একটি রিপোর্ট আসে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। সেখানে বেশ কয়েকটি বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছিল। তার পরই এই সিদ্ধান্ত সিবিআইয়ের। যা শোনা যাচ্ছে, তাতে দু’একদিনের মধ্য়েই চার্জ বুঝে নিতে পারেন রাজেশ প্রধান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: সিবিআইয়ের নজরে ১৪টি পুরসভা! পুর দুর্নীতির আড়ালে কীসের আঁচ? 

    Recruitment Scam: সিবিআইয়ের নজরে ১৪টি পুরসভা! পুর দুর্নীতির আড়ালে কীসের আঁচ? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানদেরও তলব করতে চলেছে সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থা সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহ থেকেই ডাকা হবে বিভিন্ন পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও এক্সজিকিউটিভ অফিসারদের। স্থানীয় শাসক দলের নেতা-সহ একাধিক প্রভাবশালী নেতা ও মন্ত্রীও এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, প্রাথমিক তদন্তের পরে এমনটাই দাবি সিবিআইয়ের। নগরোন্নয়ন দফতর ও মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও অফিসারেরা জড়িত, এমন সূত্রও পাওয়া গিয়েছে বলে সিবিআইয়ের দাবি।

    জড়িত একাধিক প্রভাবশালী নেতা

    সিবিআই সূত্রে খবর, আপাতত ১৪টি পুরসভার কর্তাদের নোটিস পাঠিয়ে তলব করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এই মামলায় এক যোগে ১৪টি পুরসভায় অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। বাজেয়াপ্ত হয়েছিল একাধিক নথি। মিলেছে ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত একাধিক পদে নিয়োগের ওএমআর শিট। মূলত ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে প্রায় ৭০টির বেশি পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করছেন তদন্তকারীরা। সমস্ত নথি খতিয়ে দেখার পরই এবার পুরসভার কর্তাদের তলব করতে চাইছে সিবিআই। আপাতত ১৪টি পুরসভায় তল্লাশির সময়ে পুরকর্তা ও এগজিকিউটিভ অফিসারদের এক প্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সিবিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ে তাঁদের আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ওই জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে বাকি জড়িতদের ধাপে ধাপে তলব করা হবে। চলতি সপ্তাহেই ওই সব পুরসভার কর্তাদের তলব করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস! ১৯ জুলাই কলকাতায় বিজেপির মহামিছিল

    পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে তদন্তে ইডি

    সিবিআইয়ের পাশাপাশি পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) সমান্তরাল তদন্ত শুরু করেছে ইডি (ED)। নিয়োগ দুর্নীতির টাকা কোথা থেকে এসে কোথায় গিয়েছে, মূলত তা-ই খতিয়ে দেখার কথা তাদের। ইডির তরফে‌ ২০১৪ ও ২০১৭ সালের পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত নথি নগরোন্নয়ন দফতর ও মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের কাছে তলব করা হয়েছে। ওই সব নথিও ইডির হাতে এসেছে। তদন্তকারীরা সেগুলিও খতিয়ে দেখছেন বলে ইডি জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে প্রমোটার অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফো জোনের অফিসে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই অভিযানে পুরসভা নিয়োগ সংক্রান্ত ওএমআর মেলে অয়ন শীলের অফিসে। সঙ্গে উদ্ধার হয় পুরসভা নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক নথি। সেই সমস্ত নথি খতিয়ে দেখেই ইডির তরফে দাবি করা হয় পুরসভাগুলিতে নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kuntal Ghosh: অভিষেকের নাম বলার জন্য চাপ! কুন্তলের চিঠির অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি সিবিআই-এর

    Kuntal Ghosh: অভিষেকের নাম বলার জন্য চাপ! কুন্তলের চিঠির অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলতে তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন কুন্তল ঘোষ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ জানিয়ে জেলে বসে চিঠি লিখেছিলেন কুন্তল। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে আদালতে জানিয়ে দিল সিবিআই। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে সিবিআই জানায়, কুন্তলকে কেউ চাপ দিচ্ছেন এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকী জেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেও কোনও সূত্র পাননি তদন্তকারীরা। এরপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উদ্দেশে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘‘এখনও কেন কিং পিন অবধি পৌঁছনো যাচ্ছে না।’’

    অভিযোগ ভিত্তিহীন

    গত ২৯ মার্চ ধর্মতলায় শহিদ মিনারের সভা থেকে অভিষেক দাবি করেছিলেন, হেফাজতে থাকার সময় মদন মিত্র, কুণাল ঘোষকে তাঁর নাম নিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পরেই রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষ দাবি করেন যে, অভিষেকের নাম বলার জন্য তাঁকে ‘চাপ’ দিচ্ছে ইডি, সিবিআই। এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতে চিঠিও দেন কুন্তল। পুলিশি হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি পাঠান কলকাতার হেস্টিংস থানাতেও। তার পর হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, প্রয়োজনে সিবিআই বা ইডি এই ঘটনায় অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ভোট-পরবর্তী হিংসায় ফের আক্রান্ত গ্রামবাংলা, এটাই কি গণতন্ত্র?’’ নিন্দা শুভেন্দুর

     শুক্রবার হাই কোর্টে রিপোর্ট দিয়ে সিবিআই জানায় যে, কুন্তলের অভিযোগ ভিত্তিহীন। সিবিআইয়ের তরফে এ-ও জানানো হয়েছে যে, কুন্তলের জেলযাত্রার প্রথম দিন থেকে ওই চিঠি লেখা পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে যে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত, তাতে মাত্র কয়েক দিনের ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে। বাকি ফুটেজ নেই। জেল থেকে মাত্র কয়েকদিনের ফুটেজ দেওয়া হয়। সেই ফুটেজে কোথাও কোনও চাপ দেওয়ার ঘটনা দেখা যায়নি। এরপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উদ্দেশে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘‘এখনও কেন কিং পিন অবধি পৌঁছনো যাচ্ছে না।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Recruitment Scam: ৩৫০ কোটির নিয়োগ দুর্নীতি! হাইকোর্টে জমা পড়ল রিপোর্ট, তালিকা পেশের নির্দেশ

    Recruitment Scam: ৩৫০ কোটির নিয়োগ দুর্নীতি! হাইকোর্টে জমা পড়ল রিপোর্ট, তালিকা পেশের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Recruitment Scam) সঙ্গে যুক্ত ৩৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির খোঁজ পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে মুখবন্ধ খামে একটি রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য শুনে বিচারপতি অমৃতা সিনহা এদিন জানতে চান, ‘এত টাকা যদি এই দুর্নীতি থেকে উঠে থাকে, তাহলে আপনারা এখনও এই দুর্নীতির কিংপিন কে, তাকে কেন খুঁজে পাচ্ছেন না?’ এদিন, সিবিআইয়ের তদন্তের ‘ধীর গতি’ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। 

    সাড়ে ৩০০ কোটির দুর্নীতি

    আদালত সূত্রে খবর, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, অয়ন শীল ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ১৫ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত এবং ৪৩টি স্থাবর সম্পত্তি প্রসিড অব ক্রাইম হিসাবে অ্যাটাচ করা হয়েছে। সূত্রের দাবি, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা বাংলা সিনেমা থেকে স্থাবর সম্পত্তি, অস্থাবর সম্পত্তিতেও বিনিয়োগ করা হয়েছে বলেই ইডির রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১২৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি এবং নগদ অ্যাটাচ করা হয়েছে। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই রিপোর্ট জমা পড়ে। বিচারপতি অর্ডার দেওয়ার সময় ওই রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে টাকার কথা বলেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভোট-পরবর্তী হিংসায় ফের আক্রান্ত গ্রামবাংলা, এটাই কি গণতন্ত্র?’’ নিন্দা শুভেন্দুর

    কিংপিন কে? 

    এদিন মামলাকারীর তরফে আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতকে বলেন, ‘৪২ হাজারের বেশি নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু কে বা কারা মূল সুবিধা পেয়েছে, এখনও সিবিআই সেটা খুঁজে বের করতে পারেনি। সিবিআইকে সেটা খুঁজে বের করার নির্দেশ দেওয়া হোক।’ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ (Recruitment Scam) মামলায় যে চাকরিপ্রাপকদের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল, তাঁদের নামের তালিকা আদালতে জমা দিতেও বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এই মামলায় দুই তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআইকে আগামী ২৯ আগস্টের মধ্যে তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলাতে তাঁকে ‘চাপ’ দেওয়া হচ্ছে— কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ জানিয়ে জেলে বসে চিঠি লিখেছিলেন কুন্তল ঘোষ। রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তলের সেই ‘বিতর্কিত’ চিঠির অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে শুক্রবার দাবি করে সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার রেলের ৩ আধিকারিক

    Odisha Train Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার রেলের ৩ আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার বালেশ্বরে (Odisha Train Accident) করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় রেলের তিন আধিকারিককে গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ওই তিন আধিকারিকের কাজকর্মের জেরেই ঘটেছিল দুর্ঘটনা। এদিন যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা হলেন সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়র অরুণ কুমার মোহন্ত, সেকশন ইঞ্জিনিয়র মহম্মদ আমির খান ও টেকনিশিয়ান পাপ্পু কুমার। সিবিআই জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ও ২০১ নম্বর ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে ওই তিনজনকে।

    করমণ্ডল দুর্ঘটনা 

    গত ২ জুন বালেশ্বরের (Odisha Train Accident) বাহানগা স্টেশনের অদূরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হাওড়া চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মেইন লাইনের পরিবর্তে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে থাকা আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস ঢুকে পড়েছিল লুপ লাইনে। ওই লুপ লাইনে আগে থেকেই দাঁড়িয়েছিল একটি মালগাড়ি। তার পিছনে ধাক্কা মেরে লাইনচ্যুত হয়ে যায় করমণ্ডলের একাধিক কোচ। এরই কয়েকটি ছিটকে পড়ে পাশের লাইনে। সেই সময় ওই লাইনে আসছিল ডাউন এসএমভিটি বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। করমণ্ডলের কোচে ধাক্কা মেরে হাওড়াগামী ট্রেনের কয়েকটি কোচও লাইনচ্যুত হয়ে যায়। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান প্রায় ২৮৮ জন। আহত হয়েছিলেন এক হাজার জনেরও বেশি মানুষ। 

    তদন্ত শুরু রেলের

    দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) কারণ জানতে তদন্ত শুরু করে রেলের সেফটি কমিশন। উচ্চ পর্যায়ের তদন্তে জানা যায়, সিগন্যালের ভুলের কারণেই ঘটেছিল মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনা। মূলত সিগন্যালিং ও টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের একাধিক ভুলের জন্য মেইন লাইনের বদলে লুপ লাইনে ঢুকে পড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনার এএম চৌধুরীও তাঁর রিপোর্টে দাবি করেছেন, বিভিন্ন স্তরে সিগন্যালিংয়ের ত্রুটির কারণেই ঘটেছে এই দুর্ঘটনা।

    আরও পড়ুুন: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২২ সালে খড়্গপুর ডিভিশনের বাঁকড়া নয়াবাজ স্টেশনেও এই একই ধরনের ত্রুটি দেখা দিয়েছিল সিগন্যালিংয়ে। যার জেরে ভুল করে ট্র্যাকে ঢুকে পড়েছিল ট্রেন। এই রিপোর্টটি সিবিআইকে দেওয়ার কথা। কারণ এই দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) নেপথ্যে অপরাধমূলক কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা, তা জানতে তদন্ত করছে সিবিআই-ও। সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিলেন রেলমন্ত্রী স্বয়ং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: কলকাতায় জরুরি বৈঠকে সিবিআইয়ের শীর্ষ কর্তারা, কী হল এমন?

    CBI: কলকাতায় জরুরি বৈঠকে সিবিআইয়ের শীর্ষ কর্তারা, কী হল এমন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা কেলেঙ্কারি, গরু পাচার, শিক্ষায় নিয়োগ কেলেঙ্কারি – রাজ্যের একাধিক দুর্নীতির (Scam Case) অভিযোগের তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। তদন্তের অগ্রগতি জানতেই মঙ্গলবার কলকাতার নিজাম প্যালেসে বৈঠকে বসলেন সিবিআইয়ের শীর্ষ কর্তারা। সম্প্রতি সিবিআইয়ের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল পদে উন্নীত হয়েছেন সিনিয়র আইপিএস অফিসার মনোজ শশীধর। এদিনের বৈঠকে রয়েছেন তিনি। রয়েছেন স্পেশাল ডিরেক্টর অজয় ভাটনগরও।

    একাধিক দুর্নীতি

    সিবিআই সূত্রে খবর, কয়লা, গরু এবং শিক্ষায় নিয়োগের মতো একাধিক দুর্নীতির ঘটনায় তদন্তকারীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা। মনোজ শশীধরকে গুজরাট পুলিশ থেকে সিবিআইয়ের ডেপুটেশনে আনা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলেই। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্তে সরকার যে সিট গঠন করেছিল, তার নেতৃত্বে ছিলেন এই সিবিআই কর্তাই। সম্প্রতি তাঁকে কলকাতা জোনের দুর্নীতি দমন শাখার দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে।

    তদন্ত করছে ইডিও

    সিবিআইয়ের (CBI) পাশাপাশি তদন্ত করছে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এই ইডি-ই প্রথমে গ্রেফতার করেছিল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। শিক্ষায় নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। এই মামলায় পরে পার্থকে গ্রেফতার করে সিবিআইও। সিবিআই গ্রেফতার করেছে অনুব্রত মণ্ডলকে। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। কয়লা পাচার মামলায় তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকে গত বছর বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। এহেন আবহে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বৈঠকে বসেছেন সিবিআইয়ের শীর্ষ কর্তারা। কলকাতায় সিবিআইয়ের (CBI) শীর্ষ কর্তারা বৈঠকে বসায় আশার আলো দেখছেন বিজেপি নেতারা। তাঁদের আশা, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর্ব মিটলেই ফের জোর কদমে শুরু হতে পারে ধরপাকড়।

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের ‘বিষদাঁত’ ভাঙতে পারে বিজেপি, কোন কোন জেলায়?

    প্রসঙ্গত, মনোজ শশীধর হলেন গুজরাট ক্যাডারের আইপিএস অফিসার। নরেন্দ্র মোদি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন আমেদাবাদ পুলিশের ডিসিপি (ক্রাইম) ছিলেন শশীধর। পরে হন আমেদাবাদের জয়েন্ট কমিশনার। ভাদোদরায় পুলিশ কমিশনারও হয়েছিলেন তিনি। পরে গুজরাটের সিআইডির ডিরেক্টর জেনারেলও ছিলেন শশীধর। দুঁদে এই আইপিএস অফিসার কলকাতায় আশায় অশনি সংকেত দেখছেন এ রাজ্যের তৃণমূল নেতারা। বিশেষত, যাঁদের নাম জড়িয়েছে নানা কেলেঙ্কারিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: ফের খারিজ অনুব্রতর জামিনের আবেদন! পরবর্তী শুনানি ১৪ জুলাই

    Anubrata Mondal: ফের খারিজ অনুব্রতর জামিনের আবেদন! পরবর্তী শুনানি ১৪ জুলাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার জামিন খারিজ হল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। প্রভাবশালী তত্ত্বেই ফের খারিজ হল জামিন। শুক্রবার আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তার হয়ে জামিনের আবেদন করেছিলেন আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ। যে কোনও শর্তে জামিন চেয়েছিলেন অনুব্রত। কিন্তু তা ফিরিয়ে দেয় আসানসোল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। আগামী ১৪ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানির নির্দেশ দেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট বোলপুরে অনুব্রতর বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। প্রসঙ্গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। আগামী ৮ এপ্রিল রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। এবার প্রথম অনুব্রত মণ্ডল পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনুপস্থিত থাকবেন। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে থাকার কথা বলেছিলেন কেষ্ট। যা নিয়ে কবিতাও লিখেছিলেন শঙ্খ ঘোষ।

    কী বললেন অনুব্রতের আইনজীবী?

    অনুব্রতের (Anubrata Mondal) আইনজীবী এদিন বলেন, “আমার মক্কেল ২০২২ সালের ১১ অগস্ট থেকে জেল বন্দি হয়ে আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি চার্জশিট জমা পড়েছে। কবে নাগাদ ট্রায়াল শুরু হবে তা জানা যাচ্ছে না। তাঁকে যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক।” তা শুনে পাল্টা প্রভাবশালী তত্ত্ব খাড়া করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।

    কী বললেন বিচারক?

    এদিনও সিবিআই প্রভাবশালী তত্ত্বকে সামনে আনেন। সিবিআইয়ের আইনজীবী রবি কিষাণ বলেন, ‘‘উনি ভীষণই প্রভাবশালী ব্যক্তি। তদন্ত এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। এই সময় তাঁকে জামিন দেওয়া হলে স্বাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন।’’  আর এতেই সিলমোহর দেন বিচারক। বিচারক সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্যকে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘২৮৩ জন সাক্ষীর বয়ান নেওয়া হয়েছে। আর কত সময় লাগবে?’’ প্রত্যুত্তরে সুশান্ত বলেন, ‘‘নতুন নতুন তথ্য উঠে এসেছে। তার জন্য কয়েক জন সাক্ষীর বয়ান প্রয়োজন।’’ তদন্ত কতদিন চলবে? আদালতের এই প্রশ্নের জবাবে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘খুব শীঘ্রই চূড়ান্ত চার্জশিট দেওয়া হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: চার পুরসভায় মিলল ১ হাজার ওএমআর শিট! চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআইয়ের

    Recruitment Scam: চার পুরসভায় মিলল ১ হাজার ওএমআর শিট! চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় অভিযান চালানো হয়েছে ১৪টি পুরসভায়। তবে ৪টি পুরসভার নথিতে মিলেছে ১ হাজার ওএমআর শিট। এমনই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের। ২০১৪ সালের পর থেকে পুরসভাগুলির বিভিন্ন পদে যেসব নিয়োগ হয়েছে, তার ওএমআর শিটের কপি রয়েছে এই নথিতে। ওএমআর শিট ধরে চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এই তালিকা থেকে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, প্রয়োজনে তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই।

    সিবিআইয়ের তল্লাশি

    পুর নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার শেকড়ে পৌঁছতে ১৪টি পুরসভায় তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। যদিও ৫টি পুরসভায় নিয়োগ (Recruitment Scam) সংক্রান্ত কোনও নথিই মেলেনি। সেই কারণে ওই পুরসভাগুলিকে নোটিশ পাঠায় সিবিআই। তাতে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের পর থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাঠাতে হবে। কোন পদে নিয়োগ, কীভাবে নিয়োগ করা হয়েছে, বেতন কত এবং পুরসভার কাউন্সিলরদের বোর্ড মিটিং সংক্রান্ত তথ্য জানাতে বলা হয়েছে। বাকি পুরসভাগুলি থেকে যেসব নথিপত্র মিলেছে, নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে সেগুলি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই খবর সিবিআই সূত্রে।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    পুর নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআই তদন্তের রায়ই বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বহাল রয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চের নির্দেশও। আদালতের পর্যবেক্ষণ, শিক্ষা থেকে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আরও বড় রূপ নিয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ের জেরে আপাতত স্বস্তি পেল না রাজ্য সরকার। দুই সিঙ্গল বেঞ্চের পর এবার ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেল তারা। এদিনও খারিজ হয়ে গেল তাদের আবেদন।

    আরও পড়ুুন: “কোরান নিয়ে যদি এমন ভুল দেখান,” ‘আদিপুরুষ’ মামলায় আদালতের ভর্ৎসনা নির্মাতাদের

    প্রসঙ্গত, জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষের দিকে কলকাতা থেকে জেলা সহ মোট ১৪টি জায়গায় হানা দেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থার একটি দল প্রথমে যায় সল্টলেকের পুর ও নগরোন্নয়ন (Recruitment Scam) দফতরে। পরে একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা হানা দেন দমদম, দক্ষিণ ও উত্তর দমদম পুরসভা, বারাকপুর, পানিহাটি, কাঁচড়াপাড়া, টিটাগড়, চুঁচুড়া এবং শান্তিপুর সহ বিভিন্ন পুরসভায়। পুর নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল অয়ন শীলকে। তাঁর চুঁচুড়ার ফ্ল্যাটে এবং বাড়িতেও তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: ভারতীয় সেনাবাহিনীতে আইএসআই চর! সিবিআইকেও তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ভারতীয় সেনাবাহিনীতে আইএসআই চর! সিবিআইকেও তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনাবাহিনীতে আইএসআই (ISI) চর! এই মামলায় সিবিআইকে (CBI) প্রাথমিক অনুসন্ধানের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, সিআইডিও তদন্ত চালিয়ে যাবে। সেনার সঙ্গে সব এজেন্সিকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। দেশের নিরাপত্তায় সব পক্ষকে একযোগে কাজ করতে হবে।

    কর্মরত ২ পাকিস্তানি

    ব্যারাকপুরের সেনা ছাউনিতে জয়কান্ত কুমার ও প্রদ্যুম্ন কুমার নামে পাকিস্তানের দুই নাগরিক কর্মরত বলে অভিযোগ। সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছে ওই দুই পাকিস্তানিকে। চাকরির পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় নথিপত্র জাল করে চাকরি পেয়েছেন তাঁরা। এই অভিযোগেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন হুগলির বাসিন্দা বিষ্ণু চৌধুরী। বিচারপতি মান্থার এজলাসে শুনানি চলছে ওই মামলার।

    মামলার মেরিট

    এদিন রাজ্যের আইনজীবী আদালতকে (Calcutta High Court) বলেন, আমরা যা পেয়েছি, তাতে অভিযোগ গুরুতর। মামলার যথেষ্ট মেরিট রয়েছে। সিআইডি বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে। আমাদের তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীর একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেনাও কিছু পদক্ষেপ করেছে। তবে গ্রেফতার নাকি আটক, সেটা বলতে পারব না। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, অসম সহ একাধিক রাজ্যের যোগ রয়েছে। আমরা ছাপাখানা চিহ্নিত করেছি। যেখানে ডোমিসাইল সার্টিফিকেট সহ বিভিন্ন জাল নথি ছাপা হয়।

    আরও পড়ুুন: “বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ” তৃণমূলের দেওয়াল লিখনে শোরগোল

    এর আগে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের যুক্ত থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি মান্থা। এদিন তাঁর মন্তব্য, সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে যা উঠে আসছে, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিচারপতি মান্থা বলেন, সেনা সিবিআই এবং সিআইডিকে একযোগে কাজ করতে হবে। একটি সংস্থার সঙ্গে অন্য একটি সংস্থার যেন সংঘাত না হয়। সিআইডির সংগ্রহ করা তথ্য সেনাকে দিতে হবে। সেনা তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে রিপোর্ট দিতে পারবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৬ জুলাই। সেদিন সিবিআই ও সিআইডি রিপোর্ট দেবে তদন্তের অগ্রগতির।

    মামলাকারীর (Calcutta High Court) অভিযোগ, এই নিয়োগের নেপথ্যে রয়েছে বড়সড় চক্র। যার সঙ্গে যুক্ত আছেন অনেক রাজনৈতিক নেতা, প্রভাবশালী ব্যক্তি, পুলিশ এবং স্থানীয় পুরসভাও। সেনার পরীক্ষায় বসতে গেলে প্রয়োজন হয় বাসস্থানের প্রমাণ সহ একাধিক নথি। সেই সব নথি জাল করেই পরীক্ষা দিয়ে সেনায় দিব্যি চাকরি করছেন ভিনদেশিরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Group C Scam: গ্রুপ সি নিয়োগ সংক্রান্ত ‘ফাইল’ উধাও! সিবিআইকে জানাল বিকাশ ভবন

    Group C Scam: গ্রুপ সি নিয়োগ সংক্রান্ত ‘ফাইল’ উধাও! সিবিআইকে জানাল বিকাশ ভবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দফতর থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত নথির খোঁজ মিলছে না। গ্রুপ-সি-র (Group C Scam) মামলায় সিবিআই বিকাশ ভবনের কাছে কিছু তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছিল। কিন্তু সেই তথ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিল পর্ষদ।  সিবিআই সূত্রে খবর, তাদের বলা হয়েছে, ওই ফাইলটি পর্ষদের কাছে নেই। বেশ কয়েক মাস ধরেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পর্ষদের এই জবাবে বিস্মিত সিবিআই।

    কীভাবে হারাল ফাইল? 

    নিয়োগ দুর্নীতির (Group C Scam) তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের হাতে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য এসেছে। বিভিন্ন সময়ে নানা তথ্য যাচাই করে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কিংবা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের থেকে বিভিন্ন নথি চেয়েছে সিবিআই। এমনকী প্রয়োজনে একাধিক আধিকারিকের সঙ্গে কথাও বলেছে তারা। সেই মতোই তদন্তের স্বার্থে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পর্ষদের থেকে চেয়ে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু সেই গুরুত্বপূর্ণ নথি হারিয়ে যাওয়ায় অবাকই হয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে খবর,  শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ হাতে পেয়েছিলেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। যার ভিত্তিতেই কমিশনের কাছে সেই সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠান তাঁরা। কিন্তু সেই গুরুত্বপূর্ণ নথি কীভাবে উধাও হল, কে সেই তথ্যগুলি সংরক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন তা সব কিছুই এবার খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: বিশ্বের উন্নয়ন, মঙ্গলের শক্তি হল ভারত-মার্কিন বন্ধুত্ব! অভিমত মোদির

    পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে পারে সিবিআই

    সিবিআই সূত্রে খবর, কমিশন গোয়েন্দা সংস্থাকে জানিয়েছে নির্দিষ্ট একটি ফাইল দফতরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এক বছর ধরে তার খোঁজ মেলেনি। এমনকী ফাইলটি খুঁজে পেতে বিধাননগর উত্তর থানায় জেনারেল ডাইরিও করা হয়। কিন্তু এরপরও ওই ফাইলের খোঁজ নেই। সিবিআইকে এমনটাই জানিয়েছে কমিশন।  যেহেতু বিধাননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, সেই কারণে সিবিআই এবার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে পারে। খতিয়ে দেখা হবে ফাইলটি খোঁজার জন্য কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছিল থানা থেকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share