Tag: cbi

cbi

  • Cattle Smuggling Case: গরু পাচারের টাকার খোঁজ পেতে সায়গলকে হেফাজতে নিতে চায় ইডি!

    Cattle Smuggling Case: গরু পাচারের টাকার খোঁজ পেতে সায়গলকে হেফাজতে নিতে চায় ইডি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) হাত বদল হয়েছে কোটি কোটি টাকা। এতদিন এই মামলায় তদন্ত করছিল সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতারও হয়েছে তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) এবং তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন (Saigal Hossain)। সিবিআইয়ের পাশাপাশি এবার গরু পাচার মামলায় অনুব্রত ও সায়গলের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করল ইডি (ED)। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সায়গলকে হেফাজতে নিতে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন করেছে ইডি। আসানসোল জেল থেকে তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চান ইডির আধিকারিকরা। গরু পাচারের টাকা কোথায় গেল, তারই খোঁজ পেতে চাইছেন তাঁরা।

    তৃণমূল জমানায় রাজ্যে নানা ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি, গরু এবং কয়লা পাচারকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটেছে জোড়াফুল জমানায়। ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে ইডি গ্রেফতার করেছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর ঘনিষ্ঠ সহ বেশ কয়েকজনকে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৫০ কোটির কাছাকাছি টাকা। নামে বেনামে প্রচুর সম্পত্তির হদিশও মিলেছে। উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ সোনাও। রাজ্যে আগাছার মতো বেড়ে ওঠা এই সব কেলেঙ্কারির শেকড়ে পৌঁছতে তদন্ত গতি আনছে ইডি। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন ইডির ২০ জন আধিকারিক। চলতি সপ্তাহেই আরও কয়েকজন আধিকারিক এসে পৌঁছবেন বলে ইডি সূত্রে খবর। নানা ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন ও আর্থিক তছরুপের যে অভিযোগ উঠেছে, সেই সব তদন্ত প্রক্রিয়ায় গতি আনতে বড় টিম তৈরি করতে চাইছে ইডি। তাই দিল্লি থেকে আসছেন আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন : দুধের গাড়ি উল্টে যেতেই বেরলো পাল-পাল গরু! ‘পাচারের নয়া পন্থা’, আক্রমণ শুভেন্দুর

    জানা গিয়েছে, ইডির আধিকারিকদের এই টিম একসঙ্গে একাধিক জায়গায় হানা দেবে। পার্থ–অর্পিতা মামলার তদন্তের পাশাপাশি কয়লা পাচার ও গরুপাচারে আর্থিক বিষয়ে কেলেঙ্কারির দিকটি খতিয়ে দেখবে ১০টি টিম। ইডি সূত্রে খবর, অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি এখনও রয়েছেন যাঁদের এখনও ছোঁয়া হয়নি। তাঁদের ধরতে গেলে এক জায়গায় হানা দিলে হবে না। একসঙ্গে বেশ কয়েকটি জায়গায় হানা দিতে হবে। সেই কারণেই কলেবর বাড়ছে ইডির। 

    প্রসঙ্গত, কোনও মামলার দুর্নীতির দিকটি খতিয়ে দেখে সিবিআই। আর আর্থিক তছরুপের দিকটি নিয়ে তদন্ত করে ইডি। রাজ্যে একাধিক দুর্নীতির ক্ষেত্রে সত্য উদ্ঘাটন করতে আসরে নেমেছে এই দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামূল হককে আগেই গ্রেফতার করেছিল ইডি। একটি সূত্রের খবর, এবার ওই মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকেও হেফাজতে নিতে চাইতে পারে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • Cow Smuggling Case:  অনুব্রত-কন্যার নামে জমির হদিশ!  বোলপুরের বিএলআরও অফিসে কী পেল সিবিআই?

    Cow Smuggling Case: অনুব্রত-কন্যার নামে জমির হদিশ! বোলপুরের বিএলআরও অফিসে কী পেল সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোলপুরের জমি রেজিস্ট্রি অফিসে তল্লাশি চালিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যার নামে জমির হদিশ পেল সিবিআই। মঙ্গলবার সকালে সিবিআইয়ের (CBI)দুই সদস্যের এক প্রতিনিধি দল বোলপুরে অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সাব রেজিস্ট্রার অফিস হানা দেয়। একেবারে অফিস খোলার সঙ্গে সঙ্গেই আসেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। 

    আরও পড়ুন: পার্থ-কাণ্ডে এবার উঠে এল এক ব্যাঙ্ক দম্পতির নাম! কালো টাকা সাদা করতে এরাই কি সাহায্য করত ?

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, অফিসের যেখানে দলিল সহ বাড়ি-জমির কাগজপত্র সার্চিং করা হয়, সেখানেই যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। অনুব্রত মণ্ডল সহ তাঁর কয়েকজন আত্মীয়ের যে সমস্ত বাড়ি-জমির নথি গোয়েন্দাদের কাছে এসেছে, সেগুলি কবে কেনা হয়েছে বা মালিকানা হস্তান্তর হয়েছে, সেটাই গোয়েন্দারা সার্চিং করে দেখেন। একেবার সার্চিং দফতরে কর্মীকে কম্পিউটারের সামনে বসিয়ে কোন সম্পত্তি কবে, কার থেকে, কত দামে কেনা হয়েছিল এবং বর্তমান মালিক কে তার খোঁজ নেন গোয়েন্দারা।

    আরও পড়ুন: বাম-বিজেপি নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে নয়া মোড়! কী হল আদালতে?

    সিবিআই সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে একাধিক নথি আধিকারিকরা পেয়েছেন। এদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত ছ’ঘণ্টা ধরে তাঁরা বিভিন্ন নথিপত্র খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন। এর পর তাঁরা ওই দফতর থেকে বেরিয়ে যান। বোলপুরের জমি রেজিস্ট্রি অফিসে নথিপত্র ঘেঁটে দেখার সময় সুকন্যার জমি ও সম্পত্তির হদিশ মেলে। অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যা ছাড়াও তাঁদের ঘনিষ্ঠদের স্থাবর সম্পত্তি ঠিক কত, সে সম্পর্কে তথ্য  খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা।

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুরের বল্লভপুর এলাকায় ০.৬২ একর জমির সন্ধান মিলেছে সুকন্যার নামে। সিবিআই আধিকারিকরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। অনুব্রতের দেহরক্ষী সহগল হোসেনের নামেও কোনও জমি আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সহগল এখন সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। পাশাপাশি বীরভূমের একাধিক চালকলের লিজের কাগজপত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cattle Smuggling Threat Letter: ‘অনুব্রতকে জামিন দিন, না হলে…’ হুমকি-চিঠি সিবিআইয়ের বিচারককে!

    Cattle Smuggling Threat Letter: ‘অনুব্রতকে জামিন দিন, না হলে…’ হুমকি-চিঠি সিবিআইয়ের বিচারককে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই (CBI) হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। তবে সক্রিয় তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গোরা। ওয়াকিবহাল মহলের এহেন ধারণার কারণ একটি হুমকি চিঠি। আসানসোলের (Asansole) সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারকের কাছে আসা ওই চিঠিতে লেখা, অনুব্রত মণ্ডলকে গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) জামিন দিতে হবে। না হলে খোদ বিচারককেই ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে মাদক মামলায়।

    গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। আপাতত তিনি রয়েছে সিবিআই হেফাজতে। চলছে আইনি প্রক্রিয়াও। খুব শীঘ্রই হয়তো তাঁর জামিনের আবেদন জমা পড়বে আদালতে। এমতাবস্থায় অনুব্রতর জামিন চেয়ে হুমকি চিঠি  পাঠানো হয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারকের কাছে। কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে জামিন দিন, নয়তো সপরিবার মাদক মামলায় ফাঁসানো হবে বলে লেখা হয়েছে ওই চিঠিতে।

    আরও পড়ুন : আরও ৪ দিন সিবিআই হেফাজতে কেষ্ট মণ্ডল, আবার শুনতে হল ‘গরু চোর’ স্লোগানও!

    আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী ২০ অগাস্ট এই হুমকি চিঠি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। যিনি চিঠি পাঠিয়েছেন, তিনি জনৈক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়। চিঠিতে তাঁর নাম লেখা থাকলেও, পরিচয় নেই। সোমবার জেলা জজকে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিলেন তিনি। ঘটনাটি জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকেও।

    ওই বিচারক চিঠি লিখে জানিয়েছেন, তাঁকে লেখা হুমকি চিঠিতে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হয়েছে। তিনি লিখেছেন, কিছুটা আশঙ্কার সঙ্গে জানাচ্ছি, জনৈক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় এই আদালতের অফিসার ইন-চার্জকে চিঠি দিয়ে হুমকি দিয়েছেন। তাঁর দাবি, অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন না দেওয়া হলে আমার পরিবারকে মাদক মামলায় ফাঁসানো হবে।

    আরও পড়ুন : বোলপুরে ফের সিবিআই হানা, এবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ পুরকর্মীর বাড়িতে তদন্তকারীরা

    দিন কয়েক আগে অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে খোদ মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, একজন অনুব্রত গ্রেফতার হলে হাজার হাজার অনুব্রত রাস্তায় নামবে। তার পরেই এই হুমকি চিঠির ঘটনায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mandal: এবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন স্বয়ং অনুব্রত মণ্ডল, কেন জানেন?

    Anubrata Mandal: এবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন স্বয়ং অনুব্রত মণ্ডল, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি নিজেই রয়েছেন সিবিআই (CBI) হেফাজতে। গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) একের পর এক নামে-বেনামে থাকা সম্পত্তির হদিশও পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এই আবহে সেই অনুব্রতই কিনা চেয়ে বসলেন সিবিআই তদন্ত! সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হাজিরা দিতে আসানসোল (Asansole) যাওয়ার পথে তিনি বলেন, জজ সাহেবকে বলব সিবিআই তদন্ত হোক।

    দিন দুই আগেই অনুব্রতর জামিন চেয়ে হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারকের কাছে। কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে জামিন দিন, নয়তো সপরিবার মাদক মামলায় ফাঁসানো হবে বলে লেখা হয়েছে ওই চিঠিতে। আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী ২০ অগাস্ট এই হুমকি চিঠি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। যিনি চিঠি পাঠিয়েছেন, তিনি জনৈক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়। সোমবার জেলা জজকে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিলেন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। ঘটনাটি জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকেও। সেই প্রসঙ্গেই এদিন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি বলেন, আমি জোড় হাত করে জজ সাহেবকে বলব যেন এর সিবিআই তদন্ত করানো হয়। এর আগে এই চিঠি পাঠানোর দায় অনুব্রত চাপিয়েছিলেন বিজেপির ঘাড়ে। তিনি বলেছিলেন, এটা বিজেপি করেছে। তবে সত্যিই কে চিঠিটি পাঠিয়েছে, তা জানতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন সিবিআই হেফাজতে থাকা অনুব্রত।

    আরও পড়ুন : অনুব্রত-কন্যার নামে জমির হদিশ! বোলপুরের বিএলআরও অফিসে কী পেল সিবিআই?

    এদিকে, গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হক বন্দি রয়েছেন দিল্লির তিহার জেলে। ‘প্রভাবশালী’ হওয়ায় অনুব্রতকেও সেখানে নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। সে প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতেই তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি বলেন, এটা নিয়ম আছে না কি? বললেই হয়ে যাবে! তিনি যে প্রভাবশালী নন, এদিন তাও জানান অনুব্রত। তিনি বলেন, ওটা সিবিআইয়ের বক্তব্য। দলনেত্রী সম্পর্কে অনুব্রতর মূল্যায়ন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা করেছেন, অনেক করেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Saigal Hossain: ‘সায়গলই হচ্ছে…’, গরুপাচার কাণ্ডে বড় রহস্যভেদ সিবিআইয়ের

    Saigal Hossain: ‘সায়গলই হচ্ছে…’, গরুপাচার কাণ্ডে বড় রহস্যভেদ সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার (Cattle smuggling) মামলার তদন্তে এবার বড় রহস্যভেদ করল সিবিআই (CBI)। এর ফলে, এই মামলার জট অনেকটাই কাটবে বলে আশা করছেন তদন্তকারীরা। 

    কী রহস্যভেদ? গরুপাচার মামলার তদন্ত শুরু করার পর থেকেই, বারবার সিবিআইয়ের হাতে এসেছে একটি সাংকেতিক শব্দ। সেই শব্দ হল ‘সাইকেল’ (CBI cracks Cycle mystery)। সূত্রের খবর, তদন্তে নামার পর বারবার উঠে আসে সাইকেল শব্দটি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনের মুখে উঠে আসে সাইকেল-শব্দ। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) সঙ্গে অন্যদের কথোপকথনের যে সব বয়ান গরু পাচারের তদন্তে নামা সিবিআইয়ের হাতে এসেছিল, তাতেই তারা প্রথম পেয়েছিল ‘সাইকেল’ শব্দটা।

    আরও পড়ুন: রাজীব ভট্টাচার্য কি কেষ্টর ‘বেনামি’, কার চিকিৎসার জন্য ৬৬ লাখ দিয়েছিলেন? তদন্তে ইডি-সিবিআই

    আর তাতেই এই আপাত নিরীহ শব্দকে নিয়ে জোর খটকা লাগে তদন্তকারী সংস্থার। তদন্তকারীরা জানতে চাইছিলেন সাইকেল কী? এটা কি কোনও সাঙ্কেতিক শব্দ? ধন্দে পড়ে যান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সন্দেহ দৃঢ় হয়, গরুপাচারকারীদের কাছ থেকে আটক করা বিভিন্ন নথিতে সাইকেল শব্দটি পাওয়ার পর। সেখানে সাইকেল নামের পাশে লেখা বিভিন্ন অঙ্কের টাকার কথা। 

    দেখা যায়, প্রতি বার সাইকেল শব্দের পাশে বিভিন্ন অঙ্কের টাকার কথা লেখা আছে। কখনও ১০ লক্ষ টাকা, কখনও আবার ২০ লক্ষ। এমনকি গরু পাচারে মূল অভিযুক্ত এনামুল হক এবং অন্য গরু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা নথিতেও এই সাইকেল শব্দটি পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। তদন্তকারীরা বুঝতে পারছিলেন না, গাড়ি থাকতে কেন সাইকেলের মাধ্যমে টাকা পাঠানো হতো। দীর্ঘদিন ধরে, এই শব্দের রহস্যভেদ করার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। 

    আরও পড়ুন: ‘‘অনুব্রত ওয়েব সিরিজের সবে প্রথম ও দ্বিতীয় এপিসোড বেরিয়েছে…’’, খোঁচা সুকান্তর

    অবশেষে, এই রহস্যের সমাধান করল সিবিআই। সিবিআই সূত্রে দাবি, তদন্তে জানা যায়, অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনই (Saigal Hossain) গরুপাচারকারীদের কাছে পরিচিত ছিলেন ‘সাইকেল’ নামে। তবে কি অনুব্রতকে আড়াল করতেই ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন সায়গল? সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। 

  • Sukanta Majumdar: চিঠির পর এবার সটান রাজভবনে সুকান্ত, ‘খেলা হবে দিবসে’ তৃণমূলকে বেনজির আক্রমণ বিজেপির 

    Sukanta Majumdar: চিঠির পর এবার সটান রাজভবনে সুকান্ত, ‘খেলা হবে দিবসে’ তৃণমূলকে বেনজির আক্রমণ বিজেপির 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি (BJP) নেতাদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। এজন্য রাজ্যের শাসকদলকেই কাঠগড়ায় তুলেছে গেরুয়া শিবির। স্বাধীনতা দিবসের দিন এই অভিযোগ তুলে রাজ্যপালকে চিঠি লিখেছিল রাজ্য বিজেপি। মঙ্গলবার দলীয় নেতাদের নিয়ে সটান রাজভবনে গিয়ে হাজির হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রাজ্যপাল লা গণেশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বেরিয়েই নিশানা করলেন তৃণমূলকে (TMC)। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে, আদর্শের লড়াইয়ে পেরে উঠবে না জেনেই তৃণমূল পুলিশকে সামনে রেখে হিংসা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ সুকান্তের।

    ফালাকাটায় বিজেপি নেতার বাড়িতে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। বাগনানেও এক বিজেপি নেতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। এজন্য তৃণমূলের খেলা হবে (Khela Hobe) স্লোগানকেই দায়ি করে এবং রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ তুলে সোমবার রাজ্যপালকে চিঠি দেয় বিজেপি। মঙ্গলবার বিজেপি নেতাদের সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে উপস্থিত হন সুকান্ত। বেরিয়েই তিনি বলেন, আশঙ্কা নিয়েই রাজ্যপালের কাছে এসেছি। গতকাল থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে। যেভাবে একের পর এক মন্ত্রী, তৃণমূলের নেতারা চুরি, গরুপাচার এবং টাকা রাখার দায়ে ধরা পড়ছেন, তাতে আগামী দিনে হয়তো আরও বাড়বে। গণতান্ত্রিকভাবে তৃণমূল সম্পূর্ণ ব্যাকফুটে। বাংলার বাসে ট্রামে চোর চোর শব্দ শোনা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে হিংসাই একমাত্র আশ্রয় তৃণমূলের। গণতান্ত্রিকভাবে লড়তে না পেরে আদর্শের লড়াইয়ে পেরে উঠতে না পেরে পুলিশকে সামনে রেখে এই কাজ করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

    প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেতাদের মুখে খেলা হবে স্লোগান শোনা যায়। ভোটের পর ১৬ অগাস্ট দিনটি খেলা হবে দিবস হিসেবে পালনের কথা ঘোষণা করা হয়। এদিন সুকান্ত বলেন, তৃণমূল খেলতে চায়। তাদের খেলার লোকের অভাব নেই। কারণ পশ্চিমবঙ্গে যত গুন্ডা মস্তান রয়েছে, তারা সব তৃণমূলের ছত্রছায়ায়। সব থেকে বড় গুন্ডা তৃণমূলের পুলিশ। তিনি বলেন, খেলতে আপত্তি নেই আমাদের। কিন্তু সমানে সমানে খেলা হওয়া উচিত। সমান মাঠ তৈরি করে দিন, বিজেপি ভাল খেলে দেবে। আমাদের বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেওয়া হচ্ছে। ভাল ব্যাটিং করবে। সুকান্ত বলেন, পুলিশকে সরিয়ে দিন না, দেখি কত বড় খেলোয়াড় তৃণমূল!

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছেন মাননীয় নরেন্দ্র মোদিজি, সেই লড়াই চলছে, চলবে। বাংলা নয়, গোটা দেশে রাজনীতি যে রোজগারের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা ভাঙতে চাই। দু চারটি সেতু, রাস্তা তৈরি করতে আসেননি প্রধানমন্ত্রী। ভারতবর্ষের রাজনীতিকে পরিবর্তন করতে ভারতবাসীর চিন্তাধারা পরিবর্তনের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক পরিবার অন্য পরিবারের ক্ষতি করবে না, এই প্রথা থেকে ভারতের রাজনীতিকে বার করে আনতে হবে। পারিবারিক রাজনীতি থেকে বার করে আনতে হবে দেশকে।

    অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, সায়গল পুলিশের সাধারণ সাব ইন্সপেক্টর। তার পক্ষে এই চক্র চালানো সম্ভব নয়, যদি না পিছনে রাজনৈতিক মদত থাকে। তাই সায়গল যে চক্র চালাত, বকলমে তা চালাতেন অনুব্রতই। তাঁকে দায় নিতে হবে। অপরাধী যিনি, তিনি সাজা পাবেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, গরু, কয়লাপাচার প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব নয়। প্রশাসন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এর সঙ্গে যুক্ত থাকে। কেউ ছাড় পাবে না। সকলকে আইনের আওতায় আনা উচিত। আমিও আইনের ঊর্ধ্বে নই, মুখ্যমন্ত্রীও নন। যদি দেখা যায় তাঁর নাম জড়িয়ে যাচ্ছে, তাঁর বাড়িতেই সিবিআই, ইডি যাবে। সম্প্রতি গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া অনুব্রতর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত বলেন, চোর বাঁচাও আন্দোলন চলছে।

    এদিকে, ১৬ অগাস্ট তৃণমূলের খেলা দিবস পালনের কর্মসূচিকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য। ট্যুইটবার্তায় তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৬ অগাস্ট দিনটিকেই বেছে নিয়েছেন খেলা হবে দিবস হিসেবে। এই দিনেই মুসলিম লিগ ডিরেক্ট অ্যাকশন শুরু করেছিল। যা পরে গণহত্যার আকার নেয়। এতে প্রাণ হারান লক্ষ লক্ষ বাঙালি হিন্দু। তাঁর এই প্রচেষ্টা ভয় জাগাবে। ১৯৪৬ সালে ভারতীয় ব্যবসায়ী গোপাল চন্দ্র মুখোপাধ্যায় যেভাবে ভারত জাতীয় বাহিনী গড়ে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, বিজেপিও তেমনি করবে।  

     

  • Anubrata Mondal: সকালে গ্রেফতার, সন্ধ্যায় হেফাজত,  রাতেই  নিজাম প্যালেস! বৃহস্পতিবার অনুব্রতর সারা দিন

    Anubrata Mondal: সকালে গ্রেফতার, সন্ধ্যায় হেফাজত, রাতেই নিজাম প্যালেস! বৃহস্পতিবার অনুব্রতর সারা দিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সকালে গ্রেফতার। সন্ধ্যায় সিবিআই হেফাজত। আপাতত দশ দিন সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ অনুব্রত মণ্ডলকে। রাত পৌনে তিনটে নাগাদ অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই নিয়ে এল কলকাতায় নিজাম প্যালেসে। এই নিজাম প্যালেসেই বারবার তলব করা হয়েছিল বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে। কিন্তু ৯ বার এই ডাক এড়িয়ে যান তিনি। তাই বৃহষ্পতিবার সকালেই অনুব্রতর বাড়ি ঘিরে ফেলে সিবিআই। গেট বন্ধ থাকায় প্রায় আধ ঘণ্টার ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে হয় গোয়েন্দাদের। তারপর গেট খুলিয়ে ঢুকতে হয়। গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতকে। বিকেল পাঁচটায় হাজির করানো হয় আসানসোলের বিশেষ আদালতে। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ শেষ হয় শুনানি। তারপর বিচারক জানান, ২০ আগস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে থাকবেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই সঙ্গেই আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, হেফাজতে থাকাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়লে অন্য কোথাও নয়, অনুব্রতকে কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। 

    হাসপাতাল নয়, গেস্ট হাউসেই অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারের পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সোজা আসানসোলে (Asansol)। আসানসোলের কুলটিতে ECL-এর গেস্ট হাউসে থামে সিবিআইয়ের গাড়ি। সেখানেই তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। শীতলপুর গেস্ট হাউসে অনুব্রতের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেন স্থানীয় কোলিয়ারির সাঁকতরিয়া হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। তাঁর রক্তচাপ মাপা হয় এবং বিভিন্ন ধরনের ওষুধ দেওয়া হয় বলেও সূত্রের খবর। গেস্ট হাউসের বাইরে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে থাকে। অক্সিজেন সিলিন্ডারও মোতায়েন রাখা হয়। বীরভূমের এই দাপুটে নেতার (Anubrata Mondal) শারীরিক যে কোনও সমস্যার মোকাবিলা করতে যে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা প্রস্তুত তা এই আগাম প্রস্তুতি থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়।

    ওই গেস্ট হাউসে অনুব্রতর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর পরই তাঁকে আসানসোল আদালতে তোলা হয়। অনুব্রতর বিরুদ্ধে ৪১ পাতার চার্জশিট তৈরি করা হয়। তবে, হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে ECL-এর গেস্ট হাউসে কেন অনুব্রতর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের সঙ্গে ওই গেস্ট হাউসে মোতায়েন ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। কেন্দ্রীয় জওয়ানরা পুরো গেস্ট হাউস বাইরে থেকে ঘিরে রাখেন। গ্রেফতারি মেমোতে কেষ্টকে সই করিয়ে বৃহস্পতিবারই সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে আদালতে তোলেন।

    আরও পড়ুন: গ্রেফতার হতে না হতেই কেষ্টকে ঝেড়ে ফেলল তৃণমূল!

    অনুব্রতকে আটক করা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। তবে অনুব্রতের আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ বলেন, ‘‘অনুব্রতবাবুকে ৪১-এ ধারায় নোটিস দেওয়া হয়েছে। এই নোটিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়। গ্রেফতার নয়। ওঁকে আটক করা হয়েছে। আমার মক্কেল তদন্তে সহযোগিতা করবেন। তাতে সিবিআই সন্তুষ্ট হবে আশা রাখি।’’

  • Anubrata Mondal: ১০ দিনের সিবিআই হেফাজত অনুব্রতের! জানেন কী বলল আদালত

    Anubrata Mondal: ১০ দিনের সিবিআই হেফাজত অনুব্রতের! জানেন কী বলল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) গ্রেফতার বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই রায় শোনান বিচারক। এদিন আদালতে অনুব্রতর জামিনের আবেদনই করেননি তাঁরা আইনজীবী। সিবিআই তাঁকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে চায়। সূত্রের খবর, আজ রাতেই অনুব্রতকে কলকাতায় নিয়ে আসতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকেরা।

    বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতারির পর বীরভূমের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে বিকেল ৫টা নাগাদ আসানসোলে সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে তোলা হয়। বিচারপতি রাজেশ চক্রবর্তী ধৃত জেলা তৃণমূল সভাপতিকে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে পাঠান। তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন বিচারপতি। আদালতের নির্দেশ, কোনও কারণে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজন পড়লে, অনুব্রতকে কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে দেখাতে হবে। ওই সময় তাঁর দু’জন আইনজীবীকে সঙ্গে রাখতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি ধারা এবং আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনের ৭,১০,১১ এবং ১২ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়। 

    আরও পড়ুন: অনুব্রতর মতো দুষ্কৃতীদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন মমতা, তোপ অমিত মালব্যর

    অনুব্রতকে আদালতে নিয়ে পৌঁছতেই উত্তেজনা ছড়ায়। আদালত চত্বরে ‘চোর’, ‘গরুচোর’ বলে চিৎকার করে ওঠে উপস্থিত জনতা। অনেকে চটি হাতে তেড়ে যায়। বিক্ষোভ হয় আদালত ভবনের ভিতরেও। এর পর কোনওক্রমে অনুব্রতকে কোর্ট লকআপে ঢোকায় সিবিআই। অনুব্রতর আইনজীবী জানান, অনুব্রত অসুস্থ। তা সত্বেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তখন অনুব্রতর কাছে তাঁর অসুস্থতার ব্যাপারে জানতে চান বিচারক। বিচারককে অনুব্রত বলেন, তাঁর শ্বাসকষ্ট রয়েছে। বুকে ব্লকেজ, ব্যথা রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপ, ফিসচুলা, কিডনিক সমস্যা এবং পা ফুলে যাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি।

    পালটা সওয়ালে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে তাঁদের কাছে একাধিক প্রমাণ রয়েছে। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে জানা গিয়েছে তাতে মোটা টাকার লেনদেন হয়েছে। অনুব্রতকে জেরা করলে অনেক নতুন তথ্য পাওয়া যেতে পারে। তাই তাঁকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে চায় সিবিআই। দুপক্ষের বক্তব্য শুনে অনুব্রত মণ্ডলকে ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আগামী ২০ অগাস্ট ফের তাঁকে আদালতে পেশ করতে হবে।

  • Anubrata Mandal: বোলপুরে ফের সিবিআই হানা, এবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ পুরকর্মীর বাড়িতে তদন্তকারীরা

    Anubrata Mandal: বোলপুরে ফের সিবিআই হানা, এবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ পুরকর্মীর বাড়িতে তদন্তকারীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোলপুরে (Bolpur) ফের সিবিআই (CBI) হানা। এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দুই আধিকারিক হানা দিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) ঘনিষ্ঠ জনৈক বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে তল্লাশি। তার পরেই বোলপুর পুরসভার এই সাফাই কর্মীর বাড়ি থেকে চলে যান সিবিআই আধিকারিকরা।

    গরু পাচার মামলায় তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তার পরেই পর্দা ফাঁস হচ্ছে একের পর এক রহস্যের। অনুব্রতর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির নাগাল পাওয়ার পর এবার তাঁর ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিত বিদ্যুৎবরণের বাড়িতে হানা দেন সিবিআইয়ের দুই আধিকারিক। রবিবার ভরদুপুরে বিদ্যুৎবরণের কালিকাপুরের দোতলা বাড়িতে তল্লাশি চালান তাঁরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জেনেছেন, একাধিক কোম্পানিতে লগ্নি রয়েছে অনুব্রতর। সেই কোম্পানিগুলিতে অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে যুগ্ম ডিরেক্টর রয়েছেন এই বিদ্যুৎবরণ। স্থানীয়দের অভিযোগ, অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী হওয়ার পর থেকেই ডালপালা মেলে বিদ্যুৎবরণের সম্পত্তি। পুরসভার এক সাফাইকর্মীর এত সম্পত্তির উৎস কী, মূলত তা জানতেই এদিন বিদ্যুৎবরণের বাড়িতে সিবিআই হানা দেয় বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। যদিও সিবিআই হানা দেওয়ার সময় বাড়িতে ছিলেন না বোলপুর পুরসভার ওই সাফাই কর্মী।

    আরও পড়ুন : ‘‘অনুব্রত ওয়েব সিরিজের সবে প্রথম ও দ্বিতীয় এপিসোড বেরিয়েছে…’’, খোঁচা সুকান্তর

    দিন কয়েক আগে বোলপুরেরই বোম ভোলে চালকলে হানা দেয় সিবিআই। সেই চালকলের ভিতরে থাকা গ্যারেজগুলিতে হদিশ মেলে পাঁচটি দামি গাড়ির। সেই গাড়িগুলিতে সাঁটানো ছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার লেখা স্টিকার। উদ্ধার হয় একটি পাইলট কারও। গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর গ্রেফতারির আগে থেকেই নানা সময়ে তাঁর ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে হানা দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। নানুরের বাসাপাড়ার তৃণমূল নেতা করিম খানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। তল্লাশি চালানো হয়েছে সিউড়ির পাথর ব্যবসায়ী জনৈক টুলু মণ্ডলের বাড়িতেও। পরে তল্লাশি চালানো হয় খোদ অনুব্রতর বাড়িতে। রবিবার হল অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণের বাড়িতে। এর পর কার পালা, আপাতত সেই প্রশ্নেই বুঁদ বীরভূম।

    এদিকে, অনুব্রতর শারীরিক অসুস্থতার যুক্তি খারিজ করে দিয়েছে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত ফের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তার পরেই আসানসোল থেকে তাঁকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন : অনুব্রত একজন মাফিয়া, মমতার প্রশ্রয়ে ওর বাড়বাড়ন্ত, বললেন শুভেন্দু

  • Manish Sisodia: সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি, সিবিআইয়ের জেরা ৩ অভিযুক্তকে

    Manish Sisodia: সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি, সিবিআইয়ের জেরা ৩ অভিযুক্তকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আবগারি নীতি মামলায় আরও বিপাকে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। শুক্রবার তাঁর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই (CBI)। তার পর রবিবার জারি করা হল লুকআউট নোটিশ (Look Out Notice)। তদন্ত চলাকালীন সিসোদিয়া যাতে বিদেশে যেতে না পারেন, সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। কেন্দ্রকে নিশানা করে দিল্লির (Delhi) উপমুখ্যমন্ত্রীর তোপ, সিবিআইয়ের রাজনীতিকরণ হয়েছে। লুকআউট নোটিশ জারির ঘটনাটিকে তিনি নাটক বলেও অভিহিত করেন।

    সিবিআইয়ের তরফে যে এফআইআর দায়ের হয়েছে, তাতে সবার ওপরের নামটি সিসোদিয়ার। তিনি ছাড়াও ওই তালিকায় নাম রয়েছে আরও ১৪ জনের। অভিযোগ, বেশ কিছু ব্যবসায়ীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্যই নয়া আবগারি নীতি আনা হয়েছিল। এই নীতি তৈরিতে সরকারের অংশ নন, এমন ব্যক্তিদেরও মতামত ও পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল। বেআইনিভাবে অনেককে টাকার বিনিময়ে লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। এফআইআর অনুযায়ী, সিসোদিয়া কমপক্ষে দু বার কোটি টাকারও বেশি অর্থ পেয়েছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সঙ্গীদের হাত থেকে। বেআইনিভাবে লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার জন্যই দেওয়া হয়েছিল ওই টাকা।

    আরও পড়ুন : দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই হানা! স্বাগত ট্যুইট মণীশ, কেজরির

    ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি শাসিত সরকারের অঙ্গুলি হেলনেই চলছে সিবিআই। তিনি বলেন, গেরুয়া পার্টি আবগারি কেলেঙ্কারি নিয়ে চিন্তিত নয়, তারা শঙ্কিত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে নিয়ে। কারণ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনিই চ্যালেঞ্জ জানাবেন প্রধানমন্ত্রীকে। সরকারকে আক্রমণ করে সিসোদিয়ার ট্যুইট বার্তা, মোদিজি এটা কি গিমিক। আমি দিল্লিতে মুক্তভাবে ঘোরাফেরা করছি। বলুন, আমার কোথায় আসা উচিত। এদিন অন্য একটি ট্যুইট বার্তায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান, সোমবার থেকেই সিসোদিয়াকে নিয়ে গুজরাটে নির্বাচনী প্রচারে যাবেন তিনি। 

    এদিকে, ওই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেছে সিবিআই। রেকর্ড করা হচ্ছে তাঁদের বয়ানও। তল্লাশিতে উদ্ধার হওয়া নথিপত্র এবং বৈদ্যুতিন পণ্যগুলিও পরীক্ষা করছেন তদন্তকারীরা। এই পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ হলেই বাকি অভিযুক্তদেরও তলব করা হবে বলেও সিবিআই সূত্রে খবর। এদিকে, শনিবার একটি মানহানি মামলায় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উপমুখ্যমন্ত্রী সিসোদিয়া এবং পূর্বতন আপ প্রধান যোগেন্দ্র যাদবকে রেহাই দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। মামলাটি করেছিলেন সুরেন্দর শর্মা নামে এক আইনজীবী।

     

LinkedIn
Share