Tag: cbi

cbi

  • ICICI Bank: প্রতারণার অভিযোগে স্বামী সহ সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিইও  

    ICICI Bank: প্রতারণার অভিযোগে স্বামী সহ সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিইও  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের (ICICI Bank) প্রাক্তন সিইও (CEO) ছন্দা কোছার (Chanda Kochhar)। তাঁর স্বামী দীপক কোছারকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই। দীপককে অবশ্য আগেই গ্রেফতার করেছিল আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এই বেসরকারি ব্যাঙ্কের সিইও থাকার সময় ভিডিওকন গোষ্ঠীকে ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ছন্দার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। প্রসঙ্গত, বেণুগোপাল ধুতের ভিডিওকন গোষ্ঠীকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের সিইও এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে ইস্তফা দেন ছন্দা। সেই সঙ্গে ছিন্ন হয় বেসরকারি ওই ব্যাঙ্কের সঙ্গে ছন্দার তিন দশকেরও বেশি সময়ের যোগ।

    সিবিআই দফতরে…

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার সিবিআই দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয় ছন্দা ও তাঁর স্বামী দীপককে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় স্বামী-স্ত্রীকে। যদিও ভিডিওকনকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়মের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছন্দা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের দাবি, ২০১২ সালে ভিডিওকন গোষ্ঠীকে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা ঋণ পাইয়ে দিতে বেসরকারি ওই ব্যাঙ্কের (ICICI Bank) নিয়ম ভেঙেছিলেন ছন্দা। অভিযোগ, এতে আদতে লাভবান হয়েছিলেন তাঁর স্বামী দীপক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। যদিও পরে ওই ঋণ আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হয়। এই মামলায় ছন্দার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার এফআইআরের ভিত্তিতে ছন্দা, দীপক এবং বেণুগোপালের বিরুদ্ধে কালো টাকা লেনদেন প্রতিরোধ আইনে মামলা রুজু করে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি।

    আরও পড়ুন: পাক-অধিকৃত কাশ্মীর আমাদের, ফের আমাদের হওয়া উচিত, দাবি আরএসএস নেতার

    অভিযোগ, ভিডিওকনকে ওই ঋণ পাইয়ে দিয়ে ঘুরপথে সংস্থার কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছিলেন ছন্দা। অপব্যবহার করেছিলেন তাঁর পদের। ভিডিওকন গোষ্ঠীকে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক (ICICI Bank) ওই বিপুল পরিমাণ ঋণ দেওয়ার কয়েক মাস পরেই সংস্থার প্রাক্তন চেয়ারম্যান বেণুগোপাল নিউ পাওয়ার রিনিউয়েবলস নামে এক সংস্থায় কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। এই সংস্থাটির মালিক ছন্দার স্বামী দীপক।

    আরও পড়ুন: মমতাকে প্রাক্তন করার দায়িত্ব তাঁর! রানাঘাটের সভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জের! ১৬৯৮ জন শিক্ষাকর্মীর চাকরি যাওয়ার পথে

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জের! ১৬৯৮ জন শিক্ষাকর্মীর চাকরি যাওয়ার পথে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ হওয়া ১৬৯৮ জনকে এবার নোটিস ধরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিল শিক্ষা দফতর। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে ১৬৯৮ জন গ্রুপ-ডি কর্মীর নিয়োগ দুর্নীতির আভাস দিয়েছিল সিবিআই। এঁরা রাজ্যের বিভিন্ন হাই ও জুনিয়ার হাইস্কুলে কর্মরত। রাজ্য শিক্ষা দফতর এবার এই কর্মীদের বিষয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরকে জানিয়ে দিল। ইতিমধ্যেই এই মামলায় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানিয়েছিলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি করে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের একদিনও স্কুলে ঢুকতে দেব না৷ এই দুর্নীতির জেরে ছাত্রদের যে ক্ষতি হয়েছে, তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি৷ 

    শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকা

    শিক্ষা দফতরের কমিশনার শুভ্র চক্রবর্তী ২৩ ডিসেম্বর একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই তদন্তে চিহ্নিত ১৬৯৮ জন গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ হওয়া ব্যক্তিকে নোটিস ধরাতে হবে। সেই নোটিসের সঙ্গে আদালতের রায়টিও যুক্ত করে দিতে বলা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে নিযুক্ত ১৬৯৮ জনের নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়ম ধরা পড়েছে বলেই অভিযোগ। নির্দেশিকাটির সঙ্গে ১৬৯৮ জনের নামের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা কোন কোন স্কুলে কর্মরত রয়েছেন তা-ও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকাটি পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন জেলার ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টর (ডিআই)-দের কাছে। তাঁদের চলতি সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: একজনের নিয়োগপত্রে অন্যজনের চাকরি! মুর্শিদাবাদের স্কুলে ভুয়ো শিক্ষক

    এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমিক মজুমদার বলেন, ‘কিছু প্রার্থী যেমন উৎকোচ দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তেমনই কিছু প্রার্থী পরীক্ষায় পাশ করে চাকরি পেয়েছেন৷ তাঁদের কাছে পরীক্ষা দেওয়ার প্রমাণও আছে৷ সকল প্রার্থীর চাকরি বাতিল করা হলে, তা চূড়ান্ত অমানবিক হবে৷ পর্ষদ কি প্রতিদিন নতুন করে তাঁদের অবস্থান জানাবে? প্রতিদিন নতুন নতুন অধ্যাদেশ জারি করা হবে? একজনের পাপের ভার যেন সকলের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া না হয়৷ এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীকেও হস্তক্ষেপ করতে হবে৷’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Group D Recruitment Scam: গ্রুপ ডি-তে শূন্যপদ ছাড়াই নিয়োগ, চাঞ্চল্যকর তথ্য সিবিআই রিপোর্টে

    Group D Recruitment Scam: গ্রুপ ডি-তে শূন্যপদ ছাড়াই নিয়োগ, চাঞ্চল্যকর তথ্য সিবিআই রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনওরকম শূন্যপদ ছাড়াই গ্রুপ ডি পদে (Group D Recruitment Scam) নিয়োগ করা হয়েছে ১২৭১ জনকে। এমনই বিস্ফোরক দাবি করা হয়েছে সিবিআই রিপোর্টে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুল সার্ভিস কমিশন  গ্রুপ ডি-তে ৩২১৬টি শূন্যপদের ঘোষণা করেছিল। কিন্তু পরে দেখা যায় ৪৪৮৭ পদে প্রার্থীর সুপারিশ করে এসএসসি। এর মধ্যে ৩৮৮০ জনের চাকরির সুপারিশ করা হয়েছিল প্যানেলের মেয়াদের সময়কালে। বাকি ৬০৭ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল প্যানেলের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পর। শূন্যপদের বাইরে কীভাবে ১২৭১ জনের চাকরি হল? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বুধবার সিবিআই রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।

    কী অভিযোগ? 

    প্রসঙ্গত, অতিরিক্ত শূন্যপদের বিষয়ে সাধারণত সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্যসভা মন্ত্রিসভা। সেই সিদ্ধান্ত ছাড়া কীভাবে এতগুলি পদে নিয়োগ (Group D Recruitment Scam) করা হল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এসএসসির চাকরি ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শূন্যপদ প্রযোজ্য কী না তা নিয়ে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। আর তার জেরেই বর্তমানে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

    দুদিন আগেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে গ্রুপ ডির (Group D Recruitment Scam) ১,৬৯৮ জনের তালিকা প্রকাশ করে এসএসসি। অভিযোগ, এই ১,৬৯৮ জনেরই অবৈধ নিয়োগ হয়েছে। সিবিআই তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। তারপরই হাইকোর্ট ১,৬৯৮ জন চাকরি প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দেয়। এরপরই স্কুল শিক্ষা দফতর সেই নির্দেশ মেনে তালিকা প্রকাশ করে।

    আরও পড়ুন: ভুয়ো শংসাপত্র দিয়েও হয়েছে শিক্ষক নিয়োগ, হাইকোর্টে স্বীকার করলেন মহকুমা শাসকরা

    রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Group D Recruitment Scam) উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে অনেকের। নবম-দশমে প্রথমে ১৮৩ জন অযোগ্য শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করেছিল এসএসসি। এরপর আরও ৯৫২ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়। গ্রুপ-ডি এর ক্ষেত্রেও ১০০টি সাদা ওএমআর শিট প্রকাশ করেছে কমিশন। অনুমান করা হচ্ছে কয়েক হাজার স্কুল শিক্ষকের চাকরি যেতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  
      

  • Partha Chatterjee: এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কর্মচারী এবং পরিচারককে তলব সিবিআই- এর

    Partha Chatterjee: এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কর্মচারী এবং পরিচারককে তলব সিবিআই- এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সিবিআই স্ক্যানারে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) কর্মচারী এবং পরিচারক। এবার তাঁদের নিজাম প্যালেসে তলব করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার মধ্যে তাঁদের হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কী জানা গিয়েছে? 

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর (Partha Chatterjee) বাড়িতে যাঁরা থাকেন, রান্নাবান্না সহ অন্যান্য কাজকর্ম করেন তাঁদের থেকে পার্থর আগেকার গতিবিধির খোঁজ নেওয়া হবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় নাকতলার বাড়িতে কার কার সঙ্গে দেখা করতেন সেই খোঁজও নেওয়া হবে। একটা সময়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিকাশ ভবনে যাওয়া বন্ধ করে দেন। নিজের বাসভবনকেই বানিয়ে ফেলেছিলেন শিক্ষা দফতর। তা নিয়ে বিস্তর সমালোচনাও হয়। সেই সময় কারা তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে বাড়িতে আসতেন এখন তাই জানতে চাইছেন গোয়েন্দারা।  

    পার্থ (Partha Chatterjee) আদালতে সওয়াল করতে গিয়ে বলেছেন, উপদেষ্টা কমিটির সঙ্গে তিনি কোনও বৈঠক করেননি। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, পার্থর বাড়িতে গিয়ে শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সরকাররা দেখা করতেন। সে ব্যাপারেই বাড়ির পরিচারকের প্রশ্ন করতে চান সিবিআই আধিকারিকরা।

    শিক্ষা দফতরের কোন কোন আধিকারিক পার্থর (Partha Chatterjee) বাড়িতে যেতেন তাও জানতে চাইছে সিবিআই। তাছাড়া অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নিয়েও পার্থর বাড়ির কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। তাঁদের বয়ানকে সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিটে জুড়বে গোয়েন্দা সংস্থা।

    আরও পড়ুন: ৩০ তারিখ উদ্বোধন হচ্ছে জোকা মেট্রো, কবে থেকে পরিষেবা পাবেন যাত্রীরা?

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্থ-ঘনিষ্ঠ এক সরকারি কর্মীর পার্থর (Partha Chatterjee) ব্যক্তিগত কার্যালয়েও নিয়মিত যাতায়াত ছিল। সেই কার্যালয়ে তিনি কেন যেতেন, আর কাদের যাওয়া আসা ছিল পার্থর ওই অফিসে, সেই সমস্ত তথ্যও জানতে চাইবে সিবিআই। এসএসসি দুর্নীতি তদন্তে মূল অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কার্যকলাপের হদিশ পেতেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে অনুমান।  

    উল্লেখ্য, এর আগেও পার্থ-ঘনিষ্ঠ, শিক্ষা দফতরের (Partha Chatterjee) এই কর্মী সিবিআই দফতরে এসেছেন। তখনও সিবিআই তাঁকে তলব করেনি। বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে বেশ কিছু নথি সঙ্গে নিয়ে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Lalan Sheikh: লালন শেখের মৃত্যু মামলায় সিআইডির তদন্তে ‘অসন্তুষ্ট’ কলকাতা হাইকোর্ট, কেন জানেন?

    Lalan Sheikh: লালন শেখের মৃত্যু মামলায় সিআইডির তদন্তে ‘অসন্তুষ্ট’ কলকাতা হাইকোর্ট, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই (CBI) হেফাজতে রহস্যমৃত্যু হয়েছে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Sheikh)। ওই ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি (CID)। সিআইডির তদন্তে অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার এই মামলার তদন্তভার সিআইডির ডিজির হাতে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে শুনানি ছিল লালন শেখের মৃত্যু মামলার। সেই শুনানিতে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি।

    বিচারপতি জানতে চান…

    এদিন বিচারপতি জানতে চান, লালনের স্ত্রী, যিনি গুরুতর অভিযোগ করেছেন, তাঁর বয়ান নেওয়া হয়েছে কি? রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ওঁর মানসিক অবস্থা ভাল নেই, তাই জবানবন্দি নেওয়া হয়নি। এ কথা শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। গত দু দিন ধরে হাইকোর্টে যাচ্ছেন লালনের স্ত্রী। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিচারপতি বলেন, মানসিক অবস্থা খারাপ হলে আদালতে আসছেন কীভাবে?  লালনের রহস্য মৃত্যুর পর এফআইআর দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী। এফআইআরে সিবিআই আধিকারিকদের ফোন নম্বরেরও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। কীভাবে সিবিআই আধিকারিকদের ফোন নম্বর পাওয়া গেল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। তিনি বলেন, এই বিষয়েও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। লালনের স্ত্রী দাবি করেছিলেন তিনি ফোনে হুমকি পেয়েছিলেন। এদিন বিচারপতি জানতে চান, সেই কল রেকর্ড গোয়েন্দারা চেয়েছেন কি না। সেই রেকর্ড চাওয়া হয়নি শুনে বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে ধুন্ধুমার নন্দীগ্রামে, মাথা ফাটল ভোটারের

    রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় লালন শেখের। তার পরেই সিবিআইয়ের সাত আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী। সেই মামলারই শুনানি হচ্ছিল এদিন। সিবিআইয়ের আইনজীবী ডি পি সিং বলেন, এফআইআর দেখে স্পষ্ট যে এটা রাজ্য করিয়েছে। তিনি জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে লালন শেখ আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা অফিসাররা করেছেন বলে দাবি সিবিআইয়ের। কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, যাঁরা ওই সিবিআই ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। সিআইডির বড় আধিকারিককে এই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। রাজ্য সেই সময় জানায়, দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে ডিআইজি সিআইডিকে। তার পরেই আদালতের নির্দেশে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় ডিআইজির হাতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: “আপনার মক্কেল এত ভিআইপি যে…”, কেষ্টর জামিন মামলায় বললেন বিচারপতি

    Anubrata Mondal: “আপনার মক্কেল এত ভিআইপি যে…”, কেষ্টর জামিন মামলায় বললেন বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় এখনই জামিন মিলল না অনুব্রতের (Anubrata Mondal)। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঠাঁই হয়েছে এখন দুবরাজপুর থানায়। শিবঠাকুরের দায়ের করা অভিযোগের পরে তাঁকে বর্তমানে রাখা হয়েছে দুবরাজপুরে। আজ, গরু পাচার মামলায় হাইকোর্টে অনুব্রতের জামিনের মামলা ছিল। আর সেই মামলার শুনানিতেই শিবঠাকুরের দায়ের করা অভিযোগের কেস ডায়েরি চায় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, অনুব্রতের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশে যে মামলা হয়েছে, তার কেস ডায়েরি জমা দিতে হবে। এছাড়াও এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী অনুব্রতকে কটাক্ষ করে ‘ভিআইপি’ তকমা দিয়েছেন।

    কী ঘটেছে হাইকোর্টে?

    আজ হাইকোর্টে অনুব্রতের (Anubrata Mondal) জামিন মামলা ছিল। কিন্তু এই মামলার শুনানিতে জামিন তো দূরের কথা, বিচারপতি কেষ্টর বিরুদ্ধে নতুন মামলার কেস ডায়েরি চেয়ে বসলেন। একই সঙ্গে আসানসোল বিশেষ আদালতের বিচারকের হুমকি পাওয়ায় যে অভিযোগ উঠেছিল, সে কথা ফের মনে করিয়ে দিলেন বিচারপতি। সে বিষয়ে রাজ্য কী তদন্ত করেছে, সেটাও জানতে চায় আদালত। ফলে আজ শুনানি শেষে জামিনের মামলা আরও পিছিয়ে গেল। পরবর্তী শুনানি হবে ৩ জানুয়ারি।

    আরও পড়ুন: উত্তরপত্র ফাঁকা, তবু প্রাপ্ত নম্বর ৫৩! এসএসসি-এর বিকৃত ওএমআর শিট প্রকাশ হতেই চক্ষু চড়কগাছ

    এদিন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, কেন অনুব্রত (Anubrata Mondal) মামলায় সব নথি সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের হাতে জমা করা হয়নি। এই মর্মে তিনি অনুব্রত মণ্ডলকে শুক্রবার ৫টা পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। এর মধ্যে মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সির হাতে জমা করতে বলেছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী।

    বিচারপতি কেষ্টর আইনজীবীকে কী বললেন?

    অনুব্রতর (Anubrata Mondal) হয়ে আদালতে লড়েছেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি এদিন আদালতকে জানান, নতুন মামলায় রাজ্য পুলিশ কেষ্টকে গ্রেফতার করেছে। তাঁকে বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। রাজ্য আগামী শুনানিতে কেস ডাইরি হাজির করবে বলে জানানো হয়। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী মজা করে বলেন, “আপনার মক্কেল এত ভিআইপি, যে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে চায়। ভিআইপিদের ক্ষেত্রে এটা হয়। সবাই নজরে রাখে।” এছাড়াও বিচারপতি এদিন জানতে চান, আর নতুন করে কোনও মামলা অনুব্রতর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে কি না, কোনও মামলা পেন্ডিং রয়েছে কি না, তাও জানতে চাওয়া হয়। ফলে এই সব সওয়াল-জবাবের পর নতুন মামলার কেস ডায়েরি চাওয়া হয় ও জামিন মামলা পিছিয়ে যায়।

  • SSC Scam: নিজাম প্যালেসে এসএসসির ২ প্রাক্তন চেয়ারম্যান-সহ ৬ জনকে তলব সিবিআই- এর

    SSC Scam: নিজাম প্যালেসে এসএসসির ২ প্রাক্তন চেয়ারম্যান-সহ ৬ জনকে তলব সিবিআই- এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) সংস্থার ২ প্রাক্তন চেয়ারম্যান-সহ ৬ জনকে নিজাম প্যালেসে তলব করল সিবিআই। মুখোমুখি বসিয়ে করা হয় জেরা। সোমবার গোয়েন্দা সংস্থার তলব পেয়ে সকালে নিজাম প্যালেসে যান এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল ও প্রদীপকুমার সুর। এছাড়াও এসএসসির আরও ৪ আধিকারিককেও তলব করেছে সিবিআই। তারাও আজ নিজাম প্যালেসে যান।    

    হাইকোর্টের ভর্ৎসনার পর শনিবারই এসএসসির (SSC Scam) প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। গোয়েন্দাদের দাবি, গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতিতেও সুবীরেশের হাত রয়েছে। কিন্তু এখনও এ বিষয়ে মুখ খোলেননি সুবীরেশ। কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে নারাজ তিনি। এই পরিস্থিতিতে সুবীরেশের মুখ খোলাতে চেয়ারম্যানদের মুখোমুখি বসিয়ে তাকে জেরা করেন গোয়েন্দারা। তাঁর অধীনে যে চার আধিকারিক কাজ করতেন তাঁদেরও মুখোমুখি বসানো হয়। সোমবার দুপুরে সিবিআই দফতরে পৌঁছন চিত্তরঞ্জনবাবু। 

    সংবাদমাধ্যমকে চিত্তরঞ্জনবাবু জানান, তাঁকে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়েছে। এদিন দুপুরে সুবীরেশকে (SSC Scam) মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান সিবিআই গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, সেখান থেকে ফেরার পর তাঁকে প্রদীপ সুরের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়।

    আরও পড়ুন: লালন শেখ হত্যা মামলায় এবার মানবাধিকার কমিশন, নির্দেশ কেন্দ্রের

    কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গত শনিবার সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (SSC Scam) সিবিআই হেফাজতে পাঠায় আলিপুর আদালত। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য  সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছিলেন তদন্তকারীরা। গ্রেফতারির পর থেকেই সুবীরেশ তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলে অভিযোগ করে এসেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সুবীরেশের নির্দেশেই নবম–দশম নিয়োগে সাদা খাতার নম্বর বাড়ানো হয়েছিল। সেই প্রমাণ ইতিমধ্যেই এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে।

    ২০১৪- র জানুয়ারি থেকে ২০১৮- র জুলাই পর্যন্ত এসএসসির চেয়ারম্যান (SSC Scam) ছিলেন সুবীরেশ। তাঁর আগে, ২০১৩-র অক্টোবর থেকে ২০১৪-র জানুয়ারি পর্যন্ত চেয়ারম্যান ছিলেন প্রদীপকুমার শূর এবং ২০১১র জুন মাস থেকে ২০১৩-র অক্টোবর পর্যন্ত চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। চিত্তরঞ্জন মণ্ডল সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, “অনেক সুপারিশ চালককে দিয়ে নেতারা পাঠিয়েছে। প্যাডের পর প্যাড। প্রচুর সুপারিশ। বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচন্ড চাপ ছিল।”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Subiresh bhattacharya: পাঁচ দিনের সিবিআই হেফাজতে সুবীরেশ ভট্টাচার্য

    Subiresh bhattacharya: পাঁচ দিনের সিবিআই হেফাজতে সুবীরেশ ভট্টাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, পাঁচ দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠানো হল স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (Subiresh Bhattacharya)। শনিবার এই নির্দেশ দিয়েছেন আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক। আদালতে এদিন সিবিআই জানায়,তদন্তের স্বার্থে সুবীরেশকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। তার পর এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ২২ ডিসেম্বর ফের আদালতে পেশ করা হবে তাঁকে। এর আগে নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে ছিলেন সুবীরেশ।

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    গত ১৯ সেপ্টেম্বর উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য তথা এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশকে (Subiresh Bhattacharya) গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তার তদন্ত করছে সিবিআই। এই নিয়ে সুবীরেশকে দ্বিতীয় দফায় নিজেদের হেফাজতে পেল সিবিআই। গত বৃহস্পতিবার এসএসসি মামলায় (SSC Scam) কলকাতা হাই কোর্টে অস্বস্তিতে পড়েন কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। জামিনের আবেদন করা হলে কোনও নির্দেশ দেয়নি আদালত। নির্দেশ দেয়নি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ। তারা জানতে চায়, তদন্ত কোন পর্যায়ে আছে? কতদিন লাগতে পারে? আর এই তদন্তের জন্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে হেফাজতে রাখার প্রয়োজন আছে কি? 

    আরও পড়ুন: কেষ্টকে দিল্লিতে জেরা করতে পারবে কি ইডি? সোমবার রায়দান আদালতের

    শনিবার, সিবিআইয়ের আইনজীবী আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়কে জানান, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের পরবর্তী ধাপে যাওয়ার ক্ষেত্রে সুবীরেশকে (Subiresh Bhattacharya) আরও জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন রয়েছে। তাঁর কাছে অনেক তথ্যপ্রমাণ আছে বলেও দাবি করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। সুবীরেশের আইনজীবী তমাল মুখোপাধ্যায় আদালতকে জানান, তিনি জেলেই রয়েছেন। দরকার পড়লে সিবিআই তাঁকে জেলে গিয়ে জেরা করে আসতে পারে বলেও প্রস্তাব দেন তিনি। প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রয়েছেন সুবীরেশ। কিন্তু সুবীরেশের আইনজীবীর এই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। বিচারক তাঁকে সিবিআইয়ের হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: কেষ্টকে দিল্লিতে জেরা করতে পারবে কি ইডি? সোমবার রায়দান আদালতের

    Anubrata Mondal: কেষ্টকে দিল্লিতে জেরা করতে পারবে কি ইডি? সোমবার রায়দান আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যেতে তৎপর ইডি। তা নিয়ে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের বিশেষ বিচারকের এজলাসে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে মামলার শুনানি হল শনিবার। তবে শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালত। আগামী সোমবার এই মামলার রায় দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেদিনই জানা যাবে, ইডি অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে কিনা।

    কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে কি ইডি?

    অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যেতে চেয়ে ইডির আবেদনকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে মামলাটি রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে ফেরত পাঠায় দিল্লি হাইকোর্ট। এদিনের শুনানিতে ইডির তরফে আবেদন জানানো হয়, অনুব্রত মণ্ডল গরুপাচারের প্রধান অভিযুক্ত। তার নেতৃত্বেই যাবতীয় দুর্নীতি হয়েছে। ফলে তাকে দিল্লিতে সংস্থার সদর দফতরে এনে জেরা করা দরকার। তবে এই মামলার আজ রায় দেননি বিচারক। 

    কেষ্টর আইনজীবীর তরফে কী বলা হল?

    পালটা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন,  “এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গে। এফআইআরও হয়েছিল সেখানেই। অনুব্রতর দিল্লিতে কোনও সম্পত্তি পাওয়া যায়নি। তাহলে ইডি কেন তাঁকে দিল্লি নিয়ে আসতে চাইছে।” 

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ বিলকিস বানোর আর্জি

    ফের হাইকোর্টে ধাক্কা কেষ্টর…

    অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টও। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি)-এর করা এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া কেষ্ট। শুক্রবার বিচারপতি বিবেক চৌধুরী অনুব্রতর করা আবেদন খারিজ করে দেন। তদন্তের স্বার্থে এই আবেদন আপাতত খারিজ করেছে আদালত। অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। ফলে দিল্লির বিশেষ আদালতে আর্জিও জানিয়েছিল তারা। তবে ইডির এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন অনুব্রত। সেটিই গতকাল খারিজ করা হল। 

    শুনানিপর্বে কেষ্টর আইনজীবী কী বললেন?

    শুক্রবার কেষ্টর (Anubrata Mondal) করা মামলার শুনানিতে আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, নিম্ন আদালত ইতিমধ্যেই অনুমতি দিয়েছে, তদন্তের প্রয়োজনে ইডি জেলে গিয়ে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, অনুব্রতের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ ‘বেআইনি’, ‘ভিত্তিহীন’। আইনজীবীর দাবি, প্রথমে অনুব্রতকে গরুপাচার মামলার সাক্ষী দেখানো হলেও পরে তাঁকে অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে। এখন তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যেতে চাইছে ইডি। তাই ইডির এফআইআর খারিজ করার আবেদন জানান তিনি।

    সিবিআইয়ের তরফে কী বলা হল?

    এর উত্তরে পাল্টা সিবিআইয়ের আইনজীবী এসভি রাজু জানান, জিজ্ঞাসাবাদের পরই গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রতকে (Anubrata Mondal)। তাঁকে রিমান্ড দিয়েছে নিম্ন আদালত। যদি বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে নিম্ন আদালত কেন জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেবে?

    এই বক্তব্যের ফের বিরোধিতা করেন কপিল সিব্বল। তিনি বলেন, এই তথ্য ঠিক নয়। আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, টাকা তছরূপের অভিযোগ থাকলে আয়কর দফতরে যাওয়া দরকার। এরপর দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর অনুব্রতের (Anubrata Mondal) আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। 

  • Lalan Sheikh: লালন শেখের মৃত্যুতে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর, হাইকোর্টের দ্বারস্থ কেন্দ্রীয় সংস্থা

    Lalan Sheikh: লালন শেখের মৃত্যুতে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর, হাইকোর্টের দ্বারস্থ কেন্দ্রীয় সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Skeikh) রহস্যমৃত্যুতে এফআইআর (FIR) দায়ের পুলিশের। তাতে সিবিআইয়ের (CBI) ডিআইজি এবং এএসপি সহ মোট সাত জনের নামে খুনের অভিযোগ সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্ত এই সাতজনের মধ্যে রয়েছেন সিবিআইয়ের আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্যও। তিনি গরু পাচার মামলার তদন্তকারী আধিকারিক হিসেবে কাজ করছেন। এই গরু পাচারকাণ্ডে তিনি গ্রেফতার করেছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে।

    হাইকোর্টে সিবিআই…

    এদিকে, ঘটনার প্রেক্ষিতে এদিনই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সিবিআই। রাজ্য পুলিশের এফআইআর চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সিবিআই। এদিনই হবে শুনানি। সিবিআইয়ের দাবি, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। সিবিআইয়ের অভিযোগ, অন্যান্য মামলার তদন্তকারী আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও এফআইআর করা হয়েছে। তদন্তকারী আধিকারিকরা আশঙ্কায় রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে দুই বাঙালি বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি ডিএ মামলার, জয়ের আশায় সরকারি কর্মীরা

    প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের এক গ্রামে ধরা পড়ার পর রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল লালনকে। সোমবার সিবিআইয়ের সেই অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগারে পাওয়া যায় বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালনের (Lalan Skeikh) ঝুলন্ত দেহ। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, সিবিআই আধিকারিকরা তাঁদের বলেছিলেন, শেষ দেখা দেখে নিন। আর দেখতে পাবেন না! তাঁদের দাবি, লালনের শারীরিক অবস্থা ভাল ছিল না। তাঁকে ঠিক মতো জল ও খাবারও দেওয়া হচ্ছিল না।

    জানা গিয়েছে, পুলিশের দায়ের করা এফআইআরে সিবিআইয়ের সাত অফিসারের বিরুদ্ধে যে কটি ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে, সবগুলিই জামিন অযোগ্য ধারা। তাঁদের বিরুদ্ধে তোলাবাজি, হুমকি ইত্যাদি অভিযোগ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, মৃত লালনের স্ত্রী রেশমা বিবির অভিযোগের ভিত্তিতেই দায়ের হয়েছে এই এফআইআর।

    সিবিআইয়ের দাবি, লালন (Lalan Skeikh) আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর স্ত্রী অবশ্য খুনের অভিযোগ এনেছেন। এই ঘটনায় সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও হেফাজতে থাকা লালনের ওপর নজরদারির জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না কেন? গলায় ফাঁস দেওয়ার গামছাই বা তিনি পেলেন কোথায়? উঠছে এসব প্রশ্নও।

    সাধারণত লকআপে থাকা বন্দিদের বাথরুমের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করতে দেওয়া হয় না। কিন্তু রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে যে বাথরুম, তা ভিতরের ঘরের সঙ্গে অ্যাটাচড। প্রশ্ন উঠছে, সেখানে কি কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না?  সিবিআইয়ের দাবি, অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলছে। কারও গাফিলতি আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share