Tag: cbi

cbi

  • TET Scam: সিবিআই ও ইডির কাছে মুখ খোলার জের! জেলেই কুন্তলকে হুমকি-ধমক পার্থ ও মানিকের

    TET Scam: সিবিআই ও ইডির কাছে মুখ খোলার জের! জেলেই কুন্তলকে হুমকি-ধমক পার্থ ও মানিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে জেলেই পার্থ ও মানিকের থেকে ‘ধমক’ খেতে হল কুন্তল ঘোষকে। “আমাদের নাম ইডিকে বলেছ কেন? আগে জেরার সময় নিশ্চয়ই সিবিআইকেও জানিয়েছ আমাদের নাম।” জেলে কুন্তলকে রীতিমত বকাবকি পার্থর। ধমক দিয়েছেন মানিকও। এমনটাই সিবিআই আধিকারিকদের জানিয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার কুন্তল ঘোষ। এমনকী এই বিষয়টি ইডির আধিকারিকদেরও বলেছেন কুন্তল। ফলে তিনি এখন আশঙ্কায় রয়েছেন যে, তাঁর ফের জেল হেফাজত হলে তাঁকে আবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর থেকে ধমক শুনতে হবে।

    পার্থ ও মানিকের বিষয়ে কী কী জানিয়েছিলেন কুন্তল?

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। এর পর তাঁকে সিবিআই হেফাজতে নেওয়া হয়। ইডি জেরার মুখেই কুন্তল জানিয়েছিলেন যে, কীভাবে দফায়-দফায় কুন্তল কোটি-কোটি টাকা পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। এসএসসি দুর্নীতি টাকায় কুন্তল বেনামে যে শতাধিক গাড়ি কিনেছিলেন, তার মধ্যে অনেকগুলিই পার্থকে দেন তিনি। ফলে পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়ের সঙ্গে  তাঁর যোগাযোগের বিষয়টি স্বীকার করেন কুন্তল।

    এরপর মানিকের সঙ্গেও কুন্তলের যোগাযোগ ছিল তাও স্বীকার করে নেয় কুন্তল। টেট পরীক্ষার বহু প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা তুলেছিলেন কুন্তল ঘোষ, সেই টাকার একটি বড় অংশ মানিক ভট্টাচার্যের কাছেই যে গিয়েছে, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন যুব তৃণমূল নেতা।

    পার্থ ও মানিকের ‘হুমকি’ ও ‘ধমক’

    কুন্তলের এই স্বীকারোক্তির বিষয়ে মানিক ও পার্থ জানতেই জেলেই কুন্তলকে হুমকি দিতে ছাড়েননি তাঁরা। সূত্রের খবর, পার্থবাবু প্রত্যেকদিনই প্রেসিডেন্সি জেলে তাঁর সেলের সামনে হাঁটাহাঁটি করেন। তাঁর সেলের কাছ দিয়ে অন‌্যান‌্য বন্দিরাও যাতায়াত করেন। কারা সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই কুন্তলকে হেফাজতে নেওয়ার আগে ইডির মামলায় জেলবন্দি কুন্তল তাঁর ওয়ার্ড থেকে পার্থবাবুর সেলের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনই পার্থবাবু দেখতে পেয়ে তাঁকে ডাকেন। তখনই তাঁকে বকাবকি করতে শুরু করেন পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়। তিনি রীতিমত হুমকি দিয়ে কুন্তলকে বলেন, কেন তিনি তাঁর নাম ইডি-র কাছে বলেছেন?  

    আবার এই ঘটনার দু’একদিনের মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সামনে পড়ে যান কুন্তল। ফলে কুন্তলকে ধমক ও হুমকি দেন মানিকও। বিষয়টি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, জেলের মধ্যে রীতিমত আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেন কুন্তল ঘোষ। ফলে কুন্তলের আশঙ্কা যে, তাঁর ফের জেল হেফাজত হলে তাঁকে আবার পার্থ ও মানিকের হুমকির মুখোমুখি পড়তে হবে। ফলে ফের যাতে তাঁকে হুমকির মুখে পড়তে না হয় সেই ব‌্যাপারে নজরদারি রাখা হবে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন খারিজ তাপস-কুন্তলের! ‘কালীঘাটের কাকু’-কে নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন খারিজ তাপস-কুন্তলের! ‘কালীঘাটের কাকু’-কে নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই হেফাজত শেষে তিন অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ এবং নীলাদ্রি ঘোষকে বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হল। এদিনও আদালতে তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। তাঁদের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।

    উত্তরবঙ্গের প্রভাবশালী নেতার যোগ

    প্রসঙ্গত, এতদিন সিবিআই হেফাজতে ছিলেন তিন মূর্তি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, নিজাম প্যালেসের ১৪ তলায় একাধিকবার তিন জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে। তাঁদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসা করে উঠে এসেছে একাধিক তথ্য। সূত্রের খবর, ধৃত কুন্তল ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষ ও তাপস মণ্ডলকে জেরা করতে গিয়ে এবার নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে উত্তরবঙ্গের এক প্রভাবশালী নেতার নাম উঠে এসেছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। বেআইনিভাবে টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার চক্রে যুক্ত ছিলেন প্রভাবশালী ওই নেতা। তবে তাঁর পরিচয় এখনও খোলসা করে জানা যায়নি। এছাড়াও একাধিক ব্যাক্তির নাম উঠে এসেছে, যাঁরা গোপাল দলপতি, তাপস মণ্ডল এবং এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চাকরির সুরাপিশ পাঠাত। একই সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ‘কালীঘাটের কাকু’র ভূমিকাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আদৌ কী ওই ব্যক্তি জড়িত না শুধুই বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: ০২২ টেটের ৭ প্রশ্নে ভুল, মামলা দায়ের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে  

    সিবিআই -এর দাবি,  নিয়োগ দুর্নীতিতে সিন্ডিকেটের মূলে ছিলেন গোপাল দলপতি, তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষ – এই চারজন। এদের সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত ছিলেন সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷। এদিন আদালতে ঢোকার মুখে ফের একবার কুন্তল নিশানা করেন গোপাল দলপতিকে। তিনি বলেন, টাকা পয়সার পুরো লেনদেনের বিষয়টি জানেন গোপাল। উনিই যা করার করেছেন। কালীঘাটের কাকু প্রসঙ্গে কুন্তল বলেছেন, সুজয় ভদ্র কালীঘাটের কাকু নন। অথচ গত দু’দিন ধরে তাপস মণ্ডলের বলা এই নাম নিয়েই তোলপাড় চলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • CBI: এলাহাবাদ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির বিরুদ্ধে মামলা সিবিআইয়ের, কেন জানেন?

    CBI: এলাহাবাদ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির বিরুদ্ধে মামলা সিবিআইয়ের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় তিনিই করতেন বিচার। এবার তাঁরই বিচার হবে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস এন শুক্ল ও তাঁর স্ত্রী শুচিতা তিওয়ারির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল সিবিআই (CBI)। আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে দায়ের ওই হয়েছে মামলা। ওই দম্পতির বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির অভিযোগ এনেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দাবি, এলাহাবাদ হাইকোর্টের (Allahabad HC) বিচারপতি থাকাকালীন এস এন শুক্ল ও তাঁর স্ত্রীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২.৪৫ কোটি টাকা।

    সিবিআই…

    এই প্রথম নয়, এর আগেও এস এন শুক্লর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিল সিবিআই। সেটা ২০১৯ সাল। তখন এলাহাবাদ হাইকোর্টে কর্মরত ছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে, বেআইনিভাবে প্রসাদ ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ভর্তির পক্ষে রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি এস এন শুক্ল। সেই মামলা এখনও সিবিআইয়ের আদালতে বিচারাধীন। বস্তুত, সেই প্রথম কোনও কর্মরত বিচারপতির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল।

    দ্বিতীয় বার যে মামলা শুক্লর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে, তাতে সিবিআইয়ের (CBI) অভিযোগ, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কর্মরত থাকার সময় বিচারপতি শুক্ল ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী শুচিতার আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন ২ কোটি ৪৯ টাকা সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। সিবিআইয়ের অভিযোগ, বিচারপতি পদে থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করেই ওই সম্পত্তি সংগ্রহ করেছেন শুক্ল ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: ‘সিবিআই কান অবধি পৌঁছে গেছে…’, কালীঘাটের কাকু সম্পর্কে বললেন সুকান্ত

    এর আগে শুক্লর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল ফেডারেল এজেন্সি। সেটা ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস। লখনউ ভিত্তিক প্রসাদ ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স নিয়ে একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে তিনি জুডিশিয়ার কোরাপশন করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। তার ভিত্তিতেই জমা দেওয়া হয় চার্জশিট। বুধবার সিবিআয়ের তরফে জানানো হয়, আগে যে তদন্ত হয়েছে, সূত্র মারফত তাতে জানা গিয়েছে এস এন শুক্ল একজন পাবলিক সার্ভেন্ট। এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চে ছিলেন তিনি। দুর্নীতিমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তিনি আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পদ করেছেন। তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী শুচিতা তিওয়ারিও একই অভিযোগে অভিযুক্ত। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট থেকে অবসর নেন বিচারপতি শুক্ল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘সিবিআই কান অবধি পৌঁছে গেছে…’, কালীঘাটের কাকু সম্পর্কে বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘সিবিআই কান অবধি পৌঁছে গেছে…’, কালীঘাটের কাকু সম্পর্কে বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই (CBI) কান অবধি পৌঁছে গেছে, এবার মাথা পাওয়া যাবে। কালীঘাটের কাকু প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মণ্ডলকে জেরা করে জানা গিয়েছে কালীঘাটের কাকুর নাম। ওই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত গোপাল দলপতিও তাঁর নাম নিয়েছেন। কালীঘাটের কাকু যে আসলে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র, মঙ্গলবার তা জানান তাপস। তার পরেই তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি।

    সুকান্ত বলেন…

    বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত বলেন, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র সম্পর্কে আমাদের কাছে যা তথ্য উঠে আসছে, ব্যানার্জি পরিবারের বিশেষ ঘনিষ্ঠ। উনি ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসেই বসেন। উনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ। ২০০৯ সালথেকে সলিটিয়ার প্লেসমেন্ট সার্ভিস নামে একটি কোম্পানিতে ডিরেক্টর পদে ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, এখানেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ডিরেক্টর ছিলেন। বিভিন্ন নথি জমা না দেওয়ার জন্য এই কোম্পানি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।

    সুকান্ত (Sukanta Majumder) বলেন, ২০০৯ সাল থেকে তৃণমূলের ঘরের লোক তিনি। ২০১২ সালের ১৯ এপ্রিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন এই ভদ্রলোক। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ডিরেক্টর পদে ইস্তফা দেন। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সঙ্গে ডিরেক্টর পদে ছিলেন অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়, লতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য ও রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুকান্ত বলেন, তাঁরা কারা, বাংলার মানুষ জানেন। এর পরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, আমার মনে হয় সিবিআই কান অবধি পৌঁছে গেছে, এবার মাথা পাওয়া যাবে।

    আরও পড়ুুন: বেতন বন্ধ হল অনুব্রতকন্যার, স্কুলে না গিয়েই মাইনে নেওয়ার অভিযোগ

    কয়লা মামলায় তলব করা হয়েছিল সুজয়কে। তিনি বলেন, উপেন বিশ্বাস দেখিয়ে গিয়েছেন সিবিআইয়ের সিস্টেম। …যেখানে দেখিবে ছাই, ওড়াইয়া দেখ তাই..। ইডি-সিবিআই মারফত বিরোধীরাই চক্রান্ত করছেন বলেও অভিযোগ তাঁর। সুজয়ের দাবি, তিনি কোনওদিন কুন্তলের বাড়িতে যাননি। বলেন, আমি কোনওদিন কুন্তলের বাড়িতে যাইনি। কুন্তল আমার বাড়িতে এক দুবার এসেছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যে তাঁর যোগাযোগ ছিল, তা অবশ্য স্বীকার করেন সুজয়। বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল। তিনি আমার এমএলএ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • CBI: এবার বেআইনি নজরদারি চালানোর অভিযোগে মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পথে সিবিআই

    CBI: এবার বেআইনি নজরদারি চালানোর অভিযোগে মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পথে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের করতে চলেছে সিবিআই (CBI)। সূত্রের খবর ইতিমধ্যে সবুজ সংকেতও দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। দিল্লির অন্দরের খবর প্রধানমন্ত্রীর অফিস দিল্লির উপ-রাজ্যপাল বিকে সাক্সেনার পাঠানো এই সংক্রান্ত প্রস্তাবে সায় দিয়েছে। সাক্সেনার কাছে সিবিআই (CBI) এই মামলা দায়ের করার অনুমতি চেয়েছিল।
    আপাতত সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে দিল্লির মদনীতি কেন্দ্রীক অনিয়মের মামলার তদন্ত চলছে। সেই মামলায় তাঁকে আবারও তলব করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার বক্তব্য, মদনীতি সংক্রান্ত অনিয়মের ঘটনায় মণীশই মূল অভিযুক্ত। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আবগারি নীতি তৈরি করা হয়েছিল যাতে ব্যবসায়ীরা উপরি লাভ করতে পারে। অভিযোগ, যে আপ সবসময় দুর্নিতীমুক্ত প্রশাসনের কথা বলে অতিরিক্ত লাভের একটি অংশ গিয়েছে তাদের নির্বাচনী তহবিলে।

    সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে নতুন কী অভিযোগ দায়ের করতে চলেছে সিবিআই (CBI)

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে বলা হয়েছে, দিল্লির আম আদমি সরকারের অধীনে ‘ফিডব্যাক ইউনিট’ নামে একটি সেল আছে। দিল্লি সরকারের অধীনে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজকর্মের দিকে নজর রাখা, অভিযোগ থাকলে খতিয়ে দেখাই এই ইউনিটের কাজ বলে জানানো হয়। অথচ দিল্লির রাজ্যপালকে এর বিন্দু বিসর্গও জানানো হয়নি। কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল হওয়ার সুবাদে দিল্লির যাবতীয় প্রশাসনিক কাজ দেখভাল কেন্দ্র সরকারই করে থাকে।

    কিন্তু সিবিআই (CBI) বিভিন্ন মহলের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে নিশ্চিত হয়েছে, ওই ইউনিট রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রী, আমলা, ব্যবসায়ী-সহ প্রায় সাতশো জনের উপর নজরদারি চালিয়েছে, যা তাদের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। জানা গেছে, ফিডব্যাক ইউনিট এভাবে বেআইনি নজরদারি চালিয়েছিল ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর অবধি।
    সিবিআইয়ের (CBI) দাবি, ওই ইউনিটটির কাজকর্ম নিয়মিত দেখভাল করে থাকেন মণীশ এবং তিনিই ঠিক করতেন কাদের উপর নজরদারি চালাতে হবে। শুধু বিরোধী দলের নেতা কর্মী নয়, নিজেদের দলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের উপরেও নজরদারি চালাত এই ইউনিট।  ২০১৫-র শেষপ্রান্তে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ফিডব্যাক ইউনিট চালুর সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু মন্ত্রিসভায় এজন্য কোনও নোট পেশ করা হয়নি। মৌখিকভাবে জানিয়ে প্রস্তাবটি পাশ করিয়ে নেওয়া হয়। এটাও বেনিয়ম বলছে সিবিআই (CBI)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Recruitment Scam: “চন্দনকে গ্রেফতার করতে ন’মাস লাগল?”, নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইকে তীব্র ভর্ৎসনা  বিচারকের

    Recruitment Scam: “চন্দনকে গ্রেফতার করতে ন’মাস লাগল?”, নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইকে তীব্র ভর্ৎসনা বিচারকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সিবিআইকে ভর্ৎসনা বিচারকের। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন বাগদার ‘রঞ্জন’ চন্দন মণ্ডল। বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলকে মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছিল। শুনানি চলাকালীন সিবিআইয়ের তদন্তের গতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারক। চন্দন মণ্ডল যদি নিয়োগ দুর্নীতিতে ওতপ্রোত ভাবে যুক্ত, তা হলে কেন তাঁকে গ্রেফতার করতে ৯ মাস সময় লাগল? সিবিআই আইনজীবীকে প্রশ্ন আলিপুরের দেওয়ানি এবং দায়রা আদালতের বিচারক রানা দামের।

    সিবিআইের তরফে কী বলা হল?

    এদিন চন্দনের জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত অন্যতম দালাল চন্দন মণ্ডল চাকরি দেওয়ার নামে মোট ১৬ কোটি টাকা তুলেছিলেন। আদালতে আজ এমনই জানিয়েছে সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি, “বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে চন্দনের ভূমিকা আছে। চন্দন অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা তুলে নিজের অ্যাকাউন্টে রাখতেন। সেখান থেকে টাকা তুলে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে দিতেন। চন্দন কার থেকে টাকা নিয়েছেন, কাকে দিয়েছেন, সেগুলো এখনও জানা দরকার। তাই চন্দনের হেফাজত গুরুত্বপূর্ণ।” গ্রেফতারির আগে চন্দন অন্যদের প্রভাবিত করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।

    আরও পড়ুন: চাকরি বিক্রি করে ১৬ কোটি টাকা! চন্দনকে জেরা করে নয়া তথ্য সিবিআই-এর হাতে

    বিচারকের প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    সিবিআইয়ের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করলে বিচারক রাণা দাম প্রশ্ন করেন, “আপনারা চন্দন মণ্ডলকে হেফাজতে নিতে চান না, তাহলে জামিন দিলে কী সমস্যা? এখন কান্নাকাটি করছেন জামিন দেবেন না, তাহলে এতদিন ছেড়ে রেখেছিলেন কেন?” এর উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেন, এতদিন তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করছিলেন তাঁরা। ফের বিচারকের প্রশ্ন, “৪ মাস ধরে চন্দনকে বাইরে রেখেছিলেন। বলেছেন, ও তদন্তে সহযোগিতা করেছে। তখন জানতেন না যে, তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করবেন? বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। ৯ মাস সময় লাগল চন্দনকে দোষী প্রমাণ করতে?”

    বিচারপতির আরও প্রশ্ন, “হঠাৎ করে এমন কী হল যে চন্দন দোষী হয়ে গেল? এখন বলছেন উনি সহযোগিতা করছেন না। তাহলে এত প্রমাণ পেলেন কীভাবে? আপনারা যা বলছেন সেটা আপনাদের কথায় প্রকাশ পাচ্ছে না।” সিবিআইয়ের দাবি, “চন্দন অনেক কিছু চাপা দিতে চাইছেন। সম্পূর্ণটা বলছেন না। মিডলম্যানের কাছ থেকে ৫-১৫ কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে।” ফের বিচারপতি বলেন, “চারটে নোটিস পাঠিয়েছেন। ওনাকে বাইরে থাকতে দিয়েছেন আপনারাই। হঠাৎ করে আপনাদের মনে হল একে জেলে পুড়তে হবে।”

    এছাড়াও সিবিআইয়ের আইনজীবীকে প্রশ্ন বিচারকের, চন্দন এত গুরুত্বপূর্ণ হলে কেন তাঁর জন্য শুধু জেল হেফাজত চাওয়া হচ্ছে? কেন পুলিশ হেফাজত চাওয়া হচ্ছে না? এর পাশাপাশি, চন্দন যে সব ধরনের প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন, তার উল্লেখও চার্জশিটে নেই বলে বিচারকের পর্যবেক্ষণ। ফলে এদিন চন্দন মণ্ডলের মামলায় সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন বিচারক।  এখন এটাই দেখার, চন্দন মণ্ডলের থেকে আর কোনও তথ্য সিবিআইয়ের হাতে উঠে আসে কিনা।

  • SSC Scam: চাকরি বিক্রি করে ১৬ কোটি টাকা! চন্দনকে জেরা করে নয়া তথ্য সিবিআই-এর হাতে

    SSC Scam: চাকরি বিক্রি করে ১৬ কোটি টাকা! চন্দনকে জেরা করে নয়া তথ্য সিবিআই-এর হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের চাকরি বিক্রি করে  ১৬ কোটি টাকা তুলেছিলেন বাগদার চন্দন মণ্ডল ওরফে রঞ্জন। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআইয়ের হাতে উঠে এল তারই বহু প্রমাণ। কীভাবে স্কুলের এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মী থেকে চন্দন মণ্ডল কোটিপতি হয়ে ওঠেন, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই টিনের চালের বাড়ি থেকে কীভাবে চন্দন তিনতলা বাড়ি করলেন, কীভাবেই বা বিলাসবহুল জীবনে অভ্যস্ত হয়ে গেলেন, তা নিয়ে চলছে তদন্ত। 

    কোটি কোটি টাকার লেনদেন

    নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম থাকা চন্দন প্রথম থেকেই সিবিআইয়ের আতশকাচের তলায় ছিলেন। সেই সময়েই চন্দনের লেনদেন খতিয়ে দেখে ৬ কোটি টাকার হদিশ পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। হেফাজতে পেয়ে চন্দনকে জেরা করে এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে আরও ১০ কোটি টাকার হদিশ পেয়েছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, চাকরি বিক্রি শুধু নয়, চাকরি পেয়েছেন চন্দনের মেয়ে ও ভাইঝি। চন্দন চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন তাঁর নিকট আত্মীয়দের।  

    একশোর বেশি অযোগ্য প্রার্থীকে চাকরি

    মঙ্গলবার চন্দন এবং আর এক অভিযুক্ত সুব্রত সামন্ত রায়কে সিবিআই হেফাজত থেকে আদালতে তোলা হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, একশোর বেশি অযোগ্য প্রার্থীকে টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন চন্দন মণ্ডল। চন্দন মণ্ডলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে বিপুল লেনদেনের হদিশ পেয়েছে সিবিআই। উত্তর ২৪ পরগনা ছাড়াও দুই দিনাজপুরের অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়ের কাছে সুপারিশ চাকরি প্রার্থীদের তালিকা পৌঁছে দিতেন চন্দন। ইতিমধ্যেই চন্দনের মাধ্যমে চাকরি পাওয়া ২২ জন প্রার্থীর চাকরি চলে গিয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে। 

    আরও পড়ুুন: ‘রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে কুকথা বললে কান ধরে বের করে দিতাম’, বললেন সুকান্ত

    চন্দন মণ্ডল গ্রেফতারির পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে সিবিআই-এর হাতে। এই চন্দন মণ্ডলই মোটামুটি একটা ‘রেট চার্ট’ তৈরি করতেন। কার সুপারিশের ভিত্তিতে কোন প্রার্থী কী চাকরি করতে চাইছেন, তার ভিত্তিতে নির্ধারিত হত টাকার অঙ্ক। প্রাইমারিতে ১২ থেকে ১৫ লক্ষতে রফা হতো, আপার প্রাইমারির ক্ষেত্রে তা ছিল ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা। অন্তত সিবিআই জেরায় তেমনটাই জানিয়েছেন চন্দন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mondal: মাইনে এক হাজার, অথচ ব্যাঙ্কে ১৫ লক্ষ! অনুব্রতর পরিচারকের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ!

    Anubrata Mondal: মাইনে এক হাজার, অথচ ব্যাঙ্কে ১৫ লক্ষ! অনুব্রতর পরিচারকের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে বীরভূমের সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্কে তিনশোর বেশি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছিল সিবিআই। গরুপাচারের কালো টাকা সাদা করার কাজে ব্যবহার করা হতো ওই অ্যাকাউন্টগুলি। সেই মামলার তদন্ত করতে গিয়েই এবার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) পরিচারকের ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট ফ্রিজ করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)।

    টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন

    সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে অনুব্রত মণ্ডলের পরিচারকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অনুব্রতর ওই পরিচারকের নাম বিজয় রজক। তাঁর অ্যাকাউন্টে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা রয়েছে। কিন্তু এই টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তদন্তকারী আধিকারিকদের মনে। ওই টাকার উৎস কী? কিভাবে এল তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। 

    সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রতর পরিচারক হিসেবে মাসে মাত্র কয়েক হাজার টাকা আয় হলেও ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে। এমন কি, এখনও ওই অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা রয়েছে৷ গরুপাচারের টাকাই এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। কারা কারা এই টাকা নিতেন এবং কোথায় সেই টাকা গুলি যেত সেটাকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    তদন্তকারীদের অনুমান পরিচারকের পরিচয়পত্র দিয়ে এই অ্যাকাউন্ট খুলে গরু পাচারের টাকা কেষ্টর নির্দেশেই লেনদেন করা হত। এত টাকার লেনদেন রজতের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন বলে মনে করছে সিবিআই। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে যাতে কোনও টাকা তোলা না যায় বা অন্যত্র সরানো না যায়, বীরভূমের সিউড়ির সমবায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে সেই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷

    আরও পড়ুুন: পনির ছাড়াই, বাটার মশালা! নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ফের সিবিআইকে তোপ আদালতের

    এর আগে একাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন  যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই এই অ্যাকাউন্ট গুলো খোলা হয়েছিল। যাঁদের নামে অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছে তাঁরা কেউ জানেন না তাঁদের নামে রয়েছে অ্যাকাউন্ট। পঞ্চায়েত অফিসে আধার কার্ড জমা দিয়েছিলেন তাঁরা। সেই আধারকার্ড দেখিয়েই অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয় বলে মনে করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Tapas Mondal: ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন! ইডির হাতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত তাপসের ডায়েরি

    Tapas Mondal: ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন! ইডির হাতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত তাপসের ডায়েরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তাপস ও কুন্তলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় সিবিআই। ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আপাতত সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ ও নীলাদ্রি ঘোষ। অভিযোগ, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল।

    মুখোমুখি জেরা

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আগে জেরায় তাপস দাবি করেছিলেন, কুন্তল ঘোষকে নাকি ১৯ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তিনি। সোমবার আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘তাপস-কুন্তল-নীলাদ্রি সবাই টাকা তুলেছেন। কার কাছ থেকে কত টাকা তুলেছেন এবং সেই টাকা কার কাছে দিয়েছেন? তা জানতে ধৃতদের হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন’। তদন্তকারীদের দাবি, কুন্তলকে  ১৯ কোটি ৪৩ লক্ষ ব্যক্তিগতভাবে ধার দেননি তাপস। অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার জন্য ওই টাকা তুলেছিলেন। এখনও পর্যন্ত যা খবর, ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেটের ৩২৫ জন প্রার্থীর কাছ থেকে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তাপস!

    আরও পড়ুন: টাকা দিলেই মিলত সার্টিফিকেট! একাধিক বিএড কলেজ খুলে এভাবেই উপার্জন করতেন তাপস

    তাপসের ডায়েরি

    এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রের খবর, তাপসের একটি ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে। যাতে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের হিসাব রয়েছে। গোটা গোটা অক্ষরে লেখা একের পর এক নাম। রয়েছে নানান জায়গারও উল্লেখ। বেহালা থেকে পাঁশকুড়া, ‘হাই কোর্ট’ থেকে ‘আরবানা’। এই সব ব্যক্তির নাম আর স্থান রহস্যই এখন সমাধান করতে চাইছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাপস কার সঙ্গে, কবে, কোথায় টাকার লেনদেন করেছেন, তারই হিসাব রয়েছে এই ডায়েরিতে। সব চেয়ে বেশি বার লেখা হয়েছে ‘কুন্তল ঘোষ’-এর নাম। তবে কোথাও বিশদে কিছু বলা নেই।  ইডির দাবি, ডায়েরিতে যা লেখা রয়েছে, তা নিশ্চিত ভাবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত। ডায়েরির পাতায় ‘নোট’ লিখে রাখার মতো করে নানা হিসেব রয়েছে। হিসেব রয়েছে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ থেকে ২০২১-২০২২ পর্যন্ত নানা সময়ের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Tapas Mondal: টাকা দিলেই মিলত সার্টিফিকেট! একাধিক বিএড কলেজ খুলে এভাবেই উপার্জন করতেন তাপস

    Tapas Mondal: টাকা দিলেই মিলত সার্টিফিকেট! একাধিক বিএড কলেজ খুলে এভাবেই উপার্জন করতেন তাপস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাধিক বিএড কলেজ (SSC Case) খুলে দুর্নীতি চক্র চালাতেন মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal Background)। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তাপসের বিএড কলেজে না এলেও মিলত সার্টিফিকেট।  মোটা টাকা দিলে বাড়িতে বসেই পাওয়া যেত শংসাপত্র। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal) গ্রেফতার (Arrest) হওয়ার পর প্রকাশ্যে আসছে তাঁর একের পর এক কুকীর্তি। সূত্রের খবর, বাম আমলেই চিটফান্ড কোম্পানি খুলেছিলেন তাপস। ওড়িশা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে কিছুদিন জেলও খাটেন। নিয়োগ-দুর্নীতি-কাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষ অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন প্রভাবশালীর নাম নিয়ে তাঁর ছেলেকে অপহরণের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলেন তাপস।

    একাধিক বেসরকারি বিএড কলেজ

    পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার আদি বাসিন্দা তাপস মণ্ডল। পাঁশকুড়ায় রাসবিহারী কলেজ অফ এডুকেশন নামে একটি বিএড কলেজ স্থাপন করেন তিনি। এখন সেই কলেজের দেখভাল করছেন তাপস মণ্ডলের আত্মীয় প্রভাকর জানা। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, তাপস মণ্ডলই প্রথম রাজ্যে একাধিক বেসরকারি বিএড কলেজ তৈরি করেছেন। পাঁশকুড়া থানা এলাকার পাতাদা গ্রামে তাপসের ভাই একটি বিএড কলেজ দেখভাল করেন। যেটির নাম মিনার্ভা অ্যাকাডেমি। তাপস মণ্ডলের ভাই বিভাস মণ্ডল এই কলেজটির দায়িত্বে রয়েছেন। তাপস গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তাঁর আত্মীয়েরা গা ঢাকা দিয়েছেন। গ্রামের বাড়ি তালাবন্ধ। তাপস মণ্ডলের স্ত্রী সন্ধ্যা রাণী মণ্ডল সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেন, ”মা কালীর দিব্বি খেয়ে বলছি আমি কিচ্ছু জানি না।” তাঁর কথা অনুযায়ী, তাপস মণ্ডলের কোনও কাজ, কোনও ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও তথ্যই তাঁর কাছে নেই।

    আরও পড়ুন: কালিয়াচক ধর্মান্তরের ঘটনায় সিবিআইকে রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ বিচারপতি রাজশেখর মান্থার

    চিটফান্ড সংস্থা

    সূত্রের খবর, আটের দশকে পাঁশকুড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে তাপস তৈরি করেছিলেন, চিটফাণ্ড সংস্থা ‘মিনার্ভা ফিনান্স কোম্পানি’। অভিযোগ, ব্য়াঙ্কের থেকে বেশি হারে সুদের টোপ দিয়ে, বাজার থেকে তাপস তুলেছিলেন কোটি কোটি টাকা। অভিযোগ, অবিভক্ত মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি এমনকী ওড়িশা পর্যন্ত প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন তাপস। তৈরি করেছিলেন, সাত জনের বোর্ড অফ ডিরেক্টরস। সোসাইটির রেজিস্ট্রেশনও করিয়েছিলেন। কিন্তু আমানতকারীদের প্রাপ্য় টাকা ফেরত না দেওয়ায় তাপসকে গ্রেফতার করেছিল ওড়িশা পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share