Tag: cbi

cbi

  • Anubrata Mondal Case: কেন অনুব্রতর স্ত্রীর চিকিৎসা খরচ বহন? গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআই-তলব ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যকে

    Anubrata Mondal Case: কেন অনুব্রতর স্ত্রীর চিকিৎসা খরচ বহন? গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআই-তলব ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) সিবিআইয়ের (CBI) নজরে আরও এক ব্যবসায়ীর নাম। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, রাজীব ভট্টাচার্য (Rajeev Bhattacharya) নামের ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রয়াত স্ত্রীর চিকিৎসা করিয়েছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তৃণমূল নেতার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্যে প্রায় ৬৬ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী। এমনটাই জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। 

    ইতিমধ্যেই এই বিষয়ক রসিদও এসে পৌঁছেছে গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। দু’বছর আগে ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে মারা যান অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী ছবি মণ্ডল। বীরভূম ছাড়াও কলকাতার একাধিক হাসপাতালে ছবি মণ্ডলের চিকিৎসা করিয়েছিলেন অনুব্রত। সিবিআই গোয়েন্দাদের দাবি, নিউটাউনের এক ক্যানসার হাসপাতলে ছবি মণ্ডলের চিকিৎসার খরচ বহন করেছিলেন রাজীব। রাজীব ভট্টাচার্যেরও চালকল আছে বলেও দাবি করেছেন গোয়েন্দারা। 

    আরও পড়ুন: অনুব্রত-কন্যার কোটি টাকার এফডি ফ্রিজ়, সিবিআই নজরে মা কালীর গয়নার উৎসও

    সিবিআই আরও দাবি করেছেন, অনুব্রতের হয়ে তাঁর একাধিক চালকলের দেখাশোনা করতেন রাজীব। ওই ব্যবসায়ীকে একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। ফের আরও একবার এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রাজীবকে তলব করেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। 

    সিবিআই সূত্রে খবর, এই রাজীব ভট্টাচার্যের নামে ১০ থেকে ১২টি রাইস মিল রয়েছে ৷ এমনকি ইতিমধ্যেই রাজীব ভট্টাচার্যের নামে ব্যাংকে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারী সংস্থা ৷ রাজীব ভট্টাচার্যের আয়কর রিটার্নের ফাইল খতিয়ে দেখেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ আর তাতেই হাসপাতালে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি সামনে আসে।

    আরও পড়ুন: গরু পাচারকাণ্ডে এবার বেসরকারি ব্যাংক কর্তাদের তলব সিবিআইয়ের! কী জানতে চাইল তারা? 

    আচমকা অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রীর চিকিৎসার বিল কেন মেটাতে গেলেন রাজীব ভট্টাচার্য? তাহলে কি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কোনওভাবে যোগসূত্র রয়েছে ওই ব্যবসায়ীর ৷ এই প্রশ্নগুলিই রাজীবকে করতে পারেন সিবিআই গোয়েন্দারা। এ নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকেও একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দারা ৷ কিন্তু কোনও জবাব আসেনি অনুব্রতর তরফ থেকে।   

    গোয়েন্দারা মনে করছেন, কোটি কোটি কালো টাকা সাদা টাকায় বদলেছেন ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্য৷ এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বুধবার বিকেল ৩টের সময় তাঁকে বোলপুরে সিবিআই এর অস্থায়ী ক্যাম্পে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে ৷ তবে তিনি হাজিরা দেন কিনা এখন সেই অপেক্ষাতেই রয়েছেন গোয়েন্দারা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Coal Smuggling Scam: কয়লা পাচার কেলেঙ্কারিতে লালার সহযোগীদের বিরুদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা

    Coal Smuggling Scam: কয়লা পাচার কেলেঙ্কারিতে লালার সহযোগীদের বিরুদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার কেলেঙ্কারিতে (Coal Smuggling Scam) জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা। মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি (Anup Maji) ওরফে লালার ১৫ জন সহযোগীর নামে জারি হয়েছে ওই পরোয়ানা। মঙ্গলবার আসানসোলের (Asansole) বিশেষ সিবিআই আদালত (CBI Court) এই পরোয়ানা জারি করে। কয়লা পাচার কেলেঙ্কারিতে যে ৪১ জনের নামে চার্জশিট পেশ করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে এঁরাও রয়েছেন। এদিকে, কয়লা পাচার কেলেঙ্কারিতে ধৃত বিকাশ মিশ্র ও চারজন বর্তমান এবং প্রাক্তন ইসিএল আধিকারিককে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের সিবিআই আদালত।

    বছর দুয়েক আগে কয়লাপাচারকাণ্ডে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। এই মামলায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে লালার নাম। লালা সহ একাধিক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করেছে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিও। সুপ্রিম কোর্টে লালা জামিন পেলেও, তাঁর সঙ্গী গুরুপদ মাজি এখন তিহাড় জেলে বন্দি। এই মামলায় রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককেও ইতিমধ্যেই জেরা করেছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন : কয়লা পাচার কাণ্ডে ফের ইডির তলব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে

    এদিকে, এদিনই কয়লা পাচার মামলায় সিবিআই আদালতে তোলা হয় ইসিএলের প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার সুভাষ মুখোপাধ্যায়, সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিজিৎ মল্লিক, তন্ময় দাস, সুভাষ চন্দ্র মৈত্র, মুকেশ কুমারকে। আর আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয় ইসিএলের নিরাপত্তা আধিকারিক দেবাশিস মুখোপাধ্যায় ও রিঙ্কু বেহারাকে। সিবিআই আদালতে তোলা হয় অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশকেও।

    এদিন সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে বলেন, ধৃতদের জামিন দিলে তদন্তে বিঘ্ন ঘটতে পারে। তাই তাঁদের ফের জেল হেফাজত দেওয়া হোক। যদিও অভিযুক্তদের আইনজীবীরা বলেন, বাকি যাঁদের নামে চার্জশিট রয়েছে, তাঁদের এখনও পর্যন্ত ধরা যায়নি। কিংবা তাঁদের শমন পাঠানো হয়েছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। তাই ধৃত ইসিএল আধিকারিকদের আটকে না রেখে তাঁদের জামিন দেওয়া হোক। তাঁরা তদন্তে সহযোগিতা করবেন। দু পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে ধৃতদের ফের ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • AAP Bus Scam: বাস দুর্নীতিতে আপ সরকারের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের

    AAP Bus Scam: বাস দুর্নীতিতে আপ সরকারের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। এবার বাস কেনায় দুর্নীতির (CBI Investigation for Bus Scam) অভিযোগে দিল্লির বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতে শাসক দল আমি আদমি পার্টির (AAP) বিরুদ্ধে সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিলেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনা (Delhi Lieutenant Governor Vinai Kumar Saxena)। জানা গিয়েছে, গত মাসেই আপের বিরুদ্ধে বাস দুর্নীতির অভিযোগে নতুন করে সরব হয় গেরুয়া শিবির (BJP)। এরপরে মুখ্যসচিব নরেশ কুমার লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে ওই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করেন। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে হাজারটি বাস কেনা ও তার রক্ষনাবেক্ষনের টেন্ডারে দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি। যদিও বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা সুর চড়িয়েছে আম আদমি পার্টি। আপের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সবটাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: আপের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে চলেছেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর, কেন জানেন?        
     
    দিল্লি ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (Delhi Transport Corporation) সম্প্রতি হাজারটি লো ফ্লোর বাস কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। টেন্ডার দেওয়া হয় একটি সংস্থাকে। অভিযোগ, নিয়মের তোয়াক্কা না করেই দিল্লির পরিবহণ মন্ত্রীকে টেন্ডার কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়। গত জুন মাসে এই নিয়ে উত্তাল হয় বিরোধী দল। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে নতুন করে অভিযোগ জমা পড়ে। দিল্লির মুখ্যসচিব রিপোর্ট জমা দিলে দেখা যায়, সেই রিপোর্টে তিনি বেনিয়মের কথাই উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি টেন্ডারেও ত্রুটি রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। পরে ওই বাস কেনা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  
     
    এদিকে বাস কেনার বেনিয়মের অভিযোগ উড়িয়ে আম আদমি পার্টির মুখপাত্র সৌরভ ভরদ্বাজ বলেন, “যে বাসের কথা বলা হচ্ছে তা কেনার প্রক্রিয়া আগেই স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। গত দেড় বছরে এই মামলায় সিবিআই কিছুই বেনিয়ম খুঁজে পায়নি।” পাশাপাশি দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে আপের পক্ষ থেকে বলা হয়, “নিজের ওপর ওঠা অভিযোগগুলি থেকে দৃষ্টি সরাতে এখন বাসের প্রসঙ্গ টানছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর।” 

    আরও পড়ুন: অসংসদীয় আচরণ, সাসপেন্ড করা হল রাজ্যসভার আরও ৩ সাংসদকে

    সিবিআই ইতিমধ্যেই এই বাসগুলি কেনা এবং বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত চুক্তিগুলি নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে তদন্ত চালাচ্ছে। তার মধ্যেই লেফটেন্যান্ট গভর্নর নতুন অভিযোগগুলিকেও যুক্ত করার জন্য সিবিআই-কে অনুমোদন দিয়েছেন। নিজের সাফাইয়ে আপ জানিয়েছে, ‘‘বাস কখনও কেনাই হয়নি, দরপত্রও বাতিল করা হয়েছিল।  
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Anubrata Mondal: জামিনের আবেদন খারিজ সিবিআই আদালতে, ফের জেলেই ফিরতে হল অনুব্রতকে

    Anubrata Mondal: জামিনের আবেদন খারিজ সিবিআই আদালতে, ফের জেলেই ফিরতে হল অনুব্রতকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খারিজ হয়ে গেল জামিনের আবেদন। ফের জেলের ছোট্ট কুঠুরিতেই ফিরতে হল তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে বুধবার ফের আসানসোলে সিবিআইয়ের (CBI) বিশেষ আদালতে তোলা হয় গরু পাচার কেলেঙ্কারিতে (Cattle Smuggling Scam) সিবিআইয়ের হাতে ধৃত অনুব্রতকে। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে চাওয়া হয় জামিন। জামিনের আবেদন খারিজ করে বিচারক তাঁকে ফের ১৪ দিনের জেলা হেফাজতের নির্দেশ দেন। ২১ সেপ্টেম্বর ফের তাঁকে তোলা হবে আদালতে। তৃণমূল নেতার জামিনের বিরুদ্ধে সওয়াল করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে বলা হয়, এখন যদি অনুব্রত মণ্ডলের জামিন হয়ে যায় তাহলে তদন্ত একদমই করা যাবে না।

    সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক এদিন জানতে চান, বাংলাদেশে গরু পাচারে কীভাবে জড়িত অনুব্রত? তখনই সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, হাট থেকে গরু যেত বাংলাদেশ সীমান্তে। সেখানে শুল্ক দফতর কোনও পদক্ষেপ করলে বাধা দেওয়া হত তাদের। শুল্ক আধিকারিকদের রীতিমতো হুমকি দিতেন অনুব্রত এসবের প্রমাণ স্বরূপ সিবিআই সিডির কথা উল্লেখ করে। যদিও বাংলাদেশে যে গরু পাচার করা হত, তার কোনও নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে নেই বলেই দাবি করেন অনুব্রতর আইনজীবী। তবে সিবিআইয়ের দাবি, এনামূলের সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে অনুব্রতর।

    আরও পড়ুন : গরুপাচার মামলায় এবার সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর

    এদিকে, এদিন অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য আদালতে জমা দিয়েছে সিবিআই। অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে প্রচুর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলেও আদালাত জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের দাবি, এনামুলের সঙ্গে তৃণমূল নেতার যে টাকার লেনদেন হয়েছে, সে তথ্যও রয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন মধ্যস্থতার কাজ করতেন। অনুব্রতর হয়ে টাকা তুলতেন তিনিই। সিবিআইয়ের আইনজীবী কালীচরণ মিশ্র বলেন, এর প্রমাণ রয়েছে সিডিতেই। প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিনের মধ্যেই অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। অনুব্রত, তাঁর মেয়ে এবং প্রয়াত স্ত্রীর নামেও মিলেছে প্রচুর সম্পত্তির হদিশ।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Saradha Scam: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যে বয়ান দিতে দেবযানীকে চাপ সিআইডি-র! সিবিআইকে বিস্ফোরক চিঠি মায়ের

    Saradha Scam: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যে বয়ান দিতে দেবযানীকে চাপ সিআইডি-র! সিবিআইকে বিস্ফোরক চিঠি মায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে প্রায় থিতু হয়ে যাওয়া সারদাকাণ্ড (Saradha scam)। এবার সিবিআইকে (CBI) চিঠি দিলেন সারদাকাণ্ডে অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মা শর্বরী মুখোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ওই সংস্থাকে শর্বরী জানিয়েছেন, সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ছ’কোটি টাকা নিয়েছেন বলে যেন সিবিআইয়ের কাছে স্বীকার করেন দেবযানী। শর্বরীর অভিযোগ, ২৩ অগাস্ট জেলে গিয়ে সিআইডি দেবযানীকে চাপ দিয়ে একথা বলতে বলে। 

    মাসকয়েক আগে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন সিবিআইকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারীকে তিনি নিজে কয়েক কোটি টাকা দিয়েছেন। সুদীপ্ত সেনের এই বক্তব্যকেই হাতিয়ার করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। নানা সময়ে তাঁরা আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দুকে। সারদাকাণ্ডের জেরে ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল কাশ্মীরের সোনমার্গ থেকে গ্রেফতার করা হয় সুদীপ্ত সেন ও তাঁর সহকর্মী দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে। বর্তমানে আলিপুর মহিলা সংশোধানাগারে বন্দি রয়েছেন দেবযানী। বাংলার পাশাপাশি ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডেও তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। বাংলায় রেহাই পেলেও, প্রতিবেশী দুই রাজ্যের মামলা থেকেও অব্যাহতি পেতে হবে তাঁকে। তা না পাওয়ায় বন্দি রয়েছেন তিনি।

    সারদা গ্রুপ অফ ইন্ড্রাস্ট্রিজের পদস্থ কর্তা ছিলেন দেবযানী। সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে এ পর্যন্ত ৬০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। লগ্নিতে বেশি অর্থ ফেরতের আশ্বাস দিয়ে বাজার থেকে কয়েকশো কোটি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সারদার কোম্পানির বিরুদ্ধে। সেই মামলায়ই এবার এল নয়া মোড়। 

    শর্বরী বলেন, মেয়েকে মানসিক চাপ দিচ্ছে সিআইডি (West Bengal CID)। শুভেন্দু অধিকারী ও সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) নামে অভিযোগ করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে। সারদার কাছ থেকে দুজনেই নিয়েছেন ৬ কোটি করে টাকা। তাঁর সামনেই টাকা দেওয়া হয়েছে বলে বয়ান দিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে দেবযানীকে। অভিযোগ না করলে আরও ৯টি মামলায় ফাঁসানো হবে তাঁকে। ঘটনাটিকে ধিক্কার জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, এক সময়ের মর্যাদা সম্পন্ন সিআইডি বর্তমানে পিসি-ভাইপোর দারোয়ানে পরিণত হয়েছে।

    আরও পড়ুন : মমতার ‘গদ্দার’ কটাক্ষের জবাব দিলেন শুভেন্দু, কী বললেন জানেন?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • Anubrata Mondal: ফের মিলল অনুব্রতর সম্পত্তির হদিশ, কোথায় জানেন?  

    Anubrata Mondal: ফের মিলল অনুব্রতর সম্পত্তির হদিশ, কোথায় জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মিলল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandol) বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ। অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারিকে  জিজ্ঞাসাবাদ করে বীরভূমের তৃণমূল (TMC) নেতা অনুব্রতর সম্পত্তির হদিশ পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। বুধবারই ফের আদালতে পেশ করা হবে গরু পাচার মামলায় (Cattle Sumggling Scam) ধৃত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে। তার ঠিক আগের দিনই খোঁজ মিলল সম্পত্তির।

    গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। ইতিমধ্যেই তাঁর নামে বেনামে থাকা প্রচুর সম্পত্তির হদিশও পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। পেয়েছে রেজিস্টার্ড সম্পত্তির হদিশও। অনুব্রত তো বটেই, তাঁর কন্যা এবং প্রয়াত স্ত্রী ছাড়াও অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তির পরিমাণও চমকে দেওয়ার মতো। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রতর একার নামেই রয়েছে ২৪টি সম্পত্তি। তাঁর মেয়ের সম্পত্তির পরিমাণ ২৬টি। অনুব্রতর প্রয়াত স্ত্রী ছবির নামেও রয়েছে ১২টি সম্পত্তি। সব মিলিয়ে মণ্ডল পরিবারের নথিভুক্ত সম্পত্তির পরিমাণ ৬২টি।

    জানা গিয়েছে, অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মণীশকে সোমবার তলব করে সিবিআই। সেখানে তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন নথিপত্র চেয়ে নেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এর আগে অগাস্ট মাসেও একবার মণীশকে তলব করেছিল সিবিআই। সেদিন ঘণ্টা দুয়েক ধরে জেরা করা হয় তাঁকে। এদিন মণীশকে ফের জেরা করেই জানা গেল, বোলপুরে আরও সম্পত্তি রয়েছে অনুব্রতর নামে। কেবল অনুব্রত নন, তাঁর ঘনিষ্ঠ অনেকের নামেও আরও প্রচুর পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে।

    আরও পড়ুন : অনুব্রত, তাঁর ঘনিষ্ঠদের নথিভুক্ত সম্পত্তি ঠিক কত? জানলে চোখ কপালে উঠবে

    এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তবে তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থের হদিশ মেলেনি। যা মিলেছে, তা হল বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির। অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের জেরা করে সেই সম্পত্তিরই খোঁজ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Suvendu on Mamata: মমতার ‘গদ্দার’ কটাক্ষের জবাব দিলেন শুভেন্দু, কী বললেন জানেন?

    Suvendu on Mamata: মমতার ‘গদ্দার’ কটাক্ষের জবাব দিলেন শুভেন্দু, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) মতো মানুষদের কড়া শাস্তি হওয়া উচিত। বুধবার এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রেরণায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৮০০ থেকে ১০০০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এভাবে তিনি বেকার যুবক যুবতীদের স্বপ্নভঙ্গ করে দিয়েছেন। এর পরেই শুভেন্দু বলেন, এই সব মানুষের কড়া শাস্তি হওয়া উচিত। তিনি বলেন, বিশেষ আদালত বসিয়ে বিচার করতে হবে।

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায়ই ৮০০ থেকে ১০০০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং এভাবে বেকার যুবক যুবতীদের স্বপ্ন  ভেঙে চুরমার করে দিয়েছেন। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে গদ্দার বলে অভিহিত করেছিলেন। এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, গদ্দার বলার আগে ওঁর এ ব্যাপারে ভাবা উচিত ছিল। কে গদ্দার, সবাই জানে। তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম বিধানসভা নির্বাচনের ফলই বলে দেবে কে গদ্দার, আর কে নয়। মানুষ এর উত্তর ওঁকে দিয়েছেন। তাই আমি আর এর বেশি কিছু বলতে চাই না।

    এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রায় পঞ্চাশ কোটি টাকা। হদিশ মিলেছে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তিরও। বুধবার স্পেশাল কোর্টে তোলা হলে পার্থ ও অর্পিতার বিচার বিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। গত মাসেই পার্থ ও অর্পিতাকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পার্থ গ্রেফতার হতেই তাঁকে ছেঁটে ফেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ খোয়ান মন্ত্রিত্ব। কেড়ে নেওয়া হয় তাঁর তৃণমূলের সদস্য পদও।

    আরও পড়ুন : অনুব্রত একজন মাফিয়া, মমতার প্রশ্রয়ে ওর বাড়বাড়ন্ত, বললেন শুভেন্দু

    এর কয়েক সপ্তাহ পরেই গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই গ্রেফতার করে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। এর পরেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, বিরোধীদের দমন করতে কেন্দ্র ব্যবহার করছে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন সংস্থাকে। সাহস থাকলে তাঁকে গ্রেফতার করা হোক বলেও বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় এবার সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর

    Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় এবার সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় আরও এক কেষ্ট-ঘনিষ্ঠকে গ্রেফতার করল সিবিআই। এদিন সকালে বোলপুরের তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে প্রায় দু ঘণ্টা তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। এই বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মনু অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিত। আয়-ব্যয় সংক্রান্ত নথি যাচাই করে, দু ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর আটক করা হয় তাঁকে। আয়-ব্যয় সংক্রান্ত নথি যাচাইয়ের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় কনসালট্যান্টের অফিসে।

    বোলপুরে একসঙ্গে ৪ জায়গায় হানা দিয়েছে সিবিআই। তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়ি ছাড়াও তৃণমূল কর্মী সুদীপ রায় ও অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ সুজিত দে- র বাড়িতেও চলছে সিবিআই তল্লাশি। সিবিআই সূত্রে দাবি, গরুপাচার মামলার তদন্তে উঠে এসেছে অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ এই তিনজনের নাম। সেই কারণেই এই অভিযান। একইসঙ্গে তল্লাশি চলছে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির বোলপুরের বাড়িতে।

    আরও পড়ুন: পারলে আমাকে জেলে ভরো…মমতার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কী বললেন নাড্ডা?

    সিবিআই গোয়েন্দাদের দাবি, অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিপুল সম্পত্তির নথি গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। অনুব্রতর একার নামেই ২৪টি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। এছাড়া অনুব্রত-কন্যা সুকন্যার নামে ২৬টি সম্পত্তির নথি পেয়েছেন গোয়েন্দারা। অনুব্রতর স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামেও ১২টি সম্পত্তি রয়েছে। অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের নামে ৪৭টি সম্পত্তি রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনের নামে রয়েছে ৩২টি সম্পত্তি! বিদ্যুতের স্ত্রী মহুয়া গায়েনের নামে ২টি জায়গায় সম্পত্তি রয়েছে। অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কমলকান্তি ঘোষ ও তাঁর পরিবারের নামে ১৮টি সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা।   

    আরও পড়ুন: অনুব্রত মামলায় বিচারককে হুমকি চিঠি-কাণ্ডে ধৃত আইনজীবী! আটক তাঁর সহকারীও 

    মঙ্গলবার আসানসোলে অনুব্রতকে জেরা করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। অনুব্রত-ঘনিষ্ঠদের এত বিপুল সম্পত্তির উৎস কী, তার সন্ধানে রয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও সংশোধানাগারে জেরা করেন সিবিআই গোয়েন্দারা। তার পর দিনই কেষ্ট-ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই।       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Sonali Phogat: সোনালি ফোগাট মামলার তদন্তে সিবিআই? দুই অভিযুক্তের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজত

    Sonali Phogat: সোনালি ফোগাট মামলার তদন্তে সিবিআই? দুই অভিযুক্তের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়োজনে সোনালি হত্যা মামলায় (Sonali Phogat Death Case) তদন্তের ভার নেবে সিবিআই (CBI)। রবিবার নিশ্চিত করলেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত (Pramod Sawant)। যত দিন যাচ্ছে ততই সোনালি ফোগাট মামলায় ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে এই সিনেমা। সোনালি মামলার তদন্ত চালাচ্ছে গোয়া পুলিশ। সেই তদন্তে নাখুশ সোনালির পরিবার। তাই সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে শনিবার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের (Manohar Lal Khattar) বাসভবনে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। তদন্ত যাতে ঠিক ভাবে হয়, তার জন্য সিবিআই হস্তক্ষেপের দাবি জানান।

    আরও পড়ুন: সোনালিকে জোর করে খাওয়ানো হয়েছিল মাদক, চাঞ্চল্যকর দাবি গোয়া পুলিশের
      
    খট্টরের অনুরোধেই রবিবার গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত সোনালি-হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। প্রমোদের কথায়,“সিবিআই দায়িত্ব গ্রহণ করুক। এতে আমার কোনও সমস্যা নেই। আমাদের দিক থেকে সব চেষ্টা করব। পরে প্রয়োজনে মামলা সিবিআই- এর হাতে তুলে দেওয়া হবে।”

    গোয়ায় ঘুরতে গিয়ে মৃত্যু হয় বিজেপি নেত্রী তথা টিকটক স্টার সোনালি ফোগাটের। প্রাথমিক তদন্তে মৃত্যুর কারণ লেখা হলেও খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। তদন্তে নেমে একে একে চাঞ্চল্যকর বিষয় জানতে পারে পুলিশ। জোর করে মাদক খাওয়ানো, তিন বছর ধরে ক্রমাগত ধর্ষণ, শরীরে ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতের মতো ভয়ঙ্কর বিষয় সামনে আসে। ময়না তদন্তের রিপোর্টেও প্রায় একই দাবি করা হয়। 

    আরও পড়ুন: সোনালি ফোগাটের পোস্টমর্টেম রিপোর্টে ঘনীভূত রহস্য, গ্রেফতার দুই সহকারী

    রবিবার হরিয়ানার বিজেপি নেত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাচক্রে, এই ব্যক্তিও এক জন মাদক পাচারকারী। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে মাদক উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে গোয়া পুলিশ। রেস্তোরাঁর মালিক এবং মাদক পাচারকারীকে ৫ দিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তাদের জামিনের আবেদনও মঞ্জুর করেনি আদালত।

     

    বৃহস্পতিবারের পর থেকে সোনালির মৃত্যুর ঘটনায় এই নিয়ে মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়া পুলিশ। এর মধ্যে তিন জনই মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত স। এদের মধ্যে দুজনকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। যার মধ্যে এক জন গোয়ার আঞ্জুনা বিচের সৈকত-রেস্তোরাঁ তথা পাব ‘কার্লিজ শ্যাক’-এর মালিক এডউইন জোসেফ নুনেজ। অন্য জনের নাম দত্তপ্রসাদ গাঁওকর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি মাদক পাচারকারী। ওই গ্রেফতারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শনিবার গ্রেফতার করা হয় তৃতীয় মাদক পাচারকারীকে। সূত্রের খবর, এই তৃতীয় মাদক পাচারকারী সোনালির সহকর্মীদের মাদক এনে দিয়েছিলেন।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • Nadda on Mamata: পারলে আমাকে জেলে ভরো…মমতার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কী বললেন নাড্ডা? 

    Nadda on Mamata: পারলে আমাকে জেলে ভরো…মমতার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কী বললেন নাড্ডা? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য বিজেপিকে (BJP) চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত একটি জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন মমতা। সেখানেই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানান তিনি। এদিন তার কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল বিজেপি। 

    দলের হেভিওয়েট দুই নেতাকে গ্রেফতার করেছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) গ্রেফতার হয়েছেন এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (SSC Scam)। আর তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandol) গ্রেফতার হয়েছেন গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case)। দুজনকেই প্রথমে তলব করেছিল সিবিআই। পরে করা হয় গ্রেফতার। এদিনের সমাবেশে সেই প্রসঙ্গ টেনে গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আমরা বিজেপিকে শূন্যে নামিয়ে আনব। তারা চায়, তৃণমূলের অন্য নেতাদেরও গ্রেফতার করতে। এর পরেই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মমতা বলেন, এসো, আমাকে গ্রেফতার কর, যদি পার। আমি জেল থেকে বিজেপিকে গোহারা হারাব। তৃণমূল নেত্রী বলেন, এর পর ওরা মলয় (ঘটক) এবং ফিরহাদ (হাকিম)কে গ্রেফতার করতে চায়। অভিষেককেও…। মমতা বলেন, অভিষেককে ইতিমধ্যেই নোটিশ পাঠিয়েছে, নোটিশ পাঠিয়েছে তার স্ত্রীকেও। আমি বলছি, এমনকী তাদের ছেলেকেও নোটিশ পাঠাবে।

    আরও পড়ুন : সিবিআই থেকে জেল হেফাজত হতেই কেষ্ট-‘কলঙ্ক’ ঝেড়ে ফেলতে চাইছে তৃণমূল?

    দিল্লি দখল যে তাঁর প্রধান লক্ষ্য এদিন তাও গোপন করেননি মমতা। বলেন, আমার মূল লড়াই দিল্লির জন্য। দিল্লি থেকে বিজেপিকে তাড়াব। ২০২৪ সালে বিজেপিকে আমরা দিল্লি থেকে দূর করব। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা ভয় ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি লোকসভা নির্বাচন জিততে চায় প্রত্যেকে জেলের ভিতরে রেখে। আমি বলছি, তোমার যদি ধৃষ্টতা থাকে, তাহলে আমাকেও জেলে ঢোকাও। আমরা দেখব, নির্বাচনের ফল কী হয়। তৃণমূল নেত্রী বলেন, আমরা লড়াই করব, এবং আমরা জিতব এবং বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করব।           

    তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। এই মুহূর্তে ত্রিপুরা সফরে রয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। তিনি বলেন, বিজেপি তৃণমূলের জনবিরোধী নীতি, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা এবং মহিলাদের ওপর নৃশংসতার বিরোধী। তাঁর তোপ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। অথচ তাঁর রাজ্যেই মহিলা পাচারের ঘটনা দেশের মধ্যে সব চেয়ে বেশি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share