Tag: cbi

cbi

  • Kuntal Ghosh: অভিষেক থেকে ব্রাত্য অনেকের সঙ্গেই ছবি! বিএড কলেজ, ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, কে এই কুন্তল?

    Kuntal Ghosh: অভিষেক থেকে ব্রাত্য অনেকের সঙ্গেই ছবি! বিএড কলেজ, ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, কে এই কুন্তল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়ে তাঁর ফ্ল্যাট থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসাররা। তদন্তে অসহযোগিতার জেরেই হুগলির এই যুব তৃণমল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর। কিন্তু আসলে কে এই কুন্তল। তাঁর সঙ্গে আর কার যোগাযোগ রয়েছে? যে কোটি কোটি টাকা কুন্তল নিয়েছেন বলে অভিযোগ তা কী সবটাই কুন্তলের পকেটে? না এর পিছনে রয়েছে আরও কেউ? প্রশ্নগুলো ঘুরছে রাজ্য রাজনীতিতে।

    কে কুন্তল

    হুগলির বলাগড়ের শ্রীপুর পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ি কুন্তলের। বাবা স্বপন ঘোষ ছিলেন সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধান। যদিও কুন্তল নিজে যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক। গ্রামে ভাল ছেলে বলেই পরিচিত। সমাজসেবা থেকে দান-ধ্যান করতে বারবার এগিয়ে এসেছিলেন কুন্তল। তাঁদের একটা সারের দোকান ছিল, অ্যালুমিনিয়ামের কারখানাও ছিল। স্বচ্ছল পরিবার। তবে এসব কিছুর পিছনেই কী ছিল দুর্নীতির হাতছানি? এখন আর খুব বেশি বলাগড়ে থাকতেন না কুন্তল। এখন তিনি শহরের ছেলে। চিনার পার্কে দুটো ফ্ল্যাট! শিক্ষা ব্যবসায় নিজের নাম লিখিয়েছেন কুন্তল।

    নেতানেত্রীদের বৃত্তে

    ২০১১ সালে ধনেখালিতে একটি বিএড কলেজে পার্টনারসিপে ব্যবসা শুরু করেন কুন্তল। অনেকের মতে, ওটাই ছিল তাঁর শিক্ষা ব্যবসায় হাতেখড়ি। তারপর ধাপে ধাপে এগোতে থাকেন আরও বড় হওয়ার লক্ষ্যে। জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ বঙ্গের আরও কয়েকটি জেলার বিএড কলেজে তাঁর শেয়ার রয়েছে। তাছাড়া বলাগড়ে একটি ছোটদের ইংরাজি মাধ্যম স্কুলও চালু করেছিলেন তিনি। ২০১৬ সাল থেকে রাজনীতিতে উত্থান কুন্তলের। জেলার রাজনীতিতে তেমন পরিচিত নন তিনি। বেশিরভাগ সময় থাকতেন কলকাতা কেন্দ্রিক কর্মসূচিতে, নেতানেত্রীদের বৃত্তের মধ্যে। এই কুন্তলের সঙ্গেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের বিভিন্ন সময়ে নানা ছবি প্রকাশ্যে এনেছেন বিজেপি রাজ্য সহ সভাপতি রথীন্দ্র বোস। কখনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িযে হাসিমুখে দেখা যাচ্ছে কুন্তলকে। কখনও আবার কোনও অনুষ্ঠান মঞ্চে তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যাচ্ছে যুব নেতাকে। একটি ছবিতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা যাচ্ছে কুন্তলকে। আবার কুন্তলের সঙ্গে একই ফ্রেমে দেখা যাচ্ছে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকেও।

    আরও পড়ুন: ইডির জালে কুন্তল! কী মিলল চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে?

    কুন্তলের ফেসবুক পেজও ছিল চোখে পড়ার মতো। জ্যোতি বসুর জন্ম দিন থেকে জয়ললিতার মৃত্যু দিন, আরডি বর্মন, শৈলেন মান্না, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়—বিশেষ বিশেষ দিনে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেসবুক পোস্টার পোস্ট ছিল কুন্তলের রুটিন। আর সেসব পোস্টারে বিশিষ্টজনের সঙ্গে থাকত একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষের ছবি অন্য দিকে হাতজোড় করা কুন্তলের ছবি। তাহলে এসবের পিছনেই কী ছিল দুর্নীতির চক্র? আর  কুন্তলের হাত ধরে টাকা পৌঁছে যেত অন্য কোথাও?কুন্তলের খুঁটি কী বাঁধা থাকত শহরের অন্য কোথাও? জল্পনা চলছে হুগলি থেকে কলকাতা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Chandan Mondal: হঠাতই উদয় ‘চন্দন’ এর! নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই জেরার জন্য নিজাম প্যালেসে বাগদার রঞ্জন

    Chandan Mondal: হঠাতই উদয় ‘চন্দন’ এর! নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই জেরার জন্য নিজাম প্যালেসে বাগদার রঞ্জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Primary Teacher Recruitment Scam) সিবিআই জেরার সামনে চন্দন মণ্ডল (Chandan Mondal) ওরফে বাগদার রঞ্জন। শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ আইনজীবীদের নিয়ে নিজাম প্যালেসে পৌঁছন তিনি। নিজাম প্যালেসে ঢোকার মুখে এদিন সরাসরি সিবিআইয়ের প্রাক্তন কর্তা উপেন বিশ্বাসের (Upen Biswas) নাম করে তিনি বলেন, ‘কাউকে চাকরি দিইনি। ভোটে উপেন বিশ্বাসকে সাহায্য না করায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’

    কী বললেন চন্দন

    ২০২১ সালের ২১ এপ্রিল প্রাক্তন সিবিআই কর্তা তথা বাগদার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক উপেন বিশ্বাসের মুখে উঠে আসে চন্দন মণ্ডলের নাম। চন্দনকে ‘বাগদার রঞ্জন’ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মোটা টাকার বিনিময়ে বহু মানুষকে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন চন্দন। এমনকী তাঁর সততার প্রশংসা করে তিনি বলেন, চাকরি না দিতে পারলে টাকা ফেরত দিয়েছেন তিনি। এর পরই আদালতে ওঠে বিষয়টি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চন্দনের বিরুদ্ধে FIR করে সিবিআই। এর পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার তলব করা হয়। কিন্তু এতদিন চন্দনকে সামনে আসতে দেখা যায়নি। শনিবার সেই চন্দনই এলেন নিজাম প্যালেসে। বললেন, ‘আমি সহায়তা করতে এসেছি। আমাকে উনি (পড়ুন উপেন বিশ্বাস) ফাঁসানোর চেষ্টা করেছেন। যেহেতু উনি ওখানকার বিধায়ক ছিলেন। নির্বাচনের সময় ওনাকে সাহায্য করিনি তাই।’

    আরও পড়ুুন: ভাঙড়ে শাসক-আইএসএফ সংঘর্ষ, ইটের ঘায়ে মাথা ফাটল তৃণমূল কর্মীর

    টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার কথা অস্বীকার করলেও এই মামলায় মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের সঙ্গে যে তাঁর পরিচয় রয়েছে সে কথা স্বীকার করেন চন্দন। কীভাবে চিনলেন প্রসন্নকে? সেই প্রশ্নের উত্তরে চন্দন বলেন, ‘উনি আমার সঙ্গে ব্যবসা করতেন তাই চিনি।’ তবে কী ধরনের ব্যবসা করতেন তাঁরা, সেবিষয়ে খোলসা করেননি ‘রঞ্জন’। এর আগে একবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজির হন চন্দন। সেদিন তিনি দাবি করেছিলেন, কোনও টাকা তিনি নেননি। কোনও চাকরিও দেননি। তিনি জানান, একজন ভারতীয় নাগরিক হিসাবে তদন্তে সহযোগিতা করতে এসেছেন। তবে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে কারা যুক্ত সেব্যাপারে কোনও ধারণা নেই তাঁর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • SSC Scam: সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের পর এবারে তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তলের জোড়া ফ্ল্যাটে ইডির হানা!

    SSC Scam: সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের পর এবারে তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তলের জোড়া ফ্ল্যাটে ইডির হানা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট কর্তারা হানা দিলেন হুগলির তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের ফ্ল্যাটে। আজ, শুক্রবার সকাল থেকে ইডি আধিকারিকরা দু’টি দলে ভাগ হয়ে নিউটাউনে কুন্তলের দু’টি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের (CBI) জিজ্ঞাসাবাদের পর এবারে ইডির হানা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?

    নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডলকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আর এর পরেই উঠে আসে তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের নাম। তাপস মণ্ডল টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন কুন্তলের বিরুদ্ধে। সিবিআইয়ের দাবি, তাপস তাঁদের জানিয়েছেন, বেআইনি শিক্ষক নিয়োগের ১৯ কোটি টাকা কুন্তলের কাছে পৌঁছেছে। তাপসের দাবি ছিল, ৩২৫ জন শিক্ষক পদপ্রার্থীর কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকা নিয়েছেন কুন্তল। এই সংক্রান্ত নথিও তাঁর কাছে রয়েছে বলে দাবি করেন। তিনি আরও দাবি করেন যে, মোট ২৬০০ চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন কুন্তল।

    আরও পড়ুন: সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন! পিছিয়ে গেল মাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষা

    আর এর পরেই নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছিল তাঁকে। গত বুধবার বিকেল ৩টের পর নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন তৃণমূলের যুবনেতা। এক ঘণ্টা থাকার পর বেরিয়ে যান। বুধবার দুপুরে নিজাম প্যালেসে এসেছিলেন তাপসের এক প্রতিনিধিও। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও নিজাম প্যালেসে যান তৃণমূল নেতা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন কুন্তল। তিনি বলেছিলেন, “আমি যদি টাকা নিতাম, সিবিআই কি এত সহজে আমাকে ছেড়ে দিত?”

    ইডির হানা কুন্তলের ফ্ল্যাটে

    নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের পরেই আজ সকাল সকাল তাঁর ফ্ল্যাটে হাজির ইডির আধিকারিকরা। নিউটাউনের চিনার পার্ক এলাকায় বিলাসবহুল আবাসনে জোড়া ফ্ল্যাট রয়েছে যুবনেতার নামে। সেই ফ্ল্যাটগুলিতেই চলছে তল্লাশি। ইডি সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল থেকে ইডি আধিকারিকরা দু’টি দলে ভাগ হয়ে কুন্তলের দু’টি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাচ্ছে। ফলে আজ তল্লাশির পর কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বা নথি পাওয়া যায় কিনা, তা নিয়েই জল্পনা বাড়ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: খারিজ জামিন-সওয়াল, ফের ১৪ দিন জেল হেফাজতে পার্থ, সুবীরেশ সহ ৭

    SSC Scam: খারিজ জামিন-সওয়াল, ফের ১৪ দিন জেল হেফাজতে পার্থ, সুবীরেশ সহ ৭

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জামিনের অনুরোধ, ধর্না দেওয়ার কথা কোনও কিছুই কাজে দিল না আজ। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ ৭ জনেরই ফের জেল হেফাজত। বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতের বিচারক এমনই রায় দিলেন। এদিন জামিনের আর্জি করেছিলেন পার্থ চ্যাটার্জি। কিন্তু আজ ফের আর্জি খারিজ করা হয়। পার্থর পাশাপাশি সুবীরেশ, কল্যাণময়দেরও জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পার্থ, সুবীরেশদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। 

    পার্থর আইনজীবী জামিনের জন্য ধর্না দেওয়ার প্রসঙ্গ এনে বললেন…

    বর্তমানে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বন্দি পার্থ। এদিন তাঁকে জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। জামিনের আবেদন জানিয়ে আদালতে সওয়াল করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। এদিনের শুনানিতে এজলাসে শোরগোল ফেলা মন্তব্য করে বসেন পার্থবাবুর আইনজীবী সেলিম রেহমান। তিনি বলেন, “একটা টাকাও নেননি তিনি, তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়নি। কোথায় মানি ট্রেইল? কে টাকা দিয়েছে? অযোগ্য প্রার্থীদের কথা বলা হচ্ছে, তাতে তাঁর কী ভূমিকা? তদন্তে কোনও অগ্রগতিও নেই।” তিনি আরও বলেন, “কেস ডায়েরিতে সিক্রেট তথ্য আছে বলে সিবিআই আটকে রাখছে। আর কতদিন এই ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’ বলে সিবিআই সময় পাবে? আইনের কথা বলছে না। এবার তো ‘জলি এলএবি’ সিনেমার মতো ধর্না দিয়ে বসা ছাড়া উপায় থাকবে না। জেল থেকে বেরিয়ে তো শিক্ষা দফতরে চলে যেতে পারবেন না!” সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে সেলিম এ-ও দাবি করেন, কে যোগ্য আর কে অযোগ্য, তা দেখার দায়িত্ব দফতরের ছিল, তাঁর মক্কেলের না। সিবিআই পুরো দোষ তাঁর মক্কেলের উপর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে বলেও দাবি করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: দেগঙ্গায় ‘দিদির দূত’ সুজিত বসু! মন্ত্রীর সামনেই মারামারি কর্মীদের, প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

    পার্থ সহ আরও ৭ জনের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, প্রাক্তন সচিব অশোককুমার সাহা, এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও দুই মিডলম্যান প্রদীপ সিংহ এবং প্রসন্ন রায়কে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আলিপুর আদালত। আজ তাঁদের আদালতে তোলা হলে এস পি সিনহার আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত জামিনের আবেদন করে সওয়াল করেন, “তদন্তে গতি নেই। অভিযুক্তকে বার বার প্রভাবশালী বলা হচ্ছে। অথচ তিনি প্রভাবশালী নন।” ফলে পার্থর পাশাপাশি এঁদেরও জামিনের আর্জি খারিজ করে আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

     

  • Anubrata Mandal: নতুন বছরেও জেলে কেষ্ট! গরুপাচার মামলায় ফের জামিন খারিজ অনুব্রত, সায়গলের

    Anubrata Mandal: নতুন বছরেও জেলে কেষ্ট! গরুপাচার মামলায় ফের জামিন খারিজ অনুব্রত, সায়গলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুব্রতকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল আদালত। ওই দিনই গরুপাচারকাণ্ডে আবার শুনানি হবে। চোদ্দ দিন পর বৃহস্পতিবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে অনুব্রতকে পেশ করা হয়। এই মামলায় জামিনের জন্য কলকাতা হাই কোর্টে আগেই আবেদন করেছিলেন অনুব্রত। উচ্চ আদালত তৃণমূল নেতার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। খারিজ হয়ে গিয়েছে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের জামিনের আবেদনও। ভার্চুয়াল শুনানিতে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সায়গলের আইনজীবীর আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে সিবিআইকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।

    সিবিআইয়ের দাবি

    আদালতে সিবিআই দাবি করে, বীরভূম কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কে ২৩১টি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ২০০টি অ্যাকাউন্ট একজনের সই দিয়ে খোলা হয়েছিল বলে সিবিআইয়ের দাবি। এ ছাড়াও আদালতে বাফারিং অ্যাকাউন্টের কথাও তুলে ধরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। অর্থাৎ, এই ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে আর্থিক লেনদেনের হদিস পেয়েছে সিবিআই। আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, সম্প্রতি ১৭৭টি সমবায় ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট সিজ করা হয়। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি অ্য়াকাউন্টের টাকা আরও কয়েকটি অ্যাকাউন্টে ঘুরে জমা পড়েছে দুটি চালকল সংস্থার অ্যাকাউন্টে, যে ২টি চালকলের সঙ্গে অনুব্রতর যোগ রয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: ড্রেস কোড না মেনে বোরখা পরে হিন্দু কলেজে! ঢুকতেই দিলেন না কর্তৃপক্ষ

    সায়গল প্রসঙ্গ

    বীরভূমের ডিসট্রিক্ট সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে যে সমস্ত ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিস মিলেছে, সে বিষয়ে অনুব্রতের দেহরক্ষী সায়গলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। বৃহস্পতিবার আসানসোলের সিবিআই আদালতে সায়গলের মামলার ভার্চুয়াল শুনানি ছিল। সায়গল এখন তিহাড় জেলে। এদিন বিচারক সায়গলের জামিনের আবেদনও খারিজ করে দেন। তার পরেই সিবিআই জানায়, কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে পাওয়া ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গে অনুব্রতের দেহরক্ষীর যোগ রয়েছে বলে মনে করছে তারা। সিবিআইয়ের অভিযোগ, সায়গলের প্রভাবেই ব্যাঙ্কে মোট ২৩১টি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যের জন্য তিহাড় জেলে গিয়ে সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের আবেদনে সাড়া দেন বিচারক। তিনি জানান, ভুয়ো অ্যাকাউন্ট নিয়ে সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যে কোনও সময়ে তিহাড়ে হাজির হতে পারবেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • CBI: তদন্তকারীর কাছে সূত্র গোপন রাখতে পারবেন না সাংবাদিক, নির্দেশ সিবিআই আদালতের

    CBI: তদন্তকারীর কাছে সূত্র গোপন রাখতে পারবেন না সাংবাদিক, নির্দেশ সিবিআই আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংবাদিকরা (Reporters) কোন সূত্র থেকে খবর পাচ্ছেন, তা এতদিন গোপন রাখতে পারতেন। তবে এবার থেকে আর তা হবে না। সাংবাদিকরা কোন সূত্র থেকে খবর পাচ্ছেন, তদন্তকারীর কাছে তা আর গোপন রাখা যাবে না। বুধবার নয়াদিল্লিতে (New Delhi) সিবিআইয়ের (CBI) বিশেষ আদালতের তরফে একটি ক্লোজার রিপোর্ট বাতিল করে দেওয়ার পর এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত এও জানিয়েছে, তদন্তকারী সংস্থা সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের কাছে খবরের সূত্র জানতে চাইতে পারেন। কারণ তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সূত্রের প্রয়োজন এবং সেটাই প্রধান গুরুত্বপূর্ণ। আদালত আরও জানিয়েছে, তদন্তকারী সংস্থা ইন্ডিয়ান পিনাল কোড এবং কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওর দ্বারা সুসজ্জিত। তদন্তের প্রয়োজনে তারা যে কোনও ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। এবং এই সমস্ত মানুষজন তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তদন্তের স্বার্থে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করা কর্তব্য তাঁদেরও।

    ক্লোজার রিপোর্ট…

    এদিন রাউস অ্যাভিনিউ জেলা আদালতের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জলি মহাজন এই মামলা সংক্রান্ত ক্লোজার রিপোর্টটি বাতিল করে দেন। তাঁর বক্তব্য, তদন্ত চলাকালীন কোনও সাংবাদিক কোন সূত্রে খবর পেয়েছেন, তা গোপন রাখতে পারেন না তদন্তকারী সংস্থার কাছে। তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁকে সব কিছু প্রকাশ করতে হবে। ২০০৯ সালে প্রকাশিত খবরটির মূল সূত্র কী এবং কোন নথিপত্রের ভিত্তিতে তা লেখা হয়েছে, তার সম্পূর্ণ বিবরণ তদন্তকারী সংস্থার হাতে দিতে হবে বলেও জানিয়েছেন অঞ্জলি। বুধবার এই মামলা সংক্রান্ত তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআইয়ের (CBI) বিশেষ আদালত।

    আরও পড়ুুন: মিড-ডে মিলের টাকায় জেলা সফর মুখ্যমন্ত্রীর! কীভাবে? নথি প্রকাশ শুভেন্দুর

    ২০০৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে হওয়ার কথা ছিল মুলায়ম সিংহ যাদব ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির মামলার শুনানি। তার আগের দিন একটি সংবাদপত্রে মুলায়মকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে জানা যায়, ভুয়ো নথিপত্রের ভিত্তিতে খবরটি প্রকাশ করেছিলেন জনৈক সাংবাদিক। তদন্ত শুরু হলে সোর্স বলতে অস্বীকার করেন ওই সাংবাদিক। তার জেরে তদন্ত থেমে যায় মাঝ পথে। সেই প্রেক্ষিতেই সিবিআই আদালতের এই নির্দেশ। এই বিষয়ে আরও তদন্তের প্রয়োজন বলেও জানায় আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • CBI: দুর্নীতির অভিযোগ! কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের সিবিআইয়ের

    CBI: দুর্নীতির অভিযোগ! কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির অভিযোগে অমিত আগরওয়াল নামক এক ব্যবসায়ী এবং কলকাতা পুলিশের কয়েকজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল সিবিআই (CBI)। অভিযোগ, নগদ টাকার বিনিময়ে মিথ্যে মামলা দায়ের করেছেন অভিযুক্তরা। সিবিআইয়ের এক আধিকারিক বলেন, “বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় এজেন্সি কলকাতা এবং ঝাড়খণ্ডের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে। কলকাতার একজন ব্যবসায়ী, কলকাতা পুলিশের অজ্ঞাত পরিচয় আধিকারিক এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।”

    কী জানা গেল? 

    সিবিআইয়ের একজন প্রবীণ আধিকারিক জানান, অভিযুক্ত ব্যবসায়ী অমিত আগরওয়াল অর্থ তছরুপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই ব্যক্তি রাঁচি হাই কোর্টের আইনজীবী রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা (CBI) দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গতবছর ঝাড়খণ্ডের ওই আইনজীবীকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। কলকাতার এক ব্যবসায়ীকে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগে সেই আইনজীবীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃত আইনজীবীর নাম রাজীব কুমার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, একটি জনস্বার্থ মামলা প্রত্যাহারের জন্য সেই আইনজীবী এক ব্যবসায়ীর থেকে ১০ কোটি টাকা চেয়েছিলেন। উল্লেখ্য, এই আইনজীবী ঝাড়খণ্ড সরকারের বিরুদ্ধে মনরেগা সংক্রান্ত মামলা লড়ছেন। এই মনরেগা মামলাতেই ইডি প্রাক্তন খনি সচিব পুজা সিংহলকে গ্রেফতার করেছিল। এদিকে মনরেগা মামলা ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে চলা এক মামলাও লড়ছেন ওই আইনজীবী।

    আরও পড়ুন: ‘‘আপনার ছেলে হলে…’’, ছাত্র-মৃত্যু মামলায় খড়্গপুর আইআইটির ডিরেক্টরকে তিরস্কার বিচারপতির   

    এই পরিস্থিতিতে রাজীবকে কলকাতার একটি শপিংমল থেকে গ্রেফতার (CBI) করা হয়েছিল। ধৃত ব্যক্তির থেকে ৫০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছিল বলেও চার্জশিটে জানিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের অভিযোগ, “অভিযুক্ত আইনজীবী কলকাতার এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে রাঁচি হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলা প্রত্যাহারের জন্য তিনি প্রথমে ব্যবসায়ীর কাছে ১০ কোটি টাকা দাবি করেছিলেন। আলোচনার পরে তিনি তাঁর দাবির পরিমাণ কমিয়ে কমিয়ে ৪ কোটি করেন। পরে ১ কোটি টাকায় রফা হয় মামলাটি। আরও অভিযোগ, এই এক কোটি টাকা দুই কিস্তিতে নেওয়ার কথা ছিল আইনজীবীর। সেই কিস্তি নিতেই কলকাতায় এসেছিলেন রাজীব।  

    সিবিআই- এর (CBI) অভিযোগ, ধৃত অমিত আগরওয়াল ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বেআইনি টাকা পাচার করত। হেমন্তের বিরুদ্ধে রাজীব যাতে মামলা লড়তে না পারে, তাই তাঁকে মিথ্যে কেসে ফাঁসানো হয়। আর মিথ্যে মামলা সাজাতে অমিতকে সাহায্য করেন কলকাতা পুলিশের কয়েকজন আধিকারিক। আর তার জেরেই কলকাতা পুলিশের এই আধিকারিকদের এবং অমিত আগরওয়ালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TET Scam: কার কাছে কত টাকা? যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে সিবিআই তলব

    TET Scam: কার কাছে কত টাকা? যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে সিবিআই তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষকে নিজাম প্যালেসে তলব করল সিবিআই। বুধবারই তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সঙ্গে ডেকে পাঠানো হয়েছে তাপস মণ্ডলের প্রতিনিধিকেও। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কুন্তল নিজাম প্যালেসে পৌঁছননি। 

    কুন্তলের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    সম্প্রতি নিজাম প্যালেসে একাধিক বার তলব করা হয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে। তার মধ্যেই একবার নিজাম থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে তাপস দাবি করেন, তিনি যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে ১৯ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। এখানেই শেষ নয়, গোটা ঘটনায় প্রায় ১০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে দাবি তাপসের। এছাড়া, শুধু কুন্তলই নন, এর মধ্যে আরও ছোট বড় নেতা জড়িত রয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তাপস। হুগলির যুব তৃণমূল নেতা তথা যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষ অফলাইন রেজিস্ট্রেশন, পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য ও চাকরি পাইয়ে দিতে এই টাকা নিয়েছেন বলে দাবি করেন তাপস। সিবিআইয়েরও অনুমান কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা টাকা লেনদেন হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: দৃশ্যে বদল! ‘পাঠান’ নিয়ে বড় নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের 

    অভিষেকের ঘনিষ্ঠ কুন্তল

    সূত্রের খবর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল এর আগে ২ বার সিবিআইয়ের হাজিরা এড়িয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমে একাধিক ছবিতে এবং কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি সায়নী ঘোষের সঙ্গেও দেখা গিয়েছে কুন্তলকে। যদিও এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এবার কুন্তলকে নিজাম প্যালেসে জেরা করে নিয়োগ দুর্নীতির পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা একাধিক রহস্যের উন্মোচন করতে চাইছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকেরা। ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে চাপে রয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। পার্থ চট্টোপাধ্যায় মানিক ভট্টাচার্য সহ একাধিক নেতা জেলে রয়েছেন। স্কুল সার্ভিস কমিশনের একাধিক প্রাক্তন আধিকারিক, এমনকী উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকেও গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায়। এবার কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Lalan Sheikh: লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর জের, সাসপেন্ড সিবিআইয়ের ৪ আধিকারিক

    Lalan Sheikh: লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর জের, সাসপেন্ড সিবিআইয়ের ৪ আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্যে আধিকারিকদের গাফিলতিকে দায়ী করে চার কর্তাকে সাসপেন্ড করল সিবিআই। লালনের (Lalan Sheikh) মৃত্যুর সময় যে সিবিআই কর্তারা, কেন্দ্রীয় সংস্থার রামপুরহাটের অস্থায়ী শিবিরে ছিলেন, সোমবার সেই চার জনকেই সাসপেন্ড করা হল। 

    সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, সাসপেন্ড করা হয়েছে বগটুই কাণ্ডের তদন্তকারী আধিকারিক বিলাস মাধঘুট রাহুল প্রিয়দর্শী, ভাদু শেখ হত্যা কাণ্ডের তদন্তকারী আধিকারিক রাহুল প্রিয়দর্শী, কনস্টেবল ভাস্কর মণ্ডল-সহ আরও এক আধিকারিককে। লালন শেখের (Lalan Sheikh) মৃত্যুর সময় সিবিআই ক্যাম্পেই ছিলেন ওই চার আধিকারিক। এই চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টেও জমা দিয়েছে রিপোর্ট।

    উত্তাল রাজ্যরাজনীতি 

    সিবিআই আধিকারিকদের সাসপেন্ডের ঘটনায় (Lalan Sheikh) এখন উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “কীভাবে অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়, আধিকারিকদের সাসপেন্ড হওয়া দেখে শিখতে হবে রাজ্য সরকারকে।” কুণাল ঘোষ পাল্টা উত্তর দিয়ে বলেন, “আমার ধারণা এটা রুটিন পদ্ধতিতে হয়েছে। সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে যে প্রশ্নগুলি উঠেছে তার জবাব এখনও মেলেনি।”

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনার টাকা না ফেরালে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর   

    প্রসঙ্গত, বগটুইকাণ্ডের প্রায় ন মাস পর গ্রেফতার করা হয়েছিল এই মামলার মূল অভিযুক্ত লালন শেখকে (Lalan Sheikh)। গ্রেফতারির নদিনের মাথায় ডিসেম্বরের শেষ দিকে রামপুরহাটে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচালয় থেকে লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এরপরেই সিবিআই- এর বিরুদ্ধে লালনকে খুনের অভিযোগ তোলে পরিবার। তাঁদের বক্তব্য, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল লালন শেখকে। লালনের জিভ কাটা ছিল, তাঁর পায়েও আঘাত ছিল বলে দাবি করে পরিবার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Recruitment Scam: চাকরি না দিয়েও মোটা টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল! তৃণমূল নেতাকে কাঠগড়ায় তুললেন তাপস মণ্ডল  

    Recruitment Scam: চাকরি না দিয়েও মোটা টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল! তৃণমূল নেতাকে কাঠগড়ায় তুললেন তাপস মণ্ডল  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকের ৩২৫ জন চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে হুগলির তৃণমূল (TMC) নেতা কুন্তল ঘোষ নিয়েছিলেন এক লক্ষ করে টাকা। যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে নিয়েছিলেন আরও ৫ লক্ষ টাকা। ২ হাজার ৬০০ সংগঠক শিক্ষক পদের জন্য নিয়েছিলেন ৫০ হাজার করে টাকা। আপার প্রাইমারির শিক্ষক পদের জন্য একশো জনের কাছ থেকে ২ লক্ষ করে টাকা নিয়েছিলেন তিনি। প্রতিটি লেনদেনের রশিদ দিয়েছিলেন কুন্তল। প্রতিটি রশিদে সইও রয়েছে তাঁর। সব মিলিয়ে টাকার পরিমাণ ১৯ কোটি ৪৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। কুন্তলের বিরুদ্ধে এহেন বোমাটি (Recruitment Scam) যিনি ফাটালেন তিনি তাপস মণ্ডল। যিনি শুধু বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ সংগঠনের সভাপতি নন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত।

    তাপসের আরও দাবি…

    তাপসের দাবি, বেআইনি নিয়োগ সংক্রান্ত যে টাকা কুন্তল নিয়েছিলেন, তার যাবতীয় নথি আমার কাছে রয়েছে। তাপস বলেন, চাকরির পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দিতে কুন্তল প্রথমে এক লক্ষ টাকা করে নিয়েছিলেন। পরে আবার ধাপে ধাপে নিয়েছেন। টাকা নেওয়ার পরে তিনি একটি ছোট ডায়েরিতে লিখে সই করে দিতেন। তিনি বলেন, বিষয়টি ইডিকে জানিয়েছি। ওই ডায়েরিটিও ইডির তদন্তকারীদের হেফাজতে রয়েছে। বুধবার কুন্তলের সঙ্গে তাপসকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ (Recruitment Scam) করা হয়। পরে ফের বৃহস্পতিবার তলব করা হয় তাপসকে। তবে ওই দিন হাজির হননি তিনি। শুক্রবার ফের আসেন সিবিআই দফতরে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেল হেফাজতে থাকা মানিকের বিরুদ্ধে পেশ করা চার্জশিটে তাপসকে অভিযুক্ত করেছে ইডি।

    আরও পড়ুুন: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ‘ডু অর ডাই ম্যাচ’! প্রতিটি বুথকে দুর্গ বানানোর কথা বললেন শুভেন্দু

    এদিকে, এদিন কলেজ সংগঠনের আরও এক নেতার নাম উঠে এসেছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। কুন্তলের মাধ্যমে ওই শিক্ষক নেতার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছিল বলে তাপস সিবিআইকে জানিয়েছেন। তাপস বলেন, আমার পরিবারের কেউ (কুন্তলের সূত্রে) চাকরি পাননি। তবে দূর সম্পর্কের কয়েকজন আত্মীয় কুন্তলের সঙ্গে যোগাযোগ করে চাকরি পেয়েছেন বলে শুনেছি। তাপস বলেন, আমি এসবে জড়াতে চাইনি। ছাত্রছাত্রীরা আমার কাছে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে বলত। যখন জানতে পারলাম একজন ব্যাপারটা দেখছে, তখন তার কাছে সবাইকে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। পরে শুনলাম টাকা চাইছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share