Tag: cbi

cbi

  • CBI: তদন্তকারীর কাছে সূত্র গোপন রাখতে পারবেন না সাংবাদিক, নির্দেশ সিবিআই আদালতের

    CBI: তদন্তকারীর কাছে সূত্র গোপন রাখতে পারবেন না সাংবাদিক, নির্দেশ সিবিআই আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংবাদিকরা (Reporters) কোন সূত্র থেকে খবর পাচ্ছেন, তা এতদিন গোপন রাখতে পারতেন। তবে এবার থেকে আর তা হবে না। সাংবাদিকরা কোন সূত্র থেকে খবর পাচ্ছেন, তদন্তকারীর কাছে তা আর গোপন রাখা যাবে না। বুধবার নয়াদিল্লিতে (New Delhi) সিবিআইয়ের (CBI) বিশেষ আদালতের তরফে একটি ক্লোজার রিপোর্ট বাতিল করে দেওয়ার পর এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত এও জানিয়েছে, তদন্তকারী সংস্থা সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের কাছে খবরের সূত্র জানতে চাইতে পারেন। কারণ তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সূত্রের প্রয়োজন এবং সেটাই প্রধান গুরুত্বপূর্ণ। আদালত আরও জানিয়েছে, তদন্তকারী সংস্থা ইন্ডিয়ান পিনাল কোড এবং কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওর দ্বারা সুসজ্জিত। তদন্তের প্রয়োজনে তারা যে কোনও ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। এবং এই সমস্ত মানুষজন তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তদন্তের স্বার্থে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করা কর্তব্য তাঁদেরও।

    ক্লোজার রিপোর্ট…

    এদিন রাউস অ্যাভিনিউ জেলা আদালতের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জলি মহাজন এই মামলা সংক্রান্ত ক্লোজার রিপোর্টটি বাতিল করে দেন। তাঁর বক্তব্য, তদন্ত চলাকালীন কোনও সাংবাদিক কোন সূত্রে খবর পেয়েছেন, তা গোপন রাখতে পারেন না তদন্তকারী সংস্থার কাছে। তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁকে সব কিছু প্রকাশ করতে হবে। ২০০৯ সালে প্রকাশিত খবরটির মূল সূত্র কী এবং কোন নথিপত্রের ভিত্তিতে তা লেখা হয়েছে, তার সম্পূর্ণ বিবরণ তদন্তকারী সংস্থার হাতে দিতে হবে বলেও জানিয়েছেন অঞ্জলি। বুধবার এই মামলা সংক্রান্ত তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআইয়ের (CBI) বিশেষ আদালত।

    আরও পড়ুুন: মিড-ডে মিলের টাকায় জেলা সফর মুখ্যমন্ত্রীর! কীভাবে? নথি প্রকাশ শুভেন্দুর

    ২০০৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে হওয়ার কথা ছিল মুলায়ম সিংহ যাদব ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির মামলার শুনানি। তার আগের দিন একটি সংবাদপত্রে মুলায়মকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে জানা যায়, ভুয়ো নথিপত্রের ভিত্তিতে খবরটি প্রকাশ করেছিলেন জনৈক সাংবাদিক। তদন্ত শুরু হলে সোর্স বলতে অস্বীকার করেন ওই সাংবাদিক। তার জেরে তদন্ত থেমে যায় মাঝ পথে। সেই প্রেক্ষিতেই সিবিআই আদালতের এই নির্দেশ। এই বিষয়ে আরও তদন্তের প্রয়োজন বলেও জানায় আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • CBI: দুর্নীতির অভিযোগ! কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের সিবিআইয়ের

    CBI: দুর্নীতির অভিযোগ! কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির অভিযোগে অমিত আগরওয়াল নামক এক ব্যবসায়ী এবং কলকাতা পুলিশের কয়েকজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল সিবিআই (CBI)। অভিযোগ, নগদ টাকার বিনিময়ে মিথ্যে মামলা দায়ের করেছেন অভিযুক্তরা। সিবিআইয়ের এক আধিকারিক বলেন, “বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় এজেন্সি কলকাতা এবং ঝাড়খণ্ডের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে। কলকাতার একজন ব্যবসায়ী, কলকাতা পুলিশের অজ্ঞাত পরিচয় আধিকারিক এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।”

    কী জানা গেল? 

    সিবিআইয়ের একজন প্রবীণ আধিকারিক জানান, অভিযুক্ত ব্যবসায়ী অমিত আগরওয়াল অর্থ তছরুপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই ব্যক্তি রাঁচি হাই কোর্টের আইনজীবী রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা (CBI) দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গতবছর ঝাড়খণ্ডের ওই আইনজীবীকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। কলকাতার এক ব্যবসায়ীকে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগে সেই আইনজীবীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃত আইনজীবীর নাম রাজীব কুমার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, একটি জনস্বার্থ মামলা প্রত্যাহারের জন্য সেই আইনজীবী এক ব্যবসায়ীর থেকে ১০ কোটি টাকা চেয়েছিলেন। উল্লেখ্য, এই আইনজীবী ঝাড়খণ্ড সরকারের বিরুদ্ধে মনরেগা সংক্রান্ত মামলা লড়ছেন। এই মনরেগা মামলাতেই ইডি প্রাক্তন খনি সচিব পুজা সিংহলকে গ্রেফতার করেছিল। এদিকে মনরেগা মামলা ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে চলা এক মামলাও লড়ছেন ওই আইনজীবী।

    আরও পড়ুন: ‘‘আপনার ছেলে হলে…’’, ছাত্র-মৃত্যু মামলায় খড়্গপুর আইআইটির ডিরেক্টরকে তিরস্কার বিচারপতির   

    এই পরিস্থিতিতে রাজীবকে কলকাতার একটি শপিংমল থেকে গ্রেফতার (CBI) করা হয়েছিল। ধৃত ব্যক্তির থেকে ৫০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছিল বলেও চার্জশিটে জানিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের অভিযোগ, “অভিযুক্ত আইনজীবী কলকাতার এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে রাঁচি হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলা প্রত্যাহারের জন্য তিনি প্রথমে ব্যবসায়ীর কাছে ১০ কোটি টাকা দাবি করেছিলেন। আলোচনার পরে তিনি তাঁর দাবির পরিমাণ কমিয়ে কমিয়ে ৪ কোটি করেন। পরে ১ কোটি টাকায় রফা হয় মামলাটি। আরও অভিযোগ, এই এক কোটি টাকা দুই কিস্তিতে নেওয়ার কথা ছিল আইনজীবীর। সেই কিস্তি নিতেই কলকাতায় এসেছিলেন রাজীব।  

    সিবিআই- এর (CBI) অভিযোগ, ধৃত অমিত আগরওয়াল ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বেআইনি টাকা পাচার করত। হেমন্তের বিরুদ্ধে রাজীব যাতে মামলা লড়তে না পারে, তাই তাঁকে মিথ্যে কেসে ফাঁসানো হয়। আর মিথ্যে মামলা সাজাতে অমিতকে সাহায্য করেন কলকাতা পুলিশের কয়েকজন আধিকারিক। আর তার জেরেই কলকাতা পুলিশের এই আধিকারিকদের এবং অমিত আগরওয়ালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TET Scam: কার কাছে কত টাকা? যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে সিবিআই তলব

    TET Scam: কার কাছে কত টাকা? যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে সিবিআই তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষকে নিজাম প্যালেসে তলব করল সিবিআই। বুধবারই তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সঙ্গে ডেকে পাঠানো হয়েছে তাপস মণ্ডলের প্রতিনিধিকেও। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কুন্তল নিজাম প্যালেসে পৌঁছননি। 

    কুন্তলের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    সম্প্রতি নিজাম প্যালেসে একাধিক বার তলব করা হয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে। তার মধ্যেই একবার নিজাম থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে তাপস দাবি করেন, তিনি যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে ১৯ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। এখানেই শেষ নয়, গোটা ঘটনায় প্রায় ১০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে দাবি তাপসের। এছাড়া, শুধু কুন্তলই নন, এর মধ্যে আরও ছোট বড় নেতা জড়িত রয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তাপস। হুগলির যুব তৃণমূল নেতা তথা যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষ অফলাইন রেজিস্ট্রেশন, পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য ও চাকরি পাইয়ে দিতে এই টাকা নিয়েছেন বলে দাবি করেন তাপস। সিবিআইয়েরও অনুমান কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা টাকা লেনদেন হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: দৃশ্যে বদল! ‘পাঠান’ নিয়ে বড় নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের 

    অভিষেকের ঘনিষ্ঠ কুন্তল

    সূত্রের খবর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল এর আগে ২ বার সিবিআইয়ের হাজিরা এড়িয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমে একাধিক ছবিতে এবং কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি সায়নী ঘোষের সঙ্গেও দেখা গিয়েছে কুন্তলকে। যদিও এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এবার কুন্তলকে নিজাম প্যালেসে জেরা করে নিয়োগ দুর্নীতির পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা একাধিক রহস্যের উন্মোচন করতে চাইছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকেরা। ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে চাপে রয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। পার্থ চট্টোপাধ্যায় মানিক ভট্টাচার্য সহ একাধিক নেতা জেলে রয়েছেন। স্কুল সার্ভিস কমিশনের একাধিক প্রাক্তন আধিকারিক, এমনকী উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকেও গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায়। এবার কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Lalan Sheikh: লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর জের, সাসপেন্ড সিবিআইয়ের ৪ আধিকারিক

    Lalan Sheikh: লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর জের, সাসপেন্ড সিবিআইয়ের ৪ আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্যে আধিকারিকদের গাফিলতিকে দায়ী করে চার কর্তাকে সাসপেন্ড করল সিবিআই। লালনের (Lalan Sheikh) মৃত্যুর সময় যে সিবিআই কর্তারা, কেন্দ্রীয় সংস্থার রামপুরহাটের অস্থায়ী শিবিরে ছিলেন, সোমবার সেই চার জনকেই সাসপেন্ড করা হল। 

    সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, সাসপেন্ড করা হয়েছে বগটুই কাণ্ডের তদন্তকারী আধিকারিক বিলাস মাধঘুট রাহুল প্রিয়দর্শী, ভাদু শেখ হত্যা কাণ্ডের তদন্তকারী আধিকারিক রাহুল প্রিয়দর্শী, কনস্টেবল ভাস্কর মণ্ডল-সহ আরও এক আধিকারিককে। লালন শেখের (Lalan Sheikh) মৃত্যুর সময় সিবিআই ক্যাম্পেই ছিলেন ওই চার আধিকারিক। এই চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টেও জমা দিয়েছে রিপোর্ট।

    উত্তাল রাজ্যরাজনীতি 

    সিবিআই আধিকারিকদের সাসপেন্ডের ঘটনায় (Lalan Sheikh) এখন উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “কীভাবে অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়, আধিকারিকদের সাসপেন্ড হওয়া দেখে শিখতে হবে রাজ্য সরকারকে।” কুণাল ঘোষ পাল্টা উত্তর দিয়ে বলেন, “আমার ধারণা এটা রুটিন পদ্ধতিতে হয়েছে। সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে যে প্রশ্নগুলি উঠেছে তার জবাব এখনও মেলেনি।”

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনার টাকা না ফেরালে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর   

    প্রসঙ্গত, বগটুইকাণ্ডের প্রায় ন মাস পর গ্রেফতার করা হয়েছিল এই মামলার মূল অভিযুক্ত লালন শেখকে (Lalan Sheikh)। গ্রেফতারির নদিনের মাথায় ডিসেম্বরের শেষ দিকে রামপুরহাটে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচালয় থেকে লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এরপরেই সিবিআই- এর বিরুদ্ধে লালনকে খুনের অভিযোগ তোলে পরিবার। তাঁদের বক্তব্য, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল লালন শেখকে। লালনের জিভ কাটা ছিল, তাঁর পায়েও আঘাত ছিল বলে দাবি করে পরিবার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Recruitment Scam: চাকরি না দিয়েও মোটা টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল! তৃণমূল নেতাকে কাঠগড়ায় তুললেন তাপস মণ্ডল  

    Recruitment Scam: চাকরি না দিয়েও মোটা টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল! তৃণমূল নেতাকে কাঠগড়ায় তুললেন তাপস মণ্ডল  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকের ৩২৫ জন চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে হুগলির তৃণমূল (TMC) নেতা কুন্তল ঘোষ নিয়েছিলেন এক লক্ষ করে টাকা। যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে নিয়েছিলেন আরও ৫ লক্ষ টাকা। ২ হাজার ৬০০ সংগঠক শিক্ষক পদের জন্য নিয়েছিলেন ৫০ হাজার করে টাকা। আপার প্রাইমারির শিক্ষক পদের জন্য একশো জনের কাছ থেকে ২ লক্ষ করে টাকা নিয়েছিলেন তিনি। প্রতিটি লেনদেনের রশিদ দিয়েছিলেন কুন্তল। প্রতিটি রশিদে সইও রয়েছে তাঁর। সব মিলিয়ে টাকার পরিমাণ ১৯ কোটি ৪৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। কুন্তলের বিরুদ্ধে এহেন বোমাটি (Recruitment Scam) যিনি ফাটালেন তিনি তাপস মণ্ডল। যিনি শুধু বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ সংগঠনের সভাপতি নন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত।

    তাপসের আরও দাবি…

    তাপসের দাবি, বেআইনি নিয়োগ সংক্রান্ত যে টাকা কুন্তল নিয়েছিলেন, তার যাবতীয় নথি আমার কাছে রয়েছে। তাপস বলেন, চাকরির পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দিতে কুন্তল প্রথমে এক লক্ষ টাকা করে নিয়েছিলেন। পরে আবার ধাপে ধাপে নিয়েছেন। টাকা নেওয়ার পরে তিনি একটি ছোট ডায়েরিতে লিখে সই করে দিতেন। তিনি বলেন, বিষয়টি ইডিকে জানিয়েছি। ওই ডায়েরিটিও ইডির তদন্তকারীদের হেফাজতে রয়েছে। বুধবার কুন্তলের সঙ্গে তাপসকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ (Recruitment Scam) করা হয়। পরে ফের বৃহস্পতিবার তলব করা হয় তাপসকে। তবে ওই দিন হাজির হননি তিনি। শুক্রবার ফের আসেন সিবিআই দফতরে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেল হেফাজতে থাকা মানিকের বিরুদ্ধে পেশ করা চার্জশিটে তাপসকে অভিযুক্ত করেছে ইডি।

    আরও পড়ুুন: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ‘ডু অর ডাই ম্যাচ’! প্রতিটি বুথকে দুর্গ বানানোর কথা বললেন শুভেন্দু

    এদিকে, এদিন কলেজ সংগঠনের আরও এক নেতার নাম উঠে এসেছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। কুন্তলের মাধ্যমে ওই শিক্ষক নেতার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছিল বলে তাপস সিবিআইকে জানিয়েছেন। তাপস বলেন, আমার পরিবারের কেউ (কুন্তলের সূত্রে) চাকরি পাননি। তবে দূর সম্পর্কের কয়েকজন আত্মীয় কুন্তলের সঙ্গে যোগাযোগ করে চাকরি পেয়েছেন বলে শুনেছি। তাপস বলেন, আমি এসবে জড়াতে চাইনি। ছাত্রছাত্রীরা আমার কাছে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে বলত। যখন জানতে পারলাম একজন ব্যাপারটা দেখছে, তখন তার কাছে সবাইকে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। পরে শুনলাম টাকা চাইছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Tapas Mondal: মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে ফের নিজামে তলব সিবিআই-এর, নতুন নথির খোঁজ?

    Tapas Mondal: মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে ফের নিজামে তলব সিবিআই-এর, নতুন নথির খোঁজ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে (Tapas Mondal) আবার নিজাম প্যালেসে তলব করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। ৩২৫ জনের নামের তালিকা সামনে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাপস মণ্ডলকে। গতকালই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সামনে বিস্ফোরক এক দাবি করেন তাপস মণ্ডল। কুন্তল ঘোষ নামে এক যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতার ভূমিকা নিয়েও তোলপাড় পড়ে যায়। সেই নিয়েই ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ ডেকে পাঠানো হয়েছে তাপসকে।   

    গত কাল প্রায় ছঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাপসকে (Tapas Mondal)। সেখানে বিস্ফোরক দাবি করেন তাপস। সিবিআই সূত্রে খবর, কুন্তল ঘোষ নামে এক ব্যক্তিকে হুগলি জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বলে দাবি করেছেন তাপস। গতকাল এই কুন্তলের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। তখন তাপস দাবি করেন, ৩২৫ জনের কাছ থেকে সাড়ে ১৯ কোটি নিয়েছেন কুন্তল। সিবিআই তাপসের এই দাবিতে শিলমোহর নিয়েছেন। যে ৩২৫ জনের তালিকা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, তা সামনে রেখেই আজ ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাপসকে।

    কী জানা গেল?   

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল জিজ্ঞাসাবাদ ও বয়ান রেকর্ডের প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। তাই আজ সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে তলব করা হয় তাপসকে (Tapas Mondal)। এই ৩২৫ জনের বাইরে আর কারা কারা রয়েছে, তা তাপসের থেকে জানতে চাইবেন গোয়েন্দারা। কুন্তলের কাছে যে সাড়ে ১৯ কোটি টাকা গিয়েছিল, তা কোথায় গেল সেটিও খতিয়ে দেখা হবে বলে খবর। পাশাপাশি কুন্তলের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গতকাল মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল জানিয়েছিলেন নিয়োগকাণ্ডে ১০০ কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি হয়েছে। বাকি টাকা কোথায় গেল, কারা পেল, আর কারা এই দুর্নীতিতে যুক্ত আছেন তাঁদের সম্পর্কে জানতে চান গোয়েন্দারা। 

    আরও পড়ুন: তিন দিন পেরিয়ে গেলেও পোস্টার কাণ্ডের দুষ্কৃতীরা অধরা, নগরপাল-স্বরাষ্ট্রসচিবকে তলব রাজভবনের 

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বছর অক্টোবর মাসে গ্রেফতার করা হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। কিছুদিন আগেই সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে তাপস মণ্ডলকে (Tapas Mondal)। জেরায় মানিকের ঘাড়েই সব দোষ চাপিয়েছেন তাপস। তাপস জানান, যা করেছেন মানিকের নির্দেশেই। মানিকের নির্দেশেই পড়ুয়া পিছু ৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন বলে দাবি তাঁর। নিজাম প্যালেসে ৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাপস মণ্ডল বলেন, “মানিক টাকা নিয়েছেন, রসিদ দেননি। এখন পর্ষদ টাকা নিলে রসিদ দেয়।” ইতিমধ্যেই তাপসের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। কিছু দিন আগে এই মামলায় আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করেন মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী, ছেলে-সহ তাপস মণ্ডল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Contai Municipality: কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারকে তলব সিবিআইয়ের

    Contai Municipality: কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারকে তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ ঠিকাদার রামচন্দ্র পণ্ডার বিরুদ্ধে ‘ভুয়ো মামলা’র তদন্তে এবার মামলাকারী কাকলী পণ্ডার স্বামী তথা কাঁথি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু পণ্ডাকে তলব করল সিবিআই। একই সঙ্গে  কাঁথি থানার দুই আধিকারিককেও বুধবার  নিজাম প্যালেসে তলব করে সিবিআই। গত সপ্তাহে অভিযোগকারী কাকলি পণ্ডা অর্থাৎ শান্তনুর স্ত্রীর বয়ান নথিভুক্ত করেছিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। এবার শান্তনুর বয়ান নথিভুক্ত করার জন্য তলব করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই নিজামপ্যালেসে কাঁথি থানার এসআই ও এক কনস্টেবলকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। 

    মিথ্যা মামলা

    গত ২৮ ডিসেম্বর  রামচন্দ্র পণ্ডার বিরুদ্ধে কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কাকলি। তাঁর অভিযোগপত্রটি থানায় জমা করে আসেন শান্তনু। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে রামচন্দ্রকে গ্রেফতার করে কাঁথি থানার পুলিশ। পরে তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পাল্টা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রামচন্দ্র। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনাক্রমে অভিযোগকারী কাকলিও আদালতে জানান, কয়েক জন প্রভাবশালীর চাপে তিনি এই মিথ্যা মামলা রুজু করেছেন। তিনি প্রাণ সংশয়ে ভুগছেন। এর পরেই আদালত কাকলি ও তাঁর পরিবারকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই সঙ্গে গোটা ঘটনার তদন্তভার তুলে দেয় সিবিআইয়ের হাতে। আর রামচন্দ্রকে নিঃশর্ত জামিন দেয় হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুন: বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট, আইনজীবীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হাইকোর্ট চত্বর

    কারা জড়িত 

    জামিনে মুক্তির পরই রামচন্দ্র দাবি করেছেন যে পুলিশি জেরার নামে তাঁর উপর অত্যাচার হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তাঁকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সম্পর্কে তথ্য চায় পুলিশ। এমনকি, জোর করে নন্দকুমারের একটি অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে গিয়ে শুভেন্দুর টাকা কোথায় রয়েছে, তা জানতে চেয়ে চাপ দেওয়া হয়।  এই ঘটনার তদন্তে নেমে গত সোমবার কাঁথি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসকে দীর্ঘক্ষণ নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তার পর কাঁথি থানার এক এসআই-সহ দুই কনস্টেবলকে নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রভাবশালীদের জড়িত থাকার যে দাবি করেছিলেন কাকলি, তাঁদের কারও নাম এখনও জানা যায়নি। এই গোটা ঘটনার পিছনে ঠিক কারা রয়েছেন, এ রকম নানা তথ্য জানতে শান্তনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তদন্তকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kanthi: সিবিআই দফতরে কাঁথি থানার দুই পুলিশকর্মী! টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় তলব আরও এক পুলিশ আধিকারিককে

    Kanthi: সিবিআই দফতরে কাঁথি থানার দুই পুলিশকর্মী! টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় তলব আরও এক পুলিশ আধিকারিককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঁথি পুরসভার টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় কাঁথি থানার দুই পুলিশকর্মী মঙ্গলবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন। এদিন সকালে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন এসআই অনির্বাণ রায় ও এক কনস্টেবল।  সিবিআই দফতরে তাঁরা ঘণ্টাখানেক ছিলেন। সিবিআই সূত্রে খবর, টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয়ে তাঁদের প্রশ্ন করেন গোয়েন্দারা। কাঁথি পুরসভার টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের মোট ৩ জন পুলিশকর্মীকে তলব করেছিল। তাঁদের মধ্যে মঙ্গলবার হাজিরা দিতে এসেছিলেন ২ জন। বুধবার আরও এক জন সিবিআই দফতরে এসে হাজিরা দেবেন। এর আগে কাঁথি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসকে তলব করেন সিবিআই আধিকারিকরা। 

    মিথ্যা মামলা

    কাঁথির শ্মাশান দুর্নীতি মামলায় ঠিকাদার রাম পাণ্ডাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ রামচন্দ্র পাণ্ডার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন যে মহিলা তিনি দাবি করেন, গত বছর ২৫ ডিসেম্বর রাজ্যের এক প্রভাবশালী জোর করে তাঁকে অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করান। নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তার কারণে তিনি ওই নাম আদালতকে জানাননি। এর পর আদালত সাজানো এফআইআর-এর নেপথ্যে প্রভাবশালী যোগ খুঁজতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। এ দিকে,কাকলি নামে ওই মহিলাকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুুন: কলকাতা এসটিএফের বড় সাফল্য! মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার আইএস মডিউলের মাথা কুরেশি

    এরপরই টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় নিঃশর্ত জামিন পান রামচন্দ্র। জামিনের পর রামচন্দ্র জানায়, “আমাকে শুভেন্দু অধিকারীর নাম নিতে মারাত্মক চাপ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা থেকে আধিকারিকরা এসে টেবিলে রিভলভার রেখে আমাকে জেরা করেছেন। নিরাপত্তারক্ষী বন্দুক দিয়ে আমার পেটে খোঁচা দিয়েছে। কলকাতার আধিকারিকরা হুমকি দিয়েছেন, শুভেন্দুর নাম না বললে ৩ বছর জেলে ভরে রেখে দেব।”  এরপরই কাঁথি থানার আইসিকে নিজাম প্যালেসে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kanthi: কাঁথি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসকে তলব সিবিআইয়ের! কী জানতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা?

    Kanthi: কাঁথি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসকে তলব সিবিআইয়ের! কী জানতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার উল্টো হাওয়া বইতে শুরু করল কাঁথি পুরসভার টেন্ডার দুর্নীতি মামলায়। কাঁথি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসকে তলব করল সিবিআই। তাঁকে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তবে ঠিক কী কারণে তাঁকে তলব করা হয়েছে, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, কাঁথি পুরসভার ঠিকাদার রামচন্দ্র পান্ডার বয়ানের ভিত্তিতেই অমলেন্দু বিশ্বাসকে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই।

    মিথ্যা অভিযোগ

    রামচন্দ্রবাবু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। বিজেপি নেতাকে ফাঁসানোর জন্য পুলিশ রাম পান্ডাকে গ্রেফতার করে জোর জবরদস্তি মিথ্যে বয়ান লিপিবদ্ধ করতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে জামিন পান ওই ঠিকাদার। পরে তিনি সাংবাদিকদের সামনে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেন পুলিশের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীর নাম বলার জন্য আমার উপর প্রবল চাপি তৈরি করা হয়। কলকাতা থেকে অফিসাররা এসে টেবিলের উপর রিভলবার রেখে জেরা করেন। বলা হয়, আমি যদি শুভেন্দুবাবুর নাম না বলি তাহলে তিন বছর জেলে ভরে রেখে দেবে।’ এখানেই থামেননি কাঁথির ঠিকাদার রামচন্দ্র পাণ্ডা। তিনি বলেছেন, ‘জেলের ভিতরে আমাকে জল দেওয়া হয়নি। ভয় দেখানো হয়েছিল আমার স্ত্রীকে গ্রেফতার করার। ওরা আগে থেকে একটা বয়ান লিখে এনেছিল। সেখানে জোর করে সই করাতে চাইছিল আমাকে। কিন্তু আমি কোনওভাবেই রাজি হইনি।’ এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। তাই মনে করা হচ্ছে, রাম পান্ডার অভিযোগের ভিত্তিতেই কাঁথি থানার আইসিকে তলব করেছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: আরও একমাস জেল হেফাজতে মানিক, আদালতে আত্মসমর্পণ স্ত্রী-পুত্রের

    কে এই অমলেন্দু

    এর আগে, ২০২০ সালে মালদার ইংরেজবাজার থানার আইসি থাকাকালীন ঘুষ নিয়ে বাংলাদেশিকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে ক্লোজ করা হয়েছিল এই অমলেন্দু বিশ্বাসকে। ঘটনায় প্রকাশ, মালদা শহরের নেতাজি সুভাস রোড সংলগ্ন একটি ট্রাস্ট বোর্ডের মালিকানায় এক বাংলাদেশির নাম জড়িয়ে পড়ে। সেই ব্যক্তির কাছ থেকে ভারতীয় নাগরিকত্বের পরিচয়পত্রও উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, একই সঙ্গে ভারত ও বাংলাদেশের ভোটার কার্ড ও অন্যান্য নথি উদ্ধার হয় ওই বাংলাদেশির কাছ থেকে। এমনকী ট্রাস্টের মালিকানাও না কি ছিল ওই ব্যক্তির নামেই। অভিযোগ, ট্রাস্টের অধীনস্থ জমি বিক্রি করে ভারতীয় টাকা সে বাংলাদেশেও নিয়ে গিয়েছিল। ওই ঘটনায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। কিছুদিন পুলিশি হেফাজতে থাকার পরেই জামিনে ছাড়া পেয়ে যায় ওই ব্যক্তি। ঘটনায় পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। তদন্তে জানা যায়, ওই বাংলাদেশির কাছ থেকে মোটা টাকা (সূত্রের খবর ১ কোটি ৩০ লক্ষ) ঘুষ নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ঘটনায় নাম জড়ায় থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসেরও। যার জেরে কর্তব্যে গাফিলতির কারণে অমলেন্দুকে সেই সময় ক্লোজ করা হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • TET Scam: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া রহস্য! টেট প্রার্থীকে কে ফোন করেছিল জানাল সিবিআই

    TET Scam: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া রহস্য! টেট প্রার্থীকে কে ফোন করেছিল জানাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার জন্য পর্ষদ অফিস থেকে ফোন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক চাকরি প্রার্থী। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে কয়েক ঘণ্টায় সেই ফোন নম্বর রহস্য ভেদ করে ফেলল সিবিআই। রহস্যময় ফোন নম্বরের প্রসঙ্গে মুখ খুলল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ওই নম্বর পর্ষদের কারও নয়। জেলার কারও হতে পারে বলেই মত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। সিবিআইয়ের দাবি, ওই নম্বরটি সম্ভবত নদিয়া জেলা প্রাইমারি কাউন্সিলের। ওই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। কার নির্দেশে তিনি ফোন করে চাকরির কথা বলেন, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 

    কী অভিযোগ

    শিল্পা চক্রবর্তী নামে এক টেট পরীক্ষার্থী বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে দাবি করেন, ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর তাঁর কাছে একটি ফোন এসেছিল। পর্ষদ অফিস থেকে ফোন করার কথা ফোনে বলা হয়েছিল। জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি টেট পরীক্ষা দিয়েছেন কি না। ওই প্রার্থী অভিযোগে জানান, তাঁকে চাকরি হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার জন্য পর্ষদের অফিসে গিয়ে পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে দেখা করার কথা বলা হয়েছিল। কোন পর্ষদের অফিসে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল, তা স্পষ্ট ছিল না ওই প্রার্থীর কাছে।

    আরও পড়ুন: ১৫০ অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই! সিউড়ির ব্যাঙ্কে সিবিআই হানা, এখানেও কেষ্ট-যোগ?

    কী বলল সিবিআই

    বৃহস্পতিবারই সিবিআই-এর তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, ফোন নম্বরটি কার, তা চিহ্নিত করা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার আদালতে সিবিআই-এর আইনজীবী জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই নম্বরটি তৎকালীন নদিয়া জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের। এ কথা শুনে বিচারপতি বলেন, ‘আপনারা তদন্ত চালিয়ে যান। যা পদক্ষেপ করার করুন।’ উল্লেখ্য, এই নদিয়ার নাকাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলে রয়েছেন।  প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে বুধবার আরও ১৪০ জনকে চাকরি থেকে পাকাপাকিভাবে বরখাস্ত করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। অন্যদিকে, প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় আরও একটি নতুন অভিযোগ সামনে এসেছে। একই দিনে, একই সময়ে বেশ কয়েকজন প্রার্থীর কাছে একটি বিশেষ এসএমএস এসেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এসএমএসে চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share