Tag: cbi

cbi

  • CBI: কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের মামলা নিয়ে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে কী বলল সিবিআই?

    CBI: কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের মামলা নিয়ে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে কী বলল সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল সিবিআই (CBI)। মূলত, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনার তদন্তে সহযোগিতা করছে না রাজ্য সরকারের পুলিশ প্রশাসন। এই অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ সিবিআই (CBI) । যদিও এর আগেই কনভয়ে হামলার ঘটনা নিয়ে সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনার পর পরই পুলিশ মামলা রুজু করে। জানা গিয়েছে, পুলিশের দায়ের করা স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় নাম রয়েছে কোচবিহারের জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক, জেলা বিজেপি সহ সভাপতি, দিনহাটা ব্লকের বিজেপি সভাপতি-সহ মোট ২৮ জনের। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা এবং অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়। বেছে বেছে ইচ্ছাকৃতভাবে বিজেপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। এফআইআরে নাম থাকা বিজেপি কর্মীদের ইতিমধ্যেই রক্ষাকবচ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এবার সিবিআইকে (CBI)  নথি হস্তান্তর নিয়ে নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে।

    আদালতে কী জানাল সিবিআই? CBI

    ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। কিছুদিন আগেই এই হামলার ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের ওপর দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। তবে, সুপ্রিম কোর্ট এখনও এই মামলায় স্থগিতাদেশ দেয়নি। পাশাপাশি কনভয় হামলার ঘটনা নিয়ে সিবিআইয়ের (CBI) অভিযোগ, এই ঘটনায় তদন্তে কোনও সহযোগিতা করছে না সরকারের পুলিশ। এমনকী মামলার নথিও হস্তান্তর করছে না বলেও অভিযোগ। সিবিআই (CBI) বৃহস্পতিবার আদালতে জানায়, সব ক্ষেত্রে অসহযোগিতা কাম্য নয়। এই মামলায় প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “যেহেতু এখনও সিবিআই (CBI) তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের কোনও স্থগিতাদেশ নেই, তাই এই আদালত চায় যে তার নির্দেশকে মান্যতা দেওয়া হোক।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: চাকরি বাতিল মামলা, সিবিআইকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

    Recruitment Scam: চাকরি বাতিল মামলা, সিবিআইকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় নবম-দশমের ৯৫২ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওএমআর (OMR) শিট বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে। এঁদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৬১৮ জন শিক্ষকের নিয়োগের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করে নেন এসএসসি কর্তৃপক্ষ। এই শিক্ষকদেরই একাংশ দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। বুধবার এই শিক্ষকদের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি। দেশের শীর্ষ আদালতে তিনি বলেন, কারও কথা না শুনে কীভাবে ৫ হাজার লোকের চাকরি খারিজ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি? তাঁর প্রশ্ন, তিনি একের পর এক টেলিভিশন ইন্টারভিউ দেন কীভাবে?

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলা (Recruitment Scam)…

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় (Recruitment Scam) একের পর এক নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই কারণে চাকরি প্রার্থীদের পাশাপাশি রাজ্যবাসীরও ভীষণ কাছের মানুষ হয়ে উঠেছেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকারও দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন দেশের শীর্ষ আদালতে সেই প্রসঙ্গই তোলেন আইনজীবী রোহতগি। শিক্ষকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু বলেন, কাদের চাকরি গিয়েছে, কীভাবে চাকরি গিয়েছে, তা আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। এ ব্যাপারে সিবিআইয়ের বক্তব্যও জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকছে সুপ্রিম কোর্ট। তার পর খুলবে। আগামী ১২ এপ্রিল হতে পারে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    আরও পড়ুুন: অয়নকে টাকা না দেওয়ায় চাকরি গিয়েছে বৈধ চাকরিপ্রার্থীদের?

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি খারিজের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই শূন্যস্থানগুলিতে নিয়োগের নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। গ্রুপ সির ৮৪২ জনের চাকরি খারিজের নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। উচ্চ আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চ ও সুপ্রিম কোর্টে যান চাকরি হারানো কর্মীরা। তার প্রেক্ষিতে নবম-দশম ও গ্রুপ সি-র নিয়োগে কাউন্সেলিংয়ের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। 

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। গত বছর এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার হয়েছেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা, মানিক ভট্টাচার্য সহ আরও কয়েকজন। তাঁদের জেরা করে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও কয়েকজনকে। তার পরেই উঠে আসতে থাকে একের পর এক বিস্ফোরক সব তথ্য। কখনও লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে চাকরি, কখনও আবার তৃণমূল ঘনিষ্ঠ প্রোমোটারের দাবি মতো টাকা দিতে না পারায় খোয়াতে হয়েছে চাকরি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: সিআইডি-র জালে ধরা পড়েও কীভাবে ছাড়া পেলেন নীলাদ্রি? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রশ্ন সিবিআই-এর

    SSC Scam: সিআইডি-র জালে ধরা পড়েও কীভাবে ছাড়া পেলেন নীলাদ্রি? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রশ্ন সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাইসা-কর্তা নীলাদ্রি দাসকে নিয়ে নিয়োগ-দুর্নীতির (SSC Scam) ষড়যন্ত্রের জাল বুনেছিলেন এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya)। সিবিআই-এর দাবি, সুবীরেশ-নীলাদ্রি আঁতাঁতেই চলেছিল চাকরি কেনাবেচা। বাঙালি অফিসার নীলাদ্রি দাসকে পেয়ে দুর্নীতির কাজ আরও সহজ হয়েছিল সুবীরেশ ভট্টাচার্যের।

    সুবীরেশ-নীলাদ্রি যোগ

    ২০১৪-র জানুয়ারি থেকে ২০১৮-র জুলাই মাস পর্যন্ত এসএসসি-র চেয়ারম্যান ছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। সুবীরেশের কার্যকালের মধ্যেই, ২০১৫ সাল থেকে ওএমআর বিকৃতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন নীলাদ্রি। চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যাঁরা টাকা দিতেন, তাঁদের নাম এসএসসি-র মাধ্যমে জানানো হত নীলাদ্রিকে। নাইসা-র ডিরেক্টর পুনীত কুমার বাঙালি হিসেবে নীলাদ্রি দাসকে এসএসসি-র সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্ব দেওয়ায় সুবীরেশের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছিল বলে চার্জশিটে দাবি করেছে সিবিআই।

    ধরা পড়েও ছাড়া পান নীলাদ্রি

    চার বছর আগে একবার চাকরি সংক্রান্ত দুর্নীতি এবং প্রতারণার মামলায় ধরা পড়েছিলেন নীলাদ্রি দাস। কিন্তু এক মাসের মধ্যেই জামিন পেয়ে যান তিনি। মামলার চার্জশিটেও তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়নি। সূত্রের দাবি, কলকাতা হাইকোর্টে নীলাদ্রির জামিনের বিরোধিতাও করেনি সিআইডি। সিবিআই সূত্রের দাবি, এই তদন্তে প্রয়োজনে সিআইডি আধিকারিকদেরও তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রশ্ন, নীলাদ্রির কি পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষ মহলেও যোগাযোগ ছিল? না হলে তিনি এত সহজে ছাড় পেলেন কী করে? সুবীরেশের ক্ষেত্রেও কেন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি?

    আরও পড়ুুন: বিজেপির ধর্নামঞ্চে রাজ্য সরকারকে নিশানা শুভেন্দুর, কী বললেন জানেন?

    সিবিআই-এর দাবি, ২০১৫ সাল থেকে শিক্ষা দফতরের পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত নীলাদ্রি। সুবীরেশের সঙ্গে নীলাদ্রির যোগসূত্রও মিলেছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এসএসসি-র যে নিয়োগ নিয়ে তোলপাড় চলছে, সেগুলির বেশির ভাগই ২০১৯ সালের আগে হয়েছে। অর্থাৎ, সিআইডি যখন নীলাদ্রিকে ধরেছিল তখন নিয়োগ দুর্নীতিতে তার সব কাজই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। দুর্নীতির চক্র ঘাঁটতে গিয়েই শিক্ষা দফতর, এসএসসি-র শীর্ষ মহলের যোগসূত্র জানতে পেরেছিল সিআইডি। সেই কারণেই তদন্ত ধীর গতিতে চলে এবং নীলাদ্রিকে ছেড়ে দেওয়া হয়,বলে অনুমান সিবিআই-এর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘দুর্নীতির মহাসমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছি’, বিস্ফোরক মত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Calcutta High Court: ‘দুর্নীতির মহাসমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছি’, বিস্ফোরক মত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি হয়েছে, যে তাকে মহাসমুদ্রের সঙ্গে তুলনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)  বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাথমিকের একটি মামলায় মামলাকারীদের তরফে বলা হয়, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে ভাবে প্রচুর সংখ্যক বেআইনি নিয়োগ করা হয়েছে, তাতে পুরো প্যানেল বাতিল করা ছাড়া উপায় নেই।  এই প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেন, “দুর্নীতির মহাসমুদ্রে আমি হাবুডুবু খাচ্ছি।” 

    প্যানেল বাতিল প্রসঙ্গ

    প্যানেল বাতিল প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, প্যানেল বাতিল হলে ন্যায্য উপায়ে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কথাও ভাবতে হবে। যদি এক জনও থেকে থাকেন সেটাও দেখতে হবে। ফলে অন্য উপায় কী আছে, তা জানতে চান বিচারপতি। মামলার সব পক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “দুর্নীতির সমুদ্রে আপনারা সাহায্য করছেন। তার পরও আমি হাবুডুবু খাচ্ছি। এ তো মহাসমুদ্র। দুর্নীতির মহাসমুদ্র। এই অবস্থায় ঠগ বাছতে তো গাঁ উজাড় হয়ে যাবে।” এই প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, “এ নিয়ে বিস্তারিত শুনানি প্রয়োজন। তিন দিন ধরে মামলার সব পক্ষের বক্তব্য শুনব।” হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ এপ্রিল।

    মিথ্যা বলার অভ্যাস রয়েছে মানিকের

    টেট ২০১৪ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, “নির্দ্বিধায় মিথ্যা বলার অভ্যাস রয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের৷ আদালতের সামনে সেটা প্রমাণিতও হয়েছে।” সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১৪-র টেটের ওএমআর শিট সরবরাহের জন্য কোনও টেন্ডার ডাকা হয়নি, জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানিয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। রিপোর্টে সিবিআইএর দাবি অনুযায়ী মানিক আরও জানিয়েছেন, ২০১২ র টেটের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। সেখানেই প্রথম বরাত পায় এস.বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। ভাল কাজ করায় এবং অন্য কেউ টেন্ডার জমা না দেওয়ায় ফের বরাত দেওয়া হয় এস.বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে। সিবিআই এর এই রিপোর্ট দেখে অখুশি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 

    আরও পড়ুুন: ‘‘১৫-২০ দিন অপেক্ষা করুন, দেখুন কী হয়’’, বাংলার বিজেপি সাংসদদের কেন বললেন শাহ?

    সিবিআইকে বিচারপতি

    সিবিআইয়ের রিপোর্ট সন্তোষজনক নয় বলে মনে করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, “এটা কোনও জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে ? এর থেকে তো আমি ভাল  জিজ্ঞাসাবাদ করি। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) অনেক আইনজীবীও এর থেকে ভাল জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। তদন্ত শেষ করতে হবে তো!” তিনি বলেন,  “সিবিআই তো কিছুই করছে না। তারা তো জানেও না পিছনের দরজা দিয়ে কোন কাজ হয়েছে। এই সরকারের শিক্ষা দফতর কী করে এই দুর্নীতি দেখেও তাদের চোখ বন্ধ করে রাখল সেটা ভেবে আমি বিস্মিত। শিক্ষা দফতরের কেউ কেউ হয়তো হাতে হাত রেখে এই দুর্নীতি করেছিলেন৷”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: শান্তিপ্রসাদকে হেফাজতে কেন? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    SSC Scam: শান্তিপ্রসাদকে হেফাজতে কেন? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসি (SSC Scam) উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন আহ্বায়ক শান্তিপ্রসাদ সিনহার (Shantiprasad Sinha) জামিনের বিরোধিতা করায় আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ল সিবিআই। নিয়োগ সংক্রান্ত এক মামলার শুনানি চলাকালীন সোমবার আলিপুর সেশন কোর্টের বিচারপতির কাছে জামিনের আবেদন করেন শান্তিপ্রসাদের আইনজীবী। 

    সওয়াল-জবাব

    এদিন, আদালতে শান্তিপ্রসাদের আইনজীবী জানতে চেয়েছিলেন, ইতিমধ্যেই হেফাজতে ২৫৯ দিন কাটিয়ে ফেলেছেন শান্তিপ্রসাদ। যদি নতুন করে তাঁকে হেফাজতেই নেওয়ার প্রয়োজন থেকে থাকে, তবে সে কথা গত ২৫৯ দিনে কেন মনে পড়েনি সিবিআইয়ের। আইনজীবী এই প্রশ্ন করার পরে বিচারকও সিবিআইকে নির্দেশ দেন প্রশ্নটির জবাব দিতে। কিন্তু সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার বা আইনজীবী এর স্পষ্ট কোনও জবাব দিতে পারেননি। পাল্টা সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘যা তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে তাতে এই পর্যায়ে জামিন পেলে তদন্ত (SSC Scam) নষ্ট হবে। বৃহত্তর ষড়যন্ত্র এটা। জামিন পেলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন।’ সিবিআইয়ের বক্তব্য, এসপি সিনহা ভুয়ো সুপারিশ পত্র দিয়ে জাল নিয়োগপত্র দিয়েছেন।

    সিবিআইকে প্রশ্ন বিচারপতির

    বিচারক রানা দাম এরপরই প্রশ্ন করেন,সিবিআই কেন একই কথা টেপ রেকর্ডারের মতো বার বার বলে চলেছে? অভিযুক্তদের জামিন দেওয়া হলে কী হতে পারে বলে আশঙ্কা সিবিআইয়ের? তারা কী নাচবেন? এসএসসির নিয়োগ সংক্রান্ত (SSC Scam) উপদেষ্টা কমিটির প্রধান ছিলেন শান্তিপ্রসাদ। কোটি কোটি টাকার নিয়োগ দুর্নীতির রাশ অনেকটাই তাঁর হাতে ছিল বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উদ্দেশে বিচারপতির  প্রশ্ন, ‘তিনমাস আগে চার্জশিট পেশ হয়েছে। অথচ এই ব্যক্তির ভূমিকা বুঝতে এতদিন লেগে গেল? সবই তো ভিতরে ভিতরে সম্পর্কযুক্ত। বলবেন না আপনারা জানতেন না।’একইসঙ্গে এদিন বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা বলছেন তদন্তে প্রভাব পড়বে। কী প্রভাব পড়বে যদি জামিন দিই? অন্য কেসে তো জেলে আছেন। এই কেসে কেন দরকার? নতুন কিছুই তো বলার মতো নেই। একই কথা বলছেন। ডিসেম্বরে চার্জশিট দিয়েছেন আর মার্চ মাসে হেফাজতে চাইছেন?’

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত নীলাদ্রি দাস বানিয়েছিলেন চাকরি বিক্রির চার্টও! জানুন রেট

    প্রসঙ্গত, আগেই সিবিআইয়ের চার্জশিটে বলা হয়েছিল, শিক্ষক নিয়োগে প্রভাব খাটানোর উদ্দেশ্যেই, শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে এসএসসি’র উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। দুর্নীতির (SSC Scam) পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদেরও ষড়যন্ত্রমাফিক সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। স্কুলের নিয়োগে দুর্নীতির মামলায়, ইডির হাতে প্রথম গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ঠিক তারপরই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee:  ‘এই চোর পার্থ’! স্লোগানের পাশাপাশি সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতার ফাঁসিও চাইল জনতা

    Partha Chatterjee: ‘এই চোর পার্থ’! স্লোগানের পাশাপাশি সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতার ফাঁসিও চাইল জনতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার চোর, চোর স্লোগান শুনলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা সাসপেন্ডেড তৃণমূল (TMC) নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় বৃহস্পতিবার পার্থকে তোলা হয় আদালতে। গাড়ি থেকে পার্থ নামতেই উপস্থিত জনতা স্লোগান দেয়, চোর, চোর। ওঁকে জ্বালিয়ে দেওয়া উচিত, ওঁর ফাঁসি হওয়া উচিত।

    এই পার্থ (Partha Chatterjee) চোর…
    নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে এদিন আলিপুর সিবিআই আদালতে শুনানি ছিল পার্থ সহ সাতজনের। পার্থকে আদালতে নিয়ে আসা হয় আলাদা একটি গাড়িতে করে। গাড়ি থেকে চেক কাটা পাঞ্জাবি পরা পার্থ নামতেই জনতা স্লোগান দিতে থাকে, এই পার্থ চোর, এই চোর পার্থ। মাথা নিচু করে হেঁটে পার্থ (Partha Chatterjee) সোজা ঢুকে যান আদালতে। এই সময় জনতার একাংশকে বলতে শোনা যায়, ওঁকে জ্বালিয়ে দেওয়া উচিত, ওঁর ফাঁসি হওয়া উচিত। অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও জোকা ইএসআই হাসপাতালে কিংবা ব্যাঙ্কশাল কোর্ট চত্বরে পার্থকে দেখে চোর স্লোগান দিয়েছিল উপস্থিত জনতা। এদিন আলিপুরও দেখল একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।

    এদিন জনতার মধ্যে থাকা এক ব্যক্তি পার্থর বিরুদ্ধে বিদেশে টাকা চালান করার অভিযোগও করেন। এর আগে পার্থকে লক্ষ্য করে জুতোও ছোড়া হয়েছিল। অন্যদিন প্রতিক্রিয়া না দিলেও, এদিন দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। ঘনিষ্ঠ মহলে সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা (Partha Chatterjee) বলেন, চোর হলে এক জায়গায় পাঁচবার জিততাম না। সৎ না হলে আমাকে মানুষ পাঁচ বার জেতাতেন না। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যাঁরা আমাকে জানেন তাঁরা আমায় চোর বলবেন না। বেহালার মানুষ আমাকে চোর বলতে পারেন না। তিনি বলেন, ভেবেছিলাম, চুপ থাকব। কিন্তু চুপ থাকতে দেবে না।

    আরও পড়ুুন: বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারি, তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি সুকান্তর

    নিয়োগ দুর্নীতির কেলেঙ্কারির দায় এদিন পার্থ (Partha Chatterjee) চাপাতে চেয়েছেন বিরোধীদের ঘাড়ে। উপস্থিত জনতার মুখে চোর স্লোগান শুনে সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা বলেন, আমি দুর্নীতি করতে চাইনি। শুভেন্দু, দিলীপ, সুজন উত্তরবঙ্গে অনেক তদ্বির করেছিলেন। আমি বরং বলেছিলাম, আমি নিয়োগকর্তা নই, কিছু করতে পারব না। এদিন পার্থর সঙ্গেই আদালতে পেশ করা হয় বারাসতের শিক্ষক তথা নিয়োগ কেলেঙ্কারির অন্যতম চাঁই তাপস মণ্ডলকে। অয়ন শীলকে নিয়ে প্রশ্ন করায় তনি বলেন, ম্যাজিশিয়ান কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞেস করুন।ও সব জানে। সুবীরেশ সহ বাকিদেরও এদিন আদালতে তোলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • Sweta Chakraborty: অয়নের হাত ধরেই টলিউডে পা শ্বেতার! জানেন নৈহাটির এক সাধারণ মেয়ের কেরিয়ার গ্রাফ?

    Sweta Chakraborty: অয়নের হাত ধরেই টলিউডে পা শ্বেতার! জানেন নৈহাটির এক সাধারণ মেয়ের কেরিয়ার গ্রাফ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোগা-পাতলা চেহারা। দেখতে সুন্দর। সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের আর পাঁচটা মেয়ের মতোই। চাকরি করতেন কামারহাটি পুরসভায়। সঙ্গে ছিল মডেলিংয়ের নেশা। ধীর গতিতে চলছিল জীবন। কিন্তু হঠাতই ছক ভাঙা জীবনের বাইরে গিয়ে তরতরিয়ে উঠতে শুরু করে নৈহাটির সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে শ্বেতা চক্রবর্তীর কেরিয়ার গ্রাফ। কিন্তু কী করে? প্রশ্ন উঠছিল শ্বেতার চেনা-বৃত্তে। কিন্তু কোটি কোটি টাকার নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়বেন শ্বেতা তা ভাবতে পারেনি নৈহাটির ৭/ডি বিজয়নগর জেলেপাড়ার বাসিন্দারা। 

    অয়নের প্রযোজনায় রুপোলি দুনিয়ায় পা শ্বেতার

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অয়ন শীলের (Ayan Shil) গ্রেফতারির পরই উঠে এসেছে শ্বেতার নাম, অয়নের অ্যাকাউন্ট থেকে যাঁর অ্যাকাউন্টে মোটা অঙ্কের লেনদেন হয়েছে। ধৃত অয়নের প্রযোজনায় রুপোলি দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন শ্বেতা চক্রবর্তী। ২০১৫ সালের আগে জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন শ্বেতা। ২০১৫ সালে ব্যক্তিগত কারণে ট্রান্সফার নিয়ে বলাগড়ের নিত্যানন্দপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েতে যোগ দেন তিনি। অন্যদিকে ২০১৫ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত এই পঞ্চায়েতেরই কার্যনির্বাহী সহায়ক ছিলেন অয়ন শীল। সূত্রের খবর, সেই সময় থেকেই অয়ন-শ্বেতার পরিচয়। কিন্তু,পরবর্তীকালে দুজনেই চাকরি ছেড়ে দেন। 

    গাড়ি কিনতেও অয়নের সাহায্য 

    ইডি সূত্রের খবর, নৈহাটির বাড়ি ছেড়ে ২ বছর ধরে অয়নের ভাগ্নির পরিচয়ে কামারহাটির রথতলায় একটি আবাসনের ফ্ল্যাটে থাকতেন শ্বেতা। তাঁকে গাড়ি কিনতেও সাহায্য করেছিলেন অয়ন। ইডির দাবি, অয়নের ঠিকানা থেকে পাওয়া একটা নথিতে শ্বেতাকে বড় অঙ্কের টাকা পাঠানোর উল্লেখ রয়েছে। বর্তমানে কামারহাটি পুরসভায় সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি করেন শ্বেতা। নিয়মিত অফিসও করতেন তিনি কিন্তু নিয়োগ তদন্তে অয়নের নাম উঠে আসার পর গত কয়েকদিন ধরে তিনি পুরসভায় আসছিলেন না। একাধিক সূত্রের দাবি, উত্তর ২৪ পরগনার প্রভাবশালী এক প্রবীণ বিধায়কের সঙ্গে অয়নের মধুর সম্পর্ক থাকার সুবাদেই কামারহাটি পুরসভায় চাকরি পান শ্বেতা।

    আরও পড়ুন: ৯ বছরেও প্রকাশিত হয়নি মেধাতালিকা! চাকরিপ্রার্থীদের অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার সল্টলেকে

    টলিউডে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা

    নিয়োগ দুর্নীতির টাকা টলিউডেও ঢেলেছিলেন অয়ন শীল। বান্ধবী শ্বেতাকে সিনেমায় নামাতে নিজের প্রোডাকশন হাউসও খোলেন তিনি। শ্বেতা একাধারে কামারহাটি পুরসভায় ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরি করতেন আবার পাশাপাশি মডেলিংও করতেন। সূত্রের খবর ২০১৭ সালে অয়নের স্ত্রীর মাধ্যমেই শ্বেতার সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। অয়নের সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে কাজ করতেন শ্বেতা। অয়নের প্রোডাকশন হাউসের প্রোযোজনায় নির্মিত ছবি ‘কবাডি কবাডি’তেই ডেবিউ করেছিলেন তিনি। ওই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ঋত্বিক চক্রবর্তী, সোহিনী সরকার, অর্জুন চক্রবর্তীর মতো অভিনেতারা। ছবির পরিচালনায় ছিলেন কৌশিক গাঙ্গুলী। যদিও ছবির কাজ শুরু হলেও শেষ হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। বড় পর্দায় দেখা না গেলেও বহু শর্ট ফিল্ম ও মডেলিং প্রজেক্টে দেখা গিয়েছে শ্বেতাকে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: খেলেন না রুটি, সমস্যা হল ঘুমে! তিহাড় জেলে প্রথম রাত কেমন কাটল অনুব্রতর?

    Anubrata Mondal: খেলেন না রুটি, সমস্যা হল ঘুমে! তিহাড় জেলে প্রথম রাত কেমন কাটল অনুব্রতর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে তিহাড় জেলেই রাত কাটাতে হল একদা ‘বীরভূমের বাঘ’ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। তিহাড় যাওয়া ঠেকাতে গত চার-পাঁচ মাস ধরে অনুব্রতর পক্ষ থেকে  আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছিল। দিল্লি-যাত্রা ঠেকানো যায়নি। রোখা যায়নি তিহাড়ে হাজতবাসও। মঙ্গলবার রাতই ছিল তিহাড়ে তাঁর প্রথম রাত্রিযাপন।

    আলাদা ঘরে প্রথম রাত

    জেল সূত্রে খবর, প্রথম রাতে আলাদা ঘরে রাখা হয় অনুব্রতকে। আজ, বুধবার তাঁকে কোনও সেলে দেওয়া হতে পারে। রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত থেকে জেলে নিয়ে যাওয়ার পর জেলের ক্লিনিকে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। সেইসময় তাঁর কাছে ছিল মাত্র ২টি কাগজ। একট হল তাঁর প্রেসক্রিপশন এবং অন্যটি হলে কোর্টের কাগজ। অনুব্রত মণ্ডলকে জেলে দড়ি দেওয়া পাজামা পরতে দেওয়া হয়নি। এর নেপথ্যে একটা অনিবার্য কারণ রয়েছে। তাঁকে বলা হয়েছে, ইলাস্টিক দেওয়া পাজামা পরতে। অনুব্রতর দেশি টয়লেটে বসতে অসুবিধা হয়।  তাঁকে ওয়েস্টার্ন টয়লেট তথা কমোড ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

    ওষুধ নিয়ে সমস্যা

    অনুব্রত মণ্ডলকে কোনও ওষুধ নিয়ে জেলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অনুব্রত শুধু প্রেসক্রিপশন নিয়ে জেলে ঢুকেছেন। তাঁকে জেল অথরিটি জানিয়েছে, জেলের মধ্যে ডিসপেনসারিতে গিয়ে তাঁর প্রেসক্রিপশন দেখাতে। ডাক্তারবাবু পরামর্শ দিলে জেলের ফার্মেসি থেকে ওষুধ পাবেন। কিন্তু প্রেসক্রিপশন দেওয়া হলেও তাঁর পরিচিত ব্র্যান্ডের ওষুধ তিনি পাননি। এনিয়ে তাঁকে সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ একই কম্পোজিশনের ওষুধ দেওয়া হলেও অনুব্রত সেই পাতা চিনতে পারছিলেন না।

    রুটি খেলেন না কেষ্ট

    অনুব্রত মণ্ডল বাংলা ছাড়া কোনও ভাষা বলতে বা বুঝতে পারেন না। এই অবস্থায় জেল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের জন্য দোভাষীর ব্যবস্থা করতে। অনুব্রত মণ্ডলের যদি খুব শরীর খারাপ লাগে বা কোনও বিশেষ দরকার হয়, তা হলে দোভাষীর সাহায্য নিতে পারেন। তা ছাড়া খুব দরকার হলে তাঁর আইনজীবীকে ফোন করার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।  রাতে তিহাড় জেলের অধিকাংশ বন্দি রুটি ও সবজি খান। অনুব্রতকে সেই রুটি সবজি দেওয়া হয়। কিন্তু অনুব্রত রুটি খেতে পারেন না। তাই তিনি ভাত, ডাল ও সবজি খান। রাতে তাঁর ঘুমের সমস্যা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আদালত থেকে বলা হয়েছে রাতে শ্বাসকষ্ট বাড়লে তাঁকে যেন অক্সিজেন দেওয়া হয়। এদিন রাতে তাঁর অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়েনি। তবে ইনহেলার ও অন্যান্য ওষুধ তাঁর সঙ্গে দিয়ে দেওয়া হয়। 

    আরও পড়ুন: ৯ বছরেও প্রকাশিত হয়নি মেধাতালিকা! চাকরিপ্রার্থীদের অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার সল্টলেকে

    সাত নম্বর সেলেই  থাকতে পারেন

    গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতকে ১৩ দিনের জন্য তিহাড়ে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। তাঁকে ফের ৩ এপ্রিল আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই  অভিযুক্ত এনামুল হক, অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, বিএসএফের অফিসার সতীশ কুমার তিহাড় জেলে রয়েছেন। সোমবারই অনুব্রতের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও তিহাড়ে পাঠানো হয়েছে। জেল সূত্রের খবর, বাকিদের সঙ্গেই অনুব্রত সাত নম্বর সেলেই  থাকবেন। তবে গতকাল রাত পর্যন্ত কোনও পরিচিত সঙ্গীর  সঙ্গে দেখা হয়নি অনুব্রতর। জেলের নিয়ম অনুযায়ী, আপাতত একজন জেল আধিকারিকের নজরদারিতেই আছেন কেষ্ট। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: সঙ্গী সায়গল-মণীশ-এনামুল! জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের, তিহাড় যাচ্ছেন কেষ্ট

    Anubrata Mondal: সঙ্গী সায়গল-মণীশ-এনামুল! জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের, তিহাড় যাচ্ছেন কেষ্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব জারিজুরি সার। অবশেষে তিহাড় যাচ্ছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গরুপাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রতকে মঙ্গলবার তিহার জেলেই পাঠানোর নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যভিনিউ আদালত। এদিন ইডি হেফাজত শেষে আদালতে পেশ করা হলে বীরভূমের দাপুটে নেতা কেষ্টকে ১৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় কোর্ট। ৩ এপ্রিল পর্যন্ত তিহার জেলেই থাকবেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। 

    ১৩ দিনের জেল হেফাজত

    অনুব্রতের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারির পর এবার গরু পাচারকাণ্ডে (cattle smuggling case) অভিযুক্ত বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) তিহারে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গত ৭ মার্চ থেকে ইডি হেফাজতে ছিলেন অনুব্রত। দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে ইডির সদর দফতরে অনুব্রতকে লাগাতার জেরা করেন ইডি আধিকারিকরা। এদিন আদালতে অনুব্রতকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন জানায় ইডি। কিন্তু আদালত ১৩ দিনের জেল হেফাজত মঞ্জুর করে অনুব্রতকে ৩ মার্চ ফের আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছে। ওই দিন অনুব্রতর (Anubrata Mondal) সঙ্গে হাজির করানো হবে তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও।

    জেলে দোভাষীর ব্যবস্থা

    এদিন আদালতে নিজের ওষুধপত্র সঙ্গে রাখার আবেদন জানান অনুব্রত (Anubrata Mondal)। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে আদালত জানিয়েছে, প্রেসক্রিপশনে যে ওষুধগুলির উল্লেখ রয়েছে শুধুমাত্র সেগুলিই সঙ্গে রাখতে পারবেন অনুব্রত। চিকিৎসা করাতে পারবেন জেল হাসপাতালে। অনুব্রতকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার কথাও জানিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে এদিন আদালতে অনুব্রত বলেন, তিনি বাংলা ছাড়া অন্য কোনও ভাষা বলতে পারেন না। বিচারক তখন অনুব্রতর (Anubrata Mondal) জন্য জেলে দোভাষীর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন। জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দোভাষীর সঙ্গে কথা বলবেন কেষ্ট।

    আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিবকে তলব ইডির! কী জানতে চাইলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা?

    গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে নিয়ে এখনও পর্যন্ত ৫ জন তিহাড় জেলে গেলেন। এই মামলায় প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিল বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারকে। তারপর একে একে এই মামলায় এনামুল হক, অনুব্রতর (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সকলকেই তিহাড় জেলে পাঠানো হল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত! ঠিকানা তিহাড় জেল

    Anubrata Mondal: অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত! ঠিকানা তিহাড় জেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। আপাতত তিহাড় জেলই ঠিকানা তাঁর। গ্রেফতার হওয়ার পর ৫ দিন পর ইডি হেফাজত শেষে সোমবার আদালতে তোলা হয়েছিল মণীশ কোঠারিকে। এদিন মণীশকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়নি ইডি। তাদের দাবি, মণীশ কোঠারির থেকে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়ে গিয়েছে। তবে ইডির যুক্তি ছিল,জামিন পেলে তদন্ত প্রভাবিত করতে পারেন মণীশ কোঠারি।

    মণীশের নামে বিপুল সম্পত্তি

    ইডি সূত্রে খবর, গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করার পিছনে অনুব্রতের (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক মণীশের সক্রিয় ভূমিকা ও পরিকল্পনা ছিল। মণীশকে জেরা করে ইডি জানতে পেরেছে, কালো টাকা সাদা করার জন্য অনুব্রতর কালো টাকা ঢালা হয়েছিল আইপিএলেও। মণীশ কোঠারির ‘পরামর্শেই’ নাকি এই কাজ করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বোলপুরের আশপাশেও মণীশের নামে বিপুল অঙ্কের সম্পত্তির হদিস মিলেছে। তাঁর নামে সমস্ত জমির বাজারমূল্য ১৭-১৮ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের দাবি, মণীশকে জেরা করেই সুকন্যার নামে বোলপুর ও সল্টলেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় প্রায় ১০ কোটি টাকা মেয়াদি আমানতের সন্ধান মিলেছে। এদিন শুরু থেকেই জামিনের আবেদন জানান মণীশের আইনজীবী। কিন্তু ইডির যুক্তি মেনে মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। মণীশের স্ত্রী এদিন দাবি করেন তাঁর স্বামী নির্দোষ।

    আরও পড়ুুন: ‘তৃণমূল নেতাদের রাঁধুনি হলেও মিলবে ৬০ লক্ষ টাকা’! কটাক্ষ সুকান্তর

    ইডির তরফে জানানো হয়, জেরায় মণীশ জানিয়েছেন এনএম অ্যাগ্রোকেম সংস্থাটি আসলে তাঁর ছিল। তবে ২০১৮ সালে সেই সংস্থা তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে লিখে দিতে বাধ্য করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বিক্রি করার সময় সংস্থার বাজারদর ছিল ১৫ কোটি। তার বদলে মাত্র ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা মণীশকে দিয়েছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal) । প্রসঙ্গত, গরুপাচারকাণ্ডের চার্জশিটে অনুব্রতর মেয়েকে একটি সংস্থা হস্তান্তরের কথা উল্লেখ করেছিল ইডি। মণীশ কোঠারির দাবি যাচাই করে দেখছেন গোয়েন্দারা। এই সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। আপাতত তিহাড় জেলেই থাকতে হবে মণীশকে। যেখানে রয়েছেন অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। মঙ্গলবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তোলা হবে অনুব্রতকেও (Anubrata Mondal) । তাঁর কী পরিণতি হয়? এখন সেদিকেই নজর সকলের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share