Tag: cbi

cbi

  • SSC Scam: ৬৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার! আজই আদালতে পেশ করা হবে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে

    SSC Scam: ৬৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার! আজই আদালতে পেশ করা হবে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ৬৫ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার ভোরে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তিন দিন ধরে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। এরপর সোমবার ভোর ৫টা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুরে সিবিআই ক্যাম্পে। জীবনকৃষ্ণের গাড়ি দুর্গাপুরে থামিয়ে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর পর কলকাতায় নিজাম প্যালেসের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে সিবিআই কনভয়। আজই তাকে পেশ করা হবে আলিপুর আদালতে। জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) অসহযোগিতা, তথ্য প্রমাণ লোপাটের মতো অভিযোগ রয়েছে।

    নাটকীয়তায় ভরা গ্রেফতারি পর্ব

    শুক্রবার বেলা ১২.৩০ থেকে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হল জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। প্রথমে পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক। তারপর পুকুরে মোবাইল ফোন ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ৩৭ ঘণ্টা ধরে বিধায়কের বাড়ির পিছনের পুকুর ছেঁচে উদ্ধার হয় একটি ফোন। সিবিআই সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া মোবাইলটি অবশ্য জীবনের নয়, বরং তা তাঁর স্ত্রীর। জীবনের আরও একটি ফোনের খোঁজ চলছে। তাঁর বাড়িতে ৫টি ব্যাগ থেকে মিলেছে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত (SSC Scam) একাধিক নথি। তিনদিন ধরে কার্যত সিবিআই-এর নজরবন্দি হয়েছিলেন তৃণমূলের এই বিধায়ক।

    ঘটনার ঘনঘটা

    রবিবার রাতেই জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতারির প্রক্রিয়া শুরু করে সিবিআই। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। রাত ১টা নাগাদ জীবনের বাড়িতে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তাও যুক্ত করা হয়। এর পর রাত ২টো ৩৫ মিনিট নাগাদ কলকাতা থেকে কেন্দ্রীয় সংস্থার ৪ জন উচ্চপদস্থ আধিকারিক জীবনকৃষ্ণের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। তাঁদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর দু’টি গাড়ি। রাত ৩টে নাগাদ জীবনকৃষ্ণকে আরও এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ভোর ৪টে ১০ মিনিট নাগাদ বাড়িতেই বিধায়কের পরিবারের সদস্য অর্থাৎ মা এবং স্ত্রীকে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁদের হাতে অ্যারেস্ট মেমো তুলে দেয় সিবিআই। ৪টে ৫০ মিনিট নাগাদ সেই মেমোতে স্বাক্ষর করেন বিধায়কের স্ত্রী টগরি সাহা। ভোর ৫টা ১৮ মিনিট নাগাদ জীবনকৃষ্ণকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। মোট ৬টি গাড়ির কনভয় তাঁকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়। 

    আরও পড়ুন: সিবিআই হানার পরই নতুন দল ঘোষণা করলেন বিভাস অধিকারী! কী নাম নতুন দলের?

    বাড়ির ভিতরেই‘ওয়্যার রুম’

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এসএলএসটির নিয়োগ প্রক্রিয়ার (SSC Scam) ডেটাবেস পুরোটাই পাওয়া গেছে বিধায়কের বাড়ি থেকে, যার মধ্যে রয়েছে তাঁর সুপারিশে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের তথ্য। নবম-দশম শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীদের রোল নম্বর সহ অন্তত ৩,৪০০ জন চাকরিপ্রার্থীর নথি পাওয়া গেছে জীবনকৃষ্ণের বাড়ি থেকে। সূত্রের খবর, বাড়ির ভিতরেই একটি ঘরকে ‘ওয়্যার রুম’ বানিয়ে রেখেছিলেন বিধায়ক। হাই স্পিড ইন্টারনেট কানেকশন থাকা সেই ঘরটিতে ছিল একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ও তিনটি নোটপ্যাড। যেগুলির মধ্যে দুটি নোটপ্যাড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। একটি সিঁদুর কৌটোর ভিতর মোবাইলের মেমোরি কার্ড লুকিয়ে রেখেছিলেন জীবনকৃষ্ণ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: সিবিআই হানার পরই নতুন দল ঘোষণা করলেন বিভাস অধিকারী! কী নাম নতুন দলের?

    CBI: সিবিআই হানার পরই নতুন দল ঘোষণা করলেন বিভাস অধিকারী! কী নাম নতুন দলের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার দিনভর নলহাটির কৃষ্ণপুর গ্রামে তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস চন্দ্র অধিকারীর বাড়িতে সিবিআই (CBI) তল্লাশি হয়। সারাদিন ধরে তাঁকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁর তৈরি আশ্রমেও হানা দেয় সিবিআই (CBI)। সারাদিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর বিভাসবাবুর কাছে থেকে সিবিআই আধিকারিকরা দুটি পুরানো মোবাইল নিয়ে যায়। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে নতুন ঘোষণা করলেন তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি।

    কী ঘোষণা করলেন বিভাস অধিকারী?

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে নতুন দল তৈরির কথা ঘোষণা করলেন  তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস চন্দ্র অধিকারী। রবিবার বিকেলে নলহাটির কৃষ্ণপুর গ্রামে তাঁর ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আশ্রমে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ করে। নতুন দলের নাম দেওয়া হয় সাড়া ভারত আর্য মহাসভা। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি হয়েছেন তিনি নিজেই।  শনিবার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিভাসবাবুর আশ্রম এবং বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই (CBI)। তারপরেও এদিনের নতুন দল গঠনের অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিল চোখে পরার মতো। বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপস্থিতি ছিল নজর কারা। যাদের অধিকাংশই তৃণমূল কর্মী সমর্থক। ফলে, তৃণমূলের ঘরে ভাঙন ধরাবে বলে রাজনৈতিক মহল মনেকরছে। দলের আত্মপ্রকাশের পর বিভাস চন্দ্র অধিকারী  বলেন, “আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমার দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। পঞ্চায়েতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে কোন দলের ক্ষতি হবে বা কোন দলের লাভ হবে সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। তবে, দলের মূল লক্ষ্য হবে আর্য ভারত গঠন। মানুষকে সঠিক দিশা দিতে এই দল কাজ করে যাবে”। তিনি আরও বলেন, আমরা কয়েক দিনের মধ্যে বীরভূম জেলায় একটা সভা করব। এরপর কলকাতার বুকে সভা করা হবে।  আমাদের দলে যে কেউ আসতে পারে। আমরা কোনও সম্প্রদায় নিয়ে দল করি না। ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র চেয়েছিলেন আর্য মহাসভা নামে দল গঠন হোক। যে দলের কাজ হবে মানুষকে সঠিক দিশা দেখানো। আমরা ঠাকুরের সেই ইচ্ছাকে সম্মান দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস অধিকারীর বাড়িতে সিবিআই হানা, সিল করা হল কলকাতার ফ্ল্যাট

    CBI: তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস অধিকারীর বাড়িতে সিবিআই হানা, সিল করা হল কলকাতার ফ্ল্যাট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নববর্ষের দিন সকালেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার সিবিআই (CBI) স্ক্যানারে তৃণমূলের নলহাটির ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি বিভাস অধিকারী। মূলত প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। শনিবার সকাল থেকে তাঁর নলহাটির কৃষ্ণপুরের বাড়ি এবং কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিটের ফ্ল্যাটে সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা হানা দেন। আর একদল হানা দিয়েছে বিভাসের আশ্রমেও। সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে বিভাসের আশ্রমেও যায় সিবিআই। দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে বিভাসকেও। বিভাসের আমহার্স্ট স্ট্রিটের ফ্ল্যাট সিল করে দেয় সিবিআই। কলকাতার ফ্ল্যাটেই বিভাসের বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সিটি অফিস ছিল। এই ফ্ল্যাটে নীল বাতি লাগানো গাড়িতে চড়ে মাঝেমধ্যে তিনি আসতেন। এদিন কলকাতার ফ্ল্যাটের চাবি না পেয়ে সিল করে দেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা।

    কে এই বিভাস অধিকারী?

    বরাবরই বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা বিভাস অধিকারী। স্ত্রী, সন্তান নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকতেন তিনি। গ্রামে তাঁর পেল্লাই বাড়ি রয়েছে। তাঁর তিনটে পরিচয় রয়েছে। প্রথমত, অত্যন্ত ধার্মিক হিসেবেই এলাকায় পরিচিত বিভাস। নিজের হাতে তিনি একটি আশ্রম তৈরি করেছেন। পাশাপাশি রাজনীতিতেও সক্রিয় তিনি। নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন। এখন তিনি ওই পদে নেই। তবে, শাসক দলের সঙ্গে তাঁর যোগ রয়েছে। যদিও বিভাসের দাবি, শারীরিক অসুস্থতার কারণে সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নই। তবে, শুধু যে ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে বিভাস মেতে থাকতেন, তেমনটা নয়। আশ্রমের পাশাপাশি একটি বিএড কলেজ তৈরি করেছিলেন তিনি। বহু পড়ুয়া প্রচুর অর্থের বিনিময়ে সেখানে ভরতি হতেন। কারণ, হিসেবে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, ওই কলেজ থেকে পাশ করতে পারলে চাকরি নাকি নিশ্চিত ছিল। সেই কারণে রাতারাতি বাড়ছিল পড়ুয়ার সংখ্যা। শোনা যায়, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল বিভাস অধিকারীর। বীরভূম জেলায় দলের অনেকেই সে কথা জানতেন। এমনকী মানিক ভট্টাচার্যেরও ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। শুধু তিনি নন, একাধিক দাপুটে নেতার আনাগোনা ছিল বিভাসের কলেজে। মাস চারেক আগে সিউড়ির হরিপুরের কাছে একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ক্যানসার রিসার্চ সেন্টার খোলার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন বিভাস। মোটের উপর অত্যন্ত প্রভাবশালী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। স্থানীয়দের কথায়, ধর্মকে হাতিয়ার করেই দুর্নীতি চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ বিভাস। এর আগে ইডি-র জেরার মুখে পড়েছিলেন বিভাস। আর নববর্ষের সকালের সিবিআই (CBI) হানা দিল তাঁর ডেরায়। সিবিআই তল্লাশিতে নতুন কোনও তথ্য সামনে আসে কিনা, সেটাই এখন দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির কাঁটা! পূর্ব মেদিনীপুরে গোপাল দলপতির বাড়িতে সিবিআই হানা

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির কাঁটা! পূর্ব মেদিনীপুরে গোপাল দলপতির বাড়িতে সিবিআই হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় তদন্তে গতি বাড়াল সিবিআই। অন্যতম অভিযুক্ত গোপাল দলপতির বাড়িতে হানা দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। পূর্বমেদিনীপুরের ভূপতি নগরে গোপালের বাড়িতে যখন পৌঁছয় সিবিআই দল, তখন তিনি সেখানে ছিলেন না। তাই পরিবারের অন্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। গোপালের গ্রামের বাড়িতে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত কিছু নথি রয়েছে কিনা, তারই হদিশ পেতে চাইছে সিবিআই।

    কে  এই গোপাল দলপতি

    গোপাল দলপতির নাম নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় আচমকাই সামনে আসে। তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষ জেরার সময় গোপাল দলপতির নাম ইডিকে জানায়। শুধু তাই নয়, এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মানকি ভট্টাচাযের্র অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের মুখেও শোনা গিয়েছিল গোপালের নাম। তাপসের অভিযোগ ছিল, তিনি নাকি গোপালকে কোটি কোটি টাকা দিয়েছেন। আর সেই টাকাই নাকি বিভিন্ন হাত ঘুরে পৌঁছে যেত ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে।

    পানওয়ালা থেকে অঙ্কের মাস্টার

    কে এই গোপাল দলপতি? কেনই বা নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা? পুর্ব মেদীনপুরের বাসিন্দা গোপাল প্রথম দিকে দমদম ক্যান্টনমেন্টে একটি পানের দোকানে কাজ করতেন। বাবা অসুস্থ হওয়ার পর সেই দোকানের যাবতীয় দায়িত্ব গিয়ে পড়ে তাঁর কাঁধে। ক্রেতাদের সঙ্গে কথাবার্তায় অনুপ্রাণিত হয়ে ফের তিনি পড়াশোনা শুরু করেন। দমদম মতিঝিল কলেজে অঙ্ক নিয়ে পাস করার পর টিউশনকেই জীবিকা হিসেবে বেছে নেন। তারপর ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়েন এই চক্রে।

    আরও পড়ুন: উদ্ধার ৩,৪০০ চাকরি প্রার্থীর নথি! তৃণমূল বিধায়কের ঘরকে ‘ওয়ার রুম’ বলছে সিবিআই

    একাধিক জায়গায় তল্লাশি

    অন্যদিকে শনিবারই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডি-র পর  বীরভূমের নলহাটিতে তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস অধিকারীর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। তৃণমূল নেতার আশ্রমেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এর পাশাপাশি, আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার কাছে বিভাসের কলকাতার ফ্ল্যাটে চলে সিবিআইয়ের তল্লাশি। বিভাস অধিকারী ছিলেন তৃণমূলের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি। পরে পদত্যাগ করেন। এছাড়াও, অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাচিভার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন বিভাস। সিবিআইয়ের দাবি, ২০১১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ বিভাস অধিকারী। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার আন্দির বাড়িতেও সিবিআই তল্লাশি অভিযান চালায়। বাড়িতেই নজরবন্দি করা হয় বিধায়ককে। চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: বাড়িতে মিলল দুবস্তা অ্যাডমিট কার্ড! পুকুরে তৃণমূল বিধায়কের মোবাইল খুঁজছে সিবিআই, কেন?

    Recruitment Scam: বাড়িতে মিলল দুবস্তা অ্যাডমিট কার্ড! পুকুরে তৃণমূল বিধায়কের মোবাইল খুঁজছে সিবিআই, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) থেকে বাঁচতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহার কর্মকাণ্ড দেখে সিবিআই (CBI) কর্তারা হতবাক। গত ২৪ ঘণ্টা ধরে চলছে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি। আর সময় যত গড়াচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam)  সংক্রান্ত নতুন নতুন নথি সিবিআইয়ের হাতে আসছে। সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধায়কের বাড়ি থেকে প্রায় দুবস্তা নথি উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি এবং নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার একাধিক চাকরি প্রার্থীর অ্যামডিট কার্ড রয়েছে। এছাড়া একটি ডায়েরি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সিবিআই (CBI) কর্তাদের আশঙ্কা, এই ডায়েরির মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) লেনদেনের হিসেব থাকতে পারে। শনিবার তৃণমূল বিধায়কের দুই আত্মীয়ের বাড়িতে নতুন করে সিবিআই (CBI)  তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।

    সিবিআই তল্লাশির সময় বাড়ির পাশে পুকুরে মোবাইল ফেলে দেন বিধায়ক!

    শুক্রবার সকাল থেকে রাজ্যের ৬টি জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থার বেশ কয়েকটি টিম। বড়ঞার এই তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয় সকাল থেকে। তল্লাশি চলে তাঁর শ্বশুরবাড়িতেও। তল্লাশির পাশাপাশি বিধায়ককে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সিবিআই (CBI) সূত্রের খবর, সিঁদুরের কৌটোর মধ্যে মোবাইলের মেমরি কার্ড লুকিয়ে রেখেছিলেন বিধায়ক। সেই মেমরি কার্ডে রয়েছে নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক তথ্য। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে অসুস্থতার কথা বলে শৌচালয়ে যাওয়ার নাম করে বাড়ির পাশের পুকুরে নিজের দুটি মোবাইল ফেলে দেন বিধায়ক। সঙ্গে দুটি পেন ড্রাইভ, একটি হার্ডডিস্কও ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অনুমান।  প্রায় চার-পাঁচ বছর ধরে সেই মোবাইলটি বিধায়ক ব্যবহার করছিলেন বলে সূত্রের খবর। ফলে, তাতে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই তথ্য লোপাট করতেই পুকুরে মোবাইল ফেলা হল কি না তা সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছেন। ইতিমধ্যেই পুকুরে পাম্প নামিয়ে জল বের করে মোবাইল খোঁজার চেষ্টা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এমনিতেই শুক্রবার থেকে সিবিআইয়ের (CBI)  একটি টিম ঘটনাস্থলে রয়েছেন। কিন্তু, বিধায়কের বাড়ি থেকে তথ্যের ভাণ্ডার উদ্ধার হওয়ায় শনিবার ভোরে ৬ জনের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছান।  তাঁরাও তল্লাশি শুরু করেছেন। মনে করা হচ্ছে, পুকুর থেকে মোবাইল দুটি পেলে তদন্তকারীদের হাতে আসতে পারে অনেক তথ্য। জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) লিঙ্কম্যান হিসেবে মুর্শিদাবাদ থেকে  কৌশিক নামে এক ব্যক্তি গ্রেফতার হন। তাঁকে জেরা করেই উঠে আসে এই জীবনকৃষ্ণ সাহার নাম। পরে, কিছু ব্যাঙ্কের চেকের সূত্র ধরে সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা নিশ্চিত হয়। এরপরই শুরু হয় তল্লাশি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ‘দুর্নীতির মাথা ধরতে না পারলে কী করতে হবে, জানি’, সিবিআইকে বিচারপতি  

    Recruitment Scam: ‘দুর্নীতির মাথা ধরতে না পারলে কী করতে হবে, জানি’, সিবিআইকে বিচারপতি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনারা যদি এ বার না মাথায় পৌঁছতে (Recruitment Scam) পারেন, আমি জানি কী করতে হবে। বৃহস্পতিবার সিবিআইকে (CBI) একথা বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। এদিন প্রাক্তন তৃণমূল (TMC) নেতা কুন্তল ঘোষের পত্রবোমা মামলার শুনানি চলাকালীন এই মন্তব্য করেন তিনি। শুনানি চলাকালীন নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, নিয়োগ মামলায় যাঁদের এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা দালাল। অবৈধভাবে নিয়োগের টাকা আসলে কোথায় পৌঁছেছে, তা দ্রুত তদন্ত করে বের করার বার্তাও দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    কোথায় গেল নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) এত টাকা?

    তিনি বলেন, কোথায় গেল নিয়োগ দুর্নীতির এত টাকা? এঁরা তো দালাল! আসল টাকা কোথায় পৌঁছল? সেটাই তো খুঁজে পেতে হবে। এত দিন ধরে কী করছেন?  এখনও অবধি কোমরের ওপরে পৌঁছতে পারেননি। আপনারা যদি এ বার মাথায় পৌঁছতে না পারেন, আমি জানি কী করতে হবে। তিনি বলেন (Recruitment Scam), দীর্ঘ দিন হয়েছে। সময় অপচয় ছাড়া কিছু হচ্ছে না। তাঁর পর্যবেক্ষণ, নিম্ন আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবীর ভূমিকা ঠিক নয়। প্রয়োজনে আইনজীবী পরিবর্তন করতে হবে। সওয়ালের সময় তাঁর ভূমিকা ঠিক নয়। তিনি বলেন, সিবিআই হাইকোর্টের অন্য কোনও আইনজীবীকে দিয়ে সওয়াল করাতে পারে। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় প্রয়োজনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করতে পারবে সিবিআই এবং ইডি।

    আরও পড়ুুন: মিড-ডে মিলেও কেলেঙ্কারি ফাঁস! রাজ্যের শিক্ষা দফতরের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

    তাঁর আরও নির্দেশ, চাইলে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার বিরুদ্ধে লেখা ওই চিঠি নিয়ে অভিষেক ও কুন্তলকে প্রশ্ন করতে পারবেন ইডি ও সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, আদালতে যাওয়া আসার পথে কুন্তল বারংবার দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী (Recruitment Scam)  সংস্থা তাঁকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করার জন্য চাপ দিচ্ছে। জেল থেকেও সিবিআই এবং ইডির বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলে চিঠিও লিখেছিলেন কুন্তল।

    এ ব্যাপারে এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ইডি-সিবিআইয়ের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ বা কোনও এফআইআর করতে পারবে না রাজ্য পুলিশ। অভিযোগ গ্রহণ করতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। বিচার প্রক্রিয়াকে শ্লথ করতে পরিকল্পনামাফিক এসব অভিযোগ করা হচ্ছে। এর পরেই তিনি বলেন, অবিলম্বে এ ব্যাপারে অভিষেক ও কুন্তলকে জেরা করা উচিত ইডি এবং সিবিআইয়ের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Police Officer: অমিত শাহের সভার আগেই সরিয়ে দেওয়া হল কেষ্ট ঘনিষ্ঠ সিউড়ি থানার আইসি-কে!

    Police Officer: অমিত শাহের সভার আগেই সরিয়ে দেওয়া হল কেষ্ট ঘনিষ্ঠ সিউড়ি থানার আইসি-কে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরের আগেই বীরভূমের সিউড়ি থানার আইসি শেখ মহম্মদ আলিকে (Police Officer) সরিয়ে দেওয়া হল। শুক্রবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সিউড়িতে সভা করবেন। তার আগেই অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ওই আইসি-কে (Police Officer) সরিয়ে দেওয়া হল। এমনিতেই মাসখানেক আগেই এই পুলিশ অফিসারকে সিবিআই এবং ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এরমধ্যেই তাঁকে আইসি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় জেলা জুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, রামপুরহাট থানার আইসি দেবাশিস চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, এটা রুটিন বদলি।

    দুই থানার আইসি-কে (Police Officer) কোথায় বদলি করা হল?

    মাসখানেক আগেই সিউড়ি থানার আইসি (Police Officer) শেখ মহম্মদ আলিকে  নিজাম প্যালেসে ডেকে সিবিআই ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেন। মূলত কয়লা পাচার করার জন্য তাঁকে নিয়মিত প্রোটেকশন মানি দেওয়া হত বলে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন। কয়লা পাচারের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার মুখেও এই পুলিশ অফিসারের নাম সিবিআই আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন। মহম্মদবাজারের অফিসার ইন চার্জ (Police Officer)  হিসেবে থাকার সময় এই পুলিশ আধিকারিক নিয়মিত প্রোটেকশন মানি নেওয়ার পাশাপাশি  বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যেত। বিনিময়ে পাচারকারীদের কয়লা পাচার করতে কোনও সমস্যা হত না। কোনও সমস্যা হলেই মহম্মহ আলি ছিলেন মুশকিল আসান। পরে, জেলার এক উচ্চ পদস্থ কর্তার সঙ্গে তাঁর এতটাই সখ্যতা ছিল যে জেলার বিভিন্ন থানায় কে কোথায় অফিসার হবেন তা তিনি ঠিক করতেন। কয়েকদিন আগে দিল্লিতে ইডি তাঁকে ডেকে পাঠায়। এতকিছুর পরও সিউড়ি থানার মতো গুরুত্বপূর্ণ থানায় তাকে রেখে দেওয়ার অর্থ রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। ফলে, তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নেয় তারদিকে জেলাবাসীর নজর ছিল। এবার তাঁকে সিউড়ি থানার আইসি-র (Police Officer) পদ থেকে সরিয়ে জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চে বদলি করা হয়েছে। আর মহম্মদ আলির জায়গায় বর্ধমানের কোর্ট ইন্সপেক্টর দেবাশিস ঘোষকে সিউড়ি থানার আইসি (Police Officer) করা হয়েছে। অন্যদিকে, বগটুইকাণ্ডের পর রামপুরহাটের আইসি ত্রিদিব প্রামাণিককে সরিয়ে রাতারাতি দেবাশিস চক্রবর্তীকে রামপুরহাট থানার আইসি করা হয়েছিল। এবার তাঁকে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিআইবিতে বদলি করে দেওয়া হল। আর পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে নীলোত্পল বিশ্বাসকে রামপুরহাটের আইসি করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nisith Pramanik: নিশীথকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ শীর্ষ আদালতের, মামলা ফিরল হাইকোর্টে

    Nisith Pramanik: নিশীথকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ শীর্ষ আদালতের, মামলা ফিরল হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) কনভয়ে হামলার মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। গত ২৮ মার্চ এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, পুনরায় রায় বিবেচনা করতে হবে কলকাতা হাইকোর্টকে।

    সুপ্রিম নির্দেশ

    বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। রাজ্যের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি আদালতে জানান, রাজ্য পুলিশই এই ঘটনার তদন্ত করার জন্য উপযুক্ত। কিন্তু অপর পক্ষের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করে জানান, কনভয়ে হামলার ঘটনায় তৃণমূল সমর্থকরা অভিযুক্ত হলেও পুলিশ বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদেরই গ্রেফতার করেছে। গাড়িতে হামলা ও মারধরের অভিযোগে কতগুলি এফআইআর করা হয়েছে, সেই তথ্যও এদিন আদালতে পেশ করা হয়। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, আপাতত রাজ্য পুলিশ ওই মামলায় তদন্ত করবে। পরবর্তীতে সিবিআই তদন্তের প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, তা হাইকোর্ট ঠিক করবে।

    আরও পড়ুন: তাপমাত্রার পারদ চড়ছে প্রতিদিন! জানেন কীভাবে সুস্থ রাখবেন আপনার সন্তানকে?

    গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) কনভয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে। বিজেপির অভিযোগ বোমা, গুলি এবং পাথর ছুড়ে হামলা চালানো হয়। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ওই দিন দিনহাটায় গিয়েছিলেন নিশীথ। সেখানেই বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল, বুড়িরহাট এলাকায় তাঁর কনভয় পৌঁছলে তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে কালো পতাকা দেখান। যার জেরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের পরামর্শ, পুলিশের নথি খতিয়ে দেখে তবেই তদন্তের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত কলকাতা হাইকোর্টের। পুলিশ এই ঘটনার সাম্প্রতিক রিপোর্ট আদালতের হাতে তুলে দেবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanya Mondal: পেটে ব্যথা! ফের ইডির তলব এড়ালেন কেষ্ট-কন্যা, কী প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর?

    Sukanya Mondal: পেটে ব্যথা! ফের ইডির তলব এড়ালেন কেষ্ট-কন্যা, কী প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ইডির (ED) তলব এড়ালেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)। বুধবার দিল্লিতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল কেষ্ট-কন্যাকে। তবে গত দুবারের মতো এবারও হাজিরা এড়ালেন সুকন্যা। কারণ হিসেবে তিনি পেটে ব্যথার কথা বলেছেন। প্রসঙ্গত, এ নিয়ে তিন-তিনবার ইডির ডাক এড়ালেন সুকন্যা। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। বর্তমানে তিহাড় জেলে রয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। অনুব্রতর সম্পত্তি সংক্রান্ত খোঁজখবর নিতে সুকন্যাকেও দিল্লিতে তলব করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, পিতা-পুত্রীকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে। তাই তলব করা হয়েছিল কেষ্ট-কন্যাকে।

    সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)…

    প্রথমবার তলব করা হলে আইনজীবী মারফত চিঠি দিয়ে সুকন্যা (Sukanya Mondal) কিছু দিন সময় চেয়েছিলেন। ফের তাঁকে ডেকে পাঠানো হয় মার্চ মাসে। সেবারও হাজিরা এড়ান সুকন্যা। বুধবারও দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন কেষ্ট-কন্যা। যদিও বর্তমানে বীরভূমের নিচুপট্টির বাড়িতেই রয়েছেন সুকন্যা। অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের দাবি, পেটের ব্যথায় ভুগছেন সুকন্যা। সুকন্যা ইডির তলব এড়ালেও অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সুব্রত হাজরা ওরফে ডালিম বুধবার দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন। তাঁকেও তলব করেছিল ইডি। তদন্তকারীদের অনুমান, গরু পাচারের টাকা লগ্নি করা হয়েছে পেশায় প্রোমোটার ডালিমের নির্মাণ শিল্পেও। সেই কারণেই ডাকা হয়েছে ডালিমকে।

    আরও পড়ুুন: রোজগার মেলায় ফের ৭১ হাজার নিয়োগপত্র বিলি করবেন প্রধানমন্ত্রী

    এদিকে, সুকন্যা (Sukanya Mondal) ইডির তলব এড়ানোয় তাঁকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, উনি বাবার সঙ্গে থাকতে চান, তাই এ সব করছেন। বুধবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের জনসভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, আইন আইনের পথে চলবে। হাজিরা এড়ালে তদন্তকারী সংস্থা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে। আমার মনে হচ্ছে, বাবার সঙ্গে এক সঙ্গে থাকতে চান। তাই এসব করছেন।

    প্রসঙ্গত, গত বছর অগাস্ট মাসে গ্রেফতার হন অনুব্রত। তার পরে পরেই মণ্ডল পরিবারের সম্পত্তি সংক্রান্ত খোঁজখবর নিতে সুকন্যাকে (Sukanya Mondal) দিল্লিতে ডেকে জেরা করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দাবি, মণ্ডল পরিবারের বিপুল সম্পত্তি সম্পর্কে সুকন্যার কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি সদুত্তর দেননি। তিনি জানিয়েছিলেন, ওই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন তাঁরা বাবা ও হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় কাঁথির সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধেও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ

    Recruitment Scam: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় কাঁথির সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধেও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার হওয়া কাঁথির সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধেও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চাকরির নাম করে বিভিন্নজনকে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাশে অভিযোগ জানান। তারপরই বিশেষ অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাঁকে তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। আদালতের নির্দেশ, এই বিষয়ে যাবতীয় অনুসন্ধান চালিয়ে ৩ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে হবে সিবিআইকে। হাইকোর্ট সূত্রের খবর, যেহেতু নিয়োগ-দুর্নীতি মামলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সিবিআই তদন্ত করছে, তাই এটিও দেখার ভার দেওয়া হল সেই সিবিআইকেই। একইসঙ্গে মূল মামলার সঙ্গে এর কোনও যোগ আছে কিনা, সেটিও খুঁজে দেখতে বলা হয়েছে সিবিআইকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১ লা মে।

    বোঝাই যায়, নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Recruitment Scam) জট ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের বিচুনিয়া হাইস্কুলের ইংরেজির ওই শিক্ষক দীপক জানার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাশে মামলা করা হয়েছে এই বছরের মার্চ মাসে। চাকরি দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) অভিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা কুন্তল সহ অনেকে গ্রেফতার থাকা অবস্থায় তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এই শিক্ষক নেতার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া এবং তার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    কী বলেছিলেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষক ?

    কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ জমা পড়ার পর এই নিয়োগ-দুর্নীতি (Recruitment Scam) সম্পর্কে অভিযোগ নিয়ে ওই শিক্ষককে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল। তার উত্তরে তিনি যা জানিয়েছিলেন, তার সারমর্ম হল, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার কারণে তার কাছে যে অনেকে চাকরির জন্য আসতেন, তদ্বির করতেন, সেকথা তিনি স্বীকার করেছেন। তবে তিনি নাকি তাদের পাত্তা দেননি। বরং অন্য কোথাও চাকরি খুঁজে নেওয়ার কথাই বলেছিলেন। তার আশঙ্কা, এই আক্রোশ থেকেই হয়তো কেউ তার পিছনে লেগেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ থাকলে যে কোনও শাস্তি তিনি মাথা পেতে নিতে রাজি, একথাও তিনি জানিয়েছেন। তার বক্তব্য, টাকা নিলে তো হাতে নেব, না হয় কোনও অ্যাকাউন্টে নেব। প্রমাণ থাকলে দেখান। এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল করার বিষয়টি একেবারেই নেই বলে তিনি মনে করেন। তার আশঙ্কা, এর পিছনে রয়েছে জ্ঞাতি কেউই। চাকরি না পেয়ে তারাই এখন পিছনে লেগেছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share