Tag: cbi

cbi

  • Sukanta Majumdar: ‘‘বারেবারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান এবার…’’! অভিষেককে কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘বারেবারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান এবার…’’! অভিষেককে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhisek Banerjee) সমন করেছে সিবিআই। শনিবার সকালেই তাঁকে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমন পাওয়ার পরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অপরাধ করলে ফাঁসির দড়িতে আমাকে ঝুলিয়ে দেবেন।’’ সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ করলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সিবিআই সমনের কপি নিজের ট্যুইটারে পোস্ট করে তৃণমূলের সেকেণ্ড-ইন-কমান্ডকে তীব্র আক্রমণ শানান বালুরঘাটের সাংসদ।

    ট্যুইটে কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    অভিষেক (Abhisek Banerjee) প্রসঙ্গে এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) তাঁর ট্যুইটারে লেখেন, ‘‘জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হব! ফাঁসির মঞ্চে চড়ব! আবার অব্যাহতি চাইতে কোর্টেও যাব, এক মুখে এত রকম কথা! নির্দোষ হলে জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করতে এত ভয় কেন আপনার? আগেই সহযোগিতা করলে ২৫ লাখের থাপ্পর হজম করে সিবিআই এর কাছে যেতে হতো না। বারেবারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান এবার ঘুঘু তোমার বধিব পরাণ!’’

    বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে হাজিরা দিতে হচ্ছে অভিষেককে 

    নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাজিরা নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু পরে টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেওয়ার ইস্যুতে তাঁকে এই মামলা থেকে সরানো হয় এবং তাঁর বদলে আসেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। হাকিম বদলেও হুকুম বহাল থাকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিবিআই দফতরে হাজিরা, তার সঙ্গে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘ফাঁসির দড়ি পরার দরকার নেই, তদন্তে সহযোগিতা করুক’’! অভিষেক প্রসঙ্গে শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘ফাঁসির দড়ি পরার দরকার নেই, তদন্তে সহযোগিতা করুক’’! অভিষেক প্রসঙ্গে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘কোর্টে গিয়ে অনেক চেষ্টা করেছেন, আটকাতে পারেন নি। ফাঁসির দড়ি পরার দরকার নেই, তদন্তে সহযোগিতা করুক।’’ শুক্রবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে এসে অভিষেক প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আদালত থেকে কোনও রক্ষাকবচ পাননি। শনিবার বেলা ১১ টায় সিবিআই নিজাম প্যালেসে হাজিরার ব্যাপারে নোটিশ দিয়েছে তাঁকে। এ প্রসঙ্গে কালিয়াগঞ্জে এসে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী৷

    এগরা বিস্ফোরণ নিয়ে মমতাকে আক্রমণ বিরোধী দলনেতার

    অন্যদিকে ভানু বাগের মৃত্যু প্রসঙ্গেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান বিরোধী দলনেতা৷ তিনি বলেন, ‘‘ভানু বাগের মৃত্যুতে পরিবারের যা ক্ষতি হয়েছে তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷’’ উল্লেখ্য ক’দিন আগে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এগরা। মৃত্যু হয় ৮ জনের। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ এলাকা থেকে গা ঢাকা দেয়। যদিও ওড়িশায় পালিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা পড়ে সিআইডির হাতে। কিন্তু ঘটনার সময় শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যাওয়ায় সেখানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয়৷ 

    কালিয়াগঞ্জ প্রসঙ্গে কী বললেন বিরোধী দলনেতা

    এদিন কালিয়াগঞ্জে এসে নাবালিকা মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশকে কাঠগড়ায় তোলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ঘটনার প্রায় একমাস পর উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে মৃত নাবালিকা ও গুলিতে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার দুপুরে  বিরোধী দলনেতা প্রথমে কুনোরে অবস্থিত ভারত সেবাশ্রমে যান এবং স্বামীজিদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর সাহেবঘাটা সংলগ্ন গাঙ্গুয়া এলাকায় মৃত নাবালিকার বাড়িতে যান। কথা বলেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ শোনেন তাঁদের কাছ থেকে। উল্লেখ্য গত ২১ এপ্রিল কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা সংলগ্ন পালোই বাড়ি এলাকার একটি পুকুরপাড় থেকে উদ্ধার হয় এক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর মৃতদেহ। ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। এই ঘটনায় দফায় দফায় উত্তাল হয় কালিয়াগঞ্জ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Municipality Recruitment Scam: পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যের আর্জি শুনল না হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ

    Municipality Recruitment Scam: পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যের আর্জি শুনল না হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি (Municipality Recruitment Scam) মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High court) ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলা শুনল না বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিন্‌হা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিরা জানালেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের (Primary Recruitment) দুর্নীতি নিয়ে মূল মামলা ছিল। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলা শোনার এক্তিয়ার নেই এই বেঞ্চের। তাই এই মামলা এই বেঞ্চের পক্ষে শোনা সম্ভব নয়। ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলাটি ছেড়ে দেওয়ায়, তা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। 

    পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে সমস্যায় রাজ্য

    পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতে (Municipality Recruitment Scam) সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ বহাল রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি গ্রহণ করতে অস্বীকার করায় সমস্যায় পড়ল রাজ্য সরকার। স্কুলে নিয়োগে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে প্রকাশ্যে আসে, পুরসভার নিয়োগেও ভয়ঙ্কর দুর্নীতির অভিযোগ। বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ, হুগলির প্রোমোটার, অয়ন শীলের অফিসে তল্লাশিতে উদ্ধার হয় এই সংক্রান্ত বহু নথি, হার্ডডিস্ক। 

    আরও পড়ুন: আইসিএসইতে দেশে প্রথম স্থানাধিকারী ৯ জনের মধ্যে বাংলার সম্বিত মুখোপাধ্যায়

    গত ২১ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Municipality Recruitment Scam) তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। এরপরই, হাইকোর্টের নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায় রাজ্য। কিন্তু, অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ফেরত পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। মামলা যায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে কিন্তু তিনি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই বহাল রাখেন। তিনি জানিয়ে দেন, এই বিষয়ে তদন্ত করবে সিবিআই-ই। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চে যায়। এদিন সেখানেও ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে মামলার দ্রুত শুনানি চেয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের দফতরে চিঠি দিল রাজ্য।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেককে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা শনি-সকালেই

    Abhishek Banerjee: অভিষেককে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা শনি-সকালেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইনি ফাঁক গলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব সিবিআইয়ের (CBI)। তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড-ইন-কমান্ডকে নোটিশ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। শনিবার সকাল ১১টায় সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে অভিষেককে (Abhishek Banerjee)। শুক্রবার রাতেই আসানসোল থেকে কলকাতায় ফিরছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। সেখানে নবজোয়ার যাত্রায় গিয়েছিলেন তিনি। নবজোয়ার যাত্রা বন্ধ রেখেই কলকাতায় ফিরছেন তৃণমূলের ‘যুবরাজ’। তৃণমূল সূত্রে খবর, ২২ মে ফের বাঁকুড়ার সোনামুখী থেকে নবজোয়ার যাত্রা শুরু করবেন অভিষেক।

    সিবিআই তলবের আঁচ করেছিলেন অভিষেকও (Abhishek Banerjee)!

    সিবিআই যে তাঁকে তলব করতে পারে, সে আঁচ বোধহয় আগেই পেয়েছিলেন অভিষেক। তার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে গিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। শুক্রবার ওই মামলার শুনানি হয়নি ওই বেঞ্চে। মেলেনি রক্ষাকবচও। অভিষেক চেয়েছিলেন জরুরি ভিত্তিতে শুনানি হোক তাঁর মামলার। সেখানেও হতাশ হতে হয়েছে তাঁকে (Abhishek Banerjee)। এদিন অভিষেকের ওই মামলার দ্রুত শুনানিতে রাজি হয়নি ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার থেকে হাইকোর্টে পড়ছে গ্রীষ্মের ছুটি। তার আগে শনি এবং রবিবার এমনিতেই ছুটি।

    রক্ষাকবচ মেলেনি কেন?

    শুক্রবার পূর্বনির্ধারিত বেশ কিছু মামলা রয়েছে ওই বেঞ্চে। বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, সেই কারণেই শুক্রবার শুনানি করা যাবে না অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আবেদনের। প্রত্যাশিতভাবেই অভিষেক এবং কুন্তল ঘোষের আবেদন ফেরত যায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে। সেখানেও মেলেনি রক্ষাকবচ। মঞ্জুর হয়নি দ্রুত শুনানির আর্জিও।

    এদিন বিচারপতি তালুকদার ও বিচারপতি ভট্টাচার্যের বেঞ্চ বলেছে, পূর্বনির্ধারিত অনেক মামলা রয়েছে। রায় ঘোষণা করতে হবে। সেগুলো সাইটে আপলোডের কাজ রয়েছে। আমাদের অনেক কাজ। এখনই মামলা শুনতে পারব না। গ্রীষ্মের ছুটির পর আদালত খুললে সম্ভব হবে। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বলেন, আমি মৌখিকভাবে বলছি, উপায় না থাকলে আপনারা অবকাশকালীন বেঞ্চে যেতে পারেন।

    আরও পড়ুুন: অভিষেকের দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে, হতাশ তৃণমূল

    তৃণমূল নেতা অভিষেককে (Abhishek Banerjee) ইডি-সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে বৃহস্পতিবারই নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চ। মূল তদন্তে বাধা দেওয়ার চেষ্টায় এই মামলা করা হয়েছিল বলেও সন্দেহ আদালতের। সেই কারণেই অভিষেক ও কুন্তলের ২৫ লক্ষ করে টাকা জরিমানা করা হয়। সেই টাকা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। সেখানেও রক্ষাকবচ না মেলায় তৃণমূলের যুবরাজকে দ্রুত তলব করে সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে ধাক্কা অভিষেকের! জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই-ইডি, সঙ্গে বিপুল জরিমানা

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে ধাক্কা অভিষেকের! জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই-ইডি, সঙ্গে বিপুল জরিমানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহু চেষ্টা করেও ইডি-সিবিআইয়ের নাগাল এড়াতে পারলেন না তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)! কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হার নির্দেশ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি-সিবিআই। বস্তত, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পূর্ববর্তী নির্দেশই বহাল রইল বিচারপতি সিন্‌হার এজলাসে। যার জেরে খারিজ হয়ে গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের আবেদন। একই সঙ্গে দুজনকে অবিলম্বে ২৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই এবার আর অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের কোনও বাধা রইল না ইডি-সিবিআইয়ের।

    বিচারপতি (Calcutta High Court) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ কী?

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। গ্রেফতার হওয়ার পরেই তাঁকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। পরে তিনি দাবি করেন, তদন্তকারীরা তাঁর মুখ দিয়ে অভিষেকের নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন। অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতের পাশাপাশি হেস্টিংস থানায়ও চিঠি দিয়েছিলেন কুন্তল। ওই চিঠি প্রসঙ্গে বিচারপতি (Calcutta High Court) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, ইডি কিংবা সিবিআই প্রয়োজনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করতে পারে। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। সেখান থেকে আবার হাইকোর্টে ফেরে মামলাটি। পরে অন্য একটি ঘটনার জেরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এ সংক্রান্ত মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরিয়ে পাঠানো হয় বিচারপতি সিন্‌হার বেঞ্চে। বিচারপতি সিন্‌হাও জানিয়ে দেন, ইডি-সিবিআই চাইলে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে অভিষেককে।

    অভিষেককে কেন রক্ষাকবচ দেয়নি আদালত?

    গত শুক্রবারও কুন্তলের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) রক্ষাকবচ দেয়নি অভিষেককে। অবশ্য ওই দিন শুনানিতে অভিষেকের আইনজীবী হাইকোর্টের পুরানো নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানান। অভিষেককে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দেওয়ার আর্জিও জানানো হয়। এই সময়ের মধ্যে ইডি কিংবা সিবিআই যাতে চরম পদক্ষেপ নিতে না পারে, সেই আবেদনও করেছিলেন অভিষেকের আইনজীবী। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি সিন্‌হা বলেন, আদালতের দরজা ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। প্রয়োজন মনে করলে যখন খুশি আসবেন। কিন্তু কোনও রক্ষাকবচ নয়। বিচারপতি সিন্‌হার নির্দেশ, কুন্তল ও অভিষেককে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি-সিবিআই। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সোমবার।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আরএসএস দ্বেষ নয়, দেশপ্রেম শেখায়’’, মত সুনীল আম্বেকরের

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: পুকুরে ফেলা ২টি ফোন থেকেই সমস্ত ডেটা উদ্ধার! জীবনকৃষ্ণের বিপদ কি বাড়ল?

    Recruitment Scam: পুকুরে ফেলা ২টি ফোন থেকেই সমস্ত ডেটা উদ্ধার! জীবনকৃষ্ণের বিপদ কি বাড়ল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুকুরে মোবাইল ফোন ফেলেও লাভ হল না তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jibankrishna Saha)। পুকুরে ফেলা ২টি মোবাইল ফোন থেকেই সমস্ত ডেটা উদ্ধার করতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। উদ্ধার হয়েছে চ্যাট হিস্ট্রিও। ডেটা ডিলিটের পরেও ১০০ শতাংশ তথ্য পুনরুদ্ধার করা গেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। সিবিআইয়ের দিল্লির ফরেনসিক ইউনিট থেকে ইতিমধ্যেই সেই খবর এসে পৌঁছেছে নিজাম প্যালেসে।

    মোবাইল-সূত্র

    সিবিআই সূত্রে খবর, ধৃত তৃণমূল বিধায়ক দু’টি ফোন থেকে প্রচুর ডেটা ডিলিট করেছেন। ওড়ানো হয়েছিল প্রচুর কথোপকথনের রেকর্ড ও ছবি। মোবাইল ঘেঁটে সে তথ্য জানতে পেরেছেন, দিল্লির ফরেন্সিক অফিসাররা। এসএসসি মামলার তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকেই তথ্য ওড়ানো হয়েছে, বলে দাবি সিবিআইয়ের। ওই ফোন থেকেই মিলেছে নিয়োগ দুর্নীতির সাড়ে ৩০০ পাতার তথ্য! কয়েকশো অডিও ক্লিপ! বহু হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট ! আর গ্য়ালারিভর্তি ছবি! সিবিআই সূত্রে আরও দাবি, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ও কয়েকশো অডিও ক্লিপে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কথোপকথন হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখান থেকে মিলেছে বেশ কিছু নাম। এবার তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। সিবিআইয়ের অনুমান, তথ্য গোপন করতেই দুটি ফোন ছুড়ে বাড়ির পুকুরে ফেলে দেন তৃণমূল বিধায়ক। কিন্তু লাভ হল না। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে মুছে যাওয়া তথ্য প্রায় একশো শতাংশই উদ্ধার করা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘সঙ্ঘের পোশাকে থাকা ওই যুবক তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্য’’! তোপ সুকান্তর

    মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। গত মাসে তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই অভিযান চলে। সেই অভিযান ও বিধায়কের গ্রেফতারি ঘিরে নাটকীয় পর্ব চলে প্রায় তিনদিন ধরে। এবার জীবনকৃষ্ণের মোবাইল ঘেঁটে পাওয়া তথ্য  রিপোর্ট আকারে তদন্তকারীদের হাতে আসতে চলেছে। সেই ডেটা সামনে এলে বিপদ আরও বাড়তে পারে জীবনকৃষ্ণের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ফের একবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার, এবার কোন মামলা?

    Calcutta High Court: ফের একবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার, এবার কোন মামলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। এবার পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে। মঙ্গলবার মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি অরিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এ সপ্তাহেই শুনানি হতে পারে এই মামলার।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ…

    গত সপ্তাহেই একবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। এবার গেল পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশের প্রেক্ষিতে। ঘটনাচক্রে এই রায়ও দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলা সরিয়ে নেওয়া হয়। শুনানি শুরু হয় বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হার বেঞ্চে। বিচারপতি সিন্‌হাও ওই রায়ই বহাল রাখেন। যার অর্থ হল, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করবে সিবিআই। এবার সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য।

    ওই মামলায় (Calcutta High Court) পূর্ববর্তী নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে রাজ্যের তরফে এজি সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, ইডির আবেদনের ভিত্তিতে পুরসভার দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুরসভার মামলা ওই বিচারপতির বিচারাধীন বিষয় নয়। তবে তিনি কীভাবে এই নির্দেশ দিতে পারেন?  হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ঠিক করেন কোন বিচারপতি কোন মামলার বিচার করবেন। ওই বেঞ্চে পুরসভার মামলা নেই। তাই এই মামলা শোনার এক্তিয়ার নেই ওই বেঞ্চের।

    আরও পড়ুুন:‘হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করুন’, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ শাহের

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত প্রোমোটার অয়ন শীলকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পান তদন্তকারী আধিকারিকরা। দেখা যায়, রাজ্যের অন্তত ৫০টি পুরসভায় মোটা টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। কোন কোন পদের জন্য কত টাকা দিতে হয়েছে, সে সংক্রান্ত একটি তালিকাও পান তাঁরা। এই কেলেঙ্কারির পান্ডাকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। এ বিষয়ে মূল মামলাকারীদের আইনজীবীর (Calcutta High Court) বক্তব্য, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে শিক্ষা দুর্নীতি মিশে রয়েছে। কারণ, এখানে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। সুবিধাভোগীর বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। গত শুক্রবার এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল রেখেছিলেন বিচারপতি সিন্‌হা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Recruitment Scam: হাকিম বদলেও হুকুম বহাল! পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইতে আস্থা বিচারপতি সিনহার

    Recruitment Scam: হাকিম বদলেও হুকুম বহাল! পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইতে আস্থা বিচারপতি সিনহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাকিম বদলেও হুকুম বহাল! পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) কলকাতা হাইকোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া নির্দেশই বহাল রাখলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় তদন্ত করবে সিবিআই, এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। প্রসঙ্গত এই একই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কিন্তু টিভি চ্যানেলে বিচারাধীন বিষয়ে সাক্ষাৎকার দেওয়াতে তাঁকে দুটি মামলা থেকে সরিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। যার মধ্যে একটি ছিল পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলা। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে যায় এই মামলা। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে সরতেই পুনর্বিবেচনার আরজি জানিয়ে উচ্চ আদালতে যায় রাজ্য সরকার। সেই মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার কিন্তু এদিন একই নির্দেশ বহাল রাখলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মামলার পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে রাজ্যের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেছিলেন, ‘‘ইডির আবেদনের ভিত্তিতে পুরসভার দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কিন্তু পুরসভার মামলা ওই বিচারপতির (অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়) বিচারাধীন বিষয় নয় তবে তিনি কীভাবে নির্দেশ দিতে পারেন?’’এই পরিপ্রেক্ষিতে মামলাকারীদের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, ‘‘পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে শিক্ষা দুর্নীতি মিশে রয়েছে কারণ এখানে বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে, সুবিধাভোগীর বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।’’

    শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তের সূত্র ধরেই উঠে আসে পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি

    শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গ্রেফতার হন বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সূত্র ধরে হদিশ পাওয়া যায় অয়ন শীলের। জানা গেছে প্রায় ৬০টিরও বেশি পুরসভায় বেআইনি নিয়োগ প্রক্রিয়া চলেছে অয়ন শীলের হাত ধরে। ইতিমধ্যে অয়নের বিপুল সম্পত্তির হদিশও মিলেছে যার বাজার মূল্য ২০০ কোটিরও বেশি বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। পেট্রোল পাম্প, বিঘা-বিঘা জমি, অন্তত কুড়িটি ফ্ল্যাটের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে অয়নের নামে। ধৃতের ছেলে, ছেলের বান্ধবী এবং অয়নের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শ্বেতা চক্রবর্তীকে জেরাও করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এদিন নতুন বিচারপতির এজলাসে একই রায় বহাল থাকল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coal Scam: বিচারকের নির্দেশ! সিবিআই আদালত থেকেই গ্রেফতার কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্র

    Coal Scam: বিচারকের নির্দেশ! সিবিআই আদালত থেকেই গ্রেফতার কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Scam) অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্রকে আসানসোলের সিবিআই আদালত থেকে ফের গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযুক্তকে চারদিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর সুপ্রিম নির্দেশকেই বহাল রাখলেন আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। চলতি বছরের ১০ এপ্রিল বিকাশকে সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারপর কেটে গেছে এক মাস। এদিন ফের বিকাশ মিশ্রকে নিজেদের হেফাজতে নিতে পারল সিবিআই।

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কয়লা পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে বিকাশ ছাড়া পায়। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় সিবিআই এবং সেখানে তারা দাবি করে যে, বিকাশকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলে আরও অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে এবং কয়লা পাচারকাণ্ডের (Coal Scam) তদন্তে এগনো যাবে, এই তথ্য শোনার পরে সুপ্রিম কোর্ট বিকাশকে চারদিনের হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এই নির্দেশের পরে বিকাশ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। চারদিন হেফাজতে থাকার পরে পঞ্চম দিনে কী হবে? জামিন মিলবে নাকি তাকে আবারও হেফাজতে টানা হবে? এই ছিল বিকাশের প্রশ্ন। কিন্তু ইতিমধ্যে একমাস অতিক্রান্ত হয়েছে সুপ্রিম নির্দেশের। সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী নির্দেশ বিকাশ দেখাতে পারেনি, তাই আদালত কক্ষ থেকেই বিকাশকে হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী।

    কয়লা পাচার-কাণ্ডে সিবিআই গ্রেফতার করল দুই সরকারি আধিকারিককে

    অন্যদিকে, কয়লা পাচার-কাণ্ডে (Coal Scam) বৃহস্পতিবার সিবিআই গ্রেফতার করেছে দুই সরকারি আধিকারিককে। জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের জেরায় কোন সদুত্তর দিতে না পারায় ইসিএল-এর ডিরেক্টর টেকনিক্যাল অপারেশন সুনীল কুমার ঝা এবং সিআইএসএফ-এর ইন্সপেক্টর আনন্দ কুমার সিংকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবারে এই দুইজনকে সিবিআই অফিসে তলব করা হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য‌। ধৃত দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে কয়লা পাচারকাণ্ডের (Coal Scam) মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, লালার কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে কয়লা পাচারে সুবিধা করে দিতেন এই দুই আধিকারিক। এদিন জেরার সময় দুইজনের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে, তখনই তাঁদের গ্রেফতার করে সিবিআই।

    শুক্রবার দুই ধৃতকে আসানসোলের সিবিআই আদালতে হাজির করানো হবে বলে জানা গেছে। সিবিআইয়ের আরও অভিযোগ ইসিএল-এর লিজ নেওয়া খনি থেকে কয়লা পাচার হতো। লিজ নেওয়া খনির দেখাশোনা করে থাকে সিআইএসএফ। এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়েই কয়লা পাচারে অভিযুক্ত লালাকে সাহায্য করতেন দুইজন ধৃত, এমনটাই জানিয়েছে সিবিআই। অন্যদিকে কয়লা পাচার-কাণ্ডে ইডি দফতরে হাজিরা না দেওয়ায় বৃহস্পতিবারই দিল্লি হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েন আসানসোলের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। হাইকোর্টের প্রশ্ন, ‘‘ইডি দফতরে হাজিরা দিতে অসুবিধা কোথায় মন্ত্রীর?’’

    ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল অবধি অনুপ মাঝি অবাধে কয়লা পাচার করেছে

    সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত লালা ওরফে অনুপ মাঝি এবং তার সহযোগীরা ইসিএল-এর কয়লা খনি থেকে কয়লা পাচার করত এবং এই কাজে তাদের মদত দিত কয়েকজন ইসিএল-এর আধিকারিক। এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থার কর্মীদের একাংশও জড়িত বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ইতিমধ্যে ৪১ জনের বিরুদ্ধে সিবিআই চার্জশিট দিয়েছে বলে জানা গেছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TET Scam: প্রাথমিকে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য তলব সিবিআই-এর

    TET Scam: প্রাথমিকে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য তলব সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের তদন্তে এবার ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য তলব করল সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে আগেই অবগত করিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এ বার ধাপে ধাপে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিকদের থেকে সেই তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু করেছে পর্ষদ।

    দ্রুত তথ্য পাঠাতে নির্দেশ

    এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিকদের একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। তথ্যগুলি এক্সেল সিট ১ এবং ২-তে পাঠাতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চাকরির নিয়োগপত্র, অ্যাডমিট কার্ড, প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার শংসাপত্র, কেস সার্টিফিকেট, এক্সট্রা কারিকুলাম সার্টিফিকেট এবং টেট পরীক্ষায় পাশ করা শংসাপত্র-সহ মোট ছটি জিনিস চাওয়া হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কাউন্সিলের সেক্রেটারি, জেলা স্তরের স্কুলের সাব ইন্সপেক্টরদের এই তথ্যগুলি পাঠাতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু জেলা তাদের তথ্য পর্ষদের কলকাতার দফতরে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে খবর। 

    আরও পড়ুন: পড়ল রেকর্ড ভোট, ত্রিশঙ্কু হবে কর্নাটক বিধানসভা?

    পর্ষদ সূত্রে খবর, সিবিআই তথ্য তলব করার পরই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আদালত নির্দেশ দিলে পর্ষদও দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ করে। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও বীরভুম জেলা থেকে তথ্য পর্ষদ কর্তাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। ঝাড়গ্রাম, মালদা, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, শিলিগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং জলপাইগুড়ি জেলায় পৃথক বিজ্ঞপ্তি জারি করে চলতি মাসেই তথ্য জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে যাবতীয় তথ্য কলকাতায় সিবিআই-এর নিজাম প্যালেসে জমা দিতে বলা হয়েছে। এই তথ্য সিবিআই-এর হাতে জমা পড়লে তদন্ত গতি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share