Tag: cbi

cbi

  • Partha Chatterjee: হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, রক্ষাকবচের জন্য ছুটছেন মন্ত্রী পার্থ, কিন্তু পাবেন কি?

    Partha Chatterjee: হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, রক্ষাকবচের জন্য ছুটছেন মন্ত্রী পার্থ, কিন্তু পাবেন কি?

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই হাজিরা থেকে ‘রক্ষাকবচ’ পেতে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একইভাবে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও তিনি আবেদন করেছেন বর্তমান শিল্পমন্ত্রী। ফলে, আজ শুক্রবার, দুই আদালতে জোড়া শুনানির সম্ভাবনা। 

    এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম উপরে উঠে আসে। নিয়োগ সংক্রান্ত যে উপদেষ্টা কমিটি গঠনের অনুমোদন দিয়েছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সেটিও সম্পূর্ণ বেআইনি ছিল৷ এই প্রেক্ষিতে, তাঁকে সিবিআই অফিসে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুন: নিজাম প্যালেসে সাড়ে তিন-ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে

    সিবিআই-এর হাজিরা এড়ানোর জন্য পার্থবাবু বুধবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ কোনও নির্দেশ দিতে রাজি হয়নি। পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে সেই মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। পাশাপাশি, সিঙ্গল বেঞ্চের কাছে এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতি মামলা ফিরিয়ে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। যার জেরে, সেদিন সন্ধ্যায় নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। সেখানে তাঁকে প্রায় সাড়ে তিন-ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

    সূত্রের খবর, বর্তমানে উপদেষ্টা কমিটির  সঙ্গে তাঁর বক্তব্য মিলিয়ে দেখছে সিবিআই। পার্থ বিলক্ষণ জানেন, এক্ষেত্রে কোনও রকম অসঙ্গতি দেখা দিলে তাঁকে পুনরায় সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হতে পারে। ঘন ঘন ডাকা হতে পারে তাঁকে ৷ এমনকী প্রয়োজন পড়লে তৃণমূল মহাসচিবকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই ৷ সব মিলিয়ে চরম বিপাকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ কড়া ব্যবস্থার হাত থেকে বাঁচতে ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: “কান টানলেই মাথা আসবে…”, কার দিকে ইঙ্গিত শুভেন্দুর?

    বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক ডিভিশন বেঞ্চে দ্রুত শুনানির আবেদন করেন পার্থ। কিন্তু, সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশের বিরুদ্ধে করা তাঁর আবেদন শোনেনি কোনও বেঞ্চই৷ ব্যক্তিগত কারণে এই মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে নেয় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ।

    সেই শুরু। মামলাটি ফেরত যায় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের কাছে। তিনি মামলাটি পাঠিয়ে দেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে। সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনটি গ্রহণ করে। সেখানে পার্থর আইনজীবীর তরফে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন করা হলে, বিচারপতি সুব্রত তালুকদার সাফ জানান, কোনওভাবেই বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি সম্ভব নয়। তিনি জানান, শুক্রবার মামলাটি শুনতে পারেন। আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতির পরামর্শ আগামীকাল (অর্থাৎ শুক্রবার) চেষ্টা করুন। 

    আরও পড়ুন: নথি নষ্টের আশঙ্কায় “সিল” এসএসসি দফতর, নিরাপত্তায় সিআরপিএফ, মধ্যরাতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    এদিকে, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন মন্ত্রী৷ বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে তিনি স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছেন। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে তিনি আবেদন করেছেন যে, স্কুল সার্ভিস কমিশন দুর্নীতি মামলায় তাঁকে কখনোই ‘পক্ষ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি। কিন্তু বর্তমানে সিবিআই অফিসে যেতে হচ্ছে তাঁকে। 

    এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তৃণমূল নেতা। ফলে আগামীদিনে সেই পদক্ষেপের হাত থেকে বাঁচার জন্য এদিন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানালেন পার্থ। তাঁর সেই আবেদন গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দায়ের করা মামলাটির শুনানি হতে পারে। ফলে আজ পার্থর এই জোড়া আবেদনের ফল কী হয় সেদিকেই দৃষ্টি থাকবে সকলের৷

     

  • Suvendu Adhikari: “কান টানলেই মাথা আসবে…”, কার দিকে ইঙ্গিত শুভেন্দুর?

    Suvendu Adhikari: “কান টানলেই মাথা আসবে…”, কার দিকে ইঙ্গিত শুভেন্দুর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকে (Teachers Recruitment scam) স্বাধীনতার পর দেশের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি হিসেবে উল্লেখ করে রাজ্য সরকারের (Mamata govt) তীব্র সমালোচনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী।

    বুধবার এসএসসি দুর্নীতি (SSC scam) মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) ডেকে পাঠায় সিবিআই। এই প্রেক্ষিতে রাজভবনের সামনে থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি (BJP) বিধায়ক।  তিনি বলেন, কত বড় দুর্নীতি হয়েছে, তা দিনের আলোর মতো এখন পরিস্কার। দুর্নীতির মূলে আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কার সুপারিশে পার্থ চট্টোপাধ্যায় হাজার হাজার প্রার্থীকে চাকরি দিয়েছেন, তা এবার তাঁকে জানাতে হবে। 

    আরও পড়ুন: নিজাম প্যালেসে সাড়ে তিন-ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে

    এদিন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikary) মেয়ের বেআইনি নিয়োগ নিয়ে তোপ দাগেন শুভেন্দু। জানান, মেয়ের চাকরি-সহ তিন শর্তে ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন পরেশ অধিকারী। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘পরেশ অধিকারী যোগদানের সময়ে তিনটি শর্ত রেখেছিলেন। প্রথম, সমস্ত নিয়ম ভেঙে তাঁর মেয়েকে চাকরি দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, তাঁকে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করতে হবে। তৃতীয়ত, চ্যাংড়াবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান করতে হচ্ছে তাঁকে।’’

    শুভেন্দুর মতে, কোনও আদর্শগত কারণে তিনি তৃণমূলে যোগ দেননি। দেওয়া-নেওয়ার শর্তের ভিত্তিতে তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়া। তাঁর আরও দাবি, ‘‘বিনিময়ের ভিত্তিতে পরেশের এই যোগদান তৃণমূলনেত্রীর নির্দেশ ছাড়া হয়নি। নিয়মের বাইরে গিয়ে পরেশের মেয়েকে নিয়োগ মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে হয়েছে। সেতুবন্ধনের কাজটি করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।’’

    আরও পড়ুন: কলকাতা না এসে মেয়েকে নিয়ে নামলেন বর্ধমান স্টেশনে, হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী

     

  • Karti Chidambaram: ঘুষ নিয়ে চিনা নাগরিকদের ভিসা! সিবিআই দফতরে কার্তি চিদম্বরম

    Karti Chidambaram: ঘুষ নিয়ে চিনা নাগরিকদের ভিসা! সিবিআই দফতরে কার্তি চিদম্বরম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি ভিসা মামলায় বিপাকে কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের (P Chidambaram) ছেলে তথা তামিলনাড়ুর সাংসদ কার্তি চিদম্বরম (Karti Chidambaram)। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কার্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিবিআই। টাকার বিনিময়ে চিনা নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার অভিযোগে কার্তিকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন সকালে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার জন্য সিবিআই সদর দফতরে ঢোকার সময় কার্তি বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রতিটি মামলাই ভুয়ো। তার মধ্যে এটি সবচেয়ে ভুয়ো।’’

    সিবিআই সূত্রের খবর, চিদম্বরম এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে বিদেশে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ, চিদম্বরম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন ২০১১ সালে পঞ্জাবে বেদান্ত গোষ্ঠীর একটি প্রকল্পে কাজের জন্য ২৬৩ জন চিনা নাগরিককে টাকার বিনিময়ে ভিসা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তাঁর ছেলে কার্তি।

    এই অভিযোগের জেরে গত সপ্তাহে দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই ও তামিলনাড়ুতে চিদম্বরমের বাড়ি ও কার্যালয়ে জোরদার তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই (CBI)। শুধু তাই নয়, কার্তির ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সহযোগী এস ভাস্করমণকে ইতিমধ্যেই এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্রের দাবি, ভাস্করমণকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই কার্তিকে তলব করা হয়েছে। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে।

    যদিও কংগ্রেস (Congress) সাংসদের সাফ কথা, এই ধরনের কোনও ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। এদিন সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার সময় তিনি স্পষ্ট বলে দেন, “আমি জীবনে একজন চিনা নাগরিককেও ভিসা পাইয়ে দিতে সাহায্য করিনি।” কার্তির অভিযোগ, শুধুমাত্র রাজনৈতিক দিক থেকে বিরোধী বলেই কেন্দ্র সরকার তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে হেনস্তা করছে।

    আরও পড়ুন: গমের পর চিনি রফতানিতে রাশ টানল সরকার

    প্রসঙ্গত, এর আগে আইএনএক্স মিডিয়া দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছিল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদম্বরমের। ২০১৯ সালে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে জামিনে ছাড়া পান তিনি। তার আগে ২০১৭ সালে সিবিআই ওই মামলায় কার্তিকেও গ্রেফতার করেছিল।

  • SSC Recruitment Scam: “সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনও ভুল নেই”, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহাল সিবিআই তদন্ত

    SSC Recruitment Scam: “সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনও ভুল নেই”, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহাল সিবিআই তদন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগের দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্ত করবে বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বহাল থাকল সিঙ্গল বেঞ্চের রায়। মান্যতা দেওয়া হল অবসরপ্রাপ্ত রঞ্জিত বাগ কমিটির রিপোর্টে।

    এসএসসি-র নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগ ও গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। এদিন সেই নির্দেশকেই সিলমোহর দিল ডিভিশন বেঞ্চ৷ অর্থাৎ, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত যে সাতটি মামলাতেই সিঙ্গল বেঞ্চ সিবিআই তদন্ত এবং অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাই বহাল রেখেছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি আনন্দ মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ৷ 

    এদিন এসএসসি-কে ভর্ৎসনা করে ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনও ভুল নেই। এখনও পর্যন্ত যে তথ্যপ্রমাণ এসেছে তার কোনটাই এসএসসির পক্ষে যায়নি। এদিন রায় দিতে গিয়ে দুই বিচারপতি পর্যবেক্ষণে বলেন, সরকারি নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিক, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর নাম জড়িয়েছে৷ এই অবস্থায় সিঙ্গল বেঞ্চের বিচার প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিক ন্যায়বিচার প্রক্রিয়া থেকে কেউ বঞ্চিত হয়নি বলেই পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ৷ এমনকি, বিতর্কিত ভাবে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের বেতন বন্ধ করা বা ফেরত দিতে বলার সিদ্ধান্তেও কোনও ভুল নেই বলেও জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

     

  • Partha Chatterjee: নিজাম প্যালেসে সাড়ে তিন-ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে

    Partha Chatterjee: নিজাম প্যালেসে সাড়ে তিন-ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Teachers recruitment scam) মামলায় প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে দাবি, উপদেষ্টা কমিটি তৈরি, শিক্ষক নিয়োগ, আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে একাধিক প্রশ্ন করা হয়। রাত ৯টা নাগাদ সিবিআই দফতর থেকে বের হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

    বুধবার সন্ধে ৬টার মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফের সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানান পার্থ। কিন্তু, বিচাপরতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ কোনও নির্দেশ দিতে অস্বীকার করে। নিয়ম অনুযায়ী মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় নির্দেশ দিতে অস্বীকার করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। যার ফলে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল থাকে। তখনই একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যায় যে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বুধবার সন্ধে ৬টার মধ্য়ে নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) হাজিরা দিতে হচ্ছে।

    সেইমতো, বিকেল পাঁচটা নাগাদ নাকতলার বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজাম প্যালেসের উদ্দেশে রওনা দেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল (TMC) মহাসচিব। নির্ধারিত সময়ের ২০ মিনিট আগেই তিনি নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান। তার আগেই বিকেল চারটের মধ্যে সিবিআই দফতরে পৌঁছে যান স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ সিনহা সহ কমিটির বাকি সদস্যরা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থকে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির পাঁচ সদস্যকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

    পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন তখন তাঁর পৌরোহিত্যেই উপদেষ্টা কমিটি তৈরি হয়েছিল। যে কমিটির গঠনকে আদালত নিযুক্ত বাগ কমিটি অবৈধ বলে তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে।  সিবিআই সূত্রে দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা কমিটি কেন তৈরি হয়েছিল? কার নির্দেশে, কীভাবে এই কমিটি গঠন করা হয়েছিল? কমিটির সদস্য কারা হবেন, সেটা কারা ঠিক করেছিল? 

    সাড়ে তিন ঘণ্টায় প্রায় দুদফায় পার্থকে জেরা করা হয়েছে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, সাড়ে তিন ঘণ্টার জেরায় বেশিরভাগ প্রশ্নই এড়িয়ে গিয়েছেন রাজ্যেক প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর পুরো বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে বলে খবর।  রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ সেখান থেকে বের হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে বেহালায় পার্টি অফিসে (TMC office) যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। 

     

  • Phone Tapping Case: ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগে প্রাক্তন পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে শুরু সিবিআই তদন্ত

    Phone Tapping Case: ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগে প্রাক্তন পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে শুরু সিবিআই তদন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে নতুন করে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (NSE) প্রাক্তন প্রধান চিত্রা রামকৃষ্ণ, রবি নারায়ণ এবং মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার (Ex Mumbai Police Commissioner) সঞ্জয় পাণ্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল সিবিআই। তাঁদের বিরুদ্ধে ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ (Phone Tapping Case)  দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ।

    আগেই চিত্রাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বর্তমানে তিনি বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। নারায়ণকে জেরা করা হয়েছে। আর পান্ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, মুম্বই এবং দিল্লি সহ দেশের ১৮টি জায়গায় ফোনে আড়িপাতার অভিযোগে তল্লাশি করেছে সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। এই সূত্রেই জানা গিয়েছে, পাণ্ডের ফার্মে এনএসই কর্মীদের ওপর অবৈধভাবে নজরদারি চালাতেন এনএসইর প্রাক্তন প্রধানরা। এই অভিযোগেরও পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন : রুজিরা নারুলাকে চেনেন না রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, কয়লাপাচার তদন্তে গোলকধাঁধায় সিবিআই-ইডি

    সম্প্রতি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার পাণ্ডেকে টানা পাঁচ ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগও রয়েছে। পাণ্ডে ১৯৮৬ সালের আইপিএস অফিসার। জুন মাসের ৩০ তারিখে অবসর নেন তিনি। পাণ্ডেকে দিল্লির ইডি অফিসে ডেকে জেরা করা হয় চলতি মাসের পাঁচ তারিখে।

    সূত্রের খবর, সিবিআই কো-লোকেশন কেলেঙ্কারির তদন্ত চালানোর সময় আইসেক সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে কমিশন নেওয়ার অভিযোগ পেয়েছে। এর সঙ্গে পাণ্ডের পরিবারের লোকজনও যুক্ত। এই কো-লোকেশন কেলেঙ্কারির তদন্ত শুরু করেছে ইডি। এ ব্যাপারে অবশ্য পাণ্ডের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    আরও পড়ুন : ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণদের তথ্য চাইল সিবিআই, স্কুলে স্কুলে গেল নির্দেশ

    জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসে পাণ্ডেকে যখন পুলিশ কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করে এমভিএ সরকার, তখন তাঁকে একবার সিবিআই ডেকেছিল। সেই সময় মহারাষ্ট্রের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির সাক্ষী হিসেবে। এখন ফের পাণ্ডেকে জেরা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই। এখন অবশ্য অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধেই। তদন্তকারী এক আধিকারিক বলেন, পাণ্ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করাটা খুবই জরুরি। তাঁকে জেরা করলেই বহু তথ্য সামনে আসবে। 

     

  • FCRA Violation: ঘুষ দিয়ে এনজিও-র কারবার! দেশজুড়ে হানা সিবিআইয়ের, নজরে কেন্দ্রীয় আধিকারিক

    FCRA Violation: ঘুষ দিয়ে এনজিও-র কারবার! দেশজুড়ে হানা সিবিআইয়ের, নজরে কেন্দ্রীয় আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্তাদের ঘুষ দিয়ে দিব্যি চলছিল এনজিওর (NGO) কারবার। সেই কারবারের পর্দাফাঁস করতে দেশজুড়ে শুরু সিবিআই (CBI) তল্লাশি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (ministry of home affairs) বিদেশি বিভাগের কয়েকজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে ঘুষ(bribe) নিয়ে এনজিও-র লাইসেন্স দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগেরই তদন্ত করতে দেশের ৪০টি জায়গায় হানা দেয় সিবিআই।

    দেশের সর্বত্র ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে এনজিও। এগুলির বেশ কয়েকটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগও উঠেছে। আবার লাইসেন্স পেয়েও পরে আর তা পুনর্নবীকরণ করেনি বেশ কিছু এনজিও। অভিযোগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিদেশি বিভাগের কয়েকজন আধিকারিককে ঘুষ দিয়ে চলছে এনজিওগুলির এই রমরমা কারবার।

    সিবিআইয়ের এক মুখপাত্র জানান দিল্লি, রাজস্থান, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, কোয়েম্বটুর এবং মাইসোর সহ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলেছে। তিনি জানান, এনজিও-র প্রতিনিধি, মিডিলম্যান এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কয়েকজন আধিকারিক ফরেন কনট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট (Foreign contribution regulation act ) লঙ্ঘন করছে। ঘুষের বিনিময়ে তাঁরা বিভিন্ন এনজিওকে সুবিধাও পাইয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এই সব অভিযোগের সারবত্তা জানতেই তল্লাশি অভিযান চলছে বলে জানান ওই আধিকারিক। সংবাদমাধ্যমকে ওই আধিকারিক বলেন, প্রায় আধ ডজন সরকারি আধিকারিক ও অন্যান্য কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তল্লাশি চালানোর সময়। হাওলার মাধ্যমে ২ কোটির কাছাকাছি টাকা লেনদেন হয়েছে বলেও জানান তিনি।

    ফরেন কনট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট বিভাগটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ফরেনার্স ডিভিশনের একটি অংশ। এনজিওতে যে বিদেশি অনুদান আসে, তার অনুমতি দেয় এই বিভাগ। এরা যেমন এনজিওগুলির লাইসেন্স দেয়, তেমনি লাইসেন্স পুনর্নবীকরণও করে। এই বিভাগে কর্মরতদের একাংশের বিরুদ্ধেই উঠেছে ঘুষ নিয়ে লাইসেন্স দেওয়ার অভিযোগ। সেই অভিযোগের কিনারা করতেই দেশজুড়ে চলছে সিবিআইয়ের তল্লাশি অভিযান।

    জানা গিয়েছে, দেশে রেজিস্টার্ড এনজিও রয়েছে ১৬ হাজার ৮৯০টি। সরকার বাতিল করেছে ২০ হাজার ৬৭৯ এনজিও-র লাইসেন্স। ১২ হাজার ৫৪০ এনজিও তাদের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করেনি বলেও অভিযোগ। সূত্রের খবর, সিবিআই অভিযুক্ত আধিকারিকদের গ্রেফতার করতে পারে। তদন্তকারীদের ধারণা, ওই আধিকারিকদের গ্রেফতার করতে পারলেই জানা যাবে কীভাবে ঘুষের বিনিময়ে চলছে এনজিও-র রমরমা কারবার।

     

  • Partha Chatterjee: ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা পার্থর, সন্ধের মধ্যে সিবিআই দফতরে হাজিরা না দিলে আদালত অবমাননা?

    Partha Chatterjee: ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা পার্থর, সন্ধের মধ্যে সিবিআই দফতরে হাজিরা না দিলে আদালত অবমাননা?

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অস্বস্তিতে পড়লেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।  সিবিআইয়ের কাছে হাজিরার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু, মামলায় নির্দেশ দিতে অস্বীকার করে হরিশ ট্যান্ডনের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। 

    এসএসসি নবম-দশম ও গ্রুপ-সি গ্রুপ-ডি দুর্নীতি কাণ্ডে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে ফের সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ, বুধবার সন্ধে ছটার মধ্যে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরের হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ চাইতে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু, আদালত তাঁর সেই আবেদনের ভিত্তিতে কোনও নির্দেশ দিতে অস্বীকার করে। ফলে ডিভিশন বেঞ্চ থেকে কোনওরকম রক্ষাকবচ না মেলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল থাকল। মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সিবিআই অফিসে হাজির হতে হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। না হলে, তা হবে আদালত অবমাননার সামিল।

    এর আগে সকালে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, এদিন সন্ধে ৬টার মধ্যে সিবিআই দফতরে গিয়ে হাজিরা দিতে হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েকজন সরকারি আধিকারিককে। ফলে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মন্ত্রীর সুপারিশে গঠিত নিয়োগ সংক্রান্ত বিশেষ কমিটির পাঁচ সদস্যকে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার কথা। এমনকী তদন্তে সহযোগিতা না করলে মন্ত্রী-সহ বাকি আধিকারিকদের প্রয়োজনে গ্রেফতার করারও সবুজ সঙ্কেত দিয়ে রাখে আদালত।

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এদিন বিকেলের মধ্যে যাঁদের সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়, তসেই তালিকায় রয়েছেন এসএসসি চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ সিনহা, শিল্পমন্ত্রীর ওএসডি প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেপুটি ডিরেক্টর অফ স্কুল অলোক সরকার, প্রোগ্রাম অফিসার সমরজিৎ আচার্য এবং ল অফিসার তাপস পাঁজা। আগামীকাল, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোর মধ্যে আদালতে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    “সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনও ভুল নেই”, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহাল সিবিআই তদন্ত

    পাশাপাশি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের কাছে সুপারিশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি বলেন, “আমি মনে করি, মুক্ত ও স্বচ্ছ সমাজ গড়ার স্বার্থে পার্থ চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করবেন বা তাঁকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। এটা আমার অনুরোধ।” এর পাশাপাশি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এও জানান, “কাস্টোডিয়াল জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়া এই দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হবে না”। তবে নিজেই জানান, এটা শুধুমাত্র একটা সুপারিশ, কোনও নির্দেশ নয়।

    এর আগে ১২ এপ্রিল হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যদিও সেবার ডিভিশন বেঞ্চ থেকে সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ আনা হয়। মামলার উপরেও স্থগিতাদেশ আনা হয়। তারপর আজ, বুধবার ওই মামলাগুলির শুনানি হয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রেখে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তারপরেই ফের সিঙ্গল বেঞ্চের তরফে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।  

    এদিকে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে দায়ের হওয়া মূল ৭টি মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য। শীর্ষ আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা দফতরকে। সূত্রের খবর, ডিভিশন বেঞ্চের অর্ডার কপি দেখে সুপ্রিম কোর্টে মামলা ফাইল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্কুল শিক্ষা দফতরের সঙ্গে ইতিমধ্যেই আইনজীবীদের আলোচনা শুরু হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী কথা বলেছেন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে। আজই আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

     

     

  • Primary TET: চাকরি গেল ২৬৯ জনের! প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলাও গেল সিবিআই-এর কাছে

    Primary TET: চাকরি গেল ২৬৯ জনের! প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলাও গেল সিবিআই-এর কাছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টে আবারও মুখ পুড়ল মমতা (Mamata) প্রশাসনের। এবার ২০১৪ প্রাথমিক টেট (Primary TET) দুর্নীতি মামলাতেও এবার সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এই মামলায় ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। 

    এদিন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganduly) বলেন, “২০১৭ সালে দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকা বেআইনি। দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকার ২৬৯ জনের নিয়োগ বেআইনি, তাই সিবিআই।” আজ বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে এফআইআর দায়ের করে সিবিআইকে জিজ্ঞাবাসাদ শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। পাশাপাশি আজই সিবিআই-এর সামনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সচিব ও সভাপতিকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতে প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের উল্লেখ করা ‘রঞ্জন’ রহস্যের তদন্তভার ইতিমধ্যে সিবিআইকে দিয়েছে আদালত।

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকার লেনদেন! গেছে কার পকেটে? তদন্তে ইডি

    মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, ২০১৪ প্রাথমিক টেটে ২৬৯ জনকে অতিরিক্ত ১ নম্বর করে দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। কেন তারা এই অতিরিক্ত নম্বর দিয়েছে তার কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি সংসদের আধিকারিকরা। বিচারপতি আদালতে প্রশ্ন করেন, ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে বেছে বেছে এই ২৬৯ জনকে ১ নম্বর বেশি দেওয়া হল কেন? কোনও বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই কীভাবে ২৬৯ জনের জন্য নিয়োগ তালিকা প্রকাশিত হল, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি৷

    জবাবে পর্ষদের আইনজীবী জানান, যোগ্যদের বঞ্চনা করা হয়েছে, এই অভিযোগে বিক্ষোভ আন্দোলন হয়। আন্দোলনকারীরা পর্ষদে আবেদন করেন। জেলা ভিত্তিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেট পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদন জমা পড়ে। সেই আবেদন থেকেই প্রশ্ন ভুলে ১ নম্বর করে যোগ করে ২৬৯ জন টেট উত্তীর্ণ হন। যদিও পর্ষদের আইনজীবীর এই যুক্তি মানতে চাননি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ 

    এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের ডাকে ফের নিজাম প্যালেসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়

    এর পরই ওই ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন বিচারপতি। তাঁদের বেতন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে তাঁরা যেন স্কুলে প্রবেশ করতে না পারেন তাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। রমেশ মালিক নামে এক টেট পরীক্ষার্থীর করা মামলার ভিত্তিতেই এ দিন এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷

     

  • Rujira Banerjee: রুজিরা নারুলাকে চেনেন না রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, কয়লাপাচার তদন্তে গোলকধাঁধায় সিবিআই-ইডি

    Rujira Banerjee: রুজিরা নারুলাকে চেনেন না রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, কয়লাপাচার তদন্তে গোলকধাঁধায় সিবিআই-ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লাপাচার (Coal smuggling) কাণ্ডের তদন্তে নেমে গোলকধাঁধায় সিবিআই-ইডি (CBI-ED)। কারণ তদন্তকারীদের প্রশ্নমালার মুখোমুখি হয়ে অনেকেরই স্মৃতিবিভ্রম হচ্ছে। অতীতের কিছুই আর মনে করতে পারছেনা তাঁরা। এমন ঘটনা ঘটেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rujira Banerjee) ক্ষেত্রেও। অন্তত সিবিআই-ইডি তদন্তের খোঁজখবর রাখছেন এমন একাংশের দাবি তেমনই।  তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে যাঁরা জানেন তেমনই এক বিশেষ সূত্রের দাবি, রুজিরা নারুলাকে চিনতে পারছেন না রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়! সিবিআই এবং ইডির তদন্তকারীদের সামনে নিজের বক্তব্য জানাতে গিয়ে নাকি এমনই দাবি করেছেন অভিষেক-পত্নী। 

    বিষয়টি কেমন? 
    তদন্তকারী দল সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যাংককের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেন নিয়েই কয়লা পাচার কাণ্ডে রুজিরার যোগসূত্র মিলেছে। কয়লাপাচারের মূলচক্রী অনুপ মাঝি ওরফে লালার বিভিন্ন ঠিকানায় তল্লাশির সময় তাইল্যান্ডের একটি ব্যাংকের কয়েকটি রসিদ পাওয়া যায়। তার একটিতে দেড় লক্ষ ভাট (তাই মুদ্রা) জমা পড়ার কথা জানা গিয়েছিল। গত বিধানসভা ভোটের আগে বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বারুইপুরের এক জনসভায় সেই ব্যাংক রসিদের ছবি সর্বসমক্ষে খিয়েছিলেন। (সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই রসিদের ছবি মাধ্যমের কাছেও রয়েছে। তবে তার সত্যাসত্য যাচাই করেনি মাধ্যম। যদিও ব্যাংককের ওই ব্যাংক রসিদটি ভুয়ো এমন দাবিও কখনও করেননি কেউ।) 

    আরও পড়ুন: কোলে ২ বছরের ছেলে, ইডি-র তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির রুজিরা

    রুজিরা নারুলার নামেই সেই অর্থ জমা হয়েছিল বলে শুভেন্দুবাবু দাবি করেছিলেন। তদন্তকারীরা সেই ব্যাংকের যাবতীয় লেনদেন সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। বিদেশ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উদ্যোগে সরকারি ভাবে সে সব নথি এখন ইডি-সিবিআইয়ের হাতে এসেছে বলে তদন্তকারীদের একাংশের দাবি। ওই অ্যাকাউন্টটি এখনও রয়েছে নাকি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তাও জানেন তদন্তকারীরা।

    আর এখান থেকেই রহস্যের শুরু। ইডি এবং সিবিআইয়ের প্রশ্নমালার মুখে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি জানিয়েছেন, তাঁর এমন কোনও অ্যাকাউন্টই নেই। ব্যাংককের ওই বিতর্কিত অ্যাকাউন্টটি কার, তা তিনি জানেন না। তদন্তকারীরা তাঁকে জানান, অ্যাকাউন্টটি রুজিরা নারুলার নামে রয়েছে। তাতে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁর নামে ব্যাংককে কোনও অ্যাকাউন্ট নেই।

    আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ডে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের, করা হল কোন প্রশ্ন?

    তদন্তকারীদের একাংশ জানাচ্ছেন, অভিষেক পত্নীর পাসপোর্ট, ওসিআই কার্ড, ট্রাভেল ডকুমেন্ট থেকে স্পষ্ট রুজিরা নারুলাই হচ্ছেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেও কেন তদন্তকারীদের প্রশ্নমালার মুখে ব্যাংককের অ্যাকাউন্টের কথা অস্বীকার করছেন রুজিরা? এই গোলকধাঁধার জবাব মিললেই কয়লাকাণ্ডের তদন্ত চূড়ান্ত স্তরে পৌঁছাতে পারে বলে তদন্তের গতি-প্রকৃতি জানা অনেকে জানাচ্ছেন।

     

LinkedIn
Share