Tag: cbi

cbi

  • Bogtui Murder: সিবিআইয়ের জালে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখ, কোথায় ধরা পড়ল জানেন?

    Bogtui Murder: সিবিআইয়ের জালে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখ, কোথায় ধরা পড়ল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের বগটুই গণহত্যা (Bogtui Murder) ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত লালন শেখকে (Lalan Sheikh) গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)। শনিবার রাতে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। ধৃত লালন নিহত তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের ছায়াসঙ্গী ছিল। শনিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে লালনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ২১ মার্চ ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল লালন। বস্তুত বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সে-ই। ২১ মার্চ রাতে লালন ওই গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছিল বলে অভিযোগ।

    নেপথ্য কাহিনি…

    ২১ মার্চ রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বোমা মেরে খুন করা হয় বগটুই (Bogtui Murder) গ্রামের বাসিন্দা তথা বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের ভাদু শেখকে। খুনের বদলা নিতে ওই রাতেই গ্রামের একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরদিন সকালে সাতজনের দেহ উদ্ধার করা হয়। দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁরাও মারা যান। ২১ জুন সিবিআই দুটি ঘটনার চার্জশিট জমা দেয়। ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিল চার্জশিটে নাম থাকা অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখ। এদিন হল গ্রেফতার। বগটুইকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছিল এমন একজনের আত্মীয় মিহিলাল শেখ। তিনি বলেন, সেদিন যে দলবল এসেছিল, তার নেতৃত্বে ছিল লালন। ওর ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। মিহিলাল বলেন, এটা মানুষও চাইছে।

    আরও পড়ুন: ‘প্রভাবশালীদের হাত ধরে নিয়োগ?’ সিবিআই-এর একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি চাকরি হারানো কর্মীরা

    লালনকে নিয়ে এই ঘটনায় এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হল ২৭ জনকে। নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডের (Bogtui Murder) অন্যতম চক্রী আনারুল শেখকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিছুদিন আগে লালন শেখের ভাগনে বুলু শেখ ওরফে ডলারকেও গ্রেফতার করেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তার পরেও দীর্ঘ ন মাস ধরে ফেরার ছিল লালন। শেষমেশ ধরা পড়ল সিবিআইয়ের জালে।

    তদন্তের শুরু থেকেই যে জবানবন্দি পাওয়া গিয়েছিল, তার সবেতেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসে লালন শেখের নাম। সিবিআইয়ের তরফেও বগটুই হত্যা মামলায় যে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে, সেখানেও মূল অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয় লালনকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: বিপাকে অনুব্রত! তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজের আবেদনের শুনানি পিছোল

    Anubrata Mondal: বিপাকে অনুব্রত! তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজের আবেদনের শুনানি পিছোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টে পিছিয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)বিরুদ্ধে করা এফআইআর খারিজের মামলা। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)- মামলা করেছিলেন। সেই মামলা খারিজের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। দ্রুত শুনানির আর্জিও জানান কেষ্ট। কিন্তু সেই মামলার প্রতিলিপি এখনও হাতে পায়নি তদন্তকারী সংস্থা। সোমবার উচ্চ আদালতে মামলার শুনানিতে এমনই জানাল ইডি। তাই, নিজেদের অবস্থান জানাতে আরও কিছুটা সময় চাইল তদন্তকারী সংস্থা। তার ভিত্তিতে আগামী ১৬ ডিসেম্বর দুপুর ২টোয় মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানান বিচারপতি বিবেক চৌধুরী।

    আদালতে সওয়াল

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর করা মামলায় জামিনের আবেদন নিয়েও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই মামলাটিরও শুনানি রয়েছে ১৬ ডিসেম্বর। দুই মামলাতেই তাঁর হয়ে আদালতে সওয়াল করছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবাল। আগামী দিনে অনুব্রত মণ্ডলের ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে এই দুই মামলার উপর। ইডির করা এফআইআর খারিজের মামলা রয়েছে বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে। অন্যদিকে সিবিআই-এর করা মামলায় জামিনের আর্জির শুনানি রয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির এজলাসে।

    আরও পড়ুন: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে তৎপর ইডি। তা নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টেও মামলা চলছে। তার মধ্যেই উচ্চ আদালতে ইডির মামলা খারিজের আর্জি জানান অনুব্রত। সেই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নিজেদের অবস্থান জানাতে বলেছিল উচ্চ আদালত। তখনই আদালতের কাছে সময় চেয়ে নেন ইডির আইনজীবী। সেইমতোই এদিন ইডিকে কিছুটা সময় দিল আদালত। গরুপাচার মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করে সিবিআই। কিন্তু অনুব্রতর আইনজীবীদের দাবি, টাকা নেওয়ার প্রমাণ এখনও পেশ করতে পারেনি সিবিআই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Abhijit Ganguly: মানিক-ছটা থেকে মুক্ত হতে পর্ষদের ২-৩ বছর সময় লাগবে! অভিমত হাইকোর্টের

    Abhijit Ganguly: মানিক-ছটা থেকে মুক্ত হতে পর্ষদের ২-৩ বছর সময় লাগবে! অভিমত হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharyee) আমলে দুর্নীতির আখড়া হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। দুর্নীতি এবং মানিক ভট্টাচার্যের ছটা থেকে এখনই মুক্ত হতে পারবে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এর থেকে নিষ্কৃতি পেতে পর্ষদের আরও ২-৩ বছর সময় লাগবে। অভিমত, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের (Abhijit Ganguly)। দুর্নীতির তদন্তের জন্য প্রয়োজনে মানিককে সিবিআই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কথাও বলেন বিচারপতি। সেই মতো বৃহস্পতিবারই মানিক ভট্টাচার্যকে হেফাজতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় সিবিআই।

    কী বললেন বিচারপতি

    টেট দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharyee) গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আপাতত রয়েছেন জেল হেফাজতে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশেই তাঁকে পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত করা হয়। তার পর ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বলেন, “দুর্নীতি ও মানিক ভট্টাচার্যের ছটা মুক্ত হতে পর্ষদের আরও ২ থেকে ৩ বছর সময় লাগবে।” নিয়োগ দুর্নীতিতে যে মানিক ভট্টাচার্যের ভূমিকা অনেকটাই এদিন ফের তা বুঝিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন,  “আমাকে কি আবার সিট পুর্নগঠন করতে হবে?” দ্রুত নিয়োগ দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছনোর কথা বলেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ ইডি-র, জানেন কী?

    এদিন শুনানির সময় এক মামলাকারী দাবি করেন, টেটে নিয়োগের একটি নির্দিষ্ট পরীক্ষায় কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীকে কেবলমাত্র হাজিরা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের পরীক্ষা নেওয়াই হয়নি। তার পরেও তাঁরা ওই পরীক্ষায় পুরো নম্বর পেয়েছেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) এই অভিযোগ শুনে মন্তব্য করেন, ‘‘কেউ আর্জেন্টিনার জার্সি পরে আছে বলে নম্বর পেয়ে যাবে, ব্রাজিলের জার্সি পরলে নম্বর পাবে না, এটা হতে পারে না।’’ এই মন্তব্য করে এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যান বিচারপতি। 

    সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই

    মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharyee) হেফাজতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে একথা জানানো হয়েছে সিবিআই-এর তরফে। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে  জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই আবেদনই জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতে। তবে মানিকের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট রক্ষাকবচ দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম-দশমের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় রক্ষাকবচের কথা শুনে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বলেন, ‘রক্ষাকবচ খারিজ করার আবেদন জানান।’ 

  • Subiresh Bhattacharya: তদন্তে সাহায্য করছেন না সুবীরেশ, অন্য রাজ্যে নিয়ে গিয়ে জেরা করার পরামর্শ বিচারপতির

    Subiresh Bhattacharya: তদন্তে সাহায্য করছেন না সুবীরেশ, অন্য রাজ্যে নিয়ে গিয়ে জেরা করার পরামর্শ বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আরও কড়া নির্দেশ দিতে পারে আদালত। তদন্ত সাহায্য না করলে মানিক ভট্টাচার্য ও সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (Subiresh Bhattacharya) রাজ্যের বাইরে নিয়ে গিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এমন পরামর্শও দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মুখ না খুললে দুজনকেই ফের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই। হাইকোর্টের তরফ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়ার আশ্বাস বিচারপতির। 

    বিচারপতি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে জানতে চান, প্রেসিডেন্সি জেলে শেষ কবে সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (Subiresh Bhattacharya) জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ? কতক্ষণ জেরা করেছে? 

    আদালতে সিবিআই অভিযোগ করে, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya)। তিনি বর্তমানে জেল হেফাজতে আছেন। জেলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই জন্যেই সম্প্রতি তার জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। অন্য মামলায় তিনি যুক্ত আছেন কিনা তার খোঁজও চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ইতিমধ্যে গ্রুপ ডি মামলায় চাকরি বাতিল হওয়া ৫৪২ জনের মধ্যে ৩৩০ জনের জিজ্ঞাসাবাদ সম্পূর্ণ হয়েছে।

    বিচারপতি কী বলেন? 

    বিচারপতি আরও বলেন, “সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya) যদি সহযোগিতা না করেন, তাহলে তাকে হেফাজতে চেয়ে আবেদন করুন।আপনারা কোন পরিস্থিতিতে কোনও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দিল্লি, অসম বা ভুবনেশ্বরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যেতে পারেন? যেমন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজীব কুমারকে শিলং – এ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।”  সিবিআই উত্তরে বলে, “সেটা বিভিন্ন পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।” বিচারপতি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ”সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে হেফাজতে না নিলে তথ্য জানা সম্ভব নয়। জেলে কতক্ষন জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন? আপনাদের  মাধ্যমে আমি সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে মুখ খোলার আবেদন জানিয়েছিলাম। তিনি মুখ খোলেননি। আপনারা সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানান। তারপর আমি তাকে অন্য কোথাও নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেব।” বিচারপতি আরও বলেন, ”একই ধরনের নির্দেশ মানিক ভট্টাচার্যর ক্ষেত্রেও দিতে হবে।”

    মানিক ভট্টাচার্যের রক্ষাকবজের বিষয়ে সিবিআই প্রশ্ন করলে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় উত্তরে বলেন, “রক্ষাকবচ খারিজের আবেদন করুন । আমাকে কি আবার সিট পুনর্গঠন করতে হবে?”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

          

  • Anubrata Mondal: জেলেই অনুব্রত! আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ আদালতের

    Anubrata Mondal: জেলেই অনুব্রত! আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জেল হেফাজতে অনুব্রত (Anubrata Mondal)। গরুপাচারকাণ্ডে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। অর্থাৎ আরও ১৪ দিনের মেয়াদ বাড়ল অনুব্রতর হেফাজতের। গত অগস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তারপর থেকে বারবার জামিনের আবেদন জানানো সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি।

    আদালতে অনুব্রত

    শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) আসানসোল আদালতে পেশ করে সিবিআই। হলুদ পাঞ্জাবী পরে এদিন আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন অনুব্রত। কিছুটা ভগ্ন স্বাস্থ্যও এদিন চোখে পড়েছে। ওজন যে বেশ কিছুটা কমেছে, তা চেহারাই বলে দিচ্ছে। তবে এদিন তাঁর কোনও জামিনের আবেদন করা হয়নি। তবে অনুব্রতর তরফে এদিন আদলতে ২টি আবেদন করা হয়। অনুব্রতর আইনজীবী বলেন, ভোলে ব্যোম রাইসমিলের অ্যাকাউন্ট ডি-ফ্রিজ করে দিক সিবিআই। অ্যাকাউন্টটি অনুব্রতর নামে নয়। সঙ্গে তদন্তের স্বার্থে বাজেয়াপ্ত অনুব্রতর ফোন ফেরত চান তিনি।  এদিন মোবাইল দুটির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সিবিআই-এর তরফে জানানো হয় সেগুলি কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছেই রয়েছে, ফরেনসিক পরীক্ষাও হয়ে গিয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই ফেরত দেওয়া যাবে না।

    আরও পড়ুন: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    এদিন তদন্তে অগ্রগতির কথা জানিয়ে আদালতে একটি সিডি পেশ করে সিবিআই। সেই সিডি দেখে বিচারপতি বলেন, আমি বিস্মিত। ২০ বছরের চাকরিজীবনে এই ধরনের তথ্য কোনও দিন দেখিনি। তবে সিবিআই আদালতের হাতে কী তথ্য তুলে দিয়েছে তা ২ পক্ষই গোপন রেখেছে। এর পরই ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুব্রতকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। আদালত চত্বরে প্রতিবারের মতোই এদিনও ছিল অনুব্রতর (Anubrata Mondal) অনুগামীদের ভিড়। তবে তেমন কিছু বলেননি কেষ্ট। সাংবাদিকদেরও এড়িয়ে যান তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর ভূমিকায় ফের ‘অসন্তুষ্ট’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Justice Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর ভূমিকায় ফের ‘অসন্তুষ্ট’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর কাজ নিয়ে ফের অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। সুপ্রিম কোর্টে সিবিআইয়ের আইনজীবী অনুপস্থিত থাকায় তিনি প্রশ্ন করেছেন যে, ‘সুপ্রিম কোর্টে মানিক ভট্টাচার্যের মামলায় সিবিআইয়ের আইনজীবী অনুপস্থিত কেন?’ বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইয়ের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “এই মামলাগুলো সিবিআইয়ের বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। আইনজীবীর অনুপস্থিতি সন্তোষজনক পরিস্থিতি নয়।”

    সিবিআই-এর কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট নন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    গত ১৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের মামলার শুনানি ছিল। সেই মামলার শুনানির সময়ে হাজির ছিলেন না সিবিআইয়ের আইনজীবী। শীর্ষ আদালতের নির্দেশনামায় সিবিআইয়ের আইনজীবীর অনুপস্থিতির কথা নথিবদ্ধ রয়েছে। বুধবার তা দেখেই অসন্তুষ্ট হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। এতেই সিবিআইকে ভর্ৎসনা করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    এর পরেই আইজীবীর অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করেন বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly)। আর এর উত্তরে সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়, ওই দিন আদালতে ২৬ পাতার রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। যদিও পরে বিচারপতি এও বলেন যে, সেই রিপোর্টেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। রিপোর্ট অসম্পূর্ণ বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। ফলে এদিন এই রিপোর্ট নিয়েও বিচারপতি সিবিআই-কে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে ৬ ডিসেম্বর।

    আরও পড়ুন: প্রাথমিক টেটে সুযোগ পাবেন উচ্চ প্রাথমিকের প্যারাটিচাররাও, জানাল হাইকোর্ট

    এরপরে বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly) কটাক্ষের সুরে সিবিআই-কে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন যে, এই মামলাগুলি হাইকোর্টের সিঙ্গল, ডিভিশন বেঞ্চ পেরিয়ে শীর্ষ আদালতে গিয়েছে। তাছাড়া রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টি এখনও বিচারাধীন। কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে তদন্ত হচ্ছে। এই বিষয়গুলির কথা মাথায় রেখে বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly) বলেছেন, এই মামলাগুলির একটা অন্য গুরুত্ব আছে। সেই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সিবিআই-এর।

    এই প্রথম নয়, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে সিবিআইয়ের ভূমিকায় বারবার প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। এমনকি নিজের তৈরি করা সিট ভেঙে নতুন সিট গঠন করেছেন তিনি। বদলে দিয়েছিলেন সিটের প্রধানকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • CBI: দেড়শো দিন হয়ে গেল এখনও তদন্ত শেষ হয়নি কেন? সিবিআইকে প্রশ্ন বিচারকের

    CBI: দেড়শো দিন হয়ে গেল এখনও তদন্ত শেষ হয়নি কেন? সিবিআইকে প্রশ্ন বিচারকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার শ্লথ গতিতে তদন্তের জন্য সিবিআইকে (CBI) ভর্ৎসনা করলেন বিচারক। দেড়শো দিন হয়ে গেলেও, সময়ে কেন তদন্ত শেষ করতে পারছে না সিবিআই, সে প্রশ্নও করেন আলিপুর আদালতের বিচারক (Judge)।

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়…

    নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় জেলে বন্দি রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য সহ সাতজন। বুধবার তাঁদের ফের তোলা হয় আলিপুর আদালতে। ধৃতেরা প্রত্যেকেই এদিন জামিনের আবেদন করেন। এদিন শুনানি পর্বে বিচারক সিবিআইকে (CBI) প্রশ্ন করেন, পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের কথা বলে জামিন না দেওয়ার আবেদন করছেন, এমন আইন কি কোথাও আছে? উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, যাতে কেউ প্রভাব খাটাতে না পারেন, সেটাই চাইছি। আদালত জানতে চায়, কেন আপনারা আবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের হেফাজত চাইছেন? এরপর সিবিআইয়ের পাল্টা অভিযোগ, যাঁদের প্রশ্ন করা হচ্ছে, যাঁরা আসছেন, তাঁদের ওপর প্রভাব খাটানো হচ্ছে।

    এদিন এস পি সিনহার আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, সিবিআই (CBI) যে চার্জশিট পেশ করেছে, সেটা তো তদন্ত শেষ করেই পেশ করার কথা, তাহলে আবার তদন্ত চলছে দাবি করে হেফাজতে রাখা হবে কেন? একথা পরস্পর বিরোধী। এভাবে কতদিন হেফাজত চাইবে সিবিআই, সে প্রশ্ন আদালতে করেন এস পি সিনহার আইনজীবী। তিনি বলেন, যতদিন ওঁকে হেফাজতে রাখা হয়েছে, সেটা বিবেচনা করা হোক। তিনি এও বলেন, এস পি সিনহার বয়স ৭০ বছর। এভাবে থাকলে তিনি আর কতদিন বাঁচবেন, সেই প্রশ্নও করেন তিনি। অন্য সব অভিযুক্তের আইনজীবীর মতো জামিনের আবেদন করেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীও। প্রয়োজনে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করুক আদালত, এমন আবেদনও জানান পার্থর আইনজীবী।

    আরও পড়ুন: ‘কার নির্দেশে নিয়োগের আবেদন?’ ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    এর পর সিবিআইয়ের (CBI) শ্লথ গতিতে তদন্তের প্রসঙ্গ টেনে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বাকি আইনজীবীদের মতো সুবীরেশ ভট্টাচার্যের আইনজীবীও। তিনি জানান, যতবার সিবিআই তাঁকে ডেকেছিল, ততবার তিনি গিয়েছেন। কিন্তু কী এমন হল যে, তারা বারবার তাঁকে হেফাজতে চাইছেন। এর পরেই দেড়শো দিন হয়ে গেলেও, সময়ে কেন তদন্ত শেষ করতে পারছে না সিবিআই, সে প্রশ্ন করেন আলিপুর আদালতের বিচারক। অভিযুক্ত সাতজনকেই ফের ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Anubrata Mondal: জামিনের পর এবার মামলা খারিজের দাবি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ কেষ্ট

    Anubrata Mondal: জামিনের পর এবার মামলা খারিজের দাবি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ কেষ্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জামিনের আবেদনের পর এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দায়ের করা মামলা খারিজের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)।

    কোন মামলায় আবেদন?

    গত ১৭ নভেম্বর আসানসোল সংশোধনাগারে কেষ্টকে জেরা করতে যান ইডি গোয়েন্দারা। সেই সময় সিবিআই হেফাজতে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আসানসোল জেলেই অনুব্রতকে গ্রেফতার করে ইডি। যদিও অ্যারেস্ট মেমোতে সই করেননি অনুব্রত। দিল্লি নিয়ে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। সেই মর্মে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদনও করেছে এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই মামলার শুনানি হবে ১ ডিসেম্বর। কিন্তু এবার এই মামলা খারিজের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করলেন অনুব্রত। বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে আজ দ্রুত শুনানির আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। আদালত ২ ডিসেম্বর এই মামলা শুনবে। 

    এদিকে, সিবিআই মামলায় আসানসোল আদালতে বারবার জামিন চেয়েও না মেলায় গতকাল হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে বুধবার শুনানি হবে অনুব্রতর জামিন মামলার। গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআই গ্রেফতার করে অনুব্রত মণ্ডলকে। ২৫ নভেম্বর গরুপাচার মামলায় অনুব্রতকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আসানসোল আদালত।

    কী অভিযোগ? 

    গরুপাচার মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করে সিবিআই। কিন্তু অনুব্রতর আইনজীবীদের দাবি, টাকা নেওয়ার প্রমাণ এখনও পেশ করতে পারেনি সিবিআই। তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের ফোন থেকে এই সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি করেছিল তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই বারবার পাল্টা দাবি করে এসেছে, অনুব্রতর মতো একজন প্রভাবশালীকে জেল থেকে ছাড়া হলে তদন্তে প্রভাব পড়তে পারে। দেশজুড়ে চলছে গরু পাচার মামলার তদন্ত। এই মামলায় অনুব্রতর ভূমিকা নিয়ে নিশ্চিত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

    আরও পড়ুন: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    ১১ অগাস্ট তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তার পর ৫ দিন সিবিআইয়ের হেফাজতে ছিলেন তিনি। এর পর থেকে প্রায় ১০০ দিন পেরিয়ে গেলেও মেলেনি জামিন। এর মাঝে আসানসোন জেলে থাকাকালীনই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই অবস্থায় সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছেন অনুব্রত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

         

  • Anubrata Mandal: জামিনের আবেদনই করলেন না, আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতেই কেষ্ট

    Anubrata Mandal: জামিনের আবেদনই করলেন না, আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতেই কেষ্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার (Cattle smuggling case) মামলায় জেলেই অনুব্রত। এবারও জামিন পেলেন না বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। জেল হেফাজতের মেয়াদ ফুরনোয় তাঁকে শুক্রবার সকালে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়। এদিন তৃণমূল নেতার জামিনের আবেদনই জানানো হয়নি। ফলে সিবিআইয়ের (CBI) আবেদনে মান্যতা দিয়ে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি জেলে থাকবেন। ওইদিন ফের তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে।

    এখনই দিল্লি নয়

    চলতি সপ্তাহে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারছে না ইডি। দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রত-মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন অনুব্রত। তাঁকে দিল্লি নিয়ে জেরা করতে নির্দেশ জারি করতে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন জানায় ইডি। সেই আবেদনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রত। দিল্লি হাইকোর্টে মামলার শুনানি  হবে ১ ডিসেম্বর। তাই আপাতত দিল্লি যেতে হচ্ছে না অনুব্রতকে। অন্যদিকে শুক্রবার দিল্লিতে ইডি-র (ED) সদর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হয়েছেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal )। এই নিয়ে ততীয়বার হাজিরা দিলেন তিনি। আগামী ২৮ নভেম্বর রাইসমিল মালিক সঞ্জীব মজুমদারকেও তলব করেছে ইডি। 

    আরও পড়ুন: ভয় দেখিয়ে টিকিট হাতিয়ে নেন কেষ্ট! আসল লটারি বিজেতার দাবিতে তোলপাড়

    আদালতে কী হল

    এদিন অনুব্রতকে আদালতে তোলা হলে তাঁর আইনজীবীর জামিনের আবেদন না জানানো নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। পরে বাইরে বেরিয়ে আইনজীবীরা জানান, তাঁরা এবার জামিন চেয়ে উচ্চ আদালতে যাবেন, তাই আর এখানে জামিনের আর্জি জানাননি। এদিকে এজলাসে আজ কেস ডায়রি অনুব্রতর হাতে তুলে দেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। তদন্ত কোন পর্যায়ে আছে তা নিয়ে সিবিআইয়ের আইনজীবীকে প্রশ্ন‌ও করেন বিচারক। তবে এদিন বিশেষ একটা স‌ওয়াল-জবাব হয়নি। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সিবিআই আধিকারিকরা বোলপুরে হানা দিয়ে মূলত অনুব্রত মণ্ডলের লটারিতে কোটি টাকার জেতার রহস্য ভেদ করতে উঠে পড়ে নামেন। আসল লটারির টিকিট যিনি জিতে ছিলেন অর্থাৎ সেই নুর আলির নানুরে বড় শিমুলিয়ার বাড়িতে হানা দেন। সেখান থেকে পাওয়া নথিতে সিবিআই আধিকারিকরা সন্তুষ্ট না হলে তাকে শান্তিনিকেতনের অস্থায়ী ক্যাম্পে ডেকে পাঠানো হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Recruitment Scam: ‘প্রভাবশালীদের হাত ধরে নিয়োগ?’ সিবিআই-এর একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি চাকরি হারানো কর্মীরা

    Recruitment Scam: ‘প্রভাবশালীদের হাত ধরে নিয়োগ?’ সিবিআই-এর একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি চাকরি হারানো কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) সিবিআই-এর নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিলেন এসএসসি-র গ্রুপ ডি-র ৫০ জন কর্মী। সিবিআই- এর তরফে এদের তলব করা হলে তাঁরা আজ সকাল সকাল উপস্থিত হন নিজাম প্যালেসে। এই ৫০ জন কর্মীর চাকরি গিয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশেই।

    সিবিআই-এর একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি ৫০ কর্মী

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) আজ সিবিআই-এর একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে চাকরি যাওয়া কর্মীদের। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তাঁদের আজ জিজ্ঞেস করা হয়, কীভাবে তাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন? প্রভাবশালী-যোগ বা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছিলেন কি না? আজ এদের প্রত্যেককে মার্কশিট ও নিয়োগপত্রও আনতে বলা হয়েছে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) এদিন নিজাম প্যালেসে ডাকা হয়েছিল হাওড়ার আমতা ও বাগনান এলাকার বিভিন্ন স্কুলের এই ৫০ জন কর্মীদের। দুর্নীতি মামলায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই-এর আধিকারিকরা। আজ অর্থাৎ বুধবার সকাল থেকেই তাঁদের ধাপে ধাপে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন আধিকারিকরা। পাশাপাশি তাঁদের প্রত্যেকের বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে। আবার এই সমস্ত প্রার্থীদের নথির সঙ্গে এসএসসির তরফ থেকে দেওয়া মেধা তালিকা তথ্যে কোনও গরমিল রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন:মানিক মামলায় সিবিআইকে সতর্ক করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন?

    সিবিআই তদন্তে অসন্তুষ্ট বিচারপতি

    প্রসঙ্গত, এর আগেই এসএসসি-র নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপরেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (Recruitment Scam) তদন্তের গতি বাড়ায় সিবিআই-এর আধিকারিকরা। এর আগে প্রশ্ন করেছিলেন যে, যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের কেন তলব করা হচ্ছে না? এরপরেই সিবিআই তদন্তের গতি বাড়ায় ও হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েই চাকরি হারানো ও চাকরিরত কর্মীদের ধাপে ধাপে তলব করা হচ্ছে। এরপর এসএসসি-র গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে আজ চাকরি বাতিল হওয়া এমন প্রার্থীদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা।

    আবার, মানিক মামলাতেও সিবিআই-এর ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি। ‘”সুপ্রিম কোর্টে মানিক ভট্টাচার্যর মামলায় অনুপস্থিত ছিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। এটা খুব সন্তোষজনক পরিস্থিতি নয়। সিবিআই আধিকারিকদের বলুন এই মামলা খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখতে।” সিবিআইয়ের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share